Ajker Patrika

ফিলিস্তিন উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত হয়েছে: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২: ৩২
ফিলিস্তিন উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত হয়েছে: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

ফিলিস্তিন উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশ ও মিছিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি বাংলাদেশ এই সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে। 

সমাবেশ ও মিছিলে সভাপতির বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ইউক্রেনে যখন দুটো লোককে হত্যা করা হয়, দুটো বাড়ি হামলা হলে তখন পৃথিবীজুড়ে নিন্দা হয়। গণমাধ্যমগুলো হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ বলছে—এটা সংঘর্ষ নয়, গণহত্যা। ফিলিস্তিন এখন কারাগারে পরিণত হয়েছে। কারাগারের হত্যাকাণ্ডের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মানুষ জানে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েল যে বর্বরতা চালাচ্ছে, তা তুলনাবিহীন। এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড; এটা কোনো যুদ্ধ নয়, এটা হচ্ছে মুক্তির সংগ্রাম। ইসরায়েলিদের আধিপত্য বিস্তার—এটা আধুনিককালে সামরিক দখলদারির সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ। এটাকে আমরা যুদ্ধ না বলে গণহত্যা বলি। এই গণহত্যা যে সহ্য করা হচ্ছে, এটাকে থামানো হচ্ছে না, এ জন্য এটা আরও বেশি দুঃখের।’

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমরা জানি, ইসরায়েলের পেছনে কারা আছে—সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। তারাই এই যুদ্ধ চালাচ্ছে। ইউক্রেনে যেমন রাশিয়ার সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির লড়াই চলছে। এবারেও তাই। ইসরায়েলের শক্তি আসে পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির থেকে। এ জন্য জো বাইডেন, ঋষি সুনাক ইসরায়েলে গিয়ে হাজির হন। ১৯৪৮ সাল থেকে ফিলিস্তিনের সংগ্রাম অব্যাহত আছে। বিভিন্ন আকারে এটা চলছে। তবে এটা কোনো ধর্মযুদ্ধ নয়, একসময় একাদশ শতাব্দীতে মুসলমানদের সঙ্গে খ্রিষ্টানদের ধর্মযুদ্ধ হয়েছে, তবে এখন যা হচ্ছে, এটা মুক্তির সংগ্রাম। এই যুদ্ধে যে শুধু মুসলমানরা আছে তা নয়, খ্রিষ্টানরাও আছে। প্যালেস্টাইনের বড় মুখপাত্র এডওয়ার্ড সাইদ খ্রিষ্টান, প্যালেস্টাইনের সবচেয়ে বড় সংগঠন পপুলার ফ্রন্টের নেতা জর্জ হাবাশ, ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলা অধ্যাপক হানাহ আরেন্ডেট খ্রিষ্টান ছিলেন।’ 

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আরব বিশ্ব এখন বদলে গেছে। ১৯৬৭ সালে যুদ্ধে ইসরায়েল নতুন এলাকা দখল করছিল, তখন আরব বিশ্বে প্রতিবাদ হয়েছে। ওআইসি প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আজকে সেই প্রতিবাদ নেই। তার কারণ, পুঁজিবাদ এখন সর্বত্র বিস্তৃত হয়েছে। আরব লিগের রাজা-কর্তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করছে, মেনে নিচ্ছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে তারা দাঁড়াচ্ছে না। ফিলিস্তিন এখন গরিব আত্মীয় হয়ে গেছে। 

ইসরায়েলকে বর্ণবাদী রাষ্ট্র উল্লেখ করে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ইসরায়েল একটি বর্ণবাদী রাষ্ট্র। এ কারণে ইথিওপিয়া, মধ্য আরব থেকে ইহুদিরা সেখানে গেলে তারা মর্যাদা পায় না। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ইসরায়েলের পূর্বপুরুষেরা হিটলারের হলোকাস্ট ভুলে গেছে। এখন তারা (ইহুদি) ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। এটার মীমাংসা নিন্দা দিয়ে হবে না। ফিলিস্তিনের সংগ্রাম পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। প্রতিটি দেশে সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে পুঁজিবাদকে বিদায় করতে হবে। তখন দেখা যাবে, ইসরায়েল বলে কোনো রাষ্ট্র নেই, আমাদের প্রতিবেশী ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রও নেই।’ 

সমাবেশে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদানের পাঠানো বাণী পাঠ করেন ফিলিস্তিনি সংহতি কমিটির অন্যতম সংগঠক মুরাদ আহমেদ। ইউসুফ রামাদান তাঁর বাণীতে বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশি মানুষের সংহতির জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। ফিলিস্তিনি জনগণের ত্যাগ যতই বড় হোক না কেন এবং যুদ্ধ, হত্যা, ধ্বংস ও বাস্তুচ্যুতিতে তারা যতই যন্ত্রণা ভোগ করুক না কেন, যত দিন পর্যন্ত তারা তাদের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতার সম্পূর্ণ অধিকার ফিরে না পায়, তত দিন তারা তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—ফিলিস্তিনের জনগণের সংগ্রামে সব সময় পাশে থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত। 

‘ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধ করো, ফিলিস্তিন মুক্ত করো’—স্লোগান সামনে রেখে সংহতি সমাবেশ ও মিছিলে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ঘোষণাপত্রে চার দফা দাবি উল্লেখ কথা উল্লেখ করা হয়। দাবিগুলো হলো, ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইসরায়েলি নারকীয় আগ্রাসন ও গণহত্যা অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; ইসরায়েলি দখলদারির ও নিয়ন্ত্রণের পরিপূর্ণ অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনের উভয় অংশের মানুষের জানমাল, জীবন-জীবিকা, নিরাপত্তা ও পরিপূর্ণ মানবাধিকার এবং মর্যাদা রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে; আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন চুক্তি, প্রস্তাব ও শর্ত/মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীন ও সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করতে হবে; বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলের প্রতি নমনীয় ভাব নিয়ে পাসপোর্ট সংশোধন করেছে এবং ইসরায়েলের কাছ থেকে সরকার জননিপীড়নের প্রযুক্তি ক্রয় করছে—তার নিন্দা এবং অবিলম্বে ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামের পক্ষে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় ও স্বচ্ছ ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান। 

সংহতি সমাবেশের শুরুতে সাংস্কৃতিক পর্বে কবিতা আবৃত্তি করেন হাসান ফকরী ও বেলায়েত হোসেন; গান পরিবেশন করে চারণ সংস্কৃতি কেন্দ্র, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ‘বটতলা’ পরিবেশন করে ‘ফুলগুলো কোথায় গেল?’ শীর্ষক নাটক। সমাবেশ শেষে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নীলক্ষেত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে শহীদ মিনারে শেষ হয়। 

সংহতি সমাবেশ ও মিছিলে বাম ধারার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী, শিক্ষক ও সংস্কৃতিজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতাকে গুলি: যুবশক্তির সেই নেত্রী কারাগারে

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৫
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোতালেব শিকদারকে (৪০) গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার আসামি তানিয়াকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর মো. আসাদুর জামানের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বী এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির খুলনা জেলার যুগ্ম সদস্যসচিব।

এদিকে গ্রেপ্তার তানিয়া দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছেন। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেলে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ওসি তৈয়মুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ’মামলার নথি এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া তন্বী অন্তঃসত্ত্বা কি না, বিষয়টি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।’

এর আগে সোমবার নগরীর সোনাডাঙ্গা আল আকসা মসজিদ সরণির ১০৯ নম্বর রোডের মুক্তা হাউসের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে মোতালেব শিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রীর করা মামলায় তন্বীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা থেকে মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার মোতালেব শিকদারের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বাদী হয়ে ছয়-সাতজন অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা করেছেন। এই মামলায় আটক তানিয়া তন্বীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া অন্তঃসত্ত্বা থাকার কথা বলেছেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সব রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা কি না।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন ওই ফ্ল্যাটে এবং আশপাশে মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী, তাঁর স্বামী তানভীর শেখসহ ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একটি শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিত থাকার বিষয়ে তথ্য পাচ্ছি।

চাঁদাবাজি, মাদক (ইয়াবা) ভাগ-বাঁটোয়ারার বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী এবং তাঁর স্বামী তানভীর শেখ নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মোতালেব শিকদারের ব্যাপারেও আলাদা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

গুলিবিদ্ধ মোতালেব শিকদার প্রসঙ্গে কেএমপির এই উপপুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আহত মোতালেব শিকদারের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার আহত হওয়ার পর সে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু এখন সে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ভান করছে। সে পুলিশ দেখলেই বোবা হয়ে যাচ্ছে।

ইশারা ও অঙ্গভঙ্গি দিয়ে কথা বলছে। কোনো কথা জিজ্ঞেস করলে কলম দিয়ে আঁকাবাঁকা কী সব খাতায় লিখে দিচ্ছে, আমরা বুঝতে পারছি না। সে সুস্থ হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে তন্বীর স্বামী তানভীর শেখ পলাতক রয়েছেন। তানভীরসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিরোজপুরে সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে তরুণীর মৃত্যু

পিরোজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৯
আটক অমিত হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক অমিত হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎পিরোজপুরে সুমনা আক্তার নামের এক তরুণী তাঁর সাবেক স্বামী অমিত হাসানের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে সুমনা মারা যান। পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ‎

‎নিহত সুমনা আক্তার (১৮) পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ফারুক শিকদারের মেয়ে। অভিযুক্ত অমিত হাসান (২৫) একই উপজেলার মধ্য রাস্তা এলাকার বাসিন্দা।‎

‎পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক স্বামী অমিত হাসান সুমনা আক্তারকে ঝাটকাঠিতে বাবার বাড়িতে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন তাঁকে উদ্ধার করে ওই রাত ১০টার দিকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনা মারা যান। বর্তমানে তাঁর মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।‎

‎পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নিজাম উদ্দিন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।‎

পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে ৩০০ ফুটে নেতা-কর্মীদের ভিড়

নুরুল আমিন হাসান, ৩০০ ফুট থেকে
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৭
৩০০ ফুট সড়কের তারেক রহমানের জন্য তৈরি করা মঞ্চের সামনে আজ বুধবার দুপুর থেকে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৩০০ ফুট সড়কের তারেক রহমানের জন্য তৈরি করা মঞ্চের সামনে আজ বুধবার দুপুর থেকে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হওয়া শুরু করেছেন। এতে ৩০০ ফুট সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

৩০০ ফুট সড়কে তারেক রহমানের জন্য তৈরি করা মঞ্চের সামনে আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়।

এদিকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার জন্য ৩০০ ফুট সড়কসহ আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডগ স্কোয়াড টিম দিয়ে মঞ্চ এবং এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা তল্লাশি করা হয়েছে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দলে দলে বিভিন্ন মিছিল ও স্লোগান নিয়ে আসতে দেখা যায়।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মঞ্চ থেকে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বারবার অনুরোধ করে বলতে দেখা যায়, ‘আপনারা মঞ্চের বাঁশ-খুঁটিতে নাড়াচাড়া করবেন না। এতে মঞ্চটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।’

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আপনারা সবাই মঞ্চের সামনে থেকে সরে যান। এখানে নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে। নিরাপত্তা তল্লাশির জন্য ডগ স্কোয়াডের টিম রয়েছে। আমাদের নেতার নিরাপত্তার জন্য আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আপনারা সবাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবেন।’

উল্লেখ্য, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। সে জন্যই রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে করা হয়েছে একটি বিশাল মঞ্চ। জানা গেছে, দেশে ফিরেই তিনি এই মঞ্চ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীর মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে যুবক নিহত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৩
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মগবাজার এলাকায় ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া শক্তিশালী ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে সিয়াম নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মগবাজার মিডিয়া গলির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এই তথ্য নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মগবাজারে ফ্লাইওভারের নিচে সিয়াম নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণের কারণে তাঁর মাথায় আঘাত পান। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ওই পথচারী সেখানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ ফ্লাইওভারের ওপর থেকে কে বা কারা একটি ককটেল নিক্ষেপ করে। সেটি নিচ দিয়ে চলাচল করা এক যুবকের মাথায় পড়ে। এতে তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে, রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত