Ajker Patrika

রাজা কংসনারায়ণের দুর্গাপূজা, যার শুরু সাড়ে ৫০০ বছর আগে

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ৫৭
রাজা কংসনারায়ণের দুর্গাপূজা, যার শুরু সাড়ে ৫০০ বছর আগে

মহাষষ্ঠীর সকালে ঢাকি সুকেশ স্যানাল ঢাকে কাঠির বাড়ি দিয়েই যাচ্ছেন। পূজার জোগালি কানাই হালদার, আর পুরোহিত গোপাল চক্রবর্তী এটা-ওটা গোছাতে ভীষণ ব্যস্ত। কথা বলতে চাইলে করজোড় করে পুরোহিত বললেন, ‘এখন পারব না যে দাদা। ষষ্ঠী কল্পরাম্ভের বেলা বয়ে যাচ্ছে। এখনই পুজো করতে হবে।’ 

যে মণ্ডপ নিয়ে কথা, সেটির নাম শ্রীশ্রী গোবিন্দ ও দুর্গামাতা মন্দির। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে এই মন্দির। এটি এখন বাগমারার একটি পৌর এলাকা। রাজশাহী জেলা সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরের এই তাহেরপুরের আদিনাম ছিল ‘তাহিরপুর’। আজ থেকে ৫৪০ বছর আগে এখান থেকেই সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবের শুরু বলে ধারণা করা হয়। সে আমলে রাজা কংস নারায়ণ রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা খরচ করে রাজবাড়িতে ওই আয়োজন করেছিলেন। এখনকার আমলে ওই টাকার পরিমাণ ৩০০ কোটিরও বেশি। একবার দুর্গোৎসবের আয়োজনে কোনো মণ্ডপে এত টাকা খরচ আর হয়েছে বলে জানা যায়নি। সম্রাট আকবরের আমলে বাংলার ‘বারো ভূঁইয়া’-এর এক ভূঁইয়া রাজা কংসনারায়ণ রায় ব্যয় করেছিলেন এ অর্থ। 

এর আগে মহাশক্তির আরাধনা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু এত টাকা ব্যয় করে কোনো রাজবাড়িতে দুর্গাপূজার প্রথম আয়োজনটা সম্ভবত করেছিলেন রাজা কংসনারায়ণ। তাঁর সৌজন্যে মানুষ দেখেছিল অকালবোধনে আধুনিক দুর্গাপূজা। 

তাহিরপুরের রাজবংশ ছিল বাংলার প্রাচীন রাজবংশগুলোর অন্যতম। এই রাজবংশের আদিপুরুষ মৌন ভট্ট। বংশের শ্রেষ্ঠ সামন্ত ছিলেন কংসনারায়ণ রায়। মোগল-পূর্ব সময়ে চট্টগ্রামের মগ দমন, ফৌজদারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। রাজা টোডরমলের সঙ্গে ভূমি বন্দোবস্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালান করেন কংসনারায়ণ। তিনি ভেবেছিলেন, সম্রাট তাঁকে বাংলার সুবেদার করবেন। কিন্তু সম্রাট তাঁকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করে বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত করেন। এরপর তিনি মনঃক্ষুণ্ন হয়ে বয়স বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে সে দায়িত্ব ফিরিয়ে দেন সবিনয়ে। 

কংসনারায়ণ এমন কিছু করতে চাইলেন, যার জন্য হিন্দুসমাজ তাঁকে আজীবন মনে রাখবে। রাজা পণ্ডিতদের ডাকলেন রাজসভায়। জানালেন, তিনি আয়োজন করতে চান অশ্বমেধ যজ্ঞ। পণ্ডিতেরা রাজার এ ইচ্ছে নাকচ করে দিলেন প্রথমেই। তাঁরা বললেন, কলিযুগে অশ্বমেধ যজ্ঞের বিধান শাস্ত্রে নেই। এ কথা শুনে রাজার তো মন খারাপ। 

ঠিক তখনই পণ্ডিত রমেশ শাস্ত্রী দিলেন দুর্গাপূজার পরামর্শ। কারণ, দেবী দুর্গতিনাশিনীর পূজা নিজেই এক মহাযজ্ঞ। এতে সমস্ত মহাযজ্ঞের সমান ফল পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, যেকোনো যুগে যে কেউ করতে পারে এই পূজা। পরামর্শ পছন্দ হলো রাজার। তিনি আদেশ করলেন, এই শরতেই যেন আয়োজন হয় এ উৎসবের। কথামতো কাজ। সব প্রস্তুতি শেষ। 

মহাসমারোহে হলো দুর্গোৎসব। ষোলো শতকের সে উৎসবে ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ, মতান্তরে ৯ লাখ টাকা। বিরাট ওই উৎসব হয়েছিল রামরামা গ্রামের দুর্গামন্দিরে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে দেখে গেল এই উৎসব। রাজা কংসনারায়ণের প্রপৌত্র (চতুর্থ পুরুষ) লক্ষ্মীনারায়ণের সময় সুবেদার শাহ সুজার সৈন্যদল বারণই নদের পূর্ব তীরে রামরামা গ্রামের রাজা কংসনারায়ণের প্রসাদটি ধ্বংস করে দেয়। 

লক্ষ্মীনারায়ণ পরবর্তী সময়ে সম্রাট আওরঙ্গজেবের অনুকম্পায় নদীর পশ্চিম তীরে লাভ করেন একটি পরগনা। তিনি সেখানে একটি রাজবাড়িও নির্মাণ করেন। ১৮৬২ সালে পরবর্তী রাজা বীরেশ্বর রায়ের স্ত্রী জয়সুন্দরী দেবী নির্মাণ করেন দুর্গামন্দির। এটি এখনো আছে আগের মতো। শুধু ভেতরে টাইলস লাগানো হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার কিছু আগে এখানেই পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুরোহিত। 

রাজা কংসনারায়ণ রায়ের প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন মন্দিরটির নতুন ফলকমন্দিরেই পাওয়া গেল কমিটির সাধারণ সম্পাদক চিরঞ্জীব রায়কে। তাঁর দাদা রসিক রায় ছিলেন শেষ রাজার ম্যানেজার। চিরঞ্জীব রায় জানালেন, তাহিরপুর (বর্তমানে তাহেরপুর) রাজবংশের শেষ রাজা ছিলেন শিব শেখরেশ্বর রায়। তাঁর বাবা শশী শেখরেশ্বর রায়ের সময় থেকেই রাজবংশের লোকেরা কলকাতায় তৈরি করেন তাঁদের নতুন ঠিকানা। 

এরপর তাঁরা শুধু বছরে একবার পূজার সময় আসতেন। ১৯২৭ সালে তাঁরা শেষবারের মতো তাহিরপুরে এসেছিলেন। একসময় তাঁরাও যাতায়াত বন্ধ করে দেন। পরে ১৯৬৭ সালে রাজবাড়িটি তাহিরপুর ডিগ্রি কলেজে পরিণত হয়। তবে ১৯৮৩ সালের দিকে এসে আবারও কলেজের পাশের ওই মন্দিরে পূজা-অর্চনা শুরু হয়। মন্দিরের ভেতরে ঢুকলে প্রথমেই হাতের ডানে পড়বে শিবমন্দির। তারপর গোবিন্দ মন্দির, এরপর দুর্গামন্দির। চিরঞ্জীবের ধারণা, দুর্গামন্দিরের চেয়েও পুরোনো শিবমন্দির ও গোবিন্দ মন্দির। এসবই এক ঐতিহ্যের স্মারক। 

চিরঞ্জীব রায় বলেন, ‘ইতিহাস কখনো মুছে যাওয়ার নয়। এখান থেকেই দুর্গাপূজা সর্বজনীন রূপ নিয়েছে। তাই এটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। তার আগে মন্দিরের চারপাশে যে রাজবংশের সম্পত্তি বেহাত হয়ে গেছে, তা উদ্ধার করা দরকার। কারণ, এগুলো তো মন্দিরেরই অংশ। সেগুলো ছাড়া মন্দিরটির অঙ্গহানি হয়ে আছে।’ 

মন্দিরের ভেতর ঢুকে দেখা গেল, কয়েকজন তরুণী গাঁদা ফুলের মালা গাঁথতে ব্যস্ত। কয়েকজন নারী ব্যস্ত ধোয়া-মোছার কাজে। কানাই হালদার পূজার জোগালি হিসেবে এ মন্দিরে কাজ করছেন ২৪ বছর ধরে। তিনি বললেন, ‘এখনো দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। গত বছর করোনার কারণে ভক্তদের মুখে আনন্দ দেখিনি। এবার আনন্দ হবে।’ 

মন্দিরটিতে এখন আর মাটির প্রতিমায় দুর্গাপূজা হয় না। প্রতিমা বিসর্জনও করা হয় না। ২০১৮ সালে স্থানীয় সাংসদ এনামুল হক প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে অষ্টধাতুর প্রতিমা বানিয়ে দিয়েছেন। এই মন্দিরে এখন রাজা নেই। নেই রাজাদের বংশধরেরাও। কিন্তু এই মন্দিরের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের উৎপত্তির ইতিহাস। যে ইতিহাস আর কখনো পুরোনো হওয়ার নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেল ডিবি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রেলওয়ের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ, প্রকৌশলীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি 
রেলওয়ের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ, প্রকৌশলীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি দখল করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক রংপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রায়হান বকসী বাদী হয়ে গত ২৬ নভেম্বর ওই মামলা দায়ের করেন।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা মামলার দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার অভিযুক্তরা হচ্ছেন সৈয়দপুর শহরের রংপুর রোডের (বঙ্গবন্ধু সড়ক) হোটেল আমজাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আমিনুল ইসলাম, সৈয়দপুর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহিন আকতার, সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে নীলফামারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী এস এম মোর্শেদুল ইসলাম এবং সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম।

মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে রেলওয়ের মালিকানাধীন ভূমিতে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর শহরের রংপুর রোডে (বঙ্গবন্ধু সড়ক) মো. আমিনুল ইসলাম রেলওয়ে মালিকানাধীন জমি দখলে নিয়ে অবৈধভাবে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেন।

সৈয়দপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহিন আকতার, সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে নীলফামারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী এস এম মোর্শেদুল ইসলাম এবং সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমিনুল ইসলামকে সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে জমিতে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণে সহায়তা করেন।

দুদক রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (এডি) বর্তমানে দুদক প্রধান কার্যালয়ে উপপরিচালক পদে কর্মরত হোসাইন শরীফ বিষয়টি ব্যাপক অনুসন্ধান করেন। এরপর গত ২৬ নভেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে রেলওয়ের মালিকানাধীন ভূমিতে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে দুদক রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রায়হান বকসী বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার প্রয়োজনীয় নথিপত্র নীলফামারী সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে দাখিল করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দুদক রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ নিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ে মালিকানাধীন জমি দখলে নিয়ে অবৈধভাবে বহুতল ভবন তথা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করায় পাঁচটি মামলা দায়ের করল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেল ডিবি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সমুদ্র উপকূলে ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জেলেকে উদ্ধার করল কোস্ট গার্ড

কক্সবাজার প্রতিনিধি
উদ্ধার জেলেরা। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধার জেলেরা। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের মহেশখালীর অদূরে গভীর সমুদ্রে ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার মহেশখালী দ্বীপের অদূরে সোনাদিয়া চ্যানেলসংলগ্ন সাগর উপকূলে এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ফিশিং বোট ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাত দল বোটে থাকা মাছ, খাবার, ইঞ্জিন, ব্যাটারি, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ জেলেদের জিম্মি করে রাখে।

ঘটনাস্থল থেকে এফবি তাসমীম নামের অন্য একটি ফিশিং বোট কোস্ট গার্ডের জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১-এ সাহায্যের জন্য আবেদন করলে বিষয়টি কোস্ট গার্ড অবগত হয়।

এ তথ্যের ভিত্তিতে মহেশখালী কোস্ট গার্ড স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জেলেকে উদ্ধার করে। এ সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যান।

পরে উদ্ধার করা জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বোটসহ মালিকপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেল ডিবি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী বুইশ্যার সহযোগী ইমন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারসহ আশপাশে চাঁদাবাজি, মাদক কারবারসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলোচনায় আসা সন্ত্রাসী শহীদুল ইসলাম ওরফে বুইশ্যার সহযোগী ইমন হোসেনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর নগরের বাড়ইপাড়ার একটি কলোনিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইমনকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানার পুলিশ।

গ্রেপ্তার ইমন নাটোর জেলার ফজলুর রহমানের ছেলে। তিনি নগরের বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া এলাকায় থাকেন।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির জানান, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের ঘটনায় সন্ত্রাসী ইমনসহ পলাতক কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে আজ রোববার অস্ত্র আইনে একটি মামলার পর আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, ইমনের বিরুদ্ধে এর আগে চান্দগাঁও থানায় অস্ত্র আইনে তিনটি ও মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেল ডিবি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উদ্বোধন হলো কসাইবাড়ি-কাঁচকুড়া বাজার ‘হাফেজ্জী হুজুর সরণি’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
‘হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে সড়ক উদ্বোধন করেছে ডিএনসিসি। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
‘হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে সড়ক উদ্বোধন করেছে ডিএনসিসি। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে প্রখ্যাত আলেম ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের নামে।

আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) কসাইবাড়ি রেলগেট এলাকায় নব নামকৃত ‘হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে আলেম-ওলামাদের দীর্ঘদিনের যে ভূমিকা, হাফেজ্জী হুজুর ছিলেন তার অগ্রদূত। একসময় আলেম-ওলামারা শুধুমাত্র দ্বীনি শিক্ষা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তিনি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলেম সমাজকে যুক্ত করেছেন।’

প্রশাসক আরও বলেন, ‘হাফেজ্জী হুজুর কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যক্তি ছিলেন না, দেশের সব আলেম-ওলামার কাছেই তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তাঁর অবদান স্মরণ করেই সড়কটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে প্রশাসক জানান, আজমপুর থেকে কলোনি পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণমুখী প্রধান সড়কটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের নামে নামকরণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেল ডিবি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত