Ajker Patrika

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জরাজীর্ণ বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, আতঙ্কে চিকিৎসক-রোগী

  • ১৯৬০ সালে নির্মাণ করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বক্ষব্যাধি ক্লিনিক।
  • ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক-নার্স ও অন্যরা।
  • ল্যাব ও ক্লিনিকে কয়েক কোটি টাকার সরঞ্জাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা।
আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৫
ঝুঁকিপূর্ণ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝুঁকিপূর্ণ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম। ছবি: আজকের পত্রিকা

খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা, বৃষ্টি হলেই ক্লিনিকের চিকিৎসকের কক্ষ ও ল্যাবসহ বিভিন্ন ঘরে ঢোকে পানি। ক্লিনিকের প্রায় সব ঘরের মধ্যে দেখা দিয়েছে ফাটল। বালু-সিমেন্টের আস্তরণ খুলে ঘরগুলোর ছাদ ও দেয়ালের রড বের হয়ে রয়েছে। এমনকি ছাদে ঝোলানো ফ্যানও খসে পড়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেই চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের মিস্ত্রিপাড়া (টিবি হাসপাতাল মোড়) এলাকায় অবস্থিত বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের চিকিৎসাসেবা। ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক-নার্স ও অন্যরা। সম্প্রতি সরকারি এ ক্লিনিকে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনে ফাটল ধরায় ল্যাবের ভেতরে পানি ঢোকায় ক্ষতির মুখে কয়েক কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম। চিকিৎসাসেবা দিতে এসে সর্বক্ষণ আতঙ্কে থাকেন হাসপতালের স্টাফরা। ল্যাব ও ক্লিনিকে কয়েক কোটি টাকার সরঞ্জাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তাঁদের। স্টাফরা বলেন, অফিসে কাজ করতে করতেও অনেক সময় ঢালাই ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। কিন্তু চাকরির প্রয়োজনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এমন অবস্থায় চিকিৎসাসেবা দিতে হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে নির্মাণ করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বক্ষব্যাধি ক্লিনিক। এরপর কয়েক দফায় মেরামত করা হলেও এখন জরাজীর্ণ ও ভঙ্গুর অবস্থায় জেলার একমাত্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিকটি। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্লিনিকের ভবনের বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল, ভেঙে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা।

জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে দুজন চিকিৎসকসহ মোট ১২ জন স্টাফ রয়েছেন। ক্লিনিকটিতে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।

রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বলছেন, পুরোনো ভবন হওয়ায় ভেঙে পড়ছে ঢালাই। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থায় চিকিৎসাসেবা চললেও নতুন ভবন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। চিকিৎসা নিতে এসে আতঙ্কে থাকেন রোগীরা। চিকিৎসাসেবা নিতে এসে ঢালাই পড়ে আহত হওয়ার শঙ্কায় থাকেন রোগী ও স্বজনেরা। কয়েক দশক ধরেই বারবার মেরামত করে এভাবে ঝুঁকি নিয়েই চলছে জেলা টিবি হাসপাতাল।

বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা আমজাদ আলী বলেন, ‘আমি এখানে এক দশক আগে এসেছিলাম। এখনো আসি মাঝেমধ্যে। কিন্তু ১২ বছর ধরেই এমন জোড়াতালি দিয়ে এই হাসপাতালের চিকিৎসা চলছে। খসে খসে পড়ছে ছাদের ঢালাই ও রড। এটা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই।’

স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল রানা বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে এসে সব সময়েই আতঙ্কে থাকতে হয়। ডাক্তারের রুমের অবস্থাও একই। যেকোনো মুহূর্তে বড় চাপ (পলেস্তারা) ভেঙে পড়তে পারে, এমন ভয় নিয়ে অবস্থান করতে হয়। শুনেছি, এ নিয়ে কয়েক দফায় উদ্যোগ নেওয়া হলেও ৬০ বছরের এই পুরোনো ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’

ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিষ মোহাম্মদ সরকার বলেন, ভবনের বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। এতে চিকিৎসকেরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। গতকাল (বুধবার) স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভবনটি পরিদর্শন করে গেছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করার কথা জানিয়েছেন। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবনটি মেরামত করার জন্য।’

এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান বলেন, ভবনটি ১৯৬০-এর দশকে নির্মাণ করা। কয়েক দফায় মেরামতও করা হয়েছে। কিন্তু এখন আর এটি মেরামত করে চালানো সম্ভব নয়। তাই নতুন করে আরেকটি ভবন নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন এ কে এম শাহাবউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটির ভঙ্গুর অবস্থার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এটিই আপাতত মেরামত করে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।

গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’

একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’

স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’

জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গলায় রশি পেঁচানো নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডোবায় নছিমনচালকের লাশ পাওয়া যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।

বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাহাড়ে ভুট্টা চাষে ভালো ফলন পেলেন কৃষক জয়নাল

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৩৩ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক জয়নাল আবেদীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।

উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

জামালপুর প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত