Ajker Patrika

অবহেলায় ছোট কাগজ প্রাঙ্গণ

শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
অমর একুশে বইমেলার একটি স্টলে পছন্দের বই দেখছেন দুই তরুণী। গতকাল বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ছবি: আজকের পত্রিকা
অমর একুশে বইমেলার একটি স্টলে পছন্দের বই দেখছেন দুই তরুণী। গতকাল বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের কাছে ‘ছোট কাগজ’ অর্থাৎ লিটল ম্যাগাজিনের স্টল। পাঠকের মূল স্রোত কখনোই এদিকে খুব একটা আসে না। যাঁরা আসেন, তাঁদের বেশির ভাগের উদ্দেশ্য এখানকার বেঞ্চিতে একটু জিরিয়ে নেওয়া বা ছবি তোলা। প্রতিষ্ঠান ও প্রথাবিরোধী সাহিত্যচর্চার প্রাঙ্গণ ছোট কাগজে একেবারে সাধারণ পাঠকের আগ্রহ বরাবরই কম। তবে তাদের ছোট হলেও প্রাণবন্ত এবং উৎসুক একটি পাঠকশ্রেণি আছে। বইমেলাসংশ্লিষ্ট কয়েকজন গতকাল রোববার বললেন, লিটল ম্যাগাজিনের আগের সে জৌলুশ নেই। মেলায় ছোট কাগজ চত্বর থাকে এক প্রান্তে, খুব কম পাঠকই তার খোঁজ পায়।

‘কবিতা সংক্রান্তি’র উপদেষ্টা সম্পাদক রনজু রাইম বলেন, ‘ছোট কাগজ সাহিত্যের একটি শক্তিশালী ধারা। তরুণেরা অনেক কষ্ট করে পকেটের পয়সা খরচ করে এগুলো বের করেন। কিন্তু মেলায় প্রতিবছর এমনভাবে একে উপস্থাপন করা হয় যে বাইরের একটা কিছু মনে হয়। পাঠকের মূল স্রোতের বাইরেই থেকে যায় এটি।’

রনজু রাইম মনে করিয়ে দেন, অনেক প্রতিষ্ঠিত কবি-সাহিত্যিক ছোট কাগজকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছেন। তাই মেলার মূল অংশের মধ্যেই ছোট কাগজের স্থান হওয়া উচিত। তা না হলে সব ধরনের পাঠক-দর্শনার্থী এ সম্পর্কে জানবেন না।

বইমেলা শুধু বাংলা একাডেমিতে যখন হতো, তখন ‘বহেড়া তলা’ নামে পরিচিত একটি জায়গা ছিল ছোট কাগজের ঠিকানা। প্রাঙ্গণটি ঘিরে তরুণ কবি-সাহিত্যিকদের বেশ আড্ডা জমত তখন। এবারের মেলায় ছোট কাগজ এলাকায় আড্ডা তেমন জমেনি। ‘লোক’ পত্রিকার কর্মী আদনান শরীফ বললেন, ‘এবার পাঠক-ক্রেতার ভিড় খুব কম। কবি-সাহিত্যিকেরাও কম আসছেন।

লেখকেরা এখানে আড্ডা দিলে পাঠকও আসতেন।’

‘কালের ধ্বনি’র আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘মাঝেমধ্যে পাঠক আসেন। আবার কোনো কোনো দিন খুবই খরা যায়।’

বাংলা একাডেমি বলছে, এবারের বইমেলায় ছোট কাগজগুলো স্টল পেয়েছে ১৩০টি। গতকাল মেলা ২৩ দিনে পড়লেও অনেক স্টল ফাঁকা দেখা গেল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রাধান্য, ক্ষুরধার লেখার অভাব, পৃষ্ঠপোষকতার সমস্যাসহ নানা কারণে ঝিমিয়ে পড়ছে ছোট কাগজ আন্দোলন—এমন পর্যবেক্ষণ ‘প্রান্তস্বর’ ও ‘বিবিধ’র সম্পাদক ইকতিজা আহসানের। তিনি বলেন, ‘ছোট কাগজ চত্বরে পাঠকের বিচরণ এবার গত বছরের থেকে কম। এর নানা কারণ রয়েছে। একসময় ছোট কাগজের যে প্রভাব ও রমরমা ছিল, তা এখন আর নেই। আর আগে কবি-সাহিত্যিকেরা যাঁরা এখানে লিখতেন, তাঁরা বইমেলার মূল স্টলের পাশাপাশি এখানে এসে আড্ডা দিতেন। তাতে অনেক পাঠক আসতেন। এখন বড় পত্রিকায় লেখার সুযোগ অবাধ হওয়ায় অনেকেই ছোট কাগজে লিখছেন না। অনেকে শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই লিখছেন। ছোট কাগজের মানও নেমে যাচ্ছে।

নতুন বইয়ের খোঁজে

মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে ভাবনা প্রকাশ বের করেছে মোজাম্মেল হক নিয়োগীর গল্পের বই ‘রক্তপ্রেমের গোধূলি’। যুদ্ধদিনের কাহিনির পাশাপাশি যুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং যুদ্ধ-পরবর্তী অনেক না বলা কথা উঠে এসেছে গল্পগুলোতে।

পাঁচ স্বাদের পাঁচটি গল্প নিয়ে ছোটদের বই ‘সেকেন্ড নিয়ে তুলকালাম’। গল্পগুলো রুশ ভাষা থেকে অনুবাদ করেছেন জাহীদ রেজা নূর। গল্পের সঙ্গে রয়েছে মজার সব ছবি। বের হয়েছে শৈশবপ্রকাশ থেকে।

জিনিয়াস পাবলিকেশনস থেকে এসেছে শরীফুল ইসলাম ভুঁইয়ার রোমান্টিক থ্রিলার উপন্যাস ‘মোহমেঘ ও রোদকন্যা’।

কথাপ্রকাশ থেকে বের হয়েছে আলোকচিত্র সাংবাদিক সাহাদাত পারভেজের ‘আলোকচিত্র পুরাণ: বাংলায় ফটোগ্রাফির আদি প্রবন্ধ’। বইটি মূলত সেকালের অবিভক্ত বাংলায় ফটোগ্রাফির প্রথম যুগের অগ্রপথিকদের লেখা প্রবন্ধ ও দুর্লভ ফটোগ্রাফি নিয়ে।

এ ছাড়া জ্ঞ্যানজ্যোতি প্রকাশনী থেকে এসেছে মনিরুল ইসলাম শ্রাবণের গল্পের বই ‘ছোট নদী ছোট ঢেউ’, সময় প্রকাশন থেকে মুনতাসীর মামুনের ‘জীবন এক রূপকথা’, প্রতিকথা থেকে নাজনীন সাথীর ‘বংগ-পুন্ড্র হতে লালমনিরহাট’।

গতকাল নতুন বই এসেছে ৬৭টি। মোট বই বেরিয়েছে ২৪২৩টি।

আয়োজন

মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নারীরা: প্রিভিলেজের দায়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মির্জা তাসলিমা সুলতানা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শাওলী মাহবুব। সভাপতিত্ব করেন রেহনুমা আহমেদ।

তাসলিমা সুলতানা বলেন, আন্দোলন সফল হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তসহ নানা পর্যায়ে নারীদের অনুপস্থিতি আমাদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করে। সমাজে বিদ্যমান আধিপত্যশীল পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থা যদি নারীর রাজনৈতিক সক্রিয়তাকে অস্বীকার করে এবং দেশ গঠনের কাজে নারীর অংশগ্রহণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে বৈষম্যহীন দেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে রেহনুমা আহমেদ বলেন, ‘’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে নারীরা প্রচণ্ড সাহসের সঙ্গে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করেই আমরা সমাজে নারী-পুরুষের বৈষম্য, শ্রেণিবৈষম্য ও ধর্মীয়বৈষম্য সমাধানের দিকে অগ্রসর হব। তাহলেই আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’

‘লেখক বলছি’ মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন লেখক ও গবেষক ড. সুকোমল বড়ুয়া এবং গবেষক তাহমিদাল জামি।

আজ মেলা শুরু হবে বেলা ৩টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘জন্মশতবর্ষ: অমলেন্দু বিশ্বাস’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সাইদুর রহমান লিপন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাউনিয়ায় মহাসড়কে ঝরল দুই কৃষকের প্রাণ

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় পৃথকভাবে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক পার হতে গিয়ে প্রাইভেট কার ও অটোরিকশার ধাক্কায় দুই কৃষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) পৃথক মামলা হয়েছে। কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত কৃষকেরা হলেন উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের খোর্দ্দ ভূতছাড়ার আবুল কালাম (৫৫) এবং কুর্শা ইউনিয়নের শিবু কুণ্ঠিরামের আলাল উদ্দিন (৫৫)।

ওসি নজমূল হক জানান, গতকাল রাতে কৃষক আবুল কালাম বেইলী ব্রিজ বাজার এলাকায় রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় মহাসড়কে একটি প্রাইভেট কার তাঁকে ধাক্কা দিলে মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান তিনি। এ ছাড়া একই দিন রাতে কৃষক আলাল উদ্দিন জুম্মারপাড় এলাকায় মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় তাঁকে একটি অটোরিকশা ধাক্কা দিলে তিনি সড়কের ওপর পড়ে আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে রমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান তিনি।

ওসি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের দুই পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ অজ্ঞাতনামা প্রাইভেট কার ও অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা দুই গাড়িচালককে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঈশ্বরদীতে ৮ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন, সড়ক অবরোধ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি 
পাবনার ঈশ্বরদীতে আট দফা দাবিতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনার ঈশ্বরদীতে আট দফা দাবিতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার ঈশ্বরদীতে আট দফা দাবিতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ঈশ্বরদীর (এটিআই) শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ-মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। বাংলাদেশ কৃষি ডিপ্লোমা ছাত্র পরিষদের আহ্বানে আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় ঈশ্বরদী রেলগেট ও ঈশ্বরদী–লালপুর–বাঘা–বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে দীর্ঘ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে।

এর আগে শিক্ষার্থীরা ঈশ্বরদী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে একটি বিক্ষোভ-মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের পোস্ট অফিস মোড় ঘুরে রেলগেট ট্রাফিক মোড়ে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে রূপ নেয়। এতে ঈশ্বরদী রেলগেট থেকে আঞ্চলিক মহাসড়কের উভয় প্রান্তে অসংখ্য যানবাহন আটকে পড়ে এবং এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে নিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকসংকট দূর করা, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে সম্পূর্ণভাবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালনা করা, সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদ শুধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য সংরক্ষণ করা, বেসরকারি চাকরিতে ন্যূনতম দশম গ্রেডের পে-স্কেল অনুযায়ী বেতন নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের মাঠ সংযুক্তি ভাতা প্রদান এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের চাকরিতে যোগদানের পর ছয় মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

কর্মসূচিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শিক্ষার্থী সৌরভ হোসেন বলেন, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আট দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে চললেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কৃষি উপদেষ্টা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। অবিলম্বে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আন্দোলন ও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সামনেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং তাঁদের আন্দোলনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রেললাইনের পাশে সেরেস্তাদারের ঝুলন্ত লাশ

ফেনী প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৭
রেললাইনের পাশে ঝুলন্ত লাশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
রেললাইনের পাশে ঝুলন্ত লাশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফেনীর ফতেহপুর রেললাইনের পাশে ঝুলন্ত অবস্থায় এনামুল হক (৫০) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেলক্রসিং-সংলগ্ন ঝোপ থেকে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  

এনামুল হক ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের নগরকান্দা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে। পরিবার নিয়ে তিনি পৌরসভার বারাহীপুর এলাকার মোমেনা ম্যানশনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি ফেনী আদালতে সেরেস্তাদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেললাইনের পাশে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।  

নিহত এনামুলের স্বজনেরা জানান, সকাল ৭টার দিকে আদালতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এনামুল হক বাসা থেকে বের হন। দুপুরের দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে স্বজনেরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নিশাত তাবাসসুম বলেন, তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুবশক্তির তিন নেতাকে হত্যার হুমকি, সোনারগাঁ থানায় জিডি

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের এনসিপির যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির তিন নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জের এনসিপির যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির তিন নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় জিডি করেছেন জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক মো. জাহিদুল হক।

জিডিতে জাহিদুল হক উল্লেখ করেন, গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে

তাঁর উদ্দেশে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে তাঁর সঙ্গে জাতীয় যুবশক্তি নারায়ণগঞ্জের আহ্বায়ক শাকিল সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক খাঁন সিয়ামের ছবি ব্যবহার করে গালাগালি ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা ছিল—‘লিস্টে রাখলাম হঠাৎ করেই সোনারগাঁবাসী দেখবে লাশ’।

মো. জাহিদুল হক জানান, পোস্টটিতে তাঁকে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত দেখিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং জীবন নিরাপত্তাঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তিনি আরও জানান, তিনি জাতীয় যুবশক্তি (এনসিপি) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলার সাবেক মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আমীন বলেন, ‘এ ঘটনায় ইতিমধ্যে জিডি করা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত রয়েছি।’

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিববুল্লাহ বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় জিডি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ফেসবুক আইডিটি শনাক্তের জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত