Ajker Patrika

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: ১১ বছরেও কান্না থামেনি ফুলবাড়ীর রেবেকার, খোঁজ নেই শাবানার

মেহেদী হাসান, দিনাজপুর
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬: ১৩
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: ১১ বছরেও কান্না থামেনি ফুলবাড়ীর রেবেকার, খোঁজ নেই শাবানার

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল। অন্যান্য দিনের মতো এদিনের সকালে ঢাকার সাভারের বাসস্ট্যান্ড এলাকা ছিল কর্মচঞ্চল। হঠাৎ বিকট শব্দ, ধসে পড়ে ৯ তলাবিশিষ্ট ভবন ‘রানা প্লাজা’। ভবনটিতে ছিল পোশাক কারখানা, কয়েকটি দোকান ও একটি ব্যাংক। এদিন কাজে আসা ১১ শতাধিক পোশাকশ্রমিক ভবন ধসে প্রাণ হারান। আহত হন ২ হাজারের অধিক শ্রমিক। বেঁচে যাওয়া এসব শ্রমিকের অনেকে হয়েছেন পঙ্গু, কেউ শয্যাশায়ী হয়ে কষ্টে দিন পার করছেন। তাঁদের মধ্যে একজন দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর রাবেয়া খাতুন দুই পা হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এখনো খোঁজ মেলেনি একই উপজেলার গুলশানে জান্নাত শাবানার।

আগামীকাল ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্তি। দীর্ঘ এই শোক বয়ে বেড়ানো ৩৪ বছর বয়সী রেবেকা খাতুন কেমন আছেন? আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় তাঁর।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে আজকের পত্রিকাকে রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘দুই পা হারিয়ে কর্মহীন হয়ে সারা দিন বাড়িতে থাকতে হয়। স্বামী-সন্তানদের নিয়ে কোথাও যেতে পারি না। তাদের প্রয়োজনেও কাজে আসতে পারি না। একজন কর্মক্ষম মানুষ এভাবে চলতে পারে না। হয়তো কিছু টাকা পেয়েছি, কিন্তু কেউ কি আমার পা দুটো ফিরিয়ে দিতে পারবে? যা দিয়ে আমি আগের মতো কাজ করতে পারব, স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারব?’

রেবেকা খাতুন আলাদীপুর ইউনিয়নের বারাই চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী। দুর্ঘটনার বছরখানেক পর পঙ্গুত্ব জীবনে তাঁর কোলজুড়ে আসে প্রথম সন্তান ছিদরাতুন মুনতাহা। ১০ বছর বয়সী মুনতাহা স্থানীয় এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। অপর সন্তান মাদানী আন নুরের বয়স চার বছর। সেদিন রানা প্লাজা ধসে মা চানবানু ও দাদি কোহিনুর বেওয়াকেও হারান তিনি। তাঁরা একই কারখানায় কাজ করতেন।

ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার বর্ণনা করেন রেবেকা খাতুন। দুর্ঘটনার এক দিন আগে, অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল রানা প্লাজায় ফাটল দেখা দিলে বিকেল ৪টায় সবাইকে ছুটি দেয় কর্তৃপক্ষ। পরদিন সকাল ৮টায় বিল্ডিংয়ের ফাটলের কারণে কাজে যোগ দিতে চান না শ্রমিকেরা। বেতন-ভাতাসহ অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার টাকা দেওয়া হবে না এবং চাকরিচ্যুতির হুমকি দিয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ করায়। পরিশ্রমের টাকা আর চাকরি হারানোর ভয়ে অন্যান্য শ্রমিকের সঙ্গে তিনিও কাজে যোগ দেন।

রানা প্লাজা ভবন ধসে নিখোঁজ গুলশানে জান্নাত শাবানা। ছবি: সংগৃহীতরেবেকা খাতুন বলেন, ‘ঘটনার দিন সকাল ৯টায় মা চান বানু নাশতা খাওয়ার কথা বলেন। আমি খাইনি, কাজ শেষ করে খাব বলি। এরপর তিন দিন আর খাবার মুখে ওঠেনি। দুর্ঘটনায় অচেতন হয়ে তিন দিন আটকে ছিলাম ওই বিল্ডিংয়ের ধ্বংসস্তূপের নিচে। জ্ঞান ফিরলে দেখি চারদিকে অন্ধকার। বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করি। তৃষ্ণায় বুক ফেটে যাচ্ছিল। নিরুপায় হয়ে গায়ের ঘাম শুষে নেওয়া এবং নিজের মূত্র পান করেছি। এরপর আর কিছুই বলতে পারি না। পরে নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করি। পরে জানাতে পারি আমার দুটি পা ঊরু পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়েছে।’

‘এরই মধ্যে দুই পায়ে আটবার অপারেশন কারা হয়। দীর্ঘ এক বছর ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কর্মহীন হয়ে গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরি। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হলো, ওই দিন আমি আমার মা চান বানু ও দাদি কোহিনুর বেওয়াকে হারিয়েছি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁদের খোঁজ পাইনি।’ বলেন রেবেকা খাতুন।

আক্ষেপ করে রেবেকা খাতুন আরও বলেন, ‘একটা জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দুই পা হারানোরা ব্যক্তিরা ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫ লাখ টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় চিকিৎসাজনিত কারণে ক্ষতিপূরণের ৫ লাখ টাকা কম পেয়েছি। ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পেয়েছি। সেই সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশ প্রতি মাসে ৯ হাজার ১০০ টাকা করে পাই। তা দিয়েই বর্তমানে কোনো রকমে কষ্টে চলে সংসার। অন্যের সাহায্য ছাড়া কিছু করতে পারি না। তাই আমার স্বামীও কাজে যেতে পারে না। আমার পাশেই থাকতে হয় তাকে।’ সেদিনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

মায়ের নিখোঁজ ছবি হাতে সোহানা আফরিন সানু। ছবি: আজকের পত্রিকাসেদিনের দুর্ঘটনায় নিখোঁজ উপজেলার কাজীহাল ইউনয়নের ডাঙ্গা গ্রামের আতাউর রহমানের স্ত্রী গুলশানে জান্নাত শাবানা তখন তখন ২৭ বছরের তরুণী। রানা প্লাজার ষষ্ঠতলায় সুয়িং অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন তিনি। দুর্ঘটনার পর তাঁকেও আর পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের তালিকায় নাম ছিল শাবানার।

কথা হয় শাবানার স্বামী আতাউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাইনি। তবে নিখোঁজ তালিকায় শাবানার নাম থাকায় ১৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছি। কিন্তু পাইনি স্ত্রীকে কিংবা তাঁর মরদেহ। সেদিনের ঘটনায় এলোমেলো হয়ে যায় আমার সাজানো সংসার। মাহারা শিশুদের অনেক কষ্টে লালন-পালন করেছি। স্ত্রীকে হারানোর ব্যথা আজও বয়ে বেড়াই, স্মৃতিগুলো মনে পড়ে।’

আতাউর রহমান বলেন, ‘সে সময় (দুর্ঘটনা) আমাদের ছেলে সাজ্জাদ আহম্মেদ সজীবের বয়স ছিল ৫ বছর। এখন তার বয়স ১৮। সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মেয়ে সোহানা আফরিন সানু ছিল ৩ বছরের, বর্তমানে তার বয়স ১৪। সে বর্তমানে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ছে। আজ তাদের মা থাকলে কত খুশি হতো।’

শাবানার মেয়ে সানু বলে, মায়ের চেহারাটা মনে নেই। মাকে খুব কাছে পেতে ইচ্ছে করে। আজ মা থাকলে কত আদর করত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটের চারটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

বাগেরহাট প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে জানান মনোনয়নপ্রাপ্তরা।

মনোনয়ন পেলেন যাঁরা—বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট) আসনে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল, বাগেরহাট-২-এ (সদর ও কচুয়া) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বাগেরহাট-৩-এ (মোংলা-রামপাল) জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম ও বাগেরহাট-৪-এ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে।

মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা মোবাইল ফোনে তাঁদের মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিপুকে হত্যার পর ঝুলিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৭) পিটিয়ে হত্যা ও হত্যার পর লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এর আগে র‍্যাব বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আজ শনিবার ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. লিমন সরকার (১৯), মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮) ও মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)।

ডিবির হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. আজমল হাসান সগীর (২৬), মো. শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল।

র‍্যাব ও পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঝিনাইদহে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে আরোহী নিহত, বন্ধু আহত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় সড়ক দুর্ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন ভিড় করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় সড়ক দুর্ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন ভিড় করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহ জেলা শহরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে এক আরোহী নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম তানভির হাসান (৩৬)। এ ঘটনায় তাঁর এক বন্ধু আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার ক্যাডেট কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

তানভির হাসান শহরের কালিকাপুর এলাকার আবুল বাসার বিশ্বাসের ছেলে। এ ঘটনায় আকাশ হোসেন নামের আরেক আরোহী আহত হয়েছেন। তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক তানভির হাসান জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বন্ধু আকাশ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঝিনাইদহ শহর থেকে শৈলকুপার দিকে যাচ্ছিল তানভির হাসান। পথিমধ্যে ক্যাডেট কলেজের সামনে সড়কের গতিরোধকে ওঠার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন দুই বন্ধু। এ সময় তানভিরকে একটি গাড়ি এসে চাপা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আহত আকাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠান এবং তানভিরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

তানভিরের বাবা আবুল বাসার বিশ্বাস বলেন, ‘ছেলে তার বন্ধুর মোটরসাইকেল নিয়ে বাইরে বের হয়েছিল। এখন ফিরল লাশ হয়ে। আমার বুক খালি হয়ে গেল।’

আরাপপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় নিহত ও আহত যুবকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। মোটরসাইকেলটি হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাটোরে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগর রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সান্তাহার জিআরপি পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, মাধনগর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে একজন মধ্যবয়সী নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। প্রথমে স্থানীয়রা মনে করেন ওই নারী কোনো কারণে অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন। পরে অনেক সময় কোনো নড়াচড়া না করায় তাঁদের মধ্যে সন্দেহ হলে তাঁরা ওই নারীকে ডেকে তোলার চেষ্টা করেও পারেননি। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে নিশ্চিত হন ওই নারী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সান্তাহার জিআরপি পুলিশ।

সান্তাহার জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, তাঁরা মাধনগর রেলস্টেশনের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে একটি টিম পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। মরদেহের পরিচয় শনাক্তের জন্য কাজ করছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত