সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

রপ্তানি পণ্যে আরোপ করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বাংলাদেশের। এই আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের দিকগুলো বড় আকারে সামনে এলেও বিষয়টিকে দেশটি ভূরাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য চাপ তৈরির একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে পর্যবেক্ষণ সরকারি ও বেসরকারি বিশ্লেষকদের।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশের জন্য মেনে নেওয়া প্রায় অসম্ভব, এটা বুঝেই যুক্তরাষ্ট্র রপ্তানির ক্ষেত্রে পাল্টা শুল্কের নামে ৩৭ শতাংশ সম্পূর্ণ নতুন শুল্ক আরোপের কথা জানায়। এই প্রস্তাবকে বড় মনস্তাত্ত্বিক চাপ হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া চিঠিতে পাল্টা শুল্কের বিষয়টি জানান। একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, একটি দেশের সরকারপ্রধানকে প্রেসিডেন্টের লেখা চিঠি হোয়াইট হাউস সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে দিচ্ছে। এতে ট্রাম্প মার্কিন সমাজে প্রশংসিত হলেও যে দেশের জন্য শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে, সেখানে মনস্তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক চাপ তৈরি হচ্ছে।
পাল্টা শুল্ক নিয়ে দর-কষাকষির ভিত্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের (ইউএসটিআর) ২১ মের চিঠির ছত্রে ছত্রে যেসব শর্ত রাখা হয়েছে, তাতেও নানামুখী চাপ তৈরির উপকরণ দেখছেন বিশ্লেষকেরা। যুক্তরাষ্ট্রের শর্তে বাণিজ্য, জাতীয় নিরাপত্তা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, বিভিন্ন পণ্য এবং সেবার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের মান ও সনদ বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়া, কিছু ক্ষেত্রে আমদানির অনুমতি চাওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি, মার্কিন ব্যবসায়ীদের চাহিদামতো অনাপত্তিপত্র দেওয়ার বাধ্যবাধকতা চালু করাসহ এমন অনেক বিষয় আছে, যেগুলো অনেক দেশের জন্যই মেনে নেওয়া কঠিন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সামরিক যন্ত্রপাতি, উড়োজাহাজ, জ্বালানি ও ভোজ্যতেল, গম বিক্রি ব্যাপকভাবে বাড়াতে চায়। এটা তারা চাইতেই পারে। কিন্তু একই সঙ্গে চীনসহ অন্য দেশ থেকে একই পণ্য আমদানি কমানোর দাবি; যুক্তরাষ্ট্রকে যে পণ্যে শুল্কছাড় দেওয়া হবে, একই পণ্যে অন্য দেশকে শুল্কছাড় না দেওয়ার শর্ত; যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার অজুহাতে বাংলাদেশের বন্দর, জেটি ও জাহাজে চীনের তৈরি বিশেষ ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা; বিভিন্ন ব্যবসা ও পেশার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরোপ প্রস্তাব; অনেক ক্ষেত্রে আমদানি-রপ্তানির তথ্য মার্কিন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি সই করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে (ডব্লিউটিও) জানানোসহ বহু শর্ত দিয়েছে দেশটি।
শুল্ক নিয়ে আলোচনার মাঝপথে প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি শুল্কের আলোচনায় গতি আনা এবং বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুত গণতন্ত্রে ফেরার তাগিদ দেন। এসবের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সংলাপসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় মিয়ানমারের রাখাইনের সঙ্গে স্থল অথবা জলপথে ‘মানবিক চ্যানেল’ চালু করাসহ কৌশলগত স্বার্থের নানা দিকও টেনে আনছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে ‘চাপ’ তৈরির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকায় দেশটির দূতাবাসের মুখপাত্র আজকের পত্রিকাকে বুধবার বলেন, ‘চলমান দ্বিপক্ষীয় দর-কষাকষির বিষয়ে দূতাবাস কোনো মন্তব্য করে না।’
কী চায় যুক্তরাষ্ট্র
সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র শুল্কের বিষয়টি সামনে রেখে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের নামে একটি ব্যাপকভিত্তিক কাঠামোগত চুক্তি চায়। এর মাধ্যমে নিজের আয় বাড়ানোর পাশাপাশি এমন একটি ব্যবস্থা চালু করতে চায়, যার মাধ্যমে দেশটি অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ও আমদানি-রপ্তানি প্রবাহ এবং কৌশলগত কেনাকাটার ওপর নজরদারি করার সুযোগ পেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সার্বভৌম এখতিয়ার লঙ্ঘনের ঝুঁকি দেখছেন স্থানীয় বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, কাঠামোগত চুক্তিতে এমন ধারা যুক্ত হলে দেশটি ভূরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী মনোভাব আছে, এমন দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ওপর দেশটি ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণ আরোপের সুযোগ নিতে পারে। এতে চীন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আছে।
আলোচনায় লুকোচুরির অভিযোগ
অংশীজন, বিশ্লেষক এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন একটি বহুমুখী, গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল কূটনৈতিক বিষয়কে শুরুতে আর দশটি সাধারণ আন্তর্জাতিক বিষয়ের মতো সামাল দিতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের জটিল বাণিজ্যিক বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় দর-কষাকষির মূল দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তাদের ওপর; আর রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক দেখে থাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় শুরুতে এ দুটি মন্ত্রণালয়কেই ‘পাল্টা শুল্কের’ আলোচনা থেকে দূরে রাখে। সরকারি পর্যায়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ছাড়াই এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে যান প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী। তাঁর নেতৃত্বে মার্কিনদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিনসহ অন্যরা। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার গোপনীয়তা বজায় রাখতে ‘নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ (এনডিএ) সইয়ের জন্য চাপ দেয়। এনডিএ সই হয় ১২ জুন। কিন্তু পাল্টা শুল্কের আলোচনা কিছুতেই না এগোনোয় অবস্থা বেগতিক দেখে এই প্রক্রিয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করা হয় ট্রাম্পের চিঠি আসার আড়াই মাস পর। ইউএসটিআর প্রথমবারের মতো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনলাইনে সভা করে ১৭ জুন। কিন্তু ২৬ জুন ওয়াশিংটনে মুখোমুখি আলোচনার বিষয়টি সামনে এলে পাঠানো হয় প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানকে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত ৩০ জুন মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে বাণিজ্যের আলোচনায় গতি আনার তাগিদ দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরার ওপরও তিনি জোর দেন। বর্তমান স্থানীয় রাজনৈতিক বাস্তবতায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনার সঙ্গে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ যুক্ত করাকে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ হিসেবে দেখছেন কূটনীতিকেরা।
রুবিওর তাগিদের পর ৩ জুলাই খলিলুর রহমানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের বৈঠকে যোগ দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। খলিলুর রহমান আলোচনা ‘ভালোভাবে’ এগোনোর দাবি করলেও বিষয়টি যে আসলে তেমন ছিল না, তা স্পষ্ট হয়ে যায় তিনি ওয়াশিংটনে থাকা অবস্থায়ই মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া ট্রাম্পের দ্বিতীয় চিঠিতে। ৮ জুলাইয়ের এই চিঠিতে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বর্তমানে কার্যকর (১৫ শতাংশ) শুল্কের অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আগামী ১ আগস্ট থেকে আরোপ করার কথা জানান ট্রাম্প।
এরপর ৯ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনার দ্বিতীয় পর্যায়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে বহুমুখী এই দর-কষাকষির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য, বিভিন্ন সরকারি কর্তৃপক্ষের মতামত নেওয়া এবং অংশীজনদের সঙ্গে বোঝাপড়ার মারাত্মক ঘাটতির মুখে বাণিজ্য উপদেষ্টাকে আলোচনা অসমাপ্ত রেখে পরামর্শের জন্য ঢাকায় ফিরে আসতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের তোলা বিভিন্ন বিষয়ে সবার সঙ্গে আলোচনার পর দেশের একটি ‘অবস্থানপত্র’ আগামী সপ্তাহের শুরুতে তৈরি করার কথা বলছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তৃতীয় দফা বৈঠকের সম্মতি মিললে তাঁর আগামী সপ্তাহেই সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ চায় চলতি জুলাইয়ের মধ্যে বিষয়টির ফয়সালা করতে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গত মঙ্গলবারের পরামর্শমূলক সভায় যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, এনডিএর অজুহাত দেখিয়ে অংশীজনসহ কারও সঙ্গে কথা না বলে সরকার দুই দফা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছে। এখন তৃতীয় দফা বৈঠকের আগে পরামর্শের জন্য সভা ডাকা হলেও খোলাখুলি বলছে না, তাদের কোন বিষয়ে কী ধরনের পরামর্শ দরকার। এমন অবস্থায় বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের ধারণা করে কথা বলতে হচ্ছে।
আলোচনায় বাংলাদেশের মৌলিক নীতিগত অবস্থান কী, এমন প্রশ্নে এক সরকারি কর্মকর্তা বাণিজ্য উপদেষ্টার একটি মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন। উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি নত হতে রাজি। কিন্তু কতটা নত হলে ভেঙে পড়ব না, সেটা তো বুঝতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা পণ্যে বাংলাদেশ বর্তমানে গড়ে ৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই শুল্ক প্রায় পুরোপুরি তুলে দেওয়া হতে পারে। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্কছাড় দেওয়া হলে রাজস্ব যে পরিমাণ কমবে, তার চেয়ে ‘পাল্টা শুল্ক’ অন্তত অর্ধেকে নামিয়ে এনে দেশটিতে বাজার ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এর বাইরে সরকারিভাবে গম, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), উড়োজাহাজ ও এর যন্ত্রাংশ, ভোজ্যতেল এবং তুলা আমদানি বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে সরকার।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের একজন সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউএসটিআরের সঙ্গে আলোচনায় উভয় পক্ষ একমত হলেও সেটাই চূড়ান্ত ধরে নেওয়ার সুযোগ সম্ভবত নেই। বিষয়টি হোয়াইট হাউসে যাবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঠিক করবেন, বাংলাদেশের জন্য ‘চূড়ান্ত পাল্টা শুল্ক’ ঠিক কত হবে।
টার্গেট চীন
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কী উদ্দেশ্যে এত দেশের সঙ্গে শুল্ক-যুদ্ধ শুরু করেছে, এর কৌশলগত দিকগুলো কী, সম্ভবত অন্তর্বর্তী সরকার তা শুরুতে ধরতে পারেনি। ট্রাম্প শুল্ক বাড়িয়ে নিজ দেশের আয় বাড়ানোর কথা বললেও আসলে তারা আরও দুটি উদ্দেশ্য আছে—প্রথমত, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) ভিত্তিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে দেওয়া। এতে ট্রাম্প নিজের শর্তে বাংলাদেশের মতো অর্থনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকে নাজুক অবস্থানে থাকা দেশগুলোসহ পুরো বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেখছেন।
চলমান আলোচনায় লিখিতভাবে দেওয়া যেসব প্রস্তাব নিয়ে কথা হচ্ছে, সেগুলোর বাইরেও ডালপালা ছড়াতে পারে, এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির বলেন, রুলস অব অরিজিনে যুক্তরাষ্ট্রমুখী পণ্যে বাংলাদেশে ৪০ শতাংশ মূল্য সংযোজনের যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা চীনকে আটকানোর একটি উপায়। একই উপায়ে অনেকগুলো দেশে চীনের রপ্তানিতে লাগাম টেনে দেশটিকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করা গেলে যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে কৌশলগত দিক থেকেও দীর্ঘমেয়াদি নানা রকম সুবিধা পেতে পারে।
সাবেক এই কূটনীতিক আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবারকার আলোচনায় যেসব বিষয় তুলছে, সেগুলোতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কার, শ্রমমান, মৌলিক অধিকার রক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা দরকার হতে পারে। এমন ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তুতি ও শক্তি—কোনোটাই দেশের নেই। তিনি বলেন, ‘অন্তত আগামী ২০ বছরের মধ্যে পরিবর্তন আনার একটি বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা এবং পথরেখা দেওয়া গেলে হয়তো যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা সুযোগ দেবে। কিন্তু সরকারের মেয়াদ আছে আর মাত্র কয়েক মাস। এই নিশ্চয়তা কে দেবে?’
আলোচনার শুরুতে বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দূরে রাখা প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবির সরকারের কাজকর্মে কৌশলগত স্বচ্ছতার অভাবের কথা বলেন। দুই মন্ত্রণালয়কে দূরে রাখা ‘মারাত্মক ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলো থেকে আসার কথা। কিন্তু সরকার তাদের সঙ্গেও পরামর্শ করা দরকার মনে করছে না। এতে বড় ধরনের তালগোল পাকিয়ে ফেলার ঝুঁকি আছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষিতে সুবিধা পাওয়ার মতো বড় কোনো উপায় (লিভারেজ) হাতে না থাকায় আলোচনায় শেষ পর্যন্ত কী মিলবে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখছেন বিশ্লেষকেরা। প্রস্তুতির ঘাটতি থাকায় এ ক্ষেত্রে কিছুটা ‘ভাগ্যের’ ওপর নির্ভর করতে হতে পারে, এমনটা মনে করছেন তাঁরা।
দীর্ঘ মেয়াদে বিপুল নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা
স্থানীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘পাল্টা শুল্কের’ বিষয়ে যে সিদ্ধান্তই নিন না কেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিকসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বড় রকম প্রভাব ফেলতে পারে। বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া শুল্ক ভিয়েতনাম (২০ শতাংশ), ইন্দোনেশিয়া (১৯ শতাংশ) এবং ভারতের মতো প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বেশি হলে এখানে রপ্তানি আয় বেশ কমতে পারে।
বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হাসান খান ও স্থানীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান আলোচনায় ভালো ফল না এলে দেশের পুরো অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ঝুঁকি আছে। অনেক শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে বহু শ্রমিকের বেকার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এর পরিণতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ নানা রকম সামাজিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভারতের সঙ্গে একই বিষয়ে ভূরাজনৈতিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা চলছে। চীনের সঙ্গে দুই দেশেরই বৈরিতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের জন্য পাল্টা শুল্কের যে হার ঠিক করবে, বাংলাদেশের হার তার চেয়ে বেশি হলে স্থানীয় শিল্প ও রপ্তানি বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গত বুধবার বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দেশটির দূতাবাসের ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী তাঁদের আলোচনার প্রসঙ্গ ছিল দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ ও আনুষঙ্গিক বিষয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। রপ্তানি করেছে ৮৭৬ কোটি ডলারের পণ্য।

রপ্তানি পণ্যে আরোপ করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বাংলাদেশের। এই আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের দিকগুলো বড় আকারে সামনে এলেও বিষয়টিকে দেশটি ভূরাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য চাপ তৈরির একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে পর্যবেক্ষণ সরকারি ও বেসরকারি বিশ্লেষকদের।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশের জন্য মেনে নেওয়া প্রায় অসম্ভব, এটা বুঝেই যুক্তরাষ্ট্র রপ্তানির ক্ষেত্রে পাল্টা শুল্কের নামে ৩৭ শতাংশ সম্পূর্ণ নতুন শুল্ক আরোপের কথা জানায়। এই প্রস্তাবকে বড় মনস্তাত্ত্বিক চাপ হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া চিঠিতে পাল্টা শুল্কের বিষয়টি জানান। একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, একটি দেশের সরকারপ্রধানকে প্রেসিডেন্টের লেখা চিঠি হোয়াইট হাউস সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে দিচ্ছে। এতে ট্রাম্প মার্কিন সমাজে প্রশংসিত হলেও যে দেশের জন্য শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে, সেখানে মনস্তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক চাপ তৈরি হচ্ছে।
পাল্টা শুল্ক নিয়ে দর-কষাকষির ভিত্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের (ইউএসটিআর) ২১ মের চিঠির ছত্রে ছত্রে যেসব শর্ত রাখা হয়েছে, তাতেও নানামুখী চাপ তৈরির উপকরণ দেখছেন বিশ্লেষকেরা। যুক্তরাষ্ট্রের শর্তে বাণিজ্য, জাতীয় নিরাপত্তা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, বিভিন্ন পণ্য এবং সেবার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের মান ও সনদ বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়া, কিছু ক্ষেত্রে আমদানির অনুমতি চাওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি, মার্কিন ব্যবসায়ীদের চাহিদামতো অনাপত্তিপত্র দেওয়ার বাধ্যবাধকতা চালু করাসহ এমন অনেক বিষয় আছে, যেগুলো অনেক দেশের জন্যই মেনে নেওয়া কঠিন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সামরিক যন্ত্রপাতি, উড়োজাহাজ, জ্বালানি ও ভোজ্যতেল, গম বিক্রি ব্যাপকভাবে বাড়াতে চায়। এটা তারা চাইতেই পারে। কিন্তু একই সঙ্গে চীনসহ অন্য দেশ থেকে একই পণ্য আমদানি কমানোর দাবি; যুক্তরাষ্ট্রকে যে পণ্যে শুল্কছাড় দেওয়া হবে, একই পণ্যে অন্য দেশকে শুল্কছাড় না দেওয়ার শর্ত; যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার অজুহাতে বাংলাদেশের বন্দর, জেটি ও জাহাজে চীনের তৈরি বিশেষ ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা; বিভিন্ন ব্যবসা ও পেশার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরোপ প্রস্তাব; অনেক ক্ষেত্রে আমদানি-রপ্তানির তথ্য মার্কিন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি সই করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে (ডব্লিউটিও) জানানোসহ বহু শর্ত দিয়েছে দেশটি।
শুল্ক নিয়ে আলোচনার মাঝপথে প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি শুল্কের আলোচনায় গতি আনা এবং বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুত গণতন্ত্রে ফেরার তাগিদ দেন। এসবের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সংলাপসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় মিয়ানমারের রাখাইনের সঙ্গে স্থল অথবা জলপথে ‘মানবিক চ্যানেল’ চালু করাসহ কৌশলগত স্বার্থের নানা দিকও টেনে আনছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে ‘চাপ’ তৈরির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকায় দেশটির দূতাবাসের মুখপাত্র আজকের পত্রিকাকে বুধবার বলেন, ‘চলমান দ্বিপক্ষীয় দর-কষাকষির বিষয়ে দূতাবাস কোনো মন্তব্য করে না।’
কী চায় যুক্তরাষ্ট্র
সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র শুল্কের বিষয়টি সামনে রেখে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের নামে একটি ব্যাপকভিত্তিক কাঠামোগত চুক্তি চায়। এর মাধ্যমে নিজের আয় বাড়ানোর পাশাপাশি এমন একটি ব্যবস্থা চালু করতে চায়, যার মাধ্যমে দেশটি অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ও আমদানি-রপ্তানি প্রবাহ এবং কৌশলগত কেনাকাটার ওপর নজরদারি করার সুযোগ পেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সার্বভৌম এখতিয়ার লঙ্ঘনের ঝুঁকি দেখছেন স্থানীয় বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, কাঠামোগত চুক্তিতে এমন ধারা যুক্ত হলে দেশটি ভূরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী মনোভাব আছে, এমন দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ওপর দেশটি ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণ আরোপের সুযোগ নিতে পারে। এতে চীন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আছে।
আলোচনায় লুকোচুরির অভিযোগ
অংশীজন, বিশ্লেষক এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন একটি বহুমুখী, গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল কূটনৈতিক বিষয়কে শুরুতে আর দশটি সাধারণ আন্তর্জাতিক বিষয়ের মতো সামাল দিতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের জটিল বাণিজ্যিক বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় দর-কষাকষির মূল দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তাদের ওপর; আর রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক দেখে থাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় শুরুতে এ দুটি মন্ত্রণালয়কেই ‘পাল্টা শুল্কের’ আলোচনা থেকে দূরে রাখে। সরকারি পর্যায়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ছাড়াই এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে যান প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী। তাঁর নেতৃত্বে মার্কিনদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিনসহ অন্যরা। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার গোপনীয়তা বজায় রাখতে ‘নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ (এনডিএ) সইয়ের জন্য চাপ দেয়। এনডিএ সই হয় ১২ জুন। কিন্তু পাল্টা শুল্কের আলোচনা কিছুতেই না এগোনোয় অবস্থা বেগতিক দেখে এই প্রক্রিয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করা হয় ট্রাম্পের চিঠি আসার আড়াই মাস পর। ইউএসটিআর প্রথমবারের মতো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনলাইনে সভা করে ১৭ জুন। কিন্তু ২৬ জুন ওয়াশিংটনে মুখোমুখি আলোচনার বিষয়টি সামনে এলে পাঠানো হয় প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানকে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত ৩০ জুন মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে বাণিজ্যের আলোচনায় গতি আনার তাগিদ দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে দ্রুততম সময়ে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরার ওপরও তিনি জোর দেন। বর্তমান স্থানীয় রাজনৈতিক বাস্তবতায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনার সঙ্গে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ যুক্ত করাকে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ হিসেবে দেখছেন কূটনীতিকেরা।
রুবিওর তাগিদের পর ৩ জুলাই খলিলুর রহমানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের বৈঠকে যোগ দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। খলিলুর রহমান আলোচনা ‘ভালোভাবে’ এগোনোর দাবি করলেও বিষয়টি যে আসলে তেমন ছিল না, তা স্পষ্ট হয়ে যায় তিনি ওয়াশিংটনে থাকা অবস্থায়ই মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া ট্রাম্পের দ্বিতীয় চিঠিতে। ৮ জুলাইয়ের এই চিঠিতে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বর্তমানে কার্যকর (১৫ শতাংশ) শুল্কের অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আগামী ১ আগস্ট থেকে আরোপ করার কথা জানান ট্রাম্প।
এরপর ৯ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনার দ্বিতীয় পর্যায়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে বহুমুখী এই দর-কষাকষির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য, বিভিন্ন সরকারি কর্তৃপক্ষের মতামত নেওয়া এবং অংশীজনদের সঙ্গে বোঝাপড়ার মারাত্মক ঘাটতির মুখে বাণিজ্য উপদেষ্টাকে আলোচনা অসমাপ্ত রেখে পরামর্শের জন্য ঢাকায় ফিরে আসতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের তোলা বিভিন্ন বিষয়ে সবার সঙ্গে আলোচনার পর দেশের একটি ‘অবস্থানপত্র’ আগামী সপ্তাহের শুরুতে তৈরি করার কথা বলছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তৃতীয় দফা বৈঠকের সম্মতি মিললে তাঁর আগামী সপ্তাহেই সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ চায় চলতি জুলাইয়ের মধ্যে বিষয়টির ফয়সালা করতে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গত মঙ্গলবারের পরামর্শমূলক সভায় যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, এনডিএর অজুহাত দেখিয়ে অংশীজনসহ কারও সঙ্গে কথা না বলে সরকার দুই দফা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছে। এখন তৃতীয় দফা বৈঠকের আগে পরামর্শের জন্য সভা ডাকা হলেও খোলাখুলি বলছে না, তাদের কোন বিষয়ে কী ধরনের পরামর্শ দরকার। এমন অবস্থায় বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের ধারণা করে কথা বলতে হচ্ছে।
আলোচনায় বাংলাদেশের মৌলিক নীতিগত অবস্থান কী, এমন প্রশ্নে এক সরকারি কর্মকর্তা বাণিজ্য উপদেষ্টার একটি মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন। উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি নত হতে রাজি। কিন্তু কতটা নত হলে ভেঙে পড়ব না, সেটা তো বুঝতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা পণ্যে বাংলাদেশ বর্তমানে গড়ে ৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই শুল্ক প্রায় পুরোপুরি তুলে দেওয়া হতে পারে। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্কছাড় দেওয়া হলে রাজস্ব যে পরিমাণ কমবে, তার চেয়ে ‘পাল্টা শুল্ক’ অন্তত অর্ধেকে নামিয়ে এনে দেশটিতে বাজার ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এর বাইরে সরকারিভাবে গম, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), উড়োজাহাজ ও এর যন্ত্রাংশ, ভোজ্যতেল এবং তুলা আমদানি বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে সরকার।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের একজন সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউএসটিআরের সঙ্গে আলোচনায় উভয় পক্ষ একমত হলেও সেটাই চূড়ান্ত ধরে নেওয়ার সুযোগ সম্ভবত নেই। বিষয়টি হোয়াইট হাউসে যাবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঠিক করবেন, বাংলাদেশের জন্য ‘চূড়ান্ত পাল্টা শুল্ক’ ঠিক কত হবে।
টার্গেট চীন
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কী উদ্দেশ্যে এত দেশের সঙ্গে শুল্ক-যুদ্ধ শুরু করেছে, এর কৌশলগত দিকগুলো কী, সম্ভবত অন্তর্বর্তী সরকার তা শুরুতে ধরতে পারেনি। ট্রাম্প শুল্ক বাড়িয়ে নিজ দেশের আয় বাড়ানোর কথা বললেও আসলে তারা আরও দুটি উদ্দেশ্য আছে—প্রথমত, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) ভিত্তিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে দেওয়া। এতে ট্রাম্প নিজের শর্তে বাংলাদেশের মতো অর্থনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকে নাজুক অবস্থানে থাকা দেশগুলোসহ পুরো বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেখছেন।
চলমান আলোচনায় লিখিতভাবে দেওয়া যেসব প্রস্তাব নিয়ে কথা হচ্ছে, সেগুলোর বাইরেও ডালপালা ছড়াতে পারে, এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির বলেন, রুলস অব অরিজিনে যুক্তরাষ্ট্রমুখী পণ্যে বাংলাদেশে ৪০ শতাংশ মূল্য সংযোজনের যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা চীনকে আটকানোর একটি উপায়। একই উপায়ে অনেকগুলো দেশে চীনের রপ্তানিতে লাগাম টেনে দেশটিকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করা গেলে যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে কৌশলগত দিক থেকেও দীর্ঘমেয়াদি নানা রকম সুবিধা পেতে পারে।
সাবেক এই কূটনীতিক আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবারকার আলোচনায় যেসব বিষয় তুলছে, সেগুলোতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কার, শ্রমমান, মৌলিক অধিকার রক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা দরকার হতে পারে। এমন ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তুতি ও শক্তি—কোনোটাই দেশের নেই। তিনি বলেন, ‘অন্তত আগামী ২০ বছরের মধ্যে পরিবর্তন আনার একটি বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা এবং পথরেখা দেওয়া গেলে হয়তো যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা সুযোগ দেবে। কিন্তু সরকারের মেয়াদ আছে আর মাত্র কয়েক মাস। এই নিশ্চয়তা কে দেবে?’
আলোচনার শুরুতে বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দূরে রাখা প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবির সরকারের কাজকর্মে কৌশলগত স্বচ্ছতার অভাবের কথা বলেন। দুই মন্ত্রণালয়কে দূরে রাখা ‘মারাত্মক ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলো থেকে আসার কথা। কিন্তু সরকার তাদের সঙ্গেও পরামর্শ করা দরকার মনে করছে না। এতে বড় ধরনের তালগোল পাকিয়ে ফেলার ঝুঁকি আছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর-কষাকষিতে সুবিধা পাওয়ার মতো বড় কোনো উপায় (লিভারেজ) হাতে না থাকায় আলোচনায় শেষ পর্যন্ত কী মিলবে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখছেন বিশ্লেষকেরা। প্রস্তুতির ঘাটতি থাকায় এ ক্ষেত্রে কিছুটা ‘ভাগ্যের’ ওপর নির্ভর করতে হতে পারে, এমনটা মনে করছেন তাঁরা।
দীর্ঘ মেয়াদে বিপুল নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা
স্থানীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘পাল্টা শুল্কের’ বিষয়ে যে সিদ্ধান্তই নিন না কেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিকসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বড় রকম প্রভাব ফেলতে পারে। বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া শুল্ক ভিয়েতনাম (২০ শতাংশ), ইন্দোনেশিয়া (১৯ শতাংশ) এবং ভারতের মতো প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বেশি হলে এখানে রপ্তানি আয় বেশ কমতে পারে।
বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হাসান খান ও স্থানীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান আলোচনায় ভালো ফল না এলে দেশের পুরো অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ঝুঁকি আছে। অনেক শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে বহু শ্রমিকের বেকার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এর পরিণতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ নানা রকম সামাজিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভারতের সঙ্গে একই বিষয়ে ভূরাজনৈতিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা চলছে। চীনের সঙ্গে দুই দেশেরই বৈরিতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের জন্য পাল্টা শুল্কের যে হার ঠিক করবে, বাংলাদেশের হার তার চেয়ে বেশি হলে স্থানীয় শিল্প ও রপ্তানি বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গত বুধবার বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দেশটির দূতাবাসের ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী তাঁদের আলোচনার প্রসঙ্গ ছিল দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ ও আনুষঙ্গিক বিষয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। রপ্তানি করেছে ৮৭৬ কোটি ডলারের পণ্য।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

রপ্তানি পণ্যে আরোপ করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বাংলাদেশের। এই আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের দিকগুলো বড় আকারে সামনে এলেও বিষয়টিকে দেশটি ভূরাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য চাপ তৈরির একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে পর্যবেক্ষণ সরকারি ও বেসরকারি বিশ্লেষকদের।
১৮ জুলাই ২০২৫
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

রপ্তানি পণ্যে আরোপ করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বাংলাদেশের। এই আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের দিকগুলো বড় আকারে সামনে এলেও বিষয়টিকে দেশটি ভূরাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য চাপ তৈরির একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে পর্যবেক্ষণ সরকারি ও বেসরকারি বিশ্লেষকদের।
১৮ জুলাই ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

রপ্তানি পণ্যে আরোপ করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বাংলাদেশের। এই আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের দিকগুলো বড় আকারে সামনে এলেও বিষয়টিকে দেশটি ভূরাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য চাপ তৈরির একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে পর্যবেক্ষণ সরকারি ও বেসরকারি বিশ্লেষকদের।
১৮ জুলাই ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৭ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

রপ্তানি পণ্যে আরোপ করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বাংলাদেশের। এই আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের দিকগুলো বড় আকারে সামনে এলেও বিষয়টিকে দেশটি ভূরাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য চাপ তৈরির একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে পর্যবেক্ষণ সরকারি ও বেসরকারি বিশ্লেষকদের।
১৮ জুলাই ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে