Ajker Patrika

‘কারাগারে মানসিক নির্যাতন করে মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬: ১৫
‘কারাগারে মানসিক নির্যাতন করে মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে’

কারাগারে মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে লেখক মুশতাক আহমেদকে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর সহবন্দী, বন্ধু ও বিশিষ্টজনেরা। আজ শনিবার মুশতাক আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আয়োজিত এক স্মরণসভায় এ অভিযোগ করেন তারা ৷ সভায় বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নির্যাতনমূলক সকল আইন বাতিলের দাবি জানান ৷

সভায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে কারাবরণকারী আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন আমার মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন মুশতাক। সেই মুশতাককেই এ রকম এটা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দী অবস্থায় প্রাণ দিতে হবে আমরা সেটা ভাবতেই পারিনি। এই আইনের বিরুদ্ধে আমরা সকলে কথা বলছি না, রাস্তায় নামছি না এটার জন্যেও আমাদের উত্তর দিতে হবে একদিন।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না কারাগারে বিরোধী মতাবলম্বীদের ওপর চালানো বিভিন্ন নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে বন্দীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় ৷ বাংলাদেশ এখন একটা বধ্যভূমির মতো। এই সরকার বদলালে যে সরকার আসবে সেই সরকার কি ডিজিটাল আইন বাতিল করবে? আমাদের শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

লেখক মুশতাক আহমেদ ২০২০ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হন। ২০২১ সালে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দি অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবরণকারী আলোকচিত্র সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল জানান, কেরানীগঞ্জ কারাগারে সাড়ে তিন মাস লেখক মুশতাকের সঙ্গে তিনিও বন্দী ছিলেন। সে সময় প্রতিদিন দু বার করে তাদের দেখা হতো এবং কথা হতো। সেখানে কারাবন্দীদের কুমির চাষসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ক্লাস নিতেন তিনি। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে কী কী করবেন তার পরিকল্পনাও করেছিলেন মুশতাক৷ কেরানীগঞ্জ কারাগারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বন্দী চার পাঁচজনের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। এ জন্য পরবর্তীতে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। 

লেখক মুশতাকের সঙ্গে কেরানীগঞ্জ কারাগারে থাকা দিদারুল আলম বলেন, হাউ সিকিউরিটি কারাগারে নিয়ে নিঃসঙ্গ করে ফেলা হয় মুশতাক আহমেদকে। সেখানে মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়। মৃত্যুর জন্য যতটুকু মানসিক নির্যাতন প্রয়োজন, তার তুলনায় বহুগুণ বেশি নির্যাতন চালানো হয়েছিল তাঁর ওপর। 

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বলে মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে। এই আইন করা হয়েছিল ডিজিটাল মাধ্যমের নিরাপত্তার কথা বলে। কিন্তু এই আইন এখন নির্যাতনের অস্ত্র। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে, শাসন ব্যবস্থার কাঠামোটাকে উপড়ে ফেলতে হবে।’ 

সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী প্রধান আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘কারাগারের বিচার না পেয়ে চিকিৎসা না পেয়ে লেখক মুশতাক যেভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন, আমরা এর বিচার চাই। ডিজিটাল আইনের যে ধারাগুলোর কারণে মানুষকে বিনা দোষে কারাবরণ করতে হচ্ছে, সেগুলো বাতিল করতে হবে।’ 

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন কোনো আইন নয়, এটা অস্ত্র। এই অস্ত্র ব্যবহার করে বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। ভয়ের সংস্কৃতি সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ মুশতাক প্রাণ দিয়েছে, অনেকে জেলে গিয়েছে। আমরাও শঙ্কামুক্ত নই। শুধু এই আইনটাই নয়, আরও অনেক আইন হচ্ছে কণ্ঠ রুখে দেওয়ার জন্য। আমাদের এগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে ৷’ 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ইতিহাসের জঘন্যতম আইন হিসেবে উল্লেখ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, সংবিধান এই আইনকে সমর্থন করে না। এই আইনে পুলিশকে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রশ্রয়ে থাকা লোকগুলা যেভাবে কথা বলে, তাদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মামলা হতে পারে। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না। এই আইন বিচারের আগেই শাস্তি দেওয়ার আইন। শুধু এই আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে হবে না। এ ধরনের আরও অসংখ্য আইন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। হত্যাকারীর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।’ 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মানস চৌধুরী বলেন, যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন না থাকত তাহলেও যে কেউ মুশতাক আহমেদকে তুলে নিয়ে গিয়ে শাস্তি দিতে পারতেন। বাংলাদেশে যে শাসনব্যবস্থা চলছে, তাতে ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে কেউ কাউকে নির্যাতনের লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে। বিধিবহির্ভূত নির্যাতনের অজস্র রাস্তা এ দেশে আছে। ৫৪ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পেয়েছিলাম। সুতরাং শুধু এই আইন বাতিল করলে হবে না৷ শাসন কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হবে। 

সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবরণকারী প্রিতম দাশ, শহিদুল হক হায়দারী, ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক এমপি সারোয়ারের জামিন নামঞ্জুর

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
শাহ্ শহীদ সারোয়ার। ছবি: সংগৃহীত
শাহ্ শহীদ সারোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন‍্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।

দলীয় সূত্র জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ডামি নির্বাচনে ঈগল প্রতীকে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর (পিপি) অ‍্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল এতথ‍্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত আসামির অন্তবর্তীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন‍্য ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগে মো. আমীর হোসেন নামের এক ব‍্যক্তি গত ১৫ এপ্রিল ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম‍্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর চলতি বছরের ২৩ জুন আদালতের নির্দেশে ফুলপুর থানা পুলিশ মামলাটি এফআইআরভুক্ত করেন। এ ঘটনার পর থেকে মামলার আসামিরা পলাতক ছিলেন।

মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেন- ঘটনার দিন ফুলপুর পৌর এলাকায় শাহ শহীদ সারোয়ারের নেতৃত্বে মামলার আসামিরা বিস্ফোরণ দ্রব‍্যাদি এবং আগ্নেয়াস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। এতে আমি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় টোব্যাকোসহ ২ প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, টাকা ও অস্ত্র-গুলি লুট

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ০৬
বগুড়ায় টোব্যাকোসহ ২ প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, টাকা ও অস্ত্র-গুলি লুট

বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়।

ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরতলির বারোপুর ফ্লাইওভারের পাশে এমআর ব্রাদার্স সিএনজি ফিলিং স্টেশন এবং একই মালিকের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ডিসট্রিবিউশন কেন্দ্রে।

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিষ্ঠানের মালিক মাহমুদুর রহমান শিপন ও ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ১০-১২ জনের মুখোশ পরা ডাকাত দল হলুদ রঙের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ঢোকে। এ সময় কর্মচারীরা এগিয়ে গেলে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁদের হাত-পা বেঁধে ফেলে।

এরপর ক্যাশ কাউন্টার থেকে ৪৩ হাজার ৩৮২ টাকা ৮টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ডাকাত দল ওই প্রতিষ্ঠানের পেছনে একই মালিকের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ডিসট্রিবিউশন কেন্দ্রে ঢোকে।

তারা প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী রেজাউল করিমের ওপর চড়াও হয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং তাঁর কাছে থাকা ১০টি গুলিসহ শটগান ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর ভেতরে ঢুকে মালামাল তছনছ করে পিকআপ নিয়ে বনানীর দিকে পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, ভোররাত ৪টার দিকে টহল পুলিশ মহাসড়কে পিকআপটিকে সন্দেহ করে থামানোর সংকেত দিলে দ্রুতগতিতে সেটি চলে যায়। পরে বেতার বার্তায় সংবাদ পেয়ে পুলিশ বনানী, শাকপালাসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসায়।

অপরদিকে সদর থানা-পুলিশের একটি দল পিকআপটিকে পিছু ধাওয়া করলে ডাকাত দল নাটোর রোডে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাকপালা মোড় থেকে ঘুরিয়ে আবারও বারোপুরের দিকে যেতে থাকে। ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম পিকআপটির পিছু ধাওয়া করলে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।

এ সময় পুলিশ ডাকাত দলকে লক্ষ্য করে চারটি রাবার বুলেট ছোড়ে। একপর্যায় ডাকাত দল গোকুল এলাকায় একটি ফিডার রোডে পিকআপটি রেখে অন্ধকারে গ্রামের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিত্যক্ত পিকআপটি জব্দ করে এবং ট্রাকে পড়ে থাকা চারটি গুলি উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া পিকআপটির সূত্র ধরে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতাকে গুলি: যুবশক্তির সেই নেত্রী কারাগারে

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৫
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোতালেব শিকদারকে (৪০) গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার আসামি তানিয়াকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর মো. আসাদুর জামানের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বী এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির খুলনা জেলার যুগ্ম সদস্যসচিব।

এদিকে গ্রেপ্তার তানিয়া দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছেন। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেলে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ওসি তৈয়মুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ’মামলার নথি এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া তন্বী অন্তঃসত্ত্বা কি না, বিষয়টি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।’

এর আগে সোমবার নগরীর সোনাডাঙ্গা আল আকসা মসজিদ সরণির ১০৯ নম্বর রোডের মুক্তা হাউসের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে মোতালেব শিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রীর করা মামলায় তন্বীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা থেকে মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার মোতালেব শিকদারের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বাদী হয়ে ছয়-সাতজন অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা করেছেন। এই মামলায় আটক তানিয়া তন্বীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া অন্তঃসত্ত্বা থাকার কথা বলেছেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সব রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা কি না।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন ওই ফ্ল্যাটে এবং আশপাশে মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী, তাঁর স্বামী তানভীর শেখসহ ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একটি শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিত থাকার বিষয়ে তথ্য পাচ্ছি।

চাঁদাবাজি, মাদক (ইয়াবা) ভাগ-বাঁটোয়ারার বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী এবং তাঁর স্বামী তানভীর শেখ নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মোতালেব শিকদারের ব্যাপারেও আলাদা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

গুলিবিদ্ধ মোতালেব শিকদার প্রসঙ্গে কেএমপির এই উপপুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আহত মোতালেব শিকদারের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার আহত হওয়ার পর সে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু এখন সে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ভান করছে। সে পুলিশ দেখলেই বোবা হয়ে যাচ্ছে।

ইশারা ও অঙ্গভঙ্গি দিয়ে কথা বলছে। কোনো কথা জিজ্ঞেস করলে কলম দিয়ে আঁকাবাঁকা কী সব খাতায় লিখে দিচ্ছে, আমরা বুঝতে পারছি না। সে সুস্থ হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে তন্বীর স্বামী তানভীর শেখ পলাতক রয়েছেন। তানভীরসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিরোজপুরে সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে তরুণীর মৃত্যু

পিরোজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৯
আটক অমিত হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক অমিত হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎পিরোজপুরে সুমনা আক্তার নামের এক তরুণী তাঁর সাবেক স্বামী অমিত হাসানের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে সুমনা মারা যান। পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ‎

‎নিহত সুমনা আক্তার (১৮) পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ফারুক শিকদারের মেয়ে। অভিযুক্ত অমিত হাসান (২৫) একই উপজেলার মধ্য রাস্তা এলাকার বাসিন্দা।‎

‎পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক স্বামী অমিত হাসান সুমনা আক্তারকে ঝাটকাঠিতে বাবার বাড়িতে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন তাঁকে উদ্ধার করে ওই রাত ১০টার দিকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনা মারা যান। বর্তমানে তাঁর মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।‎

‎পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নিজাম উদ্দিন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।‎

পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত