শাহনাজ চৌধুরী

একেবারে ছোটবেলার ঈদটা ছিল অন্যরকম। আমার যখন পাঁচ বা ছয় বছর বয়স, সে সময়ের কথা মনে আছে। আমার আব্বা ওই সময়ে একটা গরু জবাই দিত। গ্রামের মানুষদের মাঝে মাংস বিলিয়ে দিত। আমাদের গ্রামে কোনো ফ্রিজ ছিল না। সব মাংস বিলানোর পরে অধিকাংশ মাংস রান্না করা হতো। আমাদের বাড়িতে দেখতাম অনেক মাংস জ্বাল দিয়ে দিয়ে রাখা হতো। ওইটার একটা অন্যরকম আবেশ ছিল। ঈদ সত্যিই অনেক আনন্দের ছিল।
পুরো বাড়িতে মাংস-মাংস গন্ধ থাকত। কয়েক দিন টানা মাংস খেতাম। এমনও হতো দরিদ্রদের খাওয়ানোর জন্য বাড়িতে বড় পাতিলে খিচুড়ি রান্না করা হতো এবং কলাপাতায় করে খিচুড়ি ও মাংস বণ্টন করা হতো। কী যে ভালো লাগত তখন!
যখন বড় হলাম। বিয়ের পরও আমার ঈদ ওভাবেই চলছে। শ্বশুরবাড়িতে পুরো একটা গরু কোরবানি দেয়। আমার বিয়ে হয়েছে, যখন আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি। সালটা ছিল ১৯৮৩। আমার বিয়ে হয়েছে ভোলায়। শ্বশুরবাড়িতেও ফ্রিজ ছিল না। সেখানেও বাবার বাড়ির মতো ফিল হতো। আমার বাবার বাড়ি ভোলার একটা গ্রামে। আর শ্বশুরবাড়ি ভোলা শহরে।
শহরে কিন্তু গ্রামের মতো অত ভিক্ষুক ও দরিদ্র মানুষ দেখিনি। ছিল সংখ্যায় কম। গরুর মাংস বিলিয়ে দেওয়ার পর সব মাংস রান্না করে কিংবা অল্প মসলা দিয়ে জ্বাল দিয়ে রাখা হতো। ১৯৯২ সালে আমি প্রথম ফ্রিজ কিনি। ওই ফ্রিজ কেনার পর ঈদ আর আগের মতো রইল না। বিলি করে দিচ্ছি। বড় হাঁড়িতে রান্না করছি। কিন্তু বাকি মাংস ফ্রিজে তুলে রাখছি। আগের মতো ঈদের অনুভূতি পাই না। অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। ছোটবেলার ঈদটা অনেক মিস করি।
এখনকার বাচ্চারা তো দেখেও না উঠানে ইট দিয়ে চুলা বানিয়ে অনেক বড় হাঁড়িতে মাংস রান্নার ব্যাপারটা। হয়তো ছোট পাতিলে রান্না হলো। দু-এক দিন মাংস খাওয়া হলো। তারপর মাছ খাওয়া হয়। যেহেতু ফ্রিজে সব মাংস রেখে দেওয়া হয়। আগে সাত দিন পর্যন্ত যেন ঈদ-ঈদ একটা আবেশ থাকত। এখন নেই। আগে ঈদের দুদিন আগে থেকে পেঁয়াজ-রসুন মসলা কাটাকাটি করতাম। তারপর বাটার ব্যবস্থা করতাম। অনেক মসলা লাগত। এখন আগেই মসলা বেটে ফ্রিজে রেখে দিই। আর মাংস কম রান্না হলে এত মসলাও লাগে না।
আগে দেখা যেত, গ্রামে সাত দিন আগেই গরু কিনে ফেলেছে। যারা খাসি কোরবানি দিত, তারাও আগে থেকেই কিনে রাখত। ওই সময়ে গরু ও খাসিকে ঘাস আর খড় খাওয়ানোর বিষয়টাও মজার ছিল। গ্রামে দেখেছি অন্যরাও আমাদের গরু-খাসিকে ঘাস লতাপাতা খাওয়াত। তখন রাত ১০টা মানে অনেক রাত ছিল। সবাই ৭-৮টার মধ্যে ঘুমিয়ে যেত। গরু পাহারা দেওয়ার জন্য আমরা ১০টা-১১টা পর্যন্ত জেগে থাকতাম। গরুকে গোসল করানো, খাওয়ানো বিরাট মজার ছিল। গাছ থেকে ডাল কেটে এনে গরুকে খাওয়াতাম। আম্মা গরুকে ভাতের মাড় খেতে দিত। কিন্তু আমরা মাড়ের সঙ্গে ভাতও দিতাম। মনে হতো, গরুকে সব খেতে দিই। তাহলে সে আরও হৃষ্টপুষ্ট হবে। তখন তো বুঝতাম না গরু ভাত খায় না!
ওই সময় গরুকে সাজানোর বিষয়টাও খুব উপভোগ করতাম। মালা কিনে আনা হতো। আমার তো ইচ্ছে হতো গরুকে জামা কাপড় পরাতে, গরুর ঘরে মশারি টাঙিয়ে দিতে।
এখন আমার ছেলেও কোরবানি খুব উপভোগ করে। সে তো বলে, আমার গ্যারেজে অনেক গরু থাকুক। আমার ছেলে একবার খাসি নিয়ে এসে ঘরের ভেতর রেখেছিল। সে বলছে, খাসি তার সঙ্গে ঘুমাবে। খাসিকে খাটের ওপর রেখেছে। আমি তো দেখে অবাক। তড়িঘড়ি করে নামালাম এবং সিঁড়ির সামনে রাখলাম। কিন্তু সে কিছুতেই খাসিকে বাইরে রাখবে না। তারপর ওয়াশ রুমে রাখতে হলো। দুদিন পর্যন্ত এভাবেই ছিল।

একেবারে ছোটবেলার ঈদটা ছিল অন্যরকম। আমার যখন পাঁচ বা ছয় বছর বয়স, সে সময়ের কথা মনে আছে। আমার আব্বা ওই সময়ে একটা গরু জবাই দিত। গ্রামের মানুষদের মাঝে মাংস বিলিয়ে দিত। আমাদের গ্রামে কোনো ফ্রিজ ছিল না। সব মাংস বিলানোর পরে অধিকাংশ মাংস রান্না করা হতো। আমাদের বাড়িতে দেখতাম অনেক মাংস জ্বাল দিয়ে দিয়ে রাখা হতো। ওইটার একটা অন্যরকম আবেশ ছিল। ঈদ সত্যিই অনেক আনন্দের ছিল।
পুরো বাড়িতে মাংস-মাংস গন্ধ থাকত। কয়েক দিন টানা মাংস খেতাম। এমনও হতো দরিদ্রদের খাওয়ানোর জন্য বাড়িতে বড় পাতিলে খিচুড়ি রান্না করা হতো এবং কলাপাতায় করে খিচুড়ি ও মাংস বণ্টন করা হতো। কী যে ভালো লাগত তখন!
যখন বড় হলাম। বিয়ের পরও আমার ঈদ ওভাবেই চলছে। শ্বশুরবাড়িতে পুরো একটা গরু কোরবানি দেয়। আমার বিয়ে হয়েছে, যখন আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি। সালটা ছিল ১৯৮৩। আমার বিয়ে হয়েছে ভোলায়। শ্বশুরবাড়িতেও ফ্রিজ ছিল না। সেখানেও বাবার বাড়ির মতো ফিল হতো। আমার বাবার বাড়ি ভোলার একটা গ্রামে। আর শ্বশুরবাড়ি ভোলা শহরে।
শহরে কিন্তু গ্রামের মতো অত ভিক্ষুক ও দরিদ্র মানুষ দেখিনি। ছিল সংখ্যায় কম। গরুর মাংস বিলিয়ে দেওয়ার পর সব মাংস রান্না করে কিংবা অল্প মসলা দিয়ে জ্বাল দিয়ে রাখা হতো। ১৯৯২ সালে আমি প্রথম ফ্রিজ কিনি। ওই ফ্রিজ কেনার পর ঈদ আর আগের মতো রইল না। বিলি করে দিচ্ছি। বড় হাঁড়িতে রান্না করছি। কিন্তু বাকি মাংস ফ্রিজে তুলে রাখছি। আগের মতো ঈদের অনুভূতি পাই না। অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। ছোটবেলার ঈদটা অনেক মিস করি।
এখনকার বাচ্চারা তো দেখেও না উঠানে ইট দিয়ে চুলা বানিয়ে অনেক বড় হাঁড়িতে মাংস রান্নার ব্যাপারটা। হয়তো ছোট পাতিলে রান্না হলো। দু-এক দিন মাংস খাওয়া হলো। তারপর মাছ খাওয়া হয়। যেহেতু ফ্রিজে সব মাংস রেখে দেওয়া হয়। আগে সাত দিন পর্যন্ত যেন ঈদ-ঈদ একটা আবেশ থাকত। এখন নেই। আগে ঈদের দুদিন আগে থেকে পেঁয়াজ-রসুন মসলা কাটাকাটি করতাম। তারপর বাটার ব্যবস্থা করতাম। অনেক মসলা লাগত। এখন আগেই মসলা বেটে ফ্রিজে রেখে দিই। আর মাংস কম রান্না হলে এত মসলাও লাগে না।
আগে দেখা যেত, গ্রামে সাত দিন আগেই গরু কিনে ফেলেছে। যারা খাসি কোরবানি দিত, তারাও আগে থেকেই কিনে রাখত। ওই সময়ে গরু ও খাসিকে ঘাস আর খড় খাওয়ানোর বিষয়টাও মজার ছিল। গ্রামে দেখেছি অন্যরাও আমাদের গরু-খাসিকে ঘাস লতাপাতা খাওয়াত। তখন রাত ১০টা মানে অনেক রাত ছিল। সবাই ৭-৮টার মধ্যে ঘুমিয়ে যেত। গরু পাহারা দেওয়ার জন্য আমরা ১০টা-১১টা পর্যন্ত জেগে থাকতাম। গরুকে গোসল করানো, খাওয়ানো বিরাট মজার ছিল। গাছ থেকে ডাল কেটে এনে গরুকে খাওয়াতাম। আম্মা গরুকে ভাতের মাড় খেতে দিত। কিন্তু আমরা মাড়ের সঙ্গে ভাতও দিতাম। মনে হতো, গরুকে সব খেতে দিই। তাহলে সে আরও হৃষ্টপুষ্ট হবে। তখন তো বুঝতাম না গরু ভাত খায় না!
ওই সময় গরুকে সাজানোর বিষয়টাও খুব উপভোগ করতাম। মালা কিনে আনা হতো। আমার তো ইচ্ছে হতো গরুকে জামা কাপড় পরাতে, গরুর ঘরে মশারি টাঙিয়ে দিতে।
এখন আমার ছেলেও কোরবানি খুব উপভোগ করে। সে তো বলে, আমার গ্যারেজে অনেক গরু থাকুক। আমার ছেলে একবার খাসি নিয়ে এসে ঘরের ভেতর রেখেছিল। সে বলছে, খাসি তার সঙ্গে ঘুমাবে। খাসিকে খাটের ওপর রেখেছে। আমি তো দেখে অবাক। তড়িঘড়ি করে নামালাম এবং সিঁড়ির সামনে রাখলাম। কিন্তু সে কিছুতেই খাসিকে বাইরে রাখবে না। তারপর ওয়াশ রুমে রাখতে হলো। দুদিন পর্যন্ত এভাবেই ছিল।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১৩ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

পুরো বাড়িতে মাংস-মাংস গন্ধ থাকত। কয়েক দিন টানা মাংস খেতাম। আগে সাত দিন পর্যন্ত যেন ঈদ-ঈদ একটা আবেশ থাকত। এখন নেই।পুরো বাড়িতে মাংস-মাংস গন্ধ থাকত। কয়েক দিন টানা মাংস খেতাম। আগে সাত দিন পর্যন্ত যেন ঈদ-ঈদ একটা আবেশ থাকত। এখন নেই।
১০ জুলাই ২০২২
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

পুরো বাড়িতে মাংস-মাংস গন্ধ থাকত। কয়েক দিন টানা মাংস খেতাম। আগে সাত দিন পর্যন্ত যেন ঈদ-ঈদ একটা আবেশ থাকত। এখন নেই।পুরো বাড়িতে মাংস-মাংস গন্ধ থাকত। কয়েক দিন টানা মাংস খেতাম। আগে সাত দিন পর্যন্ত যেন ঈদ-ঈদ একটা আবেশ থাকত। এখন নেই।
১০ জুলাই ২০২২
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১৩ ঘণ্টা আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

পুরো বাড়িতে মাংস-মাংস গন্ধ থাকত। কয়েক দিন টানা মাংস খেতাম। আগে সাত দিন পর্যন্ত যেন ঈদ-ঈদ একটা আবেশ থাকত। এখন নেই।পুরো বাড়িতে মাংস-মাংস গন্ধ থাকত। কয়েক দিন টানা মাংস খেতাম। আগে সাত দিন পর্যন্ত যেন ঈদ-ঈদ একটা আবেশ থাকত। এখন নেই।
১০ জুলাই ২০২২
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১৩ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

পুরো বাড়িতে মাংস-মাংস গন্ধ থাকত। কয়েক দিন টানা মাংস খেতাম। আগে সাত দিন পর্যন্ত যেন ঈদ-ঈদ একটা আবেশ থাকত। এখন নেই।পুরো বাড়িতে মাংস-মাংস গন্ধ থাকত। কয়েক দিন টানা মাংস খেতাম। আগে সাত দিন পর্যন্ত যেন ঈদ-ঈদ একটা আবেশ থাকত। এখন নেই।
১০ জুলাই ২০২২
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১৩ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে