Ajker Patrika

খেয়াঘাটের ইজারায় সেতুর টোল

  • সোমেশ্বরীর দুই পারে অর্ধশতাধিক গ্রাম আর পৌর শহর মিলিয়ে লাখো মানুষের বসবাস
  • গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে সোমেশ্বরী নদীর ওপর নতুন সেতু দিয়ে মানুষ পারাপার হচ্ছে
  • বেসরকারিভাবে তৈরি এ সেতুতে যান চলাচলে আদায় করা হচ্ছে টোল
রাজেশ গৌড়, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা)
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর ওপর নির্মাণ করা কাঠের সেতু দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর ওপর নির্মাণ করা কাঠের সেতু দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেঁষে নেত্রকোনার গারো পাহাড়ি অঞ্চল দুর্গাপুর। পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী উপজেলা সদরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়ায় দুই পারে অর্ধশতাধিক গ্রাম আর পৌর শহর মিলিয়ে লাখো মানুষের বসবাস। এই দুর্গাপুর মায়াবী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হওয়ায় পর্যটকের আগমনও বেশি। এ নদীতে সেতু না থাকায় দুই পারের মানুষ ও পর্যটকদের যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাই এই অঞ্চলে একটি সেতুর দাবি বহুদিনের।

এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ব্যক্তিগত তহবিলে ১৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে নদীর ওপর ৭৫০ ফুটের অস্থায়ী কাঠের সেতু তৈরি করে দিয়েছেন। সম্প্রতি তৈরি করা এ সেতুর ফলে যাতায়াত সহজ হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের জন্য। তবে বেসরকারিভাবে তৈরি এ সেতু থেকে আদায় করা হচ্ছে টোল।

গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে সোমেশ্বরী নদীর ওপর এ সেতু দিয়ে মানুষ পারাপার হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেতুটি পারাপার পথচারীদের জন্য ফ্রি হলেও, গাড়ি পারাপারে টোল নেওয়া হচ্ছে। সেতু এলাকায় টোলের তালিকাসংবলিত সাইনবোর্ডও টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেতু ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে খেয়াঘাটের ইজারায় এ টোল আদায় করা হয় বলেও জানা গেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, নদীর দুই পাড়ে তেরীবাজার ও শিবগঞ্জ বাজারঘাট। বছরের অন্তত ৬ মাসের শুকনো মৌসুমে দুই ঘাটের মাঝখানে প্রায় ১ কিলোমিটার বালুর চর পড়ে। এই চর হেঁটে পরে নৌকায় নদীর কিছুটা পারাপারে মানুষের কষ্টের সীমা ছিল না। কাঠের সেতু হওয়ায় দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হয়েছে। তাঁরা বলেন, কাঠের সেতু নির্মাণের ফলে আপাতত যন্ত্রণার শেষ হয়েছে। তবে এখানে স্থায়ী পাকা সেতু করে সমাধান করতে হবে। না হলে আবারও এসব সমস্যা সৃষ্টি হবে। বর্ষা মৌসুমে আবারও সমস্যায় পড়তে হবে বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।

উপজেলা সদরের বাসিন্দা লোকান্ত শাওন বলেন, ‘তেরীবাজার থেকে শিবগঞ্জ বাজারের দিকে যাইতে মাঝখানের যে বালুর চর পেরোতে হয়, তা আমাদের জন্য ছিল খুবই কষ্টের। এরপর নৌকায় করে নদী পারাপার। বিশেষ করে সঙ্গে মালপত্র থাকলে এই দুর্ভোগের কথা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, এখন কাঠের সেতু হওয়ায় আমাদের যন্ত্রণা অনেকটা শেষ হয়েছে। তবে এখানে স্থায়ী পাকা সেতু করে সমাধান করতে হবে। না হয় আবারও এসব সমস্যা দেখা দেবে। বর্ষা মৌসুমে আবারও সমস্যায় পড়ব।’

শিবগঞ্জের বাসিন্দা খান সুমন বলেন, ‘গাঁওকান্দিয়া, কুল্লাগড়া, কাকৈরগড়া ও বিরিশিরি ইউনিয়নের লাখো মানুষকে যাতায়াত করতে হয় সোমেশ্বরী নদী পাড়ি দিয়েই। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরোলেও আমরা সোমেশ্বরী নদীতে সেতুর অভাবে যে দুঃখ-যন্ত্রণা নিয়ে চলছিলাম, তার কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে এই কাঠের সেতুটি দেওয়ায়।’

গাজীপুর থেকে দুর্গাপুরের সাদামাটিসহ গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে আসেন আজাদ সিকদার। এই পর্যটকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এর আগেও দুর্গাপুরে এসেছি। এখানের মায়াভরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বারবার টানে। কিন্তু যতবার এসেছি সোমেশ্বরী নদী পারাপারে বালুর চর আর নৌকার ঝক্কি ছিল বেশ কষ্টের। এবার কাঠের সেতুটি হওয়ায় অনেকটা সহজে নদী পার হয়ে শিবগঞ্জ বাজারে চলে যেতে পেরেছি। তবে নদীর ওপর একটি পাকা সেতু হওয়া দরকার। এত স্থানীয় মানুষ ও বাইরের ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসেন এখানে। তাঁদের সবার যাতায়াত আরও সহজ করতে পাকা সেতু করা দরকার।’

কেন্দ্রীয় বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘জনকল্যাণে কাজ করাই মানবিক মানুষের চাওয়া-পাওয়া। এ সেতুটি মানুষের কষ্ট সাময়িক সময়ের জন্য হলেও দূর করবে। তাই নিজ উদ্যোগেই কাঠের সেতুটি গড়ে দিয়েছি। সামনে যদি সুযোগ আসে তাহলে এই সোমেশ্বরী নদীতে সবচেয়ে সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন পাকা সেতু তৈরি করে দেব।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, সোমেশ্বরী নদীর ওপর অস্থায়ী কাঠের সেতুটি স্থানীয় ও পর্যটকদের অনেক উপকারে আসছে। নদীটির ওপর পাকা সেতু নির্মাণে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ১৩ এপ্রিল এ খেয়াখাটের ইজারার মেয়াদ শেষ হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৬৭ বছর পর রামেক হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।

এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।

এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।

কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত