Ajker Patrika

গাসসানের কবিতার বিষয়বস্তু

ইজাজুল হক
গাসসানের কবিতার বিষয়বস্তু

আগের পর্বেই বলা হয়েছে, গাসসান সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে ফিলিস্তিনি-জর্ডানি কবি মুহাম্মাদ আজ-জাহিরের (১৯৫২-২০২০) সঙ্গে যৌথকাব্য রচনার মাধ্যমে তাঁর কবিতাজীবন শুরু করেন। ‘দেশের হালচাল’ নামের কাব্যগ্রন্থটি ১৯৭৭ সালে ‘জর্ডানিয়ান রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন’ প্রকাশ করে। সেই সংকলনে আমরা তাঁদের যৌথ কর্মপ্রয়াস, কাছাকাছি সুর-ছন্দ, একই ধরনের কাব্যছাপ এবং ফিলিস্তিনি সাহিত্যের থিমের সঙ্গে পরিচিত হই—যেমনটি আধুনিক ফিলিস্তিনি কবিতার উৎকর্ষের সময়টিতে বিপুলসংখ্যক কবিদের দেখতে পাই। 

এসব থিম, ছন্দ, ছাপ ও কবিতার শরীর নির্মাণের পদ্ধতি ভালোভাবেই উপস্থিত রয়েছে তাঁর পরবর্তী কাব্য সংকলন ‘প্রত্যুষ’-এ। বইটি সত্তরের দশকের শেষদিকে জর্ডান থেকে প্রকাশিত হয়। ফলে এটিও একই সময়ের একই চিত্র ফুটিয়ে তোলে। শরণার্থীশিবির, পরদেশি জীবন, দেশান্তর, মৃত্যু, গেরিলা যুদ্ধ ও প্রতিরোধ, যা ১৯৬৭ সালের পরাজয়ের পর প্রায় দুই দশক ধরে চলা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যুদ্ধের তীব্রতার সময় ফিলিস্তিনি সাহিত্যের মূল প্রতিপাদ্য ছিল। গাসসান সে কথাই বলেছেন এভাবে—

‘গেরিলারা আমাকে ক্যাম্পের চায়ের গল্প বলে
এবং স্বপ্ন বিস্ফোরণের...
আমি নিজেকে আবিষ্কার করিনি
ক্যাম্পই আমাকে কবি বানিয়ে ছাড়ে...
ফিলিস্তিনিদের পরিচয়-তিলক তো এই ক্যাম্পই
কত কিছু ঘটে চলে, তাই আমি শুরু করি।’

গাসসানের কবিতায় মাহমুদ দারবিশের ভাষাশৈলীর স্পষ্ট ছাপ আমরা দেখতে পাই। কবিতার ভিত, বাক্যশৈলী, ছন্দ ও অলংকার—সব দিক থেকেই। ফিলিস্তিনি মানসের উর্বরতা, মুক্তির আকাঙ্ক্ষা, আত্মোৎসর্গের প্রেরণা এবং বীরত্বের সংজ্ঞায় টইটম্বুর সেই পদ্যগুলো। দারবিশের মতো গীত-নাটকীয়তার সঙ্গে দুঃখগাথার অপূর্ব মিথস্ক্রিয়ায় নির্মিত হতে থাকে গাসসানের কবিতার ভুবন। গাসসান বলেন—

‘এবং সে সাগরে আসে—আরিহায় কলা চাষ করবে বলে
এ মাটি তো ফলায় কেবল 
কবিতা ও রক্তের ফসল
এ মাটি প্রত্যুষে জন্ম দেয় ফুটফুটে এক বাচ্চা
এবং সন্ধ্যায় সে ঘরে ফেরে শহীদ হয়ে।’ 

 ইসরায়েলের দখলদারির কারণে অনেকের মতো কবি গাসসানকেও এভাবেই ফিলিস্তিন ছাড়তে হয়এ কবিতা দারবিশের দুই কাব্যগ্রন্থ ‘ভালোবাসি তোমাকে অথবা ভালোবাসি না’ এবং ‘প্রয়াস নম্বর ৭ ’-এর কথা মনে করিয়ে দেয়। নির্দিষ্ট করে বললে ‘ক্যাফেটেরিয়ায় কফি খায় সিরহান’ কবিতার কথা মনে করিয়ে দেয়, যা দারবিশের কবিতা এবং গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের ফিলিস্তিনি কবিতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট ছিল। গাসসানের ‘পুরোনো কারণ’ কাব্যেও এই ছাপ অনেকটা পাওয়া যায়। এই পর্যায়ে এসে তিনি দারবিশের বাক্যেরই প্রতিধ্বনি করেন—

‘মা গো
শহরগুলো আমাকে তাড়াতে পারেনি
বরং আমি আমার শিরায়-শিরায় শহরগুলোকে ছড়িয়ে দিই।’ 

চির নির্বাসিত ফিলিস্তিনিদের ভবঘুরে জীবনের কাতর অভিব্যক্তি প্রকাশ করেই গাসসান এ কথা বলেন। 

দুই. 
দারবিশের প্রভাব এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সাহিত্যের স্পষ্ট ছাপ থাকা সত্ত্বেও গাসসানের কবিতায় আমরা ‘পুরোনো কারণ’ কাব্য থেকে শুরু করে পরবর্তী কবিতাগুলোতে আরবি ও বিশ্বসাহিত্যের নানা স্বাদের কবিতাশৈলীর নতুন ছাপ প্রত্যক্ষ করি। গদ্য কবিতার প্রভাব, এর ভাষাকাঠামো, আকস্মিক সূচনা, বিষয়বস্তুর অভিনবত্ব, সাধারণ চালচিত্র, বর্ণনামূলক উপস্থাপনা, দৈনন্দিন জীবনের হালচাল, অন্তরঙ্গতা, ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখ, অদ্ভুত ও আনকোরা বিষয়ের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার যে প্রবণতা আধুনিক কবিতায় দেখা যায়, তা গাসসানের কবিতায়ও অবাধে প্রবেশ করে। গাসসানের কবিতার রং যেভাবেই বদলাক না কেন, কিংবা গদ্যের কথাই বলুন, তিনি এ ধাঁচের গভীরে ঢুকে পড়েন। তিনি বলেন—

‘এটি গির্জার ঘণ্টা নয় যে বাজবে...
এটি সেই তামা
পুরুষের শিরা থেকে বেরিয়ে 
যা মিলিত হয় 
খনিজ পদার্থদের মিছিলে।’ 

অথবা বলেন—

‘আমাদের নিগ্রো প্রতিবেশী টাঙিয়েছে
ভারী পর্দা 
ফলে আমরা আর দেখতে পাই না
কাপড়ের থান থেকে 
কীভাবে বেরোয় আবলুস কাঠ।’ 

এসব প্রভাব গাসসান জাকতানের কবিতাকে আরও পরিণত-মার্জিত করে তোলে; কবিতার বিষয়বস্তুকে করে আরও সুনির্দিষ্ট-মূর্ত এবং অনুভবের কাছাকাছি। 

তিন. 
এখান থেকেই, ‘বস্তুর বীরত্বগাথা’ কাব্যের মাধ্যমে গাসসানের স্পষ্ট বাঁক প্রতিভাত হয়। ১৯৮২ সালে পিএলওর বৈরুত ছেড়ে যাওয়ার পর, কবি নিজের ও ফিলিস্তিনিদের ক্ষতি ও বিপর্যয় বিষয়ে কবিতা রচনায় আরও পরিপক্ব হয়ে ওঠেন। ‘বস্তুর বীরত্বগাথা’ কাব্যের যে শিরোনাম কবি দিয়েছেন, তা হয়তো তাঁর পাঠকের সেই কবিতাশৈলীতে প্রবেশের একটি প্রান্ত, যা প্রকৃতির উপাদান, যুদ্ধের স্মৃতি, রণাঙ্গনের বীরপুরুষ, পরাজয় ও ক্ষতির জন্য বিলাপ করে। কবি বলেন—

‘আঙুল তুলে দেখায় সে আমাদের…
এই যে, এখান থেকে…
পরক্ষণেই সে বাড়ি ও বিস্ফোরণের ধ্বংসস্তূপে অদৃশ্য হয়
আঙুল রাখে দেয়ালের শূন্যে
আমাদের দেখায়
এই যে, এখান থেকে
এখান থেকে।’ 

অন্য স্থানে গাসসান বলেন—

‘সবকিছু আগের মতোই আছে
যখন থেকে আমরা যুদ্ধে গিয়েছি
সেই শৈশব থেকে…

সবকিছু আগের মতোই আছে
পাল্টায়নি মোটেও, 
শুধু আমরাই
আমরাই ঝাঁপিয়ে পড়েছি যুদ্ধে
ইশকুলের ঘণ্টাধ্বনি শুনে...

এর পর কোনো দিন ফিরে আসিনি…’

এটি তাঁর কবিতাকে প্রকৃতির উপাদান ও বিশ্ববাস্তবতার সঙ্গে দৃঢ়ভাবে যুক্ত করে একটি দৃঢ়, স্বচ্ছ ও গভীর কাব্যিক রূপ দেয়। 

চার. 
গাসসানের পরবর্তী কাব্যগ্রন্থের বিষয়বস্তুতে প্রথম পর্যায়ের থেকে কিছুটা বিষণ্নতা দেখা যায়। আগে তিনি অন্যদের জীবন ও অভিজ্ঞতার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন, ব্যক্তির বীরত্বগাথা চিত্রিত করেছিলেন এবং ব্যক্তিজীবনের বাইরের বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। পরবর্তী পর্যায়ে এসে কবি নিজের অভিজ্ঞতার উৎকর্ষ সাধনে সচেষ্ট হন। নিজের গভীরে ডুব দিয়ে আত্মানুসন্ধানের চেষ্টা করেছেন। একান্ত ব্যক্তিগত অতীতে ফিরতে চেয়েছেন। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সেসব স্মৃতিকে পাঠকের সামনে পরিবেশন করেছেন। এই পর্যায় থেকে জাকতানের কাব্যিক অভিযাত্রা ব্যক্তিগত স্মৃতিকে ঘিরে নতুন মাত্রা পায়। জন্ম, শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলোর কথা তিনি স্মরণ করেছেন। 

জন্মের পর থেকে যেসব স্থানে পাড়ি দিয়েছেন এবং যেসব স্থান থেকে বিতাড়িত হয়েছেন, তাঁর সেই জন্মস্থান—বেইত জালা, ১৯৪৮ সালে নাকাবার (ইহুদিদের দ্বারা বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় থেকে ফিলিস্তিনিরা নাকাবা দিবস পালন করে) পর তাঁর পরিবার যেখানে আশ্রয় নিয়েছিল—প্রথমে ফিলিস্তিনের জেরিকো শহরের পাশের শরণার্থীশিবির, এর পর জর্ডানের আল-কারামাহ শরণার্থীশিবির, এর পর দামেস্ক, বৈরুত ও তিউনিসিয়ার দিনগুলোর কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেছেন কবিতায়। প্রথম নাকাবার পর থেকে, লাগাতার ছুটে চলা একজন ফিলিস্তিনি মুসাফিরের সংগ্রামের বিভিন্ন দিক ফুটে ওঠে তাঁর কবিতায়। একসময় তা আজকের ধূসর অজানার পথে অবিরাম ছুটতে থাকা বর্তমানের বিন্দুও স্পর্শ করে নেয়। তিনি বলেন—

‘যেন আমিই এটি প্রস্তুত করেছি
এবং আগেও, কোনো এক সময় এই স্থান আমি স্পর্শ করেছি
এবং স্পর্শ করেছি এই প্রতিধ্বনি
যেন সতত দেখছি আমি, ফেলে আসা দিনগুলো…’

জর্ডানের এমনই এক শরণার্থী শিবিরে বেড়ে ওঠেন কবি গাসসান জাকতানএভাবেই কবি ‘আমার কারণে নয়’ কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতায় ফেলে আসা অতীতের স্মৃতিচারণ করেছেন। এই বিলাপধ্বনিতে পরিবর্তন আসে ‘ভাইদের ডাকে পথচারীরা’ কাব্যগ্রন্থে, যা ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়। তাঁর শোনা সেই প্রতিধ্বনি বাঁক নেয় মৃত্যু উপত্যকা ভ্রমণে, মৃতদেহগুলোর আর্তনাদ পুনরুদ্ধার করতে। 

‘ভাইদের ডাকে পথচারীরা’ কাব্যে মৃতদের মধ্যস্থতায় স্মৃতির জগতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন গাসসান। তিনি লিখেছেন—

‘নরোম খেজুরের শরীর থেকে
বীজ বের করার মতো করে 
তারা হৃদয়ের ভাঁজ খুলে 
স্মৃতি বের করে।’ 

আঁধারের চাদরে ঢাকা কোনা থেকে 
ময়লা সরাতে তারা শুরু করে স্মৃতিযাপন…।’ 

গাসসান এখানে ক্লান্ত হন। নিঃশেষ হয়ে আসা স্বপ্ন ও ইচ্ছেগুলো আঁকতে শুরু করেন এবার। মৃতদের স্থান-কালকে চিত্রিত করেন। স্মৃতির বিবর্ণ জগৎকে স্মরণ করেন। শুরুর সঙ্গে শেষকে মিলিয়ে নেন। এখানে নির্বাসন ও দেশান্তরের প্রতিধ্বনি শোনা যায় অত্যন্ত দ্ব্যর্থহীনভাবে। এ কাব্যগ্রন্থের ‘কল্পনার বিবর্তন’ কিংবা ‘ঈষৎ পরিবর্তন’-এর মতো কবিতাগুলো সাধারণভাবে মৃতদের অতীত জীবনের স্মৃতিচারণ জাতীয় কবিতার অন্তর্ভুক্ত। আমরা কবির সঙ্গেই আছি—এমন আবহ এনে তিনি প্রাত্যহিক জীবনের কোলাহলে ডুব দিয়ে এবং মৌলিক ও সর্বজনীন সমস্যাগুলোর পেছনে সময় কাটিয়ে, অতীতের অবহেলা ও বৈষম্যগুলো জানতে পথে পথে ঘোরেন। অতীতের ধূসর স্মৃতি এবং অস্পষ্ট ঘটনায় ফিরে যান তিনি। সেসবকে সাগরসেঁচা মুক্তোর মতো করে তুলে আনেন, এবং ইচ্ছেমতো সাজান কবিতার পরতে পরতে। তাতে তাঁর কবিতার চূড়ান্ত উদ্দেশ্য প্রতিভাত হয়; প্রকাশিত হয় তাঁর কাব্যপ্রতিভার হাড়-মাংস। 

পাঁচ. 
২০১৯ সালে প্রকাশিত গাসসানের কবিতার বই ‘কথা বলো হে পথিক কথা বলো’-তেও তিনি অতীতের স্মৃতিযাপন অব্যাহত রাখেন। ব্যক্তিগত জীবন, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর হালচাল এবং আরবদের উত্থান-পতনের আলাপ করেছেন অত্যন্ত নির্মোহভাবে। এ কাব্যগ্রন্থে যে পথিককে সম্বোধন করেছেন তিনি, তা গাসসানের ভিন্ন একটি রূপ। সেই পথিক নিজের পরিচয় হারিয়ে ভবঘুরের মতো ঘুরতে থাকে মরুর বালুকাবেলায়। কবি নিজেকে কাছে ডাকেন এবং জেগে ওঠার আহ্বান জানান। তিনি বলেন—

‘এখানে একটু থামো
হে পথিক
মোটেও জানতে চাইব না কী নাম তোমার 
কিংবা কোথায় তোমার গন্তব্য। 

শুধু একবার এ মোমের আলোয় বসো
তোমার জন্যই জ্বালিয়েছি তা
তোমার হারানো অতীত স্মরণ করিয়ে দিতে। 

কথা বলো, কথা বলো
কথা বলো হে পথিক, কথা বলো
ফিরে পেতে চাই আমি
ধুলোওড়া মরুঝড়ে ছিনতাই হওয়া
আমার দরাজ কণ্ঠস্বর।’ 

এ গ্রন্থে জেগে ওঠার প্রেরণার পাশাপাশি তাঁর কণ্ঠে হতাশার ছাপও আমরা দেখতে পাই। শেষে এসে পথিক তথা নিজেকে গাসসান এমন এক প্রশ্ন করে বসেন, যার উত্তর সম্ভবত এই পৃথিবীর কারও জানা নেই; কিংবা সবার জানা। তিনি বলেন—

‘কীভাবে তোমাকে পথ দেখাব, হে পথিক? 
তোমার গন্তব্য যে অনেক দূরে 
এবং তোমার পথ বেশ বন্ধুর!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রমনা কালীবাড়ি বধ্যভূমি

সম্পাদকীয়
রমনা কালীবাড়ি বধ্যভূমি

বর্তমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। ইংরেজ আমলে এই মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শনার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় ৫০০ বছর আগে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়াটি কাঠঘর নামে পরিচিত ছিল।

পরে সম্ভবত ১৭ শতকের প্রথম দিকে এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালীবাড়ি মন্দিরটি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের সেবায়েতসহ প্রায় ১০০ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হন। যদিও এখন বধ্যভূমির কোনো চিহ্ন নেই। তবে সেটাকে বধ্যভূমি হিসেবে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ছবি: সংগৃহীত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আমাদের অর্জন অনেক

সম্পাদকীয়
আমাদের অর্জন অনেক

...এটা অনস্বীকার্য যে আমরা বিজয়ী। আমরা জয়ী আর শোষকেরা পরাজিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্ন সামনে রেখেই, তাঁদের ত্যাগকে স্বীকার করেই আমরা সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলেছিলাম, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার নির্ধারণ করবে।

এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না। কিন্তু বর্তমানে এটা কী হচ্ছে? যদি বলি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগোচ্ছে না, তাহলে সেই না এগোনোর কারণটা কী, তা নিয়ে কেন অর্থপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না? আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন আকারেই উত্থাপন করছি। আমাদের অর্জন অনেক। আজ আমাদের গার্মেন্টসশিল্প বিশ্বে তৃতীয়। আমরা খুব দ্রুত দ্বিতীয় বা প্রথমের কাতারে চলে যাব। আমাদের লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিদেশে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। প্রতিবছর কৃষির উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এসবের পরেও কী হচ্ছে? বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।

... পাকিস্তানিদের কথা আর কী বলব! আক্ষরিক অর্থেই তারা তখন আমাদের পা ধরেছিল। ‘তোমরা এদের ছেড়ে দাও, আমরা নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে এদের বিচার করব।’ ১৯৫ জনকে আমরা চিহ্নিত করি তখন। বঙ্গবন্ধু তখন রাশিয়াতে ছিলেন, তারা সেখানে বঙ্গবন্ধুর কাছে লোক পাঠিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, ‘আপনারা যদি এ বিচার করেন তাহলে ভুট্টোর কল্লা থাকবে না। আমাদের কাছে ফেরত দিন, আমরা এদের বিচার করব।’ এটা সে সময় ‘লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। একেবারে তারা আন্ডারটেকিং দিয়েছে, ‘ছেড়ে দিন, আমরা বিচার করব। আর কোনো সাক্ষী লাগলে তোমাদের ডেকে পাঠানো হবে।’ শিল্পকলা একাডেমির যে বিল্ডিং ভেঙে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট হয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে ভর্তি ছিল স্টেটমেন্টগুলো। এগুলো কী হয়েছে, কে গুম করেছে, আমি জানি না। এর মধ্যে অনেক সরকার এসেছে, গেছে। তবে আমরা খুব পরিশ্রম করেই এগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।

সূত্র: শারমিনুর নাহার কর্তৃক ড. কামাল হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ; ‘সময় সমাজ ও রাজনীতির ভাষ্য’, পৃষ্ঠা: ৩১-৩২।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এবার অক্সফোর্ডের বর্ষসেরা শব্দ ‘রেজ বেইট’—এর অর্থ কী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেটে স্ক্রল করতে করতে এমন কিছু কনটেন্ট হঠাৎই চোখে পড়ে, যা দেখে মনে হয়—ইচ্ছে করেই আপনাকে রাগীয়ে তুলতে চাইছে! এই ধরনের প্ররোচনামূলক উপাদানকেই বলা হয় ‘রেজ বেইট’। অনলাইন দুনিয়ায় এর ব্যাপক বিস্তার ও প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে অক্সফোর্ড ডিকশনারি ২০২৫ সালের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে এই শব্দটিকেই বেছে নিয়েছে।

অক্সফোর্ড জানিয়েছে, চলতি বছর ‘রেজ বেইট’ শব্দের ব্যবহার তিন গুণ বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, মানুষ এখন আগের চেয়ে দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যালগরিদম প্রভাবিত বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে। ক্ষুদ্র কোনো বিষয়ও মুহূর্তের মধ্যে রাগ, ক্ষোভ ও বিভাজন তৈরি করছে—যা মূলত এনগেজমেন্ট বাড়ানোর কৌশল।

‘রেজ বেইট’ সব সময় যে বিপজ্জনক হবে, এমন নয়। কখনো এটি হতে পারে অদ্ভুত কোনো রেসিপি বা এমন ভিডিও যেখানে কেউ নিজের পোষা প্রাণী বা পরিবারের সদস্যকে মজার ছলে বিরক্ত করছে। তবে রাজনীতি ও জনপরিসরেও এখন এটি শক্তিশালী হাতিয়ার। কারণ প্ররোচিত ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ার ঢেউ অনেক সময়ই রাজনৈতিক প্রচারণাকে আরও উসকে দেয়।

শুধু অক্সফোর্ড নয়, প্রায় সব বড় অভিধানই এবার ইন্টারনেট-সম্পর্কিত শব্দকেই ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে বেছে নিয়েছে। এবার কলিন্স ডিকশনারির বেছে নেওয়া শব্দটি হলো ‘ভয়েস কোডিং’। যেখানে এআই ব্যবহার করে মানুষের ভাষাকে কম্পিউটার কোডে রূপান্তর করা হয়। অন্যদিকে ক্যামব্রিজ ডিকশনারি বেছে নিয়েছে ‘প্যারাসোশ্যাল’ শব্দটি, যা অনলাইনে অপরিচিত কারও সঙ্গে গড়ে ওঠা একতরফা সম্পর্ককে নির্দেশ করে।

গত বছর (২০২৪) অক্সফোর্ড বেছে নিয়েছিল ‘ব্রেইন রট’ শব্দটি, যা ছিল মূলত অবিরাম স্ক্রলিংয়ে মানসিক ক্লান্তির রূপকার্থ। অক্সফোর্ড ল্যাংগুয়েজেসের প্রেসিডেন্ট ক্যাসপার গ্র্যাথওহলের মতে, ‘রেজ বেইট’ এবং ‘ব্রেন রট’—দুটি শব্দই দেখায় কীভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আমাদের চিন্তা ও আচরণকে বদলে দিচ্ছে। একটি প্ররোচিত রাগ বাড়ায়, অন্যটি সেই রাগের মধ্যেই মানুষকে আবিষ্ট রাখে।

এ বছর অক্সফোর্ড সাধারণ মানুষের ভোটে ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচন করেছে। সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল আরও দুটি শব্দ—‘অরা ফার্মিং’ ও ‘বায়োহ্যাক’। আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব তৈরি করার কৌশলকে বোঝাতে ‘অরা ফার্মিং’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়, আর শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বাড়াতে জীবনযাপনে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘বায়োহ্যাক’।

শেষ পর্যন্ত ‘রেজ বেইট’ শব্দটিই জিতেছে—যে শব্দের মধ্য দিয়ে আজকের অনলাইন জীবনের রাগ, প্রতিক্রিয়া এবং ক্লান্তির বাস্তবতা সবচেয়ে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাষ্ট্রীয় সংস্কার করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জেমস গারফিল্ড। ছবি: ব্রিটানিকা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জেমস গারফিল্ড। ছবি: ব্রিটানিকা

উনিশ শতকের শেষভাগে মার্কিন ইতিহাসে এক ট্র্যাজিক অধ্যায় রচনা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জেমস এ. গারফিল্ড। ১৮৮১ সালের মার্চ মাসে শপথ গ্রহণের মাত্র চার মাসের মাথায় তিনি আততায়ীর গুলিতে আহত হন। পরবর্তীকালে চিকিৎসকের চরম অবহেলা ও অজ্ঞতার শিকার হয়ে সেপসিসে (সংক্রমণ) ভুগে মারা যান। সেই মর্মান্তিক ঘটনা, গারফিল্ডের জীবন ও তাঁর উত্তরাধিকার নিয়ে এবার নেটফ্লিক্স-এ আসছে চার পর্বের ড্রামা সিরিজ, ‘ডেথ বাই লাইটনিং’।

প্রেসিডেন্টের উত্থান ও প্রগতিশীল এজেন্ডা

১৮৮০ সালে আমেরিকা এক কঠিন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েছিল। সদ্য দাসপ্রথা বিলুপ্তির পর আফ্রিকান-আমেরিকানরা কি নাগরিক হিসেবে পূর্ণ অধিকার পাবেন? নাকি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সরকারি চাকরি বণ্টনের সেই দীর্ঘদিনের দুর্নীতিগ্রস্ত ‘পচে যাওয়ার ব্যবস্থা’ অব্যাহত থাকবে? রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে ওহাইও-এর জনপ্রিয় কংগ্রেসম্যান জেমস গারফিল্ড এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার আহ্বান জানান। দারিদ্র্য থেকে উঠে আসা, গৃহযুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব দেখানো এই কমান্ডার নভেম্বরে দেশের ২০ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে গারফিল্ড উচ্চাভিলাষী এজেন্ডা নিয়ে কাজ শুরু করেন। এর মধ্যে ছিল: মার্কিন নৌবাহিনীর আধুনিকীকরণ, লাতিন আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানো এবং বিশেষত নাগরিক অধিকারের পক্ষে জোরালো সওয়াল করা। তিনি সাবেক ক্রীতদাস ফ্রেডরিক ডগলাসকে ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার রেকর্ডার অব ডিডস পদে নিযুক্ত করেন। একজন আফ্রিকান-আমেরিকানের জন্য প্রথম সারির একটি কেন্দ্রীয় পদ পাওয়ার বিরল ঘটনা ছিল এটি।

হত্যার নেপথ্যে

১৮৮১ সালের ২ জুলাই ওয়াশিংটন ডিসি-র রেলওয়ে স্টেশনে চার্লস এল. গুইটো নামক এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি গারফিল্ডকে গুলি করে। গুইটো তার জীবনকাল ধরে একজন ব্যর্থ আইনজীবী, সাংবাদিক, ধর্মপ্রচারক এবং ফ্রি লাভ কমিউনের সদস্য হিসেবে এক ব্যর্থ অ্যাকটিভিস্ট ছিলেন। তা সত্ত্বেও, তিনি বিশ্বাস করতেন, ঈশ্বর তাকে মহৎ উদ্দেশ্যের জন্য সৃষ্টি করেছেন। গারফিল্ডের মনোনয়নের পর তিনি তাঁর সমর্থনের বিনিময়ে প্যারিসে গুরুত্বপূর্ণ কনস্যুলার পদ দাবি করে হোয়াইট হাউসে ধরনা করতেন। প্রেসিডেন্ট ‘প্যাট্রোনেজ সিস্টেম’-এর ঘোর বিরোধী হওয়ায় তাঁকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরই গুইটো সিদ্ধান্ত নেন—গারফিল্ডকে হত্যা করে ভাইস প্রেসিডেন্ট চেস্টার এ. আর্থারকে ক্ষমতায় আনার ‘ঈশ্বর প্রদত্ত নির্দেশ’ তাঁর ওপর বর্তেছে।

আসল খুনি কে?

লেখক ক্যান্ডিস মিলার্ড তাঁর বেস্ট সেলিং বই ডেসটিনি অব দ্য রিপাবলিক-এ তুলে ধরেছেন, গারফিল্ডের মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল চিকিৎসার চরম অব্যবস্থা। ড. উইলফ্রেড ব্লিস নামক দাম্ভিক চিকিৎসক গারফিল্ডের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। তিনি ব্রিটিশ সার্জন জোসেফ লিস্টার কর্তৃক প্রবর্তিত আধুনিক অ্যান্টিসেপটিক পদ্ধতিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেন। ব্লিস জীবাণুমুক্ত নয় এমন যন্ত্র এবং খালি হাত ব্যবহার করে প্রেসিডেন্টের মেরুদণ্ডের কাছে থাকা গুলিটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। এর ফলে সংক্রমণ (সেপসিস) ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি, গুলি খুঁজতে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল তাঁর সদ্য আবিষ্কৃত প্রারম্ভিক মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করেছিলেন, কিন্তু ব্লিসের অসহযোগিতার কারণে সেটিও ব্যর্থ হয়। শট নেওয়ার প্রায় আশি দিন পর প্রেসিডেন্ট মারা যান এবং এই মৃত্যুর সম্পূর্ণ দায় ড. ব্লিসের ওপর বর্তায়।

রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও গারফিল্ডকে নিউইয়র্কের প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর রোসকো কনকলিং-এর বিরোধিতা মোকাবিলা করতে হয়েছিল। কনকলিং প্যাট্রোনেজ সিস্টেমের সমর্থক ছিলেন এবং গারফিল্ডের প্রগতিশীল ভাবধারা পছন্দ করতেন না। মাকোভস্কি বিবিসিকে জানান, এই সিরিজের মূল আকর্ষণ হলো ইতিহাসের সেই ‘যদি’ প্রশ্নটি—যদি প্রেসিডেন্ট গারফিল্ড বেঁচে থাকতেন, তবে তিনি হয়তো আমেরিকার অন্যতম সেরা প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন। মাকোভস্কির মতে, ‘গারফিল্ডের অসাধারণ মেধা ছিল। তাঁকে যে আজ ইতিহাসে একটি অস্পষ্ট পাদটীকা হিসেবে স্থান দেওয়া হয়, তা এক ট্র্যাজেডি।’

অভিনেতা মাইকেল শ্যানন গারফিল্ডের ‘ঐশ্বর্য ও মর্যাদা, বিশেষ করে তাঁর শালীনতা’ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন লেখক মিলার্ড।

গারফিল্ডের উত্তরাধিকার ও আইন সংস্কার

মাত্র ৪৯ বছর বয়সে গারফিল্ডের মৃত্যু পুরো জাতিকে নাড়িয়ে দেয় এবং দেশজুড়ে সরকারি চাকরি সংস্কারের দাবি জোরালো হয়। জনগণের ক্ষোভের কারণেই ভাইস প্রেসিডেন্ট চেস্টার এ. আর্থার, যিনি একসময় প্যাট্রোনেজ সিস্টেমের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তিনিই ১৮৮৩ সালে ‘পেন্ডলটন অ্যাক্ট’-এ স্বাক্ষর করেন। এই আইনের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে ‘যোগ্যতা-ভিত্তিক’ নিয়োগের নীতি শুরু হয়, যা মার্কিন সরকারি আমলাতন্ত্রের পেশাদারি নিশ্চিত করার পথ দেখায়। এইভাবে, এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড আমেরিকার শাসনব্যবস্থার ইতিহাসে এক স্থায়ী প্রগতিশীল পরিবর্তন এনে দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত