Ajker Patrika

পতিত স্বৈরাচার প্রতিশোধের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পতিত স্বৈরাচার প্রতিশোধের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে: মির্জা ফখরুল

গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতন হলেও তিনি ও তাঁর অনুসারীরা ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, পতিত স্বৈরাচার ও তাঁর দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথা বিজয়ী ছাত্র-জনতার ওপর প্রতিশোধের নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। একই সঙ্গে এসব ঘৃণ্য অপরাধের দায় সুকৌশলে বিএনপিসহ সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির ওপরে চাপানোর জন্য সামাজিক গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে ব্যাপকভাবে।’ 

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়কে টার্গেট করা হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এই মুহূর্তে তাঁদের ষড়যন্ত্র। বিজয়ী সকল শক্তি তথা জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায়ও তাঁরা মরিয়া হয়ে লেগেছে। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, প্রশাসন তথা সর্বস্তরের সকল নাগরিকবৃন্দ এ বিষয়ে সজাগ আছেন। আমাদের দল বিএনপি ইতিমধ্যে আমাদের সাধ্যমতো সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলছে। বিএনপির নাম ব্যবহার করে যারাই এই ধরনের অপতৎপরতায় জড়িয়ে পড়বে-তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

ফখরুল বলেন, ‘পরিস্থিতি ও পরিবেশের গভীরতা অনুভব করে দেশবাসীসহ সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি সকল সহায়ক শক্তিকে আবারও সজাগ করতে চাই, পতিত স্বৈরাচার ও তাঁর দোসরদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে। বিশেষভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সকল নাগরিকদের আহ্বান রাখছি, এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যার যার স্থান থেকে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দেশপ্রেমিক প্রতিরক্ষা, প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য দল-মত নির্বিশেষে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সরকারের দেওয়া গানম্যান প্রত্যাখ্যান করলেন নুরুল হক নুর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডাকসু ভবনের সামনে ‘ডাকসু হামলার ৬ বছর’ উপলক্ষে প্রতিবাদ সভায় নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত
ডাকসু ভবনের সামনে ‘ডাকসু হামলার ৬ বছর’ উপলক্ষে প্রতিবাদ সভায় নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত

নিরাপত্তা শঙ্কায় থাকা ২০ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে গানম্যান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ২০ জনের এই তালিকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নাম থাকলেও সরকারের দেওয়া গানম্যান প্রত্যাখ্যান করেছেন নুরুল হক নুর।

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনের সামনে ‘ডাকসু হামলার ৬ বছর’ উপলক্ষে এক প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে নুরুল হক নুর এসব কথা বলেন।

নুর বলেন, ‘যে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনসমক্ষে পোশাক পরিহিত অবস্থায় আমার কার্যালয়ের সামনে হামলা করেছে, সেই হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত সরকারের দেওয়া গানম্যান আমি প্রত্যাখ্যান করছি।’

নুর আরও বলেন, ‘একক ব্যক্তিকে গানম্যান দিয়ে গোটা দেশকে নিরাপদ করা সম্ভব নয়। জনগণের নিরাপত্তায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে। শুধু নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ও নিরাপদ ভোটের পরিবেশ তৈরি না হলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবে না।’

পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুর্বৃত্তরা পোশাক পরিহিত অবস্থায় চলতি বছরের ২৯ আগস্ট জনসমক্ষে হামলা চালিয়েছিল উল্লেখ করে নুর বলেন, ‘৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এই হামলার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও এখন পর্যন্ত এই হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত ও বিচার করা হয়নি। এতে বোঝা যায়, সেদিনের হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের মৌন সমর্থন রয়েছে।’

এই ঘটনার জন্য সরকারের দায় রয়েছে জানিয়ে নুর বলেন, ‘হামলার ঘটনার বিচার না হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাসহ বাকি উপদেষ্টাদেরও আমি দায়ী করব।’ তাই গানম্যান প্রত্যাখ্যান করে নিজের ওপর কোনো ধরনের হামলা হলে তার দায় বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিতে হবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জিয়াউর রহমান সমঝোতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন: মির্জা ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ সোমবার সকালে পিআইবি মিলনায়তনে ‘প্রকাশনা উৎসব’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার সকালে পিআইবি মিলনায়তনে ‘প্রকাশনা উৎসব’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সব সময় একটি সমঝোতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাঁর যোগ্যতা, তাঁর নেতৃত্ব, তাঁর দূরদৃষ্টি—সবকিছু দিয়ে তিনি একটা সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। জিয়াউর রহমান কীভাবে ভিন্নমতের মানুষকে কাছে টেনে আনার চেষ্টা করেছেন এবং সবচেয়ে বড় যেটা আমার কাছে মনে হয় যে, একটা সমঝোতার রাজনীতিতে তিনি বিশ্বাস করতেন।’

আজ সোমবার সকালে পিআইবি মিলনায়তনে ‘প্রকাশনা উৎসব’ অনুষ্ঠান হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার সকালে পিআইবি মিলনায়তনে ‘প্রকাশনা উৎসব’ অনুষ্ঠান হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ সোমবার সকালে পিআইবি মিলনায়তনে ‘প্রকাশনা উৎসব’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হি বিলিভড ইন অ্যা পলিটিকস অব কম্প্রোমাইজ—অর্থাৎ জিয়াউর রহমান একটা সমঝোতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন। প্রথম পার্লামেন্ট ১৯৭৯ সালে যেটা প্রথম নির্বাচন হলো, সে নির্বাচন দেখেন, কারা আসল? একদিকে আসল আওয়ামী লীগের প্রায় ৩৯ জন, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (১৯৭৯ সালে নিষিদ্ধ জামায়াতের নেতারা অন্য দলগুলোর সঙ্গে মিলে আইডিএল গঠন করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন) থেকে কয়জন এসেছিল। অন্যদিকে, বিএনপিতে যাঁরা আসলেন, তাঁরা হচ্ছেন চারদিক থেকে আসা সব রাজনৈতিক নেতা।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এদিকে মুসলিম লীগের আবদুস সবুর খান আসলেন, একদম বামদের মধ্য থেকে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, রাশেদ খান মেনন, আবদুল মোহম্মদ তোহা, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। তাঁরা সবাই ছিলেন। অর্থাৎ পার্লামেন্টটা এমন হলো যে, সব মতবাদের লোক সেখানে। এই পার্লামেন্টের প্রসিডিং যদি আপনি দেখেন, দেখবেন, পার্লামেন্ট চলছে, যেখানে পাণ্ডিত্য ও বিদ্যাজ্ঞানের সমাহার হয়ে গেছে। সত্যিকার অর্থে একজন ক্ষণজন্মা, দেশপ্রেমিক মানুষ, যাঁর (শহীদ জিয়া) জীবনের যতটুকু বেঁচে ছিলেন, কাজ করার সময় থেকে তিনি পুরোটাই দেশের জন্য, মানুষের জন্য করতে চেয়েছেন।’

জিয়াউর রহমান দেশের সবচেয়ে মেধাবী ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে তাঁর মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন, যাকে ‘গ্যালাক্সি অব ইনটেলেকচুয়ালস’ বলা হয়। তিনি বিশ্বাস করতেন, জ্ঞানীদের নিয়ে কাজ করলেই দেশ এগোবে।

একজন ব্যক্তির উক্তি টেনে এনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যদি ১৯৮১ সালে নিহত না হয়ে ৭৫-এ নিহত হতেন, তাহলে বাংলাদেশ হয় লাইবেরিয়া, নাহয় আফগানিস্তানের মতো একটা ফেইল স্টেট (ব্যর্থ রাষ্ট্র) হয়ে যেত। শেখ মুজিবুর রহমানের সামনে বসে তৎকালীন অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. মজহারুল হক বলছিলেন যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি অতি দ্রুতগতিতে রসাতলে যাচ্ছে। সেই রসাতলে যাওয়া অর্থনীতিকে, একেবারে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটা অর্থনীতিকে জিয়াউর রহমান টেনে তুলেছিলেন।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে আখ্যায়িত করা হেনরি কিসিঞ্জারের এক মন্তব্য টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি এবং হেনরি কিসিঞ্জারের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র অপবাদ থেকে জিয়াউর রহমান দেশকে একটি সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি—সব দিকেই সমান নজর দিয়েছিলেন। তিনি চীন, ভারত, রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন।

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে ছিলেন ইতিহাসবিদ ড. আহমেদ কামাল, দৈনিক দিনকাল ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদক আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, সাংবাদিক এহ্সান মাহমুদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান ছিলেন শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সর্বাধিক সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল জিয়াউর রহমানের সময়: মাহদী আমিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ড. মাহদী আমিন। ছবি: সংগৃহীত
ড. মাহদী আমিন। ছবি: সংগৃহীত

বাক্‌স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল বলে দাবি করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন।

আজ সোমবার সকালে পিআইবি মিলনায়তনে ‘প্রকাশনা উৎসব’ অনুষ্ঠানে আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। তিনটি পুনঃপ্রকাশনার বই হলো—‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন উদ্যোগ’ ও ‘ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’।

ড. মাহদী আমিন বলেন, ‘আমরা দেখেছি, পূর্বে বিএনপি যখন সরকারে ছিল, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন, অনেক অগ্রযাত্রার ভেতরে সবচেয়ে বড় যে সোপান, সেটা হচ্ছে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে, সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অধিকার ও স্বাধীনতার সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়। আমরা দেখলাম, বাকশালে বন্ধ হওয়া চারটির বাইরে বাকি যত পত্রিকা ছিল, সবগুলো খুলে দিয়েছিলেন। যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ধীরে ধীরে দেশের দায়িত্ব নিলেন, প্রতিটি গণমাধ্যমকে পূর্ণাঙ্গভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও যতবার রাষ্ট্র পরিচালনায় এসেছেন, প্রতিটা সংবাদপত্রে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ছিল।’

তারেক রহমানের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, উনার বিরুদ্ধে এবং আমাদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার হয়েছে, যার শুরুটা বিএনপি যখন সরকারে ছিল, তখনই করা হয়েছে। তারপর একটি বারের জন্য কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করা, কোনো সম্পাদককে মামলা দেওয়া হয়নি। কাউকে হেনস্তা করা হয়নি, গোয়েন্দা বাহিনী থেকে ফোন দিয়ে কোনো নিউজ নামানো হয়নি। এই বাক্‌স্বাধীনতাই বিএনপির রাজনীতির একটি অন্যতম মৌলিকত্ব।’

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আলোচক হিসেবে ছিলেন ইতিহাসবিদ ড. আহমেদ কামাল, দৈনিক দিনকাল ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদক আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, সাংবাদিক এহ্সান মাহমুদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান ছিলেন শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রথম আলো–ডেইলি স্টারে হামলার সঙ্গে গভীর ষড়যন্ত্র জড়িত: জামায়াত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বক্তব্য দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। ছবি: সংগৃহীত
বক্তব্য দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে গভীর ষড়যন্ত্র জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভন্ডুল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এ ধরনের একটি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেওয়া এবং সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার প্রতিবাদে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় সংহতি জানাতে এসে এসব কথা বলেন জামায়াতের এ নেতা।

আজ সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ ও মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (নোয়াব)।

এই প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা; পেশাজীবী, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক সংগঠন; নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সংহতি জানাতে আসেন। প্রতিবাদ সভা শেষে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের পাশের রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন তাঁরা।

জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ আমাদের প্রত্যেকের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। কোনো অবস্থায় এটার ওপর হামলা কেউ গ্রহণ করবেন না। আমরা কেউ এটা মেনে নিতে পারি না। এটাই যাতে ফুলস্টপ হয়।’

বিগত সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের ওপর হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব অনেক বেশি, তারা সে দায়িত্বটি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা মনে করি, এখানে অবশ্যই সরকারের দায়িত্ব ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কী করেছে, সেটা খতিয়ে দেখা।’ পতিত স্বৈরাচার তার সব শক্তি নিয়ে এখনো সক্রিয় আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘এই কাজের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, আমাদের প্রত্যেকেরই নিজেদের জন্য, দেশের জন্য, জাতির জন্য, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য—এটি চিহ্নিত হওয়া উচিত। তাদের আইনের মুখোমুখি করা উচিত। ...এটি কোনো রাজনৈতিক দিক বিবেচনা করলে, শুধু আলোচনা করলেই হবে না।’

গত বৃহস্পতিবার রাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় দেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো। প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে প্রথম আলোর কার্যালয় পুড়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়েও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। সংহতি জানাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে গেলে একই রাতে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়। এ ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছেন অনেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই হামলার ঘটনা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত