আশিক মুস্তাফা
বলবে এখন আবার রাজা এল কোত্থেকে? আগের সেই দিন আর আছে? ঠাকুরমার গল্পের রাজাদের সঙ্গে তাদের রাজ্যও তো সে কবে উধাও হয়ে গেছে! সে তুমি যাই বলো; এই রাজা কিন্তু দিব্যি রাজ্য পরিচালনা করছেন। তার আবার প্রিয় শখ স্টারগেজিং। রাজা কতবার পরীক্ষার খাতায় লিখেছেন, মাই এইম ইন লাইফ ইজ টু বি আ স্টারগেজিং। কেউ আবার বলো না, এই রাজা বুঝি পরীক্ষায়ও বসেন? রাজাদের কাজ-কারবারের ঠিক আছে! যখন যা মন চায় তাই করেন। তো যা মন চায় তাই করা এই রাজা এই সেদিনও মাকে হুকুম করলেন, জলদি বাসায় ওয়াই-ফাই কানেকশন দাও। ওমা, তুড়ি মেরে চলে এল ওয়াই-ফাই।
বাবাকে বললেন, ছাদে একটা টেলিস্কোপ লাগাও।
আলাদিনের দৈত্যের মতো মুহূর্তেই বাবা ছাদে বসিয়ে দিলেন টেলিস্কোপ।
রাজার প্রধান সেনাপতি হলো মা। আর প্রধানমন্ত্রী বাবা।
তো সেনাপতি মা এসে বলেন, টেলিস্কোপ তো বসানো হলো। দিন ফুরিয়ে সন্ধ্যাও ঘনিয়ে এল। আপনি তো টেলিস্কোপ দিয়ে কিছুই দেখছেন না মহারাজ?
রাজা তিতিন চোখ রাঙিয়ে বলেন, সন্ধ্যা নামতে দাও।
সন্ধ্যা নেমে এল এখলাসপুরে। একটু একটু করে গভীর রাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যা। রাজা তিতিন মাথায় একটা বাঁদুরে টুপি দিয়ে একাই ছাদের উদ্দেশ্যে সিঁড়ি ভাঙতে শুরু করলেন। সেনাপতি মা সহযোগিতা করতে চাইলেন। কিন্তু না, রাজা একাই এক শ। তিনি কারও সহযোগিতা নেওয়ার পাত্র নন। তা ছাড়া স্টারগেজিং বা নক্ষত্রাবলোকন একাই করতে হয়।
বাঁদুরে টুপি মাথায় দিয়ে রাজা তিতিন নক্ষত্রাবলোকন করছেন। হঠাৎ তার চোখে পড়ল শিংওয়ালা একটা গাধা। মানে কয়েকটা নক্ষত্র শিংওয়ালা গাধার রূপ ধারণ করে আছে যেন! রাজা মশাই টেলিস্কোপ থেকে চোখ সরিয়ে হাতের পিঠ দিয়ে চোখ মুছে ফের টেলিস্কোপে চোখ রাখেন, একি, এখনো দেখা যাচ্ছে! তিনিই তাহলে এর আবিষ্কারক! গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। তা ছাড়া, বিশ্বের সেরা স্টারগেজার হিসেবেও নিজের নাম দেখতে পাবেন মাসিক স্টারগেজিং জার্নালে। রাজা তড়িঘড়ি নিচে নেমে তলব করলেন জ্যোতিষ তিপিয়াকে। তিনি যদিও রাজার ছোট বোন, তবু রাজার সব আগাম বলে দিতে পারেন। সব শুনে জ্যোতিষ তিপিয়া পঞ্জিকার পাতা না উল্টিয়ে, গ্রহ-নক্ষত্রের হিসাব না কষেই বলে দিলেন, আপনার রাজ্যের আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। তার চেয়েও বড় বিপদ আসছে আপনার মাথায়।
রাজা তিতিনের স্বর গর্তে নেমে আসে। তিনি জানতে চান, কী বিপদ আসছে মাথায়?
জ্যোতিষ তিপিয়া বলেন, গাধার শিং; আপনার মাথায় অচিরেই গজাবে গাধার শিং।
রাজা এবার ভ্যাঁ, ভ্যাঁ শুরু করেন।
সেনাপতি মা এসে রাজাকে বুকে জড়িয়ে নেন। বাবা কপালে আদর করে দেন। কিন্তু না; রাজার কান্না থামে না। রাতে খাবার সামনে নিয়ে বসলেও খেতে পারেননি রাজা। পারেননি ঘুমাতেও। ঘুমালে যদি শিং গজিয়ে যায়!
পরদিন ঘুম ঘুম চোখে রাজা সেনাপতি মায়ের মোবাইল নিয়ে গুগল করেন। একি, গাধার তো কোনো শিংই হয় না! তাহলে জ্যোতিষ তিপিয়া কেন এমন ভয় দেখাল? কী হবে এর শাস্তি?
বলবে এখন আবার রাজা এল কোত্থেকে? আগের সেই দিন আর আছে? ঠাকুরমার গল্পের রাজাদের সঙ্গে তাদের রাজ্যও তো সে কবে উধাও হয়ে গেছে! সে তুমি যাই বলো; এই রাজা কিন্তু দিব্যি রাজ্য পরিচালনা করছেন। তার আবার প্রিয় শখ স্টারগেজিং। রাজা কতবার পরীক্ষার খাতায় লিখেছেন, মাই এইম ইন লাইফ ইজ টু বি আ স্টারগেজিং। কেউ আবার বলো না, এই রাজা বুঝি পরীক্ষায়ও বসেন? রাজাদের কাজ-কারবারের ঠিক আছে! যখন যা মন চায় তাই করেন। তো যা মন চায় তাই করা এই রাজা এই সেদিনও মাকে হুকুম করলেন, জলদি বাসায় ওয়াই-ফাই কানেকশন দাও। ওমা, তুড়ি মেরে চলে এল ওয়াই-ফাই।
বাবাকে বললেন, ছাদে একটা টেলিস্কোপ লাগাও।
আলাদিনের দৈত্যের মতো মুহূর্তেই বাবা ছাদে বসিয়ে দিলেন টেলিস্কোপ।
রাজার প্রধান সেনাপতি হলো মা। আর প্রধানমন্ত্রী বাবা।
তো সেনাপতি মা এসে বলেন, টেলিস্কোপ তো বসানো হলো। দিন ফুরিয়ে সন্ধ্যাও ঘনিয়ে এল। আপনি তো টেলিস্কোপ দিয়ে কিছুই দেখছেন না মহারাজ?
রাজা তিতিন চোখ রাঙিয়ে বলেন, সন্ধ্যা নামতে দাও।
সন্ধ্যা নেমে এল এখলাসপুরে। একটু একটু করে গভীর রাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যা। রাজা তিতিন মাথায় একটা বাঁদুরে টুপি দিয়ে একাই ছাদের উদ্দেশ্যে সিঁড়ি ভাঙতে শুরু করলেন। সেনাপতি মা সহযোগিতা করতে চাইলেন। কিন্তু না, রাজা একাই এক শ। তিনি কারও সহযোগিতা নেওয়ার পাত্র নন। তা ছাড়া স্টারগেজিং বা নক্ষত্রাবলোকন একাই করতে হয়।
বাঁদুরে টুপি মাথায় দিয়ে রাজা তিতিন নক্ষত্রাবলোকন করছেন। হঠাৎ তার চোখে পড়ল শিংওয়ালা একটা গাধা। মানে কয়েকটা নক্ষত্র শিংওয়ালা গাধার রূপ ধারণ করে আছে যেন! রাজা মশাই টেলিস্কোপ থেকে চোখ সরিয়ে হাতের পিঠ দিয়ে চোখ মুছে ফের টেলিস্কোপে চোখ রাখেন, একি, এখনো দেখা যাচ্ছে! তিনিই তাহলে এর আবিষ্কারক! গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। তা ছাড়া, বিশ্বের সেরা স্টারগেজার হিসেবেও নিজের নাম দেখতে পাবেন মাসিক স্টারগেজিং জার্নালে। রাজা তড়িঘড়ি নিচে নেমে তলব করলেন জ্যোতিষ তিপিয়াকে। তিনি যদিও রাজার ছোট বোন, তবু রাজার সব আগাম বলে দিতে পারেন। সব শুনে জ্যোতিষ তিপিয়া পঞ্জিকার পাতা না উল্টিয়ে, গ্রহ-নক্ষত্রের হিসাব না কষেই বলে দিলেন, আপনার রাজ্যের আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। তার চেয়েও বড় বিপদ আসছে আপনার মাথায়।
রাজা তিতিনের স্বর গর্তে নেমে আসে। তিনি জানতে চান, কী বিপদ আসছে মাথায়?
জ্যোতিষ তিপিয়া বলেন, গাধার শিং; আপনার মাথায় অচিরেই গজাবে গাধার শিং।
রাজা এবার ভ্যাঁ, ভ্যাঁ শুরু করেন।
সেনাপতি মা এসে রাজাকে বুকে জড়িয়ে নেন। বাবা কপালে আদর করে দেন। কিন্তু না; রাজার কান্না থামে না। রাতে খাবার সামনে নিয়ে বসলেও খেতে পারেননি রাজা। পারেননি ঘুমাতেও। ঘুমালে যদি শিং গজিয়ে যায়!
পরদিন ঘুম ঘুম চোখে রাজা সেনাপতি মায়ের মোবাইল নিয়ে গুগল করেন। একি, গাধার তো কোনো শিংই হয় না! তাহলে জ্যোতিষ তিপিয়া কেন এমন ভয় দেখাল? কী হবে এর শাস্তি?
সামগ্রিকভাবে পশ্চিমা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিল্পকর্মকে ‘বুর্জোয়া’ ও ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ বলে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করা হয় চীনে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই শেকসপিয়ারের সব সাহিত্যকর্ম—যেমন হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট, ওথেলো ইত্যাদি—চীনে নিষিদ্ধ হয়, কারণ সেগুলোতে চীনা কমিউনিস্ট আদর্শের ‘সঠিক রাজনৈতিক
১৯ দিন আগেকবি নজরুল ইসলামের বহুল পরিচিতি ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে, কিন্তু নজরুল উঁচুমার্গের ‘সাম্যবাদী কবি’ও বটেন। নজরুলের সাম্যচিন্তা তাঁর জীবনের বাস্তবতা থেকে উদ্ভূত। তাঁর শৈশব-কৈশোরের জীবন-অভিজ্ঞতা, তাঁর যৌবনের যাপিত জীবন তাঁকে বাস্তব পৃথিবীর দারিদ্র্য, অসমতা ও অসাম্যের সঙ্গে পরিচিত করেছে অত্যন্ত নগ্নভাবে...
২০ দিন আগেবাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয় সাহিত্যিকদের মধ্যে নজরুল অন্যতম। সাধারণত জনপ্রিয় সাহিত্যিকদের বেলায় দেখা যায় কালের সীমা অতিক্রম করলে তাঁদের নাম ইতিহাসের পাতায় আর পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে নজরুলের জীবন ও সাহিত্য কালের সীমা অতিক্রম করে আজও পাঠকপ্রিয় হয়ে আছে। এর মূলে রয়েছে তাঁর সচেতন জীবনবোধ...
২০ দিন আগেনজরুলকে ভুল ভাবে পড়ার আরেকটি বড় উদাহরণ হলো তাঁকে প্রায়শই রবীন্দ্রনাথের ‘প্রতিপক্ষ’ হিসেবে দাঁড় করানোর রাজনৈতিক প্রবণতা। এই আইডেনটিটি পলিটিকস শুধু বিভাজন তৈরি করে না, নজরুলের মৌলিক অবস্থানকেও বিকৃত করে।
২০ দিন আগে