মন্টি বৈষ্ণব

রাজশাহীর মেয়ে শবনম রেজা মিতু। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মিতু ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজশাহীতে। মিতু পড়ালেখা করেছেন রাজশাহীর নবাবগঞ্জ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে। এর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মনোবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন।
জীবন প্রবাহের অনেক ঘটনাচক্রের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ মিতু সফল নারী উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ‘কল্প বসন’। ২০১৪ সাল থেকেই মিতুর ইচ্ছা ছিল একটা বুটিক হাউস দেওয়ার। কিন্তু বিয়ে-সংসারের কাজের চাপে সে ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। আর দিন শেষে মিতুর পরিচয় গিয়ে দাঁড়ায় একজন গৃহিণী হিসেবে। সেই বুটিক হাউস থেকে যায় কল্পজগতেই। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। দৃঢ়তা থাকলে সবই বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব। মিতুর ‘কল্প বসন’ তারই প্রমাণ।
একটা সময় সংসারের নিয়মনীতির বেড়াজাল অতিষ্ঠ করে তোলে মিতুর জীবন। বেরিয়ে আসেন সেই বেড়াজাল থেকে। একমাত্র সন্তান নিয়ে শুরু হয় তাঁর একার লড়াই। ধীরে ধীরে মানসিক পীড়নে অসুস্থও হয়ে পড়েন। জীবনের স্বস্তির নিশ্বাসটুকু যখন তিনি হারিয়ে ফেললেন, ঠিক তখনই সন্তানের কথা চিন্তা করে ভাবেন জীবনে বেঁচে থাকতে হলে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে, আর কিছু একটা করতে হবে। সেই উপলব্ধি থেকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পান। পরিকল্পনা করেন উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশের। আর সেই স্বপ্নের জায়গা থেকে নিজের এলাকার ঐতিহ্যের সঙ্গে দেশি পণ্য রাজশাহী সিল্ক নিয়ে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘কল্প বসন’।
‘কল্প বসন’-এর শুরুর গল্পটা মিতুর কাছ থেকে শুনতে চাইলে বলেন, ‘২০২০ সালে করোনার সময়ে জীবনের কঠিন বাস্তবতায় ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু করি রাজশাহী সিল্ক নিয়ে আমার ছোট উদ্যোগ—কল্প বসন। দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেছে। এখন আমার মাসিক আয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা।’
চাকরিকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশি পণ্যের উদ্যোক্তা হিসেবেই নিজেকে গড়তে চেয়েছেন মিতু। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান, আর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। এ ক্ষেত্রে আরেকটা বিষয় কাজ কাজ করে। সেটা হলো, আমাদের সমাজ বাস্তবতায় নারীরা চাইলে নিজের সন্তানকে একাই বড় করে তুলতে পারে। এ ক্ষেত্রে নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়াটা খুব জরুরি। উদ্যোক্তা হওয়ার কারণে নিজের সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব নিতে পেরেছি। এটা আমার জীবনের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
তারপরও মানুষের কথা তো থেমে থাকে না। সমাজের অন্য দশজন নারীর মতোই তাঁকেও শুনতে হয় বিচিত্র সব মন্তব্য। এসব ডিঙিয়েই মিতু এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁর স্বপ্নের পথে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ নারীদের চলার পথটা অনেক বেশি কঠিন করে তুলেছে। দেশে একজন নারী উদ্যোক্তা হওয়া সহজ বিষয় নয়। কারণ, সমাজের কিছু মানুষ নারীদের অনলাইনে কাজ করার বিষয়টা ভালোভাবে নিতে পারেন না। প্রায় সময় শুনতে হয়, এত পড়াশোনা করে এখন অনলাইনে কাপড় বেচে, হিজাব পরে লাইভ করে, নারীদের এত ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক না। এর সঙ্গে আছে পণ্যের দাম। ভালো মানের রাজশাহী সিল্ক নিয়ে যেহেতু আমার কাজ, তাই পণ্যের দাম নিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু আমি অনেক ধৈর্যশীল। তাই সব ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পছন্দ করি। নারী উদ্যোক্তাদের পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু সে বাধাকে জয় করার সাহস রাখতে হবে নিজের ভেতরে।’
এই লড়াইয়ে পরিবারকে সব সময় পাশে পেয়েছেন মিতু। বললেন, ‘আমার পরিবার আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছে। সব থেকে বড় অবদান আমার আপু সুলতানা শ্যামলীর। সে আমার পাশে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ছায়ার মতো রয়েছে। কল্প বসনের পরামর্শদাতা হিসেবে আছেন তিনি। তাঁর কথা অনুযায়ী আমি আমার ব্যবসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। নারী উদ্যোক্তা হতে হলে পরিবারের সাপোর্টটা অনেক দরকার।’
মিতু রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করেন। এর পাশাপাশি তিনি তাঁত, নকশি পণ্য নিয়েও কাজ করেন। মিতুর পরিবার বলতে একমাত্র ছেলে আরাফ আরিয়ান। তাঁকে নিয়ে তাঁর পুরো জগৎ। সকল দুঃখ-কষ্ট দূর করে তিনি ছেলেকে মানবিক মানুষ হিসবে গড়ে তুলতে চান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে। শুধু সামাজিকতার ভয়ে, কে কখন কী বলবে এসব ভেবে অনেক নারী কিছুই করার সাহস পান না। নারীদের জন্য আমাদের সমাজের চলার পথটা খুব বেশি মসৃণ নয়। আমাদের দেশে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অনেক কিছুই আছে। শুধু প্রয়োজন ধৈর্য, সাহস, মনোবল ও পরিবারের সহযোগিতা।’
‘কল্প বসন’-এর স্বত্বাধিকারী শবনম রেজা মিতুর কাছে দেশীয় পণ্য রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার কাজটা একটু কঠিন। কারণ, আমার পণ্য, মানে রাজশাহী সিল্ক একটু দামি। রাজশাহী সিল্ককে অনেকেই স্বর্ণের সঙ্গে তুলনা করে। আমি ভালো মানের রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করি। আমি প্রথমে তাঁতির তাঁত থেকে সিল্ক পণ্য সংগ্রহ করি। এর পর নিজে কারিগর দিয়ে ডিজাইন করে তৈরি করি আমার সব সিল্কপণ্য। রাজশাহী সিল্কের বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, থ্রিপিস, টুপিস, ওয়ান পিস, ওড়না, ছেলেদের শার্ট, মেয়েদের কুর্তি, মসলিনের টাইডাই, বাটিক, হ্যান্ড প্রিন্ট পণ্য ইত্যাদি রয়েছে পণ্যতালিকায়।
তবে নিজের সিগনেচার পণ্য হিসেবে মনে করেন মটকা সিল্ক শাড়িকে। বললেন, ‘এখানে রয়েছে আমার নিজস্বতার ছোঁয়া। মটকা সিল্কের প্রাইস একটু বেশি। তাই প্রথম দিকে বিক্রি নিয়ে একটু ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল। কিন্তু যখন ক্রেতা বুঝেছে শাড়িটা ভালো মানের, তখন থেকে আর কোনো রকম বাধা আসেনি। আমি এই এক বছরে ১৮ পিস মটকা সিল্ক শাড়ি বিক্রি করেছি। সিল্কের পাশাপাশি আমার কিছু নকশি কাজের ড্রেস আছে, যেটা শুধু “কল্প বসন”-এই পাওয়া যায়। এবার শীতে “কল্প বসন”-এর প্রধান চমক রাজশাহী সিল্কের শাল, সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের দেশি শাল। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটা নারীর নিজের জন্যই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা দরকার। নারীরা স্বভাবগতভাবেই অনেক গুণের অধিকারী। শুধু দরকার সে গুনের সঠিক ব্যবহার।’
মিতুর জীবনে অনেক বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ‘কল্প বসন’। কল্প বসনকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে মিতুর মনে। মিতুর ‘কল্প বসন’-এর একটি শোরুম করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। সেখানে থাকবে নিজেদের কারখানা, যেখানে কাজ করবেন সুবিধাবঞ্চিত নারীরা। এখন ‘কল্প বসন’-এর কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে প্রায় দশ-বারোজন মানুষ। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করেন মিতু।

রাজশাহীর মেয়ে শবনম রেজা মিতু। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মিতু ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজশাহীতে। মিতু পড়ালেখা করেছেন রাজশাহীর নবাবগঞ্জ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে। এর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মনোবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন।
জীবন প্রবাহের অনেক ঘটনাচক্রের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ মিতু সফল নারী উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ‘কল্প বসন’। ২০১৪ সাল থেকেই মিতুর ইচ্ছা ছিল একটা বুটিক হাউস দেওয়ার। কিন্তু বিয়ে-সংসারের কাজের চাপে সে ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। আর দিন শেষে মিতুর পরিচয় গিয়ে দাঁড়ায় একজন গৃহিণী হিসেবে। সেই বুটিক হাউস থেকে যায় কল্পজগতেই। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকে না। দৃঢ়তা থাকলে সবই বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব। মিতুর ‘কল্প বসন’ তারই প্রমাণ।
একটা সময় সংসারের নিয়মনীতির বেড়াজাল অতিষ্ঠ করে তোলে মিতুর জীবন। বেরিয়ে আসেন সেই বেড়াজাল থেকে। একমাত্র সন্তান নিয়ে শুরু হয় তাঁর একার লড়াই। ধীরে ধীরে মানসিক পীড়নে অসুস্থও হয়ে পড়েন। জীবনের স্বস্তির নিশ্বাসটুকু যখন তিনি হারিয়ে ফেললেন, ঠিক তখনই সন্তানের কথা চিন্তা করে ভাবেন জীবনে বেঁচে থাকতে হলে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে, আর কিছু একটা করতে হবে। সেই উপলব্ধি থেকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি ফিরে পান। পরিকল্পনা করেন উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশের। আর সেই স্বপ্নের জায়গা থেকে নিজের এলাকার ঐতিহ্যের সঙ্গে দেশি পণ্য রাজশাহী সিল্ক নিয়ে শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘কল্প বসন’।
‘কল্প বসন’-এর শুরুর গল্পটা মিতুর কাছ থেকে শুনতে চাইলে বলেন, ‘২০২০ সালে করোনার সময়ে জীবনের কঠিন বাস্তবতায় ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু করি রাজশাহী সিল্ক নিয়ে আমার ছোট উদ্যোগ—কল্প বসন। দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেছে। এখন আমার মাসিক আয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা।’
চাকরিকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশি পণ্যের উদ্যোক্তা হিসেবেই নিজেকে গড়তে চেয়েছেন মিতু। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান, আর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। এ ক্ষেত্রে আরেকটা বিষয় কাজ কাজ করে। সেটা হলো, আমাদের সমাজ বাস্তবতায় নারীরা চাইলে নিজের সন্তানকে একাই বড় করে তুলতে পারে। এ ক্ষেত্রে নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়াটা খুব জরুরি। উদ্যোক্তা হওয়ার কারণে নিজের সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব নিতে পেরেছি। এটা আমার জীবনের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
তারপরও মানুষের কথা তো থেমে থাকে না। সমাজের অন্য দশজন নারীর মতোই তাঁকেও শুনতে হয় বিচিত্র সব মন্তব্য। এসব ডিঙিয়েই মিতু এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁর স্বপ্নের পথে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ নারীদের চলার পথটা অনেক বেশি কঠিন করে তুলেছে। দেশে একজন নারী উদ্যোক্তা হওয়া সহজ বিষয় নয়। কারণ, সমাজের কিছু মানুষ নারীদের অনলাইনে কাজ করার বিষয়টা ভালোভাবে নিতে পারেন না। প্রায় সময় শুনতে হয়, এত পড়াশোনা করে এখন অনলাইনে কাপড় বেচে, হিজাব পরে লাইভ করে, নারীদের এত ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক না। এর সঙ্গে আছে পণ্যের দাম। ভালো মানের রাজশাহী সিল্ক নিয়ে যেহেতু আমার কাজ, তাই পণ্যের দাম নিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু আমি অনেক ধৈর্যশীল। তাই সব ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পছন্দ করি। নারী উদ্যোক্তাদের পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু সে বাধাকে জয় করার সাহস রাখতে হবে নিজের ভেতরে।’
এই লড়াইয়ে পরিবারকে সব সময় পাশে পেয়েছেন মিতু। বললেন, ‘আমার পরিবার আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছে। সব থেকে বড় অবদান আমার আপু সুলতানা শ্যামলীর। সে আমার পাশে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ছায়ার মতো রয়েছে। কল্প বসনের পরামর্শদাতা হিসেবে আছেন তিনি। তাঁর কথা অনুযায়ী আমি আমার ব্যবসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। নারী উদ্যোক্তা হতে হলে পরিবারের সাপোর্টটা অনেক দরকার।’
মিতু রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করেন। এর পাশাপাশি তিনি তাঁত, নকশি পণ্য নিয়েও কাজ করেন। মিতুর পরিবার বলতে একমাত্র ছেলে আরাফ আরিয়ান। তাঁকে নিয়ে তাঁর পুরো জগৎ। সকল দুঃখ-কষ্ট দূর করে তিনি ছেলেকে মানবিক মানুষ হিসবে গড়ে তুলতে চান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে। শুধু সামাজিকতার ভয়ে, কে কখন কী বলবে এসব ভেবে অনেক নারী কিছুই করার সাহস পান না। নারীদের জন্য আমাদের সমাজের চলার পথটা খুব বেশি মসৃণ নয়। আমাদের দেশে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অনেক কিছুই আছে। শুধু প্রয়োজন ধৈর্য, সাহস, মনোবল ও পরিবারের সহযোগিতা।’
‘কল্প বসন’-এর স্বত্বাধিকারী শবনম রেজা মিতুর কাছে দেশীয় পণ্য রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার কাজটা একটু কঠিন। কারণ, আমার পণ্য, মানে রাজশাহী সিল্ক একটু দামি। রাজশাহী সিল্ককে অনেকেই স্বর্ণের সঙ্গে তুলনা করে। আমি ভালো মানের রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করি। আমি প্রথমে তাঁতির তাঁত থেকে সিল্ক পণ্য সংগ্রহ করি। এর পর নিজে কারিগর দিয়ে ডিজাইন করে তৈরি করি আমার সব সিল্কপণ্য। রাজশাহী সিল্কের বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, থ্রিপিস, টুপিস, ওয়ান পিস, ওড়না, ছেলেদের শার্ট, মেয়েদের কুর্তি, মসলিনের টাইডাই, বাটিক, হ্যান্ড প্রিন্ট পণ্য ইত্যাদি রয়েছে পণ্যতালিকায়।
তবে নিজের সিগনেচার পণ্য হিসেবে মনে করেন মটকা সিল্ক শাড়িকে। বললেন, ‘এখানে রয়েছে আমার নিজস্বতার ছোঁয়া। মটকা সিল্কের প্রাইস একটু বেশি। তাই প্রথম দিকে বিক্রি নিয়ে একটু ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল। কিন্তু যখন ক্রেতা বুঝেছে শাড়িটা ভালো মানের, তখন থেকে আর কোনো রকম বাধা আসেনি। আমি এই এক বছরে ১৮ পিস মটকা সিল্ক শাড়ি বিক্রি করেছি। সিল্কের পাশাপাশি আমার কিছু নকশি কাজের ড্রেস আছে, যেটা শুধু “কল্প বসন”-এই পাওয়া যায়। এবার শীতে “কল্প বসন”-এর প্রধান চমক রাজশাহী সিল্কের শাল, সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের দেশি শাল। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটা নারীর নিজের জন্যই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা দরকার। নারীরা স্বভাবগতভাবেই অনেক গুণের অধিকারী। শুধু দরকার সে গুনের সঠিক ব্যবহার।’
মিতুর জীবনে অনেক বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ‘কল্প বসন’। কল্প বসনকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে মিতুর মনে। মিতুর ‘কল্প বসন’-এর একটি শোরুম করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। সেখানে থাকবে নিজেদের কারখানা, যেখানে কাজ করবেন সুবিধাবঞ্চিত নারীরা। এখন ‘কল্প বসন’-এর কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে প্রায় দশ-বারোজন মানুষ। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করেন মিতু।

দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের একমাত্র গাড়ি প্রস্তুত ও সংযোজনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি ফান্ড ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ ৩৩ মাসের অবহেলায় অন্তত ৬৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অথচ এই ক্ষতির দায়ে তদারকি কর্মকর্তার কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম (এসএসএস)।
নতুন এই সিস্টেমের মাধ্যমে কোম্পানি ও ফান্ডগুলো মূল্য সংবেদনশীল ঘোষণা, আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেগুলেটরি ফাইলিং কাগজ ছাড়াই অনলাইনে জমা দিতে পারবে। এতে সময় ও খরচ কমার পাশাপাশি তথ্য ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং ট্র্যাকিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
ডিএসই সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই প্ল্যাটফর্ম ধাপে ধাপে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ দুটি নতুন মডিউল যুক্ত হওয়ায় এখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তথ্য একই ডিজিটাল গেটওয়ে দিয়ে জমা দেওয়া সম্ভব। ফলে দ্বৈত সাবমিশনের ঝামেলা প্রায় সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কাগুজে নথির ওপর নির্ভরতা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল সাবমিশন শুধু সুবিধার বিষয় নয়, এটি বাজার শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করার একটি কাঠামোগত পরিবর্তন।
ডিএসই জানায়, চায়নিজ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে কাজ করে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর পর সিস্টেমটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন ফিচার যুক্ত করা সহজ হবে।
প্রযুক্তিগত দিক থেকে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. মো. আসিফুর রহমান বলেন, একক ডিজিটাল সাবমিশন পয়েন্ট চালু হওয়ায় ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপজনিত ভুল কমবে এবং তথ্য জমার প্রতিটি ধাপ ডিজিটালি যাচাইযোগ্য থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের প্রভাব শুধু স্টক এক্সচেঞ্জেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।

দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম (এসএসএস)।
নতুন এই সিস্টেমের মাধ্যমে কোম্পানি ও ফান্ডগুলো মূল্য সংবেদনশীল ঘোষণা, আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেগুলেটরি ফাইলিং কাগজ ছাড়াই অনলাইনে জমা দিতে পারবে। এতে সময় ও খরচ কমার পাশাপাশি তথ্য ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং ট্র্যাকিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
ডিএসই সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই প্ল্যাটফর্ম ধাপে ধাপে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ দুটি নতুন মডিউল যুক্ত হওয়ায় এখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তথ্য একই ডিজিটাল গেটওয়ে দিয়ে জমা দেওয়া সম্ভব। ফলে দ্বৈত সাবমিশনের ঝামেলা প্রায় সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কাগুজে নথির ওপর নির্ভরতা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল সাবমিশন শুধু সুবিধার বিষয় নয়, এটি বাজার শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করার একটি কাঠামোগত পরিবর্তন।
ডিএসই জানায়, চায়নিজ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে কাজ করে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর পর সিস্টেমটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন ফিচার যুক্ত করা সহজ হবে।
প্রযুক্তিগত দিক থেকে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. মো. আসিফুর রহমান বলেন, একক ডিজিটাল সাবমিশন পয়েন্ট চালু হওয়ায় ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপজনিত ভুল কমবে এবং তথ্য জমার প্রতিটি ধাপ ডিজিটালি যাচাইযোগ্য থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের প্রভাব শুধু স্টক এক্সচেঞ্জেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।

রাজশাহীর মেয়ে শবনম রেজা মিতু। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মিতু ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজশাহীতে। ২০১৪ সাল থেকেই মিতুর ইচ্ছা ছিল একটা বুটিক হাউস দেওয়ার। কিন্তু বিয়ে-সংসারের কাজের চাপে সে ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। সেই বুটিক হাউস থেকে যায় কল্পজগতেই।
১৭ অক্টোবর ২০২১
বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের একমাত্র গাড়ি প্রস্তুত ও সংযোজনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি ফান্ড ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ ৩৩ মাসের অবহেলায় অন্তত ৬৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অথচ এই ক্ষতির দায়ে তদারকি কর্মকর্তার কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই তথ্য জানান।
গভর্নর বলেন, ‘২০২৭ সালের মধ্যে দেশের অন্তত ৭৫ শতাংশ খুচরা লেনদেন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের হাতে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।’
চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা শীর্ষক এই সভায় গভর্নর চট্টগ্রামকে দেশের ‘অর্থনৈতিক লাইফলাইন’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান সমুদ্রবন্দর, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), ভারী শিল্প এবং জ্বালানি অবকাঠামোর কেন্দ্রবিন্দু এই চট্টগ্রাম। সিঙ্গাপুর, দুবাই বা হংকংয়ের মতো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংযোগ শক্তিশালী করতে হবে। তবেই এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজ করতে দেশের সব সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে শিগগিরই ২৪ ঘণ্টা রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) সিস্টেম চালু করা হবে বলে জানান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এটি একটি তাৎক্ষণিক ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ব্যবস্থা যা বাণিজ্যের গতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ ছাড়া, তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএমই) এবং কৃষি খাতে পর্যাপ্ত ও সহজ শর্তে ঋণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন গভর্নর। জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদনশীল খাতের বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে ব্যাংকগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক চেম্বার, ব্যাংকার, সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই তথ্য জানান।
গভর্নর বলেন, ‘২০২৭ সালের মধ্যে দেশের অন্তত ৭৫ শতাংশ খুচরা লেনদেন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের হাতে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।’
চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা শীর্ষক এই সভায় গভর্নর চট্টগ্রামকে দেশের ‘অর্থনৈতিক লাইফলাইন’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান সমুদ্রবন্দর, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), ভারী শিল্প এবং জ্বালানি অবকাঠামোর কেন্দ্রবিন্দু এই চট্টগ্রাম। সিঙ্গাপুর, দুবাই বা হংকংয়ের মতো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংযোগ শক্তিশালী করতে হবে। তবেই এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজ করতে দেশের সব সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে শিগগিরই ২৪ ঘণ্টা রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) সিস্টেম চালু করা হবে বলে জানান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এটি একটি তাৎক্ষণিক ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ব্যবস্থা যা বাণিজ্যের গতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ ছাড়া, তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএমই) এবং কৃষি খাতে পর্যাপ্ত ও সহজ শর্তে ঋণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন গভর্নর। জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদনশীল খাতের বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে ব্যাংকগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক চেম্বার, ব্যাংকার, সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহীর মেয়ে শবনম রেজা মিতু। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মিতু ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজশাহীতে। ২০১৪ সাল থেকেই মিতুর ইচ্ছা ছিল একটা বুটিক হাউস দেওয়ার। কিন্তু বিয়ে-সংসারের কাজের চাপে সে ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। সেই বুটিক হাউস থেকে যায় কল্পজগতেই।
১৭ অক্টোবর ২০২১
দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের একমাত্র গাড়ি প্রস্তুত ও সংযোজনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি ফান্ড ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ ৩৩ মাসের অবহেলায় অন্তত ৬৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অথচ এই ক্ষতির দায়ে তদারকি কর্মকর্তার কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
১৩ ঘণ্টা আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

দেশের একমাত্র গাড়ি প্রস্তুত ও সংযোজনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি ফান্ড ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ ৩৩ মাসের অবহেলায় অন্তত ৬৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অথচ এই ক্ষতির দায়ে তদারকি কর্মকর্তার কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকা। বিশাল ক্ষতির বিপরীতে সামান্য দণ্ডে দায় নিষ্পত্তির ঘটনা প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশ্ন ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ফান্ড দেখভালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহপ্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিললেও তিনি শর্তসাপেক্ষে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে দায়িত্বমুক্ত হয়েছেন। ২৫ ডিসেম্বর তাঁর অবসর কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও তিনি গত ৩১ আগস্ট থেকে আগাম অবসরে যান। ২১ জুলাই শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) কাছে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেন এবং তাঁর অবসর মঞ্জুর করা হয়।
এ বিষয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, আমি প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এমপ্লয়িজ গ্র্যাচুইটি ফান্ড ট্রাস্টের সদস্য নই। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ফান্ডের দেখভাল করেছি। ডাবল বেনিফিট স্কিমের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর ভুলবশত তা রিনিউ করা হয়নি। দোষটা আসলে ব্যাংকের, বিষয়টি ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। সে কারণে আমরা মুনাফা থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, গ্র্যাচুইটি ফান্ড পরিচালনার পূর্ণ দায় ট্রাস্টি বোর্ডের সাত সদস্যের। তারপরও আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে, আমি তা মোকাবিলা করেছি এবং ১ লাখ টাকা জরিমানাও গুনেছি। এটি অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল।
প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ সূত্রে জানা যায়, কর্মচারীদের জন্য গঠিত ‘প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এমপ্লয়িজ গ্র্যাচুইটি ফান্ড ট্রাস্ট’-এর ২ কোটি টাকা ২০১২ সালের ২৪ জুলাই জনতা ব্যাংকের শেখ মুজিব রোড (আগ্রাবাদ) শাখায় ডাবল বেনিফিট স্কিমে জমা রাখা হয়। ছয় বছর মেয়াদি এ স্কিমে সুদের হার ছিল ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। মেয়াদ শেষে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই সুদে-আসলে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৩৩ মাস ওই অর্থ একইভাবে ব্যাংকে পড়ে থাকে। এ সময়ে না প্রগতি কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেয়, না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ফান্ডের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়। এতে সম্ভাব্য মুনাফা হারিয়ে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয় ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬১০ টাকা।
ঘটনাটি ধরা পড়ার পর ফান্ড তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১ মার্চ দেওয়া তাঁর ব্যাখ্যা কর্তৃপক্ষ গ্রহণযোগ্য মনে করেনি। পরবর্তী সময়ে ১১ এপ্রিল প্রগতির তিন কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বিভাগীয় প্রশাসনিক প্রধান মো. নুর হোসেন। সদস্য হিসেবে ছিলেন সহপ্রধান হিসাবরক্ষক গোলাম রাব্বি মোহাম্মদ সাদাত হোসেন এবং হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. খায়রুল বাশার।
তদন্ত কমিটির সুপারিশে জনতা ব্যাংকের কাছে ৩৩ মাসের মুনাফা দাবি করা হয়। দেনদরবারের পর ব্যাংক সঞ্চয়ী বেনিফিটের আওতায় ২৮ লাখ টাকা পরিশোধ করে। জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে আদায় করা জরিমানার ১ লাখ টাকা যোগ করে মোট উদ্ধার হয় ২৯ লাখ টাকা। ফলে এখনো অনাদায়ী থেকে যায় ৬৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬১০ টাকা।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক মো. সানাউল্লাহ বলেন, ডাবল বেনিফিট স্কিমের মেয়াদ শেষে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হয় না। এ কারণে ওই সময়ের বেনিফিট পাওয়ার সুযোগ ছিল না। ২৮ লাখ টাকা পরিশোধের বিষয়ে তিনি জানান, বিষয়টি তাঁর আগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপকের সময়কার সিদ্ধান্ত।

দেশের একমাত্র গাড়ি প্রস্তুত ও সংযোজনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি ফান্ড ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ ৩৩ মাসের অবহেলায় অন্তত ৬৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অথচ এই ক্ষতির দায়ে তদারকি কর্মকর্তার কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকা। বিশাল ক্ষতির বিপরীতে সামান্য দণ্ডে দায় নিষ্পত্তির ঘটনা প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশ্ন ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ফান্ড দেখভালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহপ্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিললেও তিনি শর্তসাপেক্ষে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে দায়িত্বমুক্ত হয়েছেন। ২৫ ডিসেম্বর তাঁর অবসর কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও তিনি গত ৩১ আগস্ট থেকে আগাম অবসরে যান। ২১ জুলাই শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) কাছে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেন এবং তাঁর অবসর মঞ্জুর করা হয়।
এ বিষয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, আমি প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এমপ্লয়িজ গ্র্যাচুইটি ফান্ড ট্রাস্টের সদস্য নই। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ফান্ডের দেখভাল করেছি। ডাবল বেনিফিট স্কিমের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর ভুলবশত তা রিনিউ করা হয়নি। দোষটা আসলে ব্যাংকের, বিষয়টি ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। সে কারণে আমরা মুনাফা থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, গ্র্যাচুইটি ফান্ড পরিচালনার পূর্ণ দায় ট্রাস্টি বোর্ডের সাত সদস্যের। তারপরও আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে, আমি তা মোকাবিলা করেছি এবং ১ লাখ টাকা জরিমানাও গুনেছি। এটি অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল।
প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ সূত্রে জানা যায়, কর্মচারীদের জন্য গঠিত ‘প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এমপ্লয়িজ গ্র্যাচুইটি ফান্ড ট্রাস্ট’-এর ২ কোটি টাকা ২০১২ সালের ২৪ জুলাই জনতা ব্যাংকের শেখ মুজিব রোড (আগ্রাবাদ) শাখায় ডাবল বেনিফিট স্কিমে জমা রাখা হয়। ছয় বছর মেয়াদি এ স্কিমে সুদের হার ছিল ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। মেয়াদ শেষে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই সুদে-আসলে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৩৩ মাস ওই অর্থ একইভাবে ব্যাংকে পড়ে থাকে। এ সময়ে না প্রগতি কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেয়, না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ফান্ডের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়। এতে সম্ভাব্য মুনাফা হারিয়ে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয় ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬১০ টাকা।
ঘটনাটি ধরা পড়ার পর ফান্ড তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১ মার্চ দেওয়া তাঁর ব্যাখ্যা কর্তৃপক্ষ গ্রহণযোগ্য মনে করেনি। পরবর্তী সময়ে ১১ এপ্রিল প্রগতির তিন কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বিভাগীয় প্রশাসনিক প্রধান মো. নুর হোসেন। সদস্য হিসেবে ছিলেন সহপ্রধান হিসাবরক্ষক গোলাম রাব্বি মোহাম্মদ সাদাত হোসেন এবং হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. খায়রুল বাশার।
তদন্ত কমিটির সুপারিশে জনতা ব্যাংকের কাছে ৩৩ মাসের মুনাফা দাবি করা হয়। দেনদরবারের পর ব্যাংক সঞ্চয়ী বেনিফিটের আওতায় ২৮ লাখ টাকা পরিশোধ করে। জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে আদায় করা জরিমানার ১ লাখ টাকা যোগ করে মোট উদ্ধার হয় ২৯ লাখ টাকা। ফলে এখনো অনাদায়ী থেকে যায় ৬৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬১০ টাকা।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক মো. সানাউল্লাহ বলেন, ডাবল বেনিফিট স্কিমের মেয়াদ শেষে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হয় না। এ কারণে ওই সময়ের বেনিফিট পাওয়ার সুযোগ ছিল না। ২৮ লাখ টাকা পরিশোধের বিষয়ে তিনি জানান, বিষয়টি তাঁর আগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপকের সময়কার সিদ্ধান্ত।

রাজশাহীর মেয়ে শবনম রেজা মিতু। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মিতু ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজশাহীতে। ২০১৪ সাল থেকেই মিতুর ইচ্ছা ছিল একটা বুটিক হাউস দেওয়ার। কিন্তু বিয়ে-সংসারের কাজের চাপে সে ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। সেই বুটিক হাউস থেকে যায় কল্পজগতেই।
১৭ অক্টোবর ২০২১
দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। পাশাপাশি, সকল শিল্প এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহকে নিরবচ্ছিন্ন ও টেকসই করতে আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে উৎপাদন কার্যক্রম বাধাহীনভাবে চলতে পারে।
গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তাঁরা বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, শিল্পের প্রতিযোগিতা বজায় রাখা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া অত্যাবশ্যক।
সভায় বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের উৎপাদনশীল শিল্পকে শক্তিশালী রাখতে সরবরাহ শৃঙ্খল ঠিক রাখা, সুষ্ঠু উৎপাদন ও কার্যক্রম নিশ্চিত করতে মসৃণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। আয়বৈষম্য কমানো এবং টেকসই এমএসএমই খাতের উন্নয়নের জন্য সরকার, শিক্ষাবিদ ও শিল্পের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। বিসিআই সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে শিল্পের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ করছে, যাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, শিল্প প্রতিযোগিতামূলক থাকে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, ভ্যাট ও করকাঠামো সহজ, উদ্যোক্তাবান্ধব ও উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধিকে লক্ষ্য করেই তৈরি হওয়া উচিত। তাঁরা আরও বলেন, পণ্য টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়াকে উদ্যোক্তাবান্ধব করা, নতুন উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপের সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি। এসব পদক্ষেপ দেশীয় শিল্পে নতুন বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে, উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতা ধরে রাখবে।
সভায় শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এবং সাবেক সভাপতি এ টি এম ওয়াজিউল্লাহর জন্য। এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। সভা পরিচালনা করেন বিসিআই সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিন। সভার আলোচ্যসূচি অনুযায়ী, বিগত ৩৮তম সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বিসিআই কার্যক্রম ও দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অডিটেড হিসাব অনুমোদন এবং নতুন অডিটর নিয়োগের বিষয়ও অনুমোদিত হয়। সভায় অংশ নেন বিসিআই সদস্য ও সাবেক নেতা শাহেদুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা।

দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। পাশাপাশি, সকল শিল্প এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহকে নিরবচ্ছিন্ন ও টেকসই করতে আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে উৎপাদন কার্যক্রম বাধাহীনভাবে চলতে পারে।
গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তাঁরা বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, শিল্পের প্রতিযোগিতা বজায় রাখা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া অত্যাবশ্যক।
সভায় বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের উৎপাদনশীল শিল্পকে শক্তিশালী রাখতে সরবরাহ শৃঙ্খল ঠিক রাখা, সুষ্ঠু উৎপাদন ও কার্যক্রম নিশ্চিত করতে মসৃণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। আয়বৈষম্য কমানো এবং টেকসই এমএসএমই খাতের উন্নয়নের জন্য সরকার, শিক্ষাবিদ ও শিল্পের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। বিসিআই সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে শিল্পের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ করছে, যাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, শিল্প প্রতিযোগিতামূলক থাকে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, ভ্যাট ও করকাঠামো সহজ, উদ্যোক্তাবান্ধব ও উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধিকে লক্ষ্য করেই তৈরি হওয়া উচিত। তাঁরা আরও বলেন, পণ্য টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়াকে উদ্যোক্তাবান্ধব করা, নতুন উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপের সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি। এসব পদক্ষেপ দেশীয় শিল্পে নতুন বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে, উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতা ধরে রাখবে।
সভায় শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এবং সাবেক সভাপতি এ টি এম ওয়াজিউল্লাহর জন্য। এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। সভা পরিচালনা করেন বিসিআই সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিন। সভার আলোচ্যসূচি অনুযায়ী, বিগত ৩৮তম সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বিসিআই কার্যক্রম ও দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অডিটেড হিসাব অনুমোদন এবং নতুন অডিটর নিয়োগের বিষয়ও অনুমোদিত হয়। সভায় অংশ নেন বিসিআই সদস্য ও সাবেক নেতা শাহেদুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা।

রাজশাহীর মেয়ে শবনম রেজা মিতু। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মিতু ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন রাজশাহীতে। ২০১৪ সাল থেকেই মিতুর ইচ্ছা ছিল একটা বুটিক হাউস দেওয়ার। কিন্তু বিয়ে-সংসারের কাজের চাপে সে ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। সেই বুটিক হাউস থেকে যায় কল্পজগতেই।
১৭ অক্টোবর ২০২১
দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের একমাত্র গাড়ি প্রস্তুত ও সংযোজনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি ফান্ড ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ ৩৩ মাসের অবহেলায় অন্তত ৬৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অথচ এই ক্ষতির দায়ে তদারকি কর্মকর্তার কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকা।
৭ ঘণ্টা আগে