আজাদুল আদনান, ঢাকা

এক মাস আগে বাড়িতে পোষা বিড়ালের আঁচড়ে জলাতঙ্কের শিকার হয় সাদিয়া (৭)। তবে দ্রুত হাসপাতালে এনে টিকা দেওয়ায় বেঁচে যায় সে। গতকাল সোমবার ছিল তার শেষ ডোজের টিকা। শুধু সাদিয়া নয়, বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বানরের কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়। আর জলাতঙ্কে মৃত্যুহার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস। তার আগে গতকাল রাজধানীর জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কুকুরের কামড়, বিড়ালের আঁচড় খাওয়া রোগীদের ভিড় হাসপাতালে। জরুরি বিভাগের পাশেই জলাতঙ্কের টিকা নিতে আসা মানুষের দীর্ঘ সারি। অনেকে প্রাণীর আক্রমণের শিকার হয়ে, আবার বিভিন্ন পরীক্ষাগারে কর্মরত অনেকে আগাম সতর্কতা হিসেবে টিকা নিতে এসেছে।
জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডা. নাঈম হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগের তুলনায় রোগী কমলেও এখনো দিনে ১ হাজারের বেশি লোক টিকা নিতে আসে। এর মধ্যে নতুন রোগী আসে ৩৫০ থেকে ৪০০।
হাসপাতালের দেওয়া তথ্যমতে, ২০১১ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত এই হাসপাতালে ৬ লাখ ২১ হাজার ৬৪৭ ব্যক্তি জলাতঙ্কের চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছরের মে পর্যন্ত সেবা নিয়েছে ২৬ হাজারের বেশি।
অন্যদিকে, গত ১০ বছরে এই হাসপাতালে জলাতঙ্কে মৃত্যু কমেছে ৮১ শতাংশ। ২০০৯ সালে সর্বোচ্চ ১০৯ জনের মৃত্যু হয়। গত বছর মৃত্যু হয় ২০ জনের। তবে চলতি বছর এ সংখ্যা বেড়েছে। গত আট মাসে মারা গেছে ২৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০১০ সালের আগে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার ব্যক্তি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেত। ১০ বছর পর সেই সংখ্যা ৭০ শতাংশ কমেছে।
অসচেতনতা, দারিদ্র্য, রাস্তায় কুকুরের সংখ্যাধিক্য এবং পোষা কুকুরের টিকা নিশ্চিতকরণে অবহেলার কারণে এই রোগ এখনো বাংলাদেশে রয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষতি, উচ্চমাত্রার স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মৃত্যুহার বিবেচনায় জলাতঙ্কে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বানরের কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়, যাদের সিংহভাগই ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, ২০১০ সালের আগে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় আড়াই হাজার ব্যক্তি জলাতঙ্ক রোগে প্রাণ হারাত। গবাদিপশুর মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান এখনো অজানা। আনুমানিক সংখ্যা ২৫ হাজার, যার অর্থনৈতিক মূল্য অপরিসীম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল অপারেশন প্ল্যানের অধীনে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জলাতঙ্কমুক্ত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়। এ জন্য ২০২০ সাল থেকে স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কর্মসূচির বাস্তবায়ন চলছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে এক রাউন্ড কুকুরের টিকা প্রদানের কাজ শেষ হয়েছে। দেশের ছয় জেলার তিন রাউন্ড এবং ১৬টি জেলায় দুই রাউন্ড টিকার কাজ শেষ হয়েছে। এভাবে টিকা পাওয়া মোট কুকুরের সংখ্যা ২১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি। এ ছাড়া জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র রয়েছে ৬৭টি। এসব কেন্দ্রে প্রতিবছর বিনা মূল্যে ৪ লাখের বেশি রোগীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্যাপক হারে টিকাদান নিশ্চিত করলে মানুষ ও কুকুর উভয়েই নিরাপদ থাকবে। তবে প্রাথমিক লক্ষণ দেখে কুকুরের জলাতঙ্ক সংক্রমিত হয়েছে কি না, বোঝা অনেক কঠিন। এ জন্য সচেতনতার বিকল্প নেই।
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের সর্বোৎকৃষ্ট সমাধান কুকুরকে নিয়মিত জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকাদান। জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণে ৭০ ভাগ কুকুরকে টিকার আওতায় আনা গেলে সব কুকুরের শরীরে সম্মিলিত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। ফলে জলাতঙ্ক ভাইরাস কুকুর থেকে কুকুরে কিংবা মানুষে সংক্রমিত হতে পারে না।
আরও পড়ুন:

এক মাস আগে বাড়িতে পোষা বিড়ালের আঁচড়ে জলাতঙ্কের শিকার হয় সাদিয়া (৭)। তবে দ্রুত হাসপাতালে এনে টিকা দেওয়ায় বেঁচে যায় সে। গতকাল সোমবার ছিল তার শেষ ডোজের টিকা। শুধু সাদিয়া নয়, বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বানরের কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়। আর জলাতঙ্কে মৃত্যুহার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস। তার আগে গতকাল রাজধানীর জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কুকুরের কামড়, বিড়ালের আঁচড় খাওয়া রোগীদের ভিড় হাসপাতালে। জরুরি বিভাগের পাশেই জলাতঙ্কের টিকা নিতে আসা মানুষের দীর্ঘ সারি। অনেকে প্রাণীর আক্রমণের শিকার হয়ে, আবার বিভিন্ন পরীক্ষাগারে কর্মরত অনেকে আগাম সতর্কতা হিসেবে টিকা নিতে এসেছে।
জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডা. নাঈম হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগের তুলনায় রোগী কমলেও এখনো দিনে ১ হাজারের বেশি লোক টিকা নিতে আসে। এর মধ্যে নতুন রোগী আসে ৩৫০ থেকে ৪০০।
হাসপাতালের দেওয়া তথ্যমতে, ২০১১ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত এই হাসপাতালে ৬ লাখ ২১ হাজার ৬৪৭ ব্যক্তি জলাতঙ্কের চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছরের মে পর্যন্ত সেবা নিয়েছে ২৬ হাজারের বেশি।
অন্যদিকে, গত ১০ বছরে এই হাসপাতালে জলাতঙ্কে মৃত্যু কমেছে ৮১ শতাংশ। ২০০৯ সালে সর্বোচ্চ ১০৯ জনের মৃত্যু হয়। গত বছর মৃত্যু হয় ২০ জনের। তবে চলতি বছর এ সংখ্যা বেড়েছে। গত আট মাসে মারা গেছে ২৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০১০ সালের আগে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার ব্যক্তি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেত। ১০ বছর পর সেই সংখ্যা ৭০ শতাংশ কমেছে।
অসচেতনতা, দারিদ্র্য, রাস্তায় কুকুরের সংখ্যাধিক্য এবং পোষা কুকুরের টিকা নিশ্চিতকরণে অবহেলার কারণে এই রোগ এখনো বাংলাদেশে রয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষতি, উচ্চমাত্রার স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মৃত্যুহার বিবেচনায় জলাতঙ্কে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বানরের কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়, যাদের সিংহভাগই ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, ২০১০ সালের আগে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় আড়াই হাজার ব্যক্তি জলাতঙ্ক রোগে প্রাণ হারাত। গবাদিপশুর মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান এখনো অজানা। আনুমানিক সংখ্যা ২৫ হাজার, যার অর্থনৈতিক মূল্য অপরিসীম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল অপারেশন প্ল্যানের অধীনে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জলাতঙ্কমুক্ত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়। এ জন্য ২০২০ সাল থেকে স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কর্মসূচির বাস্তবায়ন চলছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে এক রাউন্ড কুকুরের টিকা প্রদানের কাজ শেষ হয়েছে। দেশের ছয় জেলার তিন রাউন্ড এবং ১৬টি জেলায় দুই রাউন্ড টিকার কাজ শেষ হয়েছে। এভাবে টিকা পাওয়া মোট কুকুরের সংখ্যা ২১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি। এ ছাড়া জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র রয়েছে ৬৭টি। এসব কেন্দ্রে প্রতিবছর বিনা মূল্যে ৪ লাখের বেশি রোগীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্যাপক হারে টিকাদান নিশ্চিত করলে মানুষ ও কুকুর উভয়েই নিরাপদ থাকবে। তবে প্রাথমিক লক্ষণ দেখে কুকুরের জলাতঙ্ক সংক্রমিত হয়েছে কি না, বোঝা অনেক কঠিন। এ জন্য সচেতনতার বিকল্প নেই।
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের সর্বোৎকৃষ্ট সমাধান কুকুরকে নিয়মিত জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকাদান। জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণে ৭০ ভাগ কুকুরকে টিকার আওতায় আনা গেলে সব কুকুরের শরীরে সম্মিলিত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। ফলে জলাতঙ্ক ভাইরাস কুকুর থেকে কুকুরে কিংবা মানুষে সংক্রমিত হতে পারে না।
আরও পড়ুন:

মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
২৪ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
২০১১ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মরণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটি ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে নামকরণ করেছে। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত সড়কের নামফলকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাটি স্মরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনের আগে ফিরে আসতেই পলাতকেরা এই চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে
৪ ঘণ্টা আগেমহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র বাহিনী মনোজ্ঞ ফ্লাই পাস্ট, প্যারা জাম্প ও বিশেষ অ্যারোবেটিক প্রদর্শনীর আয়োজন করে। বিজয় দিবস উদ্যাপনে নানা আয়োজন নিয়ে এই ছবির গল্প:
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

























এক মাস আগে বাড়িতে পোষা বিড়ালের আঁচড়ে জলাতঙ্কের শিকার হন সাদিয়া (৭)। তবে দ্রুত হাসপাতালে এনে টিকা দেওয়ায় বেঁচে যায় সে। গতকাল সোমবার ছিল তার শেষ ডোজের টিকা। শুধু সাদিয়া নয়, বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বানরের কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়। আর জলাতঙ্কে মৃত্যুহার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
মহান বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
২০১১ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মরণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটি ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে নামকরণ করেছে। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত সড়কের নামফলকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাটি স্মরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনের আগে ফিরে আসতেই পলাতকেরা এই চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

মহান বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তাঁর সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন স্তরের আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি কুশল বিনিময় করেন এবং তাঁদের বিজয় দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বঙ্গভবনের সবুজ লনে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যসহ ৭ হাজার ২১৮ জন অতিথি অংশ নেন। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারভুক্ত সদস্য ছিলেন প্রায় ২৬৬ জন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা, তিন বাহিনীর প্রধান, জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতারা, শিল্পী, বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান বিচারপতি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন।
রাষ্ট্রপতি দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

মহান বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তাঁর সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন স্তরের আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি কুশল বিনিময় করেন এবং তাঁদের বিজয় দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বঙ্গভবনের সবুজ লনে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যসহ ৭ হাজার ২১৮ জন অতিথি অংশ নেন। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারভুক্ত সদস্য ছিলেন প্রায় ২৬৬ জন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা, তিন বাহিনীর প্রধান, জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতারা, শিল্পী, বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান বিচারপতি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন।
রাষ্ট্রপতি দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

এক মাস আগে বাড়িতে পোষা বিড়ালের আঁচড়ে জলাতঙ্কের শিকার হন সাদিয়া (৭)। তবে দ্রুত হাসপাতালে এনে টিকা দেওয়ায় বেঁচে যায় সে। গতকাল সোমবার ছিল তার শেষ ডোজের টিকা। শুধু সাদিয়া নয়, বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বানরের কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়। আর জলাতঙ্কে মৃত্যুহার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
২৪ মিনিট আগে
২০১১ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মরণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটি ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে নামকরণ করেছে। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত সড়কের নামফলকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাটি স্মরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনের আগে ফিরে আসতেই পলাতকেরা এই চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১১ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মরণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটি ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে নামকরণ করেছে। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত সড়কের নামফলকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
সড়কের নামফলক উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষ সীমান্ত হত্যা বন্ধ চায়। আমাদের বোন ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রাণ দিয়েছিল। তার ওপর সংঘটিত নিষ্ঠুরতা প্রতিদিন আমাদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই এই সড়কের নামকরণ। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বের বিবেকের কাছে তুলে ধরতে চাই যে, সীমান্ত হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ এখনও বাংলাদেশের সীমান্তে ঘটছে। এই কারণেই বর্তমান সরকার সব ধরনের সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে বিজয় দিবসে ফেলানীর নামে এই সড়কের উদ্বোধন করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে নিজেদের সম্মান বজায় রাখার প্রতীক ও প্রতিবাদ হিসেবেই ফেলানীর নামে এই সড়কের (গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়ক) নামকরণ করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের যে কোনো দেশের সঙ্গে কথা বলার সময় আমরা আমাদের মানবিক মর্যাদা ও সম্মান বজায় রেখেই কথা বলবো। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সেই মানবিক মর্যাদার শিক্ষাই দেয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ‘ফেলানী হত্যাকাণ্ড নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়; এটি একটি সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. মঈন উদ্দীন, ডিএনসিসি সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এস এম শফিকুর রহমানসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

২০১১ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মরণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটি ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে নামকরণ করেছে। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত সড়কের নামফলকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
সড়কের নামফলক উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষ সীমান্ত হত্যা বন্ধ চায়। আমাদের বোন ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রাণ দিয়েছিল। তার ওপর সংঘটিত নিষ্ঠুরতা প্রতিদিন আমাদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই এই সড়কের নামকরণ। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বের বিবেকের কাছে তুলে ধরতে চাই যে, সীমান্ত হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ এখনও বাংলাদেশের সীমান্তে ঘটছে। এই কারণেই বর্তমান সরকার সব ধরনের সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে বিজয় দিবসে ফেলানীর নামে এই সড়কের উদ্বোধন করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে নিজেদের সম্মান বজায় রাখার প্রতীক ও প্রতিবাদ হিসেবেই ফেলানীর নামে এই সড়কের (গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়ক) নামকরণ করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের যে কোনো দেশের সঙ্গে কথা বলার সময় আমরা আমাদের মানবিক মর্যাদা ও সম্মান বজায় রেখেই কথা বলবো। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সেই মানবিক মর্যাদার শিক্ষাই দেয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ‘ফেলানী হত্যাকাণ্ড নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়; এটি একটি সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. মঈন উদ্দীন, ডিএনসিসি সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এস এম শফিকুর রহমানসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

এক মাস আগে বাড়িতে পোষা বিড়ালের আঁচড়ে জলাতঙ্কের শিকার হন সাদিয়া (৭)। তবে দ্রুত হাসপাতালে এনে টিকা দেওয়ায় বেঁচে যায় সে। গতকাল সোমবার ছিল তার শেষ ডোজের টিকা। শুধু সাদিয়া নয়, বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বানরের কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়। আর জলাতঙ্কে মৃত্যুহার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
২৪ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাটি স্মরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনের আগে ফিরে আসতেই পলাতকেরা এই চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে
৪ ঘণ্টা আগেজাতির উদ্দেশে ভাষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাটি স্মরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনের আগে ফিরে আসতেই পলাতকেরা এই চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে এটা তারা করবে। এই চোরাগোপ্তা খুন করার উদ্যোগ তার একটা রূপ। আরও কঠিনতর পরিকল্পনা নিয়ে তাদের প্রস্তুতি আছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় তিনি এ ভাষণ দেওয়া শুরু করেন।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সামনে আজ উপস্থিত হয়েছি অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে। এই আনন্দের দিনে গভীর বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি, জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সম্প্রতি যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর আঘাত নয়—এটি বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত, আমাদের গণতান্ত্রিক পথচলার ওপর আঘাত।
‘শরিফ ওসমান হাদি বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। আপনারা তাঁর জন্য মহান আল্লাহ তাআলার কাছে অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া করুন।
‘সরকার এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা গেছে। আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই—যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই—পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের এই অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস ঘটিয়ে বা রক্ত ঝরিয়ে এই দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
‘আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাই—সংযম বজায় রাখুন। অপপ্রচার বা গুজবে কান দেবেন না। ফ্যাসিস্ট টেররিস্টরা, যারা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়, আমরা অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের মোকাবিলা করব। তাদের ফাঁদে পা দেব না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এ দেশের পবিত্র মাটিতে আর কোনো দিন ফিরে আসবে না।’
পরাজিত শক্তির কাছে চোরাগোপ্তা খুনের চেয়ে আরও কঠিনতর পরিকল্পনা আছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের তরুণদের রক্ষা করুন। তাহলে আমরা সবাই এবং আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি রক্ষা পাবে। যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তারা বুঝে গেছে, তরুণ যোদ্ধারা তাদের পুনরুত্থানের পক্ষে ভীষণ রকম বাধা। এই অস্ত্রহীন, ভীতিহীন, ব্যক্তিগত স্বার্থ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন দৈনন্দিন এই চেহারার ছেলেমেয়েদের নিয়ে তাদের সাংঘাতিক ভীতি। তাদের লক্ষ্য হলো, নির্বাচন আসার আগেই পথের এই বাধাগুলো সরিয়ে ফেলা—নিজেদের রাজত্ব আবার কায়েম করা। তাদের বন্ধুরা যত দিন তাদের সঙ্গে আছে, তত দিন তারা এই স্বপ্ন দেখবে। নির্বাচন হয়ে গেলে তাদের বন্ধুরা সমর্থন জোগাতে বেকায়দায় পড়বে। সেজন্যই তো এত তাড়াহুড়া। তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে এটা তারা করবে। এই চোরাগোপ্তা খুন করার উদ্যোগ তার একটা রূপ। আরও কঠিনতর পরিকল্পনা নিয়ে তাদের প্রস্তুতি আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের সবাইকে জোর গলায় বলতে হবে—আমরা তরুণদের রক্ষা করব। এখানে পুরোনো আমলের দাসত্ব মেনে যারা আছে, তাদেরকে দাসত্ব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে আমরা সবাই মিলে দেশের ওপর আমাদের পরিপূর্ণ দখল প্রতিষ্ঠিত করব। নির্বাচনের আর বাকি মাত্র দুই মাস। আমরা তাদের ওপর নজর রাখব এবং বাকি দিনের প্রতিটি দিন উৎসবমুখর করে রাখব। যেহেতু আমাদের কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের মনে কোনো ভয়ডর নেই, তাই তারা নির্বাচনের আগের দুই মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে উৎসবমুখর করে রাখবে। সব রকমের হিংসা, কোন্দল থেকে দেশকে বাঁচিয়ে রাখবে।’

মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাটি স্মরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচনের আগে ফিরে আসতেই পলাতকেরা এই চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে এটা তারা করবে। এই চোরাগোপ্তা খুন করার উদ্যোগ তার একটা রূপ। আরও কঠিনতর পরিকল্পনা নিয়ে তাদের প্রস্তুতি আছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় তিনি এ ভাষণ দেওয়া শুরু করেন।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সামনে আজ উপস্থিত হয়েছি অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে। এই আনন্দের দিনে গভীর বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি, জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সম্প্রতি যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর আঘাত নয়—এটি বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত, আমাদের গণতান্ত্রিক পথচলার ওপর আঘাত।
‘শরিফ ওসমান হাদি বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। আপনারা তাঁর জন্য মহান আল্লাহ তাআলার কাছে অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া করুন।
‘সরকার এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা গেছে। আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই—যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই—পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের এই অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস ঘটিয়ে বা রক্ত ঝরিয়ে এই দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
‘আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাই—সংযম বজায় রাখুন। অপপ্রচার বা গুজবে কান দেবেন না। ফ্যাসিস্ট টেররিস্টরা, যারা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়, আমরা অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের মোকাবিলা করব। তাদের ফাঁদে পা দেব না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এ দেশের পবিত্র মাটিতে আর কোনো দিন ফিরে আসবে না।’
পরাজিত শক্তির কাছে চোরাগোপ্তা খুনের চেয়ে আরও কঠিনতর পরিকল্পনা আছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের তরুণদের রক্ষা করুন। তাহলে আমরা সবাই এবং আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি রক্ষা পাবে। যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তারা বুঝে গেছে, তরুণ যোদ্ধারা তাদের পুনরুত্থানের পক্ষে ভীষণ রকম বাধা। এই অস্ত্রহীন, ভীতিহীন, ব্যক্তিগত স্বার্থ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন দৈনন্দিন এই চেহারার ছেলেমেয়েদের নিয়ে তাদের সাংঘাতিক ভীতি। তাদের লক্ষ্য হলো, নির্বাচন আসার আগেই পথের এই বাধাগুলো সরিয়ে ফেলা—নিজেদের রাজত্ব আবার কায়েম করা। তাদের বন্ধুরা যত দিন তাদের সঙ্গে আছে, তত দিন তারা এই স্বপ্ন দেখবে। নির্বাচন হয়ে গেলে তাদের বন্ধুরা সমর্থন জোগাতে বেকায়দায় পড়বে। সেজন্যই তো এত তাড়াহুড়া। তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে এটা তারা করবে। এই চোরাগোপ্তা খুন করার উদ্যোগ তার একটা রূপ। আরও কঠিনতর পরিকল্পনা নিয়ে তাদের প্রস্তুতি আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের সবাইকে জোর গলায় বলতে হবে—আমরা তরুণদের রক্ষা করব। এখানে পুরোনো আমলের দাসত্ব মেনে যারা আছে, তাদেরকে দাসত্ব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে আমরা সবাই মিলে দেশের ওপর আমাদের পরিপূর্ণ দখল প্রতিষ্ঠিত করব। নির্বাচনের আর বাকি মাত্র দুই মাস। আমরা তাদের ওপর নজর রাখব এবং বাকি দিনের প্রতিটি দিন উৎসবমুখর করে রাখব। যেহেতু আমাদের কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের মনে কোনো ভয়ডর নেই, তাই তারা নির্বাচনের আগের দুই মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে উৎসবমুখর করে রাখবে। সব রকমের হিংসা, কোন্দল থেকে দেশকে বাঁচিয়ে রাখবে।’

এক মাস আগে বাড়িতে পোষা বিড়ালের আঁচড়ে জলাতঙ্কের শিকার হন সাদিয়া (৭)। তবে দ্রুত হাসপাতালে এনে টিকা দেওয়ায় বেঁচে যায় সে। গতকাল সোমবার ছিল তার শেষ ডোজের টিকা। শুধু সাদিয়া নয়, বছরে ৪ লাখের বেশি মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বানরের কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়। আর জলাতঙ্কে মৃত্যুহার বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
২৪ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
২০১১ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের স্মরণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটি ‘ফেলানী অ্যাভিনিউ’ নামে নামকরণ করেছে। আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত সড়কের নামফলকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে