তানিম আহমেদ ও সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ থেকে

রাত পোহালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন নাকি নগরবাসী নতুন নগর পিতা নির্বাচন করবেন সেটাই নারায়ণগঞ্জ তথা দেশবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দুই হেভিওয়েট প্রার্থী আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকার সহিংসতার আশঙ্কা করলে তা উড়িয়ে দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন। তাঁদের দাবি ভোটাররা ভোট দিয়ে নির্বিঘ্নে বাসায় ফিরতে পারেন, তার ব্যবস্থাই করা হয়েছে। অন্যদিকে ভোটদের দাবি, তাঁরা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে, সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারেন।
নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সাতজন হলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের হাতি প্রতীকের। নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে ছিলেন এই দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা।
অন্য পাঁচজন মেয়র প্রার্থী হলেন খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
চ্যালেঞ্জের সামনে আইভী
আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি, নারায়ণগঞ্জের যেকোনো অধিকার আদায়ে আইভী সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তেমন অভিযোগও ওঠেনি। এই কারণে তাঁর ওপরেই আস্থা রেখেছে দল। নির্বাচনী প্রচারণায়ও আমরা বিপুল সাড়া পেয়েছি। প্রার্থী যেমন আশা করছে লক্ষাধিক ভোটে তিনি বিজয়ী হবেন, আমাদের তেমন না থাকলে আশা রাখছি ৬০ থেকে ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে সমন্বয়ক করে একটি টিম করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে ২৭ ওয়ার্ড ভিত্তিক আলাদা কমিটি করে তাঁরা। নেতারা প্রতিদিনই প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। প্রচারণার শেষদিন শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের একটি ক্লাবে সবাই বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটের একটি চিত্র তুলে ধরেন। সেখানকার চিত্র অনুযায়ী আইভী ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
তবে, এই চিত্রের বিপরীত কথাও বলছেন দলটির কেউ কেউ। তাঁদের দাবি গত দুইবারের নির্বাচনে আইভী যত সহজে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এইবার তত সহজ হবে না। টানা তিন মেয়াদে তিনি নারায়ণগঞ্জের নগরপিতার দায়িত্বে রয়েছেন। এতে অনেকই লাভক্ষতির হিসাব মেলাচ্ছেন। এ ছাড়া গত দুইবারের তুলনায় এইবার এখানে দলীয় কোন্দল বেশিই ভোগাচ্ছে। এই হিসাবে নৌকা তীরে ভিড়তে কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত দুই মেয়াদে আইভী নারায়ণগঞ্জের চেহারাই বদলে দিয়েছেন। অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন করেছেন। দলের একপক্ষের বাধার মধ্যে শেখ রাসেল পার্ক করেছেন। এতে উন্নয়নেও নির্ভার থাকতে পারছি না। কারণ বিগত কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত বিএনপিবিহীন ইউপি নির্বাচনের নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবিতে আমাদের ভাবাচ্ছে। কারণ দেশে এখন দুই ধরনের মানুষ আছে। একটা আওয়ামী লীগ। আরেকটা অ্যান্টি-আওয়ামী লীগ। গত নির্বাচনগুলোতে বিএনপিসহ তাঁদের জোটের কিছু ভোট আইভী পেয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও বেশিরভাগ ভোটগুলো তৈমুরের হাতিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের ওসমান ও চুনকা পরিবার আওয়ামী লীগ করলেও তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রজন্মের পর প্রজন্মের। সেই ধারাবাহিকতা ওসমান পরিবারের সদস্য সরকার দলীয় সাংসদ শামীম ওসমান ও চুনকা পরিবারের সদস্য মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর মধ্যে বিদ্যনাম। দুজনেরই সাপে নেউলে সম্পর্ক। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে শামীম ওসমানকে গডফাদার বলেও আখ্যা দেন আইভী। তৈমুরকে ওসমান পরিবারের প্রার্থী বলেও দাবি করেন তিনি। আইভীর এমন দাবির পরে সংবাদ সম্মেলন বিরোধ থাকা সত্ত্বেও নৌকার পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন সাংসদ শামীম ওসমান।
আইভীর অনুসারীদের দাবি ঘোষণা দিলেও শামীম ওসমানের অনুসারীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়নি। কাজও করেনি। তাঁদের অনুসারী যেসব নেতা সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা শুধু কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে হাজিরা দিচ্ছেন। এর বাইরে তেমন কাজ করছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের দলীয় ও উপদলীয় কোন্দল প্রকট। কোন্দলের কারণে অনেকই আইভীর পক্ষে তেমন সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আইভীর ভোটের ওপর।
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, যে যাই বলুক না কেন নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের একটা প্রভাব ও নিজস্ব কিছু ভোটব্যাংক রয়েছে। আইভী শামীম ওসমানকে গডফাদারে আখ্যায়িতসহ নানান কটূক্তি করেছেন। নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্ত সেটা অব্যাহত ছিল। তাঁর এমন অহংকারী আচরণ তাঁদের বিক্ষুব্ধ করতে পারে। যার জবাব তাঁরা ব্যালটে দিতে পারেন।
ওই নেতা বলেন, এখানে শামীম ওসমান বিরোধী একটা বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে সেটা সত্য। এই ব্যাংকের বেশি ভোট কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের। সেই ভোট ব্যাংকগুলোকে কাছে রাখতে আইভী নিয়মিতই শামীম বিরোধিতা করে গেছেন। আবার প্রচার-প্রচারণায় তিনি দলীয় নেতাদের তেমন গুরুত্বও দেন নাই। ভোটের রাজনীতিতে বেশিরভাগের মনজয় করে চলতে হয়।
আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান দীপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী আইভী নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষের প্রার্থী। তাঁর বিজয়ে আমরা শতভাগ আশাবাদী। তিনি এবার বিজয়ে হ্যাটট্রিক করবেন।’
আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এই নির্বাচনে আইভীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে আরও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় সরকার।’
পরাজিত হলে সারা দেশে সরকারের ভাবমূর্তি কিছুটা হুমকির সম্মুখীন হবে জেনেও জয়-পরাজয়ের চিন্তা মাথায় নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। আইভীকে আস্থায় নিয়ে এই সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হচ্ছে।
বিজয়ে আত্মবিশ্বাসী তৈমুরও
আওয়ামী লীগের মতো নারায়ণগঞ্জের বিএনপিতেও কোন্দল রয়েছে। সিটি এলাকার দুই সাবেক সাংসদ আবুল কালাম ও গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে তৈমুর আলম খন্দকারের। সেটি এখনো না মিটলেও বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জের দুই নেতার বেশকিছু অনুসারীদের হাতির পক্ষে কাজ করতে দেখা গেছে। তাতে নিজের বিজয়ে আত্মবিশ্বাসী তৈমুর।
হাতি মার্কার প্রার্থী তৈমুরকে আজ শনিবার আরও ফুরফুরে আচরণ করতে দেখা গেছে। আইভী-শামীমের ভেতরে বিরোধ মীমাংসা হয়নি এখনো। বিরোধের মীমাংসা না হওয়ায় নির্বাচনে তাঁর জয়ের ক্ষেত্রে আস্থা তৈরি হয়েছে। তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে তাঁর নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করার অভিযোগ তুললেও হতাশ নন তৈমুর।
হাতির নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তার তৎপরতা থাকলেও শামীম ওসমানের সঙ্গে আইভীর বিরোধ শেষ না হলে শামীম অনুসারীদের ভোট তাঁর বক্সেই পড়বে। পুলিশি তৎপরতায় তৈমুর কিছু অনুসারী না পেলেও সেই শূন্যতা শামীম ওসমানের অনুসারীরাই পূর্ণ করবে।
তাঁর ওই কর্মী বলেন, হাতির লোককে কেন্দ্র থেকে দূরে রাখতে পারে একমাত্র শামীম ওসমানের অনুসারীরাই। পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাষ্ট্রীয়বাহিনী অতিরঞ্জিত অবস্থানে থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আইভীর অনুসারীর পক্ষে তা সম্ভব নয়।
আজ শনিবার নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর বলেন, ‘মরে গেলেও মাঠ ছাড়ব না। নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। মাঠে থাকব, পালিয়ে যাইনি।’ সংবাদ সম্মেলনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক এই উপদেষ্টা।
ভোটারদের ভাবনা
আজ শনিবার নগরীর কালী বাজার, চাষাঢ়া, টানবাজার, দেওভোগ ও মাসদাইর এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তাঁদের অনেকই সুষ্ঠু ও সহিংসমুক্ত ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ মনে করেছেন তিনি হয়তো নিজের ভোটটা দিতে পারবেন না। তবে তাঁদের ধারণা, সুষ্ঠু ভোট হলে এবার নৌকা-হাতির লড়াই হবে জমজমাট। কারণ আইভী দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আবার তৈমুর আলম খন্দকারও মানুষের সঙ্গে ছিলেন। তাই কেউ কাউকে সহজে হারাতে পারবেন না।
টানবাজার শীতলক্ষ্যার পাড়ের কয়েকজন ভোটার বলেন, নৌকার প্রার্থী আইভী টানা ১৮ বছর ধরে দায়িত্ব ছিলেন। এই সময় অবকাঠামো অনেক উন্নয়নই করেছেন। কিন্তু গত নির্বাচনের আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, শীতলক্ষ্যা ও কদম রসুল ব্রিজ করে সিটি করপোরেশনের দুই পাড়ের মানুষের মাঝে জোড়া লাগাবেন। কিন্তু সেটা তিনি পারেননি। এখনো নৌকায় করে বন্দর যেতে হয়। বৃষ্টির সময়ের ভোগান্তি শুধু ভুক্তভোগীর জানেন। এবার ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে।
চাষাঢ়া মোড়ের চা দোকানে আড্ডারত আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত নির্বাচনেও আমরা আইভীকে ভোট দিয়েছি। এবার নতুন প্রার্থীকে দিতে চাই। তবে আমার স্ত্রী বলতেছেন, আইভীকে ভোট দিতে। কালকে সকালেই চিন্তা করব কাকে ভোট দেব।’
তবে নারায়ণগঞ্জের বেশির ভাগ ভোটারই জানিয়েছেন, আইভীর বিজয়ে সব সময় নিয়ামক থাকেন নারী ভোটাররা। এবারও সেই ধারা আছে। আইভী নিজেও সেটা মনে করেন। শুক্রবার নিজ বাস ভবনে আইভী বলেছিলেন, ‘আমি প্রশাসনের কাছে বরাবরই বলে আসছি যে, ভোটের দিন যাতে উৎসবমুখর থাকে। আমার নারী ভোটাররা যেন আসতে পারে। আমার ইয়াং ভোটাররা যেন আসতে পারে। কারণ আমি জানি এই ভোটগুলো আমার। আমি নির্বাচনে জিতবই ইনশাল্লাহ।’
শনিবার যেভাবে পার করলেন আইভী-তৈমুর
শনিবার অনেকটা নীরবেই দেওভোগের নিজ বাসভবনেই কাটিয়েছেন নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। সারা দিনে গণমাধ্যম কর্মীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার চেষ্টা করেও পারেননি। অনেককেই ফিরতে হয়েছে বাসার সামনে থেকে। রাত সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইভী বাসাতেই ছিলেন। রোববার সকালে আইভী বাড়ির পাশের শিশুবাগ স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেবেন বলে জানা গেছে। পরে তিনি বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন।
এদিকে ভোটের আগের দিন বাসায় ছিলেন হাতির মার্কার প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। বেলা ১২টার আগে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি সুষ্ঠু ভোটের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চালুর আবেদন করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ নয়; বরং প্রশাসনকেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমার গুরুত্বপূর্ণ নেতা কর্মীদের আটক করছে। আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
ক্লাবে আ. লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক
নাসিক নির্বাচনের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় সমন্বয় করা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকজন শনিবার সারা দিনই নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ছিলেন। নেতাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ একাধিক নেতা দফায় দফায় স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
শনিবার বিকেলে আইভীর প্রচারণার দায়িত্বে থাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এইমাত্র ক্লাবে নানক ভাইদের সঙ্গে বৈঠক করে বাসায় আসালাম। ফ্রেশ হয়ে আইভীর বাসায় যাব। আওয়ামী লীগের নেতারা কি এখনো ক্লাবেই আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নেতা বলেন, শুনেছি বের হয়ে যাবে। এখন আছে কিনা জানি না।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাস্টিং ভোটের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী জয়ী হবে। তবে আজ (শনিবার) কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আমরা কোনো বৈঠক করিনি। তাঁরা কোথায় আছেন সেটাও আমি জানি না।’
ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ ইসি ও প্রশাসনের
ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চালু রাখার যে আবেদন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার করেছেন তা নাকচ করে দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার। তিনি বলেন, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা কাজ করবে না। কেন্দ্রে যদি সিসি ক্যামেরা কাজ করে, তাহলে তো কেন্দ্রের ভেতরে বুথের গোপনীয়তা রক্ষা হলো না। কাজেই কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বন্ধ থাকবে। সব কেন্দ্রে তো নেই। যেখানে আছে সেখানে বন্ধ থাকবে।
প্রার্থীরা নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা তা মনে করছেন না। ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে করার জন্য সব প্রস্তুতি ইসি নিয়েছেন বলেনও জানান মাহফুজা আক্তার। তিনি বলেন, ভোটাররা তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আসবেন। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে আসবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে আসবেন, ভোট দেবেন। ভোট শেষে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরে যাবেন।
সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে রোববার (ভোটগ্রহণের দিন) নারায়ণগঞ্জে বহিরাগতরা ‘অ্যালাউ’ না বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল ইসলাম। পুলিশ লাইনে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, কোনো বহিরাগতকে আমরা ভোটের দিন নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে দেব না। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আমাদের যে মোবাইল টিম থাকবে, আমাদের চেকপোস্ট থাকবে, জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে আমরা মানুষকে চলাচল করতে দেব। রোববার নারায়ণগঞ্জ মহানগর এলাকার যে বা যারা বের হবেন দয়া করে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বের হবেন, যাদের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে।’
তিনি বলেন, ‘সবার প্রতি আহ্বান, কেউ যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা না করে। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে, তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।’ পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আমরা কঠোর অবস্থানে আছি, কঠোর অবস্থানেই থাকব। মা-বোনেরাসহ যাঁরা আছেন, আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে আসবেন। কেউ বাধা দিলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
গণগ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জায়েদুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনসংক্রান্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’

রাত পোহালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন নাকি নগরবাসী নতুন নগর পিতা নির্বাচন করবেন সেটাই নারায়ণগঞ্জ তথা দেশবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দুই হেভিওয়েট প্রার্থী আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকার সহিংসতার আশঙ্কা করলে তা উড়িয়ে দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন। তাঁদের দাবি ভোটাররা ভোট দিয়ে নির্বিঘ্নে বাসায় ফিরতে পারেন, তার ব্যবস্থাই করা হয়েছে। অন্যদিকে ভোটদের দাবি, তাঁরা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে, সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারেন।
নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সাতজন হলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের হাতি প্রতীকের। নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে ছিলেন এই দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা।
অন্য পাঁচজন মেয়র প্রার্থী হলেন খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
চ্যালেঞ্জের সামনে আইভী
আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি, নারায়ণগঞ্জের যেকোনো অধিকার আদায়ে আইভী সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তেমন অভিযোগও ওঠেনি। এই কারণে তাঁর ওপরেই আস্থা রেখেছে দল। নির্বাচনী প্রচারণায়ও আমরা বিপুল সাড়া পেয়েছি। প্রার্থী যেমন আশা করছে লক্ষাধিক ভোটে তিনি বিজয়ী হবেন, আমাদের তেমন না থাকলে আশা রাখছি ৬০ থেকে ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে সমন্বয়ক করে একটি টিম করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে ২৭ ওয়ার্ড ভিত্তিক আলাদা কমিটি করে তাঁরা। নেতারা প্রতিদিনই প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। প্রচারণার শেষদিন শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের একটি ক্লাবে সবাই বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটের একটি চিত্র তুলে ধরেন। সেখানকার চিত্র অনুযায়ী আইভী ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
তবে, এই চিত্রের বিপরীত কথাও বলছেন দলটির কেউ কেউ। তাঁদের দাবি গত দুইবারের নির্বাচনে আইভী যত সহজে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এইবার তত সহজ হবে না। টানা তিন মেয়াদে তিনি নারায়ণগঞ্জের নগরপিতার দায়িত্বে রয়েছেন। এতে অনেকই লাভক্ষতির হিসাব মেলাচ্ছেন। এ ছাড়া গত দুইবারের তুলনায় এইবার এখানে দলীয় কোন্দল বেশিই ভোগাচ্ছে। এই হিসাবে নৌকা তীরে ভিড়তে কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত দুই মেয়াদে আইভী নারায়ণগঞ্জের চেহারাই বদলে দিয়েছেন। অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন করেছেন। দলের একপক্ষের বাধার মধ্যে শেখ রাসেল পার্ক করেছেন। এতে উন্নয়নেও নির্ভার থাকতে পারছি না। কারণ বিগত কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত বিএনপিবিহীন ইউপি নির্বাচনের নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবিতে আমাদের ভাবাচ্ছে। কারণ দেশে এখন দুই ধরনের মানুষ আছে। একটা আওয়ামী লীগ। আরেকটা অ্যান্টি-আওয়ামী লীগ। গত নির্বাচনগুলোতে বিএনপিসহ তাঁদের জোটের কিছু ভোট আইভী পেয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও বেশিরভাগ ভোটগুলো তৈমুরের হাতিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের ওসমান ও চুনকা পরিবার আওয়ামী লীগ করলেও তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রজন্মের পর প্রজন্মের। সেই ধারাবাহিকতা ওসমান পরিবারের সদস্য সরকার দলীয় সাংসদ শামীম ওসমান ও চুনকা পরিবারের সদস্য মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর মধ্যে বিদ্যনাম। দুজনেরই সাপে নেউলে সম্পর্ক। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে শামীম ওসমানকে গডফাদার বলেও আখ্যা দেন আইভী। তৈমুরকে ওসমান পরিবারের প্রার্থী বলেও দাবি করেন তিনি। আইভীর এমন দাবির পরে সংবাদ সম্মেলন বিরোধ থাকা সত্ত্বেও নৌকার পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন সাংসদ শামীম ওসমান।
আইভীর অনুসারীদের দাবি ঘোষণা দিলেও শামীম ওসমানের অনুসারীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়নি। কাজও করেনি। তাঁদের অনুসারী যেসব নেতা সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা শুধু কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে হাজিরা দিচ্ছেন। এর বাইরে তেমন কাজ করছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের দলীয় ও উপদলীয় কোন্দল প্রকট। কোন্দলের কারণে অনেকই আইভীর পক্ষে তেমন সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আইভীর ভোটের ওপর।
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, যে যাই বলুক না কেন নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের একটা প্রভাব ও নিজস্ব কিছু ভোটব্যাংক রয়েছে। আইভী শামীম ওসমানকে গডফাদারে আখ্যায়িতসহ নানান কটূক্তি করেছেন। নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্ত সেটা অব্যাহত ছিল। তাঁর এমন অহংকারী আচরণ তাঁদের বিক্ষুব্ধ করতে পারে। যার জবাব তাঁরা ব্যালটে দিতে পারেন।
ওই নেতা বলেন, এখানে শামীম ওসমান বিরোধী একটা বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে সেটা সত্য। এই ব্যাংকের বেশি ভোট কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের। সেই ভোট ব্যাংকগুলোকে কাছে রাখতে আইভী নিয়মিতই শামীম বিরোধিতা করে গেছেন। আবার প্রচার-প্রচারণায় তিনি দলীয় নেতাদের তেমন গুরুত্বও দেন নাই। ভোটের রাজনীতিতে বেশিরভাগের মনজয় করে চলতে হয়।
আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান দীপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী আইভী নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষের প্রার্থী। তাঁর বিজয়ে আমরা শতভাগ আশাবাদী। তিনি এবার বিজয়ে হ্যাটট্রিক করবেন।’
আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এই নির্বাচনে আইভীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে আরও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় সরকার।’
পরাজিত হলে সারা দেশে সরকারের ভাবমূর্তি কিছুটা হুমকির সম্মুখীন হবে জেনেও জয়-পরাজয়ের চিন্তা মাথায় নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। আইভীকে আস্থায় নিয়ে এই সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হচ্ছে।
বিজয়ে আত্মবিশ্বাসী তৈমুরও
আওয়ামী লীগের মতো নারায়ণগঞ্জের বিএনপিতেও কোন্দল রয়েছে। সিটি এলাকার দুই সাবেক সাংসদ আবুল কালাম ও গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে তৈমুর আলম খন্দকারের। সেটি এখনো না মিটলেও বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জের দুই নেতার বেশকিছু অনুসারীদের হাতির পক্ষে কাজ করতে দেখা গেছে। তাতে নিজের বিজয়ে আত্মবিশ্বাসী তৈমুর।
হাতি মার্কার প্রার্থী তৈমুরকে আজ শনিবার আরও ফুরফুরে আচরণ করতে দেখা গেছে। আইভী-শামীমের ভেতরে বিরোধ মীমাংসা হয়নি এখনো। বিরোধের মীমাংসা না হওয়ায় নির্বাচনে তাঁর জয়ের ক্ষেত্রে আস্থা তৈরি হয়েছে। তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে তাঁর নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করার অভিযোগ তুললেও হতাশ নন তৈমুর।
হাতির নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তার তৎপরতা থাকলেও শামীম ওসমানের সঙ্গে আইভীর বিরোধ শেষ না হলে শামীম অনুসারীদের ভোট তাঁর বক্সেই পড়বে। পুলিশি তৎপরতায় তৈমুর কিছু অনুসারী না পেলেও সেই শূন্যতা শামীম ওসমানের অনুসারীরাই পূর্ণ করবে।
তাঁর ওই কর্মী বলেন, হাতির লোককে কেন্দ্র থেকে দূরে রাখতে পারে একমাত্র শামীম ওসমানের অনুসারীরাই। পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাষ্ট্রীয়বাহিনী অতিরঞ্জিত অবস্থানে থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আইভীর অনুসারীর পক্ষে তা সম্ভব নয়।
আজ শনিবার নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর বলেন, ‘মরে গেলেও মাঠ ছাড়ব না। নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। মাঠে থাকব, পালিয়ে যাইনি।’ সংবাদ সম্মেলনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক এই উপদেষ্টা।
ভোটারদের ভাবনা
আজ শনিবার নগরীর কালী বাজার, চাষাঢ়া, টানবাজার, দেওভোগ ও মাসদাইর এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তাঁদের অনেকই সুষ্ঠু ও সহিংসমুক্ত ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ মনে করেছেন তিনি হয়তো নিজের ভোটটা দিতে পারবেন না। তবে তাঁদের ধারণা, সুষ্ঠু ভোট হলে এবার নৌকা-হাতির লড়াই হবে জমজমাট। কারণ আইভী দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আবার তৈমুর আলম খন্দকারও মানুষের সঙ্গে ছিলেন। তাই কেউ কাউকে সহজে হারাতে পারবেন না।
টানবাজার শীতলক্ষ্যার পাড়ের কয়েকজন ভোটার বলেন, নৌকার প্রার্থী আইভী টানা ১৮ বছর ধরে দায়িত্ব ছিলেন। এই সময় অবকাঠামো অনেক উন্নয়নই করেছেন। কিন্তু গত নির্বাচনের আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, শীতলক্ষ্যা ও কদম রসুল ব্রিজ করে সিটি করপোরেশনের দুই পাড়ের মানুষের মাঝে জোড়া লাগাবেন। কিন্তু সেটা তিনি পারেননি। এখনো নৌকায় করে বন্দর যেতে হয়। বৃষ্টির সময়ের ভোগান্তি শুধু ভুক্তভোগীর জানেন। এবার ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে।
চাষাঢ়া মোড়ের চা দোকানে আড্ডারত আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত নির্বাচনেও আমরা আইভীকে ভোট দিয়েছি। এবার নতুন প্রার্থীকে দিতে চাই। তবে আমার স্ত্রী বলতেছেন, আইভীকে ভোট দিতে। কালকে সকালেই চিন্তা করব কাকে ভোট দেব।’
তবে নারায়ণগঞ্জের বেশির ভাগ ভোটারই জানিয়েছেন, আইভীর বিজয়ে সব সময় নিয়ামক থাকেন নারী ভোটাররা। এবারও সেই ধারা আছে। আইভী নিজেও সেটা মনে করেন। শুক্রবার নিজ বাস ভবনে আইভী বলেছিলেন, ‘আমি প্রশাসনের কাছে বরাবরই বলে আসছি যে, ভোটের দিন যাতে উৎসবমুখর থাকে। আমার নারী ভোটাররা যেন আসতে পারে। আমার ইয়াং ভোটাররা যেন আসতে পারে। কারণ আমি জানি এই ভোটগুলো আমার। আমি নির্বাচনে জিতবই ইনশাল্লাহ।’
শনিবার যেভাবে পার করলেন আইভী-তৈমুর
শনিবার অনেকটা নীরবেই দেওভোগের নিজ বাসভবনেই কাটিয়েছেন নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। সারা দিনে গণমাধ্যম কর্মীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার চেষ্টা করেও পারেননি। অনেককেই ফিরতে হয়েছে বাসার সামনে থেকে। রাত সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইভী বাসাতেই ছিলেন। রোববার সকালে আইভী বাড়ির পাশের শিশুবাগ স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেবেন বলে জানা গেছে। পরে তিনি বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন।
এদিকে ভোটের আগের দিন বাসায় ছিলেন হাতির মার্কার প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। বেলা ১২টার আগে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি সুষ্ঠু ভোটের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চালুর আবেদন করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ নয়; বরং প্রশাসনকেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমার গুরুত্বপূর্ণ নেতা কর্মীদের আটক করছে। আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
ক্লাবে আ. লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক
নাসিক নির্বাচনের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় সমন্বয় করা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকজন শনিবার সারা দিনই নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ছিলেন। নেতাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ একাধিক নেতা দফায় দফায় স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
শনিবার বিকেলে আইভীর প্রচারণার দায়িত্বে থাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এইমাত্র ক্লাবে নানক ভাইদের সঙ্গে বৈঠক করে বাসায় আসালাম। ফ্রেশ হয়ে আইভীর বাসায় যাব। আওয়ামী লীগের নেতারা কি এখনো ক্লাবেই আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নেতা বলেন, শুনেছি বের হয়ে যাবে। এখন আছে কিনা জানি না।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাস্টিং ভোটের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী জয়ী হবে। তবে আজ (শনিবার) কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আমরা কোনো বৈঠক করিনি। তাঁরা কোথায় আছেন সেটাও আমি জানি না।’
ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ ইসি ও প্রশাসনের
ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চালু রাখার যে আবেদন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার করেছেন তা নাকচ করে দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার। তিনি বলেন, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা কাজ করবে না। কেন্দ্রে যদি সিসি ক্যামেরা কাজ করে, তাহলে তো কেন্দ্রের ভেতরে বুথের গোপনীয়তা রক্ষা হলো না। কাজেই কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বন্ধ থাকবে। সব কেন্দ্রে তো নেই। যেখানে আছে সেখানে বন্ধ থাকবে।
প্রার্থীরা নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা তা মনে করছেন না। ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে করার জন্য সব প্রস্তুতি ইসি নিয়েছেন বলেনও জানান মাহফুজা আক্তার। তিনি বলেন, ভোটাররা তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আসবেন। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে আসবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে আসবেন, ভোট দেবেন। ভোট শেষে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরে যাবেন।
সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে রোববার (ভোটগ্রহণের দিন) নারায়ণগঞ্জে বহিরাগতরা ‘অ্যালাউ’ না বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল ইসলাম। পুলিশ লাইনে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, কোনো বহিরাগতকে আমরা ভোটের দিন নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে দেব না। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আমাদের যে মোবাইল টিম থাকবে, আমাদের চেকপোস্ট থাকবে, জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে আমরা মানুষকে চলাচল করতে দেব। রোববার নারায়ণগঞ্জ মহানগর এলাকার যে বা যারা বের হবেন দয়া করে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বের হবেন, যাদের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে।’
তিনি বলেন, ‘সবার প্রতি আহ্বান, কেউ যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা না করে। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে, তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।’ পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আমরা কঠোর অবস্থানে আছি, কঠোর অবস্থানেই থাকব। মা-বোনেরাসহ যাঁরা আছেন, আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে আসবেন। কেউ বাধা দিলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
গণগ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জায়েদুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনসংক্রান্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’

৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট দ্রুত প্রকাশ ও পদায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সুপারিশের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
১৩ মিনিট আগে
শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে ইনকিলাব মঞ্চ। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেনী-১ আসনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরেকজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এটি দলের অনুমতি নিয়েই হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে৪৮তম বিশেষ বিসিএস (স্বাস্থ্য)
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট দ্রুত প্রকাশ ও পদায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সুপারিশের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসক ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দেবাশীষ দাস।
লিখিত বক্তব্যে দেবাশীষ বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা জোরদারে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে ২ হাজারের বেশি চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) গত ২৯ মে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপর ১৮ জুলাই এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা ও ১০ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) শেষে ১১ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। তবে ফল প্রকাশের তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের চিকিৎসকসংকটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন উল্লেখ করেন আয়োজকেরা। গত ৩ জুলাই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাত্র একজন চিকিৎসকের ওপর শতাধিক রোগীর চাপের চিত্র উঠে আসে ওই প্রতিবেদনে। দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগীর স্বজনেরা। আয়োজকদের ভাষ্য, এটি শুধু একটি উপজেলার চিত্র নয়, দেশের প্রায় সব উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই একই ধরনের সংকট বিরাজ করছে।
স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় ১২ হাজার ৯৮০টি চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে তীব্র চিকিৎসকসংকট থাকা সত্ত্বেও ৩ হাজার ৫০০–এর বেশি প্রস্তুত চিকিৎসককে পদায়ন না করে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। এতে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এর আগে জানিয়েছিলেন, ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে তিন হাজারের বেশি চিকিৎসক নিয়োগের কার্যক্রম নভেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান দ্রুত ও স্বচ্ছ নিয়োগ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তবে বাস্তবে সেই আশ্বাসের প্রতিফলন এখনো দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসকেরা।
আয়োজকেরা জানান, দ্রুত নিয়োগের আশায় অনেক সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসক এফসিপিএস, এমডি–এমএসসহ চলমান উচ্চতর প্রশিক্ষণ ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু গেজেট ও পদায়ন বিলম্বিত হওয়ায় তাঁরা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এতে একদিকে তাঁদের ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে একাডেমিক ধারাবাহিকতাও ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট প্রকাশ ও দ্রুত পদায়নের দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, এতে যেমন চিকিৎসকদের অনিশ্চয়তা দূর হবে, তেমনি দেশের তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবায়ও স্বস্তি পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. রুহুল আমিন, মো. রিফাত খন্দকার, ইশরাত জাহানে ঈসা, আজাদ হোসেন ও রাতুল বালা বিশ্বাল।

৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট দ্রুত প্রকাশ ও পদায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সুপারিশের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসক ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দেবাশীষ দাস।
লিখিত বক্তব্যে দেবাশীষ বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা জোরদারে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে ২ হাজারের বেশি চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) গত ২৯ মে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপর ১৮ জুলাই এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা ও ১০ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) শেষে ১১ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। তবে ফল প্রকাশের তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের চিকিৎসকসংকটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন উল্লেখ করেন আয়োজকেরা। গত ৩ জুলাই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাত্র একজন চিকিৎসকের ওপর শতাধিক রোগীর চাপের চিত্র উঠে আসে ওই প্রতিবেদনে। দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগীর স্বজনেরা। আয়োজকদের ভাষ্য, এটি শুধু একটি উপজেলার চিত্র নয়, দেশের প্রায় সব উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই একই ধরনের সংকট বিরাজ করছে।
স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় ১২ হাজার ৯৮০টি চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে তীব্র চিকিৎসকসংকট থাকা সত্ত্বেও ৩ হাজার ৫০০–এর বেশি প্রস্তুত চিকিৎসককে পদায়ন না করে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। এতে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এর আগে জানিয়েছিলেন, ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে তিন হাজারের বেশি চিকিৎসক নিয়োগের কার্যক্রম নভেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান দ্রুত ও স্বচ্ছ নিয়োগ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তবে বাস্তবে সেই আশ্বাসের প্রতিফলন এখনো দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসকেরা।
আয়োজকেরা জানান, দ্রুত নিয়োগের আশায় অনেক সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসক এফসিপিএস, এমডি–এমএসসহ চলমান উচ্চতর প্রশিক্ষণ ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু গেজেট ও পদায়ন বিলম্বিত হওয়ায় তাঁরা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এতে একদিকে তাঁদের ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে একাডেমিক ধারাবাহিকতাও ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট প্রকাশ ও দ্রুত পদায়নের দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, এতে যেমন চিকিৎসকদের অনিশ্চয়তা দূর হবে, তেমনি দেশের তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবায়ও স্বস্তি পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. রুহুল আমিন, মো. রিফাত খন্দকার, ইশরাত জাহানে ঈসা, আজাদ হোসেন ও রাতুল বালা বিশ্বাল।

রাত পোহালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন নাকি নগরবাসী
১৫ জানুয়ারি ২০২২
শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে ইনকিলাব মঞ্চ। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেনী-১ আসনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরেকজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এটি দলের অনুমতি নিয়েই হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আবারও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।
অবরোধের ফলে শাহবাগ মোড় বন্ধ হয়ে যায় এবং এর প্রভাব পড়ে আশপাশের সড়কগুলোতেও। এতে এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
আগের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ বেলা ২টা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে আসতে শুরু করেন। তাঁরা মোড়ের পাশে সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। সোয়া ২টার পর তাঁরা শাহবাগ মোড় বন্ধ করে দেন।
গত শুক্রবার দুপুর থেকে ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দিয়েছেন।
গতকাল সারা দেশের বিভাগীয় শহরে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ইনকিলাব মঞ্চ। পরে রাত ১০টার দিকে খুনিদের গ্রেপ্তার, বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের কাজের অনুমতি বাতিলসহ চার দফা দাবি ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
ইনকিলাব মঞ্চের চার দফা হলো—
১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী, পলায়নে সহযোগী, আশ্রয়দাতাসহ পুরো খুনি চক্রের আগামী ২৪ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে।
২. বাংলাদেশে অবস্থানরত সব ভারতীয়ের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।
৩. ভারত তার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া সব খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে।
৪. সিভিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আবারও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।
অবরোধের ফলে শাহবাগ মোড় বন্ধ হয়ে যায় এবং এর প্রভাব পড়ে আশপাশের সড়কগুলোতেও। এতে এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
আগের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ বেলা ২টা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে আসতে শুরু করেন। তাঁরা মোড়ের পাশে সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। সোয়া ২টার পর তাঁরা শাহবাগ মোড় বন্ধ করে দেন।
গত শুক্রবার দুপুর থেকে ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দিয়েছেন।
গতকাল সারা দেশের বিভাগীয় শহরে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ইনকিলাব মঞ্চ। পরে রাত ১০টার দিকে খুনিদের গ্রেপ্তার, বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের কাজের অনুমতি বাতিলসহ চার দফা দাবি ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
ইনকিলাব মঞ্চের চার দফা হলো—
১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী, পলায়নে সহযোগী, আশ্রয়দাতাসহ পুরো খুনি চক্রের আগামী ২৪ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে।
২. বাংলাদেশে অবস্থানরত সব ভারতীয়ের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।
৩. ভারত তার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া সব খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে।
৪. সিভিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

রাত পোহালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন নাকি নগরবাসী
১৫ জানুয়ারি ২০২২
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট দ্রুত প্রকাশ ও পদায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সুপারিশের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
১৩ মিনিট আগে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেনী-১ আসনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরেকজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এটি দলের অনুমতি নিয়েই হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষার্থীরা http://apply.ku.ac.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজ নিজ প্রোফাইলে লগইন করে ফল জানতে পারবে।
আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী ১ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ না করলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ডিসিপ্লিনভিত্তিক চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৮ জানুয়ারি। আগামী ১২ থেকে ১৩ জানুয়ারি (সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা) পর্যন্ত মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করা হবে।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চারটি ইউনিটের প্রধানেরা নিজ নিজ ইউনিটের ফলাফল উপস্থাপন করেন। সভায় চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ ও অনুমোদন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, সব স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এবং ভর্তি কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর ‘সি’ ইউনিট (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা এবং চারুকলা স্কুল) ও ‘ডি’ ইউনিট (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল) এবং ১৯ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) ও ‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষার্থীরা http://apply.ku.ac.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজ নিজ প্রোফাইলে লগইন করে ফল জানতে পারবে।
আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী ১ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ না করলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ডিসিপ্লিনভিত্তিক চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৮ জানুয়ারি। আগামী ১২ থেকে ১৩ জানুয়ারি (সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা) পর্যন্ত মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করা হবে।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চারটি ইউনিটের প্রধানেরা নিজ নিজ ইউনিটের ফলাফল উপস্থাপন করেন। সভায় চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ ও অনুমোদন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, সব স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এবং ভর্তি কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর ‘সি’ ইউনিট (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা এবং চারুকলা স্কুল) ও ‘ডি’ ইউনিট (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল) এবং ১৯ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) ও ‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

রাত পোহালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন নাকি নগরবাসী
১৫ জানুয়ারি ২০২২
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট দ্রুত প্রকাশ ও পদায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সুপারিশের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
১৩ মিনিট আগে
শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে ইনকিলাব মঞ্চ। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।
১ ঘণ্টা আগে
দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেনী-১ আসনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরেকজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এটি দলের অনুমতি নিয়েই হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেফেনী প্রতিনিধি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরা হকের কাছে তাঁর পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।
একই আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনুও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এ ছাড়া ফেনী-২ আসনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ও ফেনী-৩ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জানতে চাইলে আবদুল আউয়াল মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেনী-১ আসনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরেকজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এটি দলের অনুমতি নিয়েই হয়েছে। তবে নেত্রীর বিকল্প কেউ নেই, তাঁর অসুস্থতার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, চেয়ারপারসন মাঠে না থাকলেও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।
রফিকুল আলম মজনু বলেন, ‘খালেদা জিয়া এই আসন থেকে বিপুল ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি খালেদা জিয়াকে সহযোগিতার জন্য কাজ করব।’
উল্লেখ্য, ফেনীর তিনটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ৪৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে ফেনী-১ আসনে ১৩ জন, ফেনী-২ আসনে ১৬ জন ও ফেনী-৩ আসনে ১৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরা হকের কাছে তাঁর পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।
একই আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনুও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এ ছাড়া ফেনী-২ আসনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ও ফেনী-৩ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জানতে চাইলে আবদুল আউয়াল মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেনী-১ আসনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরেকজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এটি দলের অনুমতি নিয়েই হয়েছে। তবে নেত্রীর বিকল্প কেউ নেই, তাঁর অসুস্থতার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, চেয়ারপারসন মাঠে না থাকলেও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।
রফিকুল আলম মজনু বলেন, ‘খালেদা জিয়া এই আসন থেকে বিপুল ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি খালেদা জিয়াকে সহযোগিতার জন্য কাজ করব।’
উল্লেখ্য, ফেনীর তিনটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ৪৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে ফেনী-১ আসনে ১৩ জন, ফেনী-২ আসনে ১৬ জন ও ফেনী-৩ আসনে ১৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

রাত পোহালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন নাকি নগরবাসী
১৫ জানুয়ারি ২০২২
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট দ্রুত প্রকাশ ও পদায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সুপারিশের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
১৩ মিনিট আগে
শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে ইনকিলাব মঞ্চ। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়।
১ ঘণ্টা আগে