Ajker Patrika

২৪ বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২২, ১৪: ২৬
২৪ বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার বিচার চাইলেন বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী। আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দিয়ে তিনি ভাই হত্যার বিচার চান। সকালে মামলার বাদী সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। তাঁর সাক্ষ্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই মামলায় ঘটনার ২৪ বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো। 

বিচারক জাকির হোসেন মামলার বাদী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর ভোররাতে আমার ভাই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের কলাপসিবল গেটের সামনে কতিপয় আততায়ী গুলি করে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার চাই।’ 

জবানবন্দিতে তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাত ৪টার সময় বেবিটেক্সিযোগে সোহেল চৌধুরীর গাড়িচালক সেলিম গুলশানের বাসায় আসেন। বাসার দারোয়ানকে জানান, বনানীর ১৪ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারের নিচে সোহেল চৌধুরীকে কতিপয় আততায়ী গুলি করেছে। দারোয়ান তৌহিদুল ইসলামকে জানালে তৌহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, সোহেল চৌধুরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে তিনি সোহেল চৌধুরীকে দেখতে পান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে জানান, সোহেল চৌধুরী মারা গেছেন। পোস্টমর্টেম শেষে তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। সোহেল চৌধুরীর গাড়িরচালক সেলিম তাঁকে জানান, সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে আরও দুজন সঙ্গী ছিলেন। তাঁরা ট্রাম্পস ক্লাবে ঢুকতে চাইলে কয়েকজন আততায়ী তাঁদের বাধা দেয়। প্রথমে কালামকে দুটি গুলি করে একজন আততায়ী। সোহেল চৌধুরী বাধা দিতে গেলে তাঁকেও গুলি করা হয়।

তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জবানবন্দিতে আরও বলেন, তিনি সেলিমের কাছে জানতে পারেন, আততায়ীরা গুলি করে পালানোর সময় এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় ট্রাম্পস ক্লাবের আরও দুজন কর্মচারী আহত হন। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন ও ঘটনাস্থলে আসা পুলিশ আদনান সিদ্দিকী নামে একজন আততায়ীকে আটক করে। ঘটনা বিস্তারিত শুনে তিনি ওই দিনই গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ময়নাতদন্ত শেষে তিনি সোহেল চৌধুরীর মরদেহ হাসপাতাল থেকে গ্রহণ করেন। 

বাদীর জবানবন্দি শেষ হওয়ার পর আসামি আদনান সিদ্দিকী ও সানজিদুল ইসলাম ইমনের পক্ষে আইনজীবী ফারুক আহমেদ জেরা করেন। 

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার নথি গায়েব হয়েছিল। গত ২৩ জানুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। নথি খুঁজে বের করার দাবিতে রিট আবেদন হয়। পরে নথি পাওয়া যায়। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এই মামলার কেস ডকেট (সিডি) খুঁজে না পাওয়ায় কয়েক মাস অতিবাহিত হয়। শেষ পর্যন্ত কেস ডাকেট ছাড়াই সাক্ষ্যগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন ট্রাইব্যুনাল। পরে গত ২০ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। এরপর সাক্ষী হাজির না হওয়ায় ২২, ২৩ ও ২৪ আগস্ট পরপর তিন দিন তারিখ ধার্য করা হয়। ওই সময় আসামির পক্ষ থেকে মামলাটি দায়রা আদালতে ফেরত পাঠানোর আবেদন জানানো হয়। গত ২৪ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষের ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন।

ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয় সূত্রমতে, ২০০৫ সালের ২ জুন তৎকালীন ডিবির এসআই ফরিদ উদ্দিন কেস ডকেট গ্রহণ করেন। গত ১১ এপ্রিল ফরিদ উদ্দিনকে কেস ডকেটের বিষয়ে অবহিত করার জন্য ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ দেন। গত ২৭ এপ্রিল চকবাজার থানা থানার সাবেক পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ট্রাইব্যুনালকে জানান, তিনি যেদিন কেস ডকেট গ্রহণ করেছেন, সেদিনই তৎকালীন ডিবির ডিসি শহিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেন। শহিদুল ইসলাম উক্ত কেস ডকেট কী করেছেন, এরপর আর কিছু জানেন না তিনি। সবশেষ গত ১৫ জুন মামলার কেস ডকেট সমন্বয় করে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারি কৌঁসুলিদের। 

এর আগে কয়েকবার কেস ডকেট খুঁজে বের করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করার জন্য চকবাজার থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফরিদ উদ্দিন তা পারেননি।

এই মামলায় আসামি আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী জামিনে আছেন। আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, সাজিদুল ইসলাম ও তারিক সাঈদ মামুন কারাগারে আছেন। আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান পলাতক রয়েছেন।

১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এ হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে যোগ দিতে গিয়ে কৃষক দল নেতার মৃত্যু

ফরিদপুর প্রতিনিধি
খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি । ছবি: সংগৃহীত
খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি । ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার পথে খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি (৪৫) নামে এক কৃষক দল নেতা মারা গেছেন। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক এবং উপজেলার দীঘলিয়া গ্রামের চেরাক আলী মুন্সির পুত্র। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ঢাকার পূর্বাচলে আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিজ উপজেলা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে রওনা হয়েছিলেন। যাত্রাপথে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ফরিদপুরের ভাঙ্গা গোলচত্বরে পৌঁছালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. আক্তারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বুধবার রাত ১২টার দিকে ওই কৃষক দল নেতাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার তানজিরুল ইসলাম মামুন তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমাদের নেতা তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছেন। এ উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার সময় বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হয়। এ সময় লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি গাড়িবহরে থাকা অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক করেন। সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চেসকোড বিজয় দিবস আন্তর্জাতিক দাবায় চ্যাম্পিয়ন রবিউল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চেসকোড বিজয় দিবস আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতায় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন মো. রবিউল হোসেন। সাত খেলায় ৬ পয়েন্ট পেয়ে তিনি এ শিরোপা জয় করেন। প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থ ও ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থা (ফিদে) অনুমোদিত এ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তিনজন ভারতীয় খেলোয়াড়সহ দেশের মোট ৪০ জন রেটেড দাবাড়ু অংশ নেন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টে টাইব্রেকিং পদ্ধতির মাধ্যমে শীর্ষস্থানগুলো নির্ধারিত হয়। ৬ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন মো. রবিউল হোসেন। প্রথম রানারআপ হন ইফতেখার আলম (৫.৫ পয়েন্ট) ও দ্বিতীয় রানারআপ হন আসিফ মাহমুদ (৫.৫ পয়েন্ট)।

৫ পয়েন্ট পেয়ে ভারতীয় দাবাড়ু আরমান সিদ্দিকী চতুর্থ, সফিউল মুসনাবিন পঞ্চম এবং অনিন্দ্য রিক দিগ্বিজয় ষষ্ঠ হয়েছেন। ৪.৫ পয়েন্ট পেয়ে সপ্তম হয়েছেন মোহাম্মদ সুলতান।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যাঁরা শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন তাঁদের মধ্যে আছেন—অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে সুহৃদ দে, মহিলা বিভাগে তাওহীদা বেগম, ৫০ ঊর্ধ্ব বিভাগে আবু মহসিন।

অনূর্ধ্ব ৮-এ আইলান তাজওয়ার, অনূর্ধ্ব ১০-এ আফরাজ আহমেদ এবং অনূর্ধ্ব ১২ বিভাগে আইলান দীপ দাস। এ ছাড়া চেসকোড একাডেমি আন্তদাবায় স্বর্ণাভ বিশ্বাস প্রথম, জায়ান উর রহমান দ্বিতীয় ও দীপায়ন ঘোষ তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন।

চেসকোড একাডেমির পরিচালক ও পদ্মা অয়েল পিএলসির কোম্পানি সচিব আলী আবছারের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান আরমিটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তানজিলা তুর নুর।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা কমিটির সম্পাদক প্রকৌশলী এস এম তারেক, চবি সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলমসহ চেসকোড একাডেমির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মতলবে কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৮ জন আটক

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) জাবীর হুসনাইন সানীব।

সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) জাবীর হুসনাইন সানীব বলেন, গতকাল বুধবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই অভিযান চলেছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার কাজলি বালুর মাঠ, নিউ হোস্টেল মাঠ, ছেংগারচর কলেজমাঠসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে আটক করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে আটক ২৭ জনকে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে অভিভাবকের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সন্ধ্যার পর পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

এ ছাড়া অভিযানে আটক আরেকজনের কাছ থেকে ২৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) জাবীর হুসনাইন সানীব বলেন, কিশোর অপরাধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় গোলাগুলির দুই দিন পর সামছুর লাশের সন্ধান, নিহত বেড়ে ৬

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
সামছু। ছবি: সংগৃহীত
সামছু। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ও সুখচর ইউনিয়নসংলগ্ন মেঘনা নদীর জাগলার চরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার দুই দিন পর সামছুর লাশ খুঁজে পেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জাগলার চরে কেউড়া বনের মধ্যে লাশটি খুঁজে পান তাঁরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, সন্ধ্যার একটু আগে পরিবারের সদস্যরা সামছুর লাশ খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি তাঁকে জানান।

এ বিষয়ে সামছুর বড় ছেলে ফখরুল ইসলাম জানান, কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে তাঁরা জাগলার চরে যান বাবাকে খোঁজ করার জন্য। সারা দিন খোঁজ করে বিকেলে কেউড়া বনের মধ্যে তাঁর বাবার লাশ দেখতে পান। তবে লাশের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় সামছুর ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে মামলা করেন।

হাতিয়া থানার ওসি বলেন, নিখোঁজ সামছুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত