ইশতিয়াক হাসান

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।
টোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।
শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।
দিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।
দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।
শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।
সাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।
অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।
নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।
ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।
সাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।
সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে।
কায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।
শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।
সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।
১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
বেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।
শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।
মুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো।
ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।
দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।
ওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।
টোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।
শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।
দিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।
দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।
শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।
সাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।
অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।
নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।
ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।
সাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।
সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে।
কায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।
শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।
সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।
১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
বেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।
শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।
মুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো।
ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।
দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।
ওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন
ইশতিয়াক হাসান

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।
টোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।
শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।
দিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।
দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।
শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।
সাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।
অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।
নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।
ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।
সাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।
সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে।
কায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।
শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।
সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।
১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
বেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।
শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।
মুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো।
ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।
দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।
ওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।
টোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।
শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।
দিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।
দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।
শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।
সাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।
অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।
নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।
ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।
সাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।
সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে।
কায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।
শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।
সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।
১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
বেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।
শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।
মুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো।
ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।
দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।
ওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
১৩ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
৩৮ মিনিট আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৫ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই জানান, ২৭ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারী চাং ওয়েন প্রথমে তাইপের ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এরপর তিনি কাছের আরেকটি স্টেশনে গিয়ে পথচারীদের ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পর বহুতল একটি ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। হামলার পেছনের উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক ও বেসবল ক্যাপ পরা এক ব্যক্তি ব্যস্ত সড়কের ওপর স্মোক বোমা ছুড়ছেন। এরপর তাঁকে হাতে বড় ছুরি নিয়ে গাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী চো বলেন, তাইপে মেট্রো স্টেশনটি একটি ব্যস্ত আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং স্ট্রিটের সঙ্গে সংযুক্ত। সেখানেই প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ভোঁতা কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
এরপর হামলাকারী আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং সেন্টার দিয়ে পালিয়ে প্রায় ৮০০ মিটার দূরের ঝংশান স্টেশনে পৌঁছান। এরপর তিনি ঝংশান স্টেশনের বাইরে আবারও স্মোক বোমা ছোড়েন এবং ছুরিকাঘাত করে আরও কয়েকজনকে আহত করেন। পরে কাছের একটি বইয়ের দোকান ও ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ঢুকে পড়েন। পুলিশ স্থানটি ঘিরে ফেললে হামলাকারী ভবন থেকে পড়ে যান।
এদিকে হামলার পর মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড), রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই। তিনি বলেছেন, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারীর সম্পর্কে তদন্ত করে তার উদ্দেশ্য ও অন্য কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিংতেও ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অপরাধের রেকর্ড ছিল এবং তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।
তাইওয়ানে সহিংস অপরাধের হার তুলনামূলকভাবে কম। এ ধরনের বড় হামলা সর্বশেষ ঘটে ২০১৪ সালে। তাইপের একটি মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড) এক ব্যক্তি চারজনকে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় হামলাকারীকে দুই বছর পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই জানান, ২৭ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারী চাং ওয়েন প্রথমে তাইপের ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এরপর তিনি কাছের আরেকটি স্টেশনে গিয়ে পথচারীদের ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পর বহুতল একটি ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। হামলার পেছনের উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক ও বেসবল ক্যাপ পরা এক ব্যক্তি ব্যস্ত সড়কের ওপর স্মোক বোমা ছুড়ছেন। এরপর তাঁকে হাতে বড় ছুরি নিয়ে গাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী চো বলেন, তাইপে মেট্রো স্টেশনটি একটি ব্যস্ত আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং স্ট্রিটের সঙ্গে সংযুক্ত। সেখানেই প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ভোঁতা কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
এরপর হামলাকারী আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং সেন্টার দিয়ে পালিয়ে প্রায় ৮০০ মিটার দূরের ঝংশান স্টেশনে পৌঁছান। এরপর তিনি ঝংশান স্টেশনের বাইরে আবারও স্মোক বোমা ছোড়েন এবং ছুরিকাঘাত করে আরও কয়েকজনকে আহত করেন। পরে কাছের একটি বইয়ের দোকান ও ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ঢুকে পড়েন। পুলিশ স্থানটি ঘিরে ফেললে হামলাকারী ভবন থেকে পড়ে যান।
এদিকে হামলার পর মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড), রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই। তিনি বলেছেন, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারীর সম্পর্কে তদন্ত করে তার উদ্দেশ্য ও অন্য কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিংতেও ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অপরাধের রেকর্ড ছিল এবং তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।
তাইওয়ানে সহিংস অপরাধের হার তুলনামূলকভাবে কম। এ ধরনের বড় হামলা সর্বশেষ ঘটে ২০১৪ সালে। তাইপের একটি মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড) এক ব্যক্তি চারজনকে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় হামলাকারীকে দুই বছর পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
৩৮ মিনিট আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৫ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারটি প্রবল কুয়াশার কারণে তাহেরপুরের সভাস্থলে অবতরণ করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে কপ্টারটি কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে যায়। এরপর দমদম বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভার কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছানোর আগে সভাস্থলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া চাকদহ সংলগ্ন এলাকায় ‘গো ব্যাক মোদী’ প্ল্যাকার্ড দেখা যাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা কব্জা করবে বলে স্থির করেছে, আর তৃণমূল তাদেরই পছন্দ করছে। অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে তারা আইনের বিরোধ করছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের বদলে ওরা মোদীকে “গো ব্যাক” বলছে। এটা তৃণমূলের আসল চেহারা।’
বাংলার মানুষের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তায় মোদী বলেন, ‘তৃণমূল মোদীর বিরোধ করতে চাইলে করুক, কিন্তু রাজ্যের উন্নয়ন কেন আটকানো হচ্ছে? মোদীর বিরোধ করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে কষ্ট দেওয়ার পাপ করবেন না। ” তিনি বিহারের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে যেমন ‘জঙ্গলরাজ’ উপড়ে ফেলা হয়েছে, বাংলাতেও বিজেপি শান্তি ও উন্নয়ন ফেরাবে।’
এদিন রিমোটের মাধ্যমে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের কৃষ্ণনগর থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার চার লেনের রাস্তার উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নদীয়ার এই নতুন সড়ক ব্যবস্থাকে উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভূমি এই বাংলা থেকেই ‘বিকশিত ভারতের’ মন্ত্র হিসেবে ‘বন্দে মাতরম’ উচ্চারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বামপন্থীদের ৩০ বছরের শাসনের সমালোচনা করে বলেন, তৃণমূল বামেদের সব খারাপ গুণগুলো গ্রহণ করে নিয়েছে, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের অবদানের কথা স্মরণ করে শ্রীচৈতন্যদেব ও হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারটি প্রবল কুয়াশার কারণে তাহেরপুরের সভাস্থলে অবতরণ করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে কপ্টারটি কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে যায়। এরপর দমদম বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভার কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছানোর আগে সভাস্থলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া চাকদহ সংলগ্ন এলাকায় ‘গো ব্যাক মোদী’ প্ল্যাকার্ড দেখা যাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা কব্জা করবে বলে স্থির করেছে, আর তৃণমূল তাদেরই পছন্দ করছে। অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে তারা আইনের বিরোধ করছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের বদলে ওরা মোদীকে “গো ব্যাক” বলছে। এটা তৃণমূলের আসল চেহারা।’
বাংলার মানুষের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তায় মোদী বলেন, ‘তৃণমূল মোদীর বিরোধ করতে চাইলে করুক, কিন্তু রাজ্যের উন্নয়ন কেন আটকানো হচ্ছে? মোদীর বিরোধ করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে কষ্ট দেওয়ার পাপ করবেন না। ” তিনি বিহারের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে যেমন ‘জঙ্গলরাজ’ উপড়ে ফেলা হয়েছে, বাংলাতেও বিজেপি শান্তি ও উন্নয়ন ফেরাবে।’
এদিন রিমোটের মাধ্যমে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের কৃষ্ণনগর থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার চার লেনের রাস্তার উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নদীয়ার এই নতুন সড়ক ব্যবস্থাকে উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভূমি এই বাংলা থেকেই ‘বিকশিত ভারতের’ মন্ত্র হিসেবে ‘বন্দে মাতরম’ উচ্চারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বামপন্থীদের ৩০ বছরের শাসনের সমালোচনা করে বলেন, তৃণমূল বামেদের সব খারাপ গুণগুলো গ্রহণ করে নিয়েছে, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের অবদানের কথা স্মরণ করে শ্রীচৈতন্যদেব ও হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
১৩ মিনিট আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৫ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
১৩ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
৩৮ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
১৩ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
৩৮ মিনিট আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৫ ঘণ্টা আগে