Ajker Patrika

সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা: কাউন্সিলর নিপুসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ২২: ১৯
সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা: কাউন্সিলর নিপুসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুকে প্রধান আসামি করে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় নিহত আরিফের মা আঁখি বেগম বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) বিমানবন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় নিপু ছাড়াও ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ। তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ যে দুজনকে আটক করেছিল এজাহারে ওই দুজনের নামও রয়েছে। তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ।’

তাঁরা হলেন বালুচর সোনার বাংলা এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে আনহাজ আহমদ রনি (২৩) ও বালুচরের কামাল মিয়ার ছেলে আল মামুন মজুমদার (৩২)। দুজনই হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের ছাত্রলীগ বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

আজ বুধবার রাত ৯টায় নিহত আরিফের মা ও মামলার বাদী আঁখি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও মৃত্যুর আগে আরিফ যাঁদের নাম বলে গেছে, তাঁদের আসামি করা হয়েছে। ১৫ তারিখের হামলাও এরাই করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার চাই।’

গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরের বালুচরের টিভি গেট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ নগরের টিভি গেট এলাকার আঁখি বেগম ও ফটিক মিয়া দম্পতির ছেলে। তিনি সিলেট স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। আরিফ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

বালুচর এলাকার স্থানীয়রা জানান, গত ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেওয়া নিয়ে নগরের বালুচরে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুর গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনাও ঘটে। এর জেরে সর্বশেষ ১৫ নভেম্বর উত্তর বালুচর এলাকায় মসজিদের সামনে নিপু গ্রুপের জুনেদ, আনাছ, কুদরত, রনি, তোফায়েল, হৃদয়, কালা মামুন, শরিফ, হেলাল ও সবুজ মিয়াসহ ১০-১২ জন আরিফের ওপর হামলা চালায়। এতে আরিফের হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে আহত হন আরিফ।

ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত সোমবার বাড়ি ফেরেন আরিফ। আরিফের মা বাদী হয়ে সেই হামলার অভিযোগে রাত ৯টার দিকে এসএমপির শাহপরান (রহ.) থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আঁখি বেগম। অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার ৪ ঘণ্টার মাথায় রাত ১২টার দিকে আরিফকে টিভি গেট এলাকায় গোয়ালীছড়া ওয়াকওয়েতে ধরে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে আরিফের মা ও স্বজনেরা তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরিফ।

মা আঁখি বেগমের দাবি, পুলিশ সোমবার রাতেই মামলা দায়েরের পরপর ব্যবস্থা নিলে তাঁর ছেলে খুন হতো না। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরিফকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সে তাঁর হামলার জন্য হিরণ মাহমুদ নিপুর কথা বলেছে।’

এ সময় তিনি দাবি করেন, নিপুর নেতৃত্বেই তাঁর ছেলের ওপর হামলা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দলবলসহ নিপুকে দেখেছেন। এ ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে হিরণ মাহমুদ নিপুর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে, এ ঘটনায় শোক জানিয়েছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ। আজ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, সংগঠনের সক্রিয় কর্মী আরিফ আহমেদ (১৯) নিজ বাসার সামনে সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। উদিয়মান ছাত্রনেতা আরিফ আহমেদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনিদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরালো দাবি জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় জলদস্যুদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ৫

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
সংর্ঘষে নিহত কয়েক জন। ছবি: সংগৃহীত
সংর্ঘষে নিহত কয়েক জন। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার জাগলার চরে এই সংঘর্ষ হয়।

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে একজন নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আর চারজনের মৃতদেহ ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তিনি নিহতদের নাম ঠিকানা জানাতে পারেননি।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক মাস ধরে হাতিয়ার পশ্চিম পাশে জাগলা চর দখল নিয়ে জলদস্যুদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। আজকে দখল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে উভয় পক্ষের অনেকে আহত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দীপু দাসের পরিবারের পাশে শহীদুল আলমসহ ১৮ মানবাধিকারকর্মী

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
দীপু দাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন শহীদুল আলমসহ মানবাধিকারকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দীপু দাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন শহীদুল আলমসহ মানবাধিকারকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নিহত দীপু চন্দ্র দাসের (২৮) পরিবারের সঙ্গে দেখা করে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। এ সময় তাঁরা পরিবারটির প্রতি সমবেদনা জানিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১টায় ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়াকান্দা গ্রামের দীপু দাসের বাড়িতে যায় মো. শহীদুল আলমসহ ১৮ সদস্যের মানবাধিকারকর্মীর একটি প্রতিনিধিদল।

মানবাধিকারকর্মীরা দীপু চন্দ্র দাসের স্ত্রী মেঘনা রানীর সঙ্গে কথা বলে পরিবারের আর্থিক অবস্থাসহ অন্যান্য বিষয়ের খোঁজখবর নেন। পরে পরিবারটির যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মানবাধিকারকর্মী শহীদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ, মর্মাহত, দুঃখিত। অপবাদ দিয়ে বিনা প্রমাণে একটা মানুষকে শুধু হত‍্যা করা হলো না, লাশকে পোড়ানো হলো, অসম্মান করা হলো। এটা আমাদের জন‍্য অত‍্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা এসেছি ন‍্যায়বিচারের আশায়। আমরা ন্যায়বিচার আদায় করে ছাড়ব। সমাজের কাছে এবং সরকারের কাছে দাবি, শুধু ন্যায়বিচার না, বরং এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে ব্যবস্থা নেওয়া। সত‍্যিকার অর্থে আমরা যেন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ দেখে যেতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, দীপু চন্দ্র দাসের পরিবার ও সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তবে আমরা এই পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকব।’

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, লেখক ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাবেক সদস্য ফিরোজ আহমেদ, মানবাধিকারকর্মী দীপায়ন খীসা, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ প্রমুখ। এ ছাড়া জাতীয় আইন সহায়তা কেন্দ্র ব্লাস্ট, এএলআরডি ও মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

১৮ ডিসেম্বর রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ভালুকায় দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। নিহত দীপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি গত দুই বছর ধরে ভালুকার জামিরদিয়া পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানিতে কাজ করছিলেন। এই হত্যার ঘটনায় নিহত দীপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস ১৯ ডিসেম্বর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় র‍্যাব-পুলিশের সদস্যরা ইতিমধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেজ-২ অভিযানে গ্রেপ্তার ৫১

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ নামে বিশেষ অভিযানে মৌলভীবাজারে গত সাত দিনে ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়।

জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর অভিযানের অংশ হিসেবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ওরফে দাঁতভাঙা কবিরকে ফের ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

৭ দিনের রিমান্ড শেষে বিকেলে কবিরকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৬ ডিসেম্বর কবিরকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

কবির পটুয়াখালী সদরের টিটকাটা এলাকার মৃত মোজাফফরের ছেলে। তিনি রাজধানীর আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নবোদয় হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করতেন। গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি একটি রিকশায় করে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুই জনের একজন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়।

হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হলে গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।

গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

এ মামলায় ফয়সাল করিমের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু এবং বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাকে গ্রেপ্তারের পর দুই দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। তাঁরা এখনো পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন। প্রধান আসামি ফয়সালকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমও দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে রয়েছেন।

ফয়সালকে রেন্ট এ কারের মাইক্রোবাসে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার নুরুজ্জামান কারাগারে রয়েছেন। ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির ও মা হাসি বেগম ফয়সালকে পালাতে সহযোগিতার কথা স্বীকার করে গত ১৭ ডিসেম্বর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত