Ajker Patrika

ময়মনসিংহে ১৪ মামলায় আসামি ৪ হাজার, গ্রেপ্তার ১২২ 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে ১৪ মামলায় আসামি ৪ হাজার, গ্রেপ্তার ১২২ 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় ময়মনসিংহে ১৪ মামলায় প্রায় ৪০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এসব ঘটনায় ৫ জন নিহত এবং ৭০ জনের মতো আহত হয়েছেন। নিহত এবং আহত পরিবারের মধ্যে কেউই থানায় অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনায় ময়মনসিংহ সদর, গৌরীপুর এবং ফুলপুরসহ বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৮-২৩ জুলাই পর্যন্ত এসব মামলা করা হয়।

গত শুক্রবার বিকেলে নগরীর আঠারোবাড়ি বিল্ডিং এলাকায় পার্কিং করা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান রনির গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনার পরদিন গাড়ি চালক মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

একইদিন বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের বাসায় হামলা ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বাদী হয়ে ৬ জন সহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। 

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আনন্দ মোহন কলেজে কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর এবং ছাত্রলীগের ওপর হামলার অভিযোগে কলেজ শাখা ছাত্র লীগের আহ্বায়ক শেখ সজল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে। 

গত শুক্রবার বিকেলে নগরীর চরপাড়া ও বাইপাস মোড়ে পুলিশ বক্সে আগুন, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী রেদুয়ান হাসান সাগর (১৯) নিহত হন। তিনি নগরীর ভাংগাপুল এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদের ছেলে। 

পুলিশের ওপর হামলা ভাঙচুরের এ ঘটনায় পুলিশ কোতোয়ালি মডেল থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় কেউ অভিযোগ না দিলেও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। 

গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার গৌরীপুরের কলতাপাড়া এলাকায় বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের দুইটি পিকআপ ভ্যান ও তাল্লু স্পিনিং মিলের গোডাউন। করা হয় ভাঙচুর। এ সময় নয় পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন বিক্ষোভকারী মারা যান। 

নিহতরা হলেন—গৌরীপুরের কাউরাট গ্রামের আনার উদ্দিনের ছেলে জোবায়ের হোসেন (১৮), দামগাঁও গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. বিপ্লব (১৮) এবং চুড়ালী গ্রামের হেকিম মুন্সীর ছেলে রাকিব হাসান (১৯)। 

গৌরীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল ইমরান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং নাশকতার অভিযোগে গত রোববার রাতে পুলিশবাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় শুনেছি তিনজন বিক্ষোভকারী মারা গেছে। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’ 

গত শনিবার জেলার ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম (৪২) নামের এক সবজি বিক্রেতা মারা যান। তিনি চর ডাকিয়া কান্দাপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে। 

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশ বক্সে আগুন এবং নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। 

পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০০-৭০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

এ ছাড়া বিজিবির গাড়িতে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। 

হামলায় পথচারী সাইফুল ইসলাম (৪২) নামে একজন মারা গেছেন। এ বিষয়েও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামীম হোসেন বলেন, নাশকতার অভিযোগে এ পর্যন্ত জেলায় ১৪টি মামলা করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে প্রায় ৪০০০ জনকে। বেশির ভাগ আসামি অজ্ঞাতনামা পরিচয়ে। এর মধ্যে ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ। 

ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশেরও সমর্থন ছিল। কারণ এটা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি। এই আন্দোলনে নাশকতাকারীরা প্রবেশ করে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে পুলিশের ৭০-৮০ জন আহত হয়। 

তিনি বলেন, কারা এসব ঘটিয়েছে তারা চিহ্নিত। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। সাধারণ মানুষের ভয়ের কোনো কারণ নেই, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক আনিস আলমগীর এখনো ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে সেখানে ডেকে নেওয়া হয়।

আজ সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আনিস আলমগীরের ডিবি কার্যালয়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিবি সদস্যরা তাঁকে সেখানে নিয়ে যান। রাজধানীর ধানমন্ডির একটি জিম থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন আনিস আলমগীর।

ডিবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়েই রয়েছেন। তাঁর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা এখনো জানানো হয়নি।

এদিকে সাংবাদিক আনিস আলমগীর এবং অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।

থানায় দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছেন।

এতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের কারণে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে। ফলস্বরূপ তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, এটি সাইবার-সম্পর্কিত একটি ইস্যু। তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযোগ গ্রহণ করেছি। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এখন ঢাকায়

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২৩
ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিতে ঢাকায় পৌঁছেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: ফ্লাইটর‍্যাডার২৪
ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিতে ঢাকায় পৌঁছেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: ফ্লাইটর‍্যাডার২৪

রাজধানীর এয়ারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য ঢাকায় এসেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুর থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাগিব সামাদ আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ বেলা ১১টা ২২ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সড়কপথে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে বিমানবন্দরে নেওয়া হবে এবং সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে।

ওসমান হাদির বড় দুই ভাই—ওমর ফারুক এবং আবু বকর সিদ্দিক—তাঁর সঙ্গে বিদেশ যাওয়ার কথা রয়েছে। দুপুরের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

এরপর গতকাল রোববার ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ (গতকাল রোববার) এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।

আগামীকাল (আজ সোমবার) দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল এবং ভ্রমণসংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ওসমান হাদির চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধভাবে সার মজুত: ব্যবসায়ীকে ৭ দিনের কারাদণ্ড, ৭৬৬ বস্তা জব্দ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
সারগুলো জব্দ করে গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সারগুলো জব্দ করে গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুত রাখার অভিযোগে এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে দুটি গুদাম থেকে ৭৬৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে এবং গুদাম দুটি সিলগালা করা হয়েছে।

রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বড় খোঁচাবাড়ি বাজারের পেছনে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম। অভিযানে আব্দুল্লাহ নামের ওই কীটনাশক ব্যবসায়ীর দুটি গুদামে অবৈধভাবে মজুত রাখা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার পাওয়া যায়।

সারগুলো জব্দ করে গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সারগুলো জব্দ করে গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আব্দুল্লাহকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ করা ৭৬৬ বস্তা সার গুদামে রেখে সিলগালা করা হয়েছে।

ইউএনও মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। জব্দকৃত সার কিছুদিন পর কৃষি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ন্যায্যমূল্যে উন্মুক্ত বাজারে বিক্রি করা হবে। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতা, কমছে বিদ্যুৎ উৎপাদন

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র—কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন কমছে। পানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে গড়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।

কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় উৎপাদন সীমিত রাখা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিট থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমতে থাকায় বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে মাত্র একটি ইউনিট চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে। রুল কার্ভ অনুযায়ী এই সময়ে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর থাকার কথা ১০৪ দশমিক ৮০ ফুট (মিন সি লেভেল)। কিন্তু রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত হ্রদের পানির স্তর নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৯০ ফুটে।’

তিনি আরও বলেন, পানির স্তর যদি আরও কমে যায়, তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত