রিমন রহমান, রাজশাহী

সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। যদিও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলছেন, তিনি কখনো অস্ত্র ছুঁয়েও দেখেননি।
ওবায়েদ পাঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এলাকার লোকজন কেউ তাঁকে ওয়াহেদ পাঠান, কেউ ওবায়দুল পাঠান নামেও চেনেন। ফোনকল রেকর্ডে এ দুটি নামই বারবার এসেছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ওবায়েদ পাঠান যাঁকে অস্ত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই যুবক ইতিমধ্যে অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ওই যুবকের নাম রিশান আলী (২৪)। তিনি সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া সৈনিক। তাঁর বাবার নাম জিয়াউর রহমান। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিও তিনি। রিশান এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হোতা হিসেবে পরিচিত। রিশানকে গ্রেপ্তারের পর এক দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়েছিল। রিমান্ড শেষে আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এলাকার একটি বালুমহাল নিয়ে সংঘর্ষের সময় গত জুলাইয়ে এই রিশান প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন। এই অস্ত্রের উৎস কী, তা নিয়ে পরদিন রিশানের সহযোগী ইকবাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ইসলামপুর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাসির উদ্দিন ও তাঁর চাচাতো ভাই জসিম উদ্দিনের কথা হয়। ওই ফোনকল রেকর্ড সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথমে রিশানের সহযোগী ইকবালের সঙ্গে কথা বলেন জসিম। তিনি অস্ত্রের ব্যাপারে জানতে চান, ‘উ (রিশান) কি টাকা দিয়ে (অস্ত্র) কিনেছে জি?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘না, ওকে এমনি দিয়েছে। ভ্যাজালের সমাতে। হামি ধরেন যদি ই করতুং, তো হামিই প্যায় যাতুং।’ জসিম বলেন, ‘ওয়াহেদেরা তো ইন্ডিয়া থাইকা, আনা তো ব্যাপার লয়।’ ইকবাল বলেন, ‘বাংলাদেশেই অভাব নাই। হাঁর কাছেই ছিল আগে।’
জসিম জানতে চান, ‘তাহলে তিনটা গুলি আর একখানডা ই (পিস্তল) দিয়েছে?। ইকবাল বলেন, ‘হু, নিজের সেফটির জন্য।’ জসিম জানতে চান, ‘ওয়াহেদ নিজেই দিয়েছে ডাইরেট?’ ইকবাল বলেন, ‘ওয়াহেদ ধরে লেন যে ইয়ে করেছিল। কিন্তু ল্যাওয়ার দিন হামি যাইনি। ল্যাওয়ার দিন আমরুল (রিশানের আরও এক সহযোগী) আর ওই (রিশান) গেছিল খালি। হাঁকে ডেকেছিল, হামি যাইতে পারিনি।’
জসিম বলেন, ‘পিস্তল থাকাতে কত বড় সেফটি দেখেছেন?’ ইকবাল বলেন, ‘সেফটিও আছে, ভয়ও আছে। কেহু যুতি ধরায় দ্যায়।’ জসিম বলেন, ‘ধরাছে কে ওদেরকে? ওরা এখন পাওয়ারে আছে। আর কি দিয়েছিল, নাকি ওইখানডাই?’ ইকবাল বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে খবর লিব। আমরুলকে হামি কহাবো, কি রে কাকা মাল কি একখানডাই দিয়েছে? হাঁরা পাব না? তাহিলেই বুসতে পারব, একখানডা নাকি আরও দিয়েছে।’
জসিম এবার জানতে চান, ‘দেয়ার তো কথা ছিল তিনখানডা?’ ইকবাল বলেন, ‘হ্যাঁ, দেয়ার কথা ছিল তিনখানডা। লাইসেনধারীডা দিতে চাহেনি।’ জসিম জানতে চান, ‘তাহিলে ওয়াহেদের কাছে ব্যাপার না মাল আইন্যা দেয়া?’ কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করে ইকবাল বলেন, ‘তুমি কি লিব্যা নাকি মাল? লিলে কহো, আমি আইন্যা দিছি। এইডা ব্যাপার না। তুমি ভাবছ ম্যালা কিছু। ম্যালা কিছু লয়। শিবগঞ্জ থাইকাই আনা যায়। শুধু আনাডা একটু ইয়ে তাই।’ জসিম প্রশ্ন করেন, ‘ওয়াহেদ কি বেরেন কইরে ছোট ছোট ছেইলের হাতে দিল?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘ওয়াহেদ পাঠান কিন্তু আমরুলকে খুবই ভালোবাসে। উ যুদি কহে, এ মুহূর্তে আসা লাগবে, ওয়াহেদ পাঠান এক ফোঁটাও ভুল কইরাও ই করবে না। হামি ভালো কইর্যা দেখেছি।’
এ পর্যায়ে ‘মিম্বার কী কহিছে শুনো তো’ বলে জসিম তাঁর চাচাতো ভাই নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ইকবালকে কথা বলতে দেন। নাসির বলেন, ‘কী অবস্থারে কেমন আছিস? চিন্তাও লাগছে একটা পিস্তুল...।’ ইকবাল বলেন, ‘এটা দাদা চার মাস আগে যখুন গন্ডগোল হয়েছিল না, তখনই দিয়েছে। দেয়ার কথা তিনট্যা, দিয়েছে ধরেন একটা।’ ইউপি সদস্য জানতে চান, ‘এর দাম কত পড়ছে?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘এ্যার দাম মুনে করেন ৩০ হাজার। আর একাডডা গুলি আঠারো শ-উনিশ শ।’ নাসির বলেন, ‘তাহিলে ছোট গ্যালা। বড় গেলা হলে ৬০,৭০, ৮০ হয়্যা যাইত।’ ইকবাল বলেন, ‘হু, সাইলেন্সারসহ যুতি ল্যাও, কোনো আওয়াজ করবে না। গুলি মাইরব্যা কোনো আউয়াজ করবে না। হাঁর কাছেই ছিল, সালেন্সারসহ।’
নাসির প্রশ্ন করেন, ‘ওরাকে দিল কে?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘এটা ধরেন যে ওবায়দুল পাঠান, ওই সংগ্রহ করে দিয়েছে। এইডা থাকার কথা আমরুলের কাছে।’ ইকবাল বর্ণনা দিতে থাকেন, ‘রাজরামপুরের সামনে পোখরের ওখানে ওবায় পাঠানের জমি আছে ১১ বিঘা। ওই জমির লাইগ্যা বোলে, “ভাই আপনি শুধু হামরাকে ব্যবহার করছেন।” তখুন বলে, “কী লাগবে তোর?” তখন বোলে, “ঠিক আছে তোরা তিনজনাকে তিনখ্যান ব্যবস্থা করে দিছি।” জিনিসগ্যালার অর্ডার হয়েছিল তিনঝোনার লাইগ্যা তিনটা। আমরুল ট্রেনিংও দিয়েছে ১০ দিন।’
এই আমরুল অস্ত্রটি রিশানকে দিয়েছেন বলে কথোপথনে উঠে আসে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ইকবাল, জসিম কিংবা আমরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে যোগাযোগ করা হলে ফোনকল রেকর্ডটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন। ফোনকল রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ার কথা শুনেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কথাটা কিছুদিন আগের। রিশান, আমরুল, ইকবাল—তারা সব একই গ্রুপে চলাফেরা করে। বালু নিয়ে একটা ঘটনা ঘটে, সেখানে রিশান অস্ত্র দেখায়। বিষয়টা জানতে আমি রিশানের ঘনিষ্ঠ ইকবালের সঙ্গে কথা বলি। তার আগে আমার চাচাতো ভাই জসিম কথা বলে।’ তিনি জানান, রাজারামপুরে বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠানের একটি জমি রয়েছে। এ জমিকে কেন্দ্র করে ওবায়েদ অস্ত্রটি আমরুলকে দিয়েছেন বলে তিনি ইকবালের কাছ থেকে শুনেছেন।
জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলেন, ‘আমার সঙ্গে রিশানের কখনো দেখা হয়নি। আমি তাকে চিনি না। আমি ফোনকলের ব্যাপারে প্রথম শুনছি। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বহু দিনের। নিজে হাতে নেড়েও দেখিনি কখনো। আমার লাইসেন্স করা অস্ত্রও নেই।’ অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি বলে হাসিনার সঙ্গে আপনার কথা হয়েছে, তাহলে আমি কী করব? রিশান কি আমাদের দল-পার্টির ছেলে? আমাদের সঙ্গে কী সম্পর্ক? আমাদের সঙ্গে তো কোনো মিছিল-মিটিং করে না। দলীয় পদ নাই। তাহলে আমার সঙ্গে কী সম্পর্ক? কেউ যদি আমার নাম ব্যবহার করে কিংবা রেকর্ড করে, সেটার জন্য তো আমি দায়ী না। আমার সঙ্গে তো ডিরেক্ট তাদের কথা হয়নি। কে কী বলল, না বলল—এগুলোতে কিছু যায় আসে না। কার কাছে কী আছে, আমি কিছুই জানি না।’
রিশান গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার হয়নি
গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের মিরের খৈলান এলাকায় একটি সমাবেশ ছিল। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির আরও এক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা হারুন-অর-রশিদ। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে রিশানের বাড়ির সামনে ইসমাইল হক কিনু নামের একজনের ওপর হামলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হামলার সময় রিশানের বাবা জিয়াউর রহমানও ছিলেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই মো. তুফানি ১২ আগস্ট জিয়াউর রহমান, তাঁর ছেলে রিশানসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহারের দুটি কপি পাওয়া গেছে। খসড়া কপিতে লেখা হয়েছিল, হামলার সময় ককটেল বিস্ফোরণ হয় এবং রিশান পিস্তল দিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করেন। পরে থানায় মামলা হিসেবে যে এজাহার রেকর্ড হয়, সেখানে পিস্তলের প্রসঙ্গটি নেই। পুলিশ পিস্তলের প্রসঙ্গটি বাদ দিতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে মামলার পরদিন গত বুধবার রাতে রিশানকে গ্রেপ্তার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় আদালত তাঁকে এক দিনের রিমান্ড দেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হাই তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন। ছড়িয়ে পড়া ফোনকলের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেও দাবি করেন। তবে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, তিনি ফোনকলের বিষয়টি জানেন। রিমান্ডে থাকাকালে অস্ত্রের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার পাশাপাশি তিনি নিজেও রিশানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে রিশান মুখ খোলেননি। কোনো অস্ত্রও উদ্ধার করা যায়নি। বিষয়টি অত্যন্ত গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। যদিও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলছেন, তিনি কখনো অস্ত্র ছুঁয়েও দেখেননি।
ওবায়েদ পাঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এলাকার লোকজন কেউ তাঁকে ওয়াহেদ পাঠান, কেউ ওবায়দুল পাঠান নামেও চেনেন। ফোনকল রেকর্ডে এ দুটি নামই বারবার এসেছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ওবায়েদ পাঠান যাঁকে অস্ত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই যুবক ইতিমধ্যে অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ওই যুবকের নাম রিশান আলী (২৪)। তিনি সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া সৈনিক। তাঁর বাবার নাম জিয়াউর রহমান। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিও তিনি। রিশান এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হোতা হিসেবে পরিচিত। রিশানকে গ্রেপ্তারের পর এক দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়েছিল। রিমান্ড শেষে আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এলাকার একটি বালুমহাল নিয়ে সংঘর্ষের সময় গত জুলাইয়ে এই রিশান প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন। এই অস্ত্রের উৎস কী, তা নিয়ে পরদিন রিশানের সহযোগী ইকবাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ইসলামপুর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাসির উদ্দিন ও তাঁর চাচাতো ভাই জসিম উদ্দিনের কথা হয়। ওই ফোনকল রেকর্ড সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথমে রিশানের সহযোগী ইকবালের সঙ্গে কথা বলেন জসিম। তিনি অস্ত্রের ব্যাপারে জানতে চান, ‘উ (রিশান) কি টাকা দিয়ে (অস্ত্র) কিনেছে জি?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘না, ওকে এমনি দিয়েছে। ভ্যাজালের সমাতে। হামি ধরেন যদি ই করতুং, তো হামিই প্যায় যাতুং।’ জসিম বলেন, ‘ওয়াহেদেরা তো ইন্ডিয়া থাইকা, আনা তো ব্যাপার লয়।’ ইকবাল বলেন, ‘বাংলাদেশেই অভাব নাই। হাঁর কাছেই ছিল আগে।’
জসিম জানতে চান, ‘তাহলে তিনটা গুলি আর একখানডা ই (পিস্তল) দিয়েছে?। ইকবাল বলেন, ‘হু, নিজের সেফটির জন্য।’ জসিম জানতে চান, ‘ওয়াহেদ নিজেই দিয়েছে ডাইরেট?’ ইকবাল বলেন, ‘ওয়াহেদ ধরে লেন যে ইয়ে করেছিল। কিন্তু ল্যাওয়ার দিন হামি যাইনি। ল্যাওয়ার দিন আমরুল (রিশানের আরও এক সহযোগী) আর ওই (রিশান) গেছিল খালি। হাঁকে ডেকেছিল, হামি যাইতে পারিনি।’
জসিম বলেন, ‘পিস্তল থাকাতে কত বড় সেফটি দেখেছেন?’ ইকবাল বলেন, ‘সেফটিও আছে, ভয়ও আছে। কেহু যুতি ধরায় দ্যায়।’ জসিম বলেন, ‘ধরাছে কে ওদেরকে? ওরা এখন পাওয়ারে আছে। আর কি দিয়েছিল, নাকি ওইখানডাই?’ ইকবাল বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে খবর লিব। আমরুলকে হামি কহাবো, কি রে কাকা মাল কি একখানডাই দিয়েছে? হাঁরা পাব না? তাহিলেই বুসতে পারব, একখানডা নাকি আরও দিয়েছে।’
জসিম এবার জানতে চান, ‘দেয়ার তো কথা ছিল তিনখানডা?’ ইকবাল বলেন, ‘হ্যাঁ, দেয়ার কথা ছিল তিনখানডা। লাইসেনধারীডা দিতে চাহেনি।’ জসিম জানতে চান, ‘তাহিলে ওয়াহেদের কাছে ব্যাপার না মাল আইন্যা দেয়া?’ কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করে ইকবাল বলেন, ‘তুমি কি লিব্যা নাকি মাল? লিলে কহো, আমি আইন্যা দিছি। এইডা ব্যাপার না। তুমি ভাবছ ম্যালা কিছু। ম্যালা কিছু লয়। শিবগঞ্জ থাইকাই আনা যায়। শুধু আনাডা একটু ইয়ে তাই।’ জসিম প্রশ্ন করেন, ‘ওয়াহেদ কি বেরেন কইরে ছোট ছোট ছেইলের হাতে দিল?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘ওয়াহেদ পাঠান কিন্তু আমরুলকে খুবই ভালোবাসে। উ যুদি কহে, এ মুহূর্তে আসা লাগবে, ওয়াহেদ পাঠান এক ফোঁটাও ভুল কইরাও ই করবে না। হামি ভালো কইর্যা দেখেছি।’
এ পর্যায়ে ‘মিম্বার কী কহিছে শুনো তো’ বলে জসিম তাঁর চাচাতো ভাই নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ইকবালকে কথা বলতে দেন। নাসির বলেন, ‘কী অবস্থারে কেমন আছিস? চিন্তাও লাগছে একটা পিস্তুল...।’ ইকবাল বলেন, ‘এটা দাদা চার মাস আগে যখুন গন্ডগোল হয়েছিল না, তখনই দিয়েছে। দেয়ার কথা তিনট্যা, দিয়েছে ধরেন একটা।’ ইউপি সদস্য জানতে চান, ‘এর দাম কত পড়ছে?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘এ্যার দাম মুনে করেন ৩০ হাজার। আর একাডডা গুলি আঠারো শ-উনিশ শ।’ নাসির বলেন, ‘তাহিলে ছোট গ্যালা। বড় গেলা হলে ৬০,৭০, ৮০ হয়্যা যাইত।’ ইকবাল বলেন, ‘হু, সাইলেন্সারসহ যুতি ল্যাও, কোনো আওয়াজ করবে না। গুলি মাইরব্যা কোনো আউয়াজ করবে না। হাঁর কাছেই ছিল, সালেন্সারসহ।’
নাসির প্রশ্ন করেন, ‘ওরাকে দিল কে?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘এটা ধরেন যে ওবায়দুল পাঠান, ওই সংগ্রহ করে দিয়েছে। এইডা থাকার কথা আমরুলের কাছে।’ ইকবাল বর্ণনা দিতে থাকেন, ‘রাজরামপুরের সামনে পোখরের ওখানে ওবায় পাঠানের জমি আছে ১১ বিঘা। ওই জমির লাইগ্যা বোলে, “ভাই আপনি শুধু হামরাকে ব্যবহার করছেন।” তখুন বলে, “কী লাগবে তোর?” তখন বোলে, “ঠিক আছে তোরা তিনজনাকে তিনখ্যান ব্যবস্থা করে দিছি।” জিনিসগ্যালার অর্ডার হয়েছিল তিনঝোনার লাইগ্যা তিনটা। আমরুল ট্রেনিংও দিয়েছে ১০ দিন।’
এই আমরুল অস্ত্রটি রিশানকে দিয়েছেন বলে কথোপথনে উঠে আসে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ইকবাল, জসিম কিংবা আমরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে যোগাযোগ করা হলে ফোনকল রেকর্ডটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন। ফোনকল রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ার কথা শুনেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কথাটা কিছুদিন আগের। রিশান, আমরুল, ইকবাল—তারা সব একই গ্রুপে চলাফেরা করে। বালু নিয়ে একটা ঘটনা ঘটে, সেখানে রিশান অস্ত্র দেখায়। বিষয়টা জানতে আমি রিশানের ঘনিষ্ঠ ইকবালের সঙ্গে কথা বলি। তার আগে আমার চাচাতো ভাই জসিম কথা বলে।’ তিনি জানান, রাজারামপুরে বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠানের একটি জমি রয়েছে। এ জমিকে কেন্দ্র করে ওবায়েদ অস্ত্রটি আমরুলকে দিয়েছেন বলে তিনি ইকবালের কাছ থেকে শুনেছেন।
জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলেন, ‘আমার সঙ্গে রিশানের কখনো দেখা হয়নি। আমি তাকে চিনি না। আমি ফোনকলের ব্যাপারে প্রথম শুনছি। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বহু দিনের। নিজে হাতে নেড়েও দেখিনি কখনো। আমার লাইসেন্স করা অস্ত্রও নেই।’ অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি বলে হাসিনার সঙ্গে আপনার কথা হয়েছে, তাহলে আমি কী করব? রিশান কি আমাদের দল-পার্টির ছেলে? আমাদের সঙ্গে কী সম্পর্ক? আমাদের সঙ্গে তো কোনো মিছিল-মিটিং করে না। দলীয় পদ নাই। তাহলে আমার সঙ্গে কী সম্পর্ক? কেউ যদি আমার নাম ব্যবহার করে কিংবা রেকর্ড করে, সেটার জন্য তো আমি দায়ী না। আমার সঙ্গে তো ডিরেক্ট তাদের কথা হয়নি। কে কী বলল, না বলল—এগুলোতে কিছু যায় আসে না। কার কাছে কী আছে, আমি কিছুই জানি না।’
রিশান গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার হয়নি
গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের মিরের খৈলান এলাকায় একটি সমাবেশ ছিল। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির আরও এক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা হারুন-অর-রশিদ। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে রিশানের বাড়ির সামনে ইসমাইল হক কিনু নামের একজনের ওপর হামলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হামলার সময় রিশানের বাবা জিয়াউর রহমানও ছিলেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই মো. তুফানি ১২ আগস্ট জিয়াউর রহমান, তাঁর ছেলে রিশানসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহারের দুটি কপি পাওয়া গেছে। খসড়া কপিতে লেখা হয়েছিল, হামলার সময় ককটেল বিস্ফোরণ হয় এবং রিশান পিস্তল দিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করেন। পরে থানায় মামলা হিসেবে যে এজাহার রেকর্ড হয়, সেখানে পিস্তলের প্রসঙ্গটি নেই। পুলিশ পিস্তলের প্রসঙ্গটি বাদ দিতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে মামলার পরদিন গত বুধবার রাতে রিশানকে গ্রেপ্তার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় আদালত তাঁকে এক দিনের রিমান্ড দেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হাই তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন। ছড়িয়ে পড়া ফোনকলের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেও দাবি করেন। তবে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, তিনি ফোনকলের বিষয়টি জানেন। রিমান্ডে থাকাকালে অস্ত্রের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার পাশাপাশি তিনি নিজেও রিশানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে রিশান মুখ খোলেননি। কোনো অস্ত্রও উদ্ধার করা যায়নি। বিষয়টি অত্যন্ত গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
রিমন রহমান, রাজশাহী

সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। যদিও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলছেন, তিনি কখনো অস্ত্র ছুঁয়েও দেখেননি।
ওবায়েদ পাঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এলাকার লোকজন কেউ তাঁকে ওয়াহেদ পাঠান, কেউ ওবায়দুল পাঠান নামেও চেনেন। ফোনকল রেকর্ডে এ দুটি নামই বারবার এসেছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ওবায়েদ পাঠান যাঁকে অস্ত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই যুবক ইতিমধ্যে অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ওই যুবকের নাম রিশান আলী (২৪)। তিনি সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া সৈনিক। তাঁর বাবার নাম জিয়াউর রহমান। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিও তিনি। রিশান এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হোতা হিসেবে পরিচিত। রিশানকে গ্রেপ্তারের পর এক দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়েছিল। রিমান্ড শেষে আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এলাকার একটি বালুমহাল নিয়ে সংঘর্ষের সময় গত জুলাইয়ে এই রিশান প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন। এই অস্ত্রের উৎস কী, তা নিয়ে পরদিন রিশানের সহযোগী ইকবাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ইসলামপুর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাসির উদ্দিন ও তাঁর চাচাতো ভাই জসিম উদ্দিনের কথা হয়। ওই ফোনকল রেকর্ড সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথমে রিশানের সহযোগী ইকবালের সঙ্গে কথা বলেন জসিম। তিনি অস্ত্রের ব্যাপারে জানতে চান, ‘উ (রিশান) কি টাকা দিয়ে (অস্ত্র) কিনেছে জি?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘না, ওকে এমনি দিয়েছে। ভ্যাজালের সমাতে। হামি ধরেন যদি ই করতুং, তো হামিই প্যায় যাতুং।’ জসিম বলেন, ‘ওয়াহেদেরা তো ইন্ডিয়া থাইকা, আনা তো ব্যাপার লয়।’ ইকবাল বলেন, ‘বাংলাদেশেই অভাব নাই। হাঁর কাছেই ছিল আগে।’
জসিম জানতে চান, ‘তাহলে তিনটা গুলি আর একখানডা ই (পিস্তল) দিয়েছে?। ইকবাল বলেন, ‘হু, নিজের সেফটির জন্য।’ জসিম জানতে চান, ‘ওয়াহেদ নিজেই দিয়েছে ডাইরেট?’ ইকবাল বলেন, ‘ওয়াহেদ ধরে লেন যে ইয়ে করেছিল। কিন্তু ল্যাওয়ার দিন হামি যাইনি। ল্যাওয়ার দিন আমরুল (রিশানের আরও এক সহযোগী) আর ওই (রিশান) গেছিল খালি। হাঁকে ডেকেছিল, হামি যাইতে পারিনি।’
জসিম বলেন, ‘পিস্তল থাকাতে কত বড় সেফটি দেখেছেন?’ ইকবাল বলেন, ‘সেফটিও আছে, ভয়ও আছে। কেহু যুতি ধরায় দ্যায়।’ জসিম বলেন, ‘ধরাছে কে ওদেরকে? ওরা এখন পাওয়ারে আছে। আর কি দিয়েছিল, নাকি ওইখানডাই?’ ইকবাল বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে খবর লিব। আমরুলকে হামি কহাবো, কি রে কাকা মাল কি একখানডাই দিয়েছে? হাঁরা পাব না? তাহিলেই বুসতে পারব, একখানডা নাকি আরও দিয়েছে।’
জসিম এবার জানতে চান, ‘দেয়ার তো কথা ছিল তিনখানডা?’ ইকবাল বলেন, ‘হ্যাঁ, দেয়ার কথা ছিল তিনখানডা। লাইসেনধারীডা দিতে চাহেনি।’ জসিম জানতে চান, ‘তাহিলে ওয়াহেদের কাছে ব্যাপার না মাল আইন্যা দেয়া?’ কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করে ইকবাল বলেন, ‘তুমি কি লিব্যা নাকি মাল? লিলে কহো, আমি আইন্যা দিছি। এইডা ব্যাপার না। তুমি ভাবছ ম্যালা কিছু। ম্যালা কিছু লয়। শিবগঞ্জ থাইকাই আনা যায়। শুধু আনাডা একটু ইয়ে তাই।’ জসিম প্রশ্ন করেন, ‘ওয়াহেদ কি বেরেন কইরে ছোট ছোট ছেইলের হাতে দিল?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘ওয়াহেদ পাঠান কিন্তু আমরুলকে খুবই ভালোবাসে। উ যুদি কহে, এ মুহূর্তে আসা লাগবে, ওয়াহেদ পাঠান এক ফোঁটাও ভুল কইরাও ই করবে না। হামি ভালো কইর্যা দেখেছি।’
এ পর্যায়ে ‘মিম্বার কী কহিছে শুনো তো’ বলে জসিম তাঁর চাচাতো ভাই নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ইকবালকে কথা বলতে দেন। নাসির বলেন, ‘কী অবস্থারে কেমন আছিস? চিন্তাও লাগছে একটা পিস্তুল...।’ ইকবাল বলেন, ‘এটা দাদা চার মাস আগে যখুন গন্ডগোল হয়েছিল না, তখনই দিয়েছে। দেয়ার কথা তিনট্যা, দিয়েছে ধরেন একটা।’ ইউপি সদস্য জানতে চান, ‘এর দাম কত পড়ছে?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘এ্যার দাম মুনে করেন ৩০ হাজার। আর একাডডা গুলি আঠারো শ-উনিশ শ।’ নাসির বলেন, ‘তাহিলে ছোট গ্যালা। বড় গেলা হলে ৬০,৭০, ৮০ হয়্যা যাইত।’ ইকবাল বলেন, ‘হু, সাইলেন্সারসহ যুতি ল্যাও, কোনো আওয়াজ করবে না। গুলি মাইরব্যা কোনো আউয়াজ করবে না। হাঁর কাছেই ছিল, সালেন্সারসহ।’
নাসির প্রশ্ন করেন, ‘ওরাকে দিল কে?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘এটা ধরেন যে ওবায়দুল পাঠান, ওই সংগ্রহ করে দিয়েছে। এইডা থাকার কথা আমরুলের কাছে।’ ইকবাল বর্ণনা দিতে থাকেন, ‘রাজরামপুরের সামনে পোখরের ওখানে ওবায় পাঠানের জমি আছে ১১ বিঘা। ওই জমির লাইগ্যা বোলে, “ভাই আপনি শুধু হামরাকে ব্যবহার করছেন।” তখুন বলে, “কী লাগবে তোর?” তখন বোলে, “ঠিক আছে তোরা তিনজনাকে তিনখ্যান ব্যবস্থা করে দিছি।” জিনিসগ্যালার অর্ডার হয়েছিল তিনঝোনার লাইগ্যা তিনটা। আমরুল ট্রেনিংও দিয়েছে ১০ দিন।’
এই আমরুল অস্ত্রটি রিশানকে দিয়েছেন বলে কথোপথনে উঠে আসে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ইকবাল, জসিম কিংবা আমরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে যোগাযোগ করা হলে ফোনকল রেকর্ডটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন। ফোনকল রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ার কথা শুনেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কথাটা কিছুদিন আগের। রিশান, আমরুল, ইকবাল—তারা সব একই গ্রুপে চলাফেরা করে। বালু নিয়ে একটা ঘটনা ঘটে, সেখানে রিশান অস্ত্র দেখায়। বিষয়টা জানতে আমি রিশানের ঘনিষ্ঠ ইকবালের সঙ্গে কথা বলি। তার আগে আমার চাচাতো ভাই জসিম কথা বলে।’ তিনি জানান, রাজারামপুরে বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠানের একটি জমি রয়েছে। এ জমিকে কেন্দ্র করে ওবায়েদ অস্ত্রটি আমরুলকে দিয়েছেন বলে তিনি ইকবালের কাছ থেকে শুনেছেন।
জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলেন, ‘আমার সঙ্গে রিশানের কখনো দেখা হয়নি। আমি তাকে চিনি না। আমি ফোনকলের ব্যাপারে প্রথম শুনছি। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বহু দিনের। নিজে হাতে নেড়েও দেখিনি কখনো। আমার লাইসেন্স করা অস্ত্রও নেই।’ অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি বলে হাসিনার সঙ্গে আপনার কথা হয়েছে, তাহলে আমি কী করব? রিশান কি আমাদের দল-পার্টির ছেলে? আমাদের সঙ্গে কী সম্পর্ক? আমাদের সঙ্গে তো কোনো মিছিল-মিটিং করে না। দলীয় পদ নাই। তাহলে আমার সঙ্গে কী সম্পর্ক? কেউ যদি আমার নাম ব্যবহার করে কিংবা রেকর্ড করে, সেটার জন্য তো আমি দায়ী না। আমার সঙ্গে তো ডিরেক্ট তাদের কথা হয়নি। কে কী বলল, না বলল—এগুলোতে কিছু যায় আসে না। কার কাছে কী আছে, আমি কিছুই জানি না।’
রিশান গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার হয়নি
গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের মিরের খৈলান এলাকায় একটি সমাবেশ ছিল। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির আরও এক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা হারুন-অর-রশিদ। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে রিশানের বাড়ির সামনে ইসমাইল হক কিনু নামের একজনের ওপর হামলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হামলার সময় রিশানের বাবা জিয়াউর রহমানও ছিলেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই মো. তুফানি ১২ আগস্ট জিয়াউর রহমান, তাঁর ছেলে রিশানসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহারের দুটি কপি পাওয়া গেছে। খসড়া কপিতে লেখা হয়েছিল, হামলার সময় ককটেল বিস্ফোরণ হয় এবং রিশান পিস্তল দিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করেন। পরে থানায় মামলা হিসেবে যে এজাহার রেকর্ড হয়, সেখানে পিস্তলের প্রসঙ্গটি নেই। পুলিশ পিস্তলের প্রসঙ্গটি বাদ দিতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে মামলার পরদিন গত বুধবার রাতে রিশানকে গ্রেপ্তার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় আদালত তাঁকে এক দিনের রিমান্ড দেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হাই তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন। ছড়িয়ে পড়া ফোনকলের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেও দাবি করেন। তবে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, তিনি ফোনকলের বিষয়টি জানেন। রিমান্ডে থাকাকালে অস্ত্রের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার পাশাপাশি তিনি নিজেও রিশানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে রিশান মুখ খোলেননি। কোনো অস্ত্রও উদ্ধার করা যায়নি। বিষয়টি অত্যন্ত গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। যদিও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলছেন, তিনি কখনো অস্ত্র ছুঁয়েও দেখেননি।
ওবায়েদ পাঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এলাকার লোকজন কেউ তাঁকে ওয়াহেদ পাঠান, কেউ ওবায়দুল পাঠান নামেও চেনেন। ফোনকল রেকর্ডে এ দুটি নামই বারবার এসেছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ওবায়েদ পাঠান যাঁকে অস্ত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই যুবক ইতিমধ্যে অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ওই যুবকের নাম রিশান আলী (২৪)। তিনি সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া সৈনিক। তাঁর বাবার নাম জিয়াউর রহমান। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিও তিনি। রিশান এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হোতা হিসেবে পরিচিত। রিশানকে গ্রেপ্তারের পর এক দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়েছিল। রিমান্ড শেষে আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এলাকার একটি বালুমহাল নিয়ে সংঘর্ষের সময় গত জুলাইয়ে এই রিশান প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন। এই অস্ত্রের উৎস কী, তা নিয়ে পরদিন রিশানের সহযোগী ইকবাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ইসলামপুর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাসির উদ্দিন ও তাঁর চাচাতো ভাই জসিম উদ্দিনের কথা হয়। ওই ফোনকল রেকর্ড সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথমে রিশানের সহযোগী ইকবালের সঙ্গে কথা বলেন জসিম। তিনি অস্ত্রের ব্যাপারে জানতে চান, ‘উ (রিশান) কি টাকা দিয়ে (অস্ত্র) কিনেছে জি?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘না, ওকে এমনি দিয়েছে। ভ্যাজালের সমাতে। হামি ধরেন যদি ই করতুং, তো হামিই প্যায় যাতুং।’ জসিম বলেন, ‘ওয়াহেদেরা তো ইন্ডিয়া থাইকা, আনা তো ব্যাপার লয়।’ ইকবাল বলেন, ‘বাংলাদেশেই অভাব নাই। হাঁর কাছেই ছিল আগে।’
জসিম জানতে চান, ‘তাহলে তিনটা গুলি আর একখানডা ই (পিস্তল) দিয়েছে?। ইকবাল বলেন, ‘হু, নিজের সেফটির জন্য।’ জসিম জানতে চান, ‘ওয়াহেদ নিজেই দিয়েছে ডাইরেট?’ ইকবাল বলেন, ‘ওয়াহেদ ধরে লেন যে ইয়ে করেছিল। কিন্তু ল্যাওয়ার দিন হামি যাইনি। ল্যাওয়ার দিন আমরুল (রিশানের আরও এক সহযোগী) আর ওই (রিশান) গেছিল খালি। হাঁকে ডেকেছিল, হামি যাইতে পারিনি।’
জসিম বলেন, ‘পিস্তল থাকাতে কত বড় সেফটি দেখেছেন?’ ইকবাল বলেন, ‘সেফটিও আছে, ভয়ও আছে। কেহু যুতি ধরায় দ্যায়।’ জসিম বলেন, ‘ধরাছে কে ওদেরকে? ওরা এখন পাওয়ারে আছে। আর কি দিয়েছিল, নাকি ওইখানডাই?’ ইকবাল বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে খবর লিব। আমরুলকে হামি কহাবো, কি রে কাকা মাল কি একখানডাই দিয়েছে? হাঁরা পাব না? তাহিলেই বুসতে পারব, একখানডা নাকি আরও দিয়েছে।’
জসিম এবার জানতে চান, ‘দেয়ার তো কথা ছিল তিনখানডা?’ ইকবাল বলেন, ‘হ্যাঁ, দেয়ার কথা ছিল তিনখানডা। লাইসেনধারীডা দিতে চাহেনি।’ জসিম জানতে চান, ‘তাহিলে ওয়াহেদের কাছে ব্যাপার না মাল আইন্যা দেয়া?’ কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করে ইকবাল বলেন, ‘তুমি কি লিব্যা নাকি মাল? লিলে কহো, আমি আইন্যা দিছি। এইডা ব্যাপার না। তুমি ভাবছ ম্যালা কিছু। ম্যালা কিছু লয়। শিবগঞ্জ থাইকাই আনা যায়। শুধু আনাডা একটু ইয়ে তাই।’ জসিম প্রশ্ন করেন, ‘ওয়াহেদ কি বেরেন কইরে ছোট ছোট ছেইলের হাতে দিল?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘ওয়াহেদ পাঠান কিন্তু আমরুলকে খুবই ভালোবাসে। উ যুদি কহে, এ মুহূর্তে আসা লাগবে, ওয়াহেদ পাঠান এক ফোঁটাও ভুল কইরাও ই করবে না। হামি ভালো কইর্যা দেখেছি।’
এ পর্যায়ে ‘মিম্বার কী কহিছে শুনো তো’ বলে জসিম তাঁর চাচাতো ভাই নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ইকবালকে কথা বলতে দেন। নাসির বলেন, ‘কী অবস্থারে কেমন আছিস? চিন্তাও লাগছে একটা পিস্তুল...।’ ইকবাল বলেন, ‘এটা দাদা চার মাস আগে যখুন গন্ডগোল হয়েছিল না, তখনই দিয়েছে। দেয়ার কথা তিনট্যা, দিয়েছে ধরেন একটা।’ ইউপি সদস্য জানতে চান, ‘এর দাম কত পড়ছে?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘এ্যার দাম মুনে করেন ৩০ হাজার। আর একাডডা গুলি আঠারো শ-উনিশ শ।’ নাসির বলেন, ‘তাহিলে ছোট গ্যালা। বড় গেলা হলে ৬০,৭০, ৮০ হয়্যা যাইত।’ ইকবাল বলেন, ‘হু, সাইলেন্সারসহ যুতি ল্যাও, কোনো আওয়াজ করবে না। গুলি মাইরব্যা কোনো আউয়াজ করবে না। হাঁর কাছেই ছিল, সালেন্সারসহ।’
নাসির প্রশ্ন করেন, ‘ওরাকে দিল কে?’ জবাবে ইকবাল বলেন, ‘এটা ধরেন যে ওবায়দুল পাঠান, ওই সংগ্রহ করে দিয়েছে। এইডা থাকার কথা আমরুলের কাছে।’ ইকবাল বর্ণনা দিতে থাকেন, ‘রাজরামপুরের সামনে পোখরের ওখানে ওবায় পাঠানের জমি আছে ১১ বিঘা। ওই জমির লাইগ্যা বোলে, “ভাই আপনি শুধু হামরাকে ব্যবহার করছেন।” তখুন বলে, “কী লাগবে তোর?” তখন বোলে, “ঠিক আছে তোরা তিনজনাকে তিনখ্যান ব্যবস্থা করে দিছি।” জিনিসগ্যালার অর্ডার হয়েছিল তিনঝোনার লাইগ্যা তিনটা। আমরুল ট্রেনিংও দিয়েছে ১০ দিন।’
এই আমরুল অস্ত্রটি রিশানকে দিয়েছেন বলে কথোপথনে উঠে আসে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ইকবাল, জসিম কিংবা আমরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে যোগাযোগ করা হলে ফোনকল রেকর্ডটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন। ফোনকল রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ার কথা শুনেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কথাটা কিছুদিন আগের। রিশান, আমরুল, ইকবাল—তারা সব একই গ্রুপে চলাফেরা করে। বালু নিয়ে একটা ঘটনা ঘটে, সেখানে রিশান অস্ত্র দেখায়। বিষয়টা জানতে আমি রিশানের ঘনিষ্ঠ ইকবালের সঙ্গে কথা বলি। তার আগে আমার চাচাতো ভাই জসিম কথা বলে।’ তিনি জানান, রাজারামপুরে বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠানের একটি জমি রয়েছে। এ জমিকে কেন্দ্র করে ওবায়েদ অস্ত্রটি আমরুলকে দিয়েছেন বলে তিনি ইকবালের কাছ থেকে শুনেছেন।
জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলেন, ‘আমার সঙ্গে রিশানের কখনো দেখা হয়নি। আমি তাকে চিনি না। আমি ফোনকলের ব্যাপারে প্রথম শুনছি। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বহু দিনের। নিজে হাতে নেড়েও দেখিনি কখনো। আমার লাইসেন্স করা অস্ত্রও নেই।’ অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি বলে হাসিনার সঙ্গে আপনার কথা হয়েছে, তাহলে আমি কী করব? রিশান কি আমাদের দল-পার্টির ছেলে? আমাদের সঙ্গে কী সম্পর্ক? আমাদের সঙ্গে তো কোনো মিছিল-মিটিং করে না। দলীয় পদ নাই। তাহলে আমার সঙ্গে কী সম্পর্ক? কেউ যদি আমার নাম ব্যবহার করে কিংবা রেকর্ড করে, সেটার জন্য তো আমি দায়ী না। আমার সঙ্গে তো ডিরেক্ট তাদের কথা হয়নি। কে কী বলল, না বলল—এগুলোতে কিছু যায় আসে না। কার কাছে কী আছে, আমি কিছুই জানি না।’
রিশান গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার হয়নি
গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের মিরের খৈলান এলাকায় একটি সমাবেশ ছিল। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির আরও এক মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা হারুন-অর-রশিদ। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে রিশানের বাড়ির সামনে ইসমাইল হক কিনু নামের একজনের ওপর হামলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হামলার সময় রিশানের বাবা জিয়াউর রহমানও ছিলেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই মো. তুফানি ১২ আগস্ট জিয়াউর রহমান, তাঁর ছেলে রিশানসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহারের দুটি কপি পাওয়া গেছে। খসড়া কপিতে লেখা হয়েছিল, হামলার সময় ককটেল বিস্ফোরণ হয় এবং রিশান পিস্তল দিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা ফায়ার করেন। পরে থানায় মামলা হিসেবে যে এজাহার রেকর্ড হয়, সেখানে পিস্তলের প্রসঙ্গটি নেই। পুলিশ পিস্তলের প্রসঙ্গটি বাদ দিতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে মামলার পরদিন গত বুধবার রাতে রিশানকে গ্রেপ্তার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় আদালত তাঁকে এক দিনের রিমান্ড দেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হাই তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন। ছড়িয়ে পড়া ফোনকলের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেও দাবি করেন। তবে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, তিনি ফোনকলের বিষয়টি জানেন। রিমান্ডে থাকাকালে অস্ত্রের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার পাশাপাশি তিনি নিজেও রিশানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে রিশান মুখ খোলেননি। কোনো অস্ত্রও উদ্ধার করা যায়নি। বিষয়টি অত্যন্ত গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১৪ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
৩১ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। যদিও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলছেন, তিনি কখনো অস্ত্র ছুঁয়েও দেখেননি।
১৫ আগস্ট ২০২৫
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
৩১ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। যদিও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলছেন, তিনি কখনো অস্ত্র ছুঁয়েও দেখেননি।
১৫ আগস্ট ২০২৫
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১৪ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
৩১ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। যদিও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলছেন, তিনি কখনো অস্ত্র ছুঁয়েও দেখেননি।
১৫ আগস্ট ২০২৫
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১৪ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। যদিও অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলছেন, তিনি কখনো অস্ত্র ছুঁয়েও দেখেননি।
১৫ আগস্ট ২০২৫
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১৪ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
৩১ মিনিট আগে