Ajker Patrika

নেত্রকোনায় এক নৌকার বিরুদ্ধে ২৯ প্রার্থী 

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৪২
নেত্রকোনায় এক নৌকার বিরুদ্ধে ২৯ প্রার্থী 

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনা সদরসহ তিনটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নে ৯ জন, বারহাট্টা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ১১ জন ও আটপাড়া উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ ইউনিয়নে ৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। এরই মধ্যে সদরসহ তিনটি উপজেলার সকল বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

এই বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন, সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের মো. আনোয়ার হোসেন (আনারস), মৌগাতির এ এফ এম মহিউল ইসলাম খান (ঘোড়া), চল্লিশার মো. আব্দুল জব্বার ফকির (চশমা), দক্ষিণ বিশিউড়ার মো. আবুল কালাম (মোটরসাইকেল), মেদনীর আলহাজ মিজানুর রহমান খান (ঘোড়া), কালিয়ারা গাবরাগাতীর এ আর আলী আজগর খান (ঘোড়া), সিংহের বাংলার মোফাক্কারুল হোসেন (মিলন) (আনারস) ও মো. আলী আহসান (ঘোড়া), ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার (ঘোড়া)। আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নে মো. জহিরুল ইসলাম সামরুজ (চশমা), শুনইয়ে মোহাম্মদ ছানোয়ার উদ্দিন (ঘোড়া) ও মো. কামাল উদ্দিন খান (আনারস), বানিয়াজানে মোহাম্মদ নিজাম ইয়ার খান (ঘোড়া), তেলিগাতীতে মো. সঞ্জুর রহমান (ঘোড়া), দুওজ ইউনিয়নে আসাদুজ্জামান টিপন (চশমা), মো. কায়ছার ইমরান বাবুল (টেলিফোন) ও শাহীন তালুকদার (ঘোড়া), সুখারী ইউনিয়নে মো. কফিল উদ্দিন খোকন তালুকদার (আনারস)। বারহাট্টা উপজেলায় বাউসি ইউনিয়নে জিয়াউর রহমান খোকন (ঢোল), শেখ তারেক হাবিব (চশমা), সাহতায় মো. মিজানুর রহমান (ঘোড়া), বারহাট্টা সদর ইউনিয়নে মনোরঞ্জন সরকার (ঘোড়া) ও মো. সোহেল খান (মোটরসাইকেল), আসমায় মোহাম্মদ আবুল কাশেম (চশমা) ও সাইদুর রহমান খোকন (ঘোড়া), চিরামে মো. আমিরুল ইসলাম (ঘোড়া), সিংধায় আবুল কাশেম (ঘোড়া) ও সন্ধ্যা রানী রায় (মোটরসাইকেল), রায়পুরে আতিকুর রহমান রাজু (মোটরসাইকেল)।

নির্বাচনী ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, অনেক ইউনিয়নেই তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যে কারণে তিনটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সংখ্যা ২৯ এ দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণেও অনেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের মিছিল, সমাবেশ তেমনভাবে দৃশ্যমান না হলেও ভোটাররা বলছেন বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে নৌকার প্রার্থীর। এমনকি কোনো কোনো স্থানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা দুই নম্বর অবস্থানে নাও থাকতে পারে। সেই সুযোগে বিএনপি নির্বাচন না করলেও তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। 

কালিয়ারা গাবড়াগাতি ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটার জানান, আজগর ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান। গেল পাঁচ বছরে কোনো ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ নেই তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা তাঁকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। সুষ্ঠু ভোট হলে এবারও আজগর ভাই চেয়ারম্যান হবেন।

উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন

তবে নৌকার সমর্থনকারীদের কথা ভিন্ন। তারা বলেন, ‘আমরা একটি দল করি। প্রত্যেক দলেরই একটা শৃঙ্খলা থাকা উচিত। যারা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে অবমাননা করে প্রার্থী হয়েছেন তারা ঠিক কাজ করেননি। তারা যদি দল মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গেই কাজ করতেন তাহলে বড় মনের পরিচয় দিতেন।’

ঠাকুরকোনা ইউনিয়নের নৌকা সমর্থনকারী হারেস নামের এক ভোটার জানান, আমরা সব সময়েই নৌকা করি। নৌকায় ভোট দেব। নৌকাই আমাদের কাছে মূল বিষয়। ব্যক্তি বিষয় নয়।

এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল শহীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা দলের চেতনাকে বাদ দিয়ে, বঙ্গবন্ধু কন্যার শেখ হাসিনার নির্দেশকে অমান্য করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তাঁদের সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে। 

আটপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী খায়রুল ইসলাম বলেন, আমার উপজেলার যেসব ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু স্বাক্ষরিত সাময়িক বহিষ্কারের একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। এরপর বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে সে চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান থেকে মেয়র ছিলাম। আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকেই বলতে গেলে দলটির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু কখনো দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করিনি। দল যখন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বর্তমানে দেখছি; টিকিট না পেলেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়। এটা দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’ 
 
প্রসঙ্গত, আগামী ১১ নভেম্বর নেত্রকোনা সদরসহ, বারহাট্টা ও আটপাড়া উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মারা যাওয়ায় এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দৌলতপুরে বাঁশবাগানে পড়ে ছিল কলেজছাত্রের লাশ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৭
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সিয়াম হোসেন (১৭) নামের এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হওয়ার পর আজ মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি বাঁশবাগানে তার লাশ পাওয়া যায়।

সিয়াম দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মধুগাড়ি এলাকার বাসিন্দা। সে গোয়ালগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম সিপুল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে মধুগাড়ি এলাকার শেহালা উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের একটি বাঁশবাগানে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পরে দৌলতপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

মৃত শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি সিয়াম। পরে আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী মিলে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, সকালে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গয়েশ্বর চন্দ্রের আসনে বিএনপির বিদ্রোহী তিন বড় নেতাসহ ১৬ প্রার্থী, শক্ত লড়াইয়ের আভাস

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে গতকাল সোমবার ঢাকা-৩ সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আসন হিসেবে পরিচিত এই আসনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ মোট ১৬ জন এদিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এতে নির্বাচনী মাঠে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে এই আসনে শক্ত লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে, সে আভাসই মিলেছে।

এদিন ঢাকা-২ ও ঢাকা-৩ আসনে ধানের শীষ, দাঁড়িপাল্লা ও হাতপাখা প্রতীকে একজন করে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। পাশাপাশি গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, গণসংহতি আন্দোলন এবং একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের দৌড়ে যুক্ত হন।

গতকাল বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ওমর ফারুকের কাছে তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই দিনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহীনুর ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সুলতান আহমেদ খানও মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এদিন ঢাকা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া বিএনপির একাধিক বিদ্রোহী নেতা ও সমর্থকের উপস্থিতি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিএনপির তিনজন বড় নেতা ও তিনজন সমর্থক রয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও অবিভক্ত কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী নাজিমউদ্দীন মাস্টার, জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবির পল এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেত আলী বাবু। তাঁদের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল কবির পল অনেক দিন ধরে ঢাকা-৩ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ করেছেন। শেষ পর্যন্ত দল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কেই মনোনয়ন দেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন।

এ ছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিএনপির সমর্থকদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়েও এলাকায় কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাজ্জাত হোসেন, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি পাভেল মোল্লার মা পারুল মোল্লাসহ আরও কয়েকজন। বিএনপি নেতাদের একটি অংশের দাবি, কৌশলগত কারণেই এসব প্রার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনী মাঠে রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া একই আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী সাজ্জাদ আল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মোহাম্মদ জাফর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী বাচ্চু ভূঁইয়া, গণফোরামের প্রার্থী মোহাম্মদ রওশন ইয়াজদানি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বেলাল হোসেন, মো. ফারুক, মো. সাজ্জাদ ও মো. শোয়েব মাহমুদ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্রভাবে বিএনপির একাধিক প্রভাবশালী নেতা ও সমর্থকের অংশগ্রহণে ঢাকা-৩ আসনের নির্বাচনী সমীকরণ শুরুতেই জটিল হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী দলের পাশাপাশি বিএনপির ভেতরের এই বহুমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জন্য এবারের নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে এভারকেয়ারের সামনে ভিড়, পুলিশের ব্যারিকেড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এভারকেয়ারের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে বেষ্টনী দিয়ে রেখেছে পুলিশ। এছাড়া র‍্যাব ও বিজিবিসহ আরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে শেষবারের মতো এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নানান পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ছুটে এসেছেন এক পলক দেখতে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে শতশত মানুষ ভিড় জমতে দেখা গেছে। কেউ কেউ তাঁদের নেত্রীকে একপলক দেখার জন্য এসেছেন, কেউ কেউ ভালোবাসার টানে ছুটে এসেছেন।

ঢাকায় থাকা দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই ইতিমধ্যে হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পীরগঞ্জে তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন গাছের মাথা কেটে দিলেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা

পীরগঞ্জ (রংপুর) সংবাদদাতা
সড়কের তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সড়কের তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের পীরগঞ্জে বিদ্যুৎ লাইনের নিরাপত্তার কথা বলে তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলছেন, প্রায় অর্ধশত গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা বা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা ছাড়াই এসব গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব গাছে ফল ধরবে কি না, তা নিয়েও চিন্তিত তাঁরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার খালাশপীর থেকে চতরা সড়কের মঞ্জিলার দরগা হয়ে পত্নীচড়া পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে এবং আশপাশের বসতবাড়ি এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তাল, খেজুর, কলাসহ বিভিন্ন গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার পত্নীচড়া গ্রামের মোস্তফা মিয়া বলেন, ‘এই গাছগুলো আমাদের ছায়া দিত, ফল দিত এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করত। কোনো ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়াই গাছগুলোর মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

ছোট রসুলপুর গ্রামের নুর আমিন বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের নিরাপত্তা অবশ্যই প্রয়োজন, কিন্তু পুরো গাছের মাথা কেটে দেওয়া কোনো সমাধান হতে পারে না। এতে গাছগুলো স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উজিরপুর গ্রামের তাহাজুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক গাছে হয়তো আর ফল ধরবে না। এতে পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।’

এ বিষয়ে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রবিউল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের ঝুঁকি এড়াতেই কাজটি করা হয়েছে।

বড় আলমপুর ইউনিয়নের প্রশাসক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত