Ajker Patrika

কুবিতে মানববন্ধনে অংশ না নেওয়ার কারণ জানালেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি

কুবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৪, ১৭: ১৭
কুবিতে মানববন্ধনে অংশ না নেওয়ার কারণ জানালেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি

দেশব্যাপী শিক্ষার্থী হত্যা, নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ছয়জন শিক্ষক মানববন্ধনে দাঁড়ালেও দেখা যায়নি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কাউকে। এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলছেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষে মানববন্ধনে দাঁড়ানোর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

আজ শুক্রবার মোবাইল ফোনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবু তাহের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আগেই বিবৃতি দিয়েছে, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে আমরা আছি। শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আদেশে সরকারের সঙ্গে তিন দফা দাবি নিয়ে একটা কর্মসূচিতে আছি। আবার কুবি উপাচার্য ও প্রশাসনের বিপক্ষেও আমাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে একটা কর্মসূচি চলমান। এগুলোর মাঝে শিক্ষার্থীদের পক্ষে মানববন্ধনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে কেউ যেন মানববন্ধনে না দাঁড়ায়—এমন নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে কার্যনির্বাহী কমিটির কয়েকজন নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘এক্সিকিউটিভ কমিটি মানা করেছে—এ ব্যাপারে যে বলেছে তাকে জিজ্ঞেস করো, এ ধরনের আলোচনা হয়েছে কি না। আজকের যে কর্মসূচি ছিল, এটি কীভাবে হয়েছে, কারা ডেকেছে, আমরা কিছু জানি না। আজ কর্মসূচিতে দাঁড়াবে—এটা অন্তত আমি জানি না। তবে একজন শিক্ষক আমাকে মেইল পাঠিয়েছেন। তো উনি মেইল পাঠালেই যে শিক্ষক সমিতি দাঁড়াবে ব্যাপারটা এমন না। সাধারণ শিক্ষকদের ব্যানারে মানববন্ধন করবে, এটা তাঁর ব্যাপার।’

অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, ‘পাঁচজন শিক্ষক, ১০ জন শিক্ষক, একজন শিক্ষক দাঁড়াতেই পারেন। মানববন্ধন করতেই পারেন। কিন্তু শিক্ষক সমিতির কারও সঙ্গে আলাপ-পরামর্শ করা হয়নি। শিক্ষক সমিতির এক্সিকিউটিভ মেম্বারদের কারও যদি দাঁড়াতে হয়, তাহলে আলোচনা করে দাঁড়াতে হবে। শিক্ষক সমিতির কেউ যদি দাঁড়াতে চায়, তাহলে সে তো শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দাঁড়াতে পারবে না। এখন আমরা শিক্ষক সমিতি তো এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করিনি।’

ড. তাহের আরও বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতিসহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতিদের নিয়ে আমাদের একটি গ্রুপ আছে। ওই গ্রুপে প্রতিনিয়ত আলোচনা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এ ধরনের কোনো কর্মসূচি পালন করেনি। যাঁরা দাঁড়িয়েছেন তাঁরা হত্যাযজ্ঞ, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শিক্ষকসমাজের ব্যানারে দাঁড়িয়েছেন। যা-ই হোক, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের তুলনা নেই। এখানকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আমরা কোনো কর্মসূচিতে গেলে সেটা আলাপ-আলোচনা করেই যাব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গতকাল বৃহস্পতিবার মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কুবির সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুন নাহার শিলা বলেন, ‘এই আন্দোলনে অনেক শিক্ষকই অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন অনেকেই ক্যাম্পাসে নেই। শহর থেকে আসা কাউকে কাউকে কোটবাড়ীতে আটকে দেওয়া হয়েছিল। কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আবার ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের নানা নেতিবাচক কথাবার্তায় কেউ কেউ হতোদ্যম হয়েছেন বলে আমি মনে করি। এমন আচরণে আমরা নিজেরাও ভীষণ ব্যথিত হয়েছি। তবে যাঁরা রাজনৈতিক পরিচয়কে বড় করে দেখলেন বলে আজ এলেন না, তাঁদের উদ্দেশে বলব, দেশের এমন ক্রান্তিলগ্নে, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে যখন নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, তখন বিবেককে আমরা রাজনীতির কাছে বন্ধক দিতে পারি না।’

কামরুন নাহার শিলা আরও বলেন, ‘একদিন আমাদের ক্লাসে ফিরতে হবে। তখন আমরা কীভাবে মুখ দেখাব? কীভাবে ন্যায়ের বুলি আওড়াব? এমন দিনে আমাদের রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে কেবল মনুষ্যত্বের প্রয়োজনেই আসা উচিত ছিল। শিক্ষক সমিতি থেকে যদি শিক্ষার্থীদের প্রতি ন্যায়বিচারের এমন দাবিতে অংশগ্রহণ করায় নিষেধাজ্ঞা থাকে, তাহলে বলব এটি ভীষণ হতাশার। আমরা আজ সবাই সাধারণ শিক্ষক হিসেবেই দাঁড়িয়েছি। তাঁরা চাইলেই আজ শিক্ষক সমিতির পরিচয়কে একপাশে রেখে সাধারণ শিক্ষক হিসেবেই এই মানববন্ধনে অংশ নিতে পারতেন। সবার ওপরে আমাদের পরিচয়, আমরা মানুষ, আর মানুষের জন্যই মানুষ।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দূর রহমান বলেন, ‘যে ছয়জন শিক্ষক মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আমি যুক্ত হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে যেতে পারিনি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে মনে করি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যারা যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে আছে, তারা যেন কোনো প্রকার হেনস্তা, হয়রানির শিকার না হয়। অযথা যেন তাদের গ্রেপ্তার করা না হয়। তাদের এই আন্দোলন যৌক্তিক। এ বিষয়ে শিক্ষকদের থাকা উচিত ছাত্রদের পাশে। এ ছাড়া শিক্ষক সমিতি এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারত। তারা একটি মিটিং ডেকে সাধারণ শিক্ষকদের মতামত নিতে পারত, পরামর্শ নিতে পারত। এরপর যদি শিক্ষকেরা মানববন্ধনের প্রস্তাব রাখত, তাহলে সেই মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির নৈতিক সমর্থন থাকা উচিত ছিল।’

অধ্যাপক সৈয়দূর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেকে আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যাটা এত হতো না যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সঠিক ভূমিকা রাখত। প্রশাসন মানে এখানে শুধু উপাচার্য নয়। প্রভোস্ট, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাসহ অন্য পদধারীদের বোঝায় যারা প্রশাসনের অংশ। তাই এই মুহূর্তে সবাইকে শিক্ষার্থীর পাশে থাকা উচিত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

নরসিংদী প্রতিনিধি
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। আজ শুক্রবার বেলা ২টা থেকে নরসিংদী শহরের গুরুত্বপূর্ণ জেলখানা মোড় এলাকায় ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তাঁরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন।

অবরোধের ফলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দূরপাল্লার যাত্রী ও চালকেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন এনসিপির প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল এবং জামায়াতের প্রার্থী ইব্রাহিম ভূইয়া। এ ছাড়া নরসিংদী ছাত্র ঐক্য জোটের নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তারা হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ বিভিন্ন দাবি জানান।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিকেল ৪টার দিকে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা তাঁর উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। এ প্রতিবেদন পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহারের কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শনিবারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি পরীক্ষা স্থগিত

গাজীপুর প্রতিনিধি
শনিবারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি পরীক্ষা স্থগিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এলএলবি প্রথম পর্বের শনিবারের (২০ ডিসেম্বর) ইকুইটি, ট্রাস্ট, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার ও হিন্দু আইন বিষয়ের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিতকৃত পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানানো হবে।

আজ শুক্রবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২০২৪ সালের এলএলবি প্রথম পর্বের অন্যান্য পরীক্ষার সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির মৃত্যু: ঝিনাইদহে আ.লীগের ২ নেতার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ শহরে আজ শুক্রবার সকালে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইদহ শহরে আজ শুক্রবার সকালে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহ শহরে আওয়ামী লীগের দুই নেতার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে আওয়ামী লীগের দুই নেতার বাড়িতে ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা হয়।/

রাতেই পুলিশ ও সেনাবাহিনী শহরে টহল বাড়িয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। আজ শুক্রবার সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে পুলিশ অবস্থান করছে।

জানা গেছে, ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে শহরে বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করেন। এরপর তাঁরা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাসের বাড়িতে ও অফিসে ভাঙচুরসহ আসবাব আগুন ধরিয়ে দেন। এর আগে বাসার দ্বিতীয়তলায় ভাঙচুর করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এরপর শহরের হাটের রাস্তায় সদর পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মাসুমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই সময় বিক্ষুব্ধরা সাবেক সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

এদিকে এসব ঘটনার পর থেকেই শহরে জোরদার করা হয় নিরাপত্তাব্যবস্থা। শহরের হামদহ, মনুমেন্ট, পোস্ট অফিস মোড়, স্মৃতিসৌধ এলাকাসহ অন্য স্থানে টহলে রয়েছে পুলিশ।

জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাসের কার্যালয়ে কর্মরত অসিম বলেন, ‘হঠাৎ রাতে একদল মানুষ এতে ভাঙচুর শুরু করে। বাসার নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ফাইলপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

ঝিনাইদহ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে সারা দেশের মতো আমাদেরও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভেকু দিয়ে যুবককে হত্যার ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আহমেদ জুবায়ের। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহমেদ জুবায়ের। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় ভেকুর চাকায় পিষে আহমেদ জুবায়েরকে (২৩) হত্যার ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জুবায়েরের বাবা রফিকুল ইসলাম মোহনপুর থানায় মামলাটি করেন।

এর আগে গত বুধবার রাতে উপজেলার বড় পালশা গ্রামে বিলে আবাদি জমিতে পুকুর খননে বাধা দিতে গেলে জুবায়েরকে ভেকুর (এক্সকাভেটর) দিয়ে পিষে হত্যা করা হয়। নিহত জুবায়েরের বাড়ি বড় পালশা গ্রামে। ময়নাতদন্তের পর গতকাল দুপুরে তাঁর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

জুবায়ের হত্যায় ভেকুচালক আব্দুল হাকিমকে (২৮) বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়ামিন আলী বলেন, জুবায়ের হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এক আসামিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে অন্য আসামিদের নাম প্রকাশ করা যাবে না। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত