ইশতিয়াক হোসেন রাতুল

ঢাকা শহর আর বুড়িগঙ্গা নদী যেন একে অপরের পরিপূরক। নদীটির বুকে ভেসেই একদিন গড়ে উঠেছিল বাংলার রাজধানী। কিন্তু সেই প্রাণবন্ত নদী আজ বিষাক্ত, দখলদারদের কবলে জর্জরিত ও মৃতপ্রায়। ‘বুড়িগঙ্গা কি তার আগের অবস্থা ফিরে পাবে’—এই প্রশ্ন শুধু একটি নদীকে ঘিরে নয়, বরং তা আমাদের পরিবেশ সচেতনতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং নাগরিক দায়িত্ববোধের এক গভীর আত্মজিজ্ঞাসা।
বুড়িগঙ্গা নদীর ইতিহাস বহু পুরোনো। মোগল আমলে এই নদীর তীরেই গড়ে উঠেছিল ঢাকা শহর। নৌপথে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, মানুষের যাতায়াত—সবকিছুর কেন্দ্রে ছিল বুড়িগঙ্গা। ব্রিটিশ আমলেও নদীটির গুরুত্ব ছিল। সদরঘাট ছিল দক্ষিণবঙ্গ ও পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রধান প্রবেশদ্বার। ১৭০০ শতকের শেষ ভাগ থেকে ২০০ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার তীর ছিল রাজধানীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র।
বর্তমানে বুড়িগঙ্গা একটি দূষণের প্রতীক। প্রতিদিন এই নদীতে পড়ে প্রায় ১৫ লাখ লিটার অপরিশোধিত বর্জ্য।
২০২৩ সালের এক গবেষণামতে, বুড়িগঙ্গার পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম/লিটারের নিচে, যেখানে ৫ মিলিগ্রাম/লিটারের নিচে হলেই সেটি পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ট্যানারি শিল্প, ডাইং ফ্যাক্টরি, গৃহস্থালি বর্জ্য, হাসপাতালের বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পলিথিন মিশে একে পরিণত করেছে ‘বিষাক্ত ড্রেন’-এ।
বুড়িগঙ্গার সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে দখলদার চক্র। নদীর তীরে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা, বাজার, গোডাউন, ঘাট ও বহুতল ভবন। সরকারি সংস্থার নাকের ডগায় এগুলো গড়ে উঠলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বহু বছর ধরে। বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিশনের তথ্যমতে, শুধু বুড়িগঙ্গারই দুই তীরজুড়ে প্রায় ৮ হাজার অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০২১ সালে পরিচালিত বিআইডব্লিউটিএর এক জরিপে দেখা যায়, ঢাকার অংশে নদীর প্রকৃত প্রস্থ ৩৬০ ফুট থেকে কমে দাঁড়িয়েছে কোথাও কোথাও ৭০ ফুটে।
সরকার বুড়িগঙ্গা রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করেছে। ২০০৯ সালে ট্যানারি শিল্প অন্যত্র স্থানান্তরের উদ্যোগ ছিল উল্লেখযোগ্য। কিন্তু এখনো কিছু ট্যানারি থাকায় সেসবের বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে।
নদী কমিশন, বিআইডব্লিউটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর ইত্যাদি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। ২০১৯ সালে হাইকোর্ট বুড়িগঙ্গাকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা করলেও বাস্তবে এর তেমন প্রতিফলন দেখা যায়নি। পরিবেশ আইন অমান্যকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাব নদী রক্ষায় এক বড় বাধা।
বিশ্বে অনেক নদীই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ‘চেওনগে চেয়ন’ খাল ছিল অত্যন্ত দূষিত; সরকারের বিশাল পরিকল্পনা ও বিনিয়োগে তা আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। লন্ডনের টেমস নদী একসময় জীববৈচিত্র্যহীন ছিল, কিন্তু আজ তা ইউরোপের পরিচ্ছন্নতম নদীগুলোর একটি। জনগণ, সরকার ও বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিউইয়র্কের ‘হাডসন’ নদী পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। এ উদাহরণগুলো প্রমাণ করে, চাইলে আমরাও পারি।
বুড়িগঙ্গাকে এখনো রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু তার জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা। পাশাপাশি নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক করার জন্য সংযুক্ত খালগুলো পুনঃখনন করতে হবে এবং অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। ৩৫টি খাল এবং ৪টি নদীকে যুক্ত করে ঢাকার জলপথ পুনরুদ্ধারের একটি পরিকল্পনা ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। এখন দরকার তার যথাযথ বাস্তবায়ন। এ নদীকে রক্ষা করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। নদী রক্ষা করতে নাগরিকেরও ভূমিকা আছে।
বুড়িগঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি একটি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অস্তিত্বের প্রশ্ন। বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করার জন্য প্রত্যেকের ভূমিকা আছে। এখনই যদি আমরা জেগে উঠি, সঠিক পথে এগোই, তবেই বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করা সম্ভব।

ঢাকা শহর আর বুড়িগঙ্গা নদী যেন একে অপরের পরিপূরক। নদীটির বুকে ভেসেই একদিন গড়ে উঠেছিল বাংলার রাজধানী। কিন্তু সেই প্রাণবন্ত নদী আজ বিষাক্ত, দখলদারদের কবলে জর্জরিত ও মৃতপ্রায়। ‘বুড়িগঙ্গা কি তার আগের অবস্থা ফিরে পাবে’—এই প্রশ্ন শুধু একটি নদীকে ঘিরে নয়, বরং তা আমাদের পরিবেশ সচেতনতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং নাগরিক দায়িত্ববোধের এক গভীর আত্মজিজ্ঞাসা।
বুড়িগঙ্গা নদীর ইতিহাস বহু পুরোনো। মোগল আমলে এই নদীর তীরেই গড়ে উঠেছিল ঢাকা শহর। নৌপথে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, মানুষের যাতায়াত—সবকিছুর কেন্দ্রে ছিল বুড়িগঙ্গা। ব্রিটিশ আমলেও নদীটির গুরুত্ব ছিল। সদরঘাট ছিল দক্ষিণবঙ্গ ও পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রধান প্রবেশদ্বার। ১৭০০ শতকের শেষ ভাগ থেকে ২০০ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার তীর ছিল রাজধানীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র।
বর্তমানে বুড়িগঙ্গা একটি দূষণের প্রতীক। প্রতিদিন এই নদীতে পড়ে প্রায় ১৫ লাখ লিটার অপরিশোধিত বর্জ্য।
২০২৩ সালের এক গবেষণামতে, বুড়িগঙ্গার পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম/লিটারের নিচে, যেখানে ৫ মিলিগ্রাম/লিটারের নিচে হলেই সেটি পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ট্যানারি শিল্প, ডাইং ফ্যাক্টরি, গৃহস্থালি বর্জ্য, হাসপাতালের বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পলিথিন মিশে একে পরিণত করেছে ‘বিষাক্ত ড্রেন’-এ।
বুড়িগঙ্গার সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে দখলদার চক্র। নদীর তীরে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা, বাজার, গোডাউন, ঘাট ও বহুতল ভবন। সরকারি সংস্থার নাকের ডগায় এগুলো গড়ে উঠলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বহু বছর ধরে। বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিশনের তথ্যমতে, শুধু বুড়িগঙ্গারই দুই তীরজুড়ে প্রায় ৮ হাজার অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০২১ সালে পরিচালিত বিআইডব্লিউটিএর এক জরিপে দেখা যায়, ঢাকার অংশে নদীর প্রকৃত প্রস্থ ৩৬০ ফুট থেকে কমে দাঁড়িয়েছে কোথাও কোথাও ৭০ ফুটে।
সরকার বুড়িগঙ্গা রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করেছে। ২০০৯ সালে ট্যানারি শিল্প অন্যত্র স্থানান্তরের উদ্যোগ ছিল উল্লেখযোগ্য। কিন্তু এখনো কিছু ট্যানারি থাকায় সেসবের বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে।
নদী কমিশন, বিআইডব্লিউটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর ইত্যাদি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। ২০১৯ সালে হাইকোর্ট বুড়িগঙ্গাকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা করলেও বাস্তবে এর তেমন প্রতিফলন দেখা যায়নি। পরিবেশ আইন অমান্যকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাব নদী রক্ষায় এক বড় বাধা।
বিশ্বে অনেক নদীই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ‘চেওনগে চেয়ন’ খাল ছিল অত্যন্ত দূষিত; সরকারের বিশাল পরিকল্পনা ও বিনিয়োগে তা আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। লন্ডনের টেমস নদী একসময় জীববৈচিত্র্যহীন ছিল, কিন্তু আজ তা ইউরোপের পরিচ্ছন্নতম নদীগুলোর একটি। জনগণ, সরকার ও বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিউইয়র্কের ‘হাডসন’ নদী পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। এ উদাহরণগুলো প্রমাণ করে, চাইলে আমরাও পারি।
বুড়িগঙ্গাকে এখনো রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু তার জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা। পাশাপাশি নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক করার জন্য সংযুক্ত খালগুলো পুনঃখনন করতে হবে এবং অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। ৩৫টি খাল এবং ৪টি নদীকে যুক্ত করে ঢাকার জলপথ পুনরুদ্ধারের একটি পরিকল্পনা ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। এখন দরকার তার যথাযথ বাস্তবায়ন। এ নদীকে রক্ষা করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। নদী রক্ষা করতে নাগরিকেরও ভূমিকা আছে।
বুড়িগঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি একটি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অস্তিত্বের প্রশ্ন। বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করার জন্য প্রত্যেকের ভূমিকা আছে। এখনই যদি আমরা জেগে উঠি, সঠিক পথে এগোই, তবেই বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করা সম্ভব।
ইশতিয়াক হোসেন রাতুল

ঢাকা শহর আর বুড়িগঙ্গা নদী যেন একে অপরের পরিপূরক। নদীটির বুকে ভেসেই একদিন গড়ে উঠেছিল বাংলার রাজধানী। কিন্তু সেই প্রাণবন্ত নদী আজ বিষাক্ত, দখলদারদের কবলে জর্জরিত ও মৃতপ্রায়। ‘বুড়িগঙ্গা কি তার আগের অবস্থা ফিরে পাবে’—এই প্রশ্ন শুধু একটি নদীকে ঘিরে নয়, বরং তা আমাদের পরিবেশ সচেতনতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং নাগরিক দায়িত্ববোধের এক গভীর আত্মজিজ্ঞাসা।
বুড়িগঙ্গা নদীর ইতিহাস বহু পুরোনো। মোগল আমলে এই নদীর তীরেই গড়ে উঠেছিল ঢাকা শহর। নৌপথে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, মানুষের যাতায়াত—সবকিছুর কেন্দ্রে ছিল বুড়িগঙ্গা। ব্রিটিশ আমলেও নদীটির গুরুত্ব ছিল। সদরঘাট ছিল দক্ষিণবঙ্গ ও পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রধান প্রবেশদ্বার। ১৭০০ শতকের শেষ ভাগ থেকে ২০০ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার তীর ছিল রাজধানীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র।
বর্তমানে বুড়িগঙ্গা একটি দূষণের প্রতীক। প্রতিদিন এই নদীতে পড়ে প্রায় ১৫ লাখ লিটার অপরিশোধিত বর্জ্য।
২০২৩ সালের এক গবেষণামতে, বুড়িগঙ্গার পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম/লিটারের নিচে, যেখানে ৫ মিলিগ্রাম/লিটারের নিচে হলেই সেটি পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ট্যানারি শিল্প, ডাইং ফ্যাক্টরি, গৃহস্থালি বর্জ্য, হাসপাতালের বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পলিথিন মিশে একে পরিণত করেছে ‘বিষাক্ত ড্রেন’-এ।
বুড়িগঙ্গার সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে দখলদার চক্র। নদীর তীরে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা, বাজার, গোডাউন, ঘাট ও বহুতল ভবন। সরকারি সংস্থার নাকের ডগায় এগুলো গড়ে উঠলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বহু বছর ধরে। বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিশনের তথ্যমতে, শুধু বুড়িগঙ্গারই দুই তীরজুড়ে প্রায় ৮ হাজার অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০২১ সালে পরিচালিত বিআইডব্লিউটিএর এক জরিপে দেখা যায়, ঢাকার অংশে নদীর প্রকৃত প্রস্থ ৩৬০ ফুট থেকে কমে দাঁড়িয়েছে কোথাও কোথাও ৭০ ফুটে।
সরকার বুড়িগঙ্গা রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করেছে। ২০০৯ সালে ট্যানারি শিল্প অন্যত্র স্থানান্তরের উদ্যোগ ছিল উল্লেখযোগ্য। কিন্তু এখনো কিছু ট্যানারি থাকায় সেসবের বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে।
নদী কমিশন, বিআইডব্লিউটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর ইত্যাদি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। ২০১৯ সালে হাইকোর্ট বুড়িগঙ্গাকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা করলেও বাস্তবে এর তেমন প্রতিফলন দেখা যায়নি। পরিবেশ আইন অমান্যকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাব নদী রক্ষায় এক বড় বাধা।
বিশ্বে অনেক নদীই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ‘চেওনগে চেয়ন’ খাল ছিল অত্যন্ত দূষিত; সরকারের বিশাল পরিকল্পনা ও বিনিয়োগে তা আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। লন্ডনের টেমস নদী একসময় জীববৈচিত্র্যহীন ছিল, কিন্তু আজ তা ইউরোপের পরিচ্ছন্নতম নদীগুলোর একটি। জনগণ, সরকার ও বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিউইয়র্কের ‘হাডসন’ নদী পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। এ উদাহরণগুলো প্রমাণ করে, চাইলে আমরাও পারি।
বুড়িগঙ্গাকে এখনো রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু তার জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা। পাশাপাশি নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক করার জন্য সংযুক্ত খালগুলো পুনঃখনন করতে হবে এবং অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। ৩৫টি খাল এবং ৪টি নদীকে যুক্ত করে ঢাকার জলপথ পুনরুদ্ধারের একটি পরিকল্পনা ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। এখন দরকার তার যথাযথ বাস্তবায়ন। এ নদীকে রক্ষা করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। নদী রক্ষা করতে নাগরিকেরও ভূমিকা আছে।
বুড়িগঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি একটি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অস্তিত্বের প্রশ্ন। বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করার জন্য প্রত্যেকের ভূমিকা আছে। এখনই যদি আমরা জেগে উঠি, সঠিক পথে এগোই, তবেই বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করা সম্ভব।

ঢাকা শহর আর বুড়িগঙ্গা নদী যেন একে অপরের পরিপূরক। নদীটির বুকে ভেসেই একদিন গড়ে উঠেছিল বাংলার রাজধানী। কিন্তু সেই প্রাণবন্ত নদী আজ বিষাক্ত, দখলদারদের কবলে জর্জরিত ও মৃতপ্রায়। ‘বুড়িগঙ্গা কি তার আগের অবস্থা ফিরে পাবে’—এই প্রশ্ন শুধু একটি নদীকে ঘিরে নয়, বরং তা আমাদের পরিবেশ সচেতনতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং নাগরিক দায়িত্ববোধের এক গভীর আত্মজিজ্ঞাসা।
বুড়িগঙ্গা নদীর ইতিহাস বহু পুরোনো। মোগল আমলে এই নদীর তীরেই গড়ে উঠেছিল ঢাকা শহর। নৌপথে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, মানুষের যাতায়াত—সবকিছুর কেন্দ্রে ছিল বুড়িগঙ্গা। ব্রিটিশ আমলেও নদীটির গুরুত্ব ছিল। সদরঘাট ছিল দক্ষিণবঙ্গ ও পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রধান প্রবেশদ্বার। ১৭০০ শতকের শেষ ভাগ থেকে ২০০ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার তীর ছিল রাজধানীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র।
বর্তমানে বুড়িগঙ্গা একটি দূষণের প্রতীক। প্রতিদিন এই নদীতে পড়ে প্রায় ১৫ লাখ লিটার অপরিশোধিত বর্জ্য।
২০২৩ সালের এক গবেষণামতে, বুড়িগঙ্গার পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম/লিটারের নিচে, যেখানে ৫ মিলিগ্রাম/লিটারের নিচে হলেই সেটি পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ট্যানারি শিল্প, ডাইং ফ্যাক্টরি, গৃহস্থালি বর্জ্য, হাসপাতালের বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পলিথিন মিশে একে পরিণত করেছে ‘বিষাক্ত ড্রেন’-এ।
বুড়িগঙ্গার সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে দখলদার চক্র। নদীর তীরে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা, বাজার, গোডাউন, ঘাট ও বহুতল ভবন। সরকারি সংস্থার নাকের ডগায় এগুলো গড়ে উঠলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বহু বছর ধরে। বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিশনের তথ্যমতে, শুধু বুড়িগঙ্গারই দুই তীরজুড়ে প্রায় ৮ হাজার অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০২১ সালে পরিচালিত বিআইডব্লিউটিএর এক জরিপে দেখা যায়, ঢাকার অংশে নদীর প্রকৃত প্রস্থ ৩৬০ ফুট থেকে কমে দাঁড়িয়েছে কোথাও কোথাও ৭০ ফুটে।
সরকার বুড়িগঙ্গা রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করেছে। ২০০৯ সালে ট্যানারি শিল্প অন্যত্র স্থানান্তরের উদ্যোগ ছিল উল্লেখযোগ্য। কিন্তু এখনো কিছু ট্যানারি থাকায় সেসবের বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে।
নদী কমিশন, বিআইডব্লিউটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর ইত্যাদি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। ২০১৯ সালে হাইকোর্ট বুড়িগঙ্গাকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা করলেও বাস্তবে এর তেমন প্রতিফলন দেখা যায়নি। পরিবেশ আইন অমান্যকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাব নদী রক্ষায় এক বড় বাধা।
বিশ্বে অনেক নদীই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ‘চেওনগে চেয়ন’ খাল ছিল অত্যন্ত দূষিত; সরকারের বিশাল পরিকল্পনা ও বিনিয়োগে তা আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। লন্ডনের টেমস নদী একসময় জীববৈচিত্র্যহীন ছিল, কিন্তু আজ তা ইউরোপের পরিচ্ছন্নতম নদীগুলোর একটি। জনগণ, সরকার ও বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিউইয়র্কের ‘হাডসন’ নদী পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। এ উদাহরণগুলো প্রমাণ করে, চাইলে আমরাও পারি।
বুড়িগঙ্গাকে এখনো রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু তার জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা। পাশাপাশি নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক করার জন্য সংযুক্ত খালগুলো পুনঃখনন করতে হবে এবং অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। ৩৫টি খাল এবং ৪টি নদীকে যুক্ত করে ঢাকার জলপথ পুনরুদ্ধারের একটি পরিকল্পনা ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। এখন দরকার তার যথাযথ বাস্তবায়ন। এ নদীকে রক্ষা করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। নদী রক্ষা করতে নাগরিকেরও ভূমিকা আছে।
বুড়িগঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি একটি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অস্তিত্বের প্রশ্ন। বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করার জন্য প্রত্যেকের ভূমিকা আছে। এখনই যদি আমরা জেগে উঠি, সঠিক পথে এগোই, তবেই বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করা সম্ভব।

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ঢাকা শহর আর বুড়িগঙ্গা নদী যেন একে অপরের পরিপূরক। নদীটির বুকে ভেসেই একদিন গড়ে উঠেছিল বাংলার রাজধানী। কিন্তু সেই প্রাণবন্ত নদী আজ বিষাক্ত, দখলদারদের কবলে জর্জরিত ও মৃতপ্রায়। ‘বুড়িগঙ্গা কি তার আগের অবস্থা ফিরে পাবে’—এই প্রশ্ন শুধু একটি নদীকে ঘিরে নয়, বরং তা আমাদের পরিবেশ সচেতনতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা...
৩১ মে ২০২৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

ঢাকা শহর আর বুড়িগঙ্গা নদী যেন একে অপরের পরিপূরক। নদীটির বুকে ভেসেই একদিন গড়ে উঠেছিল বাংলার রাজধানী। কিন্তু সেই প্রাণবন্ত নদী আজ বিষাক্ত, দখলদারদের কবলে জর্জরিত ও মৃতপ্রায়। ‘বুড়িগঙ্গা কি তার আগের অবস্থা ফিরে পাবে’—এই প্রশ্ন শুধু একটি নদীকে ঘিরে নয়, বরং তা আমাদের পরিবেশ সচেতনতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা...
৩১ মে ২০২৫
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১১ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ঢাকা শহর আর বুড়িগঙ্গা নদী যেন একে অপরের পরিপূরক। নদীটির বুকে ভেসেই একদিন গড়ে উঠেছিল বাংলার রাজধানী। কিন্তু সেই প্রাণবন্ত নদী আজ বিষাক্ত, দখলদারদের কবলে জর্জরিত ও মৃতপ্রায়। ‘বুড়িগঙ্গা কি তার আগের অবস্থা ফিরে পাবে’—এই প্রশ্ন শুধু একটি নদীকে ঘিরে নয়, বরং তা আমাদের পরিবেশ সচেতনতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা...
৩১ মে ২০২৫
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ঢাকা শহর আর বুড়িগঙ্গা নদী যেন একে অপরের পরিপূরক। নদীটির বুকে ভেসেই একদিন গড়ে উঠেছিল বাংলার রাজধানী। কিন্তু সেই প্রাণবন্ত নদী আজ বিষাক্ত, দখলদারদের কবলে জর্জরিত ও মৃতপ্রায়। ‘বুড়িগঙ্গা কি তার আগের অবস্থা ফিরে পাবে’—এই প্রশ্ন শুধু একটি নদীকে ঘিরে নয়, বরং তা আমাদের পরিবেশ সচেতনতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা...
৩১ মে ২০২৫
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে