ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত চলছে এই তদন্ত কার্যক্রম। প্রাথমিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতাও পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন, হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না, সিভিল সার্জন অফিসের ডা. আল আমীন ও শিবালয়ে কর্মরত আরএমও।
জানা গেছে, হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ায় শিবালয়বাসী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ২০ আগস্ট শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারী, সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার এবং প্রধান সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করবেন না— এই মর্মে অঙ্গীকার করে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর জনসম্মুখে প্রকাশ্যে একটি অব্যাহতিপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন তাদের মুচলেকা গ্রহণ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার আদেশ দেন।
কিন্তু মুচলেকা দেওয়ার কয়েক দিন পর তা প্রত্যাহারের জন্য সিভিল সার্জনের নিকট গোপনে আবেদন করেন প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আশরাফুজ্জামান ফরিদ স্থানীয় সাবেক এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের পিএস জুয়েল রানার বোন জামাই পরিচয়ে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। দুর্নীতির দায়ে ২০১৮ সালে শিবালয় থেকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। তদবির করে তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে পুনরায় শিবালয়ে এসে টানা প্রায় তিন বছর বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট মুচলেকা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
উপজেলার উলাইল ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধান অফিস সহকারী ফরিদের নামে হাসপাতাল চত্বরে কোনো কোয়ার্টার বরাদ্দ না থাকলেও তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে এসি (শীতাতপ) লাগিয়ে বিলাস বহুল জীবনযাপন করে আসছেন। হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলির ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে, বদলি ও হয়রানির ভয় দেখাত। এ ছাড়া চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর কাছে একাধিকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। দুর্নীতির টাকায় দিয়ে মানিকগঞ্জ শহরে বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন ফরিদ।
আরতি সাহা নামের স্বাস্থ্যের এক মাঠকর্মী বলেন, ‘প্রত্যেক বছরে প্রায় ১১ হাজার টাকার ওপরে আমাদের একটা বিল পাই আর সেই বিলটা করেন অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। গত ঈদে আমাদের সেই বিল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকিটা আর দেয় নাই।’
হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগের কর্মী তাসলিমা খানম বলেন, ‘ফরিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। আর যারা কথা বলে, তাঁদের হাসপাতালের ভেতরের ও বাইরের লোকজনকে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এমনকি হাসপাতালের নারীদের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলে।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটিকে সাক্ষ্য দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গোপনে টাকা পয়সার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তদবির শুরু করেছেন। এমনকি যাদের সামনে অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনেককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ফরিদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিকট তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এমএইচভিদের বেতন থেকে তিন লাখ টাকা, জিপ গাড়ির জ্বালানি বাবদ দুই বছরে লক্ষাধিক টাকা, হাসপাতাল পরিষ্কার বাবদ গত দুই বছরে দুই লাখ টাকা, উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিভিন্ন বরাদ্দে তিন লাখ টাকা, এমএসআর টেন্ডার বাবদ বিশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান ফরিদ জানান, ‘আমি নির্দেশ পালন করেছি মাত্র। এগুলোর সঙ্গে আমি জড়িত না। সব করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে স্যার। আপনি চাইলে আমি স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য দিতে পারব।’
তবে সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। তাই তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অব্যাহতি নেওয়া শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী বলেন, ‘আমরা তিনজন জেনে বুঝে সকলের সামনে অব্যাহতিপত্র লিখেছি এবং শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’
তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. মেহেরুবা পান্না বলেন, তদন্ত অনুসন্ধানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ১০ জন ও হাসপাতালের ৮ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আর কিছু কাজ বাকি আছে। সিভিল সার্জন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন যথাসময়ে (কয়েক দিনের মধ্যে) জমা দেওয়া হবে।
নাম-পদবি প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির সভাপতির মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোকছেদুল মোমিন জানান, তাদের মুচলেকাপত্র পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে মুচলেকার কিছুদিন পর অভিযুক্ত ব্যক্তি মুচলেকাপত্রে আপত্তি দেওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত চলছে এই তদন্ত কার্যক্রম। প্রাথমিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতাও পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন, হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না, সিভিল সার্জন অফিসের ডা. আল আমীন ও শিবালয়ে কর্মরত আরএমও।
জানা গেছে, হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ায় শিবালয়বাসী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ২০ আগস্ট শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারী, সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার এবং প্রধান সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করবেন না— এই মর্মে অঙ্গীকার করে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর জনসম্মুখে প্রকাশ্যে একটি অব্যাহতিপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন তাদের মুচলেকা গ্রহণ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার আদেশ দেন।
কিন্তু মুচলেকা দেওয়ার কয়েক দিন পর তা প্রত্যাহারের জন্য সিভিল সার্জনের নিকট গোপনে আবেদন করেন প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আশরাফুজ্জামান ফরিদ স্থানীয় সাবেক এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের পিএস জুয়েল রানার বোন জামাই পরিচয়ে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। দুর্নীতির দায়ে ২০১৮ সালে শিবালয় থেকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। তদবির করে তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে পুনরায় শিবালয়ে এসে টানা প্রায় তিন বছর বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট মুচলেকা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
উপজেলার উলাইল ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধান অফিস সহকারী ফরিদের নামে হাসপাতাল চত্বরে কোনো কোয়ার্টার বরাদ্দ না থাকলেও তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে এসি (শীতাতপ) লাগিয়ে বিলাস বহুল জীবনযাপন করে আসছেন। হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলির ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে, বদলি ও হয়রানির ভয় দেখাত। এ ছাড়া চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর কাছে একাধিকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। দুর্নীতির টাকায় দিয়ে মানিকগঞ্জ শহরে বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন ফরিদ।
আরতি সাহা নামের স্বাস্থ্যের এক মাঠকর্মী বলেন, ‘প্রত্যেক বছরে প্রায় ১১ হাজার টাকার ওপরে আমাদের একটা বিল পাই আর সেই বিলটা করেন অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। গত ঈদে আমাদের সেই বিল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকিটা আর দেয় নাই।’
হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগের কর্মী তাসলিমা খানম বলেন, ‘ফরিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। আর যারা কথা বলে, তাঁদের হাসপাতালের ভেতরের ও বাইরের লোকজনকে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এমনকি হাসপাতালের নারীদের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলে।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটিকে সাক্ষ্য দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গোপনে টাকা পয়সার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তদবির শুরু করেছেন। এমনকি যাদের সামনে অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনেককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ফরিদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিকট তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এমএইচভিদের বেতন থেকে তিন লাখ টাকা, জিপ গাড়ির জ্বালানি বাবদ দুই বছরে লক্ষাধিক টাকা, হাসপাতাল পরিষ্কার বাবদ গত দুই বছরে দুই লাখ টাকা, উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিভিন্ন বরাদ্দে তিন লাখ টাকা, এমএসআর টেন্ডার বাবদ বিশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান ফরিদ জানান, ‘আমি নির্দেশ পালন করেছি মাত্র। এগুলোর সঙ্গে আমি জড়িত না। সব করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে স্যার। আপনি চাইলে আমি স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য দিতে পারব।’
তবে সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। তাই তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অব্যাহতি নেওয়া শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী বলেন, ‘আমরা তিনজন জেনে বুঝে সকলের সামনে অব্যাহতিপত্র লিখেছি এবং শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’
তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. মেহেরুবা পান্না বলেন, তদন্ত অনুসন্ধানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ১০ জন ও হাসপাতালের ৮ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আর কিছু কাজ বাকি আছে। সিভিল সার্জন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন যথাসময়ে (কয়েক দিনের মধ্যে) জমা দেওয়া হবে।
নাম-পদবি প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির সভাপতির মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোকছেদুল মোমিন জানান, তাদের মুচলেকাপত্র পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে মুচলেকার কিছুদিন পর অভিযুক্ত ব্যক্তি মুচলেকাপত্রে আপত্তি দেওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতিও কমানো যাবে না। কিন্তু অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিবিড় নজরদারি করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) উভয়ের তরফে অবহেলা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ফেনী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব সমাধানের আশায় স্থাপিত জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের দুটি আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর দলটির তীব্র অন্তঃকোন্দল সামনে আসে। দুই আসনেই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতিও কমানো যাবে না। কিন্তু অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিবিড় নজরদারি করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) উভয়ের তরফে অবহেলা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্রায়ণ, আর্থিক স্বচ্ছতা ও দলের সদস্যদের দায়বদ্ধতা, নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা ইত্যাদি বিষয় নিয়েও কিছু সুপারিশ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) গ্রহণ করা হয়নি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার: অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাদের কাছ থেকে এসব কথা উঠে আসে। বেসরকারি সংগঠন ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’ এ বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সরকার ও ইসির প্রস্তাবের মাধ্যমে আরপিওর বিভিন্ন অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আবার অনেক বিষয়ই উপেক্ষা করা হয়েছে। কোনো আসনে মোট ভোটের ৪০ শতাংশ না পড়লে আবার ভোট গ্রহণের বিধান, পর পর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান বাতিল করা এবং প্রতি পাঁচ বছর পর দলের নিবন্ধন নবায়ন বাধ্যতামূলক করা, কোনো ব্যক্তির একাধিক আসনে প্রার্থী হওয়ার বিধান বাতিল করা, ২০২৩ সালে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ নিবন্ধন দেওয়া দলের নিবন্ধন বাতিল করাসহ অনেক সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে।
নির্বাচনী ব্যয়ের অর্থ পরে জনগণের কাছ থেকে আদায়ের চেষ্টা করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি মনে করেন, ইতিমধ্যে ‘মনোনয়ন-বাণিজ্যের মাধ্যমে’ নির্বাচনী ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের আশঙ্কা রয়েছে।
নির্বাচনে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা থেকেও সুরক্ষা প্রয়োজন। জাতীয় ঐক্য ছাড়া একটি গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
সুজনের সম্পাদক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, ভোট গণনা এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণ হিসেবে দেখা উচিত। নির্বাচন কমিশন এবং সরকার নির্বাচনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করতে যে সংস্কারগুলো করেছে, তা সন্তোষজনক নয়।
বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত সুপারিশগুলোর মধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশ গৃহীত হয়েছে। বাকি সুপারিশগুলো যাতে গ্রহণ করা হয়, সে জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া এবং কমিশনকে চাপের মুখে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
ইসির সাবেক অতিরিক্তি সচিব জেসমিন টুলি বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা নির্বাচনী আচরণবিধির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এর অপব্যবহার বা ভোটারদের বিভ্রান্তি রোধে প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ বা সীমাবদ্ধতাগুলো স্পষ্টভাবে থাকা উচিত ছিল। তা করা হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য সংস্কার কমিশনের তুলনায় নির্বাচনবিষয়ক কমিশনের অর্জন কিছুটা বেশি হতে পারে, তবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বাদ পড়েছে বা গৃহীত হয়নি।
বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, অধ্যাপক ওয়ারেসুল করিম, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য মীর নাদিয়া নিভিন প্রমুখ।

নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতিও কমানো যাবে না। কিন্তু অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিবিড় নজরদারি করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) উভয়ের তরফে অবহেলা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্রায়ণ, আর্থিক স্বচ্ছতা ও দলের সদস্যদের দায়বদ্ধতা, নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা ইত্যাদি বিষয় নিয়েও কিছু সুপারিশ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) গ্রহণ করা হয়নি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার: অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাদের কাছ থেকে এসব কথা উঠে আসে। বেসরকারি সংগঠন ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’ এ বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সরকার ও ইসির প্রস্তাবের মাধ্যমে আরপিওর বিভিন্ন অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আবার অনেক বিষয়ই উপেক্ষা করা হয়েছে। কোনো আসনে মোট ভোটের ৪০ শতাংশ না পড়লে আবার ভোট গ্রহণের বিধান, পর পর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান বাতিল করা এবং প্রতি পাঁচ বছর পর দলের নিবন্ধন নবায়ন বাধ্যতামূলক করা, কোনো ব্যক্তির একাধিক আসনে প্রার্থী হওয়ার বিধান বাতিল করা, ২০২৩ সালে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ নিবন্ধন দেওয়া দলের নিবন্ধন বাতিল করাসহ অনেক সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে।
নির্বাচনী ব্যয়ের অর্থ পরে জনগণের কাছ থেকে আদায়ের চেষ্টা করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি মনে করেন, ইতিমধ্যে ‘মনোনয়ন-বাণিজ্যের মাধ্যমে’ নির্বাচনী ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের আশঙ্কা রয়েছে।
নির্বাচনে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা থেকেও সুরক্ষা প্রয়োজন। জাতীয় ঐক্য ছাড়া একটি গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
সুজনের সম্পাদক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, ভোট গণনা এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণ হিসেবে দেখা উচিত। নির্বাচন কমিশন এবং সরকার নির্বাচনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করতে যে সংস্কারগুলো করেছে, তা সন্তোষজনক নয়।
বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত সুপারিশগুলোর মধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশ গৃহীত হয়েছে। বাকি সুপারিশগুলো যাতে গ্রহণ করা হয়, সে জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া এবং কমিশনকে চাপের মুখে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
ইসির সাবেক অতিরিক্তি সচিব জেসমিন টুলি বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা নির্বাচনী আচরণবিধির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এর অপব্যবহার বা ভোটারদের বিভ্রান্তি রোধে প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ বা সীমাবদ্ধতাগুলো স্পষ্টভাবে থাকা উচিত ছিল। তা করা হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য সংস্কার কমিশনের তুলনায় নির্বাচনবিষয়ক কমিশনের অর্জন কিছুটা বেশি হতে পারে, তবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বাদ পড়েছে বা গৃহীত হয়নি।
বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, অধ্যাপক ওয়ারেসুল করিম, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য মীর নাদিয়া নিভিন প্রমুখ।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফেনী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব সমাধানের আশায় স্থাপিত জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের দুটি আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর দলটির তীব্র অন্তঃকোন্দল সামনে আসে। দুই আসনেই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
৮ ঘণ্টা আগেফেনী প্রতিনিধি

ফেনী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব সমাধানের আশায় স্থাপিত জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। নিয়মিত তদারকি ও নিরাপত্তা না থাকায় প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো চুরি হয়ে গেছে।
ফেনী পৌরসভার সুলতানপুরে প্রায় ৭০ শতক জমির ওপর স্থাপিত প্রকল্প এলাকাটি ঘুরে দেখা গেছে, উৎপাদন শেডগুলো ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। কোথাও দরজা নেই, কোথাও ছাউনি খুলে নেওয়া হয়েছে। যন্ত্রপাতির কোনো অস্তিত্ব নেই। ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা কংক্রিট, মরিচা ধরা লোহার অংশ। আগাছায় ঢেকে পুরো এলাকাজুড়ে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সার উৎপাদন শুরু হয়। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ছিল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেবক এগ্রোভেট লিমিটেড।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যাশিত আয় না হওয়ায় ২০২৩ সালেই সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় এগ্রোভেট লিমিটেড। পরে সেখানে কিছুদিন প্লাস্টিক পুড়িয়ে ফার্নেস অয়েল উৎপাদনের চেষ্টা চালানো হয়। ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর প্রকল্পটির সব কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন কোনো তদারকি বা নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় একে একে যন্ত্রপাতিসহ অবকাঠামো চুরি হয়ে যায়।
প্রকল্প চলাকালে কেন্দ্রটির পাহারাদার হিসেবে কাজ করা ফরিদ আহমদ বলেন, ‘যখন এখানে সার উৎপাদন হতো, তখন আমি ছয় হাজার টাকা বেতনে পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতাম। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে আর কেউ এখানে আসেনি। আমিও পাহারা দেওয়া বন্ধ করে দিই। এখন এখানে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। সব ভেঙে নিয়ে গেছে চোরেরা।’ তিনি বলেন, ‘পৌরসভার কোনো পদক্ষেপ না থাকায় যে যেভাবে পেরেছে নিয়ে গেছে।’
পাশের পৌর কবরস্থানে দাফনকাজে নিয়োজিত ইমাম মোহাম্মদ আলী বলেন, কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত জায়গাটি মোটামুটি ভালো অবস্থায় ছিল। সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই চুরি শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘কারখানা স্থাপনের শুরু থেকেই আমরা আপত্তি জানিয়েছিলাম। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে আশপাশে বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। লাভ না হওয়ায় যারা চালু করেছিল, তারাই আবার বন্ধ করে পালিয়েছে। ৫ আগস্টের পর এলাকার কিছু মাদকসেবী, চোর ও বহিরাগতরা মিলে ফ্যান, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতিসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। কয়েকবার পৌরসভাকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির উদ্দিন বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না দাবি করে পৌর স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
পৌর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কৃষ্ণপদ সাহা বলেন, ‘২০১৮ সালে সুলতানপুরে বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন কেন্দ্রটি চালু করা হয়। চট্টগ্রামের একটি এনজিও পৌরসভার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এটি পরিচালনা করছিল। সম্ভবত লাভ না হওয়ায় তারা বন্ধ করে দেয়। তবে তারা প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করেনি। বর্তমানে প্রকল্পটির অবস্থা সম্পর্কে আমার জানা নেই।’
কেন পৌরসভার আওতাধীন কোটি টাকার প্রকল্পটি অচল হয়ে পড়েছে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির উদ্দিন। একপর্যায়ে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সেবক এগ্রোভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খালেদ আমিনকে ফোন করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রকল্পটি পৌরসভার কাছে হস্তান্তরের জন্য বলেন। তবে প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণে পৌরসভা কেন কোনো উদ্যোগ নেয়নি এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে সেবক এগ্রোভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খালেদ আমিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ফেনী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব সমাধানের আশায় স্থাপিত জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। নিয়মিত তদারকি ও নিরাপত্তা না থাকায় প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো চুরি হয়ে গেছে।
ফেনী পৌরসভার সুলতানপুরে প্রায় ৭০ শতক জমির ওপর স্থাপিত প্রকল্প এলাকাটি ঘুরে দেখা গেছে, উৎপাদন শেডগুলো ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। কোথাও দরজা নেই, কোথাও ছাউনি খুলে নেওয়া হয়েছে। যন্ত্রপাতির কোনো অস্তিত্ব নেই। ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা কংক্রিট, মরিচা ধরা লোহার অংশ। আগাছায় ঢেকে পুরো এলাকাজুড়ে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সার উৎপাদন শুরু হয়। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ছিল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেবক এগ্রোভেট লিমিটেড।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যাশিত আয় না হওয়ায় ২০২৩ সালেই সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় এগ্রোভেট লিমিটেড। পরে সেখানে কিছুদিন প্লাস্টিক পুড়িয়ে ফার্নেস অয়েল উৎপাদনের চেষ্টা চালানো হয়। ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর প্রকল্পটির সব কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন কোনো তদারকি বা নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় একে একে যন্ত্রপাতিসহ অবকাঠামো চুরি হয়ে যায়।
প্রকল্প চলাকালে কেন্দ্রটির পাহারাদার হিসেবে কাজ করা ফরিদ আহমদ বলেন, ‘যখন এখানে সার উৎপাদন হতো, তখন আমি ছয় হাজার টাকা বেতনে পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতাম। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে আর কেউ এখানে আসেনি। আমিও পাহারা দেওয়া বন্ধ করে দিই। এখন এখানে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। সব ভেঙে নিয়ে গেছে চোরেরা।’ তিনি বলেন, ‘পৌরসভার কোনো পদক্ষেপ না থাকায় যে যেভাবে পেরেছে নিয়ে গেছে।’
পাশের পৌর কবরস্থানে দাফনকাজে নিয়োজিত ইমাম মোহাম্মদ আলী বলেন, কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত জায়গাটি মোটামুটি ভালো অবস্থায় ছিল। সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই চুরি শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘কারখানা স্থাপনের শুরু থেকেই আমরা আপত্তি জানিয়েছিলাম। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে আশপাশে বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। লাভ না হওয়ায় যারা চালু করেছিল, তারাই আবার বন্ধ করে পালিয়েছে। ৫ আগস্টের পর এলাকার কিছু মাদকসেবী, চোর ও বহিরাগতরা মিলে ফ্যান, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতিসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। কয়েকবার পৌরসভাকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির উদ্দিন বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না দাবি করে পৌর স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
পৌর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কৃষ্ণপদ সাহা বলেন, ‘২০১৮ সালে সুলতানপুরে বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন কেন্দ্রটি চালু করা হয়। চট্টগ্রামের একটি এনজিও পৌরসভার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এটি পরিচালনা করছিল। সম্ভবত লাভ না হওয়ায় তারা বন্ধ করে দেয়। তবে তারা প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করেনি। বর্তমানে প্রকল্পটির অবস্থা সম্পর্কে আমার জানা নেই।’
কেন পৌরসভার আওতাধীন কোটি টাকার প্রকল্পটি অচল হয়ে পড়েছে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির উদ্দিন। একপর্যায়ে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সেবক এগ্রোভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খালেদ আমিনকে ফোন করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রকল্পটি পৌরসভার কাছে হস্তান্তরের জন্য বলেন। তবে প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণে পৌরসভা কেন কোনো উদ্যোগ নেয়নি এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে সেবক এগ্রোভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খালেদ আমিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতিও কমানো যাবে না। কিন্তু অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিবিড় নজরদারি করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) উভয়ের তরফে অবহেলা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের দুটি আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর দলটির তীব্র অন্তঃকোন্দল সামনে আসে। দুই আসনেই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
৮ ঘণ্টা আগেমো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট

জয়পুরহাটের দুটি আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর দলটির তীব্র অন্তঃকোন্দল সামনে আসে। দুই আসনেই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা। সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে সড়ক অবরোধ, রাস্তায় শুয়ে পড়া, টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ কিংবা মশাল মিছিল—কিছুই বাদ যায়নি। বিএনপির এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে সুযোগ হিসেবে দেখছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগেভাগেই মাঠে নেমে গণসংযোগ শুরু করেছেন। তৎপর এনসিপি ও এবি পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও।
জয়পুরহাট-১ (জেলা সদর ও পাঁচবিবি) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান। তবে এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সাল আলীম এবং কুসুম্বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল গফুর মণ্ডলের অনুসারীরা। তাঁরা বলছেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে প্রার্থী নির্ধারণ করলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফয়সাল আলীম বলেন, ‘তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সম্পর্ক আমার। অবহেলিত এ এলাকার উন্নয়ন এবং দলে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেওয়ার সবচেয়ে বেশি যোগ্যতা আমি রাখি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সব দিক বিশ্লেষণ করে দল আমাকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা আমির মো. ফজলুর রহমান সাঈদ। তিনি বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার। বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ভোটের মাঠে আমাদের জন্য ইতিবাচক।’ এনসিপির প্রার্থী হতে পারেন দলের জেলা শাখার আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া।
জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সচিব আবদুল বারী। তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা এবং সাবেক ছাত্রনেতা আব্বাস আলীর অনুসারীরা। আবদুল বারী বলেন, ‘সরকারি চাকরি করা সত্ত্বেও বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার আগে-পরে এলাকাবাসীর ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। নির্বাচিত হলে কৃষিভিত্তিক কারখানা গড়ে তুলব। কৃষিসংশ্লিষ্ট উপাদানের দাম সহনশীল রাখতে কাজ করব। এলাকা আলুপ্রধান। তাই আলুভিত্তিক চিপস ইন্ডাস্ট্রি করে তোলা হবে।’ প্রাথমিক মনোনয়নবঞ্চিত গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যাঁকে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নাই। সাধারণ ভোটাররা তাঁকে অতিথি পাখি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি নেতা-কর্মীদের কোনো খোঁজ রাখেননি। এখন পর্যন্ত দলের প্রাথমিক সদস্যও নন। আমি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য। তৃণমূলের ৩ লাখ ৫১ হাজার নেতা-কর্মী ও ভোটাররা আমার সঙ্গে আছেন।’
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সহকারী সেক্রেটারি এস এম রাশেদুল আলম সবুজ। তিনি বলেন, ‘ভোটাররা বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়। তাঁদের বিশ্বাস, জামায়াতে ইসলামীর দ্বারাই এর বাস্তবায়ন সম্ভব। নির্বাচিত হলে দুর্নীতিমুক্ত জনবান্ধব প্রশাসন, মাদক, বৈষম্য ও চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ তৈরির জন্য কাজ করব। কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’ এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওহাব দেওয়ান কাজল। এবি পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী এস এম জাহিদ সরকার। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবাই গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

জয়পুরহাটের দুটি আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর দলটির তীব্র অন্তঃকোন্দল সামনে আসে। দুই আসনেই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা। সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে সড়ক অবরোধ, রাস্তায় শুয়ে পড়া, টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ কিংবা মশাল মিছিল—কিছুই বাদ যায়নি। বিএনপির এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে সুযোগ হিসেবে দেখছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগেভাগেই মাঠে নেমে গণসংযোগ শুরু করেছেন। তৎপর এনসিপি ও এবি পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও।
জয়পুরহাট-১ (জেলা সদর ও পাঁচবিবি) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান। তবে এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সাল আলীম এবং কুসুম্বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল গফুর মণ্ডলের অনুসারীরা। তাঁরা বলছেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে প্রার্থী নির্ধারণ করলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফয়সাল আলীম বলেন, ‘তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সম্পর্ক আমার। অবহেলিত এ এলাকার উন্নয়ন এবং দলে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেওয়ার সবচেয়ে বেশি যোগ্যতা আমি রাখি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সব দিক বিশ্লেষণ করে দল আমাকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা আমির মো. ফজলুর রহমান সাঈদ। তিনি বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়। অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার। বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ভোটের মাঠে আমাদের জন্য ইতিবাচক।’ এনসিপির প্রার্থী হতে পারেন দলের জেলা শাখার আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া।
জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সচিব আবদুল বারী। তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা এবং সাবেক ছাত্রনেতা আব্বাস আলীর অনুসারীরা। আবদুল বারী বলেন, ‘সরকারি চাকরি করা সত্ত্বেও বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার আগে-পরে এলাকাবাসীর ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। নির্বাচিত হলে কৃষিভিত্তিক কারখানা গড়ে তুলব। কৃষিসংশ্লিষ্ট উপাদানের দাম সহনশীল রাখতে কাজ করব। এলাকা আলুপ্রধান। তাই আলুভিত্তিক চিপস ইন্ডাস্ট্রি করে তোলা হবে।’ প্রাথমিক মনোনয়নবঞ্চিত গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যাঁকে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নাই। সাধারণ ভোটাররা তাঁকে অতিথি পাখি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি নেতা-কর্মীদের কোনো খোঁজ রাখেননি। এখন পর্যন্ত দলের প্রাথমিক সদস্যও নন। আমি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য। তৃণমূলের ৩ লাখ ৫১ হাজার নেতা-কর্মী ও ভোটাররা আমার সঙ্গে আছেন।’
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সহকারী সেক্রেটারি এস এম রাশেদুল আলম সবুজ। তিনি বলেন, ‘ভোটাররা বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়। তাঁদের বিশ্বাস, জামায়াতে ইসলামীর দ্বারাই এর বাস্তবায়ন সম্ভব। নির্বাচিত হলে দুর্নীতিমুক্ত জনবান্ধব প্রশাসন, মাদক, বৈষম্য ও চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ তৈরির জন্য কাজ করব। কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’ এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওহাব দেওয়ান কাজল। এবি পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী এস এম জাহিদ সরকার। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবাই গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতিও কমানো যাবে না। কিন্তু অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিবিড় নজরদারি করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) উভয়ের তরফে অবহেলা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ফেনী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব সমাধানের আশায় স্থাপিত জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
৮ ঘণ্টা আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
সালাহউদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত সাড়ে ১০টার সময় নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। সে সময় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আরও বলেন, কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
সালাহউদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত সাড়ে ১০টার সময় নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। সে সময় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আরও বলেন, কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতিও কমানো যাবে না। কিন্তু অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিবিড় নজরদারি করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) উভয়ের তরফে অবহেলা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ফেনী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবেশবান্ধব সমাধানের আশায় স্থাপিত জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
জয়পুরহাটের দুটি আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর দলটির তীব্র অন্তঃকোন্দল সামনে আসে। দুই আসনেই প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা।
৫ ঘণ্টা আগে