ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় ময়মনসিংহে ১৪ মামলায় প্রায় ৪০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এসব ঘটনায় ৫ জন নিহত এবং ৭০ জনের মতো আহত হয়েছেন। নিহত এবং আহত পরিবারের মধ্যে কেউই থানায় অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনায় ময়মনসিংহ সদর, গৌরীপুর এবং ফুলপুরসহ বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৮-২৩ জুলাই পর্যন্ত এসব মামলা করা হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে নগরীর আঠারোবাড়ি বিল্ডিং এলাকায় পার্কিং করা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান রনির গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনার পরদিন গাড়ি চালক মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
একইদিন বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের বাসায় হামলা ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বাদী হয়ে ৬ জন সহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আনন্দ মোহন কলেজে কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর এবং ছাত্রলীগের ওপর হামলার অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্র লীগের আহ্বায়ক শেখ সজল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে।
গত শুক্রবার বিকেলে নগরীর চরপাড়া ও বাইপাস মোড়ে পুলিশ বক্সে আগুন, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী রেদুয়ান হাসান সাগর (১৯) নিহত হন। তিনি নগরীর ভাংগাপুল এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদের ছেলে।
পুলিশের ওপর হামলা ভাঙচুরের এ ঘটনায় পুলিশ কোতোয়ালি মডেল থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় কেউ অভিযোগ না দিলেও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার গৌরীপুরের কলতাপাড়া এলাকায় বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের দুইটি পিকআপ ভ্যান ও তাল্লু স্পিনিং মিলের গোডাউন। করা হয় ভাঙচুর। এ সময় নয় পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন বিক্ষোভকারী মারা যান।
নিহতরা হলেন—গৌরীপুরের কাউরাট গ্রামের আনার উদ্দিনের ছেলে জোবায়ের হোসেন (১৮), দামগাঁও গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. বিপ্লব (১৮) এবং চুড়ালী গ্রামের হেকিম মুন্সীর ছেলে রাকিব হাসান (১৯)।
গৌরীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল ইমরান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং নাশকতার অভিযোগে গত রোববার রাতে পুলিশবাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় শুনেছি তিনজন বিক্ষোভকারী মারা গেছে। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’
গত শনিবার জেলার ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম (৪২) নামের এক সবজি বিক্রেতা মারা যান। তিনি চর ডাকিয়া কান্দাপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে।
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশ বক্সে আগুন এবং নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০০-৭০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ ছাড়া বিজিবির গাড়িতে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
হামলায় পথচারী সাইফুল ইসলাম (৪২) নামে একজন মারা গেছেন। এ বিষয়েও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামীম হোসেন বলেন, নাশকতার অভিযোগে এ পর্যন্ত জেলায় ১৪টি মামলা করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে প্রায় ৪০০০ জনকে। বেশির ভাগ আসামি অজ্ঞাতনামা পরিচয়ে। এর মধ্যে ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশেরও সমর্থন ছিল। কারণ এটা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি। এই আন্দোলনে নাশকতাকারীরা প্রবেশ করে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে পুলিশের ৭০-৮০ জন আহত হয়।
তিনি বলেন, কারা এসব ঘটিয়েছে তারা চিহ্নিত। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। সাধারণ মানুষের ভয়ের কোনো কারণ নেই, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় ময়মনসিংহে ১৪ মামলায় প্রায় ৪০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এসব ঘটনায় ৫ জন নিহত এবং ৭০ জনের মতো আহত হয়েছেন। নিহত এবং আহত পরিবারের মধ্যে কেউই থানায় অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনায় ময়মনসিংহ সদর, গৌরীপুর এবং ফুলপুরসহ বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৮-২৩ জুলাই পর্যন্ত এসব মামলা করা হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে নগরীর আঠারোবাড়ি বিল্ডিং এলাকায় পার্কিং করা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান রনির গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনার পরদিন গাড়ি চালক মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
একইদিন বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের বাসায় হামলা ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বাদী হয়ে ৬ জন সহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আনন্দ মোহন কলেজে কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর এবং ছাত্রলীগের ওপর হামলার অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্র লীগের আহ্বায়ক শেখ সজল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে।
গত শুক্রবার বিকেলে নগরীর চরপাড়া ও বাইপাস মোড়ে পুলিশ বক্সে আগুন, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী রেদুয়ান হাসান সাগর (১৯) নিহত হন। তিনি নগরীর ভাংগাপুল এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদের ছেলে।
পুলিশের ওপর হামলা ভাঙচুরের এ ঘটনায় পুলিশ কোতোয়ালি মডেল থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় কেউ অভিযোগ না দিলেও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার গৌরীপুরের কলতাপাড়া এলাকায় বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের দুইটি পিকআপ ভ্যান ও তাল্লু স্পিনিং মিলের গোডাউন। করা হয় ভাঙচুর। এ সময় নয় পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন বিক্ষোভকারী মারা যান।
নিহতরা হলেন—গৌরীপুরের কাউরাট গ্রামের আনার উদ্দিনের ছেলে জোবায়ের হোসেন (১৮), দামগাঁও গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. বিপ্লব (১৮) এবং চুড়ালী গ্রামের হেকিম মুন্সীর ছেলে রাকিব হাসান (১৯)।
গৌরীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল ইমরান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং নাশকতার অভিযোগে গত রোববার রাতে পুলিশবাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় শুনেছি তিনজন বিক্ষোভকারী মারা গেছে। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’
গত শনিবার জেলার ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম (৪২) নামের এক সবজি বিক্রেতা মারা যান। তিনি চর ডাকিয়া কান্দাপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে।
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশ বক্সে আগুন এবং নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০০-৭০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ ছাড়া বিজিবির গাড়িতে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
হামলায় পথচারী সাইফুল ইসলাম (৪২) নামে একজন মারা গেছেন। এ বিষয়েও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামীম হোসেন বলেন, নাশকতার অভিযোগে এ পর্যন্ত জেলায় ১৪টি মামলা করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে প্রায় ৪০০০ জনকে। বেশির ভাগ আসামি অজ্ঞাতনামা পরিচয়ে। এর মধ্যে ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশেরও সমর্থন ছিল। কারণ এটা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি। এই আন্দোলনে নাশকতাকারীরা প্রবেশ করে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে পুলিশের ৭০-৮০ জন আহত হয়।
তিনি বলেন, কারা এসব ঘটিয়েছে তারা চিহ্নিত। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। সাধারণ মানুষের ভয়ের কোনো কারণ নেই, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।

নরসিংদী জেলা সবজির ভান্ডার নামে সারা দেশে সুপ্রসিদ্ধ। জেলায় এবার সবজির ভরা মৌসুমে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। তবে পাইকারি হাট ও খুচরা বাজারগুলোতে দাম নিম্নমুখী হওয়ায় খরচ ওঠাতে বেগ পেতে হচ্ছে কৃষকদের।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি আজকের (শনিবার) মতো শেষ হয়েছে। রাতে হাদি চত্বরে (শাহবাগ) কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের রহস্য এবং এর সঙ্গে জড়িতদের নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।’
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর ষাট বিঘা চরের সর্বত্র এখন শিয়ালের আতঙ্ক। রাতে বাথানে ঢুকে কামড়াচ্ছে গরু-মহিষ। এক রাতে প্রায় ২০০ গরু এবং তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে বলে জানা গেছে। পরে সকালে দুজনের ওপর আক্রমণ করে তাদের আহত করেছে। এরপরও শিয়ালগুলো দূরে না গিয়ে দল বেঁধে মহড়া দিচ্ছে। কোনো কৃষক হাঁসুয়া কিংবা লাঠি হাতে না নিয়ে মা
৩ ঘণ্টা আগেহারুনূর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী)

নরসিংদী জেলা সবজির ভান্ডার নামে সারা দেশে সুপ্রসিদ্ধ। জেলায় এবার সবজির ভরা মৌসুমে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। তবে পাইকারি হাট ও খুচরা বাজারগুলোতে দাম নিম্নমুখী হওয়ায় খরচ ওঠাতে বেগ পেতে হচ্ছে কৃষকদের।
গতকাল শনিবার সকালে জেলার বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর পাইকারি সবজির হাট ঘুরে দেখা যায়, তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে দূরদূরান্ত থেকে আসা পাইকারেরা কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে সবজি সংগ্রহ করছেন। ভরা মৌসুমে দাম কম থাকায় কৃষকদের মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট।
চাষিদের অভিযোগ, উৎপাদন বেশি ও চাহিদা কম থাকার সুযোগে এক শ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছেন। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা।
জানা গেছে, জেলার রায়পুরা, বেলাব ও শিবপুর উপজেলার সমতল ও উঁচু জমিতে সারা বছর সবজি চাষ হয়। এখানকার উৎপাদিত সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার চাহিদা পূরণ করছে। পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। জেলায় প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত রাধাগঞ্জ, চরসুবুদ্ধি, পুটিয়া, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাহমুদাবাদ নামাপাড়া, জঙ্গি শিবপুর, গুগল নগর, বারৈচা, নারায়ণপুর, মরজালসহ বিভিন্ন স্থানে সাপ্তাহিক পাইকারি হাট বসে। এসব হাটে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে আসা পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণে মুখর থাকে।
পাইকারি বাজারে এ দিন দেখা যায়—আলু (প্রতি কেজি) ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০-৮০, শিম ১০-৪০, বেগুন ৩০-৪০, কাঁচামরিচ ৬০-৭০, পাকা টমেটো ৭০-৭৫, শসা ৪০, করলা ৬০, গাজর ৪০, পেঁপে ২০, মিষ্টিকুমড়া ৩০-৩৫, লাউ ১০-২০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫-১৫ (পিস), লালশাক ১৫ টাকা (আঁটি) ও ধনেপাতা ১০-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে আলু প্রতিকেজি ২৫ টাকা, বেগুন ৪০-৫০, পেঁয়াজ ৮০-৯০, শিম ২০-৫০, কাঁচামরিচ ৮০, পেঁপে ৩০, টমেটো ৮০, শসা ৪০, লাউ ২০-৪০ (পিস), শাকসবজি প্রতি আঁটি ৫-১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কথা হয় কৃষক আবুল মিয়া, কামাল, মজনু মিয়া, স্বপন বিশ্বাস, আব্দুল মালেক, শ্যামল ও কাওছারের সঙ্গে। তাঁরা জানান, দুই সপ্তাহ আগে সবজির ভালো দাম ছিল। বর্তমানে একসঙ্গে বেশি সবজি বাজারে আসায় সরবরাহ বেড়ে গেছে। ফলে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারদর উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এতে উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। কৃষি যন্ত্রপাতি, ডিজেল, সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কৃষি উপকরণের দাম কমাতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।
উত্তর বাখরনগর গ্রামের কৃষক স্বপন বিশ্বাস বলেন, ৪৬ শতক জমিতে সবজি চাষে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। শিম খেতে কুয়াশায় পচন ধরেছে, যা কীটনাশক দিয়েও দূর করা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি। দাম কমে যাওয়ায় লাভ তো দূরের কথা, খরচ তুলতেই কষ্ট হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পাইকার আব্দুর রহিম বলেন, নরসিংদীর হাটগুলো থেকে কেনা সবজি সারা দেশে সরবরাহ হয়। এখন বাজারে সবজির জোগান বেশি।
খুচরা বিক্রেতা কবির মিয়া বলেন, হাটে কম দামে কিনে কম দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, চলতি বছরে নরসিংদীতে সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ হাজার ৪ শ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ১০ হাজার ৫ শ হেক্টরে সবজির চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও চাষিরা বাজারে ভালো দাম পেয়েছেন। বর্তমানে ভরা মৌসুমে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে বাজারে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন।

নরসিংদী জেলা সবজির ভান্ডার নামে সারা দেশে সুপ্রসিদ্ধ। জেলায় এবার সবজির ভরা মৌসুমে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। তবে পাইকারি হাট ও খুচরা বাজারগুলোতে দাম নিম্নমুখী হওয়ায় খরচ ওঠাতে বেগ পেতে হচ্ছে কৃষকদের।
গতকাল শনিবার সকালে জেলার বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর পাইকারি সবজির হাট ঘুরে দেখা যায়, তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে দূরদূরান্ত থেকে আসা পাইকারেরা কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে সবজি সংগ্রহ করছেন। ভরা মৌসুমে দাম কম থাকায় কৃষকদের মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট।
চাষিদের অভিযোগ, উৎপাদন বেশি ও চাহিদা কম থাকার সুযোগে এক শ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছেন। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা।
জানা গেছে, জেলার রায়পুরা, বেলাব ও শিবপুর উপজেলার সমতল ও উঁচু জমিতে সারা বছর সবজি চাষ হয়। এখানকার উৎপাদিত সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার চাহিদা পূরণ করছে। পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। জেলায় প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত রাধাগঞ্জ, চরসুবুদ্ধি, পুটিয়া, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাহমুদাবাদ নামাপাড়া, জঙ্গি শিবপুর, গুগল নগর, বারৈচা, নারায়ণপুর, মরজালসহ বিভিন্ন স্থানে সাপ্তাহিক পাইকারি হাট বসে। এসব হাটে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে আসা পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণে মুখর থাকে।
পাইকারি বাজারে এ দিন দেখা যায়—আলু (প্রতি কেজি) ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০-৮০, শিম ১০-৪০, বেগুন ৩০-৪০, কাঁচামরিচ ৬০-৭০, পাকা টমেটো ৭০-৭৫, শসা ৪০, করলা ৬০, গাজর ৪০, পেঁপে ২০, মিষ্টিকুমড়া ৩০-৩৫, লাউ ১০-২০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫-১৫ (পিস), লালশাক ১৫ টাকা (আঁটি) ও ধনেপাতা ১০-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে আলু প্রতিকেজি ২৫ টাকা, বেগুন ৪০-৫০, পেঁয়াজ ৮০-৯০, শিম ২০-৫০, কাঁচামরিচ ৮০, পেঁপে ৩০, টমেটো ৮০, শসা ৪০, লাউ ২০-৪০ (পিস), শাকসবজি প্রতি আঁটি ৫-১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কথা হয় কৃষক আবুল মিয়া, কামাল, মজনু মিয়া, স্বপন বিশ্বাস, আব্দুল মালেক, শ্যামল ও কাওছারের সঙ্গে। তাঁরা জানান, দুই সপ্তাহ আগে সবজির ভালো দাম ছিল। বর্তমানে একসঙ্গে বেশি সবজি বাজারে আসায় সরবরাহ বেড়ে গেছে। ফলে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারদর উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এতে উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। কৃষি যন্ত্রপাতি, ডিজেল, সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কৃষি উপকরণের দাম কমাতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।
উত্তর বাখরনগর গ্রামের কৃষক স্বপন বিশ্বাস বলেন, ৪৬ শতক জমিতে সবজি চাষে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। শিম খেতে কুয়াশায় পচন ধরেছে, যা কীটনাশক দিয়েও দূর করা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি। দাম কমে যাওয়ায় লাভ তো দূরের কথা, খরচ তুলতেই কষ্ট হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পাইকার আব্দুর রহিম বলেন, নরসিংদীর হাটগুলো থেকে কেনা সবজি সারা দেশে সরবরাহ হয়। এখন বাজারে সবজির জোগান বেশি।
খুচরা বিক্রেতা কবির মিয়া বলেন, হাটে কম দামে কিনে কম দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, চলতি বছরে নরসিংদীতে সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ হাজার ৪ শ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ১০ হাজার ৫ শ হেক্টরে সবজির চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও চাষিরা বাজারে ভালো দাম পেয়েছেন। বর্তমানে ভরা মৌসুমে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে বাজারে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় ময়মনসিংহে ১৪ মামলায় প্রায় ৪০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
২৪ জুলাই ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি আজকের (শনিবার) মতো শেষ হয়েছে। রাতে হাদি চত্বরে (শাহবাগ) কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের রহস্য এবং এর সঙ্গে জড়িতদের নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।’
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর ষাট বিঘা চরের সর্বত্র এখন শিয়ালের আতঙ্ক। রাতে বাথানে ঢুকে কামড়াচ্ছে গরু-মহিষ। এক রাতে প্রায় ২০০ গরু এবং তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে বলে জানা গেছে। পরে সকালে দুজনের ওপর আক্রমণ করে তাদের আহত করেছে। এরপরও শিয়ালগুলো দূরে না গিয়ে দল বেঁধে মহড়া দিচ্ছে। কোনো কৃষক হাঁসুয়া কিংবা লাঠি হাতে না নিয়ে মা
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি আজকের (শনিবার) মতো শেষ হয়েছে। রাতে হাদি চত্বরে (শাহবাগ) কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন পর্যালোচনার পর দুপুর ২টা থেকে ঢাকাসহ ৮ বিভাগে অবরোধ কর্মসূচি চলবে ।

ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি আজকের (শনিবার) মতো শেষ হয়েছে। রাতে হাদি চত্বরে (শাহবাগ) কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন পর্যালোচনার পর দুপুর ২টা থেকে ঢাকাসহ ৮ বিভাগে অবরোধ কর্মসূচি চলবে ।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় ময়মনসিংহে ১৪ মামলায় প্রায় ৪০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
২৪ জুলাই ২০২৪
নরসিংদী জেলা সবজির ভান্ডার নামে সারা দেশে সুপ্রসিদ্ধ। জেলায় এবার সবজির ভরা মৌসুমে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। তবে পাইকারি হাট ও খুচরা বাজারগুলোতে দাম নিম্নমুখী হওয়ায় খরচ ওঠাতে বেগ পেতে হচ্ছে কৃষকদের।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের রহস্য এবং এর সঙ্গে জড়িতদের নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।’
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর ষাট বিঘা চরের সর্বত্র এখন শিয়ালের আতঙ্ক। রাতে বাথানে ঢুকে কামড়াচ্ছে গরু-মহিষ। এক রাতে প্রায় ২০০ গরু এবং তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে বলে জানা গেছে। পরে সকালে দুজনের ওপর আক্রমণ করে তাদের আহত করেছে। এরপরও শিয়ালগুলো দূরে না গিয়ে দল বেঁধে মহড়া দিচ্ছে। কোনো কৃষক হাঁসুয়া কিংবা লাঠি হাতে না নিয়ে মা
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের রহস্য এবং এর সঙ্গে জড়িতদের নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।’
আজ শনিবার রাত ১১টার দিকে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে ডিএমপি কমিশনার বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি হত্যার তদন্ত চলছে। সরকার পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ সব গোয়েন্দা বাহিনীকে এই ঘটনার পেছনে কারা আছে, তা উদ্ঘাটনের জন্য নিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে। তদন্তের স্বার্থে আমি সব বিষয় এখানে বলাটা ঠিক হবে না। তাহলে প্রতিপক্ষ আমাদের রহস্যগুলো জেনে নেবে। তাই যতটুকু সম্ভব তদন্তের যে অংশটুকু বলা যায়, আমি সেগুলো আপনাদের কাছে এখন বলছি। মামলার তদন্ত চলাকালে এ যাবৎ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির, মা হাসি বেগম, স্ত্রী সামিয়া, স্ত্রীর বড় ভাই শিপু, গার্লফ্রেন্ড মারিয়া।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এই তদন্তে যে দুটি পিস্তল ব্যবহার করা হয়, আমরা সেই পিস্তল দুটি উদ্ধার করেছি। সেই পিস্তল দুটি এখন সিআইডিতে সায়েন্টিফিক পরীক্ষার জন্য আছে। সেটা তদন্তের স্বার্থে আমাদের প্রয়োজন। যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে, সেই মোটরসাইকেল ডিবি পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অনেক টাকা ব্যয় করানো হয়। ২১৮ কোটির সই করা চেকও আমরা উদ্ধার করেছি। এটি একটি রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড এবং এর পেছনে অনেকের জড়িত থাকার কথা। এর পেছনে কারা আছে, সেগুলো উদ্ঘাটনের জন্য আমরা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি এবং অনেক ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে।’
শেখ মো. সাজ্জাদ আলী আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী ১০ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ৭ জানুয়ারির মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেব। এই এই মামলাসংক্রান্ত আমার কাছে যে তথ্য আছে আপনাদের দিলাম। তদন্তের যতটুকু প্রকাশ করা যায়, ততটুকুই বললাম। আগামীকাল (রোববার) আরও বিস্তারিতভাবে আপনাদের আমার মিডিয়া সেন্টার থেকে বলবেন। আপনারা নিশ্চয় আমার কথা বুঝতে পেরেছেন, সবাই ধৈর্য ধারণ করুন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচন করে দেব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘শহীদ হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তদন্তের চূড়ান্ত ধাপ প্রায় শেষের পথে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে নির্ভুল ও শক্ত প্রমাণভিত্তিক চার্জশিট দাখিল করা হবে ৭ জানুয়ারির পর।’
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা আরও বলেন, ‘আমি হাদিকে আমার ভাই মনে করতাম, এখনো করি। দেশের তাঁকে আরও অনেক দিন প্রয়োজন ছিল। যেই লোকের মৃত্যুতে ১২ থেকে ১৫ লাখ মানুষ জানাজা পড়ে, সেই মানুষের মৃত্যুর বিচার আসলে একটা জাতীয় কর্তব্য।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো আপনাদের মতোন এখানে বসে নেই। কিন্তু সরকার আমাদের শহীদ হাদিকে যারা খুন করেছে, সে সমস্ত চিহ্নিত খুনির পেছনে যারা ছিল, সকলকে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
শিশু আসিয়া হত্যার বিচারের প্রসঙ্গ তুলে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘আসিয়ার ঘটনায় ছয় কার্যদিবস মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করা গেছিল। কাজেই চার্জশিটটা যাতে আমরা নির্ভুলভাবে দিতে পারি, নিখুঁতভাবে দিতে পারি। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে যাতে কোথাও কোনো ফাঁকফোকর না থাকে। সেটা সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর আমাদের ৭ জানুয়ারির পরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা অবশ্যই করে যাব।’
উপদেষ্টা জানান, অপরাধী যদি পালিয়েও থাকে, তারপরেও আমাদের সর্বান্তঃকরণ চেষ্টা আছে, তাদেরকে যেন আমরা অবশ্যই দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই হাদি হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এই বাংলাদেশের মাটিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার থাকাকালীন আমাদের হাদিকে যারা মেরে ফেলল, তাদের বিচার সম্পন্ন করে যাব।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের রহস্য এবং এর সঙ্গে জড়িতদের নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।’
আজ শনিবার রাত ১১টার দিকে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে ডিএমপি কমিশনার বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি হত্যার তদন্ত চলছে। সরকার পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ সব গোয়েন্দা বাহিনীকে এই ঘটনার পেছনে কারা আছে, তা উদ্ঘাটনের জন্য নিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে। তদন্তের স্বার্থে আমি সব বিষয় এখানে বলাটা ঠিক হবে না। তাহলে প্রতিপক্ষ আমাদের রহস্যগুলো জেনে নেবে। তাই যতটুকু সম্ভব তদন্তের যে অংশটুকু বলা যায়, আমি সেগুলো আপনাদের কাছে এখন বলছি। মামলার তদন্ত চলাকালে এ যাবৎ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির, মা হাসি বেগম, স্ত্রী সামিয়া, স্ত্রীর বড় ভাই শিপু, গার্লফ্রেন্ড মারিয়া।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এই তদন্তে যে দুটি পিস্তল ব্যবহার করা হয়, আমরা সেই পিস্তল দুটি উদ্ধার করেছি। সেই পিস্তল দুটি এখন সিআইডিতে সায়েন্টিফিক পরীক্ষার জন্য আছে। সেটা তদন্তের স্বার্থে আমাদের প্রয়োজন। যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে, সেই মোটরসাইকেল ডিবি পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অনেক টাকা ব্যয় করানো হয়। ২১৮ কোটির সই করা চেকও আমরা উদ্ধার করেছি। এটি একটি রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড এবং এর পেছনে অনেকের জড়িত থাকার কথা। এর পেছনে কারা আছে, সেগুলো উদ্ঘাটনের জন্য আমরা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি এবং অনেক ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে।’
শেখ মো. সাজ্জাদ আলী আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী ১০ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ৭ জানুয়ারির মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেব। এই এই মামলাসংক্রান্ত আমার কাছে যে তথ্য আছে আপনাদের দিলাম। তদন্তের যতটুকু প্রকাশ করা যায়, ততটুকুই বললাম। আগামীকাল (রোববার) আরও বিস্তারিতভাবে আপনাদের আমার মিডিয়া সেন্টার থেকে বলবেন। আপনারা নিশ্চয় আমার কথা বুঝতে পেরেছেন, সবাই ধৈর্য ধারণ করুন। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচন করে দেব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘শহীদ হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তদন্তের চূড়ান্ত ধাপ প্রায় শেষের পথে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে নির্ভুল ও শক্ত প্রমাণভিত্তিক চার্জশিট দাখিল করা হবে ৭ জানুয়ারির পর।’
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা আরও বলেন, ‘আমি হাদিকে আমার ভাই মনে করতাম, এখনো করি। দেশের তাঁকে আরও অনেক দিন প্রয়োজন ছিল। যেই লোকের মৃত্যুতে ১২ থেকে ১৫ লাখ মানুষ জানাজা পড়ে, সেই মানুষের মৃত্যুর বিচার আসলে একটা জাতীয় কর্তব্য।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো আপনাদের মতোন এখানে বসে নেই। কিন্তু সরকার আমাদের শহীদ হাদিকে যারা খুন করেছে, সে সমস্ত চিহ্নিত খুনির পেছনে যারা ছিল, সকলকে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
শিশু আসিয়া হত্যার বিচারের প্রসঙ্গ তুলে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, ‘আসিয়ার ঘটনায় ছয় কার্যদিবস মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করা গেছিল। কাজেই চার্জশিটটা যাতে আমরা নির্ভুলভাবে দিতে পারি, নিখুঁতভাবে দিতে পারি। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে যাতে কোথাও কোনো ফাঁকফোকর না থাকে। সেটা সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর আমাদের ৭ জানুয়ারির পরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা অবশ্যই করে যাব।’
উপদেষ্টা জানান, অপরাধী যদি পালিয়েও থাকে, তারপরেও আমাদের সর্বান্তঃকরণ চেষ্টা আছে, তাদেরকে যেন আমরা অবশ্যই দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই হাদি হত্যার বিচারের আশ্বাস দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এই বাংলাদেশের মাটিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার থাকাকালীন আমাদের হাদিকে যারা মেরে ফেলল, তাদের বিচার সম্পন্ন করে যাব।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় ময়মনসিংহে ১৪ মামলায় প্রায় ৪০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
২৪ জুলাই ২০২৪
নরসিংদী জেলা সবজির ভান্ডার নামে সারা দেশে সুপ্রসিদ্ধ। জেলায় এবার সবজির ভরা মৌসুমে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। তবে পাইকারি হাট ও খুচরা বাজারগুলোতে দাম নিম্নমুখী হওয়ায় খরচ ওঠাতে বেগ পেতে হচ্ছে কৃষকদের।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি আজকের (শনিবার) মতো শেষ হয়েছে। রাতে হাদি চত্বরে (শাহবাগ) কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর ষাট বিঘা চরের সর্বত্র এখন শিয়ালের আতঙ্ক। রাতে বাথানে ঢুকে কামড়াচ্ছে গরু-মহিষ। এক রাতে প্রায় ২০০ গরু এবং তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে বলে জানা গেছে। পরে সকালে দুজনের ওপর আক্রমণ করে তাদের আহত করেছে। এরপরও শিয়ালগুলো দূরে না গিয়ে দল বেঁধে মহড়া দিচ্ছে। কোনো কৃষক হাঁসুয়া কিংবা লাঠি হাতে না নিয়ে মা
৩ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহীর ষাট বিঘা চরের সর্বত্র এখন শিয়ালের আতঙ্ক। রাতে বাথানে ঢুকে কামড়াচ্ছে গরু-মহিষ। এক রাতে প্রায় ২০০ গরু এবং তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে বলে জানা গেছে। পরে সকালে দুজনের ওপর আক্রমণ করে তাদের আহত করেছে। এরপরও শিয়ালগুলো দূরে না গিয়ে দল বেঁধে মহড়া দিচ্ছে। কোনো কৃষক হাঁসুয়া কিংবা লাঠি হাতে না নিয়ে মাঠে যাচ্ছেন না।
ষাট বিঘা চর রাজশাহী শহরের ওপারে। ভারতীয় সীমানা লাগোয়া পদ্মা নদীর এ চরে আগে ৩৮০টি বাড়ি ছিল। পদ্মার ভাঙনে বাড়ির সংখ্যা কমতে কমতে এখন মাত্র চারটিতে দাঁড়িয়েছে। এই গ্রামের কিছুটা দূরে বালুচরে বাথান করে গরু-মহিষ রাখা হয়। সেখানে মানুষ থাকে না। ২০ ডিসেম্বর রাতে ওই বাথানেই হামলা করে শিয়ালের দল। তারা কয়েকটি বাথানের ভেতর ঢুকে প্রায় ২০০ গরু ও তিনটি মহিষকে কামড়ে জখম করে।
ষাট বিঘা চরের বাসিন্দা আফসার আলী ঝুড়ি বিক্রি করেন। পরদিন সকালে তিনি ঝুড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে তাঁর চাচাশ্বশুর আক্কাস আলীও ছিলেন। একটি শিয়াল এসে প্রথমে আফসারকে আক্রমণ করে। তখন আফসারকে বাঁচাতে হাতের হাঁসুয়া দিয়ে শিয়ালকে আক্রমণ করতে যান আক্কাস। এ সময় আক্কাস আলীর হাতের মাংস তুলে নেয় শিয়ালটি। আর আফসারের ঠোঁট এবং একটি আঙুল জখম করে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নেন আহত দুজন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ষাট বিঘা চরে গরুর বাথানে গিয়ে কথা হয় মাজারদিয়াড় চরের বাসিন্দা আসলাম আলী সঙ্গে। তিনি জানান, শিয়ালগুলো সব গরুর মুখে কামড়েছে। আক্রমণের পর সব গরু বাথান থেকে বের হয়ে যায়। সকালে ফসলের খেতে গরু চরে বেড়াচ্ছে শুনে তাঁরা ছুটে আসেন। এসে দেখেন, বেশির ভাগ গরুর মুখে জখম। যেসব বাথানের দরজায় জাল দেওয়া ছিল, শিয়াল শুধু সে বাথানগুলোয় ঢোকেনি। অন্য সব বাথানে ঢুকে গরুকে জখম করেছে।
একটি বাথানের মোট ১১৬টি গরু ও তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড় দেয় বলে জানালেন বাথান মালিক মো. সিজান। তিনি জানান, তাঁর তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে। এ ছাড়া ৪০টি গরুর মধ্যে ২৬টি, আসলামের ২৬টি গরুর মধ্যে ১১টি, কাজিমের ৪০টি গরুর মধ্যে ১৮টি, সুজনের ৩০টি গরুর মধ্যে ২০টি, মাহাবুলের ২৯টি গরুর সব কটি এবং রিপনের ১৫টি গরুর মধ্যে ১২টিকে শিয়াল কামড়েছে। সিজান জানান, পরদিন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের চিকিৎসক দল আহত গরুগুলোকে ভ্যাকসিন দিতে আসেন। তখনো বাথানের চারপাশে কয়েকটি শিয়াল মহড়া দিচ্ছিল। তেড়ে গেলেও তারা দূরে সরছিল না। শিয়ালের এমন আচরণে তারা আতঙ্কিত। ভয়ে ভয়ে গরু চরাচ্ছেন।
দুপুরে ষাট বিঘা চরে আফসার আলীর বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তার ঠোঁটে ও হাতের আঙুলে শিয়ালের কামড়ের জখম। কয়েক দিন ধরে তিনি ঝুড়ি বিক্রি করতে যেতে পারেননি। আফসার আলী বলেন, শিয়াল সব বাঘের মতো হয়ে গেছে। লাফ দিয়ে এসে আমার ঠোঁটে আক্রমণ করে। তাঁর চাচাশ্বশুরের হাতে হাঁসুয়া না থাকলে শিয়াল তাঁদের হয়তো মেরেই ফেলত।

গ্রামে কুকুরের দেখা পাওয়া গেল না। তবে মুরগি ও ভেড়ার ডাকাডাকি শুনলেই আফসারের স্ত্রী ফাহিমা বেগম একটু পরপর ‘আই তু’ বলে কুকুর ডাকছিলেন। তিনি জানান, প্রচুর শিয়াল হয়েছে। একটু খেয়াল না করলে মুরগি নিয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে তাঁদের কয়েকটি মুরগি নিয়ে গেছে। একটি ছাগল ও একটি ভেড়াও শিয়ালের পেটে গেছে।
ফাহিমা জানান, তাঁর স্বামী ও চাচার ওপর হামলার পর কয়েকটি শিয়াল গ্রামের চারজনকে ধাওয়া দেয়। তাঁরা নদীর পানিতে নেমে পড়ায় রক্ষা পান। পরে সেখানে আরও লোকজন জড়ো হয়ে একটি শিয়ালকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। তারপরও শিয়াল বাড়ির পাশে ঘুর ঘুর করছে।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই বাড়ির দুপাশে চারটি শিয়ালকে দেখা যায়। আফসারের প্রতিবেশী আবুল কালাম জানালেন, আফসার ও আক্কাসের ওপর হামলার পর একটি শিয়াল তাঁর পাশ দিয়ে হেঁটে যায়। তখন শিয়ালটির মুখে রক্ত ছিল। তার পাশে এসেই শিয়ালটি মাটিতে মুখের রক্ত মোছে।
গ্রামের কৃষক সুজন আলী জানান, বাথানে তাঁর ২০টি গরুকে জখম করে শিয়াল। তিন দিন আগে মাঠের মধ্যে একটা গরুকে একা পেয়ে চারটি শিয়াল ঘিরে ধরেছিল। পরে সবাই মিলে গিয়ে গরুটি রক্ষা করেন। এখন ভয়ে লাঠি ছাড়া লোকজন মাঠে কাজে যাচ্ছে না।
কথা হয় মাজারদিয়াড় গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নানের সঙ্গে। তিনি বলেন, শিয়ালের কোনো দোষ নেই। আগের দিন খানপুরের রাখালেরা একটি শিয়ালকে পিটিয়ে মারে। তখন চারটি শিয়াল দূরে দাঁড়িয়ে দেখে। এরপর রাতেই বাথানে আক্রমণ হয়। শিয়াল এভাবে প্রতিশোধ নিয়েছে।
গ্রামের গরুর রাখালেরা অবশ্য শিয়াল হত্যার অভিযোগ স্বীকার করছেন না। তাঁরা দাবি করছেন, আগের দিন সাঁওতালদের একটি দল এসে জঙ্গলে বুনো শুয়োর, ইঁদুর ও খরগোশ ধরতে অভিযান চালায়। তারা একটি শিয়ালের বাচ্চাও ধরে নিয়ে যায়। এ কারণেই শিয়ালেরা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা শুরু করেছে। এখন মাঠে গরু চরাতেই তাঁরা ভয় পাচ্ছেন।
চরে মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করেন মো. শাকিল। তিনি জানান, কয়েক দিন আগে তাঁর সামনে দুটি শিয়াল এসে দাঁড়িয়েছিল। ভয় পেয়ে তিনি দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। গোটা চরের মানুষ এখন শিয়ালের আতঙ্কে রয়েছেন। কাউকে একা পেলেই শিয়াল তাড়া করছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতোয়ার রহমান জানান, বাথানে শিয়ালের আক্রমণের খবর পেয়ে তাঁদের চিকিৎসক দল পাঠিয়েছিলেন। গরুগুলোকে ইতিমধ্যে দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আরও তিন ডোজ করে দরকার। এত ভ্যাকসিন তাঁদের নেই। এ জন্য জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি জেলা পরিষদ থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করতে চেয়েছেন। তাঁরা বাকি তিন ডোজ ভ্যাকসিনও দেবেন।
পবা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল লতিফ জানান, পরদিনই তাঁরা ভ্যাকসিন দিতে যান। মুখে জখম রয়েছে এমন দেখে দেখে তাঁরা ২০০টি গরুকে ভ্যাকসিন দিয়েছেন। বাথানে প্রায় ৬০০ গরু ছিল। এগুলোর মধ্যে প্রায় ২০০ গরুকে শিয়াল জখম করে। ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে তিনি নিজেই দেখেছেন যে শিয়াল মানুষকেও আক্রমণ করছে।
শিয়ালের এমন আচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি ব্যবস্থাপনা বিভাগের রাজশাহীর বন্য প্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, শিয়ালের প্রজনন মৌসুম ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি। এই সময় শিয়ালদের কেউ বিরক্ত করলে তারা এমন আচরণ করতে পারে। তা ছাড়া আবাসস্থল ও খাবারের অভাব শিয়ালের ক্ষুব্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ।

রাজশাহীর ষাট বিঘা চরের সর্বত্র এখন শিয়ালের আতঙ্ক। রাতে বাথানে ঢুকে কামড়াচ্ছে গরু-মহিষ। এক রাতে প্রায় ২০০ গরু এবং তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে বলে জানা গেছে। পরে সকালে দুজনের ওপর আক্রমণ করে তাদের আহত করেছে। এরপরও শিয়ালগুলো দূরে না গিয়ে দল বেঁধে মহড়া দিচ্ছে। কোনো কৃষক হাঁসুয়া কিংবা লাঠি হাতে না নিয়ে মাঠে যাচ্ছেন না।
ষাট বিঘা চর রাজশাহী শহরের ওপারে। ভারতীয় সীমানা লাগোয়া পদ্মা নদীর এ চরে আগে ৩৮০টি বাড়ি ছিল। পদ্মার ভাঙনে বাড়ির সংখ্যা কমতে কমতে এখন মাত্র চারটিতে দাঁড়িয়েছে। এই গ্রামের কিছুটা দূরে বালুচরে বাথান করে গরু-মহিষ রাখা হয়। সেখানে মানুষ থাকে না। ২০ ডিসেম্বর রাতে ওই বাথানেই হামলা করে শিয়ালের দল। তারা কয়েকটি বাথানের ভেতর ঢুকে প্রায় ২০০ গরু ও তিনটি মহিষকে কামড়ে জখম করে।
ষাট বিঘা চরের বাসিন্দা আফসার আলী ঝুড়ি বিক্রি করেন। পরদিন সকালে তিনি ঝুড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে তাঁর চাচাশ্বশুর আক্কাস আলীও ছিলেন। একটি শিয়াল এসে প্রথমে আফসারকে আক্রমণ করে। তখন আফসারকে বাঁচাতে হাতের হাঁসুয়া দিয়ে শিয়ালকে আক্রমণ করতে যান আক্কাস। এ সময় আক্কাস আলীর হাতের মাংস তুলে নেয় শিয়ালটি। আর আফসারের ঠোঁট এবং একটি আঙুল জখম করে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নেন আহত দুজন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ষাট বিঘা চরে গরুর বাথানে গিয়ে কথা হয় মাজারদিয়াড় চরের বাসিন্দা আসলাম আলী সঙ্গে। তিনি জানান, শিয়ালগুলো সব গরুর মুখে কামড়েছে। আক্রমণের পর সব গরু বাথান থেকে বের হয়ে যায়। সকালে ফসলের খেতে গরু চরে বেড়াচ্ছে শুনে তাঁরা ছুটে আসেন। এসে দেখেন, বেশির ভাগ গরুর মুখে জখম। যেসব বাথানের দরজায় জাল দেওয়া ছিল, শিয়াল শুধু সে বাথানগুলোয় ঢোকেনি। অন্য সব বাথানে ঢুকে গরুকে জখম করেছে।
একটি বাথানের মোট ১১৬টি গরু ও তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড় দেয় বলে জানালেন বাথান মালিক মো. সিজান। তিনি জানান, তাঁর তিনটি মহিষকে শিয়াল কামড়েছে। এ ছাড়া ৪০টি গরুর মধ্যে ২৬টি, আসলামের ২৬টি গরুর মধ্যে ১১টি, কাজিমের ৪০টি গরুর মধ্যে ১৮টি, সুজনের ৩০টি গরুর মধ্যে ২০টি, মাহাবুলের ২৯টি গরুর সব কটি এবং রিপনের ১৫টি গরুর মধ্যে ১২টিকে শিয়াল কামড়েছে। সিজান জানান, পরদিন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের চিকিৎসক দল আহত গরুগুলোকে ভ্যাকসিন দিতে আসেন। তখনো বাথানের চারপাশে কয়েকটি শিয়াল মহড়া দিচ্ছিল। তেড়ে গেলেও তারা দূরে সরছিল না। শিয়ালের এমন আচরণে তারা আতঙ্কিত। ভয়ে ভয়ে গরু চরাচ্ছেন।
দুপুরে ষাট বিঘা চরে আফসার আলীর বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তার ঠোঁটে ও হাতের আঙুলে শিয়ালের কামড়ের জখম। কয়েক দিন ধরে তিনি ঝুড়ি বিক্রি করতে যেতে পারেননি। আফসার আলী বলেন, শিয়াল সব বাঘের মতো হয়ে গেছে। লাফ দিয়ে এসে আমার ঠোঁটে আক্রমণ করে। তাঁর চাচাশ্বশুরের হাতে হাঁসুয়া না থাকলে শিয়াল তাঁদের হয়তো মেরেই ফেলত।

গ্রামে কুকুরের দেখা পাওয়া গেল না। তবে মুরগি ও ভেড়ার ডাকাডাকি শুনলেই আফসারের স্ত্রী ফাহিমা বেগম একটু পরপর ‘আই তু’ বলে কুকুর ডাকছিলেন। তিনি জানান, প্রচুর শিয়াল হয়েছে। একটু খেয়াল না করলে মুরগি নিয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে তাঁদের কয়েকটি মুরগি নিয়ে গেছে। একটি ছাগল ও একটি ভেড়াও শিয়ালের পেটে গেছে।
ফাহিমা জানান, তাঁর স্বামী ও চাচার ওপর হামলার পর কয়েকটি শিয়াল গ্রামের চারজনকে ধাওয়া দেয়। তাঁরা নদীর পানিতে নেমে পড়ায় রক্ষা পান। পরে সেখানে আরও লোকজন জড়ো হয়ে একটি শিয়ালকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। তারপরও শিয়াল বাড়ির পাশে ঘুর ঘুর করছে।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই বাড়ির দুপাশে চারটি শিয়ালকে দেখা যায়। আফসারের প্রতিবেশী আবুল কালাম জানালেন, আফসার ও আক্কাসের ওপর হামলার পর একটি শিয়াল তাঁর পাশ দিয়ে হেঁটে যায়। তখন শিয়ালটির মুখে রক্ত ছিল। তার পাশে এসেই শিয়ালটি মাটিতে মুখের রক্ত মোছে।
গ্রামের কৃষক সুজন আলী জানান, বাথানে তাঁর ২০টি গরুকে জখম করে শিয়াল। তিন দিন আগে মাঠের মধ্যে একটা গরুকে একা পেয়ে চারটি শিয়াল ঘিরে ধরেছিল। পরে সবাই মিলে গিয়ে গরুটি রক্ষা করেন। এখন ভয়ে লাঠি ছাড়া লোকজন মাঠে কাজে যাচ্ছে না।
কথা হয় মাজারদিয়াড় গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নানের সঙ্গে। তিনি বলেন, শিয়ালের কোনো দোষ নেই। আগের দিন খানপুরের রাখালেরা একটি শিয়ালকে পিটিয়ে মারে। তখন চারটি শিয়াল দূরে দাঁড়িয়ে দেখে। এরপর রাতেই বাথানে আক্রমণ হয়। শিয়াল এভাবে প্রতিশোধ নিয়েছে।
গ্রামের গরুর রাখালেরা অবশ্য শিয়াল হত্যার অভিযোগ স্বীকার করছেন না। তাঁরা দাবি করছেন, আগের দিন সাঁওতালদের একটি দল এসে জঙ্গলে বুনো শুয়োর, ইঁদুর ও খরগোশ ধরতে অভিযান চালায়। তারা একটি শিয়ালের বাচ্চাও ধরে নিয়ে যায়। এ কারণেই শিয়ালেরা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা শুরু করেছে। এখন মাঠে গরু চরাতেই তাঁরা ভয় পাচ্ছেন।
চরে মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করেন মো. শাকিল। তিনি জানান, কয়েক দিন আগে তাঁর সামনে দুটি শিয়াল এসে দাঁড়িয়েছিল। ভয় পেয়ে তিনি দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। গোটা চরের মানুষ এখন শিয়ালের আতঙ্কে রয়েছেন। কাউকে একা পেলেই শিয়াল তাড়া করছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতোয়ার রহমান জানান, বাথানে শিয়ালের আক্রমণের খবর পেয়ে তাঁদের চিকিৎসক দল পাঠিয়েছিলেন। গরুগুলোকে ইতিমধ্যে দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আরও তিন ডোজ করে দরকার। এত ভ্যাকসিন তাঁদের নেই। এ জন্য জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি জেলা পরিষদ থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করতে চেয়েছেন। তাঁরা বাকি তিন ডোজ ভ্যাকসিনও দেবেন।
পবা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল লতিফ জানান, পরদিনই তাঁরা ভ্যাকসিন দিতে যান। মুখে জখম রয়েছে এমন দেখে দেখে তাঁরা ২০০টি গরুকে ভ্যাকসিন দিয়েছেন। বাথানে প্রায় ৬০০ গরু ছিল। এগুলোর মধ্যে প্রায় ২০০ গরুকে শিয়াল জখম করে। ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে তিনি নিজেই দেখেছেন যে শিয়াল মানুষকেও আক্রমণ করছে।
শিয়ালের এমন আচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি ব্যবস্থাপনা বিভাগের রাজশাহীর বন্য প্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, শিয়ালের প্রজনন মৌসুম ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি। এই সময় শিয়ালদের কেউ বিরক্ত করলে তারা এমন আচরণ করতে পারে। তা ছাড়া আবাসস্থল ও খাবারের অভাব শিয়ালের ক্ষুব্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় ময়মনসিংহে ১৪ মামলায় প্রায় ৪০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
২৪ জুলাই ২০২৪
নরসিংদী জেলা সবজির ভান্ডার নামে সারা দেশে সুপ্রসিদ্ধ। জেলায় এবার সবজির ভরা মৌসুমে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। তবে পাইকারি হাট ও খুচরা বাজারগুলোতে দাম নিম্নমুখী হওয়ায় খরচ ওঠাতে বেগ পেতে হচ্ছে কৃষকদের।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি আজকের (শনিবার) মতো শেষ হয়েছে। রাতে হাদি চত্বরে (শাহবাগ) কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের রহস্য এবং এর সঙ্গে জড়িতদের নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য, আরও যারা পেছনে আছে, সবার নাম এবং ঠিকানা উন্মোচিত করে দেব।’
২ ঘণ্টা আগে