ঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাদেক খান (৫৮) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্য ওয়ান রেস্টুরেন্টের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্য ওয়ান রেস্টুরেন্টের দক্ষিণ পাশে চট্টগ্রামগামী লেনে একটি দুর্ঘটনার খবর জানা যায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রাতে কোনো এক যানবাহনে চাপায় ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রথমে ওই ব্যক্তিকে অজ্ঞাত হিসেবে পাওয়া যায়। তবে রাতেই সিআইডির ফরেনসিক টিমের সহযোগিতায় ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়। ওই ব্যক্তির নাম ছাদেক খান (৫৮)। তাঁর গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার দিয়াপাড়া গ্রামে। বাবার নাম রওশান আলী খান। বর্তমানে উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকতেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাদেক খান (৫৮) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্য ওয়ান রেস্টুরেন্টের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্য ওয়ান রেস্টুরেন্টের দক্ষিণ পাশে চট্টগ্রামগামী লেনে একটি দুর্ঘটনার খবর জানা যায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রাতে কোনো এক যানবাহনে চাপায় ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রথমে ওই ব্যক্তিকে অজ্ঞাত হিসেবে পাওয়া যায়। তবে রাতেই সিআইডির ফরেনসিক টিমের সহযোগিতায় ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়। ওই ব্যক্তির নাম ছাদেক খান (৫৮)। তাঁর গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার দিয়াপাড়া গ্রামে। বাবার নাম রওশান আলী খান। বর্তমানে উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকতেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

ঝিনাইদহে চারটি সংসদীয় আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এসব আসনে প্রার্থী দিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। জেলাজুড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। তবে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই জেলায় মাত্র একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি।
১৪ মিনিট আগে
শুঁটকির গ্রাম হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভর তেঁতুলিয়া গ্রাম। এখানকার উৎপাদিত দেশীয় ছোট মাছের শুঁটকি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়ায় কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শুধু দেশেই নয়, ভারতে রয়েছে এখানকার শুঁটকির কদর।
১৪ মিনিট আগে
রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
৪৪ মিনিট আগে
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
৪৪ মিনিট আগেআব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহে চারটি সংসদীয় আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এসব আসনে প্রার্থী দিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। জেলাজুড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। তবে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই জেলায় মাত্র একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। বাকি তিন আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এসব আসনে বিরাজ করছে উদ্বেগ ও হতাশা। এর মধ্যেও দলীয় মনোনয়ন পেতে নেতারা তোড়জোড়ের পাশাপাশি গণসংযোগও চালাচ্ছেন।
ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলা) আসনের বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পান উপজেলা বিএনপির সভাপতি তরুণ রাজনীতিবিদ মেহেদী হাসান রনি। তিনি এই আসন থেকে চারবার নির্বাচিত বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে। আসনটি থেকে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল ও কণ্ঠশিল্পী মনির খানের মতো প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সবাইকে টপকে মনোনয়ন পান রনি। তবে জেলার বাকি ১, ২ ও ৪ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এসব আসনে মনোনয়ন ঘোষণা না করায় কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা।
বিএনপির এই অস্থির পরিস্থিতিতে মাঠে কাজ করছে জামায়াত। ৪টি আসনে অনেক আগে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি। প্রার্থীরা দলীয় বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মী নিয়ে নিয়মিত গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ করছেন।
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা উপজেলা) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
কেন্দ্রীয় কৃষক দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান আলী বিশ্বাস। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী উপজেলা জামায়াতের আমির এ এস এম মতিউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা সভাপতি রাইহান উদ্দীন।
তবে বেশি ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে ঝিনাইদহ-২ (সদর উপজেলা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা) আসনে। এই আসন থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মসিউর রহমানের ছেলে ডা. ইব্রাহীম রহমান বাবুসহ একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী আলী আজম মো. আবুবকর, ইসলামী আন্দোলনের এইচ এম মোমতাজুল করিম প্রচার চালাচ্ছেন।
এদিকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ-২ সংসদীয় এলাকায় জনসংযোগ ও সাংগঠনিক কাজে সহযোগিতা করতে দলের নেতা-কর্মীদের বিএনপির পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর থেকে এই আসনে প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছেন রাশেদ।
যদিও বিএনপি থেকে এখনো শরিক দল নিয়ে স্পষ্ট কোনো কথা না বললেও গুঞ্জন রয়েছে, জোটের প্রার্থী হিসেবে রাশেদ খান ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসা মজিদ বঞ্চিত হবেন। এমন আলোচনা সামনে আসার পর থেকে দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাল আজাদ পান্নু বলেন, ‘এই আসনকে জেলা বিএনপির হৃৎপিণ্ড বলা হয়। হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষের যেমন জীবনহানির শঙ্কা থাকে, তেমনি আসন্ন নির্বাচনে যদি মিত্র দলের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে বিএনপির রাজনীতির হৃৎপিণ্ডে আঘাত আসবে, রাজনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৪ ইউনিয়ন) আসন থেকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হামিদুল ইসলাম হামিদ এবং ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে চারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত এম শহীদুজ্জামান বেল্টুর সহধর্মিণী ও ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুর্শিদা জামান বেল্টু মনোনয়ন চেয়েছেন। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী কালীগঞ্জ উপজেলা আমির আবু তালেব। ইসলামী আন্দোলনের আহমদ আব্দুল জলিল এবং গণঅধিকার পরিষদের সাখাওয়াত হোসেন ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
মোজাম্মেল হক নামের এক ভোটার বলেন, ‘ঝিনাইদহের রাজনীতি গড়ে উঠেছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ত্যাগ, নিষ্ঠা ও মাঠের লড়াইয়ের ওপর। প্রার্থী নির্বাচনে বাস্তবতা উপেক্ষিত হলে সংগঠনের ভিত নড়বড়ে হয়ে যাবে।’

ঝিনাইদহে চারটি সংসদীয় আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এসব আসনে প্রার্থী দিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। জেলাজুড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। তবে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই জেলায় মাত্র একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। বাকি তিন আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এসব আসনে বিরাজ করছে উদ্বেগ ও হতাশা। এর মধ্যেও দলীয় মনোনয়ন পেতে নেতারা তোড়জোড়ের পাশাপাশি গণসংযোগও চালাচ্ছেন।
ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলা) আসনের বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পান উপজেলা বিএনপির সভাপতি তরুণ রাজনীতিবিদ মেহেদী হাসান রনি। তিনি এই আসন থেকে চারবার নির্বাচিত বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে। আসনটি থেকে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল ও কণ্ঠশিল্পী মনির খানের মতো প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সবাইকে টপকে মনোনয়ন পান রনি। তবে জেলার বাকি ১, ২ ও ৪ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এসব আসনে মনোনয়ন ঘোষণা না করায় কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা।
বিএনপির এই অস্থির পরিস্থিতিতে মাঠে কাজ করছে জামায়াত। ৪টি আসনে অনেক আগে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি। প্রার্থীরা দলীয় বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মী নিয়ে নিয়মিত গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ করছেন।
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা উপজেলা) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
কেন্দ্রীয় কৃষক দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান আলী বিশ্বাস। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী উপজেলা জামায়াতের আমির এ এস এম মতিউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা সভাপতি রাইহান উদ্দীন।
তবে বেশি ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে ঝিনাইদহ-২ (সদর উপজেলা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা) আসনে। এই আসন থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মসিউর রহমানের ছেলে ডা. ইব্রাহীম রহমান বাবুসহ একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী আলী আজম মো. আবুবকর, ইসলামী আন্দোলনের এইচ এম মোমতাজুল করিম প্রচার চালাচ্ছেন।
এদিকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ-২ সংসদীয় এলাকায় জনসংযোগ ও সাংগঠনিক কাজে সহযোগিতা করতে দলের নেতা-কর্মীদের বিএনপির পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর থেকে এই আসনে প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছেন রাশেদ।
যদিও বিএনপি থেকে এখনো শরিক দল নিয়ে স্পষ্ট কোনো কথা না বললেও গুঞ্জন রয়েছে, জোটের প্রার্থী হিসেবে রাশেদ খান ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসা মজিদ বঞ্চিত হবেন। এমন আলোচনা সামনে আসার পর থেকে দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাল আজাদ পান্নু বলেন, ‘এই আসনকে জেলা বিএনপির হৃৎপিণ্ড বলা হয়। হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষের যেমন জীবনহানির শঙ্কা থাকে, তেমনি আসন্ন নির্বাচনে যদি মিত্র দলের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে বিএনপির রাজনীতির হৃৎপিণ্ডে আঘাত আসবে, রাজনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৪ ইউনিয়ন) আসন থেকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হামিদুল ইসলাম হামিদ এবং ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে চারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত এম শহীদুজ্জামান বেল্টুর সহধর্মিণী ও ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুর্শিদা জামান বেল্টু মনোনয়ন চেয়েছেন। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী কালীগঞ্জ উপজেলা আমির আবু তালেব। ইসলামী আন্দোলনের আহমদ আব্দুল জলিল এবং গণঅধিকার পরিষদের সাখাওয়াত হোসেন ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
মোজাম্মেল হক নামের এক ভোটার বলেন, ‘ঝিনাইদহের রাজনীতি গড়ে উঠেছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ত্যাগ, নিষ্ঠা ও মাঠের লড়াইয়ের ওপর। প্রার্থী নির্বাচনে বাস্তবতা উপেক্ষিত হলে সংগঠনের ভিত নড়বড়ে হয়ে যাবে।’

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্য ওয়ান রেস্টুরেন্টের দক্ষিণ পাশে চট্টগ্রামগামী লেনে একটি দুর্ঘটনার খবর আসে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
২৭ অক্টোবর ২০২৫
শুঁটকির গ্রাম হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভর তেঁতুলিয়া গ্রাম। এখানকার উৎপাদিত দেশীয় ছোট মাছের শুঁটকি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়ায় কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শুধু দেশেই নয়, ভারতে রয়েছে এখানকার শুঁটকির কদর।
১৪ মিনিট আগে
রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
৪৪ মিনিট আগে
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
৪৪ মিনিট আগেনওগাঁ সংবাদদাতা

শুঁটকির গ্রাম হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভর তেঁতুলিয়া গ্রাম। এখানকার উৎপাদিত দেশীয় ছোট মাছের শুঁটকি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়ায় কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শুধু দেশেই নয়, ভারতে রয়েছে এখানকার শুঁটকির কদর। তবে এখন ভরা মৌসুম হলেও মাছের অভাবে ভাটা পড়েছে শুঁটকি উৎপাদনে। অল্পস্বল্প যে মাছ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে।
আত্রাই উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ২৫০ টন শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এখানকার উৎপাদিত শুঁটকির বাজার মূলত দেশের রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও ঢাকা। রপ্তানি হয় ভারতেও। এ উপজেলায় একসময় ৪০ জন ব্যবসায়ী শুঁটকি উৎপাদনে জড়িত থাকলেও বর্তমানে আছেন ১৫-১৮ জন।
সম্প্রতি সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আত্রাই রেলস্টেশনের দুই পাশে রয়েছে শুঁটকি মাছ শুকানোর চাতাল। নারী-পুরুষেরা মাছ কাটা, ধোয়া, লবণ লাগিয়ে চাতালে শুকাতে দিচ্ছেন। সকালে রোদে দেওয়া ভেজা মাছগুলোও কেউ কেউ এপিঠ-ওপিঠ উল্টে রাখছেন। মাছের অভাবে অনেক চাতাল ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয় শুঁটকি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আত্রাই উপজেলা একটি বিল অধ্যুষিত এলাকা। উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। পাশাপাশি ছোট যমুনা নদী ও আরও রয়েছে শতাধিক খাল-বিল। এসব নদী ও খাল-বিলের পানি কমতে শুরু করলে বাজারে উঠতে শুরু করে দেশীয় প্রজাতির ট্যাংরা, পুঁটি, খলসে, টাকি, শোল, চাঁদাসহ নানা জাতের মাছ। কিন্তু চায়না দুয়ারি, সুতি, কারেন্ট ও ভাদাই জালের অবাধ ব্যবহারে পানি কমলেও এ বছর দেখা নেই মাছের। মাছের অভাবে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বন্ধ ছিল অধিকাংশ চাতাল। এতে চাহিদা অনুযায়ী শুঁটকি উৎপাদন করতে পারছেন না। এ ছাড়া শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা কর্মহীন হয়ে পড়ছেন।
শুঁটকি ব্যবসায়ী ভর তেঁতুলিয়া গ্রামের রামপদ শীল বলেন, ‘এ বছর মাছের খুব অভাব। বাজারে যেটুকু মাছ পাওয়া যাচ্ছে তাও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। মানভেদে প্রতি কেজি ১০০-২২০ টাকা কেজিতে মাছ কিনতে হচ্ছে। প্রতিদিন ২০-২৫ মণ মাছের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাজার ও মৎস্য আড়ত ঘুরে ৭-১০ মণের বেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী শুঁটকি উৎপাদন করতে পারছি না।’
ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও এই সময় শুঁটকিপল্লি মুখর থাকত। কিন্তু এখন বর্ষার শুরুতেই সুতি, দুয়ারি ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরায় বাজারে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। মাছ পাওয়া গেলে এত দিন দুই-আড়াই মাস ব্যবসা করা যেত। মাছের অভাবে অনেক চাতাল বন্ধ আছে। এ অবস্থায় চাতালের কাজে জড়িত নারী-পুরুষ শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়ছেন।’ নারী শ্রমিক আনজুমান বেগম বলেন, ‘মাছের অভাবে কাজ কমে গেছে। এই শুঁটকি মাছের চাতালে কাজ করে যে টাকা পাই, তা দিয়েই সংসার চলে। কাজ না পেয়ে অনেকে বসে থাকে।’
এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘শুঁটকির সঙ্গে জড়িতদের নিরাপদ ও মানসম্মতভাবে শুঁটকি তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অসাধু উপায়ে মাছ শিকার বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

শুঁটকির গ্রাম হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভর তেঁতুলিয়া গ্রাম। এখানকার উৎপাদিত দেশীয় ছোট মাছের শুঁটকি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়ায় কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শুধু দেশেই নয়, ভারতে রয়েছে এখানকার শুঁটকির কদর। তবে এখন ভরা মৌসুম হলেও মাছের অভাবে ভাটা পড়েছে শুঁটকি উৎপাদনে। অল্পস্বল্প যে মাছ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে।
আত্রাই উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ২৫০ টন শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এখানকার উৎপাদিত শুঁটকির বাজার মূলত দেশের রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও ঢাকা। রপ্তানি হয় ভারতেও। এ উপজেলায় একসময় ৪০ জন ব্যবসায়ী শুঁটকি উৎপাদনে জড়িত থাকলেও বর্তমানে আছেন ১৫-১৮ জন।
সম্প্রতি সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আত্রাই রেলস্টেশনের দুই পাশে রয়েছে শুঁটকি মাছ শুকানোর চাতাল। নারী-পুরুষেরা মাছ কাটা, ধোয়া, লবণ লাগিয়ে চাতালে শুকাতে দিচ্ছেন। সকালে রোদে দেওয়া ভেজা মাছগুলোও কেউ কেউ এপিঠ-ওপিঠ উল্টে রাখছেন। মাছের অভাবে অনেক চাতাল ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয় শুঁটকি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আত্রাই উপজেলা একটি বিল অধ্যুষিত এলাকা। উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। পাশাপাশি ছোট যমুনা নদী ও আরও রয়েছে শতাধিক খাল-বিল। এসব নদী ও খাল-বিলের পানি কমতে শুরু করলে বাজারে উঠতে শুরু করে দেশীয় প্রজাতির ট্যাংরা, পুঁটি, খলসে, টাকি, শোল, চাঁদাসহ নানা জাতের মাছ। কিন্তু চায়না দুয়ারি, সুতি, কারেন্ট ও ভাদাই জালের অবাধ ব্যবহারে পানি কমলেও এ বছর দেখা নেই মাছের। মাছের অভাবে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বন্ধ ছিল অধিকাংশ চাতাল। এতে চাহিদা অনুযায়ী শুঁটকি উৎপাদন করতে পারছেন না। এ ছাড়া শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা কর্মহীন হয়ে পড়ছেন।
শুঁটকি ব্যবসায়ী ভর তেঁতুলিয়া গ্রামের রামপদ শীল বলেন, ‘এ বছর মাছের খুব অভাব। বাজারে যেটুকু মাছ পাওয়া যাচ্ছে তাও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। মানভেদে প্রতি কেজি ১০০-২২০ টাকা কেজিতে মাছ কিনতে হচ্ছে। প্রতিদিন ২০-২৫ মণ মাছের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাজার ও মৎস্য আড়ত ঘুরে ৭-১০ মণের বেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী শুঁটকি উৎপাদন করতে পারছি না।’
ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও এই সময় শুঁটকিপল্লি মুখর থাকত। কিন্তু এখন বর্ষার শুরুতেই সুতি, দুয়ারি ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরায় বাজারে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। মাছ পাওয়া গেলে এত দিন দুই-আড়াই মাস ব্যবসা করা যেত। মাছের অভাবে অনেক চাতাল বন্ধ আছে। এ অবস্থায় চাতালের কাজে জড়িত নারী-পুরুষ শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়ছেন।’ নারী শ্রমিক আনজুমান বেগম বলেন, ‘মাছের অভাবে কাজ কমে গেছে। এই শুঁটকি মাছের চাতালে কাজ করে যে টাকা পাই, তা দিয়েই সংসার চলে। কাজ না পেয়ে অনেকে বসে থাকে।’
এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘শুঁটকির সঙ্গে জড়িতদের নিরাপদ ও মানসম্মতভাবে শুঁটকি তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অসাধু উপায়ে মাছ শিকার বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্য ওয়ান রেস্টুরেন্টের দক্ষিণ পাশে চট্টগ্রামগামী লেনে একটি দুর্ঘটনার খবর আসে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
২৭ অক্টোবর ২০২৫
ঝিনাইদহে চারটি সংসদীয় আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এসব আসনে প্রার্থী দিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। জেলাজুড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। তবে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই জেলায় মাত্র একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি।
১৪ মিনিট আগে
রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
৪৪ মিনিট আগে
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
৪৪ মিনিট আগেআমানুর রহমান রনি, ঢাকা

রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। কেউ পথের কাঁটা হলে হত্যাও করানো হচ্ছে। এর সর্বশেষ শিকার পল্লবীর যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া।
মিরপুরে সরেজমিনে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ফোর স্টার গ্রুপের চাঁদাবাজিতে মিরপুরের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। মামলা, জিডি, আন্দোলন করেও তাঁরা চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। পরিবহন খাতেও চলছে চাঁদাবাজি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, বাসিন্দাদের তথ্য এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মিরপুরে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন মফিজুর রহমান মামুন, ‘কিলার’ ইব্রাহীম, শাহাদাত হোসেন ও মোক্তার হোসেন। তাঁদের মধ্যে মামুন মালয়েশিয়ায়, ইব্রাহীম ফ্রান্সে, শাহাদাত ইতালিতে এবং মোক্তার ভারতে অবস্থান করছেন। মামুনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১২, পল্লবী, সাগুফতা ও বাউনিয়া এলাকা। ইব্রাহিমের নিয়ন্ত্রণ মিরপুর ১৩, মিরপুর ১৪, ভাষানটেক ও কালশীতে। শাহাদাতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১, মিরপুর ২, মিরপুর ৬, মিরপুর ৭। মোক্তার হোসেনের নিয়ন্ত্রণে মিরপুর ১০ ও ১১ এলাকা। বিদেশে বসেই তাঁরা দেড় শতাধিক অনুসারীকে দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন। একজনের অনুসারীরা অন্যজনের এলাকায় যাচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, গত ১৭ নভেম্বর মিরপুর ১২ নম্বরের সি ব্লকের একটি দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ মামুনের অনুসারীরা। কারণ, সম্প্রতি গোলাম কিবরিয়া এলাকায় মাদক কারবারসহ বেশ কিছু বিষয়ে বিরোধিতা করায় মামুন ক্ষিপ্ত হন।
র্যাব-৪ সূত্র বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামুনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় মাদক কারবার, পরিবহন ও আবাসন খাতে চাঁদাবাজিতে সক্রিয় তাঁর অনুসারীরা। গত জানুয়ারিতে পল্লবীর আলব্দিরটেকে এ কে বিল্ডার্সের অফিসে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পল্লবী থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আটজনকে। এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান বলেন, মামুনের রেফারেন্স দিয়ে ‘জামিল’ পরিচয়ে এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ওই চাঁদা দাবি করেছিলেন।
বিহঙ্গ পরিবহনের একজন লাইনম্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিরপুরের প্রতিটি বাস, বাসস্ট্যান্ডে মাসিক ভিত্তিতে সন্ত্রাসীরা টাকা পায়। তারা এলাকা ভাগ করে এই চাঁদা নেয়।
ইব্রাহীমের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় বিহারি ক্যাম্পগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে মাদকের কারবার করছে তার অনুসারীরা। এসব এলাকায় মাদকের অন্তত ১১টি বড় স্পট রয়েছে।
দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন ইতালিতে থেকে অনুসারীদের দিয়ে তাঁর এলাকায় একক আধিপত্য ধরে রেখেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শাহ আলীর স্বাধীন মার্কেটে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে আসিফ সিকদারের নেতৃত্বে ভাঙচুর চালায় শাহাদাত বাহিনী। এ ঘটনায় ওই মার্কেটের ম্যানেজার তরিকুল মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আসিফ পুলিশকে জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের নাম এবং রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ অপরজন মোক্তার ভারতে আত্মগোপনে থেকে অপরাধের কলকাঠি নাড়ান। মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর সেকশনে তাঁর অনুসারীরা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। মিরপুর ১০ নম্বরের বেনারসিপল্লির ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে হত্যার হুমকির অভিযোগে পল্লবী থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
চাঁদাবাজদের ভয়ে কয়েক দিন দোকান বন্ধ রাখা সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১০ লাখ টাকা চাঁদার জন্য গত ১০ মে থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১২ বার তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
‘ফোর স্টার গ্রুপের’ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে। এর নেপথ্যে যারা জড়িত ছিল, তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। মিরপুরের কয়েকজন সন্ত্রাসীর বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।’

রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। কেউ পথের কাঁটা হলে হত্যাও করানো হচ্ছে। এর সর্বশেষ শিকার পল্লবীর যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া।
মিরপুরে সরেজমিনে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ফোর স্টার গ্রুপের চাঁদাবাজিতে মিরপুরের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। মামলা, জিডি, আন্দোলন করেও তাঁরা চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। পরিবহন খাতেও চলছে চাঁদাবাজি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, বাসিন্দাদের তথ্য এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মিরপুরে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন মফিজুর রহমান মামুন, ‘কিলার’ ইব্রাহীম, শাহাদাত হোসেন ও মোক্তার হোসেন। তাঁদের মধ্যে মামুন মালয়েশিয়ায়, ইব্রাহীম ফ্রান্সে, শাহাদাত ইতালিতে এবং মোক্তার ভারতে অবস্থান করছেন। মামুনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১২, পল্লবী, সাগুফতা ও বাউনিয়া এলাকা। ইব্রাহিমের নিয়ন্ত্রণ মিরপুর ১৩, মিরপুর ১৪, ভাষানটেক ও কালশীতে। শাহাদাতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১, মিরপুর ২, মিরপুর ৬, মিরপুর ৭। মোক্তার হোসেনের নিয়ন্ত্রণে মিরপুর ১০ ও ১১ এলাকা। বিদেশে বসেই তাঁরা দেড় শতাধিক অনুসারীকে দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন। একজনের অনুসারীরা অন্যজনের এলাকায় যাচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, গত ১৭ নভেম্বর মিরপুর ১২ নম্বরের সি ব্লকের একটি দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ মামুনের অনুসারীরা। কারণ, সম্প্রতি গোলাম কিবরিয়া এলাকায় মাদক কারবারসহ বেশ কিছু বিষয়ে বিরোধিতা করায় মামুন ক্ষিপ্ত হন।
র্যাব-৪ সূত্র বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামুনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় মাদক কারবার, পরিবহন ও আবাসন খাতে চাঁদাবাজিতে সক্রিয় তাঁর অনুসারীরা। গত জানুয়ারিতে পল্লবীর আলব্দিরটেকে এ কে বিল্ডার্সের অফিসে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পল্লবী থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আটজনকে। এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান বলেন, মামুনের রেফারেন্স দিয়ে ‘জামিল’ পরিচয়ে এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ওই চাঁদা দাবি করেছিলেন।
বিহঙ্গ পরিবহনের একজন লাইনম্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিরপুরের প্রতিটি বাস, বাসস্ট্যান্ডে মাসিক ভিত্তিতে সন্ত্রাসীরা টাকা পায়। তারা এলাকা ভাগ করে এই চাঁদা নেয়।
ইব্রাহীমের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় বিহারি ক্যাম্পগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে মাদকের কারবার করছে তার অনুসারীরা। এসব এলাকায় মাদকের অন্তত ১১টি বড় স্পট রয়েছে।
দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন ইতালিতে থেকে অনুসারীদের দিয়ে তাঁর এলাকায় একক আধিপত্য ধরে রেখেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শাহ আলীর স্বাধীন মার্কেটে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে আসিফ সিকদারের নেতৃত্বে ভাঙচুর চালায় শাহাদাত বাহিনী। এ ঘটনায় ওই মার্কেটের ম্যানেজার তরিকুল মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আসিফ পুলিশকে জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের নাম এবং রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ অপরজন মোক্তার ভারতে আত্মগোপনে থেকে অপরাধের কলকাঠি নাড়ান। মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর সেকশনে তাঁর অনুসারীরা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। মিরপুর ১০ নম্বরের বেনারসিপল্লির ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে হত্যার হুমকির অভিযোগে পল্লবী থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
চাঁদাবাজদের ভয়ে কয়েক দিন দোকান বন্ধ রাখা সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১০ লাখ টাকা চাঁদার জন্য গত ১০ মে থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১২ বার তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
‘ফোর স্টার গ্রুপের’ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে। এর নেপথ্যে যারা জড়িত ছিল, তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। মিরপুরের কয়েকজন সন্ত্রাসীর বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।’

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্য ওয়ান রেস্টুরেন্টের দক্ষিণ পাশে চট্টগ্রামগামী লেনে একটি দুর্ঘটনার খবর আসে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
২৭ অক্টোবর ২০২৫
ঝিনাইদহে চারটি সংসদীয় আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এসব আসনে প্রার্থী দিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। জেলাজুড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। তবে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই জেলায় মাত্র একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি।
১৪ মিনিট আগে
শুঁটকির গ্রাম হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভর তেঁতুলিয়া গ্রাম। এখানকার উৎপাদিত দেশীয় ছোট মাছের শুঁটকি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়ায় কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শুধু দেশেই নয়, ভারতে রয়েছে এখানকার শুঁটকির কদর।
১৪ মিনিট আগে
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
৪৪ মিনিট আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মৌলভীবাজারে পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষদের ধরে এনে নির্মমভাবে নির্যাতন করে, চালায় গণহত্যা। মুক্তিযুদ্ধের নানান দলিলপত্রে এসব উঠে এসেছে। পরবর্তী সময়ে এসব গণহত্যার স্থান চিহ্নিত করে কয়েকটি বধ্যভূমি ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। তবে যেসব স্থান বধ্যভূমি হিসেবে ঠিক করা হয়েছে, সেসব স্থান বছরের পর বছর ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। মাঝেমধ্যে বিজয় দিবসে পরিষ্কার করা হলেও সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ২০টি বধ্যভূমি আছে। এর মধ্যে মাত্র আটটি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে এই সংরক্ষিত বধ্যভূমিগুলো সব সময় ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। গরু-ছাগল চরে বেড়ায়।
সরেজমিনে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শমশেরনগর ইউনিয়নের শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, সম্মুখসমরের স্মৃতিস্তম্ভ, দেওড়াছড়া বধ্যভূমিতে সরকারিভাবে স্থাপনা তৈরি করা হলেও বাইর থেকে বোঝার উপায় নেই এগুলো বধ্যভূমি। যে কেউ দেখলে মনে হবে এটা একটা ভূতের বাড়ি। ঘন জঙ্গলে ভরা।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন নথি সূত্রে জানা যায়, জেলার চিহ্নিত বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, দেওড়াছড়া; শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া গণকবর; কুলাউড়া উপজেলার হাকাতির দিঘিরপাড়ের গণকবর; কুলাউড়া রেলস্টেশনের দক্ষিণে রেললাইনের পূর্ব পাশের গণকবর; রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের হিরনারায়ণ দাসের দিঘিরপাড়ের গণকবর, বড়লেখা উপজেলার সায়পুর গণকবর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাড়ন্তি-নালিউড়ি সড়কের উত্তর পাশের গণকবর ও আপার কাগাবলা ইউপির নড়িয়া গ্রামের কামিনী দেবের বাড়ির দক্ষিণ পাশের গণকবরসহ বেশ কিছু বধ্যভূমি।
মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নিদর্শন। এখানে পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে। অথচ এই স্থানগুলো এখনো গরু-ছাগল ও মানুষের মলমূত্র ত্যাগের জায়গা, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিজয় দিবসের আগে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হোক।
মুক্তিযোদ্ধা মনু মিয়া বলেন, ‘পঙ্গুত্ব নিয়ে এখনো বেঁচে আছি। বয়স হয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছি। শমশেরনগর বধ্যভূমিতে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। দেওড়াছড়ায় একসাথে প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। এ স্থানগুলো সংরক্ষণ করা হলেও কোনো কদর নেই। শুধু এই দুটি নয়, সারা জেলায় অনেক গণকবর ও বধ্যভূমি আছে, যার চিহ্ন এখন নেই।’
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তার বলেন, মৌলভীবাজার পৌরসভায় একটি বধ্যভূমি আছে, যা বিজয় দিবসের আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলে দেওয়া হবে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য।

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মৌলভীবাজারে পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষদের ধরে এনে নির্মমভাবে নির্যাতন করে, চালায় গণহত্যা। মুক্তিযুদ্ধের নানান দলিলপত্রে এসব উঠে এসেছে। পরবর্তী সময়ে এসব গণহত্যার স্থান চিহ্নিত করে কয়েকটি বধ্যভূমি ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। তবে যেসব স্থান বধ্যভূমি হিসেবে ঠিক করা হয়েছে, সেসব স্থান বছরের পর বছর ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। মাঝেমধ্যে বিজয় দিবসে পরিষ্কার করা হলেও সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ২০টি বধ্যভূমি আছে। এর মধ্যে মাত্র আটটি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে এই সংরক্ষিত বধ্যভূমিগুলো সব সময় ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। গরু-ছাগল চরে বেড়ায়।
সরেজমিনে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শমশেরনগর ইউনিয়নের শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, সম্মুখসমরের স্মৃতিস্তম্ভ, দেওড়াছড়া বধ্যভূমিতে সরকারিভাবে স্থাপনা তৈরি করা হলেও বাইর থেকে বোঝার উপায় নেই এগুলো বধ্যভূমি। যে কেউ দেখলে মনে হবে এটা একটা ভূতের বাড়ি। ঘন জঙ্গলে ভরা।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন নথি সূত্রে জানা যায়, জেলার চিহ্নিত বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, দেওড়াছড়া; শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া গণকবর; কুলাউড়া উপজেলার হাকাতির দিঘিরপাড়ের গণকবর; কুলাউড়া রেলস্টেশনের দক্ষিণে রেললাইনের পূর্ব পাশের গণকবর; রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের হিরনারায়ণ দাসের দিঘিরপাড়ের গণকবর, বড়লেখা উপজেলার সায়পুর গণকবর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাড়ন্তি-নালিউড়ি সড়কের উত্তর পাশের গণকবর ও আপার কাগাবলা ইউপির নড়িয়া গ্রামের কামিনী দেবের বাড়ির দক্ষিণ পাশের গণকবরসহ বেশ কিছু বধ্যভূমি।
মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নিদর্শন। এখানে পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে। অথচ এই স্থানগুলো এখনো গরু-ছাগল ও মানুষের মলমূত্র ত্যাগের জায়গা, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিজয় দিবসের আগে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হোক।
মুক্তিযোদ্ধা মনু মিয়া বলেন, ‘পঙ্গুত্ব নিয়ে এখনো বেঁচে আছি। বয়স হয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছি। শমশেরনগর বধ্যভূমিতে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। দেওড়াছড়ায় একসাথে প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। এ স্থানগুলো সংরক্ষণ করা হলেও কোনো কদর নেই। শুধু এই দুটি নয়, সারা জেলায় অনেক গণকবর ও বধ্যভূমি আছে, যার চিহ্ন এখন নেই।’
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তার বলেন, মৌলভীবাজার পৌরসভায় একটি বধ্যভূমি আছে, যা বিজয় দিবসের আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলে দেওয়া হবে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্য ওয়ান রেস্টুরেন্টের দক্ষিণ পাশে চট্টগ্রামগামী লেনে একটি দুর্ঘটনার খবর আসে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
২৭ অক্টোবর ২০২৫
ঝিনাইদহে চারটি সংসদীয় আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এসব আসনে প্রার্থী দিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। জেলাজুড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। তবে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই জেলায় মাত্র একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি।
১৪ মিনিট আগে
শুঁটকির গ্রাম হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভর তেঁতুলিয়া গ্রাম। এখানকার উৎপাদিত দেশীয় ছোট মাছের শুঁটকি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়ায় কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শুধু দেশেই নয়, ভারতে রয়েছে এখানকার শুঁটকির কদর।
১৪ মিনিট আগে
রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
৪৪ মিনিট আগে