আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল

জনবলসংকটে পুরোপুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়নি টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। ২০১৪ সালে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত চালু করা যায়নি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), অর্থোপেডিক বিভাগ, ডায়ালাইসিস, ক্যাথল্যাব, স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (স্ক্যানু)। যদিও এসব সেবা চালুর জন্য কেনা হয়েছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। তবে নেই পর্যাপ্ত লোকবল। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীসহ ৩ শতাধিক জনবল নিয়োগ করা হলে হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলবে।
জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক চালু হওয়ার পর টাঙ্গাইল ‘দুর্ঘটনাপ্রবণ’ জেলা হয়ে ওঠে। দুর্ঘটনাকবলিতদের সেবার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে নির্মিত হয় ট্রমা সেন্টার। ওই সেন্টারেই ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি চালু করা হয় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
গণপূর্ত বিভাগ জানায়, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। হাসপাতাল ভবনসহ ২৭টি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয় ২৮৪ কোটি টাকা। ১০৮ কোটি টাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি কেনা হয়। বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্র বলেছে, ২০২২ সালের ২২ মার্চ হাসপাতাল ভবনটি কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেয় গণপূর্ত বিভাগ। এরপর ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যসেবা সচল করার কাজ শুরু হয়। বর্তমানে হাসপাতালের বহির্বিভাগে মেডিসিন, গাইনি, সার্জারি, শিশু, চর্ম, নাক-কান-গলা, চক্ষু বিভাগ, দন্ত বিভাগ, ফিজিওথেরাপি, শিশু বিকাশকেন্দ্র ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা চালু রয়েছে।
আন্তবিভাগে অপারেশন, সিজারিয়ান অপারেশন ও স্বাভাবিক প্রসবসেবা চালু রয়েছে। এ ছাড়া রক্তসহ সব ধরনের পরীক্ষা, এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ম্যামোগ্রাফি, ইসিজি, ইকো কার্ডিওগ্রাফি, আলট্রাসনোগ্রাফি ও ডোপ টেস্ট চালু রয়েছে। এসব বিভাগেও জনবলের চরম সংকট রয়েছে।
হাসপাতালের দেওয়া তথ্যমতে, ৫৫ জন সার্জনের জায়গায় আছেন ৫০ জন। চারজন অ্যানেসথেসিওলজিস্টের একজনও নেই। ফার্মাসিস্ট, বায়োকেমিস্ট, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নার্সিং সুপারভাইজরও নেই। ১৬৫ জন নার্স প্রয়োজন, ১০১ জনই নেই। ৭৮ জন কর্মচারীর মধ্যে ৩৭টি পদই শূন্য। ২৬২ জন আউটসোর্সিং কর্মীর মধ্যে আছেন ৯০ জন। সব মিলিয়ে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৮২ পদের বিপরীতে আছেন ২৪৮ জন। ৩৩৪ পদই শূন্য। ফলে রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বহির্বিভাগে রোগীদের লম্বা লাইন। তাঁরা টিকিট সংগ্রহ করছেন। বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সেবা চলমান। মেডিসিন, গাইনি বিভাগে নির্ধারিত শয্যার দ্বিগুণ রোগী অবস্থান করছেন। রোগীরা বিছানা ও মেঝেতে অবস্থান নিয়েই চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন। হাসপাতালের ৮০টি কেবিন বন্ধ রয়েছে। জনবল ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন ইউনিট চালু না থাকায় আইসিইউ এবং অর্থোপেডিক বিভাগ পুরোপুরি বন্ধ। কিডনি বিভাগ চালু হলেও ডায়ালাইসিস চালু নেই। এ ছাড়া ক্যাথল্যাব, স্ক্যানু এখনো চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ক্লিনিক্যাল অনকোলজি ক্যানসার বিভাগ পুরোপুরি বন্ধ। ব্যবহার না হওয়ায় মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকটি লিফট অচল হয়ে পড়ে রয়েছে।
ঘাটাইলের ছনোটিয়া গ্রামের বকুল মিয়াকে ডা. ফরিদ আহমেদের চেম্বারের স্লিপ দেওয়া হয়। চিকিৎসক না থাকায় অন্য চেম্বারের কর্মীদের সহযোগিতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁর মতো অনেকেই ধরনা দিচ্ছেন অন্যজনের কাছে।
বকুল মিয়া বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নেওয়ার আশায় মেডিকেলে আসি। চিকিৎসকই যদি না থাকেন, তাহলে সেবা পাব কীভাবে?’
মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন হুগরা এলাকার হাসমত আলীর মতো অনেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাসপাতালে করাতে পেরে খুশি। কিন্তু দুপুর ১২টা পেরোলেই রোগীর মধ্যে হতাশা নেমে আসে। ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তখন রোগীদের ক্লিনিকের দিতে ছুটতে দেখা যায়।
বাসাইলের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোগী নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে নিতে সোয়া ১২টা বেজে যায়। ১২টার সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার টাকা জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ায় ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা সেবা নিশ্চিত করলে টাঙ্গাইলবাসীর অনেক উপকার হতো।’
এদিকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে হাসপাতাল গেটে সারি সারি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স দেখা যায়। জানা গেছে, বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট রয়েছে। অধিকাংশ সময় নোংরা থাকে হাসপাতাল। শৌচাগারের দুর্গন্ধ বাইরেও বিরক্তির সৃষ্টি করছে।
হাসপাতালের পরিচালক মো. আব্দুল কদ্দুছ বলেন, ‘জনবলসংকটের কারণে অর্থোপেডিক বিভাগ, আইসিইউ, কেবিনসহ অনেক কিছুই চালু করতে পারিনি। বরাদ্দ ও উপকরণ সংকটের কারণে অনেক সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার সেবাও ব্যাহত হয়। তবে আমরা স্বল্প বরাদ্দ, স্বল্প জনবল দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জনবলসংকটসহ সব সমস্যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

জনবলসংকটে পুরোপুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়নি টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। ২০১৪ সালে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত চালু করা যায়নি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), অর্থোপেডিক বিভাগ, ডায়ালাইসিস, ক্যাথল্যাব, স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (স্ক্যানু)। যদিও এসব সেবা চালুর জন্য কেনা হয়েছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। তবে নেই পর্যাপ্ত লোকবল। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীসহ ৩ শতাধিক জনবল নিয়োগ করা হলে হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলবে।
জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক চালু হওয়ার পর টাঙ্গাইল ‘দুর্ঘটনাপ্রবণ’ জেলা হয়ে ওঠে। দুর্ঘটনাকবলিতদের সেবার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে নির্মিত হয় ট্রমা সেন্টার। ওই সেন্টারেই ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি চালু করা হয় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
গণপূর্ত বিভাগ জানায়, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। হাসপাতাল ভবনসহ ২৭টি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয় ২৮৪ কোটি টাকা। ১০৮ কোটি টাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি কেনা হয়। বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্র বলেছে, ২০২২ সালের ২২ মার্চ হাসপাতাল ভবনটি কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেয় গণপূর্ত বিভাগ। এরপর ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যসেবা সচল করার কাজ শুরু হয়। বর্তমানে হাসপাতালের বহির্বিভাগে মেডিসিন, গাইনি, সার্জারি, শিশু, চর্ম, নাক-কান-গলা, চক্ষু বিভাগ, দন্ত বিভাগ, ফিজিওথেরাপি, শিশু বিকাশকেন্দ্র ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা চালু রয়েছে।
আন্তবিভাগে অপারেশন, সিজারিয়ান অপারেশন ও স্বাভাবিক প্রসবসেবা চালু রয়েছে। এ ছাড়া রক্তসহ সব ধরনের পরীক্ষা, এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ম্যামোগ্রাফি, ইসিজি, ইকো কার্ডিওগ্রাফি, আলট্রাসনোগ্রাফি ও ডোপ টেস্ট চালু রয়েছে। এসব বিভাগেও জনবলের চরম সংকট রয়েছে।
হাসপাতালের দেওয়া তথ্যমতে, ৫৫ জন সার্জনের জায়গায় আছেন ৫০ জন। চারজন অ্যানেসথেসিওলজিস্টের একজনও নেই। ফার্মাসিস্ট, বায়োকেমিস্ট, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নার্সিং সুপারভাইজরও নেই। ১৬৫ জন নার্স প্রয়োজন, ১০১ জনই নেই। ৭৮ জন কর্মচারীর মধ্যে ৩৭টি পদই শূন্য। ২৬২ জন আউটসোর্সিং কর্মীর মধ্যে আছেন ৯০ জন। সব মিলিয়ে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৮২ পদের বিপরীতে আছেন ২৪৮ জন। ৩৩৪ পদই শূন্য। ফলে রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বহির্বিভাগে রোগীদের লম্বা লাইন। তাঁরা টিকিট সংগ্রহ করছেন। বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সেবা চলমান। মেডিসিন, গাইনি বিভাগে নির্ধারিত শয্যার দ্বিগুণ রোগী অবস্থান করছেন। রোগীরা বিছানা ও মেঝেতে অবস্থান নিয়েই চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন। হাসপাতালের ৮০টি কেবিন বন্ধ রয়েছে। জনবল ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন ইউনিট চালু না থাকায় আইসিইউ এবং অর্থোপেডিক বিভাগ পুরোপুরি বন্ধ। কিডনি বিভাগ চালু হলেও ডায়ালাইসিস চালু নেই। এ ছাড়া ক্যাথল্যাব, স্ক্যানু এখনো চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ক্লিনিক্যাল অনকোলজি ক্যানসার বিভাগ পুরোপুরি বন্ধ। ব্যবহার না হওয়ায় মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকটি লিফট অচল হয়ে পড়ে রয়েছে।
ঘাটাইলের ছনোটিয়া গ্রামের বকুল মিয়াকে ডা. ফরিদ আহমেদের চেম্বারের স্লিপ দেওয়া হয়। চিকিৎসক না থাকায় অন্য চেম্বারের কর্মীদের সহযোগিতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁর মতো অনেকেই ধরনা দিচ্ছেন অন্যজনের কাছে।
বকুল মিয়া বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নেওয়ার আশায় মেডিকেলে আসি। চিকিৎসকই যদি না থাকেন, তাহলে সেবা পাব কীভাবে?’
মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন হুগরা এলাকার হাসমত আলীর মতো অনেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাসপাতালে করাতে পেরে খুশি। কিন্তু দুপুর ১২টা পেরোলেই রোগীর মধ্যে হতাশা নেমে আসে। ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তখন রোগীদের ক্লিনিকের দিতে ছুটতে দেখা যায়।
বাসাইলের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোগী নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে নিতে সোয়া ১২টা বেজে যায়। ১২টার সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার টাকা জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ায় ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা সেবা নিশ্চিত করলে টাঙ্গাইলবাসীর অনেক উপকার হতো।’
এদিকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে হাসপাতাল গেটে সারি সারি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স দেখা যায়। জানা গেছে, বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট রয়েছে। অধিকাংশ সময় নোংরা থাকে হাসপাতাল। শৌচাগারের দুর্গন্ধ বাইরেও বিরক্তির সৃষ্টি করছে।
হাসপাতালের পরিচালক মো. আব্দুল কদ্দুছ বলেন, ‘জনবলসংকটের কারণে অর্থোপেডিক বিভাগ, আইসিইউ, কেবিনসহ অনেক কিছুই চালু করতে পারিনি। বরাদ্দ ও উপকরণ সংকটের কারণে অনেক সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার সেবাও ব্যাহত হয়। তবে আমরা স্বল্প বরাদ্দ, স্বল্প জনবল দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জনবলসংকটসহ সব সমস্যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

জনবলসংকটে পুরোপুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়নি টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। ২০১৪ সালে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত চালু করা যায়নি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), অর্থোপেডিক বিভাগ, ডায়ালাইসিস, ক্যাথল্যাব, স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (স্ক্যানু)। যদিও এসব সেবা চালুর জন্য
২৯ এপ্রিল ২০২৫
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

জনবলসংকটে পুরোপুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়নি টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। ২০১৪ সালে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত চালু করা যায়নি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), অর্থোপেডিক বিভাগ, ডায়ালাইসিস, ক্যাথল্যাব, স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (স্ক্যানু)। যদিও এসব সেবা চালুর জন্য
২৯ এপ্রিল ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জনবলসংকটে পুরোপুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়নি টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। ২০১৪ সালে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত চালু করা যায়নি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), অর্থোপেডিক বিভাগ, ডায়ালাইসিস, ক্যাথল্যাব, স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (স্ক্যানু)। যদিও এসব সেবা চালুর জন্য
২৯ এপ্রিল ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

জনবলসংকটে পুরোপুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়নি টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। ২০১৪ সালে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত চালু করা যায়নি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), অর্থোপেডিক বিভাগ, ডায়ালাইসিস, ক্যাথল্যাব, স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (স্ক্যানু)। যদিও এসব সেবা চালুর জন্য
২৯ এপ্রিল ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে