ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত চলছে এই তদন্ত কার্যক্রম। প্রাথমিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতাও পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন, হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না, সিভিল সার্জন অফিসের ডা. আল আমীন ও শিবালয়ে কর্মরত আরএমও।
জানা গেছে, হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ায় শিবালয়বাসী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ২০ আগস্ট শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারী, সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার এবং প্রধান সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করবেন না— এই মর্মে অঙ্গীকার করে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর জনসম্মুখে প্রকাশ্যে একটি অব্যাহতিপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন তাদের মুচলেকা গ্রহণ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার আদেশ দেন।
কিন্তু মুচলেকা দেওয়ার কয়েক দিন পর তা প্রত্যাহারের জন্য সিভিল সার্জনের নিকট গোপনে আবেদন করেন প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আশরাফুজ্জামান ফরিদ স্থানীয় সাবেক এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের পিএস জুয়েল রানার বোন জামাই পরিচয়ে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। দুর্নীতির দায়ে ২০১৮ সালে শিবালয় থেকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। তদবির করে তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে পুনরায় শিবালয়ে এসে টানা প্রায় তিন বছর বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট মুচলেকা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
উপজেলার উলাইল ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধান অফিস সহকারী ফরিদের নামে হাসপাতাল চত্বরে কোনো কোয়ার্টার বরাদ্দ না থাকলেও তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে এসি (শীতাতপ) লাগিয়ে বিলাস বহুল জীবনযাপন করে আসছেন। হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলির ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে, বদলি ও হয়রানির ভয় দেখাত। এ ছাড়া চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর কাছে একাধিকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। দুর্নীতির টাকায় দিয়ে মানিকগঞ্জ শহরে বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন ফরিদ।
আরতি সাহা নামের স্বাস্থ্যের এক মাঠকর্মী বলেন, ‘প্রত্যেক বছরে প্রায় ১১ হাজার টাকার ওপরে আমাদের একটা বিল পাই আর সেই বিলটা করেন অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। গত ঈদে আমাদের সেই বিল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকিটা আর দেয় নাই।’
হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগের কর্মী তাসলিমা খানম বলেন, ‘ফরিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। আর যারা কথা বলে, তাঁদের হাসপাতালের ভেতরের ও বাইরের লোকজনকে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এমনকি হাসপাতালের নারীদের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলে।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটিকে সাক্ষ্য দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গোপনে টাকা পয়সার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তদবির শুরু করেছেন। এমনকি যাদের সামনে অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনেককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ফরিদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিকট তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এমএইচভিদের বেতন থেকে তিন লাখ টাকা, জিপ গাড়ির জ্বালানি বাবদ দুই বছরে লক্ষাধিক টাকা, হাসপাতাল পরিষ্কার বাবদ গত দুই বছরে দুই লাখ টাকা, উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিভিন্ন বরাদ্দে তিন লাখ টাকা, এমএসআর টেন্ডার বাবদ বিশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান ফরিদ জানান, ‘আমি নির্দেশ পালন করেছি মাত্র। এগুলোর সঙ্গে আমি জড়িত না। সব করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে স্যার। আপনি চাইলে আমি স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য দিতে পারব।’
তবে সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। তাই তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অব্যাহতি নেওয়া শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী বলেন, ‘আমরা তিনজন জেনে বুঝে সকলের সামনে অব্যাহতিপত্র লিখেছি এবং শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’
তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. মেহেরুবা পান্না বলেন, তদন্ত অনুসন্ধানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ১০ জন ও হাসপাতালের ৮ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আর কিছু কাজ বাকি আছে। সিভিল সার্জন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন যথাসময়ে (কয়েক দিনের মধ্যে) জমা দেওয়া হবে।
নাম-পদবি প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির সভাপতির মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোকছেদুল মোমিন জানান, তাদের মুচলেকাপত্র পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে মুচলেকার কিছুদিন পর অভিযুক্ত ব্যক্তি মুচলেকাপত্রে আপত্তি দেওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত চলছে এই তদন্ত কার্যক্রম। প্রাথমিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতাও পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন, হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না, সিভিল সার্জন অফিসের ডা. আল আমীন ও শিবালয়ে কর্মরত আরএমও।
জানা গেছে, হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ায় শিবালয়বাসী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ২০ আগস্ট শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারী, সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার এবং প্রধান সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করবেন না— এই মর্মে অঙ্গীকার করে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর জনসম্মুখে প্রকাশ্যে একটি অব্যাহতিপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন তাদের মুচলেকা গ্রহণ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার আদেশ দেন।
কিন্তু মুচলেকা দেওয়ার কয়েক দিন পর তা প্রত্যাহারের জন্য সিভিল সার্জনের নিকট গোপনে আবেদন করেন প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আশরাফুজ্জামান ফরিদ স্থানীয় সাবেক এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের পিএস জুয়েল রানার বোন জামাই পরিচয়ে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। দুর্নীতির দায়ে ২০১৮ সালে শিবালয় থেকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। তদবির করে তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে পুনরায় শিবালয়ে এসে টানা প্রায় তিন বছর বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট মুচলেকা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
উপজেলার উলাইল ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধান অফিস সহকারী ফরিদের নামে হাসপাতাল চত্বরে কোনো কোয়ার্টার বরাদ্দ না থাকলেও তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে এসি (শীতাতপ) লাগিয়ে বিলাস বহুল জীবনযাপন করে আসছেন। হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলির ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে, বদলি ও হয়রানির ভয় দেখাত। এ ছাড়া চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর কাছে একাধিকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। দুর্নীতির টাকায় দিয়ে মানিকগঞ্জ শহরে বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন ফরিদ।
আরতি সাহা নামের স্বাস্থ্যের এক মাঠকর্মী বলেন, ‘প্রত্যেক বছরে প্রায় ১১ হাজার টাকার ওপরে আমাদের একটা বিল পাই আর সেই বিলটা করেন অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। গত ঈদে আমাদের সেই বিল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকিটা আর দেয় নাই।’
হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগের কর্মী তাসলিমা খানম বলেন, ‘ফরিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। আর যারা কথা বলে, তাঁদের হাসপাতালের ভেতরের ও বাইরের লোকজনকে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এমনকি হাসপাতালের নারীদের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলে।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটিকে সাক্ষ্য দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গোপনে টাকা পয়সার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তদবির শুরু করেছেন। এমনকি যাদের সামনে অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনেককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ফরিদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিকট তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এমএইচভিদের বেতন থেকে তিন লাখ টাকা, জিপ গাড়ির জ্বালানি বাবদ দুই বছরে লক্ষাধিক টাকা, হাসপাতাল পরিষ্কার বাবদ গত দুই বছরে দুই লাখ টাকা, উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিভিন্ন বরাদ্দে তিন লাখ টাকা, এমএসআর টেন্ডার বাবদ বিশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান ফরিদ জানান, ‘আমি নির্দেশ পালন করেছি মাত্র। এগুলোর সঙ্গে আমি জড়িত না। সব করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে স্যার। আপনি চাইলে আমি স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য দিতে পারব।’
তবে সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। তাই তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অব্যাহতি নেওয়া শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী বলেন, ‘আমরা তিনজন জেনে বুঝে সকলের সামনে অব্যাহতিপত্র লিখেছি এবং শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’
তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. মেহেরুবা পান্না বলেন, তদন্ত অনুসন্ধানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ১০ জন ও হাসপাতালের ৮ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আর কিছু কাজ বাকি আছে। সিভিল সার্জন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন যথাসময়ে (কয়েক দিনের মধ্যে) জমা দেওয়া হবে।
নাম-পদবি প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির সভাপতির মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোকছেদুল মোমিন জানান, তাদের মুচলেকাপত্র পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে মুচলেকার কিছুদিন পর অভিযুক্ত ব্যক্তি মুচলেকাপত্রে আপত্তি দেওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত চলছে এই তদন্ত কার্যক্রম। প্রাথমিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতাও পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন, হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না, সিভিল সার্জন অফিসের ডা. আল আমীন ও শিবালয়ে কর্মরত আরএমও।
জানা গেছে, হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ায় শিবালয়বাসী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ২০ আগস্ট শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারী, সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার এবং প্রধান সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করবেন না— এই মর্মে অঙ্গীকার করে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর জনসম্মুখে প্রকাশ্যে একটি অব্যাহতিপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন তাদের মুচলেকা গ্রহণ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার আদেশ দেন।
কিন্তু মুচলেকা দেওয়ার কয়েক দিন পর তা প্রত্যাহারের জন্য সিভিল সার্জনের নিকট গোপনে আবেদন করেন প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আশরাফুজ্জামান ফরিদ স্থানীয় সাবেক এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের পিএস জুয়েল রানার বোন জামাই পরিচয়ে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। দুর্নীতির দায়ে ২০১৮ সালে শিবালয় থেকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। তদবির করে তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে পুনরায় শিবালয়ে এসে টানা প্রায় তিন বছর বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট মুচলেকা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
উপজেলার উলাইল ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধান অফিস সহকারী ফরিদের নামে হাসপাতাল চত্বরে কোনো কোয়ার্টার বরাদ্দ না থাকলেও তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে এসি (শীতাতপ) লাগিয়ে বিলাস বহুল জীবনযাপন করে আসছেন। হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলির ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে, বদলি ও হয়রানির ভয় দেখাত। এ ছাড়া চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর কাছে একাধিকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। দুর্নীতির টাকায় দিয়ে মানিকগঞ্জ শহরে বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন ফরিদ।
আরতি সাহা নামের স্বাস্থ্যের এক মাঠকর্মী বলেন, ‘প্রত্যেক বছরে প্রায় ১১ হাজার টাকার ওপরে আমাদের একটা বিল পাই আর সেই বিলটা করেন অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। গত ঈদে আমাদের সেই বিল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকিটা আর দেয় নাই।’
হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগের কর্মী তাসলিমা খানম বলেন, ‘ফরিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। আর যারা কথা বলে, তাঁদের হাসপাতালের ভেতরের ও বাইরের লোকজনকে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এমনকি হাসপাতালের নারীদের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলে।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটিকে সাক্ষ্য দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গোপনে টাকা পয়সার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তদবির শুরু করেছেন। এমনকি যাদের সামনে অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনেককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ফরিদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিকট তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এমএইচভিদের বেতন থেকে তিন লাখ টাকা, জিপ গাড়ির জ্বালানি বাবদ দুই বছরে লক্ষাধিক টাকা, হাসপাতাল পরিষ্কার বাবদ গত দুই বছরে দুই লাখ টাকা, উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিভিন্ন বরাদ্দে তিন লাখ টাকা, এমএসআর টেন্ডার বাবদ বিশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান ফরিদ জানান, ‘আমি নির্দেশ পালন করেছি মাত্র। এগুলোর সঙ্গে আমি জড়িত না। সব করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে স্যার। আপনি চাইলে আমি স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য দিতে পারব।’
তবে সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। তাই তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অব্যাহতি নেওয়া শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী বলেন, ‘আমরা তিনজন জেনে বুঝে সকলের সামনে অব্যাহতিপত্র লিখেছি এবং শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’
তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. মেহেরুবা পান্না বলেন, তদন্ত অনুসন্ধানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ১০ জন ও হাসপাতালের ৮ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আর কিছু কাজ বাকি আছে। সিভিল সার্জন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন যথাসময়ে (কয়েক দিনের মধ্যে) জমা দেওয়া হবে।
নাম-পদবি প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির সভাপতির মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোকছেদুল মোমিন জানান, তাদের মুচলেকাপত্র পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে মুচলেকার কিছুদিন পর অভিযুক্ত ব্যক্তি মুচলেকাপত্রে আপত্তি দেওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত চলছে এই তদন্ত কার্যক্রম। প্রাথমিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতাও পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন, হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না, সিভিল সার্জন অফিসের ডা. আল আমীন ও শিবালয়ে কর্মরত আরএমও।
জানা গেছে, হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ায় শিবালয়বাসী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ২০ আগস্ট শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারী, সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার এবং প্রধান সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করবেন না— এই মর্মে অঙ্গীকার করে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর জনসম্মুখে প্রকাশ্যে একটি অব্যাহতিপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন তাদের মুচলেকা গ্রহণ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার আদেশ দেন।
কিন্তু মুচলেকা দেওয়ার কয়েক দিন পর তা প্রত্যাহারের জন্য সিভিল সার্জনের নিকট গোপনে আবেদন করেন প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আশরাফুজ্জামান ফরিদ স্থানীয় সাবেক এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের পিএস জুয়েল রানার বোন জামাই পরিচয়ে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। দুর্নীতির দায়ে ২০১৮ সালে শিবালয় থেকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। তদবির করে তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে পুনরায় শিবালয়ে এসে টানা প্রায় তিন বছর বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট মুচলেকা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
উপজেলার উলাইল ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধান অফিস সহকারী ফরিদের নামে হাসপাতাল চত্বরে কোনো কোয়ার্টার বরাদ্দ না থাকলেও তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে এসি (শীতাতপ) লাগিয়ে বিলাস বহুল জীবনযাপন করে আসছেন। হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলির ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে, বদলি ও হয়রানির ভয় দেখাত। এ ছাড়া চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর কাছে একাধিকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। দুর্নীতির টাকায় দিয়ে মানিকগঞ্জ শহরে বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন ফরিদ।
আরতি সাহা নামের স্বাস্থ্যের এক মাঠকর্মী বলেন, ‘প্রত্যেক বছরে প্রায় ১১ হাজার টাকার ওপরে আমাদের একটা বিল পাই আর সেই বিলটা করেন অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। গত ঈদে আমাদের সেই বিল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকিটা আর দেয় নাই।’
হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগের কর্মী তাসলিমা খানম বলেন, ‘ফরিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। আর যারা কথা বলে, তাঁদের হাসপাতালের ভেতরের ও বাইরের লোকজনকে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এমনকি হাসপাতালের নারীদের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলে।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটিকে সাক্ষ্য দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গোপনে টাকা পয়সার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তদবির শুরু করেছেন। এমনকি যাদের সামনে অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনেককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ফরিদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিকট তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এমএইচভিদের বেতন থেকে তিন লাখ টাকা, জিপ গাড়ির জ্বালানি বাবদ দুই বছরে লক্ষাধিক টাকা, হাসপাতাল পরিষ্কার বাবদ গত দুই বছরে দুই লাখ টাকা, উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিভিন্ন বরাদ্দে তিন লাখ টাকা, এমএসআর টেন্ডার বাবদ বিশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান ফরিদ জানান, ‘আমি নির্দেশ পালন করেছি মাত্র। এগুলোর সঙ্গে আমি জড়িত না। সব করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে স্যার। আপনি চাইলে আমি স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য দিতে পারব।’
তবে সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। তাই তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অব্যাহতি নেওয়া শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী বলেন, ‘আমরা তিনজন জেনে বুঝে সকলের সামনে অব্যাহতিপত্র লিখেছি এবং শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’
তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. মেহেরুবা পান্না বলেন, তদন্ত অনুসন্ধানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ১০ জন ও হাসপাতালের ৮ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আর কিছু কাজ বাকি আছে। সিভিল সার্জন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন যথাসময়ে (কয়েক দিনের মধ্যে) জমা দেওয়া হবে।
নাম-পদবি প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির সভাপতির মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোকছেদুল মোমিন জানান, তাদের মুচলেকাপত্র পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে মুচলেকার কিছুদিন পর অভিযুক্ত ব্যক্তি মুচলেকাপত্রে আপত্তি দেওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাবাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
১৫ মিনিট আগে
যশোর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক’ মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে যশোর ডিবির একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ বলছে, মিলন যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১১টি
১৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা জানতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। তা না হলে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
২৪ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো ও ভাড়া নির্ধারণ কেন্দ্র করে দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
৩৬ মিনিট আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাবাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত গোলাম হোসেন (৬০) উপজেলার জাবাখালী গ্রামের মৃত হামিজ উদ্দীন মোড়লের ছেলে। আটক ব্যক্তিরা হলেন জাবাখালী গ্রামের সেলিম মোড়ল (৫০), সাইফুল মোড়ল (৩৫), ফারুক মোড়ল (৩২), রেজাউল মোড়ল (৪০), রেজাউলের স্ত্রী মাছুমা বেগম (৩৫), সেলিম মোড়লের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০), সাইফুল মোড়লের স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৩০), ফারুক মোড়লের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৩০) ও এমান আলীর স্ত্রী সফুরা বেগম (৬৫)। আটকের পর উত্তেজিত জনতা তাঁদের ঘরবাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোলাম হোসেনের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাড়ির সামনে চলাচলের পথের অনেকাংশ দখল করে রাখায় প্রতিবেশী রেজাউল মোড়ল, সাইফুল মোড়লসহ অন্যদের সঙ্গে গোলাম হোসেনের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। পরে গোলাম হোসেন সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করেন। মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি হওয়ায় প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শনিবার সকালে বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন গোলাম হোসেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গোলাম হোসেনকে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, পথের জমি নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি। শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাবাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত গোলাম হোসেন (৬০) উপজেলার জাবাখালী গ্রামের মৃত হামিজ উদ্দীন মোড়লের ছেলে। আটক ব্যক্তিরা হলেন জাবাখালী গ্রামের সেলিম মোড়ল (৫০), সাইফুল মোড়ল (৩৫), ফারুক মোড়ল (৩২), রেজাউল মোড়ল (৪০), রেজাউলের স্ত্রী মাছুমা বেগম (৩৫), সেলিম মোড়লের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০), সাইফুল মোড়লের স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৩০), ফারুক মোড়লের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৩০) ও এমান আলীর স্ত্রী সফুরা বেগম (৬৫)। আটকের পর উত্তেজিত জনতা তাঁদের ঘরবাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোলাম হোসেনের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাড়ির সামনে চলাচলের পথের অনেকাংশ দখল করে রাখায় প্রতিবেশী রেজাউল মোড়ল, সাইফুল মোড়লসহ অন্যদের সঙ্গে গোলাম হোসেনের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। পরে গোলাম হোসেন সাতক্ষীরা আদালতে মামলা করেন। মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি হওয়ায় প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শনিবার সকালে বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন গোলাম হোসেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গোলাম হোসেনকে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, পথের জমি নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি। শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
যশোর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক’ মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে যশোর ডিবির একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ বলছে, মিলন যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১১টি
১৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা জানতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। তা না হলে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
২৪ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো ও ভাড়া নির্ধারণ কেন্দ্র করে দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
৩৬ মিনিট আগেহত্যাসহ ১১ মামলার আসামি যশোরের
যশোর প্রতিনিধি

যশোর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক’ মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে যশোর ডিবির একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ বলছে, মিলন যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
আজ শনিবার যশোর ডিবি বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। বিকেলে পুলিশ মিলনকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে মিলন যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে শহরে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মিলন আত্মগোপনে ছিলেন।
যশোর ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মিলনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেসব ঘটনায় মামলাও হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ রয়েছে। ডিবির একটি দল মিলনের অবস্থান শনাক্ত করে রাজধানীর রামপুরা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে আদালতে হাজির করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
ডিবি ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে দুবাই থেকে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে দেশে ফেরার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর তিনি জামিনে বের হন। ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মদ্যপ অবস্থায় তিনজন সহযোগীসহ ফের গ্রেপ্তার হয়ে আবারও কারাগার থেকে জামিনে বের হন।
মিলনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের তদন্তে তাঁর নাম আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, যশোর শহরের পালবাড়ি মোড়ে রয়েল কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ক্যাসিনোর (জুয়া) কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে মিলনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের বাড়িতে অন্তত ১০ বার ককটেল হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মিলনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দলটির নেতাদের অভিযোগ রয়েছে।

যশোর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক’ মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে যশোর ডিবির একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ বলছে, মিলন যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
আজ শনিবার যশোর ডিবি বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। বিকেলে পুলিশ মিলনকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে মিলন যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে শহরে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মিলন আত্মগোপনে ছিলেন।
যশোর ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মিলনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেসব ঘটনায় মামলাও হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ রয়েছে। ডিবির একটি দল মিলনের অবস্থান শনাক্ত করে রাজধানীর রামপুরা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে আদালতে হাজির করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
ডিবি ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে দুবাই থেকে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে দেশে ফেরার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর তিনি জামিনে বের হন। ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মদ্যপ অবস্থায় তিনজন সহযোগীসহ ফের গ্রেপ্তার হয়ে আবারও কারাগার থেকে জামিনে বের হন।
মিলনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের তদন্তে তাঁর নাম আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, যশোর শহরের পালবাড়ি মোড়ে রয়েল কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ক্যাসিনোর (জুয়া) কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে মিলনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের বাড়িতে অন্তত ১০ বার ককটেল হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মিলনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দলটির নেতাদের অভিযোগ রয়েছে।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাবাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
১৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা জানতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। তা না হলে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
২৪ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো ও ভাড়া নির্ধারণ কেন্দ্র করে দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
৩৬ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা জানতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। তা না হলে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এদিকে, ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর আজ বিকেলে শাহবাগে জড়ো হতে থাকে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতা। পরে বিকেল ৫টার দিকে শাহবাগেও একই দাবি জানান আবদুল্লাহ আল জাবের।
সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, ‘খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারী এবং পুরো চক্রকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সহকারী উপদেষ্টা (প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী) খোদা বখস চৌধুরী জনতার সম্মুখে এসে এই খুনের ব্যাপারে গত এক সপ্তাহে তাঁরা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জনসম্মুখে জানাতে হবে।’
জানাজার আগে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, ‘যদি তাঁরা জানাতে না পারেন, তবে তাঁদের পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা ইনকিলাব মঞ্চ কোনোভাবেই ওসমান হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেব না।’
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তের বদলা নেওয়ার জন্য এ জানাজায় দাঁড়িয়েছি। শরিফ ওসমান হাদিকে এক সপ্তাহ আগে গুলি করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত তার খুনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কি খুনিদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আপনাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে? তারা (সরকার) কি আমাদের জানিয়েছে খুনি কোন জায়গায় রয়েছে?’ এ সময় উপস্থিত জনতা না বলে চিৎকার করেন।
জাবের বলেন, ‘এখানে খুনি একজন নয়, পুরো একটি খুনি চক্র কাজ করেছে। খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী এবং পুরো খুনি চক্রকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
জাবের বলেন, সিভিল, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী লীগের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে।
জাবের বলেন, এই রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে শরিফ ওসমান হাদির পরিবারের পাঁচ সদস্যদের (ভাই ও বোন) যদি রক্ত লাগে তাঁরা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তবুও এই খুনিদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
কারও প্রচারণায় পড়ে সহিংসতায় না জড়ানোর আহ্বান জানান ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানাব কখন, কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা জানতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। তা না হলে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এদিকে, ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর আজ বিকেলে শাহবাগে জড়ো হতে থাকে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতা। পরে বিকেল ৫টার দিকে শাহবাগেও একই দাবি জানান আবদুল্লাহ আল জাবের।
সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, ‘খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারী এবং পুরো চক্রকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সহকারী উপদেষ্টা (প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী) খোদা বখস চৌধুরী জনতার সম্মুখে এসে এই খুনের ব্যাপারে গত এক সপ্তাহে তাঁরা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জনসম্মুখে জানাতে হবে।’
জানাজার আগে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, ‘যদি তাঁরা জানাতে না পারেন, তবে তাঁদের পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা ইনকিলাব মঞ্চ কোনোভাবেই ওসমান হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেব না।’
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তের বদলা নেওয়ার জন্য এ জানাজায় দাঁড়িয়েছি। শরিফ ওসমান হাদিকে এক সপ্তাহ আগে গুলি করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত তার খুনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কি খুনিদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আপনাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে? তারা (সরকার) কি আমাদের জানিয়েছে খুনি কোন জায়গায় রয়েছে?’ এ সময় উপস্থিত জনতা না বলে চিৎকার করেন।
জাবের বলেন, ‘এখানে খুনি একজন নয়, পুরো একটি খুনি চক্র কাজ করেছে। খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী এবং পুরো খুনি চক্রকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
জাবের বলেন, সিভিল, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী লীগের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে।
জাবের বলেন, এই রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে শরিফ ওসমান হাদির পরিবারের পাঁচ সদস্যদের (ভাই ও বোন) যদি রক্ত লাগে তাঁরা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তবুও এই খুনিদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
কারও প্রচারণায় পড়ে সহিংসতায় না জড়ানোর আহ্বান জানান ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানাব কখন, কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাবাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
১৫ মিনিট আগে
যশোর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক’ মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে যশোর ডিবির একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ বলছে, মিলন যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১১টি
১৭ মিনিট আগে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো ও ভাড়া নির্ধারণ কেন্দ্র করে দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
৩৬ মিনিট আগেজগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো ও ভাড়া নির্ধারণ কেন্দ্র করে দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের স্বজনশ্রী ও বাউধরন গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ দিন আগে রানীগঞ্জ পশ্চিম বাজার গাড়ি স্ট্যান্ডের লোকজন রানীগঞ্জ-বাউধরন রোডের গাড়ি ভাড়া ৩০ টাকা থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকা করে। এ নিয়ে বাউধরন স্বজনশ্রী গ্রামের লোকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। একপর্যায়ে চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও বাউধরন গ্রামের বাসিন্দা সালেহ উদ্দিন আহমদ গাড়ি ভাড়া পুনরায় ৩০ টাকা নির্ধারণ করেন। এতে আবার উভয় গ্রামের অটোরিকশাচালকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাউধরন গ্রামের মুজিব মার্কেটের সামনের স্ট্যান্ড থেকে স্বজনশ্রী গ্রামের অটোরিকশা বের করে দেওয়া হয়। এরই জের ধরে আজ শনিবার সকালে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে খাড়ারপার নামক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক বদরুদ্দোজা বলেন, ‘সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত ৩০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানো ও ভাড়া নির্ধারণ কেন্দ্র করে দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের স্বজনশ্রী ও বাউধরন গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ দিন আগে রানীগঞ্জ পশ্চিম বাজার গাড়ি স্ট্যান্ডের লোকজন রানীগঞ্জ-বাউধরন রোডের গাড়ি ভাড়া ৩০ টাকা থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকা করে। এ নিয়ে বাউধরন স্বজনশ্রী গ্রামের লোকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। একপর্যায়ে চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও বাউধরন গ্রামের বাসিন্দা সালেহ উদ্দিন আহমদ গাড়ি ভাড়া পুনরায় ৩০ টাকা নির্ধারণ করেন। এতে আবার উভয় গ্রামের অটোরিকশাচালকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাউধরন গ্রামের মুজিব মার্কেটের সামনের স্ট্যান্ড থেকে স্বজনশ্রী গ্রামের অটোরিকশা বের করে দেওয়া হয়। এরই জের ধরে আজ শনিবার সকালে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে খাড়ারপার নামক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক বদরুদ্দোজা বলেন, ‘সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত ৩০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাবাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
১৫ মিনিট আগে
যশোর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক’ মিলনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে যশোর ডিবির একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ বলছে, মিলন যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১১টি
১৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা জানতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি। তা না হলে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
২৪ মিনিট আগে