সম্পাদকীয়
বাংলা সাহিত্যে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় নামে দুজন লেখক আছেন। একজন কথাসাহিত্যিক আর অন্যজন হলেন রবীন্দ্র জীবনীকার। আজ স্মরণ করা হবে দ্বিতীয়জনকে।
প্রভাতকুমারের জন্ম ১৮৯২ সালের ২৫ জুলাই কলকাতার নদীয়ার রানাঘাটে। তিনি বিহারের গিরিডি ন্যাশনাল স্কুলে ভর্তি হন। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার অপরাধে তাঁকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর ১৯০৮ সালে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের (বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়) পরীক্ষায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে ১০ টাকা বৃত্তি লাভ করেন। বাবার মৃত্যুর কারণে একাডেমিক শিক্ষার এখানেই সমাপ্তি ঘটে। এরপর শিক্ষক হিমাংশুপ্রকাশ রায়ের সঙ্গে তিনি শান্তিনিকেতনে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সান্নিধ্য লাভ করেন। ১৯০৯ সালে তিনি রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রমে যোগ দেন। মাঝখানে এক বছর তিনি সিটি কলেজের গ্রন্থাগারিক ছিলেন। আবার তিনি শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন। এখানে তিনি শিক্ষক ও গ্রন্থাগারিক পদে কাজ করার পর ১৯২৬ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।
শান্তিনিকেতনে কাজ করতে করতে তিনি রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্য লাভ করেন। তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ হলো চার খণ্ডে রবীন্দ্রনাথের জীবনী রচনা করা। যদিও রবীন্দ্রনাথ জীবনীর মাত্র এক খণ্ড দেখে যেতে পেরেছিলেন।
রবীন্দ্রজীবনী রচনার পাশাপাশি তিনি গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছিলেন। এ বিষয়ে তাঁর কাজ হলো ‘বাংলা গ্রন্থ বর্গীকরণ’ ও ‘বাংলা দশমিক বর্গীকরণ’ বই দুটি। গ্রন্থাগারিক ছিলেন বলে কবিগুরু তাঁকে হাস্যচ্ছলে সম্বোধন করতেন ‘বৈবাহিক’ (বই-বাহিক) বলে।
রবীন্দ্র বিষয়ে তাঁর অন্য বইগুলো হলো রবীন্দ্র গ্রন্থপঞ্জী, রবীন্দ্র জীবনকথা, রবীন্দ্রনাথের চেনাশোনা মানুষ, রবিকথা, শান্তিনিকেতন-বিশ্বভারতী প্রভৃতি। এর বাইরে তিনি ইতিহাস বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। এ বিষয়ক তাঁর বইগুলো হলো ভারতের জাতীয়তা, ভারত পরিচয়, ভারতের জাতীয় আন্দোলন, প্রাচীন ইতিহাসের গল্প, বঙ্গ পরিচয়, ভারত পরিচয়। এসবের পাশাপাশি তিনি চীনের বৌদ্ধ সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করেছেন রবীন্দ্রনাথের অনুপ্রেরণায়। তিনি ১৯৮৫ সালের ৮ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলা সাহিত্যে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় নামে দুজন লেখক আছেন। একজন কথাসাহিত্যিক আর অন্যজন হলেন রবীন্দ্র জীবনীকার। আজ স্মরণ করা হবে দ্বিতীয়জনকে।
প্রভাতকুমারের জন্ম ১৮৯২ সালের ২৫ জুলাই কলকাতার নদীয়ার রানাঘাটে। তিনি বিহারের গিরিডি ন্যাশনাল স্কুলে ভর্তি হন। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার অপরাধে তাঁকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর ১৯০৮ সালে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের (বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়) পরীক্ষায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে ১০ টাকা বৃত্তি লাভ করেন। বাবার মৃত্যুর কারণে একাডেমিক শিক্ষার এখানেই সমাপ্তি ঘটে। এরপর শিক্ষক হিমাংশুপ্রকাশ রায়ের সঙ্গে তিনি শান্তিনিকেতনে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সান্নিধ্য লাভ করেন। ১৯০৯ সালে তিনি রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রমে যোগ দেন। মাঝখানে এক বছর তিনি সিটি কলেজের গ্রন্থাগারিক ছিলেন। আবার তিনি শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন। এখানে তিনি শিক্ষক ও গ্রন্থাগারিক পদে কাজ করার পর ১৯২৬ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।
শান্তিনিকেতনে কাজ করতে করতে তিনি রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্য লাভ করেন। তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ হলো চার খণ্ডে রবীন্দ্রনাথের জীবনী রচনা করা। যদিও রবীন্দ্রনাথ জীবনীর মাত্র এক খণ্ড দেখে যেতে পেরেছিলেন।
রবীন্দ্রজীবনী রচনার পাশাপাশি তিনি গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছিলেন। এ বিষয়ে তাঁর কাজ হলো ‘বাংলা গ্রন্থ বর্গীকরণ’ ও ‘বাংলা দশমিক বর্গীকরণ’ বই দুটি। গ্রন্থাগারিক ছিলেন বলে কবিগুরু তাঁকে হাস্যচ্ছলে সম্বোধন করতেন ‘বৈবাহিক’ (বই-বাহিক) বলে।
রবীন্দ্র বিষয়ে তাঁর অন্য বইগুলো হলো রবীন্দ্র গ্রন্থপঞ্জী, রবীন্দ্র জীবনকথা, রবীন্দ্রনাথের চেনাশোনা মানুষ, রবিকথা, শান্তিনিকেতন-বিশ্বভারতী প্রভৃতি। এর বাইরে তিনি ইতিহাস বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। এ বিষয়ক তাঁর বইগুলো হলো ভারতের জাতীয়তা, ভারত পরিচয়, ভারতের জাতীয় আন্দোলন, প্রাচীন ইতিহাসের গল্প, বঙ্গ পরিচয়, ভারত পরিচয়। এসবের পাশাপাশি তিনি চীনের বৌদ্ধ সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করেছেন রবীন্দ্রনাথের অনুপ্রেরণায়। তিনি ১৯৮৫ সালের ৮ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
মার্কিন শিল্পপতি ও স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জন ডি রকফেলার। আধুনিক ব্যবসা ও শিল্পায়নের এই পথিকৃৎ ১৮৩৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জন্মেছিলেন। রকফেলার ছিলেন ছয় ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় এবং পরিবারের বড় ছেলে। তাঁর বাবা ছিলেন ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসক ও তথাকথিত ‘সাপের তেল’ বিক্রেতা
৯ ঘণ্টা আগেধানমন্ডি লেকে এক যুগ আগেও যারা আড্ডা দিতে যেতেন, নিশ্চয়ই তাঁদের নজর এড়ায়নি লালরঙা জাহাজ বাড়িটি। ১৯৯৩-৯৪ সালে ব্যবসায়ী এ কে এম আনোয়ারুল হক চৌধুরী ধানমন্ডির ৫/এ এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়িটির নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘চিশতিয়া প্যালেস’। ১৯৯৬ সালে সাধারণের চলাচলের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন রাস্তা...
১৪ দিন আগেআর্মেনীয় জমিদার আরাতুন ১৮২৫ সালের দিকে ঢাকার ফরাশগঞ্জের শ্যামপুরে একটি দ্বিতল বাড়ি নির্মাণ করে নাম দিয়েছিলেন ‘আরাতুন হাউস’। এর ১০ বছর পর ১৮৩৫ সালের দিকে তিনি বাড়িটি বিক্রি করে দেন ঢাকার বিখ্যাত ব্যবসায়ী রূপলাল দাসের কাছে। নতুন মালিক বাড়িটির নতুন নাম দেন ‘রূপলাল হাউস’।
২০ দিন আগেবোঝাই যাচ্ছে ছবিটি একটি নাপিতের দোকানের। এ-ও বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এটি ব্রিটিশ আমলে তোলা একটি ছবি। কেননা, দোকানের নামটি স্পষ্ট করে ইংরেজিতে লেখা—‘হানিফ বারবার নম্বর ফিফটি নাইন, হেয়ারকাটার অল হেয়ারি থিংস হিয়ার গট’। আর দোকানটির তালাবদ্ধ প্রবেশদ্বারের পাশের দেয়ালে ঝুলছে কতক পরচুলা, যেগুলোর কোনোটির...
২১ দিন আগে