নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

আহত ছেলের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন মা আঁখি বেগম। মামলা দায়েরের প্রায় চার ঘণ্টা পরই তাঁর ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদকে (১৯) কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ফরেনসিক চিকিৎসক বলছেন, আরিফের শরীরে মোট ২৩টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০টি ধারালো অস্ত্রের জখম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আরিফের মা আঁখি বেগমের দাবি, মামলা করার কারণেই সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় সিটি কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু ও তাঁর লোকজন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরীর বালুচরের টিভি গেট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ নগরের টিভি গেট এলাকার আঁখি বেগম ও ফটিক মিয়া দম্পতির ছেলে। তিনি সিলেট স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। আরিফ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর নগরের টিভি গেট জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে মানিকপীরের টিলায় তাঁকে দাফন করা হয়।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শামসুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহত আরিফের শরীরে মোট ২৩টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০টি ধারালো অস্ত্রের বাকি তিনটি নীলাফোলা জখম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
আরিফের মা আঁখি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুনের প্রায় ৪ ঘণ্টা আগে পূর্বের হামলার জন্য ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমার ছেলেকে একই আসামিরা খুন করেছে। শাহপরান থানার ওসির গাফিলতির কারণেই আমার ছেলে খুন হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি চাই।’
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়েরের ব্যবহৃত সরকারি নম্বর বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে আরিফের মা আঁখি বেগমের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে এসএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ১৫ তারিখ নিহত আরিফের ওপর হামলার ঘটনায় সোমবার রাত ৯-১০টার দিকে আঁখি বেগম একটি অভিযোগ থানায় দিয়েছেন। এর চার ঘণ্টা পর হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। তা না করে মঙ্গলবার সকালে রেকর্ড করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের স্থান বিমানবন্দর থানাধীন এলাকা হওয়ায় ওই থানায় মামলা হবে। বাকি সবই শাহপরান থানা এলাকায়।’
পুলিশের গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব। পুলিশের কারও বিরুদ্ধে গাফিলতি প্রমাণিত হলে বিভাগীয় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ। এসএমপির উপকমিশনার (উত্তর-গণমাধ্যম) আজবাহার আলী শেখ আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। যারাই এই খুনের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে বালুচর এলাকার স্থানীয়রা জানান, গত ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেওয়া নিয়ে নগরের বালুচরে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপুর গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনাও ঘটে। এর জেরে সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর উত্তর বালুচর এলাকায় মসজিদের সামনে নিপু গ্রুপের জুনেদ, আনাছ, কুদরত, রনি, তোফায়েল, হৃদয়, কালা মামুন, শরিফ, হেলাল ও সবুজ মিয়াসহ ১০-১২ জন আরিফের ওপর হামলা চালায়। এতে আরিফের হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে আহত হন আরিফ।
ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত সোমবার বাড়ি ফেরেন আরিফ। আরিফের মা বাদী হয়ে সেই হামলার অভিযোগে রাত ৯টার দিকে এসএমপির শাহপরান (রহ.) থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আঁখি বেগম। অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার ৪ ঘণ্টার মাথায় রাত ১২টার দিকে আরিফকে টিভি গেট এলাকায় গোয়ালীছড়া ওয়াকওয়েতে ধরে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে আরিফের মাসহ স্বজনেরা তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরিফ।
নিহত আরিফের বালুচরের বাসায় গিয়ে দেখা যায় এক হৃদয় বিদারক চিত্র। মা আঁখি বেগম বিলাপ করছেন, পুলিশ রাতেই ব্যবস্থা নিলে তাঁর ছেলে খুন হতো না। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরিফকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সে তাঁর হামলার জন্য হিরন মাহমুদ নিপুর কথা বলেছে।’
এ সময় তিনি দাবি করেন, নিপুর নেতৃত্বেই তাঁর ছেলের ওপর হামলা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দলবলসহ নিপুকে দেখেছেন।
এ ঘটনার পর সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত একাধিক বার হিরন মাহমুদ নিপুর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে নিহত আরিফকে দেখতে রাতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিরন মাহমুদ নিপু ভাইয়ের সঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক আমার কোনো বিরোধ নেই। আমি তো নির্বাচনও করিনি। বালুচর এলাকার যাঁরা ওনার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন, বর্তমানে তাঁরা খুবই অসহায়। ধারাবাহিকভাবে মারধর ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। তাঁরা জেলা ছাত্রলীগের কর্মী। নিহত আরিফও ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। চার-পাঁচ দিন আগেও আরিফের ওপর হামলা করেছিল এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আরিফের ওপর হামলার ঘটনায় গত রাতে তাঁর মা শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে করে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাতেই হামলা চালায়।’
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের একজন কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। ভাই হারানোর বেদনা বলে বোঝানো যাবে না। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী আরিফের পরিবারের পাশে আছি। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।’

আহত ছেলের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন মা আঁখি বেগম। মামলা দায়েরের প্রায় চার ঘণ্টা পরই তাঁর ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদকে (১৯) কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ফরেনসিক চিকিৎসক বলছেন, আরিফের শরীরে মোট ২৩টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০টি ধারালো অস্ত্রের জখম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আরিফের মা আঁখি বেগমের দাবি, মামলা করার কারণেই সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় সিটি কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু ও তাঁর লোকজন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরীর বালুচরের টিভি গেট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ নগরের টিভি গেট এলাকার আঁখি বেগম ও ফটিক মিয়া দম্পতির ছেলে। তিনি সিলেট স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। আরিফ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর নগরের টিভি গেট জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে মানিকপীরের টিলায় তাঁকে দাফন করা হয়।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শামসুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহত আরিফের শরীরে মোট ২৩টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০টি ধারালো অস্ত্রের বাকি তিনটি নীলাফোলা জখম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
আরিফের মা আঁখি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুনের প্রায় ৪ ঘণ্টা আগে পূর্বের হামলার জন্য ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমার ছেলেকে একই আসামিরা খুন করেছে। শাহপরান থানার ওসির গাফিলতির কারণেই আমার ছেলে খুন হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি চাই।’
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়েরের ব্যবহৃত সরকারি নম্বর বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে আরিফের মা আঁখি বেগমের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে এসএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ১৫ তারিখ নিহত আরিফের ওপর হামলার ঘটনায় সোমবার রাত ৯-১০টার দিকে আঁখি বেগম একটি অভিযোগ থানায় দিয়েছেন। এর চার ঘণ্টা পর হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। তা না করে মঙ্গলবার সকালে রেকর্ড করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের স্থান বিমানবন্দর থানাধীন এলাকা হওয়ায় ওই থানায় মামলা হবে। বাকি সবই শাহপরান থানা এলাকায়।’
পুলিশের গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব। পুলিশের কারও বিরুদ্ধে গাফিলতি প্রমাণিত হলে বিভাগীয় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ। এসএমপির উপকমিশনার (উত্তর-গণমাধ্যম) আজবাহার আলী শেখ আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। যারাই এই খুনের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে বালুচর এলাকার স্থানীয়রা জানান, গত ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেওয়া নিয়ে নগরের বালুচরে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপুর গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনাও ঘটে। এর জেরে সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর উত্তর বালুচর এলাকায় মসজিদের সামনে নিপু গ্রুপের জুনেদ, আনাছ, কুদরত, রনি, তোফায়েল, হৃদয়, কালা মামুন, শরিফ, হেলাল ও সবুজ মিয়াসহ ১০-১২ জন আরিফের ওপর হামলা চালায়। এতে আরিফের হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে আহত হন আরিফ।
ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত সোমবার বাড়ি ফেরেন আরিফ। আরিফের মা বাদী হয়ে সেই হামলার অভিযোগে রাত ৯টার দিকে এসএমপির শাহপরান (রহ.) থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আঁখি বেগম। অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার ৪ ঘণ্টার মাথায় রাত ১২টার দিকে আরিফকে টিভি গেট এলাকায় গোয়ালীছড়া ওয়াকওয়েতে ধরে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে আরিফের মাসহ স্বজনেরা তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরিফ।
নিহত আরিফের বালুচরের বাসায় গিয়ে দেখা যায় এক হৃদয় বিদারক চিত্র। মা আঁখি বেগম বিলাপ করছেন, পুলিশ রাতেই ব্যবস্থা নিলে তাঁর ছেলে খুন হতো না। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরিফকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সে তাঁর হামলার জন্য হিরন মাহমুদ নিপুর কথা বলেছে।’
এ সময় তিনি দাবি করেন, নিপুর নেতৃত্বেই তাঁর ছেলের ওপর হামলা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দলবলসহ নিপুকে দেখেছেন।
এ ঘটনার পর সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত একাধিক বার হিরন মাহমুদ নিপুর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে নিহত আরিফকে দেখতে রাতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিরন মাহমুদ নিপু ভাইয়ের সঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক আমার কোনো বিরোধ নেই। আমি তো নির্বাচনও করিনি। বালুচর এলাকার যাঁরা ওনার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন, বর্তমানে তাঁরা খুবই অসহায়। ধারাবাহিকভাবে মারধর ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। তাঁরা জেলা ছাত্রলীগের কর্মী। নিহত আরিফও ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। চার-পাঁচ দিন আগেও আরিফের ওপর হামলা করেছিল এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আরিফের ওপর হামলার ঘটনায় গত রাতে তাঁর মা শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে করে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাতেই হামলা চালায়।’
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের একজন কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। ভাই হারানোর বেদনা বলে বোঝানো যাবে না। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী আরিফের পরিবারের পাশে আছি। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।’

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় জমির আইল কাটা নিয়ে দুই চাচাতো ভাইয়ের মারামারি চলার সময় হাবিব শেখ (৪২) নামের এক কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম ব্যাঙডুবি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগে
বাঙালি সংস্কৃতি বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত মানে গণ-অভ্যুত্থানের নতুন বাংলাদেশের যে আকাঙ্ক্ষা বা স্বপ্ন সেটিকে ব্যাহত করা বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান ‘ছায়ানট’-এর কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের সামনে সংস্কৃতির ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ সমাবেশে...
২৪ মিনিট আগে
বাবার বাড়ির এলাকা থেকে চোর ভাড়া করেন বেদেনা আক্তার। গত শনিবার রাতে ভাড়া করা চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন তিনি। কিন্তু চুরির ঘটনা টের পেয়ে যান বেদেনার স্বামী হেলাল উদ্দিন। তিনি ষাঁড় চুরিতে বাধা দিতে গেলে স্ত্রীসহ পাঁচজন মিলে হেলালকে মুখ ও হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেন।
৩২ মিনিট আগে
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম আজ মঙ্গলবার পৃথক আদেশে তেজগাঁও থানায় প্রথম আলোর করা মামলায় দুজনকে ও দ্য ডেইলি স্টারের করা মামলায় নয়জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৯ মিনিট আগেবালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় জমির আইল কাটা নিয়ে দুই চাচাতো ভাইয়ের মারামারি চলার সময় হাবিব শেখ (৪২) নামের এক কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম ব্যাঙডুবি মাঠে এ ঘটনা ঘটে। কৃষকের পরিবারের দাবি, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই ভাইই হাবিবকে পিটিয়ে মেরেছেন। অন্য দিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দাবি, তাঁদের মারামারি ফেরাতে গিয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছেন হাবিব।
নিহত হাবিব শেখ বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম গ্রামের লিয়াকত শেখের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বনগ্রাম গ্রামের মঞ্জু শেখের ছেলে শরিফুল এবং একই গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রাকিব শেখ (২৭) সম্পর্কে চাচাতো ভাই। আজ সকালে শরিফুল ব্যাঙডুবি মাঠে পেঁয়াজ লাগাতে যান। তখন রাকিব জমির আইল কাটা হয়েছে বলে বাধা দেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। এ সময় সেখানে থাকা হাবিব প্রাণ হারান।
হাবিরের ভগ্নিপতি মো. আলাউদ্দিন আলী জানান,, শরিফুল তাঁর জমি চাষের জন্য হাবিবকে ঠিক করেন। তাই আজ সকালে হাবিব পাওয়ার টিলার নিয়ে সে জমি চাষ করছিলেন। একপর্যায়ে জমির সীমানা নিয়ে শরিফুল ও তাঁর চাচাতো ভাই রাকিবের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। হাবিবদের সঙ্গে শরিফুল ও রাকিবদের পরিবারের জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। সুপরিকল্পিতভাবে হাবিবকে কাজ দিয়ে তুচ্ছ ঘটনা ঘটিয়ে দুই ভাইই তাঁকে পিটিয়ে মেরেছেন। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হবে বলে জানান আলাউদ্দিন।
অন্য দিকে অভিযুক্ত শরিফুল শেখ জানান, জমির সীমানা নিয়ে তাঁদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারি হয়। মারামারি ঠেকানোর সময় হঠাৎ স্ট্রোক করেন হাবিব। হাবিবকে কেউ আঘাত করেননি।
বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. মাহফুজুর রহমান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই হাবিবের মৃত্যু হয়েছে। মারামারির ঘটনায় শরিফুল ও তাঁর ছেলে টোকন শেখকে (৩২) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জামাল উদ্দিন নামের আরেক ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রব তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থল পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তাঁরা পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপের জন্য কাজ করছেন।

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় জমির আইল কাটা নিয়ে দুই চাচাতো ভাইয়ের মারামারি চলার সময় হাবিব শেখ (৪২) নামের এক কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম ব্যাঙডুবি মাঠে এ ঘটনা ঘটে। কৃষকের পরিবারের দাবি, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই ভাইই হাবিবকে পিটিয়ে মেরেছেন। অন্য দিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দাবি, তাঁদের মারামারি ফেরাতে গিয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছেন হাবিব।
নিহত হাবিব শেখ বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম গ্রামের লিয়াকত শেখের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বনগ্রাম গ্রামের মঞ্জু শেখের ছেলে শরিফুল এবং একই গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রাকিব শেখ (২৭) সম্পর্কে চাচাতো ভাই। আজ সকালে শরিফুল ব্যাঙডুবি মাঠে পেঁয়াজ লাগাতে যান। তখন রাকিব জমির আইল কাটা হয়েছে বলে বাধা দেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। এ সময় সেখানে থাকা হাবিব প্রাণ হারান।
হাবিরের ভগ্নিপতি মো. আলাউদ্দিন আলী জানান,, শরিফুল তাঁর জমি চাষের জন্য হাবিবকে ঠিক করেন। তাই আজ সকালে হাবিব পাওয়ার টিলার নিয়ে সে জমি চাষ করছিলেন। একপর্যায়ে জমির সীমানা নিয়ে শরিফুল ও তাঁর চাচাতো ভাই রাকিবের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। হাবিবদের সঙ্গে শরিফুল ও রাকিবদের পরিবারের জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। সুপরিকল্পিতভাবে হাবিবকে কাজ দিয়ে তুচ্ছ ঘটনা ঘটিয়ে দুই ভাইই তাঁকে পিটিয়ে মেরেছেন। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হবে বলে জানান আলাউদ্দিন।
অন্য দিকে অভিযুক্ত শরিফুল শেখ জানান, জমির সীমানা নিয়ে তাঁদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারি হয়। মারামারি ঠেকানোর সময় হঠাৎ স্ট্রোক করেন হাবিব। হাবিবকে কেউ আঘাত করেননি।
বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. মাহফুজুর রহমান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই হাবিবের মৃত্যু হয়েছে। মারামারির ঘটনায় শরিফুল ও তাঁর ছেলে টোকন শেখকে (৩২) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জামাল উদ্দিন নামের আরেক ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রব তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থল পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তাঁরা পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপের জন্য কাজ করছেন।

আহত ছেলের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করেছিলেন মা আঁখি বেগম। মামলা দায়ের প্রায় চার ঘণ্টা পরই তার ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদকে (১৯) কুপিয়ে হত্যা করা হয়...
২১ নভেম্বর ২০২৩
বাঙালি সংস্কৃতি বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত মানে গণ-অভ্যুত্থানের নতুন বাংলাদেশের যে আকাঙ্ক্ষা বা স্বপ্ন সেটিকে ব্যাহত করা বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান ‘ছায়ানট’-এর কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের সামনে সংস্কৃতির ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ সমাবেশে...
২৪ মিনিট আগে
বাবার বাড়ির এলাকা থেকে চোর ভাড়া করেন বেদেনা আক্তার। গত শনিবার রাতে ভাড়া করা চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন তিনি। কিন্তু চুরির ঘটনা টের পেয়ে যান বেদেনার স্বামী হেলাল উদ্দিন। তিনি ষাঁড় চুরিতে বাধা দিতে গেলে স্ত্রীসহ পাঁচজন মিলে হেলালকে মুখ ও হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেন।
৩২ মিনিট আগে
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম আজ মঙ্গলবার পৃথক আদেশে তেজগাঁও থানায় প্রথম আলোর করা মামলায় দুজনকে ও দ্য ডেইলি স্টারের করা মামলায় নয়জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাঙালি সংস্কৃতি বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত মানে গণ-অভ্যুত্থানের নতুন বাংলাদেশের যে আকাঙ্ক্ষা বা স্বপ্ন সেটিকে ব্যাহত করা বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান ‘ছায়ানট’-এর কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের সামনে সংস্কৃতির ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন ছায়ানট সংস্কৃতিকর্মীরা।
এ সময় গানে গানে সংহতি সমাবেশের আয়োজনের মাধ্যমে সংস্কৃতি স্থাপনার ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রতিবাদ ও সংহতি সমাবেশে এক হাজারের বেশি সংস্কৃতিকর্মী অংশগ্রহণ করেছেন জানান পার্থ তানভীর।
ছায়ানটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী কৃষ্ণকলি ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, আমরা এটা কখনো মেনে নিতে পারি না। শত শত, হাজার হাজার সংস্কৃতি ব্যক্তি এখান থেকে শিখে বের হয়েছেন, যা দেশের সংস্কৃতি চর্চা ছড়িয়ে দিয়েছেন। এই আক্রমণ জাতি হিসেবে লজ্জার। ’২৪-এর জুলাইয়ের ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশের যে আকাঙ্ক্ষা বা স্বপ্ন ছিল মানুষের, সেই আকাঙ্ক্ষা বেহাত হয়েছে।’
তৃষ্ণা রানী শীল বলেন, ‘আমরা নতুন পরিবর্তন আশা করেছিলাম। কিন্তু এমন পরিবর্তন সবার জন্য দুঃখজনক, যা কাম্য ছিল না। যা হয়েছে সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার হোক। সংস্কৃতি ছাড়া সুষ্ঠু বাংলা গড়তে পারব না। আমরা সামনের নতুন বছর নতুনভাবে শুরু করতে চাই সংস্কৃতি মনপ্রবণ নিয়ে। যত দিন সংস্কৃতি থাকবে ছায়ানট থাকবে।’
ছায়ানটের শিক্ষার্থী মো. জাবির মুনতাসির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা এই ঘৃণিত কাজটি করেছে ঠিক করেনি। শিল্পীদের প্রিয় জায়গা হচ্ছে ছায়ানট। এখানে সবাই গান শেখে, আমিও শিখি। ছুটির দিনে শুক্রবার আনন্দের সঙ্গে গান শিখতে এসে দেখি কিছু অসভ্য লোকেরা নাকি ছায়ানটে হামলা করেছে। সভ্য মানুষ হলে বাংলার বুকে এভাবে আঘাত হানতে পারত না।’
নাজিয়া হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মনুষ্যত্বপূর্ণ মানুষ হয়ে দেখাতে হবে। আমরা যে নতুন প্রজন্ম, সুস্থ মনস্তাত্ত্বিক ভাবনা নিয়ে বেড়ে উঠছি সেটাকে আঘাত করা হয়েছে বলে মনে করছি। এটা শুধু সংস্কৃতির ওপর আঘাত নয়, এটা আমাদের বেড়া ওঠার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি।’
ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছায়ানটের মতো একটা বৃহৎ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান, যেটা কিংবদন্তি। সেই কিংবদন্তি স্থাপনার ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, মুক্তিযোদ্ধা, অভ্যুত্থান সবকিছুতে সংস্কৃতিতে এই গান অগ্রভাগে ছিল, আছেই। যুগ যুগ ধরে গান শুনিয়ে দেশপ্রেমিক মানুষকে সাহস ও অনুপ্রাণিত করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে এমন একটা ঘটনা কীভাবে ঘটাল, এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। এই স্থাপনার ওপর হামলা মানে বাঙালির জাতিসত্তার ওপর হামলা। আমরা এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে বিচার চাই।’

বাঙালি সংস্কৃতি বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত মানে গণ-অভ্যুত্থানের নতুন বাংলাদেশের যে আকাঙ্ক্ষা বা স্বপ্ন সেটিকে ব্যাহত করা বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান ‘ছায়ানট’-এর কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের সামনে সংস্কৃতির ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন ছায়ানট সংস্কৃতিকর্মীরা।
এ সময় গানে গানে সংহতি সমাবেশের আয়োজনের মাধ্যমে সংস্কৃতি স্থাপনার ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রতিবাদ ও সংহতি সমাবেশে এক হাজারের বেশি সংস্কৃতিকর্মী অংশগ্রহণ করেছেন জানান পার্থ তানভীর।
ছায়ানটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী কৃষ্ণকলি ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, আমরা এটা কখনো মেনে নিতে পারি না। শত শত, হাজার হাজার সংস্কৃতি ব্যক্তি এখান থেকে শিখে বের হয়েছেন, যা দেশের সংস্কৃতি চর্চা ছড়িয়ে দিয়েছেন। এই আক্রমণ জাতি হিসেবে লজ্জার। ’২৪-এর জুলাইয়ের ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশের যে আকাঙ্ক্ষা বা স্বপ্ন ছিল মানুষের, সেই আকাঙ্ক্ষা বেহাত হয়েছে।’
তৃষ্ণা রানী শীল বলেন, ‘আমরা নতুন পরিবর্তন আশা করেছিলাম। কিন্তু এমন পরিবর্তন সবার জন্য দুঃখজনক, যা কাম্য ছিল না। যা হয়েছে সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার হোক। সংস্কৃতি ছাড়া সুষ্ঠু বাংলা গড়তে পারব না। আমরা সামনের নতুন বছর নতুনভাবে শুরু করতে চাই সংস্কৃতি মনপ্রবণ নিয়ে। যত দিন সংস্কৃতি থাকবে ছায়ানট থাকবে।’
ছায়ানটের শিক্ষার্থী মো. জাবির মুনতাসির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা এই ঘৃণিত কাজটি করেছে ঠিক করেনি। শিল্পীদের প্রিয় জায়গা হচ্ছে ছায়ানট। এখানে সবাই গান শেখে, আমিও শিখি। ছুটির দিনে শুক্রবার আনন্দের সঙ্গে গান শিখতে এসে দেখি কিছু অসভ্য লোকেরা নাকি ছায়ানটে হামলা করেছে। সভ্য মানুষ হলে বাংলার বুকে এভাবে আঘাত হানতে পারত না।’
নাজিয়া হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মনুষ্যত্বপূর্ণ মানুষ হয়ে দেখাতে হবে। আমরা যে নতুন প্রজন্ম, সুস্থ মনস্তাত্ত্বিক ভাবনা নিয়ে বেড়ে উঠছি সেটাকে আঘাত করা হয়েছে বলে মনে করছি। এটা শুধু সংস্কৃতির ওপর আঘাত নয়, এটা আমাদের বেড়া ওঠার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি।’
ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছায়ানটের মতো একটা বৃহৎ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান, যেটা কিংবদন্তি। সেই কিংবদন্তি স্থাপনার ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, মুক্তিযোদ্ধা, অভ্যুত্থান সবকিছুতে সংস্কৃতিতে এই গান অগ্রভাগে ছিল, আছেই। যুগ যুগ ধরে গান শুনিয়ে দেশপ্রেমিক মানুষকে সাহস ও অনুপ্রাণিত করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে এমন একটা ঘটনা কীভাবে ঘটাল, এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। এই স্থাপনার ওপর হামলা মানে বাঙালির জাতিসত্তার ওপর হামলা। আমরা এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে বিচার চাই।’

আহত ছেলের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করেছিলেন মা আঁখি বেগম। মামলা দায়ের প্রায় চার ঘণ্টা পরই তার ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদকে (১৯) কুপিয়ে হত্যা করা হয়...
২১ নভেম্বর ২০২৩
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় জমির আইল কাটা নিয়ে দুই চাচাতো ভাইয়ের মারামারি চলার সময় হাবিব শেখ (৪২) নামের এক কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম ব্যাঙডুবি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগে
বাবার বাড়ির এলাকা থেকে চোর ভাড়া করেন বেদেনা আক্তার। গত শনিবার রাতে ভাড়া করা চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন তিনি। কিন্তু চুরির ঘটনা টের পেয়ে যান বেদেনার স্বামী হেলাল উদ্দিন। তিনি ষাঁড় চুরিতে বাধা দিতে গেলে স্ত্রীসহ পাঁচজন মিলে হেলালকে মুখ ও হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেন।
৩২ মিনিট আগে
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম আজ মঙ্গলবার পৃথক আদেশে তেজগাঁও থানায় প্রথম আলোর করা মামলায় দুজনকে ও দ্য ডেইলি স্টারের করা মামলায় নয়জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৯ মিনিট আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

কয়েকজনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বেদেনা আক্তার (৪০)। টাকা পরিশোধ করতে পাওনাদাররা তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন। তাই নিজের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে একটি ষাঁড় স্বামীকে না জানিয়ে বিক্রির পরিকল্পনা করেন তিনি। এ জন্য বাবার বাড়ির এলাকা থেকে চোর ভাড়া করেন বেদেনা আক্তার। গত শনিবার রাতে ভাড়া করা চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন তিনি। কিন্তু চুরির ঘটনা টের পেয়ে যান বেদেনার স্বামী হেলাল উদ্দিন। তিনি ষাঁড় চুরিতে বাধা দিতে গেলে স্ত্রীসহ পাঁচজন মিলে হেলালকে মুখ ও হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেন। নেত্রকোনা সদর উপজেলার কৃষক হেলাল উদ্দিনকে (৫৮) হত্যায় আদালতে জবানবন্দিতে তাঁর স্ত্রী বেদেনা আক্তার এসব কথা জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নেত্রকোনা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক দাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত রোববার ভোরে সদর উপজেলার নাড়িয়াপাড়া গ্রামে নিজ ঘর থেকে কৃষক হেলাল উদ্দিনের হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হেলাল উদ্দিন সদর উপজেলার নাড়িয়াপাড়া গ্রামের মৃত আশ্রাব আলীর ছেলে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে নিহত হেলালের ছোট ভাই রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী বেদেনা আক্তারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন সদর উপজেলার নাড়িয়াপাড়া এলাকার রিয়েল মিয়া (৪০) ও বারহাট্টা উপজেলার সেমিয়া দুধকুড়া গ্রামের লিটন মিয়া (৫০)।
পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্ত্রী বেদেনা আক্তারকে আটক করার পর তিনি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নেত্রকোনা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক দাম জানান, আদালতে বেদেনা আক্তার জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি বিভিন্ন সময়ে কয়েকজনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। পাওনাদারেরা এখন টাকার জন্য তাঁকে তাগাদা দিচ্ছেন। তাই তাঁর বাবার বাড়ি বারহাট্টা উপজেলার সেমিয়া দুধকুড়া গ্রামের লিটন মিয়ার সঙ্গে চুরি করে তাঁর স্বামী হেলাল উদ্দিনের ষাঁড় নিয়ে বিক্রি করার জন্য চুক্তি করেন। গত শনিবার রাতে লিটন মিয়া, নাড়িয়াপাড়া গ্রামের রিয়েল মিয়াসহ চারজন মিলে গরু চুরি করতে গেলে হেলাল উদ্দিন টের পেয়ে যান। তিনি ষাঁড় চুরিতে বাধা দিতে গেলে স্ত্রীসহ পাঁচজন মিলে হেলালকে মুখ ও হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা চম্পক দাম বলেন, বেদেনা আক্তারের তথ্য অনুযায়ী গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে লিটন মিয়া ও রিয়েল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় পাঁচটি চুরির মামলা রয়েছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন সরকার বলেন, ‘অল্প সময়ে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনসহ জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। নিহত ব্যক্তির স্ত্রী বেদেনা আক্তারসহ তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্য দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

কয়েকজনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বেদেনা আক্তার (৪০)। টাকা পরিশোধ করতে পাওনাদাররা তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন। তাই নিজের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে একটি ষাঁড় স্বামীকে না জানিয়ে বিক্রির পরিকল্পনা করেন তিনি। এ জন্য বাবার বাড়ির এলাকা থেকে চোর ভাড়া করেন বেদেনা আক্তার। গত শনিবার রাতে ভাড়া করা চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন তিনি। কিন্তু চুরির ঘটনা টের পেয়ে যান বেদেনার স্বামী হেলাল উদ্দিন। তিনি ষাঁড় চুরিতে বাধা দিতে গেলে স্ত্রীসহ পাঁচজন মিলে হেলালকে মুখ ও হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেন। নেত্রকোনা সদর উপজেলার কৃষক হেলাল উদ্দিনকে (৫৮) হত্যায় আদালতে জবানবন্দিতে তাঁর স্ত্রী বেদেনা আক্তার এসব কথা জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নেত্রকোনা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক দাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত রোববার ভোরে সদর উপজেলার নাড়িয়াপাড়া গ্রামে নিজ ঘর থেকে কৃষক হেলাল উদ্দিনের হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হেলাল উদ্দিন সদর উপজেলার নাড়িয়াপাড়া গ্রামের মৃত আশ্রাব আলীর ছেলে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে নিহত হেলালের ছোট ভাই রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী বেদেনা আক্তারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন সদর উপজেলার নাড়িয়াপাড়া এলাকার রিয়েল মিয়া (৪০) ও বারহাট্টা উপজেলার সেমিয়া দুধকুড়া গ্রামের লিটন মিয়া (৫০)।
পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্ত্রী বেদেনা আক্তারকে আটক করার পর তিনি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নেত্রকোনা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক দাম জানান, আদালতে বেদেনা আক্তার জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি বিভিন্ন সময়ে কয়েকজনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। পাওনাদারেরা এখন টাকার জন্য তাঁকে তাগাদা দিচ্ছেন। তাই তাঁর বাবার বাড়ি বারহাট্টা উপজেলার সেমিয়া দুধকুড়া গ্রামের লিটন মিয়ার সঙ্গে চুরি করে তাঁর স্বামী হেলাল উদ্দিনের ষাঁড় নিয়ে বিক্রি করার জন্য চুক্তি করেন। গত শনিবার রাতে লিটন মিয়া, নাড়িয়াপাড়া গ্রামের রিয়েল মিয়াসহ চারজন মিলে গরু চুরি করতে গেলে হেলাল উদ্দিন টের পেয়ে যান। তিনি ষাঁড় চুরিতে বাধা দিতে গেলে স্ত্রীসহ পাঁচজন মিলে হেলালকে মুখ ও হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা চম্পক দাম বলেন, বেদেনা আক্তারের তথ্য অনুযায়ী গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে লিটন মিয়া ও রিয়েল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় পাঁচটি চুরির মামলা রয়েছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন সরকার বলেন, ‘অল্প সময়ে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনসহ জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। নিহত ব্যক্তির স্ত্রী বেদেনা আক্তারসহ তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্য দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

আহত ছেলের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করেছিলেন মা আঁখি বেগম। মামলা দায়ের প্রায় চার ঘণ্টা পরই তার ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদকে (১৯) কুপিয়ে হত্যা করা হয়...
২১ নভেম্বর ২০২৩
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় জমির আইল কাটা নিয়ে দুই চাচাতো ভাইয়ের মারামারি চলার সময় হাবিব শেখ (৪২) নামের এক কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম ব্যাঙডুবি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগে
বাঙালি সংস্কৃতি বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত মানে গণ-অভ্যুত্থানের নতুন বাংলাদেশের যে আকাঙ্ক্ষা বা স্বপ্ন সেটিকে ব্যাহত করা বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান ‘ছায়ানট’-এর কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের সামনে সংস্কৃতির ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ সমাবেশে...
২৪ মিনিট আগে
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম আজ মঙ্গলবার পৃথক আদেশে তেজগাঁও থানায় প্রথম আলোর করা মামলায় দুজনকে ও দ্য ডেইলি স্টারের করা মামলায় নয়জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার ১১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম আজ মঙ্গলবার পৃথক আদেশে তেজগাঁও থানায় প্রথম আলোর করা মামলায় দুজনকে ও দ্য ডেইলি স্টারের করা মামলায় নয়জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগরের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
প্রথম আলোর মামলায় যাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন মোহাম্মদ ইয়াসিন (৩৯) ও মো. হাশেম (২৪)।
এ মামলায় গতকাল সোমবার ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
একই থানায় দ্য ডেইলি স্টারের করা মামলায় কারাগারে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন মো. মাইনুল ইসলাম (২২), জুলফিকার আলী সৌরভ (২২), মো. আলমাস আলী (৩২), মো. জুবায়ের হোসেন (২১), আয়নুল হক কাশেমী (৩০), আব্দুর রহমান পলাশ (৩০), মো. জান্নাতুল নাঈম (২১), কারি মো. মুয়াজবীন আ. রহমান (৩৪) ও মো. ফয়সাল আহমেদ (২৪)।
আজ সন্ধ্যার আগে দুই মামলার এই ১১ আসামিকে আদালতে হাজির করে তেজগাঁও থানা-পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
তবে পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবিষ্যতে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হবে। আপাতত তাঁদের কারাগারে আটক রাখা দরকার।
শুনানি শেষে আদালত সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পুলিশের ওপর মারমুখী আচরণ করে। পরে আরও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফায়ার সার্ভিসও ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোসহ ভবনে আটকা পড়াদের উদ্ধার করে।
পরে হামলাকারীরা দ্য ডেইলি স্টারে একইভাবে হামলা করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০ থেকে ৪৫০ জনকে আসামি করে গত রোববার মামলা করেন প্রথম আলোর হেড অব সিকিউরিটি মেজর (অব.) মো. সাজ্জাদুল কবির। পরদিন পত্রিকাটির হেড অব অপারেশন মিজানুর রহমানও বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
দুই মামলায় অভিযোগ করা হয়, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট করে।
এতে প্রথম আলোর ৩২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। দ্য ডেইলি স্টারের ক্ষতির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারা ছাড়াও উভয় মামলায় দণ্ডবিধি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারাও যোগ করা হয়।

দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার ১১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম আজ মঙ্গলবার পৃথক আদেশে তেজগাঁও থানায় প্রথম আলোর করা মামলায় দুজনকে ও দ্য ডেইলি স্টারের করা মামলায় নয়জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগরের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
প্রথম আলোর মামলায় যাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন মোহাম্মদ ইয়াসিন (৩৯) ও মো. হাশেম (২৪)।
এ মামলায় গতকাল সোমবার ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
একই থানায় দ্য ডেইলি স্টারের করা মামলায় কারাগারে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন মো. মাইনুল ইসলাম (২২), জুলফিকার আলী সৌরভ (২২), মো. আলমাস আলী (৩২), মো. জুবায়ের হোসেন (২১), আয়নুল হক কাশেমী (৩০), আব্দুর রহমান পলাশ (৩০), মো. জান্নাতুল নাঈম (২১), কারি মো. মুয়াজবীন আ. রহমান (৩৪) ও মো. ফয়সাল আহমেদ (২৪)।
আজ সন্ধ্যার আগে দুই মামলার এই ১১ আসামিকে আদালতে হাজির করে তেজগাঁও থানা-পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
তবে পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবিষ্যতে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হবে। আপাতত তাঁদের কারাগারে আটক রাখা দরকার।
শুনানি শেষে আদালত সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পুলিশের ওপর মারমুখী আচরণ করে। পরে আরও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফায়ার সার্ভিসও ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোসহ ভবনে আটকা পড়াদের উদ্ধার করে।
পরে হামলাকারীরা দ্য ডেইলি স্টারে একইভাবে হামলা করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০ থেকে ৪৫০ জনকে আসামি করে গত রোববার মামলা করেন প্রথম আলোর হেড অব সিকিউরিটি মেজর (অব.) মো. সাজ্জাদুল কবির। পরদিন পত্রিকাটির হেড অব অপারেশন মিজানুর রহমানও বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
দুই মামলায় অভিযোগ করা হয়, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট করে।
এতে প্রথম আলোর ৩২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। দ্য ডেইলি স্টারের ক্ষতির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারা ছাড়াও উভয় মামলায় দণ্ডবিধি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারাও যোগ করা হয়।

আহত ছেলের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করেছিলেন মা আঁখি বেগম। মামলা দায়ের প্রায় চার ঘণ্টা পরই তার ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদকে (১৯) কুপিয়ে হত্যা করা হয়...
২১ নভেম্বর ২০২৩
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় জমির আইল কাটা নিয়ে দুই চাচাতো ভাইয়ের মারামারি চলার সময় হাবিব শেখ (৪২) নামের এক কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম ব্যাঙডুবি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগে
বাঙালি সংস্কৃতি বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত মানে গণ-অভ্যুত্থানের নতুন বাংলাদেশের যে আকাঙ্ক্ষা বা স্বপ্ন সেটিকে ব্যাহত করা বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান ‘ছায়ানট’-এর কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের সামনে সংস্কৃতির ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ সমাবেশে...
২৪ মিনিট আগে
বাবার বাড়ির এলাকা থেকে চোর ভাড়া করেন বেদেনা আক্তার। গত শনিবার রাতে ভাড়া করা চোরদের নিয়ে ষাঁড় চুরি করছিলেন তিনি। কিন্তু চুরির ঘটনা টের পেয়ে যান বেদেনার স্বামী হেলাল উদ্দিন। তিনি ষাঁড় চুরিতে বাধা দিতে গেলে স্ত্রীসহ পাঁচজন মিলে হেলালকে মুখ ও হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেন।
৩২ মিনিট আগে