
বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। এই দেশের পোশাক শ্রমিকদের হাতে তৈরি পোশাক না পেলে এইচঅ্যান্ডএম, গ্যাপ ও জারার মতো বিশ্বসেরা ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর শো-রুম ভরে না। সস্তা শ্রমের কারণে দ্রুত বিকশিত এই তৈরি পোশাক শিল্পের কল্যাণেই বাংলাদেশ তিন দশকের মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত আগস্টের শুরুতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চলমান অস্থিরতা ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বিক্ষোভের সময় সময় ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের কারণে রপ্তানিকারকরা যখন সংকটের মধ্যে ছিলেন, তখন অন্তত ৪টি কারখানায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। এমন প্রেক্ষাপটে ডিজনি, ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান পরবর্তী মৌসুমের জন্য অন্য বিকল্প রপ্তানিকারক দেশের খোঁজ করছে।
এমন সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের পোশাক খাতের অব্যাহত উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মজুরিসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ঢাকার আশপাশে গত তিন দিন ধর পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছে। গতকাল বুধবার গাজীপুর ও ঢাকার আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে শতাধিক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার নাগাদ ঢাকার বাইরে অন্তত ৬০টি কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে বিবিসির ধারণা।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বিবিসিকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাবে। এবং সম্ভবত তারা (ক্রেতারা) অন্য সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার কথাও ভাবতে পারে।’
এই ক্ষেত্রে আমদানির বিকল্প উৎস ব্র্যান্ডগুলো স্বভাবতই ভিয়েতনামকে বিবেচনা করতে পারেন বলেও তিনি মনে করেন।
একই ধরনের কথা বলছেন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী কিয়াও সেইন থাই। তাঁর মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের ফাস্ট ফ্যাশন পণ্যের রপ্তানি ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। তো যে দেশের ৮০ শতাংশ রপ্তানি আয় আসে এই খাত থেকে সেখানে এই পরিমাণ রপ্তানি কমে যাওয়া মোটেও সুখকর বিষয় নয়।
তবে শেখ হাসিনার পতনের আগেও যে এই খাতের পরিস্থিতি ভালো ছিল তা নয়। সামগ্রিকভাবেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে ছিল না। শিশু শ্রম কেলেঙ্কারি, ভয়াবহ দুর্ঘটনা এবং কোভিড-১৯ শাটডাউনের কারণে এই খাত দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছে। এরই মধ্যে কাঁচামালের ঊর্ধ্বগতির কারণে উৎপাদন খরচ আরও বেড়ে যায়। এই বিষয়গুলো তাও মানা যায়, কিন্তু ক্রেতাদের আগ্রহ কমে যাওয়া মানে রপ্তানি কমে যাওয়া। এটি বাংলাদেশের মতো রপ্তানিমুখী দেশের জন্য খুবই খারাপ। কারণ, রপ্তানি থেকে আয় কমলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে যাবে।
এসবের বাইরেও অন্যান্য সমস্যা আছে। বিশেষ করে লোক দেখানো বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয় সরকারি তহবিলকে ফোকলা করে দিয়েছে। ব্যাপক স্বজনপ্রীতি দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ক্ষমতাধর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সম্পর্ক থাকায় অনেকেই ঋণ পরিশোধ করেননি।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, ‘এটি কোনো নির্দোষ অবহেলা নয় বরং অর্থব্যবস্থায় পরিকল্পিত ডাকাতি।’ তিনি বলেন, এই বিষয়টি ঠিক করাকেই আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ ক্ষেত্রে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে এবং আইএমএফের ঋণসহ আরও আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, ‘আমরা বর্তমানে কঠিন একটা অবস্থায় আছি এবং আমরা আমাদের বৈদেশিক দাতাদের দেওয়া ঋণের শর্তাবলি মেনে চলতে চাই। তবে আপাতত আমাদের একটু মুক্তভাবে নড়াচড়ার জায়গা প্রয়োজন।’
সোনিয়া গ্রুপের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার বিষয়টি ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ডলার না থাকলে আমরা ভারত ও চীন থেকে সুতা আমদানির জন্য কীভাবে অর্থ প্রদান করব তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তাদের মধ্যে অনেকেই ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স না পাওয়ার কারণে নতুন অর্ডার দেওয়ার জন্য আর বাংলাদেশে আসতে পারছেন না।’
বাংলাদেশের সামনে একটি বড় সমস্যা আছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলন মূলত শুরুই হয়েছিল ভালো বেতনের চাকরি এবং সুযোগের অভাবে হতাশ তরুণ-যুবাদের দ্বারা। যদিও পোশাক কারখানাগুলো লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে, তবে সেখানে ভালো বেতন দেওয়া হয় না। কারখানার শ্রমিকদের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা মজুরি দেশের জাতীয় ন্যূনতম মজুরির অর্ধেক। ফলে তারা তাদের সন্তানদের ভরণ-পোষণের জন্য ঋণ নিতে বাধ্য হন।
এই শ্রমিকদের অনেকেই ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন মূলত ভালো মজুরি ও অন্যান্য সুবিধার আশায়। এ বিষয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেত্রী মারিয়া বলেন, ‘আমাদের মজুরি দ্বিগুণ বাড়ানো না হলে অন্য কিছুতেই আমরা মানব না। মজুরিতে আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি প্রতিফলিত হতে হবে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়াদের কয়েকজন হলেন—আবু তাহির, মোহাম্মদ জামান, মোহাম্মদ জাইদুল এবং সরদার আরমান। তাদের প্রায় সবাই বিগত ২ থেকে ৫ বছর ধরে বেকার। তাঁরা জানান, তাঁরা বেসরকারি খাতেও কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু যেসব কাজ পাওয়া যায়, তা তাদের যোগ্যতার বাইরে।
জাইদুল বলেন, ‘ (আমার বাবা-মা) বুঝতেই চান যে, দেশের চাকরির বাজার কতটা প্রতিযোগিতামূলক। আমার বেকারত্ব আমার পরিবারের জন্য একটি বাড়তি চাপ। আমরা শুধু ডিগ্রি পাই, কোনো ধরনের সঠিক দক্ষতা আমরা অর্জন করতে পারি না।’ ড. ইউনূসের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন উপদেষ্টা নিজেও একজন উদ্যোক্তা, তাই আমরা সবাই আশাবাদী যে তিনি এই বিষয়ে কিছু করবেন।’
বাংলাদেশি থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগে ড. ফাহমিদা খাতুন উল্লেখ করেন, শিক্ষিত তরুণদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অর্থনীতির বৈচিত্র্যকরণ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যুক্তি দেন, এতে অর্থনীতির জন্য খারাপ কিছু হবে না। তিনি বলেন, ‘কেবল একটি খাতের ওপর ভিত্তি করে কোনো দেশ দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে না। এটা আপনাকে একটা নির্দিষ্ট বিন্দু পর্যন্ত নিয়ে যাবে। দেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার কথা বলা হয়েছে, তবে সেটা কেবল কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ।’
রাজধানী ঢাকার বাইরে অব্যবহৃত একটি প্রযুক্তি পার্ক এর প্রমাণ। ২০১৫ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল উচ্চ বেতনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পোশাক রপ্তানির ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা হ্রাস করার লক্ষ্যে একটি দেশব্যাপী উদ্যোগের অংশ হিসেবে। কিন্তু সেই উদ্যোগ কাজে আসেনি। পার্কটি এখন পড়ে আছে শেখ হাসিনা সরকারের অর্থনৈতিক ব্যর্থতার নমুনা হয়ে।
সফটওয়্যার উদ্যোক্তা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘এই শিল্পে কী প্রয়োজন এবং সরকার যা দিয়েছে তার মধ্যে ব্যবধানের এটি নিখুঁত উদাহরণ এটি।’ তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের জিজ্ঞাসা করেনি যে, আমাদের এই পার্কগুলোর প্রয়োজন আছে কি না। বাংলাদেশ ভৌত অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করছে, কিন্তু মানবিক অবকাঠামোতে আমরা কতটা বিনিয়োগ করেছি? অথচ, এটাই এই শিল্পের কাঁচামাল।’
আগামী দিনে করণীয় কি এই বিষয়ে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, নতুন সরকারকে যা করতে হবে তা হলো—বিদেশি ও বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে দুর্নীতি ও লাল ফিতার বাধা দূর করা। ড. ইউনূস দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক সংস্কার আনার অঙ্গীকার করেছেন এবং গত কয়েক বছরে ‘পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস’ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার কথা বলেছেন। তবে তাঁর সামনে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে—অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া এবং সরকারের নীতিনির্ধারণকে স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া থেকে বিরত রাখা।
এসবের বাইরে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাস পাওয়া, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং ঘূর্ণিঝড়-বন্যার প্রকোপ মোকাবিলার মতো চ্যালেঞ্জগুলোও ড. ইউনূসের সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ হয়তো অনেক কঠিন কিন্তু ড. ইউনূসের ওপর দেশের মানুষের যে আশা তা আরও অনেক বেশি।
অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। এই দেশের পোশাক শ্রমিকদের হাতে তৈরি পোশাক না পেলে এইচঅ্যান্ডএম, গ্যাপ ও জারার মতো বিশ্বসেরা ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর শো-রুম ভরে না। সস্তা শ্রমের কারণে দ্রুত বিকশিত এই তৈরি পোশাক শিল্পের কল্যাণেই বাংলাদেশ তিন দশকের মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত আগস্টের শুরুতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চলমান অস্থিরতা ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বিক্ষোভের সময় সময় ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের কারণে রপ্তানিকারকরা যখন সংকটের মধ্যে ছিলেন, তখন অন্তত ৪টি কারখানায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। এমন প্রেক্ষাপটে ডিজনি, ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান পরবর্তী মৌসুমের জন্য অন্য বিকল্প রপ্তানিকারক দেশের খোঁজ করছে।
এমন সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের পোশাক খাতের অব্যাহত উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মজুরিসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ঢাকার আশপাশে গত তিন দিন ধর পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছে। গতকাল বুধবার গাজীপুর ও ঢাকার আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে শতাধিক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার নাগাদ ঢাকার বাইরে অন্তত ৬০টি কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে বিবিসির ধারণা।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বিবিসিকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাবে। এবং সম্ভবত তারা (ক্রেতারা) অন্য সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার কথাও ভাবতে পারে।’
এই ক্ষেত্রে আমদানির বিকল্প উৎস ব্র্যান্ডগুলো স্বভাবতই ভিয়েতনামকে বিবেচনা করতে পারেন বলেও তিনি মনে করেন।
একই ধরনের কথা বলছেন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী কিয়াও সেইন থাই। তাঁর মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের ফাস্ট ফ্যাশন পণ্যের রপ্তানি ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। তো যে দেশের ৮০ শতাংশ রপ্তানি আয় আসে এই খাত থেকে সেখানে এই পরিমাণ রপ্তানি কমে যাওয়া মোটেও সুখকর বিষয় নয়।
তবে শেখ হাসিনার পতনের আগেও যে এই খাতের পরিস্থিতি ভালো ছিল তা নয়। সামগ্রিকভাবেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে ছিল না। শিশু শ্রম কেলেঙ্কারি, ভয়াবহ দুর্ঘটনা এবং কোভিড-১৯ শাটডাউনের কারণে এই খাত দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছে। এরই মধ্যে কাঁচামালের ঊর্ধ্বগতির কারণে উৎপাদন খরচ আরও বেড়ে যায়। এই বিষয়গুলো তাও মানা যায়, কিন্তু ক্রেতাদের আগ্রহ কমে যাওয়া মানে রপ্তানি কমে যাওয়া। এটি বাংলাদেশের মতো রপ্তানিমুখী দেশের জন্য খুবই খারাপ। কারণ, রপ্তানি থেকে আয় কমলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে যাবে।
এসবের বাইরেও অন্যান্য সমস্যা আছে। বিশেষ করে লোক দেখানো বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয় সরকারি তহবিলকে ফোকলা করে দিয়েছে। ব্যাপক স্বজনপ্রীতি দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ক্ষমতাধর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সম্পর্ক থাকায় অনেকেই ঋণ পরিশোধ করেননি।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, ‘এটি কোনো নির্দোষ অবহেলা নয় বরং অর্থব্যবস্থায় পরিকল্পিত ডাকাতি।’ তিনি বলেন, এই বিষয়টি ঠিক করাকেই আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ ক্ষেত্রে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে এবং আইএমএফের ঋণসহ আরও আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, ‘আমরা বর্তমানে কঠিন একটা অবস্থায় আছি এবং আমরা আমাদের বৈদেশিক দাতাদের দেওয়া ঋণের শর্তাবলি মেনে চলতে চাই। তবে আপাতত আমাদের একটু মুক্তভাবে নড়াচড়ার জায়গা প্রয়োজন।’
সোনিয়া গ্রুপের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার বিষয়টি ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ডলার না থাকলে আমরা ভারত ও চীন থেকে সুতা আমদানির জন্য কীভাবে অর্থ প্রদান করব তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তাদের মধ্যে অনেকেই ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স না পাওয়ার কারণে নতুন অর্ডার দেওয়ার জন্য আর বাংলাদেশে আসতে পারছেন না।’
বাংলাদেশের সামনে একটি বড় সমস্যা আছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলন মূলত শুরুই হয়েছিল ভালো বেতনের চাকরি এবং সুযোগের অভাবে হতাশ তরুণ-যুবাদের দ্বারা। যদিও পোশাক কারখানাগুলো লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে, তবে সেখানে ভালো বেতন দেওয়া হয় না। কারখানার শ্রমিকদের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা মজুরি দেশের জাতীয় ন্যূনতম মজুরির অর্ধেক। ফলে তারা তাদের সন্তানদের ভরণ-পোষণের জন্য ঋণ নিতে বাধ্য হন।
এই শ্রমিকদের অনেকেই ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন মূলত ভালো মজুরি ও অন্যান্য সুবিধার আশায়। এ বিষয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেত্রী মারিয়া বলেন, ‘আমাদের মজুরি দ্বিগুণ বাড়ানো না হলে অন্য কিছুতেই আমরা মানব না। মজুরিতে আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি প্রতিফলিত হতে হবে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়াদের কয়েকজন হলেন—আবু তাহির, মোহাম্মদ জামান, মোহাম্মদ জাইদুল এবং সরদার আরমান। তাদের প্রায় সবাই বিগত ২ থেকে ৫ বছর ধরে বেকার। তাঁরা জানান, তাঁরা বেসরকারি খাতেও কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু যেসব কাজ পাওয়া যায়, তা তাদের যোগ্যতার বাইরে।
জাইদুল বলেন, ‘ (আমার বাবা-মা) বুঝতেই চান যে, দেশের চাকরির বাজার কতটা প্রতিযোগিতামূলক। আমার বেকারত্ব আমার পরিবারের জন্য একটি বাড়তি চাপ। আমরা শুধু ডিগ্রি পাই, কোনো ধরনের সঠিক দক্ষতা আমরা অর্জন করতে পারি না।’ ড. ইউনূসের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন উপদেষ্টা নিজেও একজন উদ্যোক্তা, তাই আমরা সবাই আশাবাদী যে তিনি এই বিষয়ে কিছু করবেন।’
বাংলাদেশি থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগে ড. ফাহমিদা খাতুন উল্লেখ করেন, শিক্ষিত তরুণদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অর্থনীতির বৈচিত্র্যকরণ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যুক্তি দেন, এতে অর্থনীতির জন্য খারাপ কিছু হবে না। তিনি বলেন, ‘কেবল একটি খাতের ওপর ভিত্তি করে কোনো দেশ দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে না। এটা আপনাকে একটা নির্দিষ্ট বিন্দু পর্যন্ত নিয়ে যাবে। দেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার কথা বলা হয়েছে, তবে সেটা কেবল কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ।’
রাজধানী ঢাকার বাইরে অব্যবহৃত একটি প্রযুক্তি পার্ক এর প্রমাণ। ২০১৫ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল উচ্চ বেতনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পোশাক রপ্তানির ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা হ্রাস করার লক্ষ্যে একটি দেশব্যাপী উদ্যোগের অংশ হিসেবে। কিন্তু সেই উদ্যোগ কাজে আসেনি। পার্কটি এখন পড়ে আছে শেখ হাসিনা সরকারের অর্থনৈতিক ব্যর্থতার নমুনা হয়ে।
সফটওয়্যার উদ্যোক্তা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘এই শিল্পে কী প্রয়োজন এবং সরকার যা দিয়েছে তার মধ্যে ব্যবধানের এটি নিখুঁত উদাহরণ এটি।’ তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের জিজ্ঞাসা করেনি যে, আমাদের এই পার্কগুলোর প্রয়োজন আছে কি না। বাংলাদেশ ভৌত অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করছে, কিন্তু মানবিক অবকাঠামোতে আমরা কতটা বিনিয়োগ করেছি? অথচ, এটাই এই শিল্পের কাঁচামাল।’
আগামী দিনে করণীয় কি এই বিষয়ে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, নতুন সরকারকে যা করতে হবে তা হলো—বিদেশি ও বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে দুর্নীতি ও লাল ফিতার বাধা দূর করা। ড. ইউনূস দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক সংস্কার আনার অঙ্গীকার করেছেন এবং গত কয়েক বছরে ‘পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস’ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার কথা বলেছেন। তবে তাঁর সামনে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে—অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া এবং সরকারের নীতিনির্ধারণকে স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া থেকে বিরত রাখা।
এসবের বাইরে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাস পাওয়া, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং ঘূর্ণিঝড়-বন্যার প্রকোপ মোকাবিলার মতো চ্যালেঞ্জগুলোও ড. ইউনূসের সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ হয়তো অনেক কঠিন কিন্তু ড. ইউনূসের ওপর দেশের মানুষের যে আশা তা আরও অনেক বেশি।
অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৫ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৬ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। কিন্তু বিক্ষোভে সরকার পতনের পর অস্থিরতার মধ্যে দেশের ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ। বিক্ষোভের সময় সময় রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় ডিজনি ও ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড বিকল্প রপ্তানিকারক খুঁজছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৫ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৬ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। কিন্তু বিক্ষোভে সরকার পতনের পর অস্থিরতার মধ্যে দেশের ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ। বিক্ষোভের সময় সময় রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় ডিজনি ও ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড বিকল্প রপ্তানিকারক খুঁজছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৬ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। কিন্তু বিক্ষোভে সরকার পতনের পর অস্থিরতার মধ্যে দেশের ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ। বিক্ষোভের সময় সময় রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় ডিজনি ও ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড বিকল্প রপ্তানিকারক খুঁজছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৫ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। কিন্তু বিক্ষোভে সরকার পতনের পর অস্থিরতার মধ্যে দেশের ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ। বিক্ষোভের সময় সময় রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় ডিজনি ও ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড বিকল্প রপ্তানিকারক খুঁজছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৫ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৬ ঘণ্টা আগে