রিমন রহমান, রাজশাহী

বাজারে একটি ফটোকপি মেশিনের দাম ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সেই মেশিন কেনা হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। আর ৪১ হাজার ৫০০ টাকার মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কেনা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকায়। এভাবে কেনাকাটায় অস্বাভাবিক বাড়তি মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে। ভুয়া বিল-ভাউচারেও লুট করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেলের কেনাকাটায় এমন সব অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) কার্যালয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ প্রতিবেদন প্রস্তুত করে সিএজি কার্যালয়। প্রতিবেদনে নিম্নমানের মালপত্র ক্রয় এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্রয়ের বিষয়টিও উঠে এসেছে। উঠে এসেছে তালিকাভুক্ত নয়—এমন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের লাখ লাখ টাকার মালপত্র কেনার বিষয়টিও।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ২০২০-২১ অর্থবছরে মেসার্স এইচআর এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে অস্বাভাবিক দরে ২০ টন হার্ড কোক কিনেছেন। ঠিকাদারকে টনপ্রতি মূল্য দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা। অথচ ১ টন হার্ড কোকের বাজারমূল্য মাত্র ৩৭ হাজার ১২০ টাকা। ২০ টন হার্ড কোকের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, যা বাজারদরের চেয়ে ১৪ লাখ ২০ হাজার ৬৪০ টাকা বেশি।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক ছয়টি কেন্ট রিপ্লেসমেন্ট কিটের প্রতিটি কিনেছেন ৩ হাজার ৫৭০ টাকায়। অথচ এটির বাজারমূল্য ১ হাজার ২০০ টাকা। বাজারমূল্যের সঙ্গে ঠিকাদারের মুনাফা, পরিবহন খরচ ও ভ্যাট এবং আয়কর ৪০ শতাংশ ধরলে প্রতিটির দাম পড়ে ১ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্তু ছয়টি কিটেই ঠিকাদারকে অতিরিক্ত ১১ হাজার ৩৪০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। একইভাবে ১ হাজার ২৮৮ টাকার মেমব্র্যান কেনা হয়েছে ২ হাজার ৮৬০ টাকায়। আর লালমনিরহাটের বিভাগীয় ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয়ে ৮৫ হাজার ৪০০ টাকার ফটোকপি মেশিন কেনা হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে যে টোনার মাত্র ৭০০ টাকায় পাওয়া যায়, তা কেনা হয়েছে ৫ হাজার ১৯০ টাকায়। ৫০টি টোনার কিনতেই লুট করা হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা।
কেনাকাটায় অস্বাভাবিক মূল্য পরিশোধ করেছেন পাকশীর বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তাও। এখানে তিনটি প্রজেক্টর কেনা হয়েছে, প্রতিটির দাম ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা। অথচ বাজারে এর দাম ৫৫ হাজার টাকা। ঠিকাদারের লাভ, ভ্যাট, আয়কর বাবদ ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত ধরলেও একটি প্রজেক্টরের দাম পড়ে ৭৭ হাজার টাকা। ফলে তিনটি প্রজেক্টরেই অতিরিক্ত ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এই দপ্তরে ৩৪ হাজার ৫৮০ টাকার আলমিরা ৩৯ হাজার ৫০০, ২১ হাজার ৬১৩ টাকার ফাইল কেবিনেট ২৫ হাজার ৫০০, ৯১ হাজার টাকার এসি ১ লাখ ৮৫ হাজার, ২৮ হাজার টাকার স্ক্যানার মেশিন ৩৭ হাজার এবং ২৯ হাজার ৪০০ টাকার কালার প্রিন্টার ৪৭ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে।
কেনাকাটায় ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের সিএসটিই দপ্তরেও। সেখানে মেসার্স যমুনা ট্রেডার্সের কাছ থেকে তোশিবার একটি ফটোকপি মেশিন কেনা হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। যদিও বাজারে এটির দাম ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। একইভাবে ৪১ হাজার ৫০০ টাকা দামের মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এসএম আকিল আলী নামের এক ঠিকাদারের কাছ থেকে কেনা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকায়।
পাকশীর ডিএসটিই অফিসে ৯০টি সিসি ক্যামেরা কেনায় ঠিকাদারকে অতিরিক্ত পরিশোধ করা হয়েছে ১২ লাখ ৭১ হাজার ৬০ টাকা। সিএজি অফিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬০টি স্টারলাইট আইপি বেইজড সিসি ক্যামেরা সরবরাহ করেছে মেসার্স এমএম টেকনোলজি অ্যান্ড ট্রেডিং। ৪০টি সিসি ক্যামেরার প্রতিটির মূল্য দেওয়া হয়েছে ১৯ হাজার টাকা। আবার একই সিসি ক্যামেরার ৩০টির প্রতিটির জন্য মেসার্স এমএম টেকনোলজি অ্যান্ড ট্রেডিংকে দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা। অথচ বাজারে এসব ক্যামেরার মূল্য ৪ হাজার ৫৫০ টাকা। ঠিকাদারের লাভসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ ধরলেও এর মূল্য পড়ে ৬ হাজার ৩৭০ টাকা।
একই দপ্তরে ২০টি ৫ মেগাপিক্সেল আইপি বেইজড সিসি ক্যামেরা কেনা হয়েছে মেসার্স শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে। এগুলোর প্রতিটির মূল্য দেওয়া হয়েছে ২২ হাজার ৭৯০ টাকা। অথচ বাজারে এসব ক্যামেরার মূল্য ৩ হাজার ৫৩০ টাকা।
লালমনিরহাটের ডিএসটিই অফিসে বিসমিল্লাহ কম্পিউটারের কাছ থেকে ১৩০টি সিগন্যাল লাইট কেনা হয়েছে। প্রতিটির মূল্য দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার টাকা। আবার তানজিলা এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে একই ধরনের ৬০টি সিগন্যাল লাইট কেনা হয়েছে। তানজিলাকে প্রতিটি লাইটের মূল্য দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার টাকা। অথচ বাজারে এর দাম ১ হাজার ২৭৫ টাকা।
ভুয়া বিল-ভাউচারে লুটপাট
পশ্চিমের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক দুটি টেলিভিশন কিনতে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮০, একটি মাইক্রোওভেনের জন্য ৩৯ হাজার ৯৯০, একটি ইলেকট্রিক চুলার জন্য ৪ হাজার ৯৯০ এবং একটি আইপিএসের জন্য ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ টাকা বিল পরিশোধ দেখিয়েছেন। নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, এসবের কোনোটিই কেনা হয়নি, বিলগুলো ছিল ভুয়া।
রাজশাহীর ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তর ১৮ ওয়াটের ইলেকট্রনিক ব্যালাস্ট কেনার জন্য বিল দেখিয়েছে ৪৪ হাজার ১০০ টাকা। বাস্তবে এগুলো পাওয়া যায়নি। পাঁচটি টায়ার-টিউব কেনার ভুয়া বিল-ভাউচার করেছেন পাকশীর তৎকালীন বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা। এতে লুটে নেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা।
এদিকে পশ্চিমের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তার দপ্তরে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪১০ টাকায় পাঁচটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ট্রলি, বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক কারখানায় ৯৫ হাজার ৮২ টাকায় লিড এসিড ব্যাটারি, সৈয়দপুর জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে ৫ লাখ ৩ হাজার ২৪৯ টাকার অয়েল কেরোসিন ও পেইন্ট অয়েল পেস্ট ফিল্টার, লালমনিরহাটের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫৩ টাকার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, লালমনিরহাটের বিভাগীয় ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয়ে ২ লাখ ৫ হাজার ৭৯৪ টাকার ১০৩টি বিছানার চাদর এবং পাকশীর বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ৫৯ হাজার ৯৯৬ টাকার চারটি চেয়ার কেনা হয়েছে বলে বিল দেখানো হয়েছে। এ বিলগুলোও ছিল ভুয়া। বাস্তবে এসব মালপত্র পাওয়া যায়নি।
এক দেশের কথা বলে অন্য দেশের মালপত্র ক্রয়
সৈয়দপুর ডিসিওএস ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮০ টাকায় ৪টি সেলফ স্টার্টার কেনে। চুক্তিপত্রে উল্লেখ ছিল, জার্মানি থেকে আনা স্টার্টার সরবরাহ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান; কিন্তু দেওয়া হয়েছে চায়নার স্টার্টার। পার্বতীপুরের ডিজেল শপ ওই অর্থবছরে ৭৫ ভোল্টের ১৫০টি বাল্ব কেনে ৯২ হাজার ২৫০ টাকায়। চুক্তিপত্রে চীনে তৈরি বাল্ব সরবরাহ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়েছে ভারতের বাল্ব। পার্বতীপুরের এসিওএস ৭৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪০ টাকায় ব্র্যান্ডহীন নিম্নমানের ৩৬টি ইকুলাইজার কিনেছে। অথচ এগুলো ভারতে তৈরি হতে হবে বলে চুক্তিপত্রে উল্লেখ ছিল। কিন্তু যেগুলো কেনা হয়েছে, সেগুলো কোন দেশের উৎপাদন করা, তা লেখা নেই। এভাবে নিম্নমানের মালপত্র দিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা লোপাট করা হয়েছে।
পশ্চিম রেলের বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীর দপ্তরে ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪০ টাকার নিম্নমানের কেব্ল ও ফ্রিওন গ্যাস কিনেছে। চুক্তিপত্রে বিআরবি ব্র্যান্ডের কেব্ল কেনার কথা বলা হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়েছে এসকিউ ব্র্যান্ডের। আবার আমেরিকার তৈরি ফ্রিওন গ্যাসের কথা বলা হলেও পাওয়া গেছে চায়নার। ঈশ্বরদীর ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে (বিদ্যুৎ) স্পেশিফিকেশনের সঙ্গে মিল না থাকলেও ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ টাকার ২০০ ড্রায়ার ফিল্টার কিনে বিল পরিশোধ করেছে। অন্যদিকে পাকশীর বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা প্রায় লাখ টাকায় হাতিল ব্র্যান্ডের চারটি স্টিলের ফাইল কেবিনেটের কথা বলে তিনটি ব্র্যান্ডহীন নিম্নমানের কেবিনেট কিনেছেন। প্রায় লাখ টাকায় অটোবি ব্র্যান্ডের কথা বলে লোকাল ব্র্যান্ডহীন পুরোনো আলমিরা ও চেয়ার কিনেছেন লালমনিরহাটের বিভাগীয় পার্সোনাল অফিসার।
চাহিদা নেই, তবু ক্রয়
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে চাহিদা না থাকলেও ১ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৩৩৬ টাকার অতিরিক্ত মালপত্র কিনে ফেলে রাখা হয়। এসব অনিয়মের কারণে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হলেও অভিযুক্ত দপ্তর কোনো জবাব দেয়নি। তাই দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০টি কনভারিং বক্সের চাহিদার বিপরীতে কেনা হয় ২২২টি। ১০০টি এলবোর চাহিদা থাকলেও কেনা হয়েছে ৫৫০টি। ৫০টি ট্র্যাকশন সেন্টার ইলাস্টিক জয়েন্টের চাহিদা থাকলেও কেনা হয় ২০০টি। ভেস্টিবল ফল প্লেট দরকার ছিল ৫০টি, কেনা হয় ১৮০টি। একইভাবে ৪ হাজার ২৯০টি ড্রিল টুইস্টের চাহিদার বিপরীতে কেনা হয় ১২ হাজার ৫০০টি। এভাবে প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা অপচয় করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঠিকাদার নির্বাচনেও অনিয়ম
সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও পাকশীর ডিএসটিই ৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৪৩ লাখ ৩ হাজার ৪৪৯ টাকার কাজ দিয়েছেন। এর মধ্যে ঈশ্বরদীর ইউনিকম মাল্টিসিস্টেম সাড়ে ৬ লাখ, পাকশী রেলওয়ে বাজারের ফেরদৌসী জামান ১৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৬০, একই এলাকার খালেকুজ্জামান পান্না ৮ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ এবং চট্টগ্রামের মেসার্স শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজ ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৮৯ টাকার কাজ পায়। লালমনিরহাটের ডিএসটিইও তালিকাভুক্ত নয় এমন ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ৩৩২ টাকার মালপত্র কিনেছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো তানজিলা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স নোবেল ট্রেডার্স ও বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স। নিয়মবহির্ভূতভাবে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের কাজ দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ।
এসব অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘অডিট রিপোর্টে আপত্তি এলেই যে সবক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে, বিষয়টি এমন নয়। এগুলোর বেশির ভাগই সমাধানযোগ্য। এ জন্য আমরা অডিট টিমের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সভার আয়োজন করছি। এ মাসের শুরুর দিকে একটি সভা হওয়ার কথা ছিল, সেটা কোনো কারণে হয়নি। দ্রুতই সভা করা হবে। সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিরীক্ষা দলকে জবাব দেবেন। গ্রহণযোগ্য জবাব দিতে না পারলে তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

বাজারে একটি ফটোকপি মেশিনের দাম ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সেই মেশিন কেনা হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। আর ৪১ হাজার ৫০০ টাকার মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কেনা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকায়। এভাবে কেনাকাটায় অস্বাভাবিক বাড়তি মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে। ভুয়া বিল-ভাউচারেও লুট করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেলের কেনাকাটায় এমন সব অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) কার্যালয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ প্রতিবেদন প্রস্তুত করে সিএজি কার্যালয়। প্রতিবেদনে নিম্নমানের মালপত্র ক্রয় এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্রয়ের বিষয়টিও উঠে এসেছে। উঠে এসেছে তালিকাভুক্ত নয়—এমন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের লাখ লাখ টাকার মালপত্র কেনার বিষয়টিও।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ২০২০-২১ অর্থবছরে মেসার্স এইচআর এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে অস্বাভাবিক দরে ২০ টন হার্ড কোক কিনেছেন। ঠিকাদারকে টনপ্রতি মূল্য দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা। অথচ ১ টন হার্ড কোকের বাজারমূল্য মাত্র ৩৭ হাজার ১২০ টাকা। ২০ টন হার্ড কোকের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, যা বাজারদরের চেয়ে ১৪ লাখ ২০ হাজার ৬৪০ টাকা বেশি।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক ছয়টি কেন্ট রিপ্লেসমেন্ট কিটের প্রতিটি কিনেছেন ৩ হাজার ৫৭০ টাকায়। অথচ এটির বাজারমূল্য ১ হাজার ২০০ টাকা। বাজারমূল্যের সঙ্গে ঠিকাদারের মুনাফা, পরিবহন খরচ ও ভ্যাট এবং আয়কর ৪০ শতাংশ ধরলে প্রতিটির দাম পড়ে ১ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্তু ছয়টি কিটেই ঠিকাদারকে অতিরিক্ত ১১ হাজার ৩৪০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। একইভাবে ১ হাজার ২৮৮ টাকার মেমব্র্যান কেনা হয়েছে ২ হাজার ৮৬০ টাকায়। আর লালমনিরহাটের বিভাগীয় ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয়ে ৮৫ হাজার ৪০০ টাকার ফটোকপি মেশিন কেনা হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে যে টোনার মাত্র ৭০০ টাকায় পাওয়া যায়, তা কেনা হয়েছে ৫ হাজার ১৯০ টাকায়। ৫০টি টোনার কিনতেই লুট করা হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা।
কেনাকাটায় অস্বাভাবিক মূল্য পরিশোধ করেছেন পাকশীর বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তাও। এখানে তিনটি প্রজেক্টর কেনা হয়েছে, প্রতিটির দাম ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা। অথচ বাজারে এর দাম ৫৫ হাজার টাকা। ঠিকাদারের লাভ, ভ্যাট, আয়কর বাবদ ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত ধরলেও একটি প্রজেক্টরের দাম পড়ে ৭৭ হাজার টাকা। ফলে তিনটি প্রজেক্টরেই অতিরিক্ত ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এই দপ্তরে ৩৪ হাজার ৫৮০ টাকার আলমিরা ৩৯ হাজার ৫০০, ২১ হাজার ৬১৩ টাকার ফাইল কেবিনেট ২৫ হাজার ৫০০, ৯১ হাজার টাকার এসি ১ লাখ ৮৫ হাজার, ২৮ হাজার টাকার স্ক্যানার মেশিন ৩৭ হাজার এবং ২৯ হাজার ৪০০ টাকার কালার প্রিন্টার ৪৭ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে।
কেনাকাটায় ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের সিএসটিই দপ্তরেও। সেখানে মেসার্স যমুনা ট্রেডার্সের কাছ থেকে তোশিবার একটি ফটোকপি মেশিন কেনা হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। যদিও বাজারে এটির দাম ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। একইভাবে ৪১ হাজার ৫০০ টাকা দামের মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এসএম আকিল আলী নামের এক ঠিকাদারের কাছ থেকে কেনা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকায়।
পাকশীর ডিএসটিই অফিসে ৯০টি সিসি ক্যামেরা কেনায় ঠিকাদারকে অতিরিক্ত পরিশোধ করা হয়েছে ১২ লাখ ৭১ হাজার ৬০ টাকা। সিএজি অফিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬০টি স্টারলাইট আইপি বেইজড সিসি ক্যামেরা সরবরাহ করেছে মেসার্স এমএম টেকনোলজি অ্যান্ড ট্রেডিং। ৪০টি সিসি ক্যামেরার প্রতিটির মূল্য দেওয়া হয়েছে ১৯ হাজার টাকা। আবার একই সিসি ক্যামেরার ৩০টির প্রতিটির জন্য মেসার্স এমএম টেকনোলজি অ্যান্ড ট্রেডিংকে দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা। অথচ বাজারে এসব ক্যামেরার মূল্য ৪ হাজার ৫৫০ টাকা। ঠিকাদারের লাভসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ ধরলেও এর মূল্য পড়ে ৬ হাজার ৩৭০ টাকা।
একই দপ্তরে ২০টি ৫ মেগাপিক্সেল আইপি বেইজড সিসি ক্যামেরা কেনা হয়েছে মেসার্স শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে। এগুলোর প্রতিটির মূল্য দেওয়া হয়েছে ২২ হাজার ৭৯০ টাকা। অথচ বাজারে এসব ক্যামেরার মূল্য ৩ হাজার ৫৩০ টাকা।
লালমনিরহাটের ডিএসটিই অফিসে বিসমিল্লাহ কম্পিউটারের কাছ থেকে ১৩০টি সিগন্যাল লাইট কেনা হয়েছে। প্রতিটির মূল্য দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার টাকা। আবার তানজিলা এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে একই ধরনের ৬০টি সিগন্যাল লাইট কেনা হয়েছে। তানজিলাকে প্রতিটি লাইটের মূল্য দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার টাকা। অথচ বাজারে এর দাম ১ হাজার ২৭৫ টাকা।
ভুয়া বিল-ভাউচারে লুটপাট
পশ্চিমের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক দুটি টেলিভিশন কিনতে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮০, একটি মাইক্রোওভেনের জন্য ৩৯ হাজার ৯৯০, একটি ইলেকট্রিক চুলার জন্য ৪ হাজার ৯৯০ এবং একটি আইপিএসের জন্য ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ টাকা বিল পরিশোধ দেখিয়েছেন। নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, এসবের কোনোটিই কেনা হয়নি, বিলগুলো ছিল ভুয়া।
রাজশাহীর ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তর ১৮ ওয়াটের ইলেকট্রনিক ব্যালাস্ট কেনার জন্য বিল দেখিয়েছে ৪৪ হাজার ১০০ টাকা। বাস্তবে এগুলো পাওয়া যায়নি। পাঁচটি টায়ার-টিউব কেনার ভুয়া বিল-ভাউচার করেছেন পাকশীর তৎকালীন বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা। এতে লুটে নেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা।
এদিকে পশ্চিমের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তার দপ্তরে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪১০ টাকায় পাঁচটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ট্রলি, বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক কারখানায় ৯৫ হাজার ৮২ টাকায় লিড এসিড ব্যাটারি, সৈয়দপুর জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে ৫ লাখ ৩ হাজার ২৪৯ টাকার অয়েল কেরোসিন ও পেইন্ট অয়েল পেস্ট ফিল্টার, লালমনিরহাটের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫৩ টাকার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, লালমনিরহাটের বিভাগীয় ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয়ে ২ লাখ ৫ হাজার ৭৯৪ টাকার ১০৩টি বিছানার চাদর এবং পাকশীর বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ৫৯ হাজার ৯৯৬ টাকার চারটি চেয়ার কেনা হয়েছে বলে বিল দেখানো হয়েছে। এ বিলগুলোও ছিল ভুয়া। বাস্তবে এসব মালপত্র পাওয়া যায়নি।
এক দেশের কথা বলে অন্য দেশের মালপত্র ক্রয়
সৈয়দপুর ডিসিওএস ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮০ টাকায় ৪টি সেলফ স্টার্টার কেনে। চুক্তিপত্রে উল্লেখ ছিল, জার্মানি থেকে আনা স্টার্টার সরবরাহ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান; কিন্তু দেওয়া হয়েছে চায়নার স্টার্টার। পার্বতীপুরের ডিজেল শপ ওই অর্থবছরে ৭৫ ভোল্টের ১৫০টি বাল্ব কেনে ৯২ হাজার ২৫০ টাকায়। চুক্তিপত্রে চীনে তৈরি বাল্ব সরবরাহ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়েছে ভারতের বাল্ব। পার্বতীপুরের এসিওএস ৭৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪০ টাকায় ব্র্যান্ডহীন নিম্নমানের ৩৬টি ইকুলাইজার কিনেছে। অথচ এগুলো ভারতে তৈরি হতে হবে বলে চুক্তিপত্রে উল্লেখ ছিল। কিন্তু যেগুলো কেনা হয়েছে, সেগুলো কোন দেশের উৎপাদন করা, তা লেখা নেই। এভাবে নিম্নমানের মালপত্র দিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা লোপাট করা হয়েছে।
পশ্চিম রেলের বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীর দপ্তরে ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪০ টাকার নিম্নমানের কেব্ল ও ফ্রিওন গ্যাস কিনেছে। চুক্তিপত্রে বিআরবি ব্র্যান্ডের কেব্ল কেনার কথা বলা হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়েছে এসকিউ ব্র্যান্ডের। আবার আমেরিকার তৈরি ফ্রিওন গ্যাসের কথা বলা হলেও পাওয়া গেছে চায়নার। ঈশ্বরদীর ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে (বিদ্যুৎ) স্পেশিফিকেশনের সঙ্গে মিল না থাকলেও ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ টাকার ২০০ ড্রায়ার ফিল্টার কিনে বিল পরিশোধ করেছে। অন্যদিকে পাকশীর বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা প্রায় লাখ টাকায় হাতিল ব্র্যান্ডের চারটি স্টিলের ফাইল কেবিনেটের কথা বলে তিনটি ব্র্যান্ডহীন নিম্নমানের কেবিনেট কিনেছেন। প্রায় লাখ টাকায় অটোবি ব্র্যান্ডের কথা বলে লোকাল ব্র্যান্ডহীন পুরোনো আলমিরা ও চেয়ার কিনেছেন লালমনিরহাটের বিভাগীয় পার্সোনাল অফিসার।
চাহিদা নেই, তবু ক্রয়
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে চাহিদা না থাকলেও ১ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৩৩৬ টাকার অতিরিক্ত মালপত্র কিনে ফেলে রাখা হয়। এসব অনিয়মের কারণে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হলেও অভিযুক্ত দপ্তর কোনো জবাব দেয়নি। তাই দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০টি কনভারিং বক্সের চাহিদার বিপরীতে কেনা হয় ২২২টি। ১০০টি এলবোর চাহিদা থাকলেও কেনা হয়েছে ৫৫০টি। ৫০টি ট্র্যাকশন সেন্টার ইলাস্টিক জয়েন্টের চাহিদা থাকলেও কেনা হয় ২০০টি। ভেস্টিবল ফল প্লেট দরকার ছিল ৫০টি, কেনা হয় ১৮০টি। একইভাবে ৪ হাজার ২৯০টি ড্রিল টুইস্টের চাহিদার বিপরীতে কেনা হয় ১২ হাজার ৫০০টি। এভাবে প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা অপচয় করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঠিকাদার নির্বাচনেও অনিয়ম
সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও পাকশীর ডিএসটিই ৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৪৩ লাখ ৩ হাজার ৪৪৯ টাকার কাজ দিয়েছেন। এর মধ্যে ঈশ্বরদীর ইউনিকম মাল্টিসিস্টেম সাড়ে ৬ লাখ, পাকশী রেলওয়ে বাজারের ফেরদৌসী জামান ১৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৬০, একই এলাকার খালেকুজ্জামান পান্না ৮ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ এবং চট্টগ্রামের মেসার্স শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজ ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৮৯ টাকার কাজ পায়। লালমনিরহাটের ডিএসটিইও তালিকাভুক্ত নয় এমন ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ৩৩২ টাকার মালপত্র কিনেছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো তানজিলা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স নোবেল ট্রেডার্স ও বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স। নিয়মবহির্ভূতভাবে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের কাজ দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ।
এসব অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘অডিট রিপোর্টে আপত্তি এলেই যে সবক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে, বিষয়টি এমন নয়। এগুলোর বেশির ভাগই সমাধানযোগ্য। এ জন্য আমরা অডিট টিমের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সভার আয়োজন করছি। এ মাসের শুরুর দিকে একটি সভা হওয়ার কথা ছিল, সেটা কোনো কারণে হয়নি। দ্রুতই সভা করা হবে। সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিরীক্ষা দলকে জবাব দেবেন। গ্রহণযোগ্য জবাব দিতে না পারলে তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার ঘটনায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় একজন সাবেক সাংবাদিক হিসেবে তিনি ‘লজ্জিত’ বলে জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা এক পোস্টে তিন
২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে যে পরিকল্পিত মব সন্ত্রাস ও সহিংসতার ধারাবাহিকতা দেখা গেছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এই অবস্থায় দেশের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা
১৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটির আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। আর তাঁর জানাজা হবে আগামীকাল শনিবার জোহরের নামাজের পর সংসদ ভবন
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস। আজ শুক্রবার দূতাবাস তাদের নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার ঘটনায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় একজন সাবেক সাংবাদিক হিসেবে তিনি ‘লজ্জিত’ বলে জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এই কথা বলেন।
শফিকুল আলমের ইংরেজিতে শেয়ার করা পোস্টের বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘গত রাতে, ডেইলি স্টার আর প্রথম আলোর সাংবাদিক বন্ধুদের কাছ থেকে যখন সাহায্যের আকুল আবেদন জানানো ফোন পাচ্ছিলাম, তখন তাঁদের গলা কান্নায় বুজে আসছিল। বন্ধুরা আমার, আপনাদের কাছে আমি বড় অপরাধী; আমি আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পারলাম না।’
তিনি বলেন, ‘যাঁদের জানানো প্রয়োজন, তাঁদের সবাইকে বারবার ফোন করেছি যাতে দ্রুত সাহায্যের ব্যবস্থা করা যায়, কিন্তু কোনো সাহায্যই শেষ পর্যন্ত সময়মতো এসে পৌঁছাল না। ভোর পাঁচটায় যখন ঘুমাতে গেলাম, তখন শুধু এটুকুই জেনেছি যে—ডেইলি স্টারের (ভবনের) ভেতরে আটকে পড়া সব সাংবাদিক উদ্ধার পেয়েছেন, তাঁরা নিরাপদ। তবে ততক্ষণে এই দুই পত্রিকা অফিস দেশের সংবাদমাধ্যমের ইতিহাসে অন্যতম এক বর্বরোচিত হামলা আর অগ্নিকাণ্ডের ক্ষত নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।’
প্রেস সচিব লিখেন, ‘কী বলে যে আপনাদের সান্ত্বনা দেব, আমার জানা নেই। একজন সাবেক সাংবাদিক হিসেবে শুধু এটুকুই বলতে পারি—আমি লজ্জিত। আমার কেবলই মনে হচ্ছে, যদি বড় একটা কবর খুঁড়ে নিজেকে লজ্জায় সেখানে পুতে যেতে পারতাম!’
এর আগে, গতকাল রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। সরেজমিন দেখা গেছে, আগুনে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর ভবন দুটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার ঘটনায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় একজন সাবেক সাংবাদিক হিসেবে তিনি ‘লজ্জিত’ বলে জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এই কথা বলেন।
শফিকুল আলমের ইংরেজিতে শেয়ার করা পোস্টের বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘গত রাতে, ডেইলি স্টার আর প্রথম আলোর সাংবাদিক বন্ধুদের কাছ থেকে যখন সাহায্যের আকুল আবেদন জানানো ফোন পাচ্ছিলাম, তখন তাঁদের গলা কান্নায় বুজে আসছিল। বন্ধুরা আমার, আপনাদের কাছে আমি বড় অপরাধী; আমি আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পারলাম না।’
তিনি বলেন, ‘যাঁদের জানানো প্রয়োজন, তাঁদের সবাইকে বারবার ফোন করেছি যাতে দ্রুত সাহায্যের ব্যবস্থা করা যায়, কিন্তু কোনো সাহায্যই শেষ পর্যন্ত সময়মতো এসে পৌঁছাল না। ভোর পাঁচটায় যখন ঘুমাতে গেলাম, তখন শুধু এটুকুই জেনেছি যে—ডেইলি স্টারের (ভবনের) ভেতরে আটকে পড়া সব সাংবাদিক উদ্ধার পেয়েছেন, তাঁরা নিরাপদ। তবে ততক্ষণে এই দুই পত্রিকা অফিস দেশের সংবাদমাধ্যমের ইতিহাসে অন্যতম এক বর্বরোচিত হামলা আর অগ্নিকাণ্ডের ক্ষত নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।’
প্রেস সচিব লিখেন, ‘কী বলে যে আপনাদের সান্ত্বনা দেব, আমার জানা নেই। একজন সাবেক সাংবাদিক হিসেবে শুধু এটুকুই বলতে পারি—আমি লজ্জিত। আমার কেবলই মনে হচ্ছে, যদি বড় একটা কবর খুঁড়ে নিজেকে লজ্জায় সেখানে পুতে যেতে পারতাম!’
এর আগে, গতকাল রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। সরেজমিন দেখা গেছে, আগুনে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর ভবন দুটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাজারে একটি ফটোকপি মেশিনের দাম ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সেই মেশিন কেনা হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। আর ৪১ হাজার ৫০০ টাকার মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কেনা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকায়। এভাবে কেনাকাটায় অস্বাভাবিক বাড়তি মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে। ভুয়া বিল-ভাউচারেও লুট করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ
২৫ অক্টোবর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে যে পরিকল্পিত মব সন্ত্রাস ও সহিংসতার ধারাবাহিকতা দেখা গেছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এই অবস্থায় দেশের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা
১৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটির আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। আর তাঁর জানাজা হবে আগামীকাল শনিবার জোহরের নামাজের পর সংসদ ভবন
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস। আজ শুক্রবার দূতাবাস তাদের নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে যে পরিকল্পিত মব সন্ত্রাস ও সহিংসতার ধারাবাহিকতা দেখা গেছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এই অবস্থায় দেশের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি আজ সর্বমহলের। নির্মম হামলায় তরুণ রাজনীতিবিদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদকে কেন্দ্র করে গতকাল রাত থেকে দেশে যে পরিকল্পিত মব সন্ত্রাস ও সহিংসতার ধারাবাহিকতা দেখা গেছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও ভয়াবহ। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাসমূহের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সহিংসতার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর মব তৈরি করে হেনস্তা করার ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য ভয়ংকর বার্তা বহন করে। একই সঙ্গে দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ভবনে হামলা, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাড়ির ধ্বংসাবশেষে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, রাজশাহী ও খুলনায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের নামে জমায়েত এবং চট্টগ্রামে ভারতীয় উপহাইকমিশনের সামনে রাতের বেলা অবস্থান—সব মিলিয়ে একটি সুপরিকল্পিত অস্থিরতা সৃষ্টির চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একই ধারাবাহিকতায় একজন আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ বেরিয়েছে।
আসক মনে করে, সংবাদমাধ্যম, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও ঐতিহাসিক স্থাপনার ওপর এ ধরনের সমন্বিত হামলা দেশে উগ্র ও সহিংস চিন্তার বিপজ্জনক বিস্তারের ইঙ্গিত দেয়। ছায়ানট দীর্ঘদিন ধরে শিল্প-সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার কেন্দ্র হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত; সেই প্রতিষ্ঠানে হামলা প্রমাণ করে যে, অসহিষ্ণুতা ও উগ্রতার একটি অপ্রত্যাশিত ক্ষেত্র ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাঠে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী কেন সময়মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি, তা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গভীরভাবে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
আসক আরও মনে করে, সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা রক্ষায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের যে সীমাবদ্ধতাগুলো প্রকাশ পাচ্ছে, তা দুঃখজনক।
আসক অবিলম্বে হাদির মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তসহ মব সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা, সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নিরাপত্তা এবং জুলাই আন্দোলনের তরুণদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছে। অন্যথায় এই ধারাবাহিক সহিংসতা দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক পরিসর এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি স্থায়ী সংকট হিসেবে থেকে যেতে পারে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে যে পরিকল্পিত মব সন্ত্রাস ও সহিংসতার ধারাবাহিকতা দেখা গেছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এই অবস্থায় দেশের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি আজ সর্বমহলের। নির্মম হামলায় তরুণ রাজনীতিবিদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদকে কেন্দ্র করে গতকাল রাত থেকে দেশে যে পরিকল্পিত মব সন্ত্রাস ও সহিংসতার ধারাবাহিকতা দেখা গেছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও ভয়াবহ। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাসমূহের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সহিংসতার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর মব তৈরি করে হেনস্তা করার ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য ভয়ংকর বার্তা বহন করে। একই সঙ্গে দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ভবনে হামলা, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাড়ির ধ্বংসাবশেষে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, রাজশাহী ও খুলনায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের নামে জমায়েত এবং চট্টগ্রামে ভারতীয় উপহাইকমিশনের সামনে রাতের বেলা অবস্থান—সব মিলিয়ে একটি সুপরিকল্পিত অস্থিরতা সৃষ্টির চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একই ধারাবাহিকতায় একজন আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ বেরিয়েছে।
আসক মনে করে, সংবাদমাধ্যম, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও ঐতিহাসিক স্থাপনার ওপর এ ধরনের সমন্বিত হামলা দেশে উগ্র ও সহিংস চিন্তার বিপজ্জনক বিস্তারের ইঙ্গিত দেয়। ছায়ানট দীর্ঘদিন ধরে শিল্প-সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার কেন্দ্র হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত; সেই প্রতিষ্ঠানে হামলা প্রমাণ করে যে, অসহিষ্ণুতা ও উগ্রতার একটি অপ্রত্যাশিত ক্ষেত্র ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাঠে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী কেন সময়মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি, তা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গভীরভাবে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
আসক আরও মনে করে, সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা রক্ষায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের যে সীমাবদ্ধতাগুলো প্রকাশ পাচ্ছে, তা দুঃখজনক।
আসক অবিলম্বে হাদির মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তসহ মব সন্ত্রাসে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা, সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নিরাপত্তা এবং জুলাই আন্দোলনের তরুণদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছে। অন্যথায় এই ধারাবাহিক সহিংসতা দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক পরিসর এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি স্থায়ী সংকট হিসেবে থেকে যেতে পারে।

বাজারে একটি ফটোকপি মেশিনের দাম ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সেই মেশিন কেনা হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। আর ৪১ হাজার ৫০০ টাকার মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কেনা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকায়। এভাবে কেনাকাটায় অস্বাভাবিক বাড়তি মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে। ভুয়া বিল-ভাউচারেও লুট করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ
২৫ অক্টোবর ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার ঘটনায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় একজন সাবেক সাংবাদিক হিসেবে তিনি ‘লজ্জিত’ বলে জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা এক পোস্টে তিন
২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটির আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। আর তাঁর জানাজা হবে আগামীকাল শনিবার জোহরের নামাজের পর সংসদ ভবন
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস। আজ শুক্রবার দূতাবাস তাদের নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটির আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। আর তাঁর জানাজা হবে আগামীকাল শনিবার জোহরের নামাজের পর সংসদ ভবন এলাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল দুপুরে সংসদ ভবন এলাকায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজা হবে। এর আগে ওসমান হাদির গড়া প্রতিষ্ঠান ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, আগামীকাল জোহর নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ওসমান হাদির জানাজা হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (ঢাকার সময় বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ উড্ডয়ন করে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, মরদেহটি মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গভীর শোকের আবহ তৈরি হয়েছে।
আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহীদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটির আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। আর তাঁর জানাজা হবে আগামীকাল শনিবার জোহরের নামাজের পর সংসদ ভবন এলাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল দুপুরে সংসদ ভবন এলাকায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজা হবে। এর আগে ওসমান হাদির গড়া প্রতিষ্ঠান ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, আগামীকাল জোহর নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ওসমান হাদির জানাজা হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (ঢাকার সময় বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ উড্ডয়ন করে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, মরদেহটি মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গভীর শোকের আবহ তৈরি হয়েছে।
আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহীদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাজারে একটি ফটোকপি মেশিনের দাম ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সেই মেশিন কেনা হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। আর ৪১ হাজার ৫০০ টাকার মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কেনা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকায়। এভাবে কেনাকাটায় অস্বাভাবিক বাড়তি মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে। ভুয়া বিল-ভাউচারেও লুট করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ
২৫ অক্টোবর ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার ঘটনায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় একজন সাবেক সাংবাদিক হিসেবে তিনি ‘লজ্জিত’ বলে জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা এক পোস্টে তিন
২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে যে পরিকল্পিত মব সন্ত্রাস ও সহিংসতার ধারাবাহিকতা দেখা গেছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এই অবস্থায় দেশের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা
১৭ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস। আজ শুক্রবার দূতাবাস তাদের নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস। আজ শুক্রবার দূতাবাস তাদের নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
পোস্টে বলা হয়, ‘শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং শোকসন্তপ্ত সবার প্রতি রইল আমাদের আন্তরিক সমবেদনা।’
এদিকে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (ঢাকার সময় বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ উড্ডয়ন করে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, মরদেহটি মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গভীর শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহীদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ওসমান হাদির জানাজা হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস। আজ শুক্রবার দূতাবাস তাদের নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক পোস্টে এই শোক প্রকাশ করে।
পোস্টে বলা হয়, ‘শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং শোকসন্তপ্ত সবার প্রতি রইল আমাদের আন্তরিক সমবেদনা।’
এদিকে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (ঢাকার সময় বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ উড্ডয়ন করে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, মরদেহটি মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গভীর শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহীদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ওসমান হাদির জানাজা হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাজারে একটি ফটোকপি মেশিনের দাম ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সেই মেশিন কেনা হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। আর ৪১ হাজার ৫০০ টাকার মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কেনা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকায়। এভাবে কেনাকাটায় অস্বাভাবিক বাড়তি মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে। ভুয়া বিল-ভাউচারেও লুট করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ
২৫ অক্টোবর ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার ঘটনায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় একজন সাবেক সাংবাদিক হিসেবে তিনি ‘লজ্জিত’ বলে জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা এক পোস্টে তিন
২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে যে পরিকল্পিত মব সন্ত্রাস ও সহিংসতার ধারাবাহিকতা দেখা গেছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এই অবস্থায় দেশের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা
১৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটির আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। আর তাঁর জানাজা হবে আগামীকাল শনিবার জোহরের নামাজের পর সংসদ ভবন
১ ঘণ্টা আগে