রিমন রহমান, রাজশাহী

মহাষষ্ঠীর সকালে ঢাকি সুকেশ স্যানাল ঢাকে কাঠির বাড়ি দিয়েই যাচ্ছেন। পূজার জোগালি কানাই হালদার, আর পুরোহিত গোপাল চক্রবর্তী এটা-ওটা গোছাতে ভীষণ ব্যস্ত। কথা বলতে চাইলে করজোড় করে পুরোহিত বললেন, ‘এখন পারব না যে দাদা। ষষ্ঠী কল্পরাম্ভের বেলা বয়ে যাচ্ছে। এখনই পুজো করতে হবে।’
যে মণ্ডপ নিয়ে কথা, সেটির নাম শ্রীশ্রী গোবিন্দ ও দুর্গামাতা মন্দির। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে এই মন্দির। এটি এখন বাগমারার একটি পৌর এলাকা। রাজশাহী জেলা সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরের এই তাহেরপুরের আদিনাম ছিল ‘তাহিরপুর’। আজ থেকে ৫৪০ বছর আগে এখান থেকেই সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবের শুরু বলে ধারণা করা হয়। সে আমলে রাজা কংস নারায়ণ রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা খরচ করে রাজবাড়িতে ওই আয়োজন করেছিলেন। এখনকার আমলে ওই টাকার পরিমাণ ৩০০ কোটিরও বেশি। একবার দুর্গোৎসবের আয়োজনে কোনো মণ্ডপে এত টাকা খরচ আর হয়েছে বলে জানা যায়নি। সম্রাট আকবরের আমলে বাংলার ‘বারো ভূঁইয়া’-এর এক ভূঁইয়া রাজা কংসনারায়ণ রায় ব্যয় করেছিলেন এ অর্থ।
এর আগে মহাশক্তির আরাধনা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু এত টাকা ব্যয় করে কোনো রাজবাড়িতে দুর্গাপূজার প্রথম আয়োজনটা সম্ভবত করেছিলেন রাজা কংসনারায়ণ। তাঁর সৌজন্যে মানুষ দেখেছিল অকালবোধনে আধুনিক দুর্গাপূজা।
তাহিরপুরের রাজবংশ ছিল বাংলার প্রাচীন রাজবংশগুলোর অন্যতম। এই রাজবংশের আদিপুরুষ মৌন ভট্ট। বংশের শ্রেষ্ঠ সামন্ত ছিলেন কংসনারায়ণ রায়। মোগল-পূর্ব সময়ে চট্টগ্রামের মগ দমন, ফৌজদারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। রাজা টোডরমলের সঙ্গে ভূমি বন্দোবস্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালান করেন কংসনারায়ণ। তিনি ভেবেছিলেন, সম্রাট তাঁকে বাংলার সুবেদার করবেন। কিন্তু সম্রাট তাঁকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করে বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত করেন। এরপর তিনি মনঃক্ষুণ্ন হয়ে বয়স বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে সে দায়িত্ব ফিরিয়ে দেন সবিনয়ে।
কংসনারায়ণ এমন কিছু করতে চাইলেন, যার জন্য হিন্দুসমাজ তাঁকে আজীবন মনে রাখবে। রাজা পণ্ডিতদের ডাকলেন রাজসভায়। জানালেন, তিনি আয়োজন করতে চান অশ্বমেধ যজ্ঞ। পণ্ডিতেরা রাজার এ ইচ্ছে নাকচ করে দিলেন প্রথমেই। তাঁরা বললেন, কলিযুগে অশ্বমেধ যজ্ঞের বিধান শাস্ত্রে নেই। এ কথা শুনে রাজার তো মন খারাপ।
ঠিক তখনই পণ্ডিত রমেশ শাস্ত্রী দিলেন দুর্গাপূজার পরামর্শ। কারণ, দেবী দুর্গতিনাশিনীর পূজা নিজেই এক মহাযজ্ঞ। এতে সমস্ত মহাযজ্ঞের সমান ফল পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, যেকোনো যুগে যে কেউ করতে পারে এই পূজা। পরামর্শ পছন্দ হলো রাজার। তিনি আদেশ করলেন, এই শরতেই যেন আয়োজন হয় এ উৎসবের। কথামতো কাজ। সব প্রস্তুতি শেষ।
মহাসমারোহে হলো দুর্গোৎসব। ষোলো শতকের সে উৎসবে ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ, মতান্তরে ৯ লাখ টাকা। বিরাট ওই উৎসব হয়েছিল রামরামা গ্রামের দুর্গামন্দিরে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে দেখে গেল এই উৎসব। রাজা কংসনারায়ণের প্রপৌত্র (চতুর্থ পুরুষ) লক্ষ্মীনারায়ণের সময় সুবেদার শাহ সুজার সৈন্যদল বারণই নদের পূর্ব তীরে রামরামা গ্রামের রাজা কংসনারায়ণের প্রসাদটি ধ্বংস করে দেয়।
লক্ষ্মীনারায়ণ পরবর্তী সময়ে সম্রাট আওরঙ্গজেবের অনুকম্পায় নদীর পশ্চিম তীরে লাভ করেন একটি পরগনা। তিনি সেখানে একটি রাজবাড়িও নির্মাণ করেন। ১৮৬২ সালে পরবর্তী রাজা বীরেশ্বর রায়ের স্ত্রী জয়সুন্দরী দেবী নির্মাণ করেন দুর্গামন্দির। এটি এখনো আছে আগের মতো। শুধু ভেতরে টাইলস লাগানো হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার কিছু আগে এখানেই পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুরোহিত।
মন্দিরেই পাওয়া গেল কমিটির সাধারণ সম্পাদক চিরঞ্জীব রায়কে। তাঁর দাদা রসিক রায় ছিলেন শেষ রাজার ম্যানেজার। চিরঞ্জীব রায় জানালেন, তাহিরপুর (বর্তমানে তাহেরপুর) রাজবংশের শেষ রাজা ছিলেন শিব শেখরেশ্বর রায়। তাঁর বাবা শশী শেখরেশ্বর রায়ের সময় থেকেই রাজবংশের লোকেরা কলকাতায় তৈরি করেন তাঁদের নতুন ঠিকানা।
এরপর তাঁরা শুধু বছরে একবার পূজার সময় আসতেন। ১৯২৭ সালে তাঁরা শেষবারের মতো তাহিরপুরে এসেছিলেন। একসময় তাঁরাও যাতায়াত বন্ধ করে দেন। পরে ১৯৬৭ সালে রাজবাড়িটি তাহিরপুর ডিগ্রি কলেজে পরিণত হয়। তবে ১৯৮৩ সালের দিকে এসে আবারও কলেজের পাশের ওই মন্দিরে পূজা-অর্চনা শুরু হয়। মন্দিরের ভেতরে ঢুকলে প্রথমেই হাতের ডানে পড়বে শিবমন্দির। তারপর গোবিন্দ মন্দির, এরপর দুর্গামন্দির। চিরঞ্জীবের ধারণা, দুর্গামন্দিরের চেয়েও পুরোনো শিবমন্দির ও গোবিন্দ মন্দির। এসবই এক ঐতিহ্যের স্মারক।
চিরঞ্জীব রায় বলেন, ‘ইতিহাস কখনো মুছে যাওয়ার নয়। এখান থেকেই দুর্গাপূজা সর্বজনীন রূপ নিয়েছে। তাই এটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। তার আগে মন্দিরের চারপাশে যে রাজবংশের সম্পত্তি বেহাত হয়ে গেছে, তা উদ্ধার করা দরকার। কারণ, এগুলো তো মন্দিরেরই অংশ। সেগুলো ছাড়া মন্দিরটির অঙ্গহানি হয়ে আছে।’
মন্দিরের ভেতর ঢুকে দেখা গেল, কয়েকজন তরুণী গাঁদা ফুলের মালা গাঁথতে ব্যস্ত। কয়েকজন নারী ব্যস্ত ধোয়া-মোছার কাজে। কানাই হালদার পূজার জোগালি হিসেবে এ মন্দিরে কাজ করছেন ২৪ বছর ধরে। তিনি বললেন, ‘এখনো দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। গত বছর করোনার কারণে ভক্তদের মুখে আনন্দ দেখিনি। এবার আনন্দ হবে।’
মন্দিরটিতে এখন আর মাটির প্রতিমায় দুর্গাপূজা হয় না। প্রতিমা বিসর্জনও করা হয় না। ২০১৮ সালে স্থানীয় সাংসদ এনামুল হক প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে অষ্টধাতুর প্রতিমা বানিয়ে দিয়েছেন। এই মন্দিরে এখন রাজা নেই। নেই রাজাদের বংশধরেরাও। কিন্তু এই মন্দিরের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের উৎপত্তির ইতিহাস। যে ইতিহাস আর কখনো পুরোনো হওয়ার নয়।

মহাষষ্ঠীর সকালে ঢাকি সুকেশ স্যানাল ঢাকে কাঠির বাড়ি দিয়েই যাচ্ছেন। পূজার জোগালি কানাই হালদার, আর পুরোহিত গোপাল চক্রবর্তী এটা-ওটা গোছাতে ভীষণ ব্যস্ত। কথা বলতে চাইলে করজোড় করে পুরোহিত বললেন, ‘এখন পারব না যে দাদা। ষষ্ঠী কল্পরাম্ভের বেলা বয়ে যাচ্ছে। এখনই পুজো করতে হবে।’
যে মণ্ডপ নিয়ে কথা, সেটির নাম শ্রীশ্রী গোবিন্দ ও দুর্গামাতা মন্দির। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে এই মন্দির। এটি এখন বাগমারার একটি পৌর এলাকা। রাজশাহী জেলা সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরের এই তাহেরপুরের আদিনাম ছিল ‘তাহিরপুর’। আজ থেকে ৫৪০ বছর আগে এখান থেকেই সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবের শুরু বলে ধারণা করা হয়। সে আমলে রাজা কংস নারায়ণ রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা খরচ করে রাজবাড়িতে ওই আয়োজন করেছিলেন। এখনকার আমলে ওই টাকার পরিমাণ ৩০০ কোটিরও বেশি। একবার দুর্গোৎসবের আয়োজনে কোনো মণ্ডপে এত টাকা খরচ আর হয়েছে বলে জানা যায়নি। সম্রাট আকবরের আমলে বাংলার ‘বারো ভূঁইয়া’-এর এক ভূঁইয়া রাজা কংসনারায়ণ রায় ব্যয় করেছিলেন এ অর্থ।
এর আগে মহাশক্তির আরাধনা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু এত টাকা ব্যয় করে কোনো রাজবাড়িতে দুর্গাপূজার প্রথম আয়োজনটা সম্ভবত করেছিলেন রাজা কংসনারায়ণ। তাঁর সৌজন্যে মানুষ দেখেছিল অকালবোধনে আধুনিক দুর্গাপূজা।
তাহিরপুরের রাজবংশ ছিল বাংলার প্রাচীন রাজবংশগুলোর অন্যতম। এই রাজবংশের আদিপুরুষ মৌন ভট্ট। বংশের শ্রেষ্ঠ সামন্ত ছিলেন কংসনারায়ণ রায়। মোগল-পূর্ব সময়ে চট্টগ্রামের মগ দমন, ফৌজদারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। রাজা টোডরমলের সঙ্গে ভূমি বন্দোবস্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালান করেন কংসনারায়ণ। তিনি ভেবেছিলেন, সম্রাট তাঁকে বাংলার সুবেদার করবেন। কিন্তু সম্রাট তাঁকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করে বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত করেন। এরপর তিনি মনঃক্ষুণ্ন হয়ে বয়স বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে সে দায়িত্ব ফিরিয়ে দেন সবিনয়ে।
কংসনারায়ণ এমন কিছু করতে চাইলেন, যার জন্য হিন্দুসমাজ তাঁকে আজীবন মনে রাখবে। রাজা পণ্ডিতদের ডাকলেন রাজসভায়। জানালেন, তিনি আয়োজন করতে চান অশ্বমেধ যজ্ঞ। পণ্ডিতেরা রাজার এ ইচ্ছে নাকচ করে দিলেন প্রথমেই। তাঁরা বললেন, কলিযুগে অশ্বমেধ যজ্ঞের বিধান শাস্ত্রে নেই। এ কথা শুনে রাজার তো মন খারাপ।
ঠিক তখনই পণ্ডিত রমেশ শাস্ত্রী দিলেন দুর্গাপূজার পরামর্শ। কারণ, দেবী দুর্গতিনাশিনীর পূজা নিজেই এক মহাযজ্ঞ। এতে সমস্ত মহাযজ্ঞের সমান ফল পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, যেকোনো যুগে যে কেউ করতে পারে এই পূজা। পরামর্শ পছন্দ হলো রাজার। তিনি আদেশ করলেন, এই শরতেই যেন আয়োজন হয় এ উৎসবের। কথামতো কাজ। সব প্রস্তুতি শেষ।
মহাসমারোহে হলো দুর্গোৎসব। ষোলো শতকের সে উৎসবে ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ, মতান্তরে ৯ লাখ টাকা। বিরাট ওই উৎসব হয়েছিল রামরামা গ্রামের দুর্গামন্দিরে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে দেখে গেল এই উৎসব। রাজা কংসনারায়ণের প্রপৌত্র (চতুর্থ পুরুষ) লক্ষ্মীনারায়ণের সময় সুবেদার শাহ সুজার সৈন্যদল বারণই নদের পূর্ব তীরে রামরামা গ্রামের রাজা কংসনারায়ণের প্রসাদটি ধ্বংস করে দেয়।
লক্ষ্মীনারায়ণ পরবর্তী সময়ে সম্রাট আওরঙ্গজেবের অনুকম্পায় নদীর পশ্চিম তীরে লাভ করেন একটি পরগনা। তিনি সেখানে একটি রাজবাড়িও নির্মাণ করেন। ১৮৬২ সালে পরবর্তী রাজা বীরেশ্বর রায়ের স্ত্রী জয়সুন্দরী দেবী নির্মাণ করেন দুর্গামন্দির। এটি এখনো আছে আগের মতো। শুধু ভেতরে টাইলস লাগানো হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার কিছু আগে এখানেই পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুরোহিত।
মন্দিরেই পাওয়া গেল কমিটির সাধারণ সম্পাদক চিরঞ্জীব রায়কে। তাঁর দাদা রসিক রায় ছিলেন শেষ রাজার ম্যানেজার। চিরঞ্জীব রায় জানালেন, তাহিরপুর (বর্তমানে তাহেরপুর) রাজবংশের শেষ রাজা ছিলেন শিব শেখরেশ্বর রায়। তাঁর বাবা শশী শেখরেশ্বর রায়ের সময় থেকেই রাজবংশের লোকেরা কলকাতায় তৈরি করেন তাঁদের নতুন ঠিকানা।
এরপর তাঁরা শুধু বছরে একবার পূজার সময় আসতেন। ১৯২৭ সালে তাঁরা শেষবারের মতো তাহিরপুরে এসেছিলেন। একসময় তাঁরাও যাতায়াত বন্ধ করে দেন। পরে ১৯৬৭ সালে রাজবাড়িটি তাহিরপুর ডিগ্রি কলেজে পরিণত হয়। তবে ১৯৮৩ সালের দিকে এসে আবারও কলেজের পাশের ওই মন্দিরে পূজা-অর্চনা শুরু হয়। মন্দিরের ভেতরে ঢুকলে প্রথমেই হাতের ডানে পড়বে শিবমন্দির। তারপর গোবিন্দ মন্দির, এরপর দুর্গামন্দির। চিরঞ্জীবের ধারণা, দুর্গামন্দিরের চেয়েও পুরোনো শিবমন্দির ও গোবিন্দ মন্দির। এসবই এক ঐতিহ্যের স্মারক।
চিরঞ্জীব রায় বলেন, ‘ইতিহাস কখনো মুছে যাওয়ার নয়। এখান থেকেই দুর্গাপূজা সর্বজনীন রূপ নিয়েছে। তাই এটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। তার আগে মন্দিরের চারপাশে যে রাজবংশের সম্পত্তি বেহাত হয়ে গেছে, তা উদ্ধার করা দরকার। কারণ, এগুলো তো মন্দিরেরই অংশ। সেগুলো ছাড়া মন্দিরটির অঙ্গহানি হয়ে আছে।’
মন্দিরের ভেতর ঢুকে দেখা গেল, কয়েকজন তরুণী গাঁদা ফুলের মালা গাঁথতে ব্যস্ত। কয়েকজন নারী ব্যস্ত ধোয়া-মোছার কাজে। কানাই হালদার পূজার জোগালি হিসেবে এ মন্দিরে কাজ করছেন ২৪ বছর ধরে। তিনি বললেন, ‘এখনো দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। গত বছর করোনার কারণে ভক্তদের মুখে আনন্দ দেখিনি। এবার আনন্দ হবে।’
মন্দিরটিতে এখন আর মাটির প্রতিমায় দুর্গাপূজা হয় না। প্রতিমা বিসর্জনও করা হয় না। ২০১৮ সালে স্থানীয় সাংসদ এনামুল হক প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে অষ্টধাতুর প্রতিমা বানিয়ে দিয়েছেন। এই মন্দিরে এখন রাজা নেই। নেই রাজাদের বংশধরেরাও। কিন্তু এই মন্দিরের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের উৎপত্তির ইতিহাস। যে ইতিহাস আর কখনো পুরোনো হওয়ার নয়।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় ফারুক (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কাজলা নয়ানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটি জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদীর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন।
২৪ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার বাইপাস সড়কের বিএনপির কার্যালয়ে এ যোগদান অনুষ্ঠান হয়।
৪৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ও বল্লমের আঘাতে হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জিয়ারখী ইউনিয়নের মটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় ফারুক (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কাজলা নয়ানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফারুক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. আলম। তিনি বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর নয়ানগর এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি পেশায় টাইলসের মিস্ত্রি ছিলেন।
ফারুককে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সজিবসহ কয়েকজন জানান, তাঁরা সবাই একই এলাকায় থাকেন। ঘটনার সময় তাঁরা দেখতে পান, একদল কিশোর ফারুককে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে হামলাকারীদের কাউকে তাঁরা চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সজিব। কী কারণে এই হামলা হয়েছে, সে বিষয়েও তাঁরা কিছু জানাতে পারেননি।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, নিহতের বুকের ডান পাশে ও কোমরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় ফারুক (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কাজলা নয়ানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফারুক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. আলম। তিনি বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর নয়ানগর এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি পেশায় টাইলসের মিস্ত্রি ছিলেন।
ফারুককে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সজিবসহ কয়েকজন জানান, তাঁরা সবাই একই এলাকায় থাকেন। ঘটনার সময় তাঁরা দেখতে পান, একদল কিশোর ফারুককে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে হামলাকারীদের কাউকে তাঁরা চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সজিব। কী কারণে এই হামলা হয়েছে, সে বিষয়েও তাঁরা কিছু জানাতে পারেননি।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, নিহতের বুকের ডান পাশে ও কোমরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

ষোলো শতকের সে উৎসবে ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ, মতান্তরে ৯ লাখ টাকা। বিরাট ওই উৎসব হয়েছিল রামরামা গ্রামের দুর্গামন্দিরে। এত টাকা ব্যয়ে কোনো রাজবাড়িতে দুর্গাপূজার প্রথম আয়োজনটা সম্ভবত করেছিলেন রাজা কংসনারায়ণ।
১১ অক্টোবর ২০২১
বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটি জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদীর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন।
২৪ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার বাইপাস সড়কের বিএনপির কার্যালয়ে এ যোগদান অনুষ্ঠান হয়।
৪৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ও বল্লমের আঘাতে হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জিয়ারখী ইউনিয়নের মটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটি জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদীর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা জামায়াতের কার্যালয় থেকে বিজয় শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর-২ (কাউখালী, নেছারাবাদ ও ভান্ডারিয়া) আসনে জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী। শোভাযাত্রাটি স্বরূপকাঠি পৌর শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এ ঘটনায় বিকেলে নেছারাবাদ উপজেলা সদরের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির প্রার্থী সোহেল মঞ্জুর সুমন। তিনি অভিযোগ করেন, পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপি মহান বিজয় দিবসে কোনো বিজয় র্যালি না করলেও একই নির্দেশ অমান্য করে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী বিজয় র্যালি করেছেন, যা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন।
সোহেল মঞ্জুর সুমন বলেন, ‘আমরা বিজয় দিবসে র্যালি করার আগ্রহ প্রকাশ করলেও জেলা প্রশাসক আমাদের তা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। বিষয়টি জামায়াতের প্রার্থীকেও অবগত করা হয়েছিল বলে জানানো হয়। আমরা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে র্যালি করিনি। অথচ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নেছারাবাদে বিশাল বিজয় র্যালি করেছেন।’

বিএনপি প্রার্থী আরও বলেন, এ ঘটনার দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে জামায়াত প্রার্থী নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করতেই থাকবেন। এতে নির্বাচনে সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হবে। এ কারণে জামায়াত প্রার্থীকে দ্রুত লিখিত শোকজ নোটিশ দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি প্রার্থী।
নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত বলেন, ‘জেলা প্রশাসক আমাদের র্যালি করতে নিষেধ করেছিলেন, তাই আমরা করিনি। অথচ একই দিনে জামায়াত র্যালি করেছে। এটি স্পষ্ট নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন। দ্রুত নোটিশ না দিলে তারা ভবিষ্যতেও এমন কর্মকাণ্ড করবে।’
অভিযোগের বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা জামায়াতের সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমরা কোনো মিছিল করিনি, শুধু বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালি করেছি। সারা দেশেই আমাদের কর্মসূচি ছিল। এ বিষয়ে আমাদের ওপর কোনো পূর্বনিষেধাজ্ঞা ছিল না।’
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত দত্ত বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিজয় র্যালির জন্য আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। জেলা প্রশাসক রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর কাছ থেকেও অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য স্থানীয় ইউএনওর সঙ্গে কথা বলুন। তিনিই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।’

বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটি জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদীর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা জামায়াতের কার্যালয় থেকে বিজয় শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর-২ (কাউখালী, নেছারাবাদ ও ভান্ডারিয়া) আসনে জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী। শোভাযাত্রাটি স্বরূপকাঠি পৌর শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এ ঘটনায় বিকেলে নেছারাবাদ উপজেলা সদরের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির প্রার্থী সোহেল মঞ্জুর সুমন। তিনি অভিযোগ করেন, পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপি মহান বিজয় দিবসে কোনো বিজয় র্যালি না করলেও একই নির্দেশ অমান্য করে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী বিজয় র্যালি করেছেন, যা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন।
সোহেল মঞ্জুর সুমন বলেন, ‘আমরা বিজয় দিবসে র্যালি করার আগ্রহ প্রকাশ করলেও জেলা প্রশাসক আমাদের তা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। বিষয়টি জামায়াতের প্রার্থীকেও অবগত করা হয়েছিল বলে জানানো হয়। আমরা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে র্যালি করিনি। অথচ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নেছারাবাদে বিশাল বিজয় র্যালি করেছেন।’

বিএনপি প্রার্থী আরও বলেন, এ ঘটনার দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে জামায়াত প্রার্থী নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করতেই থাকবেন। এতে নির্বাচনে সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হবে। এ কারণে জামায়াত প্রার্থীকে দ্রুত লিখিত শোকজ নোটিশ দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি প্রার্থী।
নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত বলেন, ‘জেলা প্রশাসক আমাদের র্যালি করতে নিষেধ করেছিলেন, তাই আমরা করিনি। অথচ একই দিনে জামায়াত র্যালি করেছে। এটি স্পষ্ট নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন। দ্রুত নোটিশ না দিলে তারা ভবিষ্যতেও এমন কর্মকাণ্ড করবে।’
অভিযোগের বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা জামায়াতের সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমরা কোনো মিছিল করিনি, শুধু বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালি করেছি। সারা দেশেই আমাদের কর্মসূচি ছিল। এ বিষয়ে আমাদের ওপর কোনো পূর্বনিষেধাজ্ঞা ছিল না।’
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত দত্ত বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিজয় র্যালির জন্য আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। জেলা প্রশাসক রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর কাছ থেকেও অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য স্থানীয় ইউএনওর সঙ্গে কথা বলুন। তিনিই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।’

ষোলো শতকের সে উৎসবে ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ, মতান্তরে ৯ লাখ টাকা। বিরাট ওই উৎসব হয়েছিল রামরামা গ্রামের দুর্গামন্দিরে। এত টাকা ব্যয়ে কোনো রাজবাড়িতে দুর্গাপূজার প্রথম আয়োজনটা সম্ভবত করেছিলেন রাজা কংসনারায়ণ।
১১ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় ফারুক (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কাজলা নয়ানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার বাইপাস সড়কের বিএনপির কার্যালয়ে এ যোগদান অনুষ্ঠান হয়।
৪৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ও বল্লমের আঘাতে হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জিয়ারখী ইউনিয়নের মটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার বাইপাস সড়কের বিএনপির কার্যালয়ে এ যোগদান অনুষ্ঠান হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিকল্প যুবধারার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, বিকল্প যুবধারার কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম লিটন, উপজেলা বিকল্প যুবধারার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক চঞ্চল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদ দেওয়ান, উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়ন যুবধারার সভাপতি বুলেট আহমেদ ও শ্রীনগর ইউনিয়ন যুবধারার সভাপতি রাজু আহমেদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের বরণ করে নেন মুন্সিগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম মৃধার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম হাফিজুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম হায়দার আলী, শ্রীনগর বিএনপির সহসভাপতি আশরাফ হোসেন মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মোড়ল প্রমুখ।
বিএনপিতে যোগদান প্রসঙ্গে শ্রীনগর বিকল্প যুবধারার আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিএনপি থেকে বের হয়ে বিকল্পধারা দল গঠন করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে মাঠপর্যায়ে প্রত্যাশিত কার্যক্রম চালাতে পারিনি। পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনেও আমাদের কোনো প্রার্থী না থাকায় রাজনৈতিকভাবে আমরা কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছি। তা ছাড়া বিএনপির আদর্শ ও চেতনা আমাদের মনে সব সময়ই ধারণ করা ছিল। তাই আমরা মনে করেছি, নিজেদের মূল রাজনৈতিক ঘরেই ফিরে আসা দরকার। দলীয় ঐক্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের স্বার্থেই আমরা বিকল্প যুবধরা ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান করেছি।’
মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এ আসনকে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও আদর্শ সংসদীয় আসন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আজ যুবধারা থেকে যে নেতা-কর্মীরা বিএনপিতে যোগদান করেছেন, তাঁদের আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাই।’

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার বাইপাস সড়কের বিএনপির কার্যালয়ে এ যোগদান অনুষ্ঠান হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিকল্প যুবধারার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, বিকল্প যুবধারার কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম লিটন, উপজেলা বিকল্প যুবধারার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক চঞ্চল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদ দেওয়ান, উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়ন যুবধারার সভাপতি বুলেট আহমেদ ও শ্রীনগর ইউনিয়ন যুবধারার সভাপতি রাজু আহমেদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের বরণ করে নেন মুন্সিগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম মৃধার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম হাফিজুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম হায়দার আলী, শ্রীনগর বিএনপির সহসভাপতি আশরাফ হোসেন মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মোড়ল প্রমুখ।
বিএনপিতে যোগদান প্রসঙ্গে শ্রীনগর বিকল্প যুবধারার আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিএনপি থেকে বের হয়ে বিকল্পধারা দল গঠন করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে মাঠপর্যায়ে প্রত্যাশিত কার্যক্রম চালাতে পারিনি। পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনেও আমাদের কোনো প্রার্থী না থাকায় রাজনৈতিকভাবে আমরা কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছি। তা ছাড়া বিএনপির আদর্শ ও চেতনা আমাদের মনে সব সময়ই ধারণ করা ছিল। তাই আমরা মনে করেছি, নিজেদের মূল রাজনৈতিক ঘরেই ফিরে আসা দরকার। দলীয় ঐক্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের স্বার্থেই আমরা বিকল্প যুবধরা ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান করেছি।’
মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এ আসনকে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও আদর্শ সংসদীয় আসন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আজ যুবধারা থেকে যে নেতা-কর্মীরা বিএনপিতে যোগদান করেছেন, তাঁদের আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাই।’

ষোলো শতকের সে উৎসবে ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ, মতান্তরে ৯ লাখ টাকা। বিরাট ওই উৎসব হয়েছিল রামরামা গ্রামের দুর্গামন্দিরে। এত টাকা ব্যয়ে কোনো রাজবাড়িতে দুর্গাপূজার প্রথম আয়োজনটা সম্ভবত করেছিলেন রাজা কংসনারায়ণ।
১১ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় ফারুক (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কাজলা নয়ানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটি জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদীর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন।
২৪ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ও বল্লমের আঘাতে হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জিয়ারখী ইউনিয়নের মটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ও বল্লমের আঘাতে হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবক মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জিয়ারখী ইউনিয়নের মটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফিজুল ইসলাম একই এলাকায় নুর ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, দুপুরে নিহতের চাচাতো ভাই মহিরের রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে হাফিজুল ও মহিরের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মহির বল্লম দিয়ে পেছন থেকে হাফিজুলের পিঠে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিহত যুবকের পিঠে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, পারিবারিক কলহের কারণেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। দাফন শেষ হলে নিহতের পরিবার মামলা করবেন জানিয়েছেন।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ও বল্লমের আঘাতে হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবক মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জিয়ারখী ইউনিয়নের মটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফিজুল ইসলাম একই এলাকায় নুর ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, দুপুরে নিহতের চাচাতো ভাই মহিরের রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে হাফিজুল ও মহিরের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মহির বল্লম দিয়ে পেছন থেকে হাফিজুলের পিঠে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিহত যুবকের পিঠে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, পারিবারিক কলহের কারণেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। দাফন শেষ হলে নিহতের পরিবার মামলা করবেন জানিয়েছেন।

ষোলো শতকের সে উৎসবে ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ, মতান্তরে ৯ লাখ টাকা। বিরাট ওই উৎসব হয়েছিল রামরামা গ্রামের দুর্গামন্দিরে। এত টাকা ব্যয়ে কোনো রাজবাড়িতে দুর্গাপূজার প্রথম আয়োজনটা সম্ভবত করেছিলেন রাজা কংসনারায়ণ।
১১ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় ফারুক (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কাজলা নয়ানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটি জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদীর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন।
২৪ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার বাইপাস সড়কের বিএনপির কার্যালয়ে এ যোগদান অনুষ্ঠান হয়।
৪৩ মিনিট আগে