বাসা-অফিস-দোকান
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল মোড়ের একটি বহুতল ভবনের ১১ তলায় ছোট একটু ‘স্পেস’ ভাড়া নিয়ে অফিস শুরু করেছিলেন কামাল হোসেন। জামানত হিসেবে তিন মাসের অগ্রিম ভাড়া দিয়ে সাজসজ্জা করেন। একটি বছর পুরো না হতেই নতুন বছরের শুরুতে তাঁকে চার হাজার টাকা ভাড়া বাড়ানোর কাগজ ধরিয়ে দিয়েছেন কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক)। কামাল হোসেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে এ নিয়ে আলাপকালে বললেন, ‘অফিস চালুর পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় কাজ প্রায় শুরুই করতে পারিনি। আগামী কয়েক মাসে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তাও নিশ্চিত নয়। এরই মধ্যে যেভাবে ভাড়া বাড়ানো হলো, তাতে ব্যবসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি।’
রাজধানীর বাসিন্দাদের সিংহভাগেরই এখানে নিজের আবাসন নেই। সংশ্লিষ্টদের মতে, ‘পরের জায়গায়’ ভাড়ার বিনিময়ে থাকা মানুষের সংখ্যা ৭০ শতাংশ। তাই ৩০ শতাংশ বাড়িঅলার খেয়ালখুশির ওপর নির্ভর করে লাখো ভাড়াটের গৃহবাস। নতুন বছরের শুরু যত সম্ভাবনার বারতাই বয়ে আনুক, বিশেষ করে বাঁধা আয়ের চাকরিজীবী বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ভাড়াটেমাত্রেরই বুক ঢিপ ঢিপ করতে থাকে ডিসেম্বর এলেই। ব্যতিক্রম থাকলেও তার সংখ্যা নিতান্ত কম।
রামপুরার হাজীপাড়ায় ছোট তিনটি রুমের ফ্ল্যাটে থাকেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী মো. জানে আলম। তাঁর বাড়ির মালিক ১ জানুয়ারি একলাফে সাড়ে ৫ হাজার টাকা ভাড়া বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন। বাড়িঅলার যুক্তি হলো, বাথরুম আর রান্নাঘরে নতুন টাইল্স বসানো হয়েছে! জানে আলম বলেন, ‘কিছু করার নেই। বাসার পাশে বাচ্চার স্কুল; তাই মেনে নিয়েছি। গত এক বছরে আমার কোনো আয় বাড়েনি। অথচ ভাড়া বাড়ল প্রায় ৪৪ শতাংশ।’
একই সমস্যার কথা বললেন বনশ্রীর বাসিন্দা শরীফ আহমেদ। তাঁর এইচ ব্লকের ৬ নম্বর রোডের বাসাটির মালিক প্রতিবছরই কমবেশি ভাড়া বাড়ান। এ বছরের শুরুতেও ১ হাজার ৫০০ টাকা বাড়ানোর কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
ভাড়াটের স্বার্থ কার্যত উপেক্ষিত
খোঁজখবর করে দেখা যায়, রাজধানীর বাড়ির মালিকেরা সাধারণত বছরে ১০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাসাভাড়া বাড়িয়ে থাকেন। নির্ধারিত উপার্জনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আয়ের সঙ্গে সংগতি নেই। কিন্তু নাগরিক জীবনের এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে খুব একটা তৎপরতা চোখে পড়ে না। ভাড়াটেরা নিজেরাও সংগঠিত নন। ‘ঢাকা ভাড়াটিয়া উন্নয়ন সোসাইটি’ নামের একটি সংগঠন ভাড়াটেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে। তবে তাদের কার্যক্রম কিছু মানববন্ধন আর কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। নাগরিক জীবনের অবিরাম দৌড়ে ব্যস্ত খুব কম ভাড়াটেই এসব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন বা এসব নিয়ে ভাবেন। এমন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ‘ঢাকা ভাড়াটিয়া উন্নয়ন সোসাইটি’ নামের সংগঠনটি দাবি তুলেছে, মধ্যবিত্ত ও চাকরিজীবীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কিস্তিতে কম সুদে ফ্ল্যাট দেওয়ার ব্যবস্থা এবং দ্রুত ওয়ার্ড পর্যায়ে ভাড়াটে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ-সংক্রান্ত আইনের যথাযথ বাস্তবায়নও নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে সংগঠনটি। তাদের বক্তব্য, এসব দাবি মানা হলে বাড়িভাড়া বাড়ানোর চাপ কমবে।
ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের উচিত ভাড়া-সংক্রান্ত একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করা। তাহলে বাড়িঅলা ও ভাড়াটেদের মধ্যে বিরোধ এড়ানো সম্ভব হবে। আর ভাড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই লিখিত চুক্তি বাধ্যতামূলক করা উচিত। তাহলে অনেক সমস্যারই আইনগত সমাধান সম্ভব।
ভাড়ার অঙ্কের যেন সীমা নেই
রাজধানীর বিভিন্ন অংশের বেশ কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে দেখা যায়, অভিজাত এলাকার বাসাভাড়া এখন যেন আক্ষরিক অর্থেই আকাশচুম্বী। অনেক ক্ষেত্রে বাসার অবস্থান, আকার বা সুযোগ-সুবিধার সঙ্গেও তার তেমন সংগতি নেই। ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার বাসাভাড়া এখন শহরের অতি ক্ষুদ্র অংশের মানুষের হাতের নাগালে। বেশির ভাগ সীমিত আয়ের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবার ভদ্র ও নিরিবিলি পরিবেশের জন্য চাইলেও এসব জায়গায় থাকতে পারবে না। ধানমন্ডি ৫ নম্বর রোডের মাঝামাঝি একটি ৯ তলা ভবনের ৫ তলার ফ্ল্যাটের ভাড়াটে আনিসুর রহমান। ভবনটির নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও আড়াই হাজার বর্গফুটের বাসার ভাড়া ১ লাখ টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে ৭ হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ। আনিসুর রহমানের সন্তানের স্কুল ধানমন্ডি এলাকাতেই। মূলত সন্তানের পড়াশোনা আর নিরিবিলি পরিবেশে থাকার ইচ্ছা পূরণে তাঁকে প্রতি মাসে লাখ টাকার বেশি বাসাভাড়া গুনতে হচ্ছে।
লালমাটিয়া এ-ব্লকের একটি নতুন বাসায় ১ জানুয়ারি ভাড়ায় উঠেছেন মো. আমিনুল ইসলাম নামের এক সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। গতকাল শুক্রবার তিনি আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘শহরের নানা এলাকা ঘুরে লালমাটিয়ার দুটি বাসা পছন্দ হয়। হাজারদুয়েক বর্গফুট আয়তনের বাসা দুটির ভাড়া ৮০ হাজার ও ৬৩ হাজার টাকা করে। সার্ভিস চার্জ যথাক্রমে ৯ হাজার ও সাড়ে ৮ হাজার টাকা। ভেবেচিন্তে ৬৩ হাজারের বাসায় উঠেছি। পাশাপাশি দুটি বাড়ির কাছাকাছি আকারের ফ্ল্যাটের ভাড়ায় এত ব্যবধান! এমন একটি ফ্ল্যাটের ভাড়া এত হতে পারে না। যেহেতু এগুলো তদারকির জন্য কোনো কর্তৃপক্ষ নেই, তাই বাড়িমালিকেরা অনেকটা নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাড়া ধার্য করেন।’
মিরপুর রূপনগর আবাসিক এলাকার একটি ৬৫০ বর্গফুটের বাসার মালিক আলী আশরাফ। তিনি বাসার ভাড়া চান ১৪ হাজার টাকা। এর বাইরে সব বিল ও সার্ভিস চার্জ দিতে হবে ভাড়াটেকে। এক প্রশ্নের জবাবে আলী আশরাফ বলেন, ‘প্রতিবছর হোল্ডিং ট্যাক্স, ব্যাংকঋণের সুদের হার বাড়ে। ভাড়া না বাড়ালে নিজের পকেট থেকে ভর্তুকি দিতে হবে। শুধু বাড়ির মালিকের দোষ ধরে লাভ নেই।’
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে শুধু সরকারি বাসা ও ভবনগুলোর ভাড়া এলাকাভিত্তিতে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। নিয়ম মেনে আবার তার পুনর্মূল্যায়ন হয়। তবে বেসরকারি আবাসনসহ পুরো শহরে মন্ত্রণালয়ের এমন কোনো কার্যক্রম নেই।’
ভাড়া পেতে নারীর যুদ্ধ
একুশ শতকের অনেকটা পেরিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দ্বারে এসেও এ শহরে বাসাভাড়া পেতে রাজ্যের ঝক্কি পোহাতে হয় নারীদের। অধিকাংশ বাড়িঅলাই কর্মজীবী প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের বাসাভাড়া দিতে অনাগ্রহী। অনেকে আবার অযৌক্তিক অঙ্কের ভাড়াসহ নানা শর্ত জুড়ে দেন। এসব শর্তের মধ্যে থাকে বাবা, স্বামী বা বড় ভাইয়ের সশরীরে এসে কথা বলা, পুরুষ অভিভাবকের বাসায় থাকা, সন্ধ্যার মধ্যে ফেরাসহ নানা কিছু।
বেসরকারি চাকরিজীবী ফারহানা বহ্নি জানান, বছর না পেরোতেই তাঁর বাসাভাড়া বেড়েছে। ব্যয় সামলাতে না পেরে নতুন বাসায় উঠতে হচ্ছে। কিন্তু অবিবাহিত হওয়ায় এবং পুরুষ অভিভাবক না থাকায় বাসাভাড়া করতে গিয়ে তাঁর নানা নেতিবাচক অভিজ্ঞতা হয়েছে। এমনও হয়েছে, সঙ্গে কোনো পুরুষ থাকবে না শুনে বাসাই দেখানো হয়নি।
এ বিষয়ে নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ‘কর্মজীবী নারী’র সমন্বয়ক রিনা আমেনা বলেন, ‘একজন সিঙ্গেল নারীর জন্য মানসম্পন্ন নিরাপদ বাসস্থান খুঁজে পাওয়াটা বেশ কঠিন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, একা নারী সাবলেট থাকেন। বাড়িঅলা সেখানে অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। সরকারের উচিত কর্মজীবী নারীদের জন্য যুক্তিসংগত ভাড়ায় মানসম্মত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। মহিলা হোস্টেলের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।’
সরকারের ভূমিকার তাগিদ
নগরবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বললেন, ‘বিদেশে অঞ্চলভিত্তিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষ ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়। এ দেশে কর্তৃপক্ষ থাকলেও তার কার্যকর উদ্যোগ নেই। দিন দিন ভূমি এবং ফ্ল্যাটের দাম বাড়ছে। বেশি দামে ফ্ল্যাট কিনে তো কেউ কম টাকায় ভাড়া দেবে না। ফলে ভূমির ওপর একধরনের নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে সরকারকে। ভূমি যত দিন একচেটিয়া পুঁজিপতিদের কারবার হয়ে থাকবে, তত দিন বাসা-অফিসভাড়া কমানো যাবে না।’

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল মোড়ের একটি বহুতল ভবনের ১১ তলায় ছোট একটু ‘স্পেস’ ভাড়া নিয়ে অফিস শুরু করেছিলেন কামাল হোসেন। জামানত হিসেবে তিন মাসের অগ্রিম ভাড়া দিয়ে সাজসজ্জা করেন। একটি বছর পুরো না হতেই নতুন বছরের শুরুতে তাঁকে চার হাজার টাকা ভাড়া বাড়ানোর কাগজ ধরিয়ে দিয়েছেন কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক)। কামাল হোসেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে এ নিয়ে আলাপকালে বললেন, ‘অফিস চালুর পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় কাজ প্রায় শুরুই করতে পারিনি। আগামী কয়েক মাসে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তাও নিশ্চিত নয়। এরই মধ্যে যেভাবে ভাড়া বাড়ানো হলো, তাতে ব্যবসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি।’
রাজধানীর বাসিন্দাদের সিংহভাগেরই এখানে নিজের আবাসন নেই। সংশ্লিষ্টদের মতে, ‘পরের জায়গায়’ ভাড়ার বিনিময়ে থাকা মানুষের সংখ্যা ৭০ শতাংশ। তাই ৩০ শতাংশ বাড়িঅলার খেয়ালখুশির ওপর নির্ভর করে লাখো ভাড়াটের গৃহবাস। নতুন বছরের শুরু যত সম্ভাবনার বারতাই বয়ে আনুক, বিশেষ করে বাঁধা আয়ের চাকরিজীবী বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ভাড়াটেমাত্রেরই বুক ঢিপ ঢিপ করতে থাকে ডিসেম্বর এলেই। ব্যতিক্রম থাকলেও তার সংখ্যা নিতান্ত কম।
রামপুরার হাজীপাড়ায় ছোট তিনটি রুমের ফ্ল্যাটে থাকেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী মো. জানে আলম। তাঁর বাড়ির মালিক ১ জানুয়ারি একলাফে সাড়ে ৫ হাজার টাকা ভাড়া বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন। বাড়িঅলার যুক্তি হলো, বাথরুম আর রান্নাঘরে নতুন টাইল্স বসানো হয়েছে! জানে আলম বলেন, ‘কিছু করার নেই। বাসার পাশে বাচ্চার স্কুল; তাই মেনে নিয়েছি। গত এক বছরে আমার কোনো আয় বাড়েনি। অথচ ভাড়া বাড়ল প্রায় ৪৪ শতাংশ।’
একই সমস্যার কথা বললেন বনশ্রীর বাসিন্দা শরীফ আহমেদ। তাঁর এইচ ব্লকের ৬ নম্বর রোডের বাসাটির মালিক প্রতিবছরই কমবেশি ভাড়া বাড়ান। এ বছরের শুরুতেও ১ হাজার ৫০০ টাকা বাড়ানোর কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
ভাড়াটের স্বার্থ কার্যত উপেক্ষিত
খোঁজখবর করে দেখা যায়, রাজধানীর বাড়ির মালিকেরা সাধারণত বছরে ১০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাসাভাড়া বাড়িয়ে থাকেন। নির্ধারিত উপার্জনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আয়ের সঙ্গে সংগতি নেই। কিন্তু নাগরিক জীবনের এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে খুব একটা তৎপরতা চোখে পড়ে না। ভাড়াটেরা নিজেরাও সংগঠিত নন। ‘ঢাকা ভাড়াটিয়া উন্নয়ন সোসাইটি’ নামের একটি সংগঠন ভাড়াটেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে। তবে তাদের কার্যক্রম কিছু মানববন্ধন আর কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। নাগরিক জীবনের অবিরাম দৌড়ে ব্যস্ত খুব কম ভাড়াটেই এসব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন বা এসব নিয়ে ভাবেন। এমন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ‘ঢাকা ভাড়াটিয়া উন্নয়ন সোসাইটি’ নামের সংগঠনটি দাবি তুলেছে, মধ্যবিত্ত ও চাকরিজীবীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কিস্তিতে কম সুদে ফ্ল্যাট দেওয়ার ব্যবস্থা এবং দ্রুত ওয়ার্ড পর্যায়ে ভাড়াটে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ-সংক্রান্ত আইনের যথাযথ বাস্তবায়নও নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে সংগঠনটি। তাদের বক্তব্য, এসব দাবি মানা হলে বাড়িভাড়া বাড়ানোর চাপ কমবে।
ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের উচিত ভাড়া-সংক্রান্ত একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করা। তাহলে বাড়িঅলা ও ভাড়াটেদের মধ্যে বিরোধ এড়ানো সম্ভব হবে। আর ভাড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই লিখিত চুক্তি বাধ্যতামূলক করা উচিত। তাহলে অনেক সমস্যারই আইনগত সমাধান সম্ভব।
ভাড়ার অঙ্কের যেন সীমা নেই
রাজধানীর বিভিন্ন অংশের বেশ কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে দেখা যায়, অভিজাত এলাকার বাসাভাড়া এখন যেন আক্ষরিক অর্থেই আকাশচুম্বী। অনেক ক্ষেত্রে বাসার অবস্থান, আকার বা সুযোগ-সুবিধার সঙ্গেও তার তেমন সংগতি নেই। ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার বাসাভাড়া এখন শহরের অতি ক্ষুদ্র অংশের মানুষের হাতের নাগালে। বেশির ভাগ সীমিত আয়ের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবার ভদ্র ও নিরিবিলি পরিবেশের জন্য চাইলেও এসব জায়গায় থাকতে পারবে না। ধানমন্ডি ৫ নম্বর রোডের মাঝামাঝি একটি ৯ তলা ভবনের ৫ তলার ফ্ল্যাটের ভাড়াটে আনিসুর রহমান। ভবনটির নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও আড়াই হাজার বর্গফুটের বাসার ভাড়া ১ লাখ টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে ৭ হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ। আনিসুর রহমানের সন্তানের স্কুল ধানমন্ডি এলাকাতেই। মূলত সন্তানের পড়াশোনা আর নিরিবিলি পরিবেশে থাকার ইচ্ছা পূরণে তাঁকে প্রতি মাসে লাখ টাকার বেশি বাসাভাড়া গুনতে হচ্ছে।
লালমাটিয়া এ-ব্লকের একটি নতুন বাসায় ১ জানুয়ারি ভাড়ায় উঠেছেন মো. আমিনুল ইসলাম নামের এক সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। গতকাল শুক্রবার তিনি আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘শহরের নানা এলাকা ঘুরে লালমাটিয়ার দুটি বাসা পছন্দ হয়। হাজারদুয়েক বর্গফুট আয়তনের বাসা দুটির ভাড়া ৮০ হাজার ও ৬৩ হাজার টাকা করে। সার্ভিস চার্জ যথাক্রমে ৯ হাজার ও সাড়ে ৮ হাজার টাকা। ভেবেচিন্তে ৬৩ হাজারের বাসায় উঠেছি। পাশাপাশি দুটি বাড়ির কাছাকাছি আকারের ফ্ল্যাটের ভাড়ায় এত ব্যবধান! এমন একটি ফ্ল্যাটের ভাড়া এত হতে পারে না। যেহেতু এগুলো তদারকির জন্য কোনো কর্তৃপক্ষ নেই, তাই বাড়িমালিকেরা অনেকটা নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাড়া ধার্য করেন।’
মিরপুর রূপনগর আবাসিক এলাকার একটি ৬৫০ বর্গফুটের বাসার মালিক আলী আশরাফ। তিনি বাসার ভাড়া চান ১৪ হাজার টাকা। এর বাইরে সব বিল ও সার্ভিস চার্জ দিতে হবে ভাড়াটেকে। এক প্রশ্নের জবাবে আলী আশরাফ বলেন, ‘প্রতিবছর হোল্ডিং ট্যাক্স, ব্যাংকঋণের সুদের হার বাড়ে। ভাড়া না বাড়ালে নিজের পকেট থেকে ভর্তুকি দিতে হবে। শুধু বাড়ির মালিকের দোষ ধরে লাভ নেই।’
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে শুধু সরকারি বাসা ও ভবনগুলোর ভাড়া এলাকাভিত্তিতে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। নিয়ম মেনে আবার তার পুনর্মূল্যায়ন হয়। তবে বেসরকারি আবাসনসহ পুরো শহরে মন্ত্রণালয়ের এমন কোনো কার্যক্রম নেই।’
ভাড়া পেতে নারীর যুদ্ধ
একুশ শতকের অনেকটা পেরিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দ্বারে এসেও এ শহরে বাসাভাড়া পেতে রাজ্যের ঝক্কি পোহাতে হয় নারীদের। অধিকাংশ বাড়িঅলাই কর্মজীবী প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের বাসাভাড়া দিতে অনাগ্রহী। অনেকে আবার অযৌক্তিক অঙ্কের ভাড়াসহ নানা শর্ত জুড়ে দেন। এসব শর্তের মধ্যে থাকে বাবা, স্বামী বা বড় ভাইয়ের সশরীরে এসে কথা বলা, পুরুষ অভিভাবকের বাসায় থাকা, সন্ধ্যার মধ্যে ফেরাসহ নানা কিছু।
বেসরকারি চাকরিজীবী ফারহানা বহ্নি জানান, বছর না পেরোতেই তাঁর বাসাভাড়া বেড়েছে। ব্যয় সামলাতে না পেরে নতুন বাসায় উঠতে হচ্ছে। কিন্তু অবিবাহিত হওয়ায় এবং পুরুষ অভিভাবক না থাকায় বাসাভাড়া করতে গিয়ে তাঁর নানা নেতিবাচক অভিজ্ঞতা হয়েছে। এমনও হয়েছে, সঙ্গে কোনো পুরুষ থাকবে না শুনে বাসাই দেখানো হয়নি।
এ বিষয়ে নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ‘কর্মজীবী নারী’র সমন্বয়ক রিনা আমেনা বলেন, ‘একজন সিঙ্গেল নারীর জন্য মানসম্পন্ন নিরাপদ বাসস্থান খুঁজে পাওয়াটা বেশ কঠিন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, একা নারী সাবলেট থাকেন। বাড়িঅলা সেখানে অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। সরকারের উচিত কর্মজীবী নারীদের জন্য যুক্তিসংগত ভাড়ায় মানসম্মত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। মহিলা হোস্টেলের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।’
সরকারের ভূমিকার তাগিদ
নগরবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বললেন, ‘বিদেশে অঞ্চলভিত্তিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষ ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়। এ দেশে কর্তৃপক্ষ থাকলেও তার কার্যকর উদ্যোগ নেই। দিন দিন ভূমি এবং ফ্ল্যাটের দাম বাড়ছে। বেশি দামে ফ্ল্যাট কিনে তো কেউ কম টাকায় ভাড়া দেবে না। ফলে ভূমির ওপর একধরনের নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে সরকারকে। ভূমি যত দিন একচেটিয়া পুঁজিপতিদের কারবার হয়ে থাকবে, তত দিন বাসা-অফিসভাড়া কমানো যাবে না।’

স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান ওরফে সিজু (২২)।
১ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
২ ঘণ্টা আগেমহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

মাগুরা-২ (মহম্মদপুর-শালিখা-সদরের চার ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী সালিমুল হক কামাল রাজনীতি ও ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচন থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে কাজী সালিমুল হক কামাল জানান, দীর্ঘ সাত বছর কারাবাস, রাজনৈতিক অবহেলা এবং পরিবারের চরম ভোগান্তির কারণে তিনি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না এবং সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। জীবনের বাকি সময় পরিবার নিয়ে শান্তিতে কাটাতে চান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কাজী সালিমুল হক কামাল তাঁর স্ট্যাটাসে স্মৃতিচারণা করেন, ২০০৮ সালের পর তিনি রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। ২০১৭ সালে একটি মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করতে হয় তাঁকে। দীর্ঘ কারাবাস শেষে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর অসুস্থ শরীরে তিনি ২২ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তির দিন নেতা-কর্মীদের ভালোবাসা ও আবেগ তাঁকে গভীরভাবে স্পর্শ করে।
সালিমুল হক কামাল জানান, মুক্তির পর গত ১৬ মাসে মাত্র চারবার মাগুরায় আসেন এবং প্রতিবারই নেতা-কর্মীদের চোখে ভালোবাসার পাশাপাশি দীর্ঘদিনের কষ্ট ও বেদনা দেখেছেন। ১৬ বছর ধরে মাগুরার ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মামলা, হামলা, জেল ও নির্যাতন সহ্য করেও বিএনপির পতাকা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
সালিমুল হক কামাল দাবি করেন, মাগুরা-২ আসনের ৫১৩ জন দায়িত্বশীল নেতার মধ্যে ৫০১ জন, ১৯টি ইউনিয়নের ১৮ জন সাবেক চেয়ারম্যান এবং দুজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিখিতভাবে ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। তবে তৃণমূলের সেই মতামতকে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
কাজী সালিমুল হক কামাল আরও বলেন, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে বিতর্কিতদের পুনর্বাসনের চেষ্টা দলকে আদর্শিকভাবে দুর্বল করছে। এতে ভবিষ্যতে দলের ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে পড়তে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আড়পাড়ার এক প্রতিবাদ সভার প্রসঙ্গ টেনে কাজী সালিমুল হক কামাল বলেন, তিনি কখনো নিজের জন্য মনোনয়ন চাননি। তৃণমূলের পছন্দ অনুযায়ী অন্য কোনো যোগ্য প্রার্থী দিলেও নেতা-কর্মীরা মেনে নিতেন। তবে দলের বর্তমান অনড় অবস্থান দেখে তিনি উপলব্ধি করেছেন, এখানে তৃণমূলের যুক্তি বা আবেগের কোনো মূল্য নেই।
স্ট্যাটাসের শেষাংশে তিনি নেতা-কর্মীদের সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ক্ষোভ থাকলেও এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়, যাতে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তরুণদের সামনে রাজনীতিতে এগিয়ে যাওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ইতি টেনে সালিমুল হক কামাল লেখেন, তারুণ্যের জয় হোক। তবে মনে রাখবেন, কর্মীদের চোখের পানি কখনো দলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।
উল্লেখ্য, কাজী সালিমুল হক কামাল ১৯৯৪ সালের বহুল আলোচিত উপনির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুজ্জামান বাচ্চুকে পরাজিত করে নিজের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করেন। ওয়ান-ইলেভেন সময়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তিনি ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাভোগ করেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।
সালিমুল হক কামালের অবসর ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মাগুরা-২ আসনে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

মাগুরা-২ (মহম্মদপুর-শালিখা-সদরের চার ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী সালিমুল হক কামাল রাজনীতি ও ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচন থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে কাজী সালিমুল হক কামাল জানান, দীর্ঘ সাত বছর কারাবাস, রাজনৈতিক অবহেলা এবং পরিবারের চরম ভোগান্তির কারণে তিনি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না এবং সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। জীবনের বাকি সময় পরিবার নিয়ে শান্তিতে কাটাতে চান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কাজী সালিমুল হক কামাল তাঁর স্ট্যাটাসে স্মৃতিচারণা করেন, ২০০৮ সালের পর তিনি রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। ২০১৭ সালে একটি মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করতে হয় তাঁকে। দীর্ঘ কারাবাস শেষে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর অসুস্থ শরীরে তিনি ২২ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তির দিন নেতা-কর্মীদের ভালোবাসা ও আবেগ তাঁকে গভীরভাবে স্পর্শ করে।
সালিমুল হক কামাল জানান, মুক্তির পর গত ১৬ মাসে মাত্র চারবার মাগুরায় আসেন এবং প্রতিবারই নেতা-কর্মীদের চোখে ভালোবাসার পাশাপাশি দীর্ঘদিনের কষ্ট ও বেদনা দেখেছেন। ১৬ বছর ধরে মাগুরার ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মামলা, হামলা, জেল ও নির্যাতন সহ্য করেও বিএনপির পতাকা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
সালিমুল হক কামাল দাবি করেন, মাগুরা-২ আসনের ৫১৩ জন দায়িত্বশীল নেতার মধ্যে ৫০১ জন, ১৯টি ইউনিয়নের ১৮ জন সাবেক চেয়ারম্যান এবং দুজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিখিতভাবে ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। তবে তৃণমূলের সেই মতামতকে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
কাজী সালিমুল হক কামাল আরও বলেন, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে বিতর্কিতদের পুনর্বাসনের চেষ্টা দলকে আদর্শিকভাবে দুর্বল করছে। এতে ভবিষ্যতে দলের ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে পড়তে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আড়পাড়ার এক প্রতিবাদ সভার প্রসঙ্গ টেনে কাজী সালিমুল হক কামাল বলেন, তিনি কখনো নিজের জন্য মনোনয়ন চাননি। তৃণমূলের পছন্দ অনুযায়ী অন্য কোনো যোগ্য প্রার্থী দিলেও নেতা-কর্মীরা মেনে নিতেন। তবে দলের বর্তমান অনড় অবস্থান দেখে তিনি উপলব্ধি করেছেন, এখানে তৃণমূলের যুক্তি বা আবেগের কোনো মূল্য নেই।
স্ট্যাটাসের শেষাংশে তিনি নেতা-কর্মীদের সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ক্ষোভ থাকলেও এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়, যাতে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তরুণদের সামনে রাজনীতিতে এগিয়ে যাওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ইতি টেনে সালিমুল হক কামাল লেখেন, তারুণ্যের জয় হোক। তবে মনে রাখবেন, কর্মীদের চোখের পানি কখনো দলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।
উল্লেখ্য, কাজী সালিমুল হক কামাল ১৯৯৪ সালের বহুল আলোচিত উপনির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুজ্জামান বাচ্চুকে পরাজিত করে নিজের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করেন। ওয়ান-ইলেভেন সময়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তিনি ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাভোগ করেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।
সালিমুল হক কামালের অবসর ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মাগুরা-২ আসনে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল মোড়ের একটি বহুতল ভবনের ১১ তলায় ছোট একটু ‘স্পেস’ ভাড়া নিয়ে অফিস শুরু করেছিলেন কামাল হোসেন। জামানত হিসেবে তিন মাসের অগ্রিম ভাড়া দিয়ে সাজসজ্জা করেন। একটি বছর পুরো না হতেই নতুন বছরের শুরুতে তাঁকে চার হাজার টাকা ভাড়া বাড়ানোর কাগজ ধরিয়ে দিয়েছেন...
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান ওরফে সিজু (২২)।
১ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান সিজু (২২)। বাবার নাম রবিউল ইসলাম। শিবগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুর বাহাদুর মোড়লের টোলা গ্রামে তাঁর বাড়ি। আবু সুফিয়ানের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে ২৪ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার উমরপুর ঘাট এলাকায়। সেদিন আবু সুফিয়ানকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয়েছিল। এরপর দুই হাত ও এক পা কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, সুফিয়ানের বাঁ হাতের রগ কেটে গেছে। এই হাত কেটে ফেলতে হবে। ডান হাতটি রক্ষার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। মাথা ও দুই পায়েও গুরুতর জখম আছে। চোখের ওপর হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। কালশিরা পড়ে চোখ এখনো ফুলে আছে।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন শাহ আলম ও তাঁর ভাই আব্দুর রাজ্জাক। তাঁদের বাড়ি উপজেলার শ্যামপুর খোঁচপাড়া গ্রামে। তাঁরা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। তাঁদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। উমরপুর ঘাটে তাঁর ওষুধের দোকান আছে। সেই দোকানের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ এজাহারভুক্ত এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ভর্তির পর রাতেই আবু সুফিয়ানকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আহত আবু সুফিয়ানের মা সুফিয়া খাতুন জানান, সুফিয়ানের এক নাবালিকা ভাতিজিকে কিছুদিন আগে এক যুবক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে মামলা করলে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। ছেলেটিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু জামিনে আসার পর থেকে ছেলেটি আবার মেয়েটিকে বিরক্ত করছিল।
এ জন্য ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে আবু সুফিয়ান উমরপুর ঘাটে ওই ছেলেটিকে ডেকে তাঁর ভাতিজিকে বিরক্ত না করার জন্য শাসাচ্ছিলেন। তখন বদিউর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, শাহ আলমসহ জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ওই ছেলেটির পক্ষ নেন এবং আবু সুফিয়ানকে মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে যোগ দেন শিবিরের কর্মী আনোয়ার হোসেন ও নুর আলী। তাঁরা রাজ্জাকের দোকানের সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে সুফিয়ানকে বেঁধে ফেলেন। এরপর লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে তাঁকে পেটানো হয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর দুই হাত ও পা কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেন। খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা সুফিয়ানকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাঁকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে রাতেই তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
সুফিয়া খাতুন বলেন, তাঁর ছেলেকে জামায়াতের মিছিলে ডাকা হয়েছিল। সুফিয়ান তাদের মিছিলে না গিয়ে বিএনপির মিছিলে যেত। এই রাগে তার হাত-পা এভাবে কেটে দেওয়া হতে পারে। তিনি জানান, ঘটনার পর তার ছেলে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকলেও জামায়াত-শিবিরের ভয়ে কেউ হাসপাতালে নিয়ে যাননি। এমনকি কোনো গাড়িও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল না। পরে তারা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সুফিয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত আবু সুফিয়ান বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের তিনি বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন, ওই ছেলেটি তাঁর ভাতিজিকে বিরক্ত করছে। কিন্তু কোনো কথা না শুনে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁকেই বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত-পা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেন।
জামায়াতের কর্মী শাহ আলম ও আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। আর অভিযুক্ত শিবিরের কর্মী নূর আলীর মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় দুজন কর্মী গ্রেপ্তার হলেও জামায়াত-শিবির এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকে না বলে দাবি করেছেন উপজেলা জামায়াতের আমির সাদিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার শাহ আলম ও আব্দুর রাজ্জাক আমাদের কর্মী। তবে জামায়াত-শিবির হাত-পা কাটার রাজনীতি করে না। এই ঘটনায় তাঁরা জড়িত বলেও আমরা মনে করি না। তাই সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঘটনার পর রাতেই তিনজনের নামে মামলা করেন আবু সুফিয়ানের বাবা। এরপর আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান সিজু (২২)। বাবার নাম রবিউল ইসলাম। শিবগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুর বাহাদুর মোড়লের টোলা গ্রামে তাঁর বাড়ি। আবু সুফিয়ানের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে ২৪ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার উমরপুর ঘাট এলাকায়। সেদিন আবু সুফিয়ানকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয়েছিল। এরপর দুই হাত ও এক পা কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, সুফিয়ানের বাঁ হাতের রগ কেটে গেছে। এই হাত কেটে ফেলতে হবে। ডান হাতটি রক্ষার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। মাথা ও দুই পায়েও গুরুতর জখম আছে। চোখের ওপর হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। কালশিরা পড়ে চোখ এখনো ফুলে আছে।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন শাহ আলম ও তাঁর ভাই আব্দুর রাজ্জাক। তাঁদের বাড়ি উপজেলার শ্যামপুর খোঁচপাড়া গ্রামে। তাঁরা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। তাঁদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। উমরপুর ঘাটে তাঁর ওষুধের দোকান আছে। সেই দোকানের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ এজাহারভুক্ত এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ভর্তির পর রাতেই আবু সুফিয়ানকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আহত আবু সুফিয়ানের মা সুফিয়া খাতুন জানান, সুফিয়ানের এক নাবালিকা ভাতিজিকে কিছুদিন আগে এক যুবক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে মামলা করলে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। ছেলেটিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু জামিনে আসার পর থেকে ছেলেটি আবার মেয়েটিকে বিরক্ত করছিল।
এ জন্য ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে আবু সুফিয়ান উমরপুর ঘাটে ওই ছেলেটিকে ডেকে তাঁর ভাতিজিকে বিরক্ত না করার জন্য শাসাচ্ছিলেন। তখন বদিউর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, শাহ আলমসহ জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ওই ছেলেটির পক্ষ নেন এবং আবু সুফিয়ানকে মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে যোগ দেন শিবিরের কর্মী আনোয়ার হোসেন ও নুর আলী। তাঁরা রাজ্জাকের দোকানের সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে সুফিয়ানকে বেঁধে ফেলেন। এরপর লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে তাঁকে পেটানো হয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর দুই হাত ও পা কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেন। খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা সুফিয়ানকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাঁকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে রাতেই তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
সুফিয়া খাতুন বলেন, তাঁর ছেলেকে জামায়াতের মিছিলে ডাকা হয়েছিল। সুফিয়ান তাদের মিছিলে না গিয়ে বিএনপির মিছিলে যেত। এই রাগে তার হাত-পা এভাবে কেটে দেওয়া হতে পারে। তিনি জানান, ঘটনার পর তার ছেলে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকলেও জামায়াত-শিবিরের ভয়ে কেউ হাসপাতালে নিয়ে যাননি। এমনকি কোনো গাড়িও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল না। পরে তারা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সুফিয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত আবু সুফিয়ান বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের তিনি বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন, ওই ছেলেটি তাঁর ভাতিজিকে বিরক্ত করছে। কিন্তু কোনো কথা না শুনে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁকেই বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত-পা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেন।
জামায়াতের কর্মী শাহ আলম ও আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। আর অভিযুক্ত শিবিরের কর্মী নূর আলীর মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় দুজন কর্মী গ্রেপ্তার হলেও জামায়াত-শিবির এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকে না বলে দাবি করেছেন উপজেলা জামায়াতের আমির সাদিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার শাহ আলম ও আব্দুর রাজ্জাক আমাদের কর্মী। তবে জামায়াত-শিবির হাত-পা কাটার রাজনীতি করে না। এই ঘটনায় তাঁরা জড়িত বলেও আমরা মনে করি না। তাই সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঘটনার পর রাতেই তিনজনের নামে মামলা করেন আবু সুফিয়ানের বাবা। এরপর আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল মোড়ের একটি বহুতল ভবনের ১১ তলায় ছোট একটু ‘স্পেস’ ভাড়া নিয়ে অফিস শুরু করেছিলেন কামাল হোসেন। জামানত হিসেবে তিন মাসের অগ্রিম ভাড়া দিয়ে সাজসজ্জা করেন। একটি বছর পুরো না হতেই নতুন বছরের শুরুতে তাঁকে চার হাজার টাকা ভাড়া বাড়ানোর কাগজ ধরিয়ে দিয়েছেন...
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
২ ঘণ্টা আগেহোসেনপুর সংবাদদাতা

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।/
নিহত আনোয়ার জেলার হোসেনপুর উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের আলমাস খানের বড় ছেলে। নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী প্রবাসী শফিক জানান, দুই মাস পর আনোয়ারের দেশে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল।
গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. চান মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, নিহত আনোয়ার ১০-১২ বছর আগে সৌদি আরবে গেছেন। সেখানে ফ্রি ভিসায় কাজ করতেন তিনি। গতকাল রাতে তাঁর পরিবার মৃত্যুর খবর পায়।

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।/
নিহত আনোয়ার জেলার হোসেনপুর উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের আলমাস খানের বড় ছেলে। নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী প্রবাসী শফিক জানান, দুই মাস পর আনোয়ারের দেশে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল।
গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. চান মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, নিহত আনোয়ার ১০-১২ বছর আগে সৌদি আরবে গেছেন। সেখানে ফ্রি ভিসায় কাজ করতেন তিনি। গতকাল রাতে তাঁর পরিবার মৃত্যুর খবর পায়।

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল মোড়ের একটি বহুতল ভবনের ১১ তলায় ছোট একটু ‘স্পেস’ ভাড়া নিয়ে অফিস শুরু করেছিলেন কামাল হোসেন। জামানত হিসেবে তিন মাসের অগ্রিম ভাড়া দিয়ে সাজসজ্জা করেন। একটি বছর পুরো না হতেই নতুন বছরের শুরুতে তাঁকে চার হাজার টাকা ভাড়া বাড়ানোর কাগজ ধরিয়ে দিয়েছেন...
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান ওরফে সিজু (২২)।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
২ ঘণ্টা আগেমনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), মেয়ে নীলা (২৫) ও মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)।
নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক ও তাঁর বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।
নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।
নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মিজানুর রহমান স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তাঁর বোন নীলা নিহত হন।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের কেউ জানায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে সহযোগিতা করব।’

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), মেয়ে নীলা (২৫) ও মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)।
নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক ও তাঁর বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।
নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।
নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মিজানুর রহমান স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তাঁর বোন নীলা নিহত হন।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের কেউ জানায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে সহযোগিতা করব।’

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল মোড়ের একটি বহুতল ভবনের ১১ তলায় ছোট একটু ‘স্পেস’ ভাড়া নিয়ে অফিস শুরু করেছিলেন কামাল হোসেন। জামানত হিসেবে তিন মাসের অগ্রিম ভাড়া দিয়ে সাজসজ্জা করেন। একটি বছর পুরো না হতেই নতুন বছরের শুরুতে তাঁকে চার হাজার টাকা ভাড়া বাড়ানোর কাগজ ধরিয়ে দিয়েছেন...
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান ওরফে সিজু (২২)।
১ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
১ ঘণ্টা আগে