Ajker Patrika

আশ্রয়হীনদের স্বপ্নের সারথি ব্রিটিশ নারী প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার

রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর) 
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ২০: ২৮
আশ্রয়হীনদের স্বপ্নের সারথি ব্রিটিশ নারী প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার

ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। বাবা ছিলেন বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। শুরু হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট বিলম্ব হয় দুদিন। পরে প্যাট্রিসিয়া এ্যান বেড়িয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। চোখে পড়ে ঢাকার ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন লেখা একটি সাইনবোর্ডে। ভেতরে প্রবেশ করে কথা বলে অনাথ শিশুদের সঙ্গে। কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা। 

এরপর নিজ দেশে যান প্যাট্রিসিয়া এ্যান। সেখানে গিয়ে তার স্বজন ও বন্ধুদের কাছে আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য সহযোগিতা চান। অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে থাকে ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন নামের প্রতিষ্ঠানকে। এতেও প্রশান্তি পাননি তিনি। নিজেই আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন। এর পর ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেনের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গাজীপুরের শ্রীপুর তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে ১৯৮৯ সালে ১৭ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন বিশাল শিশুপল্লী প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। 

এ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সারা দেশে হাজারো অনাথ, আশ্রয়হীন শিশু ও মায়ের লেখাপড়া কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়। এমনকি স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। মানব সেবায় হাতকে আরও প্রসারিত করতে থাকেন ব্রিটিশ এই নারী। এভাবেই অনাথ শিশু ও নারীদের জন্য আলোর পথ দেখানোর স্বপ্নের সারথি হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পান তিনি। 

আশি বছর বয়সী প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার এর বাবার নাম হ্যারাল্ড রবার্ট কার। তিনি ইংল্যান্ডের ওয়েলস প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। 

প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবা সব সময় মানবসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। বাবা চাকরির বাইরে যতটুকু সময় পেতেন সবটুকুই মানুষের সেবায় ব্যয় করেছেন। বাবার এ সকল কাজ আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করত। তা থেকেই আমার অসহায় আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার আগ্রহ হয়। ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অর্থনৈতিক সহায়তা করতে শুরু করি। শুধু আমার বাবার টাকা নয়, আমার দেশের বন্ধুদের কাছ থেকে সহায়তা এনে তাদের সহযোগিতা করতে থাকি। তারপর আমি মনস্থির করি আমি নিজে কিছু করব।’ 

প্রশিক্ষণ, শিশুপল্লী প্লাসের বসবাসকারীরা মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসে রং করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকাপ্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার বলেন, ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে শ্রীপুরে শিশুপল্লী প্লাস নামে প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা হয় একের পর এক ভবন। মাঠ পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনাথ, আশ্রয়হীন শিশুদের আশ্রয় দেওয়া শুরু হয়। তাদের খাওয়া, চিকিৎসা ও পড়াশোনা বাসস্থানসহ সকল ব্যবস্থা করা হয় নিজস্ব অর্থায়নে। 

 ‘যখন আমি দেখলাম একটি অসহায় মা তার একমাত্র শিশু সন্তানটিকে আমার কাছে রেখে সেও অসহায়ত্ব বোধ করছে। এই চিন্তা থেকে আমি শুরু করি স্বামী পরিত্যক্ত, বিধবা একেবারে হতদরিদ্র মায়েদের জন্য কিছু করা। তাঁদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভবিষ্যতের জন্য ৩ বছর মেয়াদি নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ১ হাজার ৬০০ টাকা জমা করা। এ ছাড়াও প্রতি মাসে হাত খরচের জন্য দেওয়া হয় ৬০০ টাকা।’ বলেন, ব্রিটিশ এই নারী। 

এ ছাড়াও তাদের থাকা খাওয়া জামাকাপড় সবই বহন করেন প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। তিনি আরও জানান, ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু করা হয়। মেয়েদের সন্তান প্রসবের সময় এটাই মায়ের বাড়ি মনে করে ওরা চলে আসে। তার জন্যও আলাদা ব্যবস্থাও রয়েছে। 

শিশুপল্লী প্লাসের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট মিলন রব বলেন, শিশুপল্লী প্লাসে বর্তমানে ৪৬৭ জন অনাথ, আশ্রয়হীন শিশু এবং মা রয়েছে। শিশুদের ক্লাস ওয়ান থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এখানে পাঠদান করানো হয়। এরপর ১৮ বছর পর্যন্ত পড়াশোনা কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য করে গড়ে তোলা হয়। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব সবই হয় শিশুপল্লী প্লাসে। 

তিনি আরও বলেন, মায়েদের জন্য খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের সেলাই, কৃষি এবং কুঠির শিল্প প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা হয়। শিশুপল্লী প্লাসে শিক্ষক, প্রশিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে শতাধিক জনবলসহ অসংখ্য মাঠকর্মী রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের উৎসবে জড়ো হয় শিশুপল্লী প্লাসের সাবেক শিশু ও মায়েরা। ঈদ, পূজা সব অনুষ্ঠানেই তাঁদের সরব উপস্থিতি। এখানে বিভিন্ন ধর্মের আরাধনা করার জন্য রয়েছে মসজিদ, মন্দিরসহ অনন্য উপাসনালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে আগুন, পুড়েছে নথিপত্র

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
জানালা দিয়ে অফিসের ভেতর আগুন লাগানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
জানালা দিয়ে অফিসের ভেতর আগুন লাগানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।

আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকালে ধোঁয়া দেখে আগুন লাগার বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে। পরে নির্বাচন অফিসের প্রহরী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভান।

সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু দাউদ জানান, আগুনে কিছু নথি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্টোররুমের পেছনের জানালার পাশ থেকে আগুন লাগানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

খবর পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দৌলতপুরে গ্রাম আদালতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের হিসাবরক্ষক আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত
হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের হিসাবরক্ষক আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি থাকলেও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদটির হিসাবরক্ষক কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নান্টু আলী নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও প্রমাণও দাখিল করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রাম আদালতে দেওয়ানি মামলার ফি ২০ টাকা এবং ফৌজদারি মামলার ফি ১০ টাকা। অথচ ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, এখানে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে হাজিরা পর্যন্ত ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।

ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, স্বল্প সময়ে ও কম খরচে বিচার পাওয়ার আশায় তাঁরা গ্রাম আদালতে আসেন। কিন্তু এখানে এসেও তাঁদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।

আল্লাহর দরগা বাজার এলাকার এক ঝালমুড়ি ও ফুচকা বিক্রেতা জানান, পারিবারিক কলহ-সংক্রান্ত মামলায় তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মুন্না নামের অন্য এক ভুক্তভোগী জানান, একটি সাধারণ অভিযোগ দায়ের করতে তাঁকে ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে।

অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে হিসাবরক্ষক আবু সুফিয়ান জানান, যোগদানের পর থেকেই তিনি এমনভাবে টাকা নিয়ে আসছেন।

এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যান উভয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য গুহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৭
ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজা আজ শনিবার বেলা ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এই জানাজাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জানাজার সময় আধা ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে। এর আগে বেলা আড়াইটায় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা আজ বেলা ২টায় নির্ধারিত হয়েছে।

জানাজা উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশ এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ১ হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করবেন। পুরো এলাকা সিসিটিভি ও গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে:

ব্যাগ বহন নিষেধ: জানাজায় আসা মুসল্লিদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ: নিরাপত্তাঝুঁকি এড়াতে সংসদ ভবন ও এর সংলগ্ন এলাকায় যেকোনো ধরনের ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ওসমান হাদির জানাজায় বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হতে পারে বিবেচনা করে ট্রাফিক বিভাগ থেকেও যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৫৬
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তসহ সাতজনকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১৪)।

আজ শনিবার ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, আটক ব্যক্তিরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। আটককৃতরা হলেন: মো. লিমন সরকার (১৯), মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮), মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)।

জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাবের একাধিক টিম ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা অভিযান চালায়। অভিযানে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এই সাতজনকে আটক করা সম্ভব হয়।

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ওই হিন্দু যুবককে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল এবং স্থানীয়রা দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। পুলিশ ও র‍্যাব যৌথভাবে তদন্ত শুরু করার পর আজ কয়েকজন অভিযুক্তকে আটক করা হলো।

র‍্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। অধিকতর তদন্তের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত