
হামাস ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে চলমান যুদ্ধের কারণে এক বছরের মধ্যেই ভেঙে পড়তে পারে ইসরায়েল রাষ্ট্র। এমন সতর্কবার্তাই দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) ইৎজহাক ব্রিক। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজে লেখা এক নিবন্ধে এই তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।
নিজের লেখা নিবন্ধে মেজর জেনারেল (অব.) ব্রিক বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা (প্রতিরক্ষা) বিষয়ক মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত হয়তো এরই মধ্যে উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন, গাজা ইস্যুতে যদি একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব না হয় এবং এ কারণে যদি আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু হয়—তাহলে ইসরায়েলি অতি সত্বর বিপদে পড়তে যাচ্ছে।
ব্রিক তাঁর নিবন্ধে আরও দাবি করেন, গাজায় লক্ষ্য অর্জনের ব্যাপারে ইয়োভ গ্যালান্ত যেসব বড় বড় কথা বলেছিলেন, সেগুলো এখনো অর্জিত হয়নি। গত বছরের শেষ দিকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় প্রবেশ করার পর গ্যালান্ত দাবি করেছিলেন, তারা গাজা শহর এবং এর টানেল নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শিগগির হামাসকে পরাজিত করবেন। কিন্তু এই লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি বলে দাবি করেছেন ব্রিক। তিনি লিখেছেন, এসব লক্ষ্য নাগালের বাইরে রয়ে গেছে এখনো।
ব্রিক তাঁর নিবন্ধে আরও লিখেন, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে হামলার সময় গ্যালান্ত দাবি করেছিলেন, টানেলে একা ছিলেন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং তিনি টানেল নেটওয়ার্কে তাঁর লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছেন। কিন্তু সেই বক্তব্যও সঠিক ছিল না।
মেজর জেনারেল (অব.) ব্রিক আরও বলেন, ‘আমি ধরে নিচ্ছি গ্যালান্ত এখন বুঝতে পেরেছেন, যুদ্ধ এরই মধ্যে তার উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলেছে। আমরা গাজায় একধরনের জলা পাকের মধ্যে ডুবে যাচ্ছি, সেখানে আমাদের সৈন্য হারাচ্ছি। হামাসকে পতনের যে প্রাথমিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা অর্জনের কোনো সুযোগই সেখানে নেই।’
ব্রিক গ্যালান্ত, ইসরায়েল দখলদার বাহিনীর চিফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ হেরজি হালেভি ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে লক্ষ্য করে বলেছেন, এসব নেতা রাজনৈতিক ও সামরিক উভয়ভাবেই ইসরায়েলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এক বিপর্যয়ের দিকে। তিনি এ সময় জোর দিয়ে বলেন, নেতানিয়াহু ও তাঁর কট্টর ডানপন্থী সরকারকে না সরানো গেলে ইসরায়েল অস্তিত্বহীনতার শেষ সীমার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেখান থেকে ফেরার আর কোনো সুযোগ থাকবে না।

হামাস ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে চলমান যুদ্ধের কারণে এক বছরের মধ্যেই ভেঙে পড়তে পারে ইসরায়েল রাষ্ট্র। এমন সতর্কবার্তাই দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) ইৎজহাক ব্রিক। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজে লেখা এক নিবন্ধে এই তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।
নিজের লেখা নিবন্ধে মেজর জেনারেল (অব.) ব্রিক বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা (প্রতিরক্ষা) বিষয়ক মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত হয়তো এরই মধ্যে উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন, গাজা ইস্যুতে যদি একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব না হয় এবং এ কারণে যদি আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু হয়—তাহলে ইসরায়েলি অতি সত্বর বিপদে পড়তে যাচ্ছে।
ব্রিক তাঁর নিবন্ধে আরও দাবি করেন, গাজায় লক্ষ্য অর্জনের ব্যাপারে ইয়োভ গ্যালান্ত যেসব বড় বড় কথা বলেছিলেন, সেগুলো এখনো অর্জিত হয়নি। গত বছরের শেষ দিকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় প্রবেশ করার পর গ্যালান্ত দাবি করেছিলেন, তারা গাজা শহর এবং এর টানেল নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শিগগির হামাসকে পরাজিত করবেন। কিন্তু এই লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি বলে দাবি করেছেন ব্রিক। তিনি লিখেছেন, এসব লক্ষ্য নাগালের বাইরে রয়ে গেছে এখনো।
ব্রিক তাঁর নিবন্ধে আরও লিখেন, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে হামলার সময় গ্যালান্ত দাবি করেছিলেন, টানেলে একা ছিলেন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং তিনি টানেল নেটওয়ার্কে তাঁর লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছেন। কিন্তু সেই বক্তব্যও সঠিক ছিল না।
মেজর জেনারেল (অব.) ব্রিক আরও বলেন, ‘আমি ধরে নিচ্ছি গ্যালান্ত এখন বুঝতে পেরেছেন, যুদ্ধ এরই মধ্যে তার উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলেছে। আমরা গাজায় একধরনের জলা পাকের মধ্যে ডুবে যাচ্ছি, সেখানে আমাদের সৈন্য হারাচ্ছি। হামাসকে পতনের যে প্রাথমিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা অর্জনের কোনো সুযোগই সেখানে নেই।’
ব্রিক গ্যালান্ত, ইসরায়েল দখলদার বাহিনীর চিফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ হেরজি হালেভি ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে লক্ষ্য করে বলেছেন, এসব নেতা রাজনৈতিক ও সামরিক উভয়ভাবেই ইসরায়েলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এক বিপর্যয়ের দিকে। তিনি এ সময় জোর দিয়ে বলেন, নেতানিয়াহু ও তাঁর কট্টর ডানপন্থী সরকারকে না সরানো গেলে ইসরায়েল অস্তিত্বহীনতার শেষ সীমার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেখান থেকে ফেরার আর কোনো সুযোগ থাকবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৪১ মিনিট আগে
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগে
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। বিশেষ করে তরুণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের তাঁকে সরবরাহ করার প্রক্রিয়া এতে স্পষ্ট হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, নথিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়কালে বিচার বিভাগের দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষিত প্রকাশনার অংশ। তবে এই প্রকাশনা আংশিক এবং ব্যাপকভাবে সম্পাদিত হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে।
প্রকাশিত নথিগুলোর মধ্যে একটি নথি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। নথিটির নম্বর ইএফটিএ–০০০০৪১৭৯। এতে রয়েছে এফবিআইয়ের একটি প্রমাণ-সংক্রান্ত কভার শিট এবং ১৩ পৃষ্ঠার হাতে লেখা তদন্ত নোট। ২০১৯ সালের ২ মে নেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এসব নোট তৈরি করা হয়। সাক্ষাৎকারদাতার পরিচয় এবং নথির কিছু অংশ গোপন রাখা হয়েছে।
তবে নোটগুলোতে কয়েকটি বিষয় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের নিয়োগ, ‘ম্যাসাজ’-এর আড়ালে যৌন নিপীড়ন এবং বয়স ও গায়ের রং নিয়ে এপস্টেইনের নির্দিষ্ট পছন্দ। নোট অনুযায়ী সাক্ষী বলেন, ‘ (এই অংশ মুছে ফেলা হয়েছে)–এর বন্ধুদের বন্ধু। বড় ব্রাজিলিয়ান গ্রুপ। খুবই মরিয়া সময় যাচ্ছে। মেয়েদের সংখ্যা ফুরিয়ে আসছিল।’ নোটে জেফরি এপস্টেইনকে ‘জেই’ আদ্যক্ষরে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই তথাকথিত ‘মরিয়া সময়ে’ একজন ‘বাদামি ত্বকের ডমিনিকান’ মেয়েকে আনা হয়েছিল। কিন্তু নোটে বলা হয়েছে, ‘জেই স্প্যানিশ বা গাঢ় রঙের মেয়ে চায়নি।’ যিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের এপস্টেইনের কাছে নিয়ে আসতেন, তাঁর পরিচয় নথিতে গোপন রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তি এপস্টেইনকে জানান, তিনি তাঁর জন্য ‘তরুণী মেয়েদের’ নিয়ে আসছেন। তবে এপস্টেইন অভিযোগ করেন, ‘হ্যাঁ, কিন্তু বাদামি রঙের না।’
সাক্ষী জানান, তিনি নিশ্চিত নন এপস্টেইন ওই জোগাড়দারকে কোনো অর্থ দিয়েছিলেন কি না। তবে মেয়েটিকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। নোটে আরও উল্লেখ আছে, একটি বাথরুমে ঘটে যাওয়া ঘটনার। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘বাথটাবের কাছে স্তন ও যোনি…সে শাওয়ারে ঢুকে পড়ে এবং তাকে বলে, সে যেন এমন মেয়েদের না আনে যাদের সে পছন্দ করে না…তাকে বলে, খুঁজে যেতে।’
আরও বলা হয়, ‘একপর্যায়ে (নাম মুছে ফেলা হয়েছে) তাকে একটি মেয়ের পরিচয়পত্র চাইতে দেখেছে।’ নোট অনুযায়ী, এপস্টেইন নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন মেয়েটি ১৮ বছরের নিচে কি না। কারণ আগে বেশি বয়সী মেয়েদের আনার ঘটনায় তাঁর আস্থা নষ্ট হয়েছিল।
নোটে সাক্ষী যৌন নিপীড়নের বিবরণও দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এপস্টেইন ‘অদ্ভুত শব্দ করতেন’ এবং ভুক্তভোগীদের ‘রূঢ়ভাবে’ স্পর্শ করতেন। নথিটিতে কয়েকজন মেয়ের ছবি সংযুক্ত রয়েছে। নোট অনুযায়ী, তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। ছবিগুলোতে তাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং সৈকতে বিকিনিতে দেখা যায়। নোটে নিউইয়র্কের একাধিক স্থানের উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ম্যানহাটনের ৪১ তম স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, রচেস্টার, ব্রাইটন বিচ এবং একটি হাইস্কুল প্রম।
সাক্ষীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে নোটে থাকা তথ্য এপস্টেইনের ব্রাজিলের শিশুদের প্রতি আগ্রহের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ফেডারেল অভিযোগপত্রে ‘মাইনর ভিকটিম–১’ হিসেবে চিহ্নিত ব্রাজিলের অভিবাসী মারিনা লাসেরদা ছিলেন মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তিনি গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি জানান, ১৪ বছর বয়স থেকে এপস্টেইনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। তিনি আরও বলেন, এপস্টেইনের সঙ্গে তিনি একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখেছেন। তবে ট্রাম্প এপস্টেইনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন বলে অস্বীকার করেছেন।
লাসেরদার সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে ২০১৯ সালে নিউইয়র্কের একটি কারাগারে এপস্টেইন আত্মহত্যা করেন। এপস্টেইনের সহযোগী জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল, যিনি তাঁর অর্থায়নে একটি মডেলিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ২০২২ সালে ফ্রান্সে গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি এপস্টেইনের জন্য এক হাজারের বেশি মেয়ে ও তরুণী সরবরাহ করেছিলেন।
২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রুনেল ব্রাজিলের একটি মডেলিং এজেন্সিতে যান, যেটির সঙ্গে তাঁর কোম্পানির আগে কাজ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন মডেল পাঠানোর উদ্দেশ্যেই এই সফর করা হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এপস্টেইনের মৃত্যুর পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দণ্ডিত ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলকেও ব্রাজিলের রিভিয়েরা এলাকায় দেখা গেছে বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের একটি কারাগারে জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল আত্মহত্যা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। বিশেষ করে তরুণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের তাঁকে সরবরাহ করার প্রক্রিয়া এতে স্পষ্ট হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, নথিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়কালে বিচার বিভাগের দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষিত প্রকাশনার অংশ। তবে এই প্রকাশনা আংশিক এবং ব্যাপকভাবে সম্পাদিত হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে।
প্রকাশিত নথিগুলোর মধ্যে একটি নথি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। নথিটির নম্বর ইএফটিএ–০০০০৪১৭৯। এতে রয়েছে এফবিআইয়ের একটি প্রমাণ-সংক্রান্ত কভার শিট এবং ১৩ পৃষ্ঠার হাতে লেখা তদন্ত নোট। ২০১৯ সালের ২ মে নেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এসব নোট তৈরি করা হয়। সাক্ষাৎকারদাতার পরিচয় এবং নথির কিছু অংশ গোপন রাখা হয়েছে।
তবে নোটগুলোতে কয়েকটি বিষয় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের নিয়োগ, ‘ম্যাসাজ’-এর আড়ালে যৌন নিপীড়ন এবং বয়স ও গায়ের রং নিয়ে এপস্টেইনের নির্দিষ্ট পছন্দ। নোট অনুযায়ী সাক্ষী বলেন, ‘ (এই অংশ মুছে ফেলা হয়েছে)–এর বন্ধুদের বন্ধু। বড় ব্রাজিলিয়ান গ্রুপ। খুবই মরিয়া সময় যাচ্ছে। মেয়েদের সংখ্যা ফুরিয়ে আসছিল।’ নোটে জেফরি এপস্টেইনকে ‘জেই’ আদ্যক্ষরে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই তথাকথিত ‘মরিয়া সময়ে’ একজন ‘বাদামি ত্বকের ডমিনিকান’ মেয়েকে আনা হয়েছিল। কিন্তু নোটে বলা হয়েছে, ‘জেই স্প্যানিশ বা গাঢ় রঙের মেয়ে চায়নি।’ যিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের এপস্টেইনের কাছে নিয়ে আসতেন, তাঁর পরিচয় নথিতে গোপন রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তি এপস্টেইনকে জানান, তিনি তাঁর জন্য ‘তরুণী মেয়েদের’ নিয়ে আসছেন। তবে এপস্টেইন অভিযোগ করেন, ‘হ্যাঁ, কিন্তু বাদামি রঙের না।’
সাক্ষী জানান, তিনি নিশ্চিত নন এপস্টেইন ওই জোগাড়দারকে কোনো অর্থ দিয়েছিলেন কি না। তবে মেয়েটিকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। নোটে আরও উল্লেখ আছে, একটি বাথরুমে ঘটে যাওয়া ঘটনার। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘বাথটাবের কাছে স্তন ও যোনি…সে শাওয়ারে ঢুকে পড়ে এবং তাকে বলে, সে যেন এমন মেয়েদের না আনে যাদের সে পছন্দ করে না…তাকে বলে, খুঁজে যেতে।’
আরও বলা হয়, ‘একপর্যায়ে (নাম মুছে ফেলা হয়েছে) তাকে একটি মেয়ের পরিচয়পত্র চাইতে দেখেছে।’ নোট অনুযায়ী, এপস্টেইন নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন মেয়েটি ১৮ বছরের নিচে কি না। কারণ আগে বেশি বয়সী মেয়েদের আনার ঘটনায় তাঁর আস্থা নষ্ট হয়েছিল।
নোটে সাক্ষী যৌন নিপীড়নের বিবরণও দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এপস্টেইন ‘অদ্ভুত শব্দ করতেন’ এবং ভুক্তভোগীদের ‘রূঢ়ভাবে’ স্পর্শ করতেন। নথিটিতে কয়েকজন মেয়ের ছবি সংযুক্ত রয়েছে। নোট অনুযায়ী, তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। ছবিগুলোতে তাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং সৈকতে বিকিনিতে দেখা যায়। নোটে নিউইয়র্কের একাধিক স্থানের উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ম্যানহাটনের ৪১ তম স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, রচেস্টার, ব্রাইটন বিচ এবং একটি হাইস্কুল প্রম।
সাক্ষীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে নোটে থাকা তথ্য এপস্টেইনের ব্রাজিলের শিশুদের প্রতি আগ্রহের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ফেডারেল অভিযোগপত্রে ‘মাইনর ভিকটিম–১’ হিসেবে চিহ্নিত ব্রাজিলের অভিবাসী মারিনা লাসেরদা ছিলেন মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তিনি গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি জানান, ১৪ বছর বয়স থেকে এপস্টেইনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। তিনি আরও বলেন, এপস্টেইনের সঙ্গে তিনি একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখেছেন। তবে ট্রাম্প এপস্টেইনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন বলে অস্বীকার করেছেন।
লাসেরদার সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে ২০১৯ সালে নিউইয়র্কের একটি কারাগারে এপস্টেইন আত্মহত্যা করেন। এপস্টেইনের সহযোগী জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল, যিনি তাঁর অর্থায়নে একটি মডেলিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ২০২২ সালে ফ্রান্সে গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি এপস্টেইনের জন্য এক হাজারের বেশি মেয়ে ও তরুণী সরবরাহ করেছিলেন।
২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রুনেল ব্রাজিলের একটি মডেলিং এজেন্সিতে যান, যেটির সঙ্গে তাঁর কোম্পানির আগে কাজ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন মডেল পাঠানোর উদ্দেশ্যেই এই সফর করা হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এপস্টেইনের মৃত্যুর পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দণ্ডিত ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলকেও ব্রাজিলের রিভিয়েরা এলাকায় দেখা গেছে বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের একটি কারাগারে জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল আত্মহত্যা করেন।

ব্রিক তাঁর নিবন্ধে আরও দাবি করেন, গাজায় লক্ষ্য অর্জনের ব্যাপারে ইয়োভ গ্যালান্ত যেসব বড় বড় কথা বলেছিলেন, সেগুলো এখনো অর্জিত হয়নি। গত বছরের শেষ দিকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় প্রবেশ করার পর গ্যালান্ত দাবি করেছিলেন, তাঁরা গাজা শহর এবং এর টানেল নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শিগগির হামাসকে পরাজিত করবেন।
২২ আগস্ট ২০২৪
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগে
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আফ্রিকায় ভেষজ চিকিৎসকেরা ক্ষত বা ব্যথা উপশমে গাছগাছড়া সংগ্রহ করছেন; চীনে আকুপাংচার বিশেষজ্ঞরা সুচ ব্যবহার করে মাইগ্রেন সারাচ্ছেন; আবার ভারতে যোগীরা ধ্যানচর্চা করছেন—এ ধরনের প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো ক্রমেই কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে এবং এগুলো আরও বেশি মনোযোগ ও গবেষণার দাবি রাখে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক কর্মকর্তা।
ডব্লিউএইচওর গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টারের প্রধান ডা. শ্যামা কুরুবিল্লার মতে, ঐতিহাসিকভাবে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবের কারণে যেসব প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনেক সময় অবহেলা করা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বাড়লে সেই ধারণা বদলাতে পারে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন দেশ সম্মত হয়েছে যে আগামী এক দশকের জন্য ডব্লিউএইচও একটি নতুন বৈশ্বিক প্রথাগত চিকিৎসা কৌশল গ্রহণ করবে।
এই কৌশলের লক্ষ্য—প্রমাণভিত্তিকভাবে স্বাস্থ্য ও কল্যাণে প্রথাগত, পরিপূরক ও সমন্বিত চিকিৎসার সম্ভাবনাময় অবদানকে কাজে লাগানো।
এই কৌশলের আওতায় প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য শক্তিশালী প্রমাণভিত্তি তৈরি, চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তোলা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এসব পদ্ধতিকে আধুনিক জৈব-চিকিৎসাভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কুরুবিল্লা বলেন, ‘এটা ভীষণ রোমাঞ্চকর। আমি বলছি না, আমরা এখনই জানি—কোনটা কাজ করে আর কোনটা করে না। তবে এ মুহূর্তে বিষয়টি জানার বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
কুরুবিল্লা বলেন, শত শত বছর ধরে চলে আসা এসব পদ্ধতির মধ্যে অনেকগুলোরই বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জিনোমিক্স ও মস্তিষ্ক স্ক্যানসহ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সেগুলো নতুনভাবে অনুসন্ধান করা সম্ভব।
তাঁর মতে, প্রথাগত চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড ভালো উদাহরণ। দেশটিতে গবেষকেরা প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ ও নথিবদ্ধ করছেন এবং ভেষজ চিকিৎসাকে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। গত মে মাসে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পেশির ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ কিছু রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আধুনিক ওষুধের বদলে প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে।

আফ্রিকায় ভেষজ চিকিৎসকেরা ক্ষত বা ব্যথা উপশমে গাছগাছড়া সংগ্রহ করছেন; চীনে আকুপাংচার বিশেষজ্ঞরা সুচ ব্যবহার করে মাইগ্রেন সারাচ্ছেন; আবার ভারতে যোগীরা ধ্যানচর্চা করছেন—এ ধরনের প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো ক্রমেই কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে এবং এগুলো আরও বেশি মনোযোগ ও গবেষণার দাবি রাখে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক কর্মকর্তা।
ডব্লিউএইচওর গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টারের প্রধান ডা. শ্যামা কুরুবিল্লার মতে, ঐতিহাসিকভাবে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবের কারণে যেসব প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনেক সময় অবহেলা করা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বাড়লে সেই ধারণা বদলাতে পারে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন দেশ সম্মত হয়েছে যে আগামী এক দশকের জন্য ডব্লিউএইচও একটি নতুন বৈশ্বিক প্রথাগত চিকিৎসা কৌশল গ্রহণ করবে।
এই কৌশলের লক্ষ্য—প্রমাণভিত্তিকভাবে স্বাস্থ্য ও কল্যাণে প্রথাগত, পরিপূরক ও সমন্বিত চিকিৎসার সম্ভাবনাময় অবদানকে কাজে লাগানো।
এই কৌশলের আওতায় প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য শক্তিশালী প্রমাণভিত্তি তৈরি, চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তোলা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এসব পদ্ধতিকে আধুনিক জৈব-চিকিৎসাভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কুরুবিল্লা বলেন, ‘এটা ভীষণ রোমাঞ্চকর। আমি বলছি না, আমরা এখনই জানি—কোনটা কাজ করে আর কোনটা করে না। তবে এ মুহূর্তে বিষয়টি জানার বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
কুরুবিল্লা বলেন, শত শত বছর ধরে চলে আসা এসব পদ্ধতির মধ্যে অনেকগুলোরই বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জিনোমিক্স ও মস্তিষ্ক স্ক্যানসহ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সেগুলো নতুনভাবে অনুসন্ধান করা সম্ভব।
তাঁর মতে, প্রথাগত চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড ভালো উদাহরণ। দেশটিতে গবেষকেরা প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ ও নথিবদ্ধ করছেন এবং ভেষজ চিকিৎসাকে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। গত মে মাসে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পেশির ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ কিছু রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আধুনিক ওষুধের বদলে প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে।

ব্রিক তাঁর নিবন্ধে আরও দাবি করেন, গাজায় লক্ষ্য অর্জনের ব্যাপারে ইয়োভ গ্যালান্ত যেসব বড় বড় কথা বলেছিলেন, সেগুলো এখনো অর্জিত হয়নি। গত বছরের শেষ দিকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় প্রবেশ করার পর গ্যালান্ত দাবি করেছিলেন, তাঁরা গাজা শহর এবং এর টানেল নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শিগগির হামাসকে পরাজিত করবেন।
২২ আগস্ট ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৪১ মিনিট আগে
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডেনমার্কের ডাক বিভাগ ৩০ ডিসেম্বর শেষবারের মতো মানুষের দোরগোড়ায় চিঠি পৌঁছে দেবে। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটতে যাচ্ছে ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা এক ঐতিহ্যের।
চিঠি বিতরণ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা এ বছরের শুরুর দিকে জানায় পোস্টনর্ড। ২০০৯ সালে সুইডেন ও ডেনমার্কের ডাক বিভাগ একীভূত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে।
ড্যানিশ সমাজের ক্রমবর্ধমান ডিজিটালাইজেশনের কথা উল্লেখ করে তারা জানায়, এই সিদ্ধান্তের ফলে ডেনমার্কের ডাক বিভাগে ১ হাজার ৫০০ কর্মী ছাঁটাই করা হবে এবং সড়ক থেকে ১ হাজার ৫০০টি লাল রঙা পোস্টবক্স সরিয়ে ফেলা হবে।
ডেনমার্ককে বিশ্বের অন্যতম ‘ডিজিটাল দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চিঠির চাহিদা সেখানে ব্যাপকভাবে কমে গেছে। অন্যদিকে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বাড়তে থাকায় তারা এখন চিঠির বদলে পার্সেল বা পণ্য বিলির দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ডেনমার্কের সড়ক থেকে এরই মধ্যে সরিয়ে ফেলা এক হাজার বিশেষ পোস্টবক্স চলতি মাসের শুরুতে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হলে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো বিক্রি হয়ে যায়।
ভালো অবস্থায় থাকা পোস্টবক্সগুলো প্রতিটি ২৩৫ পাউন্ডে এবং কিছুটা পুরোনোগুলো ১৭৬ পাউন্ডে বিক্রি হয়। আগামী জানুয়ারিতে আরও ২০০টি পোস্টবক্স নিলামে তোলা হবে।
পোস্টনর্ড অবশ্য জানিয়েছে, তারা সুইডেনে চিঠি বিলি অব্যাহত রাখবে এবং ডেনমার্কের গ্রাহকদের অব্যবহৃত স্ট্যাম্পের টাকা ফেরত দেবে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেনমার্কের নাগরিকেরা অবশ্য চিঠি পাঠানোর সুবিধা থেকে একদম বঞ্চিত হচ্ছেন না। ‘দাও’ নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ১ জানুয়ারি থেকে তাদের সেবার পরিধি বাড়াচ্ছে।
এ বছর তারা প্রায় তিন কোটি চিঠি বিলি করলেও আগামী বছর তা আট কোটিতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট দাও শপে গিয়ে চিঠি দিয়ে আসতে হবে অথবা অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বাড়ি থেকে চিঠি সংগ্রহের অনুরোধ জানাতে হবে। এ ছাড়া ডাকমাশুল বা পোস্টেজ ফি দিতে হবে অনলাইন বা অ্যাপের মাধ্যমে।
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
মজার ব্যাপার হলো, গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আবারও চিঠি লেখার আগ্রহ ফিরছে। দাওয়ের গবেষণা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা অন্য বয়সীদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি চিঠি পাঠাচ্ছেন।
প্রবণতা বিশ্লেষক ম্যাডস আরলিয়েন-সোবর্গ মনে করেন, ডিজিটাল জগতের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে এবং একঘেয়েমি কাটাতে তরুণেরা এখন সচেতনভাবে চিঠি লেখাকেই বেছে নিচ্ছেন।

ডেনমার্কের ডাক বিভাগ ৩০ ডিসেম্বর শেষবারের মতো মানুষের দোরগোড়ায় চিঠি পৌঁছে দেবে। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটতে যাচ্ছে ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা এক ঐতিহ্যের।
চিঠি বিতরণ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা এ বছরের শুরুর দিকে জানায় পোস্টনর্ড। ২০০৯ সালে সুইডেন ও ডেনমার্কের ডাক বিভাগ একীভূত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে।
ড্যানিশ সমাজের ক্রমবর্ধমান ডিজিটালাইজেশনের কথা উল্লেখ করে তারা জানায়, এই সিদ্ধান্তের ফলে ডেনমার্কের ডাক বিভাগে ১ হাজার ৫০০ কর্মী ছাঁটাই করা হবে এবং সড়ক থেকে ১ হাজার ৫০০টি লাল রঙা পোস্টবক্স সরিয়ে ফেলা হবে।
ডেনমার্ককে বিশ্বের অন্যতম ‘ডিজিটাল দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চিঠির চাহিদা সেখানে ব্যাপকভাবে কমে গেছে। অন্যদিকে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বাড়তে থাকায় তারা এখন চিঠির বদলে পার্সেল বা পণ্য বিলির দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ডেনমার্কের সড়ক থেকে এরই মধ্যে সরিয়ে ফেলা এক হাজার বিশেষ পোস্টবক্স চলতি মাসের শুরুতে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হলে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো বিক্রি হয়ে যায়।
ভালো অবস্থায় থাকা পোস্টবক্সগুলো প্রতিটি ২৩৫ পাউন্ডে এবং কিছুটা পুরোনোগুলো ১৭৬ পাউন্ডে বিক্রি হয়। আগামী জানুয়ারিতে আরও ২০০টি পোস্টবক্স নিলামে তোলা হবে।
পোস্টনর্ড অবশ্য জানিয়েছে, তারা সুইডেনে চিঠি বিলি অব্যাহত রাখবে এবং ডেনমার্কের গ্রাহকদের অব্যবহৃত স্ট্যাম্পের টাকা ফেরত দেবে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেনমার্কের নাগরিকেরা অবশ্য চিঠি পাঠানোর সুবিধা থেকে একদম বঞ্চিত হচ্ছেন না। ‘দাও’ নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ১ জানুয়ারি থেকে তাদের সেবার পরিধি বাড়াচ্ছে।
এ বছর তারা প্রায় তিন কোটি চিঠি বিলি করলেও আগামী বছর তা আট কোটিতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট দাও শপে গিয়ে চিঠি দিয়ে আসতে হবে অথবা অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বাড়ি থেকে চিঠি সংগ্রহের অনুরোধ জানাতে হবে। এ ছাড়া ডাকমাশুল বা পোস্টেজ ফি দিতে হবে অনলাইন বা অ্যাপের মাধ্যমে।
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
মজার ব্যাপার হলো, গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আবারও চিঠি লেখার আগ্রহ ফিরছে। দাওয়ের গবেষণা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা অন্য বয়সীদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি চিঠি পাঠাচ্ছেন।
প্রবণতা বিশ্লেষক ম্যাডস আরলিয়েন-সোবর্গ মনে করেন, ডিজিটাল জগতের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে এবং একঘেয়েমি কাটাতে তরুণেরা এখন সচেতনভাবে চিঠি লেখাকেই বেছে নিচ্ছেন।

ব্রিক তাঁর নিবন্ধে আরও দাবি করেন, গাজায় লক্ষ্য অর্জনের ব্যাপারে ইয়োভ গ্যালান্ত যেসব বড় বড় কথা বলেছিলেন, সেগুলো এখনো অর্জিত হয়নি। গত বছরের শেষ দিকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় প্রবেশ করার পর গ্যালান্ত দাবি করেছিলেন, তাঁরা গাজা শহর এবং এর টানেল নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শিগগির হামাসকে পরাজিত করবেন।
২২ আগস্ট ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৪১ মিনিট আগে
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বিল ক্লিনটনের মুখপাত্র গত শুক্রবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ তুলেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইন ও ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের ছবি, এমনকি সুইমিং পুলে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর কিছু স্থিরচিত্র কংগ্রেসের নির্দেশে সরকারি ফাইল হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে এই রাজনৈতিক বাগ্যুদ্ধ।
এক্সে শেয়ার করা বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র বলেন, ‘হোয়াইট হাউস মাসের পর মাস এই ফাইলগুলো লুকিয়ে রেখে শুক্রবার রাতে বিল ক্লিনটনকে রক্ষা করার জন্য করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আসলে এরপর যা আসছে, তা থেকে নিজেদের আড়াল করার জন্যই এই আয়োজন। কিংবা তারা যা চিরতরে লুকিয়ে রাখতে চায়, তা ঢাকতেই এই চেষ্টা। সুতরাং, তারা ২০ বছরের পুরোনো যত খুশি ঝাপসা ছবি প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু এটি বিল ক্লিনটনকে নিয়ে নয়। কখনোই ছিল না, আর হবেও না।’
মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, ‘এমনকি সুজি ওয়াইলসও বলেছিলেন, বিল ক্লিনটন সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুল ছিলেন।’ এখানে তিনি ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফের মন্তব্যের কথা বুঝিয়েছেন। সেই মন্তব্যে ওয়াইলস স্বীকার করেছিলেন, ট্রাম্প বারবার দাবি করলেও ক্লিনটন কখনোই এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে যাননি।
ক্লিনটন দীর্ঘকাল ধরেই দাবি করে আসছেন, ২০০৫ সালের দিকেই তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। ফ্লোরিডায় এক অপ্রাপ্তবয়স্ককে যৌনকাজে প্ররোচিত করার দায়ে এপস্টেইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই ক্লিনটন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল উরেনা বলেন, ‘এখানে দুই ধরনের মানুষ আছে। প্রথম দল যারা কিছুই জানত না এবং এপস্টেইনের অপরাধ সামনে আসার আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। দ্বিতীয় দল যারা তাঁর অপরাধ জানার পরও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমরা প্রথম দলে আছি। দ্বিতীয় দলের লোকজন সময়ক্ষেপণ করে সত্য বদলাতে পারবে না। সবাই, বিশেষ করে মাগা সমর্থকেরা উত্তর চায়, বলির পাঁঠা নয়।’
গত শুক্রবার প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, ক্লিনটন একটি ভূগর্ভস্থ সুইমিং পুলে ম্যাক্সওয়েল ও মুখমণ্ডল অস্পষ্ট করা এক নারীর সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়া মিক জ্যাগার, এপস্টেইন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজেও তাঁকে দেখা গেছে। সুইমিং পুলে ক্লিনটনের ওই ছবি পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্সে পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ওহ মাই গড!’ সঙ্গে ছিল একটি লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার ইমোজি।
হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুং এক পোস্টে লেখেন, ‘স্লিক উইলি! বিল ক্লিনটন কেবল চিল করছেন, দুনিয়ার কোনো চিন্তা নেই। তিনি কি তখন জানতেন...।’
সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সির শুরুর বছরগুলোতে এপস্টেইন অন্তত ১৭ বার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর ক্লিনটন এপস্টেইনের ব্যক্তিগত জেটে চড়ে এশিয়া ও আফ্রিকা সফর করেন, যা ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এপস্টেইনকাণ্ডে ক্লিনটনের বিরুদ্ধে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার ক্লিনটন ও এপস্টেইনের সম্পর্ক নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। গত মাসে তিনি বিচার বিভাগ ও এফবিআইকে ‘জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিনটনের সম্পৃক্ততা ও সম্পর্ক তদন্ত’ করার আহ্বান জানান। মূলত এপস্টেইন কেলেঙ্কারিকে কেবল ডেমোক্র্যাটদের সমস্যা হিসেবে তুলে ধরার দীর্ঘকালীন প্রচারণার অংশ এটি।
বিচার বিভাগের এই ছবি প্রকাশের ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে এপস্টেইনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে হাউস ওভারসাইট কমিটির কাছে জবানবন্দি দিতে হবে।
জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল গত সপ্তাহে, তবে তা পিছিয়ে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পলিটিকো জানিয়েছে, কমিটির চেয়ারম্যান জেমস কোমার হুমকি দিয়েছেন, এই দম্পতি যদি নির্দিষ্ট তারিখে জবানবন্দি না দেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বিল ক্লিনটনের মুখপাত্র গত শুক্রবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ তুলেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইন ও ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের ছবি, এমনকি সুইমিং পুলে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর কিছু স্থিরচিত্র কংগ্রেসের নির্দেশে সরকারি ফাইল হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে এই রাজনৈতিক বাগ্যুদ্ধ।
এক্সে শেয়ার করা বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র বলেন, ‘হোয়াইট হাউস মাসের পর মাস এই ফাইলগুলো লুকিয়ে রেখে শুক্রবার রাতে বিল ক্লিনটনকে রক্ষা করার জন্য করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আসলে এরপর যা আসছে, তা থেকে নিজেদের আড়াল করার জন্যই এই আয়োজন। কিংবা তারা যা চিরতরে লুকিয়ে রাখতে চায়, তা ঢাকতেই এই চেষ্টা। সুতরাং, তারা ২০ বছরের পুরোনো যত খুশি ঝাপসা ছবি প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু এটি বিল ক্লিনটনকে নিয়ে নয়। কখনোই ছিল না, আর হবেও না।’
মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, ‘এমনকি সুজি ওয়াইলসও বলেছিলেন, বিল ক্লিনটন সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুল ছিলেন।’ এখানে তিনি ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফের মন্তব্যের কথা বুঝিয়েছেন। সেই মন্তব্যে ওয়াইলস স্বীকার করেছিলেন, ট্রাম্প বারবার দাবি করলেও ক্লিনটন কখনোই এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে যাননি।
ক্লিনটন দীর্ঘকাল ধরেই দাবি করে আসছেন, ২০০৫ সালের দিকেই তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। ফ্লোরিডায় এক অপ্রাপ্তবয়স্ককে যৌনকাজে প্ররোচিত করার দায়ে এপস্টেইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই ক্লিনটন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল উরেনা বলেন, ‘এখানে দুই ধরনের মানুষ আছে। প্রথম দল যারা কিছুই জানত না এবং এপস্টেইনের অপরাধ সামনে আসার আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। দ্বিতীয় দল যারা তাঁর অপরাধ জানার পরও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমরা প্রথম দলে আছি। দ্বিতীয় দলের লোকজন সময়ক্ষেপণ করে সত্য বদলাতে পারবে না। সবাই, বিশেষ করে মাগা সমর্থকেরা উত্তর চায়, বলির পাঁঠা নয়।’
গত শুক্রবার প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, ক্লিনটন একটি ভূগর্ভস্থ সুইমিং পুলে ম্যাক্সওয়েল ও মুখমণ্ডল অস্পষ্ট করা এক নারীর সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়া মিক জ্যাগার, এপস্টেইন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজেও তাঁকে দেখা গেছে। সুইমিং পুলে ক্লিনটনের ওই ছবি পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্সে পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ওহ মাই গড!’ সঙ্গে ছিল একটি লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার ইমোজি।
হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুং এক পোস্টে লেখেন, ‘স্লিক উইলি! বিল ক্লিনটন কেবল চিল করছেন, দুনিয়ার কোনো চিন্তা নেই। তিনি কি তখন জানতেন...।’
সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সির শুরুর বছরগুলোতে এপস্টেইন অন্তত ১৭ বার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর ক্লিনটন এপস্টেইনের ব্যক্তিগত জেটে চড়ে এশিয়া ও আফ্রিকা সফর করেন, যা ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এপস্টেইনকাণ্ডে ক্লিনটনের বিরুদ্ধে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার ক্লিনটন ও এপস্টেইনের সম্পর্ক নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। গত মাসে তিনি বিচার বিভাগ ও এফবিআইকে ‘জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিনটনের সম্পৃক্ততা ও সম্পর্ক তদন্ত’ করার আহ্বান জানান। মূলত এপস্টেইন কেলেঙ্কারিকে কেবল ডেমোক্র্যাটদের সমস্যা হিসেবে তুলে ধরার দীর্ঘকালীন প্রচারণার অংশ এটি।
বিচার বিভাগের এই ছবি প্রকাশের ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে এপস্টেইনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে হাউস ওভারসাইট কমিটির কাছে জবানবন্দি দিতে হবে।
জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল গত সপ্তাহে, তবে তা পিছিয়ে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পলিটিকো জানিয়েছে, কমিটির চেয়ারম্যান জেমস কোমার হুমকি দিয়েছেন, এই দম্পতি যদি নির্দিষ্ট তারিখে জবানবন্দি না দেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্রিক তাঁর নিবন্ধে আরও দাবি করেন, গাজায় লক্ষ্য অর্জনের ব্যাপারে ইয়োভ গ্যালান্ত যেসব বড় বড় কথা বলেছিলেন, সেগুলো এখনো অর্জিত হয়নি। গত বছরের শেষ দিকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় প্রবেশ করার পর গ্যালান্ত দাবি করেছিলেন, তাঁরা গাজা শহর এবং এর টানেল নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শিগগির হামাসকে পরাজিত করবেন।
২২ আগস্ট ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৪১ মিনিট আগে
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগে
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে