হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনে অংশ নেন হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আজ দুপুর ১২টা থেকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরের মুসলিম কোয়ার্টার থেকে সদর মডেল জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সামন পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করতে দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রায় ১ হাজার ২০০ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের সেকেন্ড অফিসার রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার সামনে দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরাও ইট-পাটকেল ছুড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা হবিগঞ্জ শহরে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নার্সিং ইনস্টিটিউট, সিভিল সার্জনের বাসভবনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের এএসপি খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করছে। সাঁজোয়া যান এপিবিএন সবার সামনে রয়েছে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিজিবি ও র্যাব যোগ দিয়েছে।
এদিকে সকাল থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সকাল ১০টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভের স্থান শহরের টাউন হলের সামনে মানববন্ধন শুরু করে হবিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে সরে যেতে বাধ্য হন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা। এর পর থেকে টাউন হলে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে কোটাবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনের পাশে খাঁজা গার্ডেন সিটির সামনে অবস্থান নেন। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ দুই পক্ষের মাঝে অবস্থান নেয়।
একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হবিগঞ্জ শহরের পুরো রাস্তায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখা যায়।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনে অংশ নেন হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আজ দুপুর ১২টা থেকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরের মুসলিম কোয়ার্টার থেকে সদর মডেল জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সামন পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করতে দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রায় ১ হাজার ২০০ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের সেকেন্ড অফিসার রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার সামনে দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরাও ইট-পাটকেল ছুড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা হবিগঞ্জ শহরে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নার্সিং ইনস্টিটিউট, সিভিল সার্জনের বাসভবনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের এএসপি খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করছে। সাঁজোয়া যান এপিবিএন সবার সামনে রয়েছে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিজিবি ও র্যাব যোগ দিয়েছে।
এদিকে সকাল থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সকাল ১০টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভের স্থান শহরের টাউন হলের সামনে মানববন্ধন শুরু করে হবিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে সরে যেতে বাধ্য হন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা। এর পর থেকে টাউন হলে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে কোটাবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনের পাশে খাঁজা গার্ডেন সিটির সামনে অবস্থান নেন। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ দুই পক্ষের মাঝে অবস্থান নেয়।
একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হবিগঞ্জ শহরের পুরো রাস্তায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখা যায়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের দুই মাস পার হলেও ইশতেহার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাকসু প্রতিশ্রুত সংস্কারের বদলে জাতীয় রাজনীতি ও প্রতীকী কর্মকাণ্ডে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ছয় বছর আগে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত উত্তর গণেশপুর মৌজা, বয়রা মৌজা, সাকুয়া মৌজা, রৌহা মৌজার মোট চার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয়। বসতবাড়ি, দোকানঘর ও জমি অধিগ্রহণ করার ছয় বছর পার হলেও ক্ষতিপূরণের ১২৩ কোটি টাকা পাননি জমির মালি
৪ ঘণ্টা আগে
দখল ও দূষণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদ। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নদের সিকস্তি ও পয়স্তি জমির জাল কাগজ তৈরির পর এটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট ও অসংখ্য
৪ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলে এক যুগ ধরে জেলা বিএনপির অফিস নেই। তিন বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। উপজেলা পর্যায়েও পকেট কমিটির অভিযোগে নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত। এমন পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার আটটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এর বাইরে আরও ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেদীন ইসলাম, রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের দুই মাস পার হলেও ইশতেহার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাকসু প্রতিশ্রুত সংস্কারের বদলে জাতীয় রাজনীতি ও প্রতীকী কর্মকাণ্ডে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে প্রতিনিধিদের দাবি, প্রশাসন রাকসুর তহবিলের সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁরা যথাযথভাবে অগ্রসর হতে পারছেন না।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর গত ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ অক্টোবর শপথগ্রহণ করেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। তবে দুই মাস পার হয়ে গেলে এখনো রাকসু তহবিলের হিসাব দিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০১৩ সালের পর থেকে হিসাব দিতে পারলেও ১৯৯০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ের তহবিলের কোনো হিসাব দিতে পারছে না প্রশাসন। এ বিষয়ে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর দেখি কোনো ফাইল, কোনো হিসাবই ছিল না। শূন্য থেকে পুরো ভিত্তি গড়ে তুলতে হয়েছে।’
রাকসুর ভিপি ও এজিএসসহ ২৩ পদের মধ্যে ২০ জনই শিবিরসমর্থিত প্যানেলের। এই প্যানেলের ইশতেহারে ১২ মাসে ২৪টি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিলের যথাযথ হিসাব দিতে না পারায় কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন রাকসু প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলছেন, দায়িত্ব গ্রহণের পরই তাঁরা প্রশাসনকে তহবিলের হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রশাসন ১৫ দিনের সময় নিয়ে পূর্ণাঙ্গ হিসাব দেওয়ার কথা জানালেও শেষ পর্যন্ত তা দিতে পারেনি।
রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই বিতর্ক উৎসব, মাঠ সংস্কার, পানির ফিল্টার স্থাপন ও অনলাইন সেবাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি। হয়তো অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে কাজের গতি আশানুরূপ নয়। তবে রাকসুর কাজ বাদ দিচ্ছি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে এগুলো নিয়ে কেউ কাজ করেনি। এখন কাজ হচ্ছে এবং সবকিছু আস্তে আস্তে সামনে আসবে। ব্যাংক থেকে স্টেটমেন্টগুলো জমা করতে আরও সময় লাগবে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের দুই মাস পার হলেও ইশতেহার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাকসু প্রতিশ্রুত সংস্কারের বদলে জাতীয় রাজনীতি ও প্রতীকী কর্মকাণ্ডে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে প্রতিনিধিদের দাবি, প্রশাসন রাকসুর তহবিলের সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁরা যথাযথভাবে অগ্রসর হতে পারছেন না।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর গত ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ অক্টোবর শপথগ্রহণ করেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। তবে দুই মাস পার হয়ে গেলে এখনো রাকসু তহবিলের হিসাব দিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০১৩ সালের পর থেকে হিসাব দিতে পারলেও ১৯৯০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ের তহবিলের কোনো হিসাব দিতে পারছে না প্রশাসন। এ বিষয়ে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর দেখি কোনো ফাইল, কোনো হিসাবই ছিল না। শূন্য থেকে পুরো ভিত্তি গড়ে তুলতে হয়েছে।’
রাকসুর ভিপি ও এজিএসসহ ২৩ পদের মধ্যে ২০ জনই শিবিরসমর্থিত প্যানেলের। এই প্যানেলের ইশতেহারে ১২ মাসে ২৪টি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিলের যথাযথ হিসাব দিতে না পারায় কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন রাকসু প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলছেন, দায়িত্ব গ্রহণের পরই তাঁরা প্রশাসনকে তহবিলের হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রশাসন ১৫ দিনের সময় নিয়ে পূর্ণাঙ্গ হিসাব দেওয়ার কথা জানালেও শেষ পর্যন্ত তা দিতে পারেনি।
রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই বিতর্ক উৎসব, মাঠ সংস্কার, পানির ফিল্টার স্থাপন ও অনলাইন সেবাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি। হয়তো অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে কাজের গতি আশানুরূপ নয়। তবে রাকসুর কাজ বাদ দিচ্ছি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে এগুলো নিয়ে কেউ কাজ করেনি। এখন কাজ হচ্ছে এবং সবকিছু আস্তে আস্তে সামনে আসবে। ব্যাংক থেকে স্টেটমেন্টগুলো জমা করতে আরও সময় লাগবে।’

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনে অংশ নেন হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে সংঘর্ষ শুরু হয়।
১৮ জুলাই ২০২৪
ছয় বছর আগে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত উত্তর গণেশপুর মৌজা, বয়রা মৌজা, সাকুয়া মৌজা, রৌহা মৌজার মোট চার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয়। বসতবাড়ি, দোকানঘর ও জমি অধিগ্রহণ করার ছয় বছর পার হলেও ক্ষতিপূরণের ১২৩ কোটি টাকা পাননি জমির মালি
৪ ঘণ্টা আগে
দখল ও দূষণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদ। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নদের সিকস্তি ও পয়স্তি জমির জাল কাগজ তৈরির পর এটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট ও অসংখ্য
৪ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলে এক যুগ ধরে জেলা বিএনপির অফিস নেই। তিন বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। উপজেলা পর্যায়েও পকেট কমিটির অভিযোগে নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত। এমন পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার আটটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এর বাইরে আরও ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

ছয় বছর আগে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত উত্তর গণেশপুর মৌজা, বয়রা মৌজা, সাকুয়া মৌজা, রৌহা মৌজার মোট চার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয়। বসতবাড়ি, দোকানঘর ও জমি অধিগ্রহণ করার ছয় বছর পার হলেও ক্ষতিপূরণের ১২৩ কোটি টাকা পাননি জমির মালিকেরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্তত ৫০০ জন এ ঘটনায় ভুক্তভোগী।
জেলা প্রশাসন বলছে, প্রাক্কলিত অর্থ না পাওয়ায় এখনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে রাস্তার দুপাশে বসবাসরত অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
ভূমি অধিগ্রহণের টাকা দ্রুত দেওয়ার দাবিতে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন জমির মালিকেরা। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী জমির মালিক করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. রেনু মিয়া, ভুক্তভোগী কবির উদ্দিন ভূইয়া, চামটাঘাট বণিক সমিতির সভাপতি আজহারুল ইসলাম আরজু, মো. নাজমুল মিয়া, মো. জুয়েল মিয়া, হেলিম মিয়া প্রমুখ। মানববন্ধনে প্রায় ৫০০ ভুক্তভোগী জমির মালিক অংশ নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ও তদারকির দায়িত্ব পায় কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল অধিদপ্তর। সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয় ২০১৯ সালে। এ প্রকল্পের অনেক জায়গায় রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন কেস বা ভূমি অধিগ্রহণ মামলা (এলএ কেস) নম্বর ০৯/২০১৯-২০ অধীন থাকা মৌজাগুলোর অধিগ্রহণের কাজ এখনো শেষ হয়নি। অধিগ্রহণের কাজ ৭ ধারা নোটিশ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়ে এখন মুখথুবড়ে পড়ে আছে। যে কারণে চামটাঘাট বন্দর এলাকার ব্যবসায়ীরা তাঁদের দোকান নতুন করে সংস্কার ও মেরামত করতে পারছে না। চামটাঘাট বন্দর জনবহুল ব্যবসাকেন্দ্র এবং বহু জেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ার কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাটি কোনো জায়গায় সম্প্রসারিত আবার কোনো জায়গায় খানাখন্দ, ভাঙা। এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহন বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাস্তার দুপাশে বসবাসরত অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারছে না। কারণ তারা অধিগ্রহণের টাকা কবে পাবে, সেটা অনিশ্চিত।
জমির মালিক করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য রেনু মিয়া বলেন, ‘৬ শতাংশ জায়গা গেছে। ২০০ ফুটের একটা ঘর গেছে। এই পর্যন্ত টাকা পাইতাছি না। আমরা রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছি। অধিগ্রহণের টাকা না দিয়েই ওরা রাস্তা করে ফেলতে চাচ্ছে। শুধু বাইল দিয়া রাস্তা করে ফেলতে চাচ্ছে।’
চামটাঘাট বণিক সমিতির সভাপতি আজহারুল ইসলাম আরজু বলেন, ‘টাকার জন্য আমরা ঘরবাড়ি ভেঙে দিছি। এখন পর্যন্ত সরকার অধিগ্রহণের টাকা আমাদের দেয় না। ৭ ধারা নোটিশ দিয়ে বলছে আমাদের টাকা-পয়সা দিয়ে দেবে, কিন্তু কোনো টাকা-পয়সা দেয় না। ১৫ শতাংশ জায়গা গেছে আমার।’
ভুক্তভোগী কবির উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরে সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত আমাদের যে কাজ হচ্ছে, তার এলএ কেস নং হচ্ছে ৯। আমরা ঘরবাড়ি ভেঙে রাস্তা দিয়ে দিছি। কিন্তু আমাদের অধিগ্রহণের টাকা এখনো পাচ্ছি না। আমরা যারা ভুক্তভোগী আছি তাদের দাবি অতিসত্বর আমাদের টাকা দিয়ে দিক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘অধিগ্রহণের একটা প্রক্রিয়া আছে। আমরা প্রাক্কলন প্রস্তুতক্রমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গত মে মাসে পাঠিয়ে দিয়েছি। ডিসেম্বর মাস চলছে এখনো আমরা প্রাক্কলিত অর্থ পাইনি। যে কারণে আমরা অধিগ্রহণের টাকা ডেসপাচ করতে পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে খুবই চিন্তিত। আমরাও চাচ্ছি টাকা এলে দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন দিয়ে দিতে পারি।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘আমাদের এ প্রকল্পের ৫টি এলএ মামলা ছিল। আমরা ইতিমধ্যে ৪টির টাকা দিয়ে দিয়েছি। শুধু একটি রয়েছে। এটার প্রাক্কলিত মূল্য ১২৩ কোটি টাকা। আমার ডিপিটিতে টাকা বাকি আছে ৬০ কোটির মতো। আরও ৬৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত লাগতেছে। এই ডিপিটিটা সংশোধন করা প্রয়োজন। আমরা সংশোধন করে সংশোধিত ডিপিটিটা আমাদের মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে সংশোধিত ডিপিটিটা অনুমোদন হয়ে গেলে টাকাটার ছাড় আসলে আমরা ডিসি অফিসকে দিয়ে দিতে পারব।’

ছয় বছর আগে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত উত্তর গণেশপুর মৌজা, বয়রা মৌজা, সাকুয়া মৌজা, রৌহা মৌজার মোট চার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয়। বসতবাড়ি, দোকানঘর ও জমি অধিগ্রহণ করার ছয় বছর পার হলেও ক্ষতিপূরণের ১২৩ কোটি টাকা পাননি জমির মালিকেরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্তত ৫০০ জন এ ঘটনায় ভুক্তভোগী।
জেলা প্রশাসন বলছে, প্রাক্কলিত অর্থ না পাওয়ায় এখনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে রাস্তার দুপাশে বসবাসরত অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
ভূমি অধিগ্রহণের টাকা দ্রুত দেওয়ার দাবিতে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন জমির মালিকেরা। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী জমির মালিক করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. রেনু মিয়া, ভুক্তভোগী কবির উদ্দিন ভূইয়া, চামটাঘাট বণিক সমিতির সভাপতি আজহারুল ইসলাম আরজু, মো. নাজমুল মিয়া, মো. জুয়েল মিয়া, হেলিম মিয়া প্রমুখ। মানববন্ধনে প্রায় ৫০০ ভুক্তভোগী জমির মালিক অংশ নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ও তদারকির দায়িত্ব পায় কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল অধিদপ্তর। সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয় ২০১৯ সালে। এ প্রকল্পের অনেক জায়গায় রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন কেস বা ভূমি অধিগ্রহণ মামলা (এলএ কেস) নম্বর ০৯/২০১৯-২০ অধীন থাকা মৌজাগুলোর অধিগ্রহণের কাজ এখনো শেষ হয়নি। অধিগ্রহণের কাজ ৭ ধারা নোটিশ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়ে এখন মুখথুবড়ে পড়ে আছে। যে কারণে চামটাঘাট বন্দর এলাকার ব্যবসায়ীরা তাঁদের দোকান নতুন করে সংস্কার ও মেরামত করতে পারছে না। চামটাঘাট বন্দর জনবহুল ব্যবসাকেন্দ্র এবং বহু জেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ার কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাটি কোনো জায়গায় সম্প্রসারিত আবার কোনো জায়গায় খানাখন্দ, ভাঙা। এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহন বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাস্তার দুপাশে বসবাসরত অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারছে না। কারণ তারা অধিগ্রহণের টাকা কবে পাবে, সেটা অনিশ্চিত।
জমির মালিক করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য রেনু মিয়া বলেন, ‘৬ শতাংশ জায়গা গেছে। ২০০ ফুটের একটা ঘর গেছে। এই পর্যন্ত টাকা পাইতাছি না। আমরা রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছি। অধিগ্রহণের টাকা না দিয়েই ওরা রাস্তা করে ফেলতে চাচ্ছে। শুধু বাইল দিয়া রাস্তা করে ফেলতে চাচ্ছে।’
চামটাঘাট বণিক সমিতির সভাপতি আজহারুল ইসলাম আরজু বলেন, ‘টাকার জন্য আমরা ঘরবাড়ি ভেঙে দিছি। এখন পর্যন্ত সরকার অধিগ্রহণের টাকা আমাদের দেয় না। ৭ ধারা নোটিশ দিয়ে বলছে আমাদের টাকা-পয়সা দিয়ে দেবে, কিন্তু কোনো টাকা-পয়সা দেয় না। ১৫ শতাংশ জায়গা গেছে আমার।’
ভুক্তভোগী কবির উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরে সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত আমাদের যে কাজ হচ্ছে, তার এলএ কেস নং হচ্ছে ৯। আমরা ঘরবাড়ি ভেঙে রাস্তা দিয়ে দিছি। কিন্তু আমাদের অধিগ্রহণের টাকা এখনো পাচ্ছি না। আমরা যারা ভুক্তভোগী আছি তাদের দাবি অতিসত্বর আমাদের টাকা দিয়ে দিক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘অধিগ্রহণের একটা প্রক্রিয়া আছে। আমরা প্রাক্কলন প্রস্তুতক্রমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গত মে মাসে পাঠিয়ে দিয়েছি। ডিসেম্বর মাস চলছে এখনো আমরা প্রাক্কলিত অর্থ পাইনি। যে কারণে আমরা অধিগ্রহণের টাকা ডেসপাচ করতে পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে খুবই চিন্তিত। আমরাও চাচ্ছি টাকা এলে দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন দিয়ে দিতে পারি।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘আমাদের এ প্রকল্পের ৫টি এলএ মামলা ছিল। আমরা ইতিমধ্যে ৪টির টাকা দিয়ে দিয়েছি। শুধু একটি রয়েছে। এটার প্রাক্কলিত মূল্য ১২৩ কোটি টাকা। আমার ডিপিটিতে টাকা বাকি আছে ৬০ কোটির মতো। আরও ৬৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত লাগতেছে। এই ডিপিটিটা সংশোধন করা প্রয়োজন। আমরা সংশোধন করে সংশোধিত ডিপিটিটা আমাদের মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে সংশোধিত ডিপিটিটা অনুমোদন হয়ে গেলে টাকাটার ছাড় আসলে আমরা ডিসি অফিসকে দিয়ে দিতে পারব।’

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনে অংশ নেন হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে সংঘর্ষ শুরু হয়।
১৮ জুলাই ২০২৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের দুই মাস পার হলেও ইশতেহার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাকসু প্রতিশ্রুত সংস্কারের বদলে জাতীয় রাজনীতি ও প্রতীকী কর্মকাণ্ডে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দখল ও দূষণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদ। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নদের সিকস্তি ও পয়স্তি জমির জাল কাগজ তৈরির পর এটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট ও অসংখ্য
৪ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলে এক যুগ ধরে জেলা বিএনপির অফিস নেই। তিন বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। উপজেলা পর্যায়েও পকেট কমিটির অভিযোগে নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত। এমন পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার আটটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এর বাইরে আরও ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআবুল কাশেম, সাঁথিয়া (পাবনা)

দখল ও দূষণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদ। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নদের সিকস্তি ও পয়স্তি জমির জাল কাগজ তৈরির পর এটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট ও অসংখ্য আধা পাকা দোকান। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই নদের তলদেশ ভরাট করে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে একসময় স্রোতস্বিনী আত্রাইয়ের আয়তন দ্রুত সংকুচিত হয়ে নিঃশেষ হওয়ার পথে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, নব্বইয়ের দশকেও আত্রাইয়ে পালতোলা পণ্যবোঝাই সারি সারি নৌকা চলাচল করত। এটি তখন ছিল এলাকার যোগাযোগ ও জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু এখন সেটি পরিণত হয়েছে প্রায় মরা খালে।
সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নে ইছামতী নদী থেকে উৎপত্তি হওয়া আত্রাই নদ সাঁথিয়া, বেড়া ও সুজানগর উপজেলা অতিক্রম করে মাসুমদিয়া ইউনিয়নের বাদাই নদের সঙ্গে মিলিত হয়ে যমুনায় গিয়ে পড়ে। তবে সাঁথিয়া উপজেলার অংশে এর বড় একটি অংশই দখল হয়ে গেছে। পাবনা-ঢাকা ও কাজিরহাট-বগুড়া মহাসড়কের পাশের জেলার অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা কাশিনাথপুরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা আত্রাইয়ের জায়গা দখল করে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রতিনিয়ত নদের বুক চিরে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাশিনাথপুর ট্রাফিক মোড় থেকে কাশিনাথপুর হাটের শেষ সীমানা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদের কোনো দৃশ্যমান অস্তিত্ব নেই। হাট এলাকার একাংশে নদের মাঝখানে নির্মিত একটি সেতুর দুই পাশে নদের দুই তীর ভরাট করে তৈরি হয়েছে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট, আবাসিক ভবন এবং ৪০-৪৫টি দোকান। এগুলোর বেশ কিছুর নির্মাণকাজ এখনো চলছে। অন্যদিকে নদের অবশিষ্ট জলাশয়টি হাটবাজার ও আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ২০০০ সালের পর থেকে আত্রাই দখলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই সময় সুজানগর উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নে সরকারি অর্থায়নে আত্রাইয়ের ওপর একটি সেতু ও সড়ক নির্মাণ করা হয়। সেতু ও সড়ক নির্মাণের পরপরই রাস্তার দুই পাশে নদের জমি দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এসব স্থাপনার মালিকদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।
স্থানীয়দের আরও দাবি, একসময় বাঘুলপুর, বাদাই, ভাটিকয়া, সাগতা, রানীনগর, মাসুমদিয়া, আমিনপুরসহ আশপাশের বহু এলাকার মানুষের যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহনের প্রধান পথ ছিল আত্রাই নদ। বর্তমানে এর বড় অংশে পানির অস্তিত্ব নেই। বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসনের কার্যকর নজরদারির অভাবে নদটি এভাবে দখল-দূষণের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। সচেতন মহলের মতে, একসময় প্রশস্ত ও খরস্রোতা আত্রাই এখন অনেক স্থানে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। এটি রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হুমায়ুন কবির বলেন, ‘একসময় এই নদে নৌকা ও লঞ্চ চলত, নানা প্রজাতির মাছ ছিল। জলাধার সংরক্ষণ আইন থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের দুর্বল নজরদারি ও আইন প্রয়োগের অভাবে প্রভাবশালীরা এর বুকে বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন গড়ে তুলেছে। কোথাও কোথাও নদের জমি দখল করে ফসলও আবাদ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ রায়হান বলেন, ‘নদটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন। তারা সহযোগিতা চাইলে উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’ এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার কাশিনাথপুরে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দখল ও দূষণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদ। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নদের সিকস্তি ও পয়স্তি জমির জাল কাগজ তৈরির পর এটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট ও অসংখ্য আধা পাকা দোকান। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই নদের তলদেশ ভরাট করে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে একসময় স্রোতস্বিনী আত্রাইয়ের আয়তন দ্রুত সংকুচিত হয়ে নিঃশেষ হওয়ার পথে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, নব্বইয়ের দশকেও আত্রাইয়ে পালতোলা পণ্যবোঝাই সারি সারি নৌকা চলাচল করত। এটি তখন ছিল এলাকার যোগাযোগ ও জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু এখন সেটি পরিণত হয়েছে প্রায় মরা খালে।
সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নে ইছামতী নদী থেকে উৎপত্তি হওয়া আত্রাই নদ সাঁথিয়া, বেড়া ও সুজানগর উপজেলা অতিক্রম করে মাসুমদিয়া ইউনিয়নের বাদাই নদের সঙ্গে মিলিত হয়ে যমুনায় গিয়ে পড়ে। তবে সাঁথিয়া উপজেলার অংশে এর বড় একটি অংশই দখল হয়ে গেছে। পাবনা-ঢাকা ও কাজিরহাট-বগুড়া মহাসড়কের পাশের জেলার অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা কাশিনাথপুরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা আত্রাইয়ের জায়গা দখল করে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রতিনিয়ত নদের বুক চিরে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাশিনাথপুর ট্রাফিক মোড় থেকে কাশিনাথপুর হাটের শেষ সীমানা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদের কোনো দৃশ্যমান অস্তিত্ব নেই। হাট এলাকার একাংশে নদের মাঝখানে নির্মিত একটি সেতুর দুই পাশে নদের দুই তীর ভরাট করে তৈরি হয়েছে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট, আবাসিক ভবন এবং ৪০-৪৫টি দোকান। এগুলোর বেশ কিছুর নির্মাণকাজ এখনো চলছে। অন্যদিকে নদের অবশিষ্ট জলাশয়টি হাটবাজার ও আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ২০০০ সালের পর থেকে আত্রাই দখলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই সময় সুজানগর উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নে সরকারি অর্থায়নে আত্রাইয়ের ওপর একটি সেতু ও সড়ক নির্মাণ করা হয়। সেতু ও সড়ক নির্মাণের পরপরই রাস্তার দুই পাশে নদের জমি দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এসব স্থাপনার মালিকদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।
স্থানীয়দের আরও দাবি, একসময় বাঘুলপুর, বাদাই, ভাটিকয়া, সাগতা, রানীনগর, মাসুমদিয়া, আমিনপুরসহ আশপাশের বহু এলাকার মানুষের যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহনের প্রধান পথ ছিল আত্রাই নদ। বর্তমানে এর বড় অংশে পানির অস্তিত্ব নেই। বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসনের কার্যকর নজরদারির অভাবে নদটি এভাবে দখল-দূষণের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। সচেতন মহলের মতে, একসময় প্রশস্ত ও খরস্রোতা আত্রাই এখন অনেক স্থানে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। এটি রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হুমায়ুন কবির বলেন, ‘একসময় এই নদে নৌকা ও লঞ্চ চলত, নানা প্রজাতির মাছ ছিল। জলাধার সংরক্ষণ আইন থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের দুর্বল নজরদারি ও আইন প্রয়োগের অভাবে প্রভাবশালীরা এর বুকে বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন গড়ে তুলেছে। কোথাও কোথাও নদের জমি দখল করে ফসলও আবাদ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ রায়হান বলেন, ‘নদটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন। তারা সহযোগিতা চাইলে উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’ এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার কাশিনাথপুরে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনে অংশ নেন হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে সংঘর্ষ শুরু হয়।
১৮ জুলাই ২০২৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের দুই মাস পার হলেও ইশতেহার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাকসু প্রতিশ্রুত সংস্কারের বদলে জাতীয় রাজনীতি ও প্রতীকী কর্মকাণ্ডে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ছয় বছর আগে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত উত্তর গণেশপুর মৌজা, বয়রা মৌজা, সাকুয়া মৌজা, রৌহা মৌজার মোট চার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয়। বসতবাড়ি, দোকানঘর ও জমি অধিগ্রহণ করার ছয় বছর পার হলেও ক্ষতিপূরণের ১২৩ কোটি টাকা পাননি জমির মালি
৪ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলে এক যুগ ধরে জেলা বিএনপির অফিস নেই। তিন বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। উপজেলা পর্যায়েও পকেট কমিটির অভিযোগে নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত। এমন পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার আটটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এর বাইরে আরও ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে এক যুগ ধরে জেলা বিএনপির অফিস নেই। তিন বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। উপজেলা পর্যায়েও পকেট কমিটির অভিযোগে নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত। এমন পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার আটটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এর বাইরে আরও ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর সরাসরি ভোটের মাধ্যমে হাসানুজ্জামিল শাহীন জেলা সভাপতি ও ফরহাদ ইকবাল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সভাপতি পদে জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু ও সাবেক সহসভাপতি আলী ইমাম তপন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু।
নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের দুজনই দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের সমর্থিত। অন্যদিকে পরাজিতরা ছিলেন প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সমর্থিত। কেন্দ্রীয় এই দুই নেতার দ্বন্দ্বে প্রায় তিন বছরেও জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি।
দ্বিধাবিভক্ত কমিটির কারণে দিন দিন সাংগঠনিক শৃঙ্খলা দুর্বল হয়ে পড়ছে। উপজেলা পর্যায়ে পকেট কমিটির অভিযোগ এনে নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে দলীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই বিভক্তি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। আট আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের ২৪ জন নেতা। আর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে বিভিন্ন দল থেকে মোট মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অন্তত ৪১ জন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটি তা অনুমোদন দেয়নি। ফলে তিন বছর ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়াই কর্মকাণ্ড চালাতে হচ্ছে। সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনেক আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। দু-একটি আসনে অন্য এলাকার নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় সমস্যা জটিল হয়েছে। পুনর্বিবেচনা করলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। তবে এর বাইরে আলাদাভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী ও সাবেক এমপি আশিকা আকবরের ছেলে আফিফ আহমেদ। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর–গোপালপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু। এখানে দলের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির। তবে তাঁর জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও তিনবারের সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান খান আজাদ এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. লুৎফর রহমান মতিন। পৃথকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য রবিউল আওয়াল। তবে তাঁর মনোনয়নে ক্ষুব্ধ দলের অন্য অংশ। এই আসনে পৃথকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. ইকবাল হোসেন খান, ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান ও মো. জুয়েল সরকার।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আলাদাভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় সহসংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ সোরহাব, বহিষ্কৃত নেতা ফিরোজ হায়দার খান ও কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপু হায়দার খান।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। আলাদাভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন শিল্পপতি সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল, হাবিবুর রহমান কামাল ও বহিষ্কৃত সখীপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান। তবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল ও হাবিবুর রহমান কামালের কোনো দলীয় পদবি নেই।
জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু বলেন, দীর্ঘদিনেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় এবং জেলা বিএনপির কোনো সাংগঠনিক অফিস না থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন দোকান, হোটেল ও ফুটপাতে বসে দলীয় কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। জেলায় পকেট রাজনীতি শুরু হওয়ায় অধিকাংশ নেতা-কর্মী অন্য নেতার পকেটের ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। জেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যন্ত সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। কেউ কারও কমান্ড শুনছে না। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা অমান্য করে বিভিন্ন আসনে একাধিক নেতা মনোনয়নপত্র কিনছেন। সেগুলোও দেখার কেউ নেই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী নির্বাচনে খেসারত দিতে হবে।
জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জিয়াউল হক শাহীন বলেন, বড় দলে একাধিক প্রার্থী থাকে, আবার সমঝোতাও হয়। নির্দিষ্ট কার্যালয় ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় হযবরল অবস্থা। স্থানীয়ভাবে সমঝোতার উদ্যোগ না থাকায় কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন, ‘আমরা সমঝোতার চেষ্টায় রয়েছি। কেন্দ্রীয় নেতারাও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছেন। আগামী নির্বাচনে সব কটি আসনে বিজয় নিশ্চিতের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। যাঁরা সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন তাঁদের বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে বিবেচনা করা হবে।’

টাঙ্গাইলে এক যুগ ধরে জেলা বিএনপির অফিস নেই। তিন বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। উপজেলা পর্যায়েও পকেট কমিটির অভিযোগে নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত। এমন পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার আটটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। তবে এর বাইরে আরও ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর সরাসরি ভোটের মাধ্যমে হাসানুজ্জামিল শাহীন জেলা সভাপতি ও ফরহাদ ইকবাল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সভাপতি পদে জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু ও সাবেক সহসভাপতি আলী ইমাম তপন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু।
নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের দুজনই দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের সমর্থিত। অন্যদিকে পরাজিতরা ছিলেন প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সমর্থিত। কেন্দ্রীয় এই দুই নেতার দ্বন্দ্বে প্রায় তিন বছরেও জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি।
দ্বিধাবিভক্ত কমিটির কারণে দিন দিন সাংগঠনিক শৃঙ্খলা দুর্বল হয়ে পড়ছে। উপজেলা পর্যায়ে পকেট কমিটির অভিযোগ এনে নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে দলীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই বিভক্তি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। আট আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের ২৪ জন নেতা। আর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে বিভিন্ন দল থেকে মোট মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অন্তত ৪১ জন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটি তা অনুমোদন দেয়নি। ফলে তিন বছর ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়াই কর্মকাণ্ড চালাতে হচ্ছে। সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনেক আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। দু-একটি আসনে অন্য এলাকার নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় সমস্যা জটিল হয়েছে। পুনর্বিবেচনা করলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। তবে এর বাইরে আলাদাভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী ও সাবেক এমপি আশিকা আকবরের ছেলে আফিফ আহমেদ। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর–গোপালপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু। এখানে দলের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির। তবে তাঁর জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও তিনবারের সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান খান আজাদ এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. লুৎফর রহমান মতিন। পৃথকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য রবিউল আওয়াল। তবে তাঁর মনোনয়নে ক্ষুব্ধ দলের অন্য অংশ। এই আসনে পৃথকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. ইকবাল হোসেন খান, ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান ও মো. জুয়েল সরকার।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আলাদাভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় সহসংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ সোরহাব, বহিষ্কৃত নেতা ফিরোজ হায়দার খান ও কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপু হায়দার খান।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। আলাদাভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন শিল্পপতি সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল, হাবিবুর রহমান কামাল ও বহিষ্কৃত সখীপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান। তবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল ও হাবিবুর রহমান কামালের কোনো দলীয় পদবি নেই।
জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু বলেন, দীর্ঘদিনেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় এবং জেলা বিএনপির কোনো সাংগঠনিক অফিস না থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন দোকান, হোটেল ও ফুটপাতে বসে দলীয় কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। জেলায় পকেট রাজনীতি শুরু হওয়ায় অধিকাংশ নেতা-কর্মী অন্য নেতার পকেটের ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। জেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যন্ত সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। কেউ কারও কমান্ড শুনছে না। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা অমান্য করে বিভিন্ন আসনে একাধিক নেতা মনোনয়নপত্র কিনছেন। সেগুলোও দেখার কেউ নেই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী নির্বাচনে খেসারত দিতে হবে।
জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জিয়াউল হক শাহীন বলেন, বড় দলে একাধিক প্রার্থী থাকে, আবার সমঝোতাও হয়। নির্দিষ্ট কার্যালয় ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় হযবরল অবস্থা। স্থানীয়ভাবে সমঝোতার উদ্যোগ না থাকায় কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন বলেন, ‘আমরা সমঝোতার চেষ্টায় রয়েছি। কেন্দ্রীয় নেতারাও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছেন। আগামী নির্বাচনে সব কটি আসনে বিজয় নিশ্চিতের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। যাঁরা সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন তাঁদের বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে বিবেচনা করা হবে।’

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনে অংশ নেন হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে সংঘর্ষ শুরু হয়।
১৮ জুলাই ২০২৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের দুই মাস পার হলেও ইশতেহার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাকসু প্রতিশ্রুত সংস্কারের বদলে জাতীয় রাজনীতি ও প্রতীকী কর্মকাণ্ডে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ছয় বছর আগে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামটাঘাট সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সাকুয়া বাজার থেকে চামটাঘাট পর্যন্ত উত্তর গণেশপুর মৌজা, বয়রা মৌজা, সাকুয়া মৌজা, রৌহা মৌজার মোট চার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ অধিগ্রহণ করা হয়। বসতবাড়ি, দোকানঘর ও জমি অধিগ্রহণ করার ছয় বছর পার হলেও ক্ষতিপূরণের ১২৩ কোটি টাকা পাননি জমির মালি
৪ ঘণ্টা আগে
দখল ও দূষণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদ। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নদের সিকস্তি ও পয়স্তি জমির জাল কাগজ তৈরির পর এটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মার্কেট ও অসংখ্য
৪ ঘণ্টা আগে