Ajker Patrika

এনআইডি কার্ড না থাকায় সরকারি ঘর পাচ্ছেন না মনোদা

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯: ৪৬
এনআইডি কার্ড না থাকায় সরকারি ঘর পাচ্ছেন না মনোদা

‘আর কয় দিন বাঁচপো। এ পর্যন্ত এটটা (একটা) ভোট দিতি পারলাম না। শুনছি হাসিনা সরকার কত সুযোগ সুবিদে দিচ্ছে। কত মানুষ সরকারি ঘর পাইছে। আমি কিছুই পাচ্ছিনে। এটটা ভাতা পাতাম তা-ও বন্ধ করে দেছে।’ এভাবে ঘর না পাওয়ার কথা বলছিলেন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পাড়ার বাসিন্দা মনোদা রানি সরকার। 

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মনোদা রানি সরকারের স্বামী শান্তিরাম সরকার মারা গেছেন ১১ বছর আগে। বিধবা হতদরিদ্র এই নারী ভোটার হতে না পারায় বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে। আগে বয়স্ক ভাতা পেলেও জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় ভাতাও বন্ধ হয়ে গেছে।

উপজেলা সদরের পশু হাসপাতালের পাশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পাড়ায় বসবাস করেন মনোদা রানি সরকার। সরেজমিনে দেখা যায়, স্বামী মারা যাওয়ার পর চার ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঝুপড়ির মতো একটি ঘরে বসবাস করছেন মনোদা। তাঁর ছেলেরা খাদ্যগুদামে ধান, চাল ও গমের বস্তা টানার কাজ করেন। নিজের কোনো জমি না থাকায় সরকারি জমিতে বসবাস করছেন পরিবার নিয়ে।

ভোটার না হওয়ার বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন, স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্র, চেয়ারম্যানের সুপারিশসহ নানা জটিলতায় এখনো ভোটার হতে পারেননি তিনি। এসব বিষয়ে কেউ কখনো সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ করেন মনোদা রানি সরকার।

মনোদা রানি সরকারের বড় ছেলে সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা চার ভাই খাদ্যগুদামে ধান, চাল ও গমের বস্তা টানার কাজ করি। সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে আমাদের। অভাবের সংসারে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে। মা ভোটার হতে পারলে সরকারের সহযোগিতা পাব। তাতে সংসারের উপকার হবে।’

ভোটারের বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘এখন নতুন ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম চলছে। নতুন ভোটার হতে অনলাইন জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক। আমরা নিজেদের উদ্যোগে বৃদ্ধ এই নারীকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে কাগজপত্র সংগ্রহ করছি। বিষয়টির দ্রুত সমাধান হবে বলে আমরা আশা করছি।’

এদিকে বয়স্ক ভাতার বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাজী জয়নূর রহমান বলেন, ‘মনোদা রানি সরকার বয়স্ক ভাতা (ন-৭৪৫) পেতেন। পরে এনআইডি কার্ড না থাকায় যাচাইবাছাইয়ে তাঁর কার্ডটি বাদ যায়।’ 

ভোটারের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মনোদা রানি সরকার যাতে ভোটার হতে পারেন আমি সেই ব্যবস্থা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয় ছাত্রলীগ নেতাকে, থানায় দিতে গিয়ে ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
তিন অপহরণকারী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত
তিন অপহরণকারী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে রাতভর রেখে পরদিন থানায় তুলে দিতে গেলে অপহরণকারীদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই নেতার বাবার করা মামলায় সোমবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ।

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম মো. ফয়সাল মাহমুদ ফাহাদ। গত বছর ছাত্রলীগের সম্মেলনে তিনি কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তবে পুলিশ বলেছে, ওষুধ কোম্পানি হেলথ কেয়ার ফার্মাসিটিক্যাল্সের সেলস্ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন ফয়সাল।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-আশরাফুল আমিন (২৯), তারিক আসিফ (২৭) ও শাহাদাত হোসেন শান্ত (২০)। আসামি মোহাম্মদ আবুল সাজ্জাদ ওরফে আদর (৩২) ও আমিমুল এহসান ফাহিম (২৫) পলাতক রয়েছেন।

গত রোববার রাতে ‘মব’ সৃষ্টি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালের ভেতর থেকে ফাহাদকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে রাউজানের একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, রাউজানে নেওয়ার পর ফাহাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয় এবং তাঁকে নির্যাতন করা হয়। একই সময় অপহরণের ঘটনার সিসিটিভির একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ তৎপরতা চালায়। পরে চাপের মুখে অপহরণকারীদের কয়েকজন ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগ এনে সকালে পাঁচলাইশ থানার পুলিশের হাতে তুলে দিতে আসে। পুলিশ সবকিছু যাচাইয়ের পর অপহরণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফাহাদ চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে তাঁর মাকে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। এ সময় অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় হাসপাতালে থাকা সিসিটিভি ফুটেজের একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে বিনা বাধায় সবার সমানে দিয়ে চার থেকে পাঁচজন তরুণ ফাহাদকে কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁর দুই হাত দুই পাশ থেকে ধরে রাখা হয়েছিল।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফাহাদ নামে ওই যুবককে পাঁচলাইশ থেকে তুলে নিয়ে রাউজান উপজেলার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুছ হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ সিকদার হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ সিদ্দিককে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জায়েদ নূর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, ৬ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী কহিনুর আক্তার (৪১) বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা করার পর থেকেই পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়।

ওসি জায়েদ নূর আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে এই হত্যাকাণ্ডসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে প্রার্থী পরিবর্তনের বিক্ষোভে ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে প্রার্থী পরিবর্তনের বিক্ষোভে ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীতে প্রার্থী পরিবর্তনের বিক্ষোভে ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় ছাত্রদলের এক নেতার শরীরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা তাঁর গায়ে থাকা জার্সি খুলে আগুন নেভান।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজশাহীর চৌদ্দপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম, তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনার পর তাঁকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শহিদুল ইসলাম সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন অস্থিরের সমর্থক। রাজশাহী-৩ আসনে শফিকুল হক মিলনের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিল করে নাসির হোসেন অস্থিরকে প্রার্থী করার দাবিতে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।

জানতে চাইলে নাসির হোসেন অস্থির বলেন, ‘আসনটিতে মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। দল মনোনয়ন না দিলে আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করে। এ সময় টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে শহিদুলের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে শফিকুল হক মিলনকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিকেলে পবা উপজেলার আন্ধারকোটা এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য রায়হানুল আলম রায়হানের সমর্থকেরা এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য দেন উপজেলার হুজরিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম চুন্নু প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, শফিকুল হক মিলন দলের মনোনয়ন পেলেও এলাকায় থাকেন না। তাঁর বাড়ি রাজশাহী মহানগর এলাকায়। শহরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হয়। তাঁরা এমন প্রার্থী চান না। যিনি এলাকার ভোটার, তাঁরা তাঁকেই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চান।

উল্লেখ্য, শফিকুল হক মিলন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দরিদ্র নারীর বরাদ্দের চাল আত্মসাতের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
ফারুক আহমেদ মিয়াজি। ছবি: সংগৃহীত
ফারুক আহমেদ মিয়াজি। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সরকারের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির (ভিডব্লিউভি) কার্ডের ছবি বদলিয়ে এক দরিদ্র নারীর বরাদ্দের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। চাল আত্মসাতের এমন অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হলেন ফারুক আহমেদ মিয়াজি। তিনি উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। অন্যদিকে অভিযোগকারী নারী আয়েশা আক্তার একই ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের মাইনুদ্দিন খানের স্ত্রী।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর আয়েশা আক্তার ভিডব্লিউভির কার্ডের জন্য আবেদন করেন। সংশ্লিষ্টদের যাচাই-বাছাই শেষে আয়েশা আক্তারের নামে ভিডব্লিউভি কার্ড নম্বর ২৫ নিবন্ধিত করা হয়। কিন্তু ফারুক আহমেদ মিয়াজি নিজের প্রভাব ব্যবহার করে আয়েশা আক্তারের কার্ড সংগ্রহ করেন এবং তাতে অন্য নারীর ছবি বসিয়ে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে গত তিন মাসে ৯০ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী আয়েশা আক্তার নিজের সব কাগজপত্র নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে চলতি মাসে ৩০ কেজি চাল পান। পরে তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কাছে এ ঘটনা বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সাঈদ খান ও সাধারণ সম্পাদক মোক্তার খন্দকার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়েশা আক্তারের কাছে থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে দলীয় শৃঙ্খলার বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

অভিযুক্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ মিয়াজি বলেন, ‘ঘটনাটির আমি কিছুই জানি না। আমি মনে করি, আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র চলছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারী চক্রের সব সদস্যের বিচার চাই।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন মোহাম্মদ রাজন বলেন, ‘ভিডব্লিউভি কার্ড পরিষদে গত মে মাসে এসেছে ১২২টি। সেখান থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে ১৯টি কার্ডের নাম তাঁদের দিতে বলি। ওনারা যে নাম দিয়েছেন, তাঁদের নামে কার্ড হয়েছে। তাঁরা কার্ড কী করেছেন, সে ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ট্যাগ কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মাকছুদা আক্তার বলেন, ‘এমন একটি বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেটু কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখব। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধী যে-ই হোক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত