মাহবুব-উল-আহসান উল্লাস, খোকসা (কুষ্টিয়া)

গ্রামের পিচঢালা সরু রাস্তা। এই রাস্তা ধরে যতই গ্রামের ভেতরে এগোনো যায় দেখা মেলে দুই পাশে জন্মানো শুধু সবজি আর সবজি। নানা জাতের সবজিতে ভরে আছে পুরো গ্রাম। শুধু জমিতেই নয়, গ্রামের কৃষকদের বাড়ির আঙিনায়, ঘরের চালে, গাছে গাছে ঝুলে আছে নানা জাতের সবজি। এমনই দৃশ্য চোখে পড়বে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাতেলডাঙির নিরাপদ সবজি গ্রামের। উপজেলায় গ্রামটি নিরাপদ সবজির গ্রাম নামেই পরিচিত।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাতেলডাঙি গ্রামটি নিরাপদ সবজি গ্রাম নামে পরিচিত। খোকসা বাসস্ট্যান্ড থেকে এ গ্রামের দূরত্ব ১ কিলোমিটার। এখানকার পরিবারগুলো সবজি চাষের ওপর নির্ভরশীল। বংশ পরম্পরায় ১৫ বছর ধরে তাঁরা সবজি চাষ করছেন। এ বছর এ গ্রামে ২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে সবজি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের কৃষকেরা ব্যস্ত সবজিখেতে। কেউ সবজি খেতে গোড়ায় নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউ চাষের জমি তৈরি করছেন, কেউবা জমিতে সেচ দিচ্ছেন। যা গ্রামটির নামের সঙ্গে চমৎকার মিল পাওয়া যায়। কৃষকেরা মাঠের পর মাঠ ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, পটল, টমেটো, পালং শাক, মরিচ, শিম, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। কোনো কোনো মাঠে দেখা যায়, কৃষকেরা সবজি তুলে বাজারে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এখান থেকে গাড়িবোঝাই করে সবজি কিনে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে কৃষক অতুল পরামানিক (৬৫) বলেন, নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য এখন আমরা জমিতে জৈবসার, গোবর, বিষটোপ, জৈব কীটনাশক, হলুদ ট্র্যাপ, সেক্স ফেরোমন ট্র্যাপ ব্যবহার করছি। আগে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতাম।
এবার আড়াই বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করছেন চৈতন্য মোদক (৬৫)। ৪০ বছর যাবৎ সবজি চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত বছর সেচ দিতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৬০০ টাকা। কিন্তু তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা। এমনিভাবে গত বছর পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ দিতে বিঘা প্রতি খরচ হতো ৬০০ টাকা। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা। কিন্তু সে তুলনায় সবজির দাম বাড়েনি। এ জন্য আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি।
পাতেলডাঙি গ্রামে সবজি চাষি হাতেম খাঁ (৬০) এ বছর ২ বিঘা ৮ কাঠা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এক সময় গ্রামটি ধান চাষের ওপর নির্ভর ছিল। কিন্তু ধান চাষে লোকসান দেখে পরবর্তীতে গ্রামের লোকজন বিষমুক্ত সবজি চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। গ্রামের বেশির ভাগ কৃষকই এখন সবজি চাষ করেন। সবজি চাষ করে অধিকাংশ চাষি লাভের মুখ দেখছেন। সবজিগুলো বিষমুক্ত হওয়ার কারণে এই গ্রামের সবজির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
পাতেলডাঙি গ্রামের সুকুমার মণ্ডল ও মিঠুন শেখ অন্যের জমিতে কাজ করে দেন। প্রতিদিন তাঁরা ৩০০ টাকা করে হাজিরা পান। তাঁরা বলেন, ধান, পাট, গমে লোকসান গুনতে গুনতে কৃষক যখন দিশেহারা তখন বিকল্প উপায়ে সবজি চাষ বেছে নিয়েছেন। কৃষকেরা এখন সবজি চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ গ্রামের বিষমুক্ত সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা বলেন, পাতেলডাঙি গ্রামে কৃষকেরা ১৫ বছর ধরে নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। এ বছর এই গ্রামে ২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে। বর্তমানে ৫৫ জন কৃষক বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। নিরাপদ সবজি চাষের জন্য কৃষকদের পরিবেশবান্ধব কৌশল শিখিয়ে দিতে গ্রামে একটি ‘কৃষক মাঠ স্কুল’ খোলা হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এ গ্রামে উপজেলা কৃষি অফিস থেকেও নতুন নতুন সবজির প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, পটল, টমেটো, পালং শাক, মরিচ, শিম, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।

গ্রামের পিচঢালা সরু রাস্তা। এই রাস্তা ধরে যতই গ্রামের ভেতরে এগোনো যায় দেখা মেলে দুই পাশে জন্মানো শুধু সবজি আর সবজি। নানা জাতের সবজিতে ভরে আছে পুরো গ্রাম। শুধু জমিতেই নয়, গ্রামের কৃষকদের বাড়ির আঙিনায়, ঘরের চালে, গাছে গাছে ঝুলে আছে নানা জাতের সবজি। এমনই দৃশ্য চোখে পড়বে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাতেলডাঙির নিরাপদ সবজি গ্রামের। উপজেলায় গ্রামটি নিরাপদ সবজির গ্রাম নামেই পরিচিত।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাতেলডাঙি গ্রামটি নিরাপদ সবজি গ্রাম নামে পরিচিত। খোকসা বাসস্ট্যান্ড থেকে এ গ্রামের দূরত্ব ১ কিলোমিটার। এখানকার পরিবারগুলো সবজি চাষের ওপর নির্ভরশীল। বংশ পরম্পরায় ১৫ বছর ধরে তাঁরা সবজি চাষ করছেন। এ বছর এ গ্রামে ২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে সবজি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের কৃষকেরা ব্যস্ত সবজিখেতে। কেউ সবজি খেতে গোড়ায় নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউ চাষের জমি তৈরি করছেন, কেউবা জমিতে সেচ দিচ্ছেন। যা গ্রামটির নামের সঙ্গে চমৎকার মিল পাওয়া যায়। কৃষকেরা মাঠের পর মাঠ ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, পটল, টমেটো, পালং শাক, মরিচ, শিম, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। কোনো কোনো মাঠে দেখা যায়, কৃষকেরা সবজি তুলে বাজারে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এখান থেকে গাড়িবোঝাই করে সবজি কিনে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে কৃষক অতুল পরামানিক (৬৫) বলেন, নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য এখন আমরা জমিতে জৈবসার, গোবর, বিষটোপ, জৈব কীটনাশক, হলুদ ট্র্যাপ, সেক্স ফেরোমন ট্র্যাপ ব্যবহার করছি। আগে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতাম।
এবার আড়াই বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করছেন চৈতন্য মোদক (৬৫)। ৪০ বছর যাবৎ সবজি চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত বছর সেচ দিতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৬০০ টাকা। কিন্তু তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা। এমনিভাবে গত বছর পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ দিতে বিঘা প্রতি খরচ হতো ৬০০ টাকা। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা। কিন্তু সে তুলনায় সবজির দাম বাড়েনি। এ জন্য আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি।
পাতেলডাঙি গ্রামে সবজি চাষি হাতেম খাঁ (৬০) এ বছর ২ বিঘা ৮ কাঠা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এক সময় গ্রামটি ধান চাষের ওপর নির্ভর ছিল। কিন্তু ধান চাষে লোকসান দেখে পরবর্তীতে গ্রামের লোকজন বিষমুক্ত সবজি চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। গ্রামের বেশির ভাগ কৃষকই এখন সবজি চাষ করেন। সবজি চাষ করে অধিকাংশ চাষি লাভের মুখ দেখছেন। সবজিগুলো বিষমুক্ত হওয়ার কারণে এই গ্রামের সবজির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
পাতেলডাঙি গ্রামের সুকুমার মণ্ডল ও মিঠুন শেখ অন্যের জমিতে কাজ করে দেন। প্রতিদিন তাঁরা ৩০০ টাকা করে হাজিরা পান। তাঁরা বলেন, ধান, পাট, গমে লোকসান গুনতে গুনতে কৃষক যখন দিশেহারা তখন বিকল্প উপায়ে সবজি চাষ বেছে নিয়েছেন। কৃষকেরা এখন সবজি চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ গ্রামের বিষমুক্ত সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা বলেন, পাতেলডাঙি গ্রামে কৃষকেরা ১৫ বছর ধরে নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। এ বছর এই গ্রামে ২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে। বর্তমানে ৫৫ জন কৃষক বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। নিরাপদ সবজি চাষের জন্য কৃষকদের পরিবেশবান্ধব কৌশল শিখিয়ে দিতে গ্রামে একটি ‘কৃষক মাঠ স্কুল’ খোলা হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এ গ্রামে উপজেলা কৃষি অফিস থেকেও নতুন নতুন সবজির প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, পটল, টমেটো, পালং শাক, মরিচ, শিম, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
মাহবুব-উল-আহসান উল্লাস, খোকসা (কুষ্টিয়া)

গ্রামের পিচঢালা সরু রাস্তা। এই রাস্তা ধরে যতই গ্রামের ভেতরে এগোনো যায় দেখা মেলে দুই পাশে জন্মানো শুধু সবজি আর সবজি। নানা জাতের সবজিতে ভরে আছে পুরো গ্রাম। শুধু জমিতেই নয়, গ্রামের কৃষকদের বাড়ির আঙিনায়, ঘরের চালে, গাছে গাছে ঝুলে আছে নানা জাতের সবজি। এমনই দৃশ্য চোখে পড়বে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাতেলডাঙির নিরাপদ সবজি গ্রামের। উপজেলায় গ্রামটি নিরাপদ সবজির গ্রাম নামেই পরিচিত।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাতেলডাঙি গ্রামটি নিরাপদ সবজি গ্রাম নামে পরিচিত। খোকসা বাসস্ট্যান্ড থেকে এ গ্রামের দূরত্ব ১ কিলোমিটার। এখানকার পরিবারগুলো সবজি চাষের ওপর নির্ভরশীল। বংশ পরম্পরায় ১৫ বছর ধরে তাঁরা সবজি চাষ করছেন। এ বছর এ গ্রামে ২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে সবজি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের কৃষকেরা ব্যস্ত সবজিখেতে। কেউ সবজি খেতে গোড়ায় নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউ চাষের জমি তৈরি করছেন, কেউবা জমিতে সেচ দিচ্ছেন। যা গ্রামটির নামের সঙ্গে চমৎকার মিল পাওয়া যায়। কৃষকেরা মাঠের পর মাঠ ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, পটল, টমেটো, পালং শাক, মরিচ, শিম, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। কোনো কোনো মাঠে দেখা যায়, কৃষকেরা সবজি তুলে বাজারে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এখান থেকে গাড়িবোঝাই করে সবজি কিনে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে কৃষক অতুল পরামানিক (৬৫) বলেন, নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য এখন আমরা জমিতে জৈবসার, গোবর, বিষটোপ, জৈব কীটনাশক, হলুদ ট্র্যাপ, সেক্স ফেরোমন ট্র্যাপ ব্যবহার করছি। আগে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতাম।
এবার আড়াই বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করছেন চৈতন্য মোদক (৬৫)। ৪০ বছর যাবৎ সবজি চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত বছর সেচ দিতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৬০০ টাকা। কিন্তু তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা। এমনিভাবে গত বছর পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ দিতে বিঘা প্রতি খরচ হতো ৬০০ টাকা। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা। কিন্তু সে তুলনায় সবজির দাম বাড়েনি। এ জন্য আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি।
পাতেলডাঙি গ্রামে সবজি চাষি হাতেম খাঁ (৬০) এ বছর ২ বিঘা ৮ কাঠা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এক সময় গ্রামটি ধান চাষের ওপর নির্ভর ছিল। কিন্তু ধান চাষে লোকসান দেখে পরবর্তীতে গ্রামের লোকজন বিষমুক্ত সবজি চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। গ্রামের বেশির ভাগ কৃষকই এখন সবজি চাষ করেন। সবজি চাষ করে অধিকাংশ চাষি লাভের মুখ দেখছেন। সবজিগুলো বিষমুক্ত হওয়ার কারণে এই গ্রামের সবজির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
পাতেলডাঙি গ্রামের সুকুমার মণ্ডল ও মিঠুন শেখ অন্যের জমিতে কাজ করে দেন। প্রতিদিন তাঁরা ৩০০ টাকা করে হাজিরা পান। তাঁরা বলেন, ধান, পাট, গমে লোকসান গুনতে গুনতে কৃষক যখন দিশেহারা তখন বিকল্প উপায়ে সবজি চাষ বেছে নিয়েছেন। কৃষকেরা এখন সবজি চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ গ্রামের বিষমুক্ত সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা বলেন, পাতেলডাঙি গ্রামে কৃষকেরা ১৫ বছর ধরে নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। এ বছর এই গ্রামে ২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে। বর্তমানে ৫৫ জন কৃষক বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। নিরাপদ সবজি চাষের জন্য কৃষকদের পরিবেশবান্ধব কৌশল শিখিয়ে দিতে গ্রামে একটি ‘কৃষক মাঠ স্কুল’ খোলা হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এ গ্রামে উপজেলা কৃষি অফিস থেকেও নতুন নতুন সবজির প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, পটল, টমেটো, পালং শাক, মরিচ, শিম, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।

গ্রামের পিচঢালা সরু রাস্তা। এই রাস্তা ধরে যতই গ্রামের ভেতরে এগোনো যায় দেখা মেলে দুই পাশে জন্মানো শুধু সবজি আর সবজি। নানা জাতের সবজিতে ভরে আছে পুরো গ্রাম। শুধু জমিতেই নয়, গ্রামের কৃষকদের বাড়ির আঙিনায়, ঘরের চালে, গাছে গাছে ঝুলে আছে নানা জাতের সবজি। এমনই দৃশ্য চোখে পড়বে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাতেলডাঙির নিরাপদ সবজি গ্রামের। উপজেলায় গ্রামটি নিরাপদ সবজির গ্রাম নামেই পরিচিত।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাতেলডাঙি গ্রামটি নিরাপদ সবজি গ্রাম নামে পরিচিত। খোকসা বাসস্ট্যান্ড থেকে এ গ্রামের দূরত্ব ১ কিলোমিটার। এখানকার পরিবারগুলো সবজি চাষের ওপর নির্ভরশীল। বংশ পরম্পরায় ১৫ বছর ধরে তাঁরা সবজি চাষ করছেন। এ বছর এ গ্রামে ২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে সবজি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের কৃষকেরা ব্যস্ত সবজিখেতে। কেউ সবজি খেতে গোড়ায় নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউ চাষের জমি তৈরি করছেন, কেউবা জমিতে সেচ দিচ্ছেন। যা গ্রামটির নামের সঙ্গে চমৎকার মিল পাওয়া যায়। কৃষকেরা মাঠের পর মাঠ ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, পটল, টমেটো, পালং শাক, মরিচ, শিম, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। কোনো কোনো মাঠে দেখা যায়, কৃষকেরা সবজি তুলে বাজারে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এখান থেকে গাড়িবোঝাই করে সবজি কিনে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে কৃষক অতুল পরামানিক (৬৫) বলেন, নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য এখন আমরা জমিতে জৈবসার, গোবর, বিষটোপ, জৈব কীটনাশক, হলুদ ট্র্যাপ, সেক্স ফেরোমন ট্র্যাপ ব্যবহার করছি। আগে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতাম।
এবার আড়াই বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করছেন চৈতন্য মোদক (৬৫)। ৪০ বছর যাবৎ সবজি চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত বছর সেচ দিতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৬০০ টাকা। কিন্তু তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা। এমনিভাবে গত বছর পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ দিতে বিঘা প্রতি খরচ হতো ৬০০ টাকা। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা। কিন্তু সে তুলনায় সবজির দাম বাড়েনি। এ জন্য আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি।
পাতেলডাঙি গ্রামে সবজি চাষি হাতেম খাঁ (৬০) এ বছর ২ বিঘা ৮ কাঠা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এক সময় গ্রামটি ধান চাষের ওপর নির্ভর ছিল। কিন্তু ধান চাষে লোকসান দেখে পরবর্তীতে গ্রামের লোকজন বিষমুক্ত সবজি চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। গ্রামের বেশির ভাগ কৃষকই এখন সবজি চাষ করেন। সবজি চাষ করে অধিকাংশ চাষি লাভের মুখ দেখছেন। সবজিগুলো বিষমুক্ত হওয়ার কারণে এই গ্রামের সবজির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
পাতেলডাঙি গ্রামের সুকুমার মণ্ডল ও মিঠুন শেখ অন্যের জমিতে কাজ করে দেন। প্রতিদিন তাঁরা ৩০০ টাকা করে হাজিরা পান। তাঁরা বলেন, ধান, পাট, গমে লোকসান গুনতে গুনতে কৃষক যখন দিশেহারা তখন বিকল্প উপায়ে সবজি চাষ বেছে নিয়েছেন। কৃষকেরা এখন সবজি চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ গ্রামের বিষমুক্ত সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা বলেন, পাতেলডাঙি গ্রামে কৃষকেরা ১৫ বছর ধরে নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। এ বছর এই গ্রামে ২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে। বর্তমানে ৫৫ জন কৃষক বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। নিরাপদ সবজি চাষের জন্য কৃষকদের পরিবেশবান্ধব কৌশল শিখিয়ে দিতে গ্রামে একটি ‘কৃষক মাঠ স্কুল’ খোলা হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এ গ্রামে উপজেলা কৃষি অফিস থেকেও নতুন নতুন সবজির প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, পটল, টমেটো, পালং শাক, মরিচ, শিম, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আজ সোমবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়। এ সময় রিমান্ড শুনানিতে তিনি আদালতকে বলেন, ‘ড. ইউনূস যদি চায়, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাবে, বানাতে পারে।’
৫ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের প্রতীকী ঘৃণাস্তম্ভ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিবিরের নেতারা বাধা দিয়েছে এবং জগন্নাথ হলে একটি প্রতিকৃত স্থাপন করা হয়েছিল আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের। এই প্রতিকৃতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগ মুছে দিয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সঙ্গে নিজের ছেলেকে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ছেলে দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশনামাও সংগ্রহ করেছেন তিনি।
৩৯ মিনিট আগে
আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আজ সোমবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়। এ সময় রিমান্ড শুনানিতে তিনি আদালতকে বলেন, ‘ড. ইউনূস যদি চায়, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাবে, বানাতে পারে।’
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে আনিস আলমগীরকে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। সন্ধ্যার পর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তাঁকে এজলাসে তোলা হয়।
আনিস আলমগীরের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজনীন নাহার। তাঁর সঙ্গে মোরশেদ শাহীন আসলাম মিয়াসহ আরও আইনজীবী শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি আদালতকে বলেন, আনিস আলমগীর আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত না হতে পারে সে জন্য তিনি টকশোতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে কথা বলছেন। তিনি উসকানি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। তাঁর পেছনে কারা আছে তা জানার জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
নাজনীন নাহার আনিস আলমগীরের পক্ষে বলেন, ‘আনিস আলমগীর একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক। তিনি সরকার উৎখাতের কোনো ষড়যন্ত্র বা নির্বাচন বানচালের কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত নন। টকশোতে তিনি যে কথা বলেছেন সেটা তাঁর স্বাধীন মতপ্রকাশ। এই ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হওয়াটা মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ।’
একপর্যায়ে আনিস আলমগীর আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, ‘আমাকে যারা নির্দিষ্ট দলের গোলাম বানাতে চায়, এটা তাদের সমস্যা।’
আদালতে আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাকে প্রশ্ন করি। দুই যুগ ধরে আমি এটা করে এসেছি। আমার জব (কাজ) কারও কাছে নতজানু হওয়া না। আমাকে যারা নির্দিষ্ট দলের গোলাম বানাতে চায়, এটা তাদের সমস্যা।’
আনিস আলমগীর আরও বলেন, ‘আমার ফেসবুকে আমি সব বক্তব্য দিই। এখানে অপ্রকাশিত নেই কোনো কিছু। আমি ইউনূসের (প্রধান উপদেষ্টা) বাড়ি আক্রমণের কথা বলেছি। কিন্তু কোন কারণে বলেছি, ৩২–এ আক্রমণ এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি। এটা ফিরে আসবে। সেটা বলেছি। জুলাইয়ের স্পিরিট কীভাবে বাড়বে, আমরা সেটা বলেছি। এখানে আমার ভুল কী হয়েছে, আমি জানি না। আমার সঙ্গে কারও যোগসূত্র নেই। ড. ইউনূস যদি চায়, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাবে, বানাতে পারে।’
আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমার সঙ্গে কেউ নেই। এই মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে শাওন আফরোজকে আমি চিনি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার কখনো দেখাই হয়নি। অন্য দুজনের সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। কাজেই সবাই মিলে কীভাবে ষড়যন্ত্র করলাম সেই প্রশ্ন থাকল আমার।’
আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি টকশোতে বলেছি, নির্বাচন হতেই হবে। কোনো কারণে নির্বাচন যদি বাতিল হয় বা নির্বাচন যদি না হয় তাহলে এদেশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছি সব সময়। তবুও আমাকে কেন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের জন্য মামলায় আসামি করা হলো তা বোধগম্য নয়।’
আনিস আলমগীর আরও বলেন, ‘জুলাই স্পিরিট কীভাবে বাড়বে আমি সব সময় তাই বলে এসেছি। অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনা করেছি সেটা জুলাই স্পিড ধারণ করার জন্য বাড়ানোর জন্য। আমি কোনো দলের পক্ষে কখনো কথা বলিনি।’
এরপর আনিস আলমগীর আরও কথা বলতে চান। এ সময় আদালতের মধ্যে উপস্থিত আইনজীবীরা তাঁকে থামতে বলেন। কয়েকজন ধমক দিয়ে বলেন, ‘আর কথা নয়’। এ সময় আনিস আলমগীরের পক্ষের আইনজীবীরা কথা বলতে গেলে তাঁদেরকেও চুপচুপ বলতে থাকেন। পরে আদালত আদেশ দেন। ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আনিস আলমগীর কাঠগড়ায় কেঁদেছেন:
সন্ধ্যার পরে আদালতের কাঠগড়ায় তোলার পরে তাঁর পক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। এ সময় তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলার একপর্যায়ে তিনি কেঁদে ফেলেন।

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আজ সোমবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়। এ সময় রিমান্ড শুনানিতে তিনি আদালতকে বলেন, ‘ড. ইউনূস যদি চায়, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাবে, বানাতে পারে।’
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে আনিস আলমগীরকে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। সন্ধ্যার পর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তাঁকে এজলাসে তোলা হয়।
আনিস আলমগীরের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজনীন নাহার। তাঁর সঙ্গে মোরশেদ শাহীন আসলাম মিয়াসহ আরও আইনজীবী শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি আদালতকে বলেন, আনিস আলমগীর আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত না হতে পারে সে জন্য তিনি টকশোতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে কথা বলছেন। তিনি উসকানি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। তাঁর পেছনে কারা আছে তা জানার জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
নাজনীন নাহার আনিস আলমগীরের পক্ষে বলেন, ‘আনিস আলমগীর একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক। তিনি সরকার উৎখাতের কোনো ষড়যন্ত্র বা নির্বাচন বানচালের কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত নন। টকশোতে তিনি যে কথা বলেছেন সেটা তাঁর স্বাধীন মতপ্রকাশ। এই ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হওয়াটা মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ।’
একপর্যায়ে আনিস আলমগীর আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, ‘আমাকে যারা নির্দিষ্ট দলের গোলাম বানাতে চায়, এটা তাদের সমস্যা।’
আদালতে আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাকে প্রশ্ন করি। দুই যুগ ধরে আমি এটা করে এসেছি। আমার জব (কাজ) কারও কাছে নতজানু হওয়া না। আমাকে যারা নির্দিষ্ট দলের গোলাম বানাতে চায়, এটা তাদের সমস্যা।’
আনিস আলমগীর আরও বলেন, ‘আমার ফেসবুকে আমি সব বক্তব্য দিই। এখানে অপ্রকাশিত নেই কোনো কিছু। আমি ইউনূসের (প্রধান উপদেষ্টা) বাড়ি আক্রমণের কথা বলেছি। কিন্তু কোন কারণে বলেছি, ৩২–এ আক্রমণ এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি। এটা ফিরে আসবে। সেটা বলেছি। জুলাইয়ের স্পিরিট কীভাবে বাড়বে, আমরা সেটা বলেছি। এখানে আমার ভুল কী হয়েছে, আমি জানি না। আমার সঙ্গে কারও যোগসূত্র নেই। ড. ইউনূস যদি চায়, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাবে, বানাতে পারে।’
আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমার সঙ্গে কেউ নেই। এই মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে শাওন আফরোজকে আমি চিনি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার কখনো দেখাই হয়নি। অন্য দুজনের সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। কাজেই সবাই মিলে কীভাবে ষড়যন্ত্র করলাম সেই প্রশ্ন থাকল আমার।’
আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি টকশোতে বলেছি, নির্বাচন হতেই হবে। কোনো কারণে নির্বাচন যদি বাতিল হয় বা নির্বাচন যদি না হয় তাহলে এদেশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছি সব সময়। তবুও আমাকে কেন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের জন্য মামলায় আসামি করা হলো তা বোধগম্য নয়।’
আনিস আলমগীর আরও বলেন, ‘জুলাই স্পিরিট কীভাবে বাড়বে আমি সব সময় তাই বলে এসেছি। অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনা করেছি সেটা জুলাই স্পিড ধারণ করার জন্য বাড়ানোর জন্য। আমি কোনো দলের পক্ষে কখনো কথা বলিনি।’
এরপর আনিস আলমগীর আরও কথা বলতে চান। এ সময় আদালতের মধ্যে উপস্থিত আইনজীবীরা তাঁকে থামতে বলেন। কয়েকজন ধমক দিয়ে বলেন, ‘আর কথা নয়’। এ সময় আনিস আলমগীরের পক্ষের আইনজীবীরা কথা বলতে গেলে তাঁদেরকেও চুপচুপ বলতে থাকেন। পরে আদালত আদেশ দেন। ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আনিস আলমগীর কাঠগড়ায় কেঁদেছেন:
সন্ধ্যার পরে আদালতের কাঠগড়ায় তোলার পরে তাঁর পক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। এ সময় তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলার একপর্যায়ে তিনি কেঁদে ফেলেন।

গ্রামের পিচঢালা সরু রাস্তা। এই রাস্তা ধরে যতই গ্রামের ভেতরে এগোনো যায় দেখা মেলে দুই পাশে জন্মানো শুধু সবজি আর সবজি। নানা জাতের সবজিতে ভরে আছে পুরো গ্রাম। শুধু জমিতেই নয়, গ্রামের কৃষকদের বাড়ির আঙিনায়, ঘরের চালে, গাছে গাছে ঝুলে আছে নানা জাতের সবজি। এমনই দৃশ্য চোখে পড়বে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাতেলডাঙ
৩০ ডিসেম্বর ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের প্রতীকী ঘৃণাস্তম্ভ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিবিরের নেতারা বাধা দিয়েছে এবং জগন্নাথ হলে একটি প্রতিকৃত স্থাপন করা হয়েছিল আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের। এই প্রতিকৃতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগ মুছে দিয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সঙ্গে নিজের ছেলেকে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ছেলে দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশনামাও সংগ্রহ করেছেন তিনি।
৩৯ মিনিট আগে
আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা নিয়ে বক্তব্য দেওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্যের তাঁর পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
আজ সোমবার সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল ঘোষণা করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের প্রতীকী ঘৃণাস্তম্ভ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ বাধা দিয়েছেন এবং জগন্নাথ হলে একটি প্রতিকৃত স্থাপন করা হয়েছিল চিহ্নিত যারা আত্মস্বীকৃত রাজাকার, তাদের। এই প্রতিকৃতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগ মুছে দিয়েছে।’
নাছির বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন, বুদ্ধিজীবী দিবস বা বিজয় দিবস পালনের যে আবহ থাকে, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে সেই আবহ কিন্তু বাংলাদেশের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধজীবী দিবস স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন হয়নি। বিজয় দিবস পালনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যে স্বতঃস্ফূর্ততা, তা কিন্তু আমরা এখানে লক্ষ করছি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমরা দেখছি না।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চবির উপ-উপাচার্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর প্রতিবাদে ছাত্রদল গতকালই সেখানে মিছিল করেছে। আমরা মনে করি, উনার এই বক্তব্যের পরে এই পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। উনার বিরুদ্ধে অবশ্যই ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত।’
মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আগে নিশ্চিত পরাজয় জেনে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক–বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে পাক বাহিনী।
‘শুধু বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতেই পাক হানাদার বাহিনী এই কাজ করেছে। এটি হয়েছে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়, তা ইতিহাসের মাধ্যমে প্রমাণিত। আপনারা লক্ষ করবেন, গত কয়েক দিনের আলাপ-আলোচনায় তা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপ-উপাচার্য কীভাবে এমন একটি বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আমরা শুনেছি, অতীতে তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করেছেন। জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। এটাই স্বাভাবিক যে, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির, তারা কখনো স্বাধীনতার স্পিরিটকে ধারণ করে নাই। তারা মুক্তিযুদ্ধের ঘোর বিরোধী ছিল।’
নাছির উদ্দীন আরও বলেন, ‘চবির উপ-উপাচার্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ, তিনি এটা ধারণ করেন, জামায়াতে ইসলামীকে শুধু ধারণ করেন। বিগত পাঁচ দশকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেভাবে দিবসগুলো পালন করা হয়েছিল, এবার কিন্তু সেভাবে পালন করা হচ্ছে না।
‘এটির একটিই কারণ, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যাদের উপাচার্য, সহউপাচার্য অথবা রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিয়েছে, তারা একটি রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামের ম্যান্ডেটকে গ্রহণ করে। শুধু সেই ম্যান্ডেট অনুসারে তারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে।’

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা নিয়ে বক্তব্য দেওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্যের তাঁর পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
আজ সোমবার সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল ঘোষণা করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের প্রতীকী ঘৃণাস্তম্ভ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ বাধা দিয়েছেন এবং জগন্নাথ হলে একটি প্রতিকৃত স্থাপন করা হয়েছিল চিহ্নিত যারা আত্মস্বীকৃত রাজাকার, তাদের। এই প্রতিকৃতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগ মুছে দিয়েছে।’
নাছির বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন, বুদ্ধিজীবী দিবস বা বিজয় দিবস পালনের যে আবহ থাকে, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে সেই আবহ কিন্তু বাংলাদেশের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধজীবী দিবস স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন হয়নি। বিজয় দিবস পালনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যে স্বতঃস্ফূর্ততা, তা কিন্তু আমরা এখানে লক্ষ করছি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমরা দেখছি না।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চবির উপ-উপাচার্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর প্রতিবাদে ছাত্রদল গতকালই সেখানে মিছিল করেছে। আমরা মনে করি, উনার এই বক্তব্যের পরে এই পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। উনার বিরুদ্ধে অবশ্যই ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত।’
মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের আগে নিশ্চিত পরাজয় জেনে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক–বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে পাক বাহিনী।
‘শুধু বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতেই পাক হানাদার বাহিনী এই কাজ করেছে। এটি হয়েছে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়, তা ইতিহাসের মাধ্যমে প্রমাণিত। আপনারা লক্ষ করবেন, গত কয়েক দিনের আলাপ-আলোচনায় তা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপ-উপাচার্য কীভাবে এমন একটি বক্তব্য দিয়ে থাকেন। আমরা শুনেছি, অতীতে তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করেছেন। জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। এটাই স্বাভাবিক যে, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির, তারা কখনো স্বাধীনতার স্পিরিটকে ধারণ করে নাই। তারা মুক্তিযুদ্ধের ঘোর বিরোধী ছিল।’
নাছির উদ্দীন আরও বলেন, ‘চবির উপ-উপাচার্য যে বক্তব্য দিয়েছেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ, তিনি এটা ধারণ করেন, জামায়াতে ইসলামীকে শুধু ধারণ করেন। বিগত পাঁচ দশকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেভাবে দিবসগুলো পালন করা হয়েছিল, এবার কিন্তু সেভাবে পালন করা হচ্ছে না।
‘এটির একটিই কারণ, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যাদের উপাচার্য, সহউপাচার্য অথবা রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিয়েছে, তারা একটি রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামের ম্যান্ডেটকে গ্রহণ করে। শুধু সেই ম্যান্ডেট অনুসারে তারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে।’

গ্রামের পিচঢালা সরু রাস্তা। এই রাস্তা ধরে যতই গ্রামের ভেতরে এগোনো যায় দেখা মেলে দুই পাশে জন্মানো শুধু সবজি আর সবজি। নানা জাতের সবজিতে ভরে আছে পুরো গ্রাম। শুধু জমিতেই নয়, গ্রামের কৃষকদের বাড়ির আঙিনায়, ঘরের চালে, গাছে গাছে ঝুলে আছে নানা জাতের সবজি। এমনই দৃশ্য চোখে পড়বে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাতেলডাঙ
৩০ ডিসেম্বর ২০২১
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আজ সোমবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়। এ সময় রিমান্ড শুনানিতে তিনি আদালতকে বলেন, ‘ড. ইউনূস যদি চায়, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাবে, বানাতে পারে।’
৫ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সঙ্গে নিজের ছেলেকে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ছেলে দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশনামাও সংগ্রহ করেছেন তিনি।
৩৯ মিনিট আগে
আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে...
১ ঘণ্টা আগেপটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সঙ্গে নিজের ছেলেকে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ছেলে দেখিয়ে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ সংগ্রহ করেছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ ভাতা বন্ধ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বাতিল কিংবা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযুক্ত মাহাবুব আলম উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীমাই এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীমাই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ২০২১ সালে অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ছোট ভাই মাহাবুব আলম ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে নিজের স্ত্রী রাশু আক্তারকে বড় ভাই আবুল কালামের স্ত্রী হিসেবে দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন শুরু করেন। সে সঙ্গে তিনি নিজের ছেলে জিহাদুল আলমকে মৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দেখিয়ে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ সংগ্রহ করেন। চলতি বছর শফি উদ্দীন নামের এক বাসিন্দা এলাকাবাসীর পক্ষে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে আত্মসাৎ করা সরকারি অর্থ ফেরত আনা এবং প্রতারণার দায়ে মাহাবুব আলম ও রাশু আক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
পটিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেন ইউএনও। প্রাথমিক তদন্ত শেষে তিনি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ইউএনওর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউএনও ফারহানুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি তাদের এখতিয়ার।
অভিযোগকারী শফি উদ্দীন বলেন, ভাতা বন্ধ হওয়াটা স্বস্তির হলেও এখন পর্যন্ত প্রতারকদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বাতিল না হওয়ায় তাঁরা এখনো পার পেয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মাহাবুব আলমের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সঙ্গে নিজের ছেলেকে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ছেলে দেখিয়ে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ সংগ্রহ করেছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ ভাতা বন্ধ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বাতিল কিংবা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযুক্ত মাহাবুব আলম উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীমাই এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্রীমাই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ২০২১ সালে অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ছোট ভাই মাহাবুব আলম ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে নিজের স্ত্রী রাশু আক্তারকে বড় ভাই আবুল কালামের স্ত্রী হিসেবে দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন শুরু করেন। সে সঙ্গে তিনি নিজের ছেলে জিহাদুল আলমকে মৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দেখিয়ে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ সংগ্রহ করেন। চলতি বছর শফি উদ্দীন নামের এক বাসিন্দা এলাকাবাসীর পক্ষে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে আত্মসাৎ করা সরকারি অর্থ ফেরত আনা এবং প্রতারণার দায়ে মাহাবুব আলম ও রাশু আক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
পটিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনকে এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেন ইউএনও। প্রাথমিক তদন্ত শেষে তিনি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ইউএনওর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউএনও ফারহানুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি তাদের এখতিয়ার।
অভিযোগকারী শফি উদ্দীন বলেন, ভাতা বন্ধ হওয়াটা স্বস্তির হলেও এখন পর্যন্ত প্রতারকদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ বাতিল না হওয়ায় তাঁরা এখনো পার পেয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মাহাবুব আলমের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

গ্রামের পিচঢালা সরু রাস্তা। এই রাস্তা ধরে যতই গ্রামের ভেতরে এগোনো যায় দেখা মেলে দুই পাশে জন্মানো শুধু সবজি আর সবজি। নানা জাতের সবজিতে ভরে আছে পুরো গ্রাম। শুধু জমিতেই নয়, গ্রামের কৃষকদের বাড়ির আঙিনায়, ঘরের চালে, গাছে গাছে ঝুলে আছে নানা জাতের সবজি। এমনই দৃশ্য চোখে পড়বে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাতেলডাঙ
৩০ ডিসেম্বর ২০২১
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আজ সোমবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়। এ সময় রিমান্ড শুনানিতে তিনি আদালতকে বলেন, ‘ড. ইউনূস যদি চায়, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাবে, বানাতে পারে।’
৫ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের প্রতীকী ঘৃণাস্তম্ভ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিবিরের নেতারা বাধা দিয়েছে এবং জগন্নাথ হলে একটি প্রতিকৃত স্থাপন করা হয়েছিল আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের। এই প্রতিকৃতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগ মুছে দিয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে...
১ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) আন্দোলনকারীরা ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নতুন আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে থাকা শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁরা আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ করার দাবি জানান।
বাংলা বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শফিক বলেন, ‘আমরা আস-সুন্নাহতে ফ্রিতে থাকি না, আমাদের কিছু নিদিষ্ট অর্থ দিতে হয়। আমাদের সিটটা অনিশ্চিত, যেকোনো সময় বের করে দিতে পারে। আমাদের বিশেষ বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, তাই আমাদের এই আন্দোলন।’
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী বখতিয়ার ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের তিন দফা দাবি না মানলে আমরা এখান থেকে যাব না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই দাবি না মানা হবে, আমরা এখানেই অবস্থান করব।’
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো— আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার্থীর ন্যায় আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা; আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ রাখার লক্ষ্যে সিলেকশন মানদণ্ডে আরোপিত ৭০% উপস্থিতি ও সিজিপিএ-নির্ভর শর্ত বাতিল করা; রি-অ্যাডমিশনসংক্রান্ত শর্ত সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা।
এর আগে গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশেষ বৃত্তি নীতিমালায় সংযোজিত অযৌক্তিক শর্তগুলোর সংশোধন ও পুনর্বিন্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন আস-সুন্নাহ প্রকল্পের শিক্ষার্থীরা। এরপর ১১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আজ ভিসি ভবন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর ‘বিশেষ বৃত্তি নীতিমালা-২০২৫’ অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে নিয়মিত পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের (স্নাতক চারটি ও স্নাতকোত্তর একটি) শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য যোগ্য হবেন। বাছাইয়ের মূল মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে অসচ্ছলতা, মেধা, শ্রেণি-উপস্থিতি ও ফলাফল। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট পাওয়া, সচ্ছল পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থাকা, শৃঙ্খলাভঙ্গ, পুনর্ভর্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অযোগ্য হবেন বলে জানানো হয় নীতিমালায়।

আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) আন্দোলনকারীরা ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নতুন আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে থাকা শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁরা আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ করার দাবি জানান।
বাংলা বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শফিক বলেন, ‘আমরা আস-সুন্নাহতে ফ্রিতে থাকি না, আমাদের কিছু নিদিষ্ট অর্থ দিতে হয়। আমাদের সিটটা অনিশ্চিত, যেকোনো সময় বের করে দিতে পারে। আমাদের বিশেষ বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, তাই আমাদের এই আন্দোলন।’
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী বখতিয়ার ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের তিন দফা দাবি না মানলে আমরা এখান থেকে যাব না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই দাবি না মানা হবে, আমরা এখানেই অবস্থান করব।’
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো— আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার্থীর ন্যায় আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা; আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ রাখার লক্ষ্যে সিলেকশন মানদণ্ডে আরোপিত ৭০% উপস্থিতি ও সিজিপিএ-নির্ভর শর্ত বাতিল করা; রি-অ্যাডমিশনসংক্রান্ত শর্ত সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা।
এর আগে গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশেষ বৃত্তি নীতিমালায় সংযোজিত অযৌক্তিক শর্তগুলোর সংশোধন ও পুনর্বিন্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন আস-সুন্নাহ প্রকল্পের শিক্ষার্থীরা। এরপর ১১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আজ ভিসি ভবন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর ‘বিশেষ বৃত্তি নীতিমালা-২০২৫’ অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে নিয়মিত পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের (স্নাতক চারটি ও স্নাতকোত্তর একটি) শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য যোগ্য হবেন। বাছাইয়ের মূল মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে অসচ্ছলতা, মেধা, শ্রেণি-উপস্থিতি ও ফলাফল। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট পাওয়া, সচ্ছল পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থাকা, শৃঙ্খলাভঙ্গ, পুনর্ভর্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অযোগ্য হবেন বলে জানানো হয় নীতিমালায়।

গ্রামের পিচঢালা সরু রাস্তা। এই রাস্তা ধরে যতই গ্রামের ভেতরে এগোনো যায় দেখা মেলে দুই পাশে জন্মানো শুধু সবজি আর সবজি। নানা জাতের সবজিতে ভরে আছে পুরো গ্রাম। শুধু জমিতেই নয়, গ্রামের কৃষকদের বাড়ির আঙিনায়, ঘরের চালে, গাছে গাছে ঝুলে আছে নানা জাতের সবজি। এমনই দৃশ্য চোখে পড়বে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাতেলডাঙ
৩০ ডিসেম্বর ২০২১
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আজ সোমবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়। এ সময় রিমান্ড শুনানিতে তিনি আদালতকে বলেন, ‘ড. ইউনূস যদি চায়, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাবে, বানাতে পারে।’
৫ মিনিট আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারদের প্রতীকী ঘৃণাস্তম্ভ অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিবিরের নেতারা বাধা দিয়েছে এবং জগন্নাথ হলে একটি প্রতিকৃত স্থাপন করা হয়েছিল আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের। এই প্রতিকৃতি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগ মুছে দিয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাহাবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা বড় ভাইয়ের স্ত্রী সাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সঙ্গে নিজের ছেলেকে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের ছেলে দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশনামাও সংগ্রহ করেছেন তিনি।
৩৯ মিনিট আগে