সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক চোরাই তেলের দোকান। অনুমোদনবিহীন এসব চোরাই তেলের দোকানে বছরের পর বছর ধরে চলছে রমরমা বাণিজ্য। সম্প্রতি চোরাই তেলের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে।
এই এলাকা ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকারি-বেসরকারি যানবাহন থেকে এসব দোকানে তেল আসে। অসাধু চালক ও তাঁদের সহকারীরা এমন তেল বিক্রির সঙ্গে জড়িত। প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ এসব চোরাই তেলের দোকান চললেও সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নিয়ে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে তারা।
সম্প্রতি ওই এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড থেকে ফৌজদারহাট বন্দর সংযোগ সড়কে গড়ে উঠেছে চোরাই তেলের কারবার। এর মধ্যে ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের ১২ কিলোমিটারেই রয়েছে এ রকম ১৬টি চোরাই তেলের দোকান। চোরাই তেলের এসব দোকানের মধ্যে অধিকাংশই ছোট ছোট ঝুপড়িঘর। দোকানগুলোয় সাজিয়ে রাখা হয়েছে টিনের ড্রাম। দোকানের সামনে ২-৩ জন বসে ছিল। আর এসব দোকানের সামনে যানবাহন দাঁড় করিয়ে চালকেরা কম দামে চোরাই তেল বিক্রি করছেন।
এমন দৃশ্য দেখা গেল মহাসড়কের বাংলাবাজার, বাঁশবাড়িয়া, ছোট কুমিরা, কাশেম জুটমিল গেট এলাকায়। এমন দাহ্য পদার্থের দোকান থাকলেও প্রশাসন কিংবা ফায়ার সার্ভিস কারও কাছে সেই তথ্য নেই। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ চোরাই তেলের দোকানের সঠিক তথ্য-উপাত্ত তাঁদের কাছে নেই। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর প্রাথমিক অনুসন্ধানে ৩০-৩৫টি দোকান রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চোরাই তেলের একাধিক কারবারি জানান, অল্প দামে তেল কিনে তাঁরা যেমন লাভবান হন, তেমনি লাভবান হন যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীরা। তবে এসব প্রকাশ্যে করতে গিয়ে লাভের একটি অংশ প্রতি মাসে পুলিশের সোর্সকে দিতে হয়। দোকানের আকারভেদে ৩ হাজার থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা প্রতি মাসে পুলিশের সোর্সকে দিতে হয়। টাকা দেওয়ার কারণে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই নির্বিঘ্নে তাঁরা চোরা কারবার করতে পারেন।
এ নিয়ে কথা হয় এক ফিলিং স্টেশনের মালিকের সঙ্গে। তিনি জানান, চালকেরা একেকবার ৫০ থেকে ১০০ লিটার তেল চুরি করেন। পাশাপাশি ট্যাংকের তেল খালাস করার পরও তলায় থাকা ফোমে কিছু তেল থেকে যায়। সেগুলো চালকেরা চোরাই তেলের দোকানে কম দামে বিক্রি করেন। গত চার বছরে তাঁর ফিলিং স্টেশনে কর্মরত ১১ জনকে তেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে সম্প্রতি এমন ঝুপড়ি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বলা হচ্ছে, প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এসব নিয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর তাঁরা তথ্য সংগ্রহে কাজ শুরু করেছেন। শিগগির মহাসড়কজুড়ে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ চোরাই তেলের দোকানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক চোরাই তেলের দোকান। অনুমোদনবিহীন এসব চোরাই তেলের দোকানে বছরের পর বছর ধরে চলছে রমরমা বাণিজ্য। সম্প্রতি চোরাই তেলের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে।
এই এলাকা ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকারি-বেসরকারি যানবাহন থেকে এসব দোকানে তেল আসে। অসাধু চালক ও তাঁদের সহকারীরা এমন তেল বিক্রির সঙ্গে জড়িত। প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ এসব চোরাই তেলের দোকান চললেও সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নিয়ে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে তারা।
সম্প্রতি ওই এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড থেকে ফৌজদারহাট বন্দর সংযোগ সড়কে গড়ে উঠেছে চোরাই তেলের কারবার। এর মধ্যে ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের ১২ কিলোমিটারেই রয়েছে এ রকম ১৬টি চোরাই তেলের দোকান। চোরাই তেলের এসব দোকানের মধ্যে অধিকাংশই ছোট ছোট ঝুপড়িঘর। দোকানগুলোয় সাজিয়ে রাখা হয়েছে টিনের ড্রাম। দোকানের সামনে ২-৩ জন বসে ছিল। আর এসব দোকানের সামনে যানবাহন দাঁড় করিয়ে চালকেরা কম দামে চোরাই তেল বিক্রি করছেন।
এমন দৃশ্য দেখা গেল মহাসড়কের বাংলাবাজার, বাঁশবাড়িয়া, ছোট কুমিরা, কাশেম জুটমিল গেট এলাকায়। এমন দাহ্য পদার্থের দোকান থাকলেও প্রশাসন কিংবা ফায়ার সার্ভিস কারও কাছে সেই তথ্য নেই। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ চোরাই তেলের দোকানের সঠিক তথ্য-উপাত্ত তাঁদের কাছে নেই। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর প্রাথমিক অনুসন্ধানে ৩০-৩৫টি দোকান রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চোরাই তেলের একাধিক কারবারি জানান, অল্প দামে তেল কিনে তাঁরা যেমন লাভবান হন, তেমনি লাভবান হন যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীরা। তবে এসব প্রকাশ্যে করতে গিয়ে লাভের একটি অংশ প্রতি মাসে পুলিশের সোর্সকে দিতে হয়। দোকানের আকারভেদে ৩ হাজার থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা প্রতি মাসে পুলিশের সোর্সকে দিতে হয়। টাকা দেওয়ার কারণে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই নির্বিঘ্নে তাঁরা চোরা কারবার করতে পারেন।
এ নিয়ে কথা হয় এক ফিলিং স্টেশনের মালিকের সঙ্গে। তিনি জানান, চালকেরা একেকবার ৫০ থেকে ১০০ লিটার তেল চুরি করেন। পাশাপাশি ট্যাংকের তেল খালাস করার পরও তলায় থাকা ফোমে কিছু তেল থেকে যায়। সেগুলো চালকেরা চোরাই তেলের দোকানে কম দামে বিক্রি করেন। গত চার বছরে তাঁর ফিলিং স্টেশনে কর্মরত ১১ জনকে তেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে সম্প্রতি এমন ঝুপড়ি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বলা হচ্ছে, প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এসব নিয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর তাঁরা তথ্য সংগ্রহে কাজ শুরু করেছেন। শিগগির মহাসড়কজুড়ে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ চোরাই তেলের দোকানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা এবং পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসন পরিকল্পনা ঘোষণাসহ তিন দফা দাবি নিয়ে শাহবাগে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত আরব আমিরাত ফেরত ও অন্যান্য দেশ থেকে ফেরত প্রবাসীরা...
১০ মিনিট আগেচলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর দ্বিতীয় দিনে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) ও জেলা পুলিশের হাতে সাবেক সংসদ সদস্যসহ (এমপি) আরও ১০০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ নিয়ে গত দুই দিনে জেলায় অপারেশন ডেভিল হান্টে মোট ১৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
২৩ মিনিট আগেগোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় খালে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজের ৩৮ ঘণ্টা পর বিপুল মণ্ডল (৪৩) নামের এক জেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে কোটালীপাড়ায় উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের গচাপাড়া খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
৩০ মিনিট আগেমাদারীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ ফেটে (লিকেজ) বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে জেলা শহরের বাগেরপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে