
বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। এই দেশের পোশাক শ্রমিকদের হাতে তৈরি পোশাক না পেলে এইচঅ্যান্ডএম, গ্যাপ ও জারার মতো বিশ্বসেরা ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর শো-রুম ভরে না। সস্তা শ্রমের কারণে দ্রুত বিকশিত এই তৈরি পোশাক শিল্পের কল্যাণেই বাংলাদেশ তিন দশকের মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত আগস্টের শুরুতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চলমান অস্থিরতা ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বিক্ষোভের সময় সময় ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের কারণে রপ্তানিকারকরা যখন সংকটের মধ্যে ছিলেন, তখন অন্তত ৪টি কারখানায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। এমন প্রেক্ষাপটে ডিজনি, ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান পরবর্তী মৌসুমের জন্য অন্য বিকল্প রপ্তানিকারক দেশের খোঁজ করছে।
এমন সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের পোশাক খাতের অব্যাহত উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মজুরিসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ঢাকার আশপাশে গত তিন দিন ধর পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছে। গতকাল বুধবার গাজীপুর ও ঢাকার আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে শতাধিক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার নাগাদ ঢাকার বাইরে অন্তত ৬০টি কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে বিবিসির ধারণা।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বিবিসিকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাবে। এবং সম্ভবত তারা (ক্রেতারা) অন্য সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার কথাও ভাবতে পারে।’
এই ক্ষেত্রে আমদানির বিকল্প উৎস ব্র্যান্ডগুলো স্বভাবতই ভিয়েতনামকে বিবেচনা করতে পারেন বলেও তিনি মনে করেন।
একই ধরনের কথা বলছেন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী কিয়াও সেইন থাই। তাঁর মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের ফাস্ট ফ্যাশন পণ্যের রপ্তানি ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। তো যে দেশের ৮০ শতাংশ রপ্তানি আয় আসে এই খাত থেকে সেখানে এই পরিমাণ রপ্তানি কমে যাওয়া মোটেও সুখকর বিষয় নয়।
তবে শেখ হাসিনার পতনের আগেও যে এই খাতের পরিস্থিতি ভালো ছিল তা নয়। সামগ্রিকভাবেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে ছিল না। শিশু শ্রম কেলেঙ্কারি, ভয়াবহ দুর্ঘটনা এবং কোভিড-১৯ শাটডাউনের কারণে এই খাত দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছে। এরই মধ্যে কাঁচামালের ঊর্ধ্বগতির কারণে উৎপাদন খরচ আরও বেড়ে যায়। এই বিষয়গুলো তাও মানা যায়, কিন্তু ক্রেতাদের আগ্রহ কমে যাওয়া মানে রপ্তানি কমে যাওয়া। এটি বাংলাদেশের মতো রপ্তানিমুখী দেশের জন্য খুবই খারাপ। কারণ, রপ্তানি থেকে আয় কমলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে যাবে।
এসবের বাইরেও অন্যান্য সমস্যা আছে। বিশেষ করে লোক দেখানো বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয় সরকারি তহবিলকে ফোকলা করে দিয়েছে। ব্যাপক স্বজনপ্রীতি দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ক্ষমতাধর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সম্পর্ক থাকায় অনেকেই ঋণ পরিশোধ করেননি।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, ‘এটি কোনো নির্দোষ অবহেলা নয় বরং অর্থব্যবস্থায় পরিকল্পিত ডাকাতি।’ তিনি বলেন, এই বিষয়টি ঠিক করাকেই আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ ক্ষেত্রে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে এবং আইএমএফের ঋণসহ আরও আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, ‘আমরা বর্তমানে কঠিন একটা অবস্থায় আছি এবং আমরা আমাদের বৈদেশিক দাতাদের দেওয়া ঋণের শর্তাবলি মেনে চলতে চাই। তবে আপাতত আমাদের একটু মুক্তভাবে নড়াচড়ার জায়গা প্রয়োজন।’
সোনিয়া গ্রুপের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার বিষয়টি ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ডলার না থাকলে আমরা ভারত ও চীন থেকে সুতা আমদানির জন্য কীভাবে অর্থ প্রদান করব তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তাদের মধ্যে অনেকেই ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স না পাওয়ার কারণে নতুন অর্ডার দেওয়ার জন্য আর বাংলাদেশে আসতে পারছেন না।’
বাংলাদেশের সামনে একটি বড় সমস্যা আছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলন মূলত শুরুই হয়েছিল ভালো বেতনের চাকরি এবং সুযোগের অভাবে হতাশ তরুণ-যুবাদের দ্বারা। যদিও পোশাক কারখানাগুলো লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে, তবে সেখানে ভালো বেতন দেওয়া হয় না। কারখানার শ্রমিকদের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা মজুরি দেশের জাতীয় ন্যূনতম মজুরির অর্ধেক। ফলে তারা তাদের সন্তানদের ভরণ-পোষণের জন্য ঋণ নিতে বাধ্য হন।
এই শ্রমিকদের অনেকেই ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন মূলত ভালো মজুরি ও অন্যান্য সুবিধার আশায়। এ বিষয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেত্রী মারিয়া বলেন, ‘আমাদের মজুরি দ্বিগুণ বাড়ানো না হলে অন্য কিছুতেই আমরা মানব না। মজুরিতে আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি প্রতিফলিত হতে হবে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়াদের কয়েকজন হলেন—আবু তাহির, মোহাম্মদ জামান, মোহাম্মদ জাইদুল এবং সরদার আরমান। তাদের প্রায় সবাই বিগত ২ থেকে ৫ বছর ধরে বেকার। তাঁরা জানান, তাঁরা বেসরকারি খাতেও কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু যেসব কাজ পাওয়া যায়, তা তাদের যোগ্যতার বাইরে।
জাইদুল বলেন, ‘ (আমার বাবা-মা) বুঝতেই চান যে, দেশের চাকরির বাজার কতটা প্রতিযোগিতামূলক। আমার বেকারত্ব আমার পরিবারের জন্য একটি বাড়তি চাপ। আমরা শুধু ডিগ্রি পাই, কোনো ধরনের সঠিক দক্ষতা আমরা অর্জন করতে পারি না।’ ড. ইউনূসের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন উপদেষ্টা নিজেও একজন উদ্যোক্তা, তাই আমরা সবাই আশাবাদী যে তিনি এই বিষয়ে কিছু করবেন।’
বাংলাদেশি থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগে ড. ফাহমিদা খাতুন উল্লেখ করেন, শিক্ষিত তরুণদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অর্থনীতির বৈচিত্র্যকরণ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যুক্তি দেন, এতে অর্থনীতির জন্য খারাপ কিছু হবে না। তিনি বলেন, ‘কেবল একটি খাতের ওপর ভিত্তি করে কোনো দেশ দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে না। এটা আপনাকে একটা নির্দিষ্ট বিন্দু পর্যন্ত নিয়ে যাবে। দেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার কথা বলা হয়েছে, তবে সেটা কেবল কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ।’
রাজধানী ঢাকার বাইরে অব্যবহৃত একটি প্রযুক্তি পার্ক এর প্রমাণ। ২০১৫ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল উচ্চ বেতনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পোশাক রপ্তানির ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা হ্রাস করার লক্ষ্যে একটি দেশব্যাপী উদ্যোগের অংশ হিসেবে। কিন্তু সেই উদ্যোগ কাজে আসেনি। পার্কটি এখন পড়ে আছে শেখ হাসিনা সরকারের অর্থনৈতিক ব্যর্থতার নমুনা হয়ে।
সফটওয়্যার উদ্যোক্তা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘এই শিল্পে কী প্রয়োজন এবং সরকার যা দিয়েছে তার মধ্যে ব্যবধানের এটি নিখুঁত উদাহরণ এটি।’ তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের জিজ্ঞাসা করেনি যে, আমাদের এই পার্কগুলোর প্রয়োজন আছে কি না। বাংলাদেশ ভৌত অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করছে, কিন্তু মানবিক অবকাঠামোতে আমরা কতটা বিনিয়োগ করেছি? অথচ, এটাই এই শিল্পের কাঁচামাল।’
আগামী দিনে করণীয় কি এই বিষয়ে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, নতুন সরকারকে যা করতে হবে তা হলো—বিদেশি ও বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে দুর্নীতি ও লাল ফিতার বাধা দূর করা। ড. ইউনূস দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক সংস্কার আনার অঙ্গীকার করেছেন এবং গত কয়েক বছরে ‘পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস’ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার কথা বলেছেন। তবে তাঁর সামনে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে—অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া এবং সরকারের নীতিনির্ধারণকে স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া থেকে বিরত রাখা।
এসবের বাইরে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাস পাওয়া, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং ঘূর্ণিঝড়-বন্যার প্রকোপ মোকাবিলার মতো চ্যালেঞ্জগুলোও ড. ইউনূসের সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ হয়তো অনেক কঠিন কিন্তু ড. ইউনূসের ওপর দেশের মানুষের যে আশা তা আরও অনেক বেশি।
অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। এই দেশের পোশাক শ্রমিকদের হাতে তৈরি পোশাক না পেলে এইচঅ্যান্ডএম, গ্যাপ ও জারার মতো বিশ্বসেরা ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর শো-রুম ভরে না। সস্তা শ্রমের কারণে দ্রুত বিকশিত এই তৈরি পোশাক শিল্পের কল্যাণেই বাংলাদেশ তিন দশকের মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত আগস্টের শুরুতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চলমান অস্থিরতা ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বিক্ষোভের সময় সময় ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের কারণে রপ্তানিকারকরা যখন সংকটের মধ্যে ছিলেন, তখন অন্তত ৪টি কারখানায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। এমন প্রেক্ষাপটে ডিজনি, ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান পরবর্তী মৌসুমের জন্য অন্য বিকল্প রপ্তানিকারক দেশের খোঁজ করছে।
এমন সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের পোশাক খাতের অব্যাহত উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মজুরিসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ঢাকার আশপাশে গত তিন দিন ধর পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছে। গতকাল বুধবার গাজীপুর ও ঢাকার আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে শতাধিক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার নাগাদ ঢাকার বাইরে অন্তত ৬০টি কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে বিবিসির ধারণা।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বিবিসিকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাবে। এবং সম্ভবত তারা (ক্রেতারা) অন্য সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার কথাও ভাবতে পারে।’
এই ক্ষেত্রে আমদানির বিকল্প উৎস ব্র্যান্ডগুলো স্বভাবতই ভিয়েতনামকে বিবেচনা করতে পারেন বলেও তিনি মনে করেন।
একই ধরনের কথা বলছেন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী কিয়াও সেইন থাই। তাঁর মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের ফাস্ট ফ্যাশন পণ্যের রপ্তানি ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। তো যে দেশের ৮০ শতাংশ রপ্তানি আয় আসে এই খাত থেকে সেখানে এই পরিমাণ রপ্তানি কমে যাওয়া মোটেও সুখকর বিষয় নয়।
তবে শেখ হাসিনার পতনের আগেও যে এই খাতের পরিস্থিতি ভালো ছিল তা নয়। সামগ্রিকভাবেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে ছিল না। শিশু শ্রম কেলেঙ্কারি, ভয়াবহ দুর্ঘটনা এবং কোভিড-১৯ শাটডাউনের কারণে এই খাত দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছে। এরই মধ্যে কাঁচামালের ঊর্ধ্বগতির কারণে উৎপাদন খরচ আরও বেড়ে যায়। এই বিষয়গুলো তাও মানা যায়, কিন্তু ক্রেতাদের আগ্রহ কমে যাওয়া মানে রপ্তানি কমে যাওয়া। এটি বাংলাদেশের মতো রপ্তানিমুখী দেশের জন্য খুবই খারাপ। কারণ, রপ্তানি থেকে আয় কমলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে যাবে।
এসবের বাইরেও অন্যান্য সমস্যা আছে। বিশেষ করে লোক দেখানো বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পে বিপুল অর্থ ব্যয় সরকারি তহবিলকে ফোকলা করে দিয়েছে। ব্যাপক স্বজনপ্রীতি দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ক্ষমতাধর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সম্পর্ক থাকায় অনেকেই ঋণ পরিশোধ করেননি।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, ‘এটি কোনো নির্দোষ অবহেলা নয় বরং অর্থব্যবস্থায় পরিকল্পিত ডাকাতি।’ তিনি বলেন, এই বিষয়টি ঠিক করাকেই আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ ক্ষেত্রে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে এবং আইএমএফের ঋণসহ আরও আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, ‘আমরা বর্তমানে কঠিন একটা অবস্থায় আছি এবং আমরা আমাদের বৈদেশিক দাতাদের দেওয়া ঋণের শর্তাবলি মেনে চলতে চাই। তবে আপাতত আমাদের একটু মুক্তভাবে নড়াচড়ার জায়গা প্রয়োজন।’
সোনিয়া গ্রুপের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার বিষয়টি ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ডলার না থাকলে আমরা ভারত ও চীন থেকে সুতা আমদানির জন্য কীভাবে অর্থ প্রদান করব তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তাদের মধ্যে অনেকেই ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স না পাওয়ার কারণে নতুন অর্ডার দেওয়ার জন্য আর বাংলাদেশে আসতে পারছেন না।’
বাংলাদেশের সামনে একটি বড় সমস্যা আছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলন মূলত শুরুই হয়েছিল ভালো বেতনের চাকরি এবং সুযোগের অভাবে হতাশ তরুণ-যুবাদের দ্বারা। যদিও পোশাক কারখানাগুলো লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে, তবে সেখানে ভালো বেতন দেওয়া হয় না। কারখানার শ্রমিকদের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা মজুরি দেশের জাতীয় ন্যূনতম মজুরির অর্ধেক। ফলে তারা তাদের সন্তানদের ভরণ-পোষণের জন্য ঋণ নিতে বাধ্য হন।
এই শ্রমিকদের অনেকেই ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন মূলত ভালো মজুরি ও অন্যান্য সুবিধার আশায়। এ বিষয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেত্রী মারিয়া বলেন, ‘আমাদের মজুরি দ্বিগুণ বাড়ানো না হলে অন্য কিছুতেই আমরা মানব না। মজুরিতে আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি প্রতিফলিত হতে হবে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়াদের কয়েকজন হলেন—আবু তাহির, মোহাম্মদ জামান, মোহাম্মদ জাইদুল এবং সরদার আরমান। তাদের প্রায় সবাই বিগত ২ থেকে ৫ বছর ধরে বেকার। তাঁরা জানান, তাঁরা বেসরকারি খাতেও কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু যেসব কাজ পাওয়া যায়, তা তাদের যোগ্যতার বাইরে।
জাইদুল বলেন, ‘ (আমার বাবা-মা) বুঝতেই চান যে, দেশের চাকরির বাজার কতটা প্রতিযোগিতামূলক। আমার বেকারত্ব আমার পরিবারের জন্য একটি বাড়তি চাপ। আমরা শুধু ডিগ্রি পাই, কোনো ধরনের সঠিক দক্ষতা আমরা অর্জন করতে পারি না।’ ড. ইউনূসের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন উপদেষ্টা নিজেও একজন উদ্যোক্তা, তাই আমরা সবাই আশাবাদী যে তিনি এই বিষয়ে কিছু করবেন।’
বাংলাদেশি থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগে ড. ফাহমিদা খাতুন উল্লেখ করেন, শিক্ষিত তরুণদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অর্থনীতির বৈচিত্র্যকরণ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যুক্তি দেন, এতে অর্থনীতির জন্য খারাপ কিছু হবে না। তিনি বলেন, ‘কেবল একটি খাতের ওপর ভিত্তি করে কোনো দেশ দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে না। এটা আপনাকে একটা নির্দিষ্ট বিন্দু পর্যন্ত নিয়ে যাবে। দেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার কথা বলা হয়েছে, তবে সেটা কেবল কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ।’
রাজধানী ঢাকার বাইরে অব্যবহৃত একটি প্রযুক্তি পার্ক এর প্রমাণ। ২০১৫ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল উচ্চ বেতনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পোশাক রপ্তানির ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা হ্রাস করার লক্ষ্যে একটি দেশব্যাপী উদ্যোগের অংশ হিসেবে। কিন্তু সেই উদ্যোগ কাজে আসেনি। পার্কটি এখন পড়ে আছে শেখ হাসিনা সরকারের অর্থনৈতিক ব্যর্থতার নমুনা হয়ে।
সফটওয়্যার উদ্যোক্তা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘এই শিল্পে কী প্রয়োজন এবং সরকার যা দিয়েছে তার মধ্যে ব্যবধানের এটি নিখুঁত উদাহরণ এটি।’ তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের জিজ্ঞাসা করেনি যে, আমাদের এই পার্কগুলোর প্রয়োজন আছে কি না। বাংলাদেশ ভৌত অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করছে, কিন্তু মানবিক অবকাঠামোতে আমরা কতটা বিনিয়োগ করেছি? অথচ, এটাই এই শিল্পের কাঁচামাল।’
আগামী দিনে করণীয় কি এই বিষয়ে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, নতুন সরকারকে যা করতে হবে তা হলো—বিদেশি ও বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে দুর্নীতি ও লাল ফিতার বাধা দূর করা। ড. ইউনূস দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক সংস্কার আনার অঙ্গীকার করেছেন এবং গত কয়েক বছরে ‘পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস’ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার কথা বলেছেন। তবে তাঁর সামনে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে—অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া এবং সরকারের নীতিনির্ধারণকে স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া থেকে বিরত রাখা।
এসবের বাইরে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাস পাওয়া, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং ঘূর্ণিঝড়-বন্যার প্রকোপ মোকাবিলার মতো চ্যালেঞ্জগুলোও ড. ইউনূসের সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ হয়তো অনেক কঠিন কিন্তু ড. ইউনূসের ওপর দেশের মানুষের যে আশা তা আরও অনেক বেশি।
অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের...
৯ মিনিট আগে
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
৭ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম
১২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেআসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতা বজায় আছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা ১৩.৮৯ শতাংশ।
তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো—রাজস্ব আদায়ে বৃদ্ধি হয়েছে ১৫.১৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আদায় হয়েছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসা-বাণিজ্যের ধীরগতির কারণে রাজস্ব আদায় প্রত্যাশার তুলনায় কম হয়েছে। তবে বছরের শেষ দিকে সাধারণত আদায় বাড়ে। করের আওতা বৃদ্ধি, কর পরিপালন জোরদার করা এবং ফাঁকি প্রতিরোধে এনবিআর সক্রিয়।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক মন্দাভাব, কাঠামোগত দুর্বলতা ও সক্ষমতার অভাব সরাসরি রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তা ছাড়া অর্থবছরের মাঝপথে লক্ষ্যমাত্রা একলাফে ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর কারণে বাস্তবতার সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার ব্যবধান আরও প্রকট হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। তবে ১০ নভেম্বর বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি তা ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করে। ফলে বাকি সাত মাসে এনবিআরকে ৪ লাখ ৫ হাজার ২৪ কোটি টাকা আদায় করতে হবে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকে। প্রধান কারণ হলো এনবিআরের সক্ষমতার চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। মানবসম্পদ, কারিগরি দক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা পর্যাপ্ত নয়; পাশাপাশি করদাতা এবং করযোগ্য ব্যক্তির মধ্যে বড় ব্যবধান রয়েছে, কর ফাঁকিও প্রচুর। বর্তমান ব্যবসায়িক মন্দা, খরচ বৃদ্ধি, আয় হ্রাস এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ কমে যাওয়াও রাজস্ব আদায়ে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়ানো, অটোমেশন ও সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করলে রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে আদায় বাড়ানো সম্ভব।
সাবেক আমলা ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, এনবিআরের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি প্রশাসনিক পদে বড় রদবদলের কারণে কার্যক্রম গোছাতে কিছুটা সময় লাগা স্বাভাবিক।
রাজস্ব খাত অনুযায়ী, ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি আদায় হয়েছে। প্রথম পাঁচ মাসে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২৩১ কোটি টাকা, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা; ঘাটতি ৩ হাজার ৮১৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ৬.১৫ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১.৯৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আসে আয়কর খাতে। আদায় হয়েছে ৪৭ হাজার ৮৮১ কোটি, লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ হাজার ৯৯৫ কোটি ২৫ লাখ; ঘাটতি ২০.১৯ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশ। কাস্টমস বা শুল্ক খাতে ৪২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার ৯৭৯ কোটি ৫৬ লাখ; ঘাটতি ১৫.৯১ শতাংশ, তবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.২৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার অপরিহার্য। এনবিআরের মানবসম্পদ, প্রযুক্তি ব্যবহার, প্রক্রিয়ার সরলীকরণ এবং অটোমেশন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন।

রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতা বজায় আছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা ১৩.৮৯ শতাংশ।
তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো—রাজস্ব আদায়ে বৃদ্ধি হয়েছে ১৫.১৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আদায় হয়েছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসা-বাণিজ্যের ধীরগতির কারণে রাজস্ব আদায় প্রত্যাশার তুলনায় কম হয়েছে। তবে বছরের শেষ দিকে সাধারণত আদায় বাড়ে। করের আওতা বৃদ্ধি, কর পরিপালন জোরদার করা এবং ফাঁকি প্রতিরোধে এনবিআর সক্রিয়।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক মন্দাভাব, কাঠামোগত দুর্বলতা ও সক্ষমতার অভাব সরাসরি রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তা ছাড়া অর্থবছরের মাঝপথে লক্ষ্যমাত্রা একলাফে ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর কারণে বাস্তবতার সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার ব্যবধান আরও প্রকট হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। তবে ১০ নভেম্বর বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি তা ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করে। ফলে বাকি সাত মাসে এনবিআরকে ৪ লাখ ৫ হাজার ২৪ কোটি টাকা আদায় করতে হবে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকে। প্রধান কারণ হলো এনবিআরের সক্ষমতার চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। মানবসম্পদ, কারিগরি দক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা পর্যাপ্ত নয়; পাশাপাশি করদাতা এবং করযোগ্য ব্যক্তির মধ্যে বড় ব্যবধান রয়েছে, কর ফাঁকিও প্রচুর। বর্তমান ব্যবসায়িক মন্দা, খরচ বৃদ্ধি, আয় হ্রাস এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ কমে যাওয়াও রাজস্ব আদায়ে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়ানো, অটোমেশন ও সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করলে রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে আদায় বাড়ানো সম্ভব।
সাবেক আমলা ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, এনবিআরের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি প্রশাসনিক পদে বড় রদবদলের কারণে কার্যক্রম গোছাতে কিছুটা সময় লাগা স্বাভাবিক।
রাজস্ব খাত অনুযায়ী, ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি আদায় হয়েছে। প্রথম পাঁচ মাসে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২৩১ কোটি টাকা, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা; ঘাটতি ৩ হাজার ৮১৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ৬.১৫ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১.৯৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আসে আয়কর খাতে। আদায় হয়েছে ৪৭ হাজার ৮৮১ কোটি, লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ হাজার ৯৯৫ কোটি ২৫ লাখ; ঘাটতি ২০.১৯ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশ। কাস্টমস বা শুল্ক খাতে ৪২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার ৯৭৯ কোটি ৫৬ লাখ; ঘাটতি ১৫.৯১ শতাংশ, তবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.২৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার অপরিহার্য। এনবিআরের মানবসম্পদ, প্রযুক্তি ব্যবহার, প্রক্রিয়ার সরলীকরণ এবং অটোমেশন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন।

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। কিন্তু বিক্ষোভে সরকার পতনের পর অস্থিরতার মধ্যে দেশের ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ। বিক্ষোভের সময় সময় রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় ডিজনি ও ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড বিকল্প রপ্তানিকারক খুঁজছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
৭ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম
১২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পে প্যাকেজ বা বেতন-ভাতাসংক্রান্ত একটি মামলার রায়ের পর টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের সম্পদ গত শুক্রবার রাতে ৭৪৯ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত বছর আদালত এই সুবিধাগুলো বাতিল করেছিলেন।
২০১৮ সালে মাস্কের যে বেতন প্যাকেজের মূল্য ৫৬ বিলিয়ন ডলার ছিল, সেটিই গত শুক্রবার ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট পুনর্বহাল করেন। এর দুই বছর আগে নিম্ন আদালত ওই পারিশ্রমিক চুক্তিকে ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছেন, ২০২৪ সালে দেওয়া যে সিদ্ধান্তে বেতনের প্যাকেজটি বাতিল করা হয়েছিল, তা সঠিক ছিল না এবং মাস্কের প্রতি অন্যায্য ছিল।
এর আগে চলতি সপ্তাহে মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স শেয়ারবাজারে আসতে পারে—এমন প্রতিবেদনের পর মাস্কের সম্পদ ৬০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন।
এদিকে গত নভেম্বরে টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা আলাদাভাবে মাস্কের জন্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি পারিশ্রমিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেন।
এটি করপোরেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বেতন প্যাকেজ। বিনিয়োগকারীরা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিকসভিত্তিক এক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে মাস্কের পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানান।
ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, মাস্কের বর্তমান সম্পদমূল্য গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের চেয়ে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বেশি। ল্যারি পেজ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

পে প্যাকেজ বা বেতন-ভাতাসংক্রান্ত একটি মামলার রায়ের পর টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের সম্পদ গত শুক্রবার রাতে ৭৪৯ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত বছর আদালত এই সুবিধাগুলো বাতিল করেছিলেন।
২০১৮ সালে মাস্কের যে বেতন প্যাকেজের মূল্য ৫৬ বিলিয়ন ডলার ছিল, সেটিই গত শুক্রবার ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট পুনর্বহাল করেন। এর দুই বছর আগে নিম্ন আদালত ওই পারিশ্রমিক চুক্তিকে ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছেন, ২০২৪ সালে দেওয়া যে সিদ্ধান্তে বেতনের প্যাকেজটি বাতিল করা হয়েছিল, তা সঠিক ছিল না এবং মাস্কের প্রতি অন্যায্য ছিল।
এর আগে চলতি সপ্তাহে মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স শেয়ারবাজারে আসতে পারে—এমন প্রতিবেদনের পর মাস্কের সম্পদ ৬০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন।
এদিকে গত নভেম্বরে টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা আলাদাভাবে মাস্কের জন্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি পারিশ্রমিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেন।
এটি করপোরেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বেতন প্যাকেজ। বিনিয়োগকারীরা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিকসভিত্তিক এক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে মাস্কের পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানান।
ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, মাস্কের বর্তমান সম্পদমূল্য গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের চেয়ে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বেশি। ল্যারি পেজ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। কিন্তু বিক্ষোভে সরকার পতনের পর অস্থিরতার মধ্যে দেশের ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ। বিক্ষোভের সময় সময় রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় ডিজনি ও ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড বিকল্প রপ্তানিকারক খুঁজছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের...
৯ মিনিট আগে
দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম
১২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম (এসএসএস)।
নতুন এই সিস্টেমের মাধ্যমে কোম্পানি ও ফান্ডগুলো মূল্য সংবেদনশীল ঘোষণা, আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেগুলেটরি ফাইলিং কাগজ ছাড়াই অনলাইনে জমা দিতে পারবে। এতে সময় ও খরচ কমার পাশাপাশি তথ্য ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং ট্র্যাকিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
ডিএসই সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই প্ল্যাটফর্ম ধাপে ধাপে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ দুটি নতুন মডিউল যুক্ত হওয়ায় এখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তথ্য একই ডিজিটাল গেটওয়ে দিয়ে জমা দেওয়া সম্ভব। ফলে দ্বৈত সাবমিশনের ঝামেলা প্রায় সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কাগুজে নথির ওপর নির্ভরতা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল সাবমিশন শুধু সুবিধার বিষয় নয়, এটি বাজার শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করার একটি কাঠামোগত পরিবর্তন।
ডিএসই জানায়, চায়নিজ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে কাজ করে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর পর সিস্টেমটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন ফিচার যুক্ত করা সহজ হবে।
প্রযুক্তিগত দিক থেকে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. মো. আসিফুর রহমান বলেন, একক ডিজিটাল সাবমিশন পয়েন্ট চালু হওয়ায় ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপজনিত ভুল কমবে এবং তথ্য জমার প্রতিটি ধাপ ডিজিটালি যাচাইযোগ্য থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের প্রভাব শুধু স্টক এক্সচেঞ্জেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।

দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম (এসএসএস)।
নতুন এই সিস্টেমের মাধ্যমে কোম্পানি ও ফান্ডগুলো মূল্য সংবেদনশীল ঘোষণা, আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেগুলেটরি ফাইলিং কাগজ ছাড়াই অনলাইনে জমা দিতে পারবে। এতে সময় ও খরচ কমার পাশাপাশি তথ্য ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং ট্র্যাকিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
ডিএসই সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই প্ল্যাটফর্ম ধাপে ধাপে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ দুটি নতুন মডিউল যুক্ত হওয়ায় এখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তথ্য একই ডিজিটাল গেটওয়ে দিয়ে জমা দেওয়া সম্ভব। ফলে দ্বৈত সাবমিশনের ঝামেলা প্রায় সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কাগুজে নথির ওপর নির্ভরতা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল সাবমিশন শুধু সুবিধার বিষয় নয়, এটি বাজার শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করার একটি কাঠামোগত পরিবর্তন।
ডিএসই জানায়, চায়নিজ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে কাজ করে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর পর সিস্টেমটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন ফিচার যুক্ত করা সহজ হবে।
প্রযুক্তিগত দিক থেকে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. মো. আসিফুর রহমান বলেন, একক ডিজিটাল সাবমিশন পয়েন্ট চালু হওয়ায় ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপজনিত ভুল কমবে এবং তথ্য জমার প্রতিটি ধাপ ডিজিটালি যাচাইযোগ্য থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের প্রভাব শুধু স্টক এক্সচেঞ্জেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। কিন্তু বিক্ষোভে সরকার পতনের পর অস্থিরতার মধ্যে দেশের ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ। বিক্ষোভের সময় সময় রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় ডিজনি ও ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড বিকল্প রপ্তানিকারক খুঁজছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের...
৯ মিনিট আগে
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই তথ্য জানান।
গভর্নর বলেন, ‘২০২৭ সালের মধ্যে দেশের অন্তত ৭৫ শতাংশ খুচরা লেনদেন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের হাতে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।’
চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা শীর্ষক এই সভায় গভর্নর চট্টগ্রামকে দেশের ‘অর্থনৈতিক লাইফলাইন’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান সমুদ্রবন্দর, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), ভারী শিল্প এবং জ্বালানি অবকাঠামোর কেন্দ্রবিন্দু এই চট্টগ্রাম। সিঙ্গাপুর, দুবাই বা হংকংয়ের মতো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংযোগ শক্তিশালী করতে হবে। তবেই এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজ করতে দেশের সব সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে শিগগিরই ২৪ ঘণ্টা রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) সিস্টেম চালু করা হবে বলে জানান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এটি একটি তাৎক্ষণিক ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ব্যবস্থা যা বাণিজ্যের গতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ ছাড়া, তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএমই) এবং কৃষি খাতে পর্যাপ্ত ও সহজ শর্তে ঋণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন গভর্নর। জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদনশীল খাতের বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে ব্যাংকগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক চেম্বার, ব্যাংকার, সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই তথ্য জানান।
গভর্নর বলেন, ‘২০২৭ সালের মধ্যে দেশের অন্তত ৭৫ শতাংশ খুচরা লেনদেন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের হাতে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।’
চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা শীর্ষক এই সভায় গভর্নর চট্টগ্রামকে দেশের ‘অর্থনৈতিক লাইফলাইন’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান সমুদ্রবন্দর, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), ভারী শিল্প এবং জ্বালানি অবকাঠামোর কেন্দ্রবিন্দু এই চট্টগ্রাম। সিঙ্গাপুর, দুবাই বা হংকংয়ের মতো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংযোগ শক্তিশালী করতে হবে। তবেই এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজ করতে দেশের সব সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে শিগগিরই ২৪ ঘণ্টা রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) সিস্টেম চালু করা হবে বলে জানান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এটি একটি তাৎক্ষণিক ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ব্যবস্থা যা বাণিজ্যের গতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ ছাড়া, তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএমই) এবং কৃষি খাতে পর্যাপ্ত ও সহজ শর্তে ঋণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন গভর্নর। জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদনশীল খাতের বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে ব্যাংকগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক চেম্বার, ব্যাংকার, সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বের ফাস্ট ফ্যাশন ব্যবসায়ের প্রাণভোমরা বাংলাদেশ। কিন্তু বিক্ষোভে সরকার পতনের পর অস্থিরতার মধ্যে দেশের ৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক শিল্পের সামনে এক টালমাটাল ভবিষ্যৎ। বিক্ষোভের সময় সময় রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় ডিজনি ও ওয়ালমার্টসহ অন্তত তিনটি বড় ব্র্যান্ড বিকল্প রপ্তানিকারক খুঁজছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের...
৯ মিনিট আগে
ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।
৭ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম
১২ ঘণ্টা আগে