Ajker Patrika

ছাত্রীকে ওড়না ছাড়া দেখতে চান অধ্যক্ষ, স্ক্রিনশট দিয়ে ব্যানার কলেজ গেটে

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৫
স্ক্রিনশট ছাপানো একটি ব্যানার কলেজের প্রধান ফটকে ঝুলিয়েছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্ক্রিনশট ছাপানো একটি ব্যানার কলেজের প্রধান ফটকে ঝুলিয়েছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের আপত্তিকর মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ রোববার সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এসব স্ক্রিনশট ছাপানো একটি ব্যানার কলেজের প্রধান ফটকে ঝুলিয়ে দেয়।

ব্যানারে ছাপানো স্ক্রিনশটগুলোতে দেখা যায়, অধ্যক্ষ সামসুল হক ছাত্রীদের ব্যক্তিগত সৌন্দর্য নিয়ে মন্তব্য করছেন এবং ওড়না ছাড়াসহ বিভিন্ন সাজে দেখার আবদার করছেন।

কলেজ গেটে ঝোলানো সেই ব্যানারে থাকা স্ক্রিনশটগুলোর একটিতে দেখা যায়, অধ্যক্ষ সামসুল হক তাঁর ছাত্রীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করছেন। প্রশংসার একপর্যায়ে ছাত্রীকে সামসুল হক লেখেন, ‘আরও সুন্দরী ছবি আছে তোমার।’ উত্তরে ওই ছাত্রী বলে, ‘আর নেই স্যার। আমি সুন্দর না। আমার যা মনে হয়।’ তখন সামসুল হক লেখেন, ‘আছে আছে, ওড়না ছাড়া।’ উত্তরে ছাত্রী বলে, ‘নেই স্যার, স্যরি স্যার।’ তাৎক্ষণিক সামসুল হক বলেন, ‘কলেজে দেখেছি তো।’ উত্তরে ছাত্রী বলে, ‘না স্যার। স্যরি। নেই স্যার। মাফ করবেন।’ এরপর সামসুল হক বলেন, ‘ওকে, সামনেই দেখব। অনেক অনেক অনেক ভালো থেকো। বাই।’

ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বলেন, ‘দুই বছর আগে নওগাঁ বিএমসি মহিলা কলেজে পড়ার সময় স্যার ফেসবুকে যুক্ত হয়ে অশ্লীল মন্তব্য করতেন। একদিন ওড়না ছাড়া ছবি চাইলে আমি তাঁকে ব্লক করি।’ এত দিন নীরব থাকার কারণ জানতে চাইলে ওই ছাত্রী বলেন, ‘ফেসবুকে আরও কয়েকজন ছাত্রীর স্ক্রিনশট ভাইরাল হতে দেখে আমিও প্রতিবাদ জানালাম। উনি (অধ্যক্ষ) হয়েও অনেক ছাত্রীর সঙ্গে এমন অন্যায় করেছেন।’ আরও এক ছাত্রী বলে, ‘স্যারের সঙ্গে দেখা হলেই মাথা থেকে পা পর্যন্ত তাকিয়ে সৌন্দর্যের প্রশংসা করতেন, যা ছিল অশালীন।’ এক অভিভাবক বলেন, একজন শিক্ষকের মানসিকতা এত নোংরা হলে কীভাবে তিনি অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকেন!

কলেজ গেটের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কলেজ গেটের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে আজ দুপুরে কলেজে অনিয়ম-দুর্নীতি, ছাত্রীদের সঙ্গে অধ্যক্ষের আপত্তিকর কথোপকথন ও জুলাই যোদ্ধাকে মারধরের প্রতিবাদে কলেজ গেটের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজশিক্ষার্থী ও জুলাই যোদ্ধা সংসদ, আহত ও শহীদ পরিবারের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আরমান হোসেন বলেন, ‘একজন অধ্যক্ষ হয়ে কীভাবে তিনি ছাত্রীদের কাছে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারেন এবং ওড়না ছাড়া ছবি চাইতে পারেন? কলেজে ছাত্রদের জন্য আবাসিক ও ক্যানটিন নেই, শিক্ষার পরিবেশ নেই। শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। তাই অধ্যক্ষের শাস্তি দাবি করছি।’

জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, কলেজের উন্নয়নের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হয়। অধ্যক্ষ মাস্তান বাহিনী পুষে রেখেছেন। শিক্ষার্থীরা ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না। দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন শহীদ ফাহমিনের মা কাজী লুলুন, কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুনায়েদ হোসেন প্রমুখ। কর্মসূচিতে নওগাঁ কলেজের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হক বলেন, ‘স্ক্রিনশটের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। গুটিকয়েক শিক্ষার্থীকে কখনো প্রতিপক্ষ মনে করি না। যারা আমার বিষয়ে আন্দোলন করছে, তাদের আমি শিক্ষার্থী হিসেবেই দেখতে চাই।’

এর আগে গত শুক্রবার রাতে অধ্যক্ষ সামসুল হক তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দাবি করেন, তাঁর ব্যবহৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করা হয়েছে এবং কে সেটি চালাচ্ছেন, তা তিনি জানেন না এবং কোনো বার্তায় সাড়া না দিতে সবাইকে অনুরোধ জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত