ইশতিয়াক হাসান

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।
টোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।
শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।
দিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।
দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।
শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।
সাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।
অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।
নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।
ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।
সাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।
সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে।
কায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।
শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।
সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।
১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
বেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।
শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।
মুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো।
ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।
দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।
ওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।
টোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।
শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।
দিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।
দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।
শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।
সাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।
অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।
নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।
ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।
সাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।
সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে।
কায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।
শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।
সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।
১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
বেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।
শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।
মুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো।
ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।
দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।
ওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন
ইশতিয়াক হাসান

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।
টোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।
শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।
দিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।
দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।
শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।
সাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।
অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।
নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।
ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।
সাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।
সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে।
কায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।
শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।
সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।
১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
বেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।
শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।
মুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো।
ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।
দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।
ওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।
টোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।
শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।
দিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।
দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।
শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।
সাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।
অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।
নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।
ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।
সাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।
সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে।
কায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।
শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।
সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।
১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
বেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।
শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।
মুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো।
ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।
দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।
ওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে দেওয়া তাঁর ভাষণ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত’ করে প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে সম্প্রচার করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানি ও বাণিজ্যিক আচরণবিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। ক্ষতিপূরণ দাবির অঙ্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই অঙ্ক ৫ বিলিয়ন ডলার বলা হলেও, ট্রাম্পের আইনজীবীদের সাম্প্রতিক নথি ও ব্রিফিং অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের দাবি ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে (১৬ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, কথিত প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের ভাষণের দুটি ভিন্ন অংশ সম্পাদনার মাধ্যমে একত্রে দেখানো হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব... এবং আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আমরা লড়াই করব, দারুণভাবে লড়াই করব।’ তবে বাস্তবে এই দুটি বক্তব্য ভাষণের মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল।
বিবিসি স্বীকার করেছে, এই সম্পাদনার ফলে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে যে, ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ জন্য তারা গত মাসে দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, মানহানির অভিযোগের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
বিবিসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘আগেও যেমন বলা হয়েছে, আমরা এই মামলার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করব।’ চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তারা বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, ডকুমেন্টারিটি যুক্তরাজ্যের বাইরে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রচার না হলেও ভিপিএন বা ব্রিটবক্সের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের, বিশেষ করে ফ্লোরিডার দর্শকেরা এটি দেখতে পারেন। বিবিসি এসব অভিযোগের বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি বিবিসির নিজস্ব আইনি বিষয়। একই সঙ্গে তারা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসির ভূমিকার ওপর আস্থার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা জেতা কঠিন হলেও এই মামলা বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে দেওয়া তাঁর ভাষণ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত’ করে প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে সম্প্রচার করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানি ও বাণিজ্যিক আচরণবিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। ক্ষতিপূরণ দাবির অঙ্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই অঙ্ক ৫ বিলিয়ন ডলার বলা হলেও, ট্রাম্পের আইনজীবীদের সাম্প্রতিক নথি ও ব্রিফিং অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের দাবি ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে (১৬ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, কথিত প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের ভাষণের দুটি ভিন্ন অংশ সম্পাদনার মাধ্যমে একত্রে দেখানো হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব... এবং আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আমরা লড়াই করব, দারুণভাবে লড়াই করব।’ তবে বাস্তবে এই দুটি বক্তব্য ভাষণের মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল।
বিবিসি স্বীকার করেছে, এই সম্পাদনার ফলে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে যে, ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ জন্য তারা গত মাসে দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, মানহানির অভিযোগের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
বিবিসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘আগেও যেমন বলা হয়েছে, আমরা এই মামলার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করব।’ চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তারা বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, ডকুমেন্টারিটি যুক্তরাজ্যের বাইরে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রচার না হলেও ভিপিএন বা ব্রিটবক্সের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের, বিশেষ করে ফ্লোরিডার দর্শকেরা এটি দেখতে পারেন। বিবিসি এসব অভিযোগের বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি বিবিসির নিজস্ব আইনি বিষয়। একই সঙ্গে তারা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসির ভূমিকার ওপর আস্থার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা জেতা কঠিন হলেও এই মামলা বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছিলেন।
সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।
ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
সরকারি অনুষ্ঠানে নারী চিকিৎসকের মুখ থেকে নিকাব টেনে খোলার ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছে বিরোধী দলগুলো।
এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করে কংগ্রেস তাঁর পদত্যাগের দাবি করেছে।
হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নীতীশের কড়া সমালোচনা করে বিরোধী দল আরজেডি এক বিবৃতিতে বলেছে, পর্দা করা মুসলিম নারীর নিকাব খুলে ফেলে জেডিও এবং বিজেপি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে কী রাজনীতি করছে, সেটি প্রকাশ করে দিয়েছে।
আরজেডি তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লিখেছে, ‘নীতীশজির কী হয়েছে? তাঁর মানসিক অবস্থা এখন করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছিলেন।
সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।
ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
সরকারি অনুষ্ঠানে নারী চিকিৎসকের মুখ থেকে নিকাব টেনে খোলার ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছে বিরোধী দলগুলো।
এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করে কংগ্রেস তাঁর পদত্যাগের দাবি করেছে।
হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নীতীশের কড়া সমালোচনা করে বিরোধী দল আরজেডি এক বিবৃতিতে বলেছে, পর্দা করা মুসলিম নারীর নিকাব খুলে ফেলে জেডিও এবং বিজেপি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে কী রাজনীতি করছে, সেটি প্রকাশ করে দিয়েছে।
আরজেডি তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লিখেছে, ‘নীতীশজির কী হয়েছে? তাঁর মানসিক অবস্থা এখন করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
৪ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করে নিহত হয়েছেন এমন এক দম্পতির পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে। একটি ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, বন্দুকধারীর সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে জড়িয়েছেন ৬৯ বছরের বরিস গুরম্যান এবং তাঁর স্ত্রী ৬১ বছরের সোফিয়া গুরম্যান। হামলার শুরুর দিকেই তাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে প্রাণ হারান।
গত ১৪ ডিসেম্বর বন্ডাই বিচের ওই হামলায় এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বরিস ও সোফিয়া গুরম্যানও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে তাঁদের পরিবার। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রিয় বরিস ও সোফিয়াকে হঠাৎ এবং অর্থহীনভাবে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত।’

জানা গেছে, বরিস ও সোফিয়া গুরম্যান ৩৪ বছর ধরে দাম্পত্য জীবনে ছিলেন এবং জানুয়ারিতেই তাঁরা ৩৫ তম বিবাহবার্ষিকী উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। একই সঙ্গে চলতি ডিসেম্বরেই সোফিয়ার ৬২ তম জন্মদিন পালনের কথা ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, ক্যাম্পবেল প্যারেডে নিজের গাড়ি থেকে নেমে বন্দুকধারী সাজিদ আকরামের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বরিস। বেগুনি রঙের শার্ট পরা বরিস বন্দুকধারীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর সহযোগিতায় ধস্তাধস্তিতে এসে যোগ দেন স্ত্রী সোফিয়াও। ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃতভাবে স্থানীয় এক বাসিন্দার গাড়ির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের এমন বীরত্ব কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’
পরবর্তী সময়ে ড্রোনে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ফুটপাথে পাশাপাশি নিথর হয়ে পড়ে আছেন বরিস ও সোফিয়া। পরিবার জানিয়েছে, বরিস ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেকানিক। তিনি উদার, নীরব শক্তির প্রতীক এবং প্রয়োজনে সবার পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ। সোফিয়া কাজ করতেন অস্ট্রেলিয়া পোস্টে—সহকর্মী ও স্থানীয় কমিউনিটিতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়।
পরিবার তাঁদের সাহসিকতার কথাও তুলে ধরে বলেছে, ‘আমরা ফুটেজে দেখেছি, সোফিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বরিস অন্যদের রক্ষা করতে হামলাকারীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এই আত্মত্যাগই তাঁদের প্রকৃত পরিচয়।’
এদিকে হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে যাওয়া আহমেদ আল-আহমেদের সাহসের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সময় হামলাকারী সাজিদ আকরামকে শেষ পর্যন্ত গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। অপর হামলাকারী তাঁরই ছেলে নাভিদ আকরাম। গুরুতর আহত অবস্থায় নাভিদ এখন পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করে নিহত হয়েছেন এমন এক দম্পতির পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে। একটি ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, বন্দুকধারীর সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে জড়িয়েছেন ৬৯ বছরের বরিস গুরম্যান এবং তাঁর স্ত্রী ৬১ বছরের সোফিয়া গুরম্যান। হামলার শুরুর দিকেই তাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে প্রাণ হারান।
গত ১৪ ডিসেম্বর বন্ডাই বিচের ওই হামলায় এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বরিস ও সোফিয়া গুরম্যানও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে তাঁদের পরিবার। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রিয় বরিস ও সোফিয়াকে হঠাৎ এবং অর্থহীনভাবে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত।’

জানা গেছে, বরিস ও সোফিয়া গুরম্যান ৩৪ বছর ধরে দাম্পত্য জীবনে ছিলেন এবং জানুয়ারিতেই তাঁরা ৩৫ তম বিবাহবার্ষিকী উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। একই সঙ্গে চলতি ডিসেম্বরেই সোফিয়ার ৬২ তম জন্মদিন পালনের কথা ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, ক্যাম্পবেল প্যারেডে নিজের গাড়ি থেকে নেমে বন্দুকধারী সাজিদ আকরামের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বরিস। বেগুনি রঙের শার্ট পরা বরিস বন্দুকধারীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর সহযোগিতায় ধস্তাধস্তিতে এসে যোগ দেন স্ত্রী সোফিয়াও। ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃতভাবে স্থানীয় এক বাসিন্দার গাড়ির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের এমন বীরত্ব কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’
পরবর্তী সময়ে ড্রোনে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ফুটপাথে পাশাপাশি নিথর হয়ে পড়ে আছেন বরিস ও সোফিয়া। পরিবার জানিয়েছে, বরিস ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেকানিক। তিনি উদার, নীরব শক্তির প্রতীক এবং প্রয়োজনে সবার পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ। সোফিয়া কাজ করতেন অস্ট্রেলিয়া পোস্টে—সহকর্মী ও স্থানীয় কমিউনিটিতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়।
পরিবার তাঁদের সাহসিকতার কথাও তুলে ধরে বলেছে, ‘আমরা ফুটেজে দেখেছি, সোফিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বরিস অন্যদের রক্ষা করতে হামলাকারীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এই আত্মত্যাগই তাঁদের প্রকৃত পরিচয়।’
এদিকে হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে যাওয়া আহমেদ আল-আহমেদের সাহসের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সময় হামলাকারী সাজিদ আকরামকে শেষ পর্যন্ত গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। অপর হামলাকারী তাঁরই ছেলে নাভিদ আকরাম। গুরুতর আহত অবস্থায় নাভিদ এখন পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে রয়েছে।

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বাবলি কৌড়ের মেয়ে জ্যোতি জানান, গ্রিন কার্ড আবেদন-সংক্রান্ত বায়োমেট্রিক স্ক্যানের জন্য ১ ডিসেম্বর বাবলি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়ে গেলে সেখানে ফেডারেল এজেন্টরা তাঁকে আটক করেন।
লং বিচ ওয়াচডগ জানিয়েছে, কৌড়ের আরেক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তাঁর স্বামী গ্রিন কার্ডধারী। তাঁরা মায়ের পক্ষে গ্রিন কার্ড পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যা এরই মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।
জ্যোতি জানান, আইসিই কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেস্কে অপেক্ষার সময় কয়েকজন ফেডারেল এজেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর কৌড়কে একটি কক্ষে ডাকা হয়, যেখানে তাঁকে জানানো হয় যে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও তাঁকে আইনজীবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তবু তাঁকে আটক রাখা হয়।
পরিবারের সদস্যদের কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত জানানো হয়নি কৌড়কে কোথায় নেওয়া হয়েছে। পরে জানা যায়, তাঁকে রাতারাতি অ্যাডেলান্টোয় স্থানান্তর করা হয়েছে, যা আগে একটি ফেডারেল কারাগার ছিল এবং বর্তমানে আইসিই ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
দীর্ঘদিনের বসবাস ও পারিবারিক পরিচয়
পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর কৌড় প্রথমে লাগুনা বিচে বসবাস শুরু করেন। পরে কাজের প্রয়োজনে তাঁরা লং বিচের বেলমন্ট শোর এলাকায় চলে যান। কৌড় ও তাঁর স্বামীর তিন সন্তান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী জ্যোতি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) কর্মসূচির আওতায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং বড় ছেলে ও মেয়ে দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কৌড় ও তাঁর স্বামী দুই দশকের বেশি সময় বেলমন্ট শোরের সেকেন্ড স্ট্রিটে ‘নাটরাজ কুইজিন অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড নেপাল’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালান। রেস্তোরাঁটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া তিনি প্রায় ২৫ বছর বেলমন্ট শোর রাইট এইড ফার্মেসিতে কাজ করেছেন। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার রেস্তোরাঁয় কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মুক্তির দাবি
লং বিচের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রবার্ট গার্সিয়া বাবলি কৌড়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কার্যালয় জানায়, বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। কৌড়ের পরিবার আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিনে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত আবেদন প্রস্তুত করছে।
পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, অ্যাডেলান্টো ডিটেনশন সেন্টারে কৌড়কে বড় ডরমিটরি ধরনের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে, যেখানে আরও বহু বন্দী রয়েছেন। সারা রাত আলো জ্বালানো থাকে এবং উচ্চশব্দের কারণে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, কৌড়ের সঙ্গে স্বল্প সময়ের সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও এর জন্য পুরো দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।
মেয়ে জ্যোতি বলেন, ‘এটা এক দুঃস্বপ্ন। আমরা তাঁকে বের করে আনার জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করছি। তিনি এখানে থাকার মতো কেউ নন। এটা ভীষণ অমানবিক।’

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বাবলি কৌড়ের মেয়ে জ্যোতি জানান, গ্রিন কার্ড আবেদন-সংক্রান্ত বায়োমেট্রিক স্ক্যানের জন্য ১ ডিসেম্বর বাবলি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়ে গেলে সেখানে ফেডারেল এজেন্টরা তাঁকে আটক করেন।
লং বিচ ওয়াচডগ জানিয়েছে, কৌড়ের আরেক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তাঁর স্বামী গ্রিন কার্ডধারী। তাঁরা মায়ের পক্ষে গ্রিন কার্ড পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যা এরই মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।
জ্যোতি জানান, আইসিই কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেস্কে অপেক্ষার সময় কয়েকজন ফেডারেল এজেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর কৌড়কে একটি কক্ষে ডাকা হয়, যেখানে তাঁকে জানানো হয় যে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও তাঁকে আইনজীবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তবু তাঁকে আটক রাখা হয়।
পরিবারের সদস্যদের কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত জানানো হয়নি কৌড়কে কোথায় নেওয়া হয়েছে। পরে জানা যায়, তাঁকে রাতারাতি অ্যাডেলান্টোয় স্থানান্তর করা হয়েছে, যা আগে একটি ফেডারেল কারাগার ছিল এবং বর্তমানে আইসিই ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
দীর্ঘদিনের বসবাস ও পারিবারিক পরিচয়
পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর কৌড় প্রথমে লাগুনা বিচে বসবাস শুরু করেন। পরে কাজের প্রয়োজনে তাঁরা লং বিচের বেলমন্ট শোর এলাকায় চলে যান। কৌড় ও তাঁর স্বামীর তিন সন্তান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী জ্যোতি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) কর্মসূচির আওতায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং বড় ছেলে ও মেয়ে দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কৌড় ও তাঁর স্বামী দুই দশকের বেশি সময় বেলমন্ট শোরের সেকেন্ড স্ট্রিটে ‘নাটরাজ কুইজিন অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড নেপাল’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালান। রেস্তোরাঁটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া তিনি প্রায় ২৫ বছর বেলমন্ট শোর রাইট এইড ফার্মেসিতে কাজ করেছেন। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার রেস্তোরাঁয় কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মুক্তির দাবি
লং বিচের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রবার্ট গার্সিয়া বাবলি কৌড়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কার্যালয় জানায়, বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। কৌড়ের পরিবার আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিনে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত আবেদন প্রস্তুত করছে।
পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, অ্যাডেলান্টো ডিটেনশন সেন্টারে কৌড়কে বড় ডরমিটরি ধরনের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে, যেখানে আরও বহু বন্দী রয়েছেন। সারা রাত আলো জ্বালানো থাকে এবং উচ্চশব্দের কারণে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, কৌড়ের সঙ্গে স্বল্প সময়ের সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও এর জন্য পুরো দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।
মেয়ে জ্যোতি বলেন, ‘এটা এক দুঃস্বপ্ন। আমরা তাঁকে বের করে আনার জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করছি। তিনি এখানে থাকার মতো কেউ নন। এটা ভীষণ অমানবিক।’

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে