Ajker Patrika

কক্সবাজার এক্সপ্রেসে যাত্রীসেবায় ৫০ ‘ট্রেন বালা’

জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
কক্সবাজার এক্সপ্রেসে যাত্রীসেবায় ৫০ ‘ট্রেন বালা’

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন। এই ট্রেনে করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাচ্ছেন ষাটোর্ধ্ব মনুসর আহমেদ। তাঁর সঙ্গে আছেন তাঁর স্ত্রী আয়েশা বেগমও। হাতে লাগেজ ও ব্যাগ। ট্রেনের ‘ঙ’ বগিতে এই ব্যাগগুলো নিয়ে উঠতে কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। এই অবস্থায় ওই বগিতে দায়িত্বে থাকা দুজন ট্রেন বালা (নারী স্টুয়ার্ড) আসলেন। ব্যাগগুলো একজনে নিলেন, বাকিজন ওই দুই যাত্রীকে সিট পর্যন্ত পৌঁছে দিলেন। এমন সেবা পেয়ে অনেকটা অবাক-ই হলেন সরকারি সাবেক এই কর্মকর্তা যুগল। কারণ ট্রেনে এমন সেবা যে আগে কখনো দেখেননি। 

শুধু ট্রেনে ওঠা নয়, ট্রেন কক্সবাজার পৌঁছা পর্যন্ত এই সব ট্রেন বালা যাত্রীসেবায় নিয়োজিত ছিলেন। ট্রেনের জানালা বন্ধ করা, খোলা। কারও কিছু প্রয়োজনে সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেওয়া। যাত্রী নামার সময় ব্যাগগুলো ধরে ধরে নামিয়ে দেওয়া-সব কাজই করছেন তাঁরা। বিশেষ করে বয়স্কদের প্রতি মনোযোগ বেশি ছিল তাঁদের। এই চিত্রটি ছিল গত বৃহস্পতিবার। 

জনতা ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মনসুর আহেমদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিমানে এমন সেবা পেতাম। ট্রেনে আগে কখনো এমন সেবা দেখিনি। আমার জানামতে নারী সেবক ছিল না। আমাদের মতো বয়স্কদের প্রতি আন্তরিকতার কোনো কমতি ছিল না। যখন যা চেয়েছি, তা-ই দিয়েছেন তাঁরা।’ 

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে নারী সেবকেরা। ছবি: সংগৃহীতকক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের আরেক যাত্রী মরিয়ম বেগম। তিনি দুই সন্তান নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছেন। মরিয়ম বেগম বলেন, ‘আগের ট্রেন বলতে বুঝতাম, দুর্গন্ধ-ময়লাযুক্ত সিট। সঙ্গে দুর্ব্যবহার। এখন ট্রেন বলতেই বিমানের ছোঁয়া। উন্নতমানের সেবা।’ 

এই ট্রেনের নারী স্টুয়ার্ড সাফনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভালো মানের বেতনে আমরা চাকরি করছি। যাত্রীসেবা দেওয়ার জন্য ট্রেনিংও নিয়েছি। যাত্রী সেবাই আমাদের মুখ্য বিষয়।’ 

আরেকজন স্টুয়ার্ড ঋতু সাহা বলেন, ‘এখানকার পুরুষ কর্মচারীরাও অনেক হেল্প ফুল। সিকিউরিটিও অনেক ভালো। নিজের ঘরের মতোই কাজ করতে পারছি।’ 

১ ডিসেম্বর থেকে এই চিত্র এখন কক্সবাজার রুটের ট্রেনে। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে যাওয়া আসা মিলিয়ে ৫০ জন নারী স্টুয়ার্ড সেবা দিচ্ছেন। 

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে নারী সেবক। ছবি: সংগৃহীতএক কথায় বলা যায়, বিমানের মতো ট্রেনেও এখন সেবা মিলছে ‘ট্রেন বালার’। এর আগে তাঁদের পর্যাপ্ত ট্রেনিং দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাটারিং-অনবোর্ড সার্ভিস প্রোভাইডার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এটির সভাপতি হিসেবে আছেন মো. শাহ আলম। তাঁর প্রতিষ্ঠান সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন, মহানগর গোধূলি ও তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে সেবা দিচ্ছে। 

রেলওয়ে জানায়, এখন কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে নারীরা সেবা দিচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে সুবর্ণ, সোনার বাংলা, তূর্ণার মতো আন্তনগর ট্রেনে নারী সেবক নিয়োগ দেওয়া হবে। এ জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান এটি নিয়ে কাজ করছেন তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। 
 
বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাটারিং-অনবোর্ড সার্ভিস প্রোভাইডার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারী সেবকদের আমরা পর্যাপ্ত ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করেছি। তাদের ভালো বেতনও দিচ্ছি। নারী হিসেবে যাতে কোনো সংকোচ না করে, সেদিকেও খেয়াল রাখছি। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমরা দেখছি।’ 

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে প্রায় ৫০ জন নারী স্টুয়ার্ড ট্রেনে যাত্রীসেবা দিচ্ছেন। নির্বাচনের পর সব আন্তনগর ট্রেনে নারী নিয়োগ করা হবে। আমাদের উদ্দেশ্যে যাত্রীরা সর্বোচ্চ যাতে সেবা পায়।’ 

এই বিষয়ে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারী-শিশুসহ যাত্রীসেবা উন্নয়নে নারী সেবিকারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে থাকে। সেই বিষয়টি লক্ষ্য রেখেই নারী সেবক নিয়োগ দিচ্ছি। দক্ষ, চটপটে, স্মার্ট—এসব নারী সাধারণ যাত্রীদের কাছে ‘ট্রেন বালা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। শুধু কক্সবাজার রুটে নয়, বিরতিহীন সব কটি ট্রেনেই এ সেবা নিশ্চিত করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে টেকনাফে ১৭ জনকে উদ্ধার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
উদ্ধারকৃত ১৭ জন। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধারকৃত ১৭ জন। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় মানবপাচার চক্রের হাত থেকে ১৭ জনকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

টেকনাফ–২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যেম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভসংলগ্ন রাজারছড়া এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবি। এ সময় একটি ট্রলারকে ঘিরে ফেলে বিজিবি সদস্যরা। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা রাতের অন্ধকারে সাঁতরে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলারটি তল্লাশি করে ৭ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৬ শিশুসহ মোট ১৭ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, উন্নত জীবন, উচ্চ বেতনের চাকরি ও স্বল্প খরচে বিদেশে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচারকারী চক্রটি তাঁদের সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদেরকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মা-ছেলের মৃত্যু

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার সোনাতলায় ট্রেনে কাটা পড়ে মা-ছেলে মারা গেছেন। এ সময় তাঁদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন রনি বেগম (৩০) ও তাঁর ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (১০)। তাঁরা পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দৌহাইল গ্রামের বাসিন্দা। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোনাতলা রেলস্টেশনের অদূরে ছয়ঘড়িয়াপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রনি বেগম তাঁর ছেলেকে নিয়ে সোনাতলা বাজারে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন। রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় লালমনিরহাটগামী পদ্মরাগ ট্রেন দেখে রনি বেগম আত্মহত্যার জন্য ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ছেলে ইয়াসিন আরাফাত তার মাকে উদ্ধার করতে গেলে মা-ছেলে দুজনেই ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। এই দৃশ্য দেখে পথচারী তাজুল ইসলাম (৬৫) মা-ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও ট্রেনের ধাক্কায় আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।

পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, রনি বেগম মানসিক রোগী ছিলেন। তিনি এর আগেও বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় ডিম বিক্রেতার পাথর নিক্ষেপে ভাঙল ট্রেনের কাচ

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি   
পাথর নিক্ষেপের ফলে ট্রেনের খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাথর নিক্ষেপের ফলে ট্রেনের খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের চকরিয়া স্টেশনে সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চকরিয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের এক যাত্রীকে লক্ষ্য করে এক তরুণ ডিম বিক্রেতা পাথর নিক্ষেপ করেন। এতে ট্রেনের খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়।

চকরিয়া রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চকরিয়া রেলস্টেশনে পৌঁছায় শনিবার রাত পৌনে ১১টায়। এ সময় একজন ভাসমান ডিম বিক্রেতা ট্রেনে ডিম বিক্রি করছিলেন। একজন যাত্রী ওই বগিতে ডিম বিক্রেতাকে যেতে নিষেধ করেন। এতে ডিম বিক্রেতার সঙ্গে ওই যাত্রীর কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ট্রেনের অন্য যাত্রীরা এগিয়ে এলে ডিম বিক্রেতা চলে যান। এরপর ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিলে ডিম বিক্রেতা বগি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারেন। পাথরটি ট্রেনের খাবারের কোচের জানালায় লাগলে কাচ ভেঙে যায়। এতে খাবারের কোচের একজন সহকারী সামান্য আহত হন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া রেলস্টেশনের ইনচার্জ মো. ফরহাদ বিন জাফর চৌধুরী বলেন, সৈকত এক্সপ্রেস চকরিয়া স্টেশনে পৌঁছানোর পর এক যাত্রী ডিম বিক্রেতাকে বগিতে যেতে বারণ করেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার সময় ওই ডিম বিক্রেতা বগিতে পাথর ছুড়ে মারেন, সেটি লেগে খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়।

ফরহাদ আরও বলেন, এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখে পাথর নিক্ষেপকারী ওই ডিম বিক্রেতাকে শনাক্ত করা হয়। তাঁর নাম মনসুর আলম। তাঁর বাড়ি সাহারবিল আব্দুল জব্বার সিকদারপাড়া গ্রামে। এ বিষয়ে রেল প্রশাসন ও রেল পুলিশকে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষ: ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদীবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে হাইমচর থানায় এই মামলা করেন। এতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অন্য ১০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি।

মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন মো. ফিরোজ খান (৫৩), মো. কামাল হোসেন (৫৫), মো. মনিরুল ইসলাম (৪৩), মো. সুলতান খান (৪৫), মো. মিন্টু (২৮), মো. সোহেল (৪০), মহিন হাওলাদার (২৫) ও মো. মনিরুজ্জামান (৪০)। এই আটজন এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের কর্মচারী। মামলায় আরও ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এদিকে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের চার কর্মচারী মিন্টু, সোহেল, মহিন হাওলাদার ও মনিরুজ্জামানকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হাসান বলেন, বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদীবন্দরের পক্ষে দায়ের করা মামলার তদন্ত ও পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবে নৌ পুলিশ।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের গ্রেপ্তার চার আসামিকে ঝালকাঠি থেকে গতকাল চাঁদপুর নৌ থানায় আনা হয়। আজ তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষে চার যাত্রী নিহত এবং আহত হয় বেশ কয়েকজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত