Ajker Patrika

পুলিশের মানসিক সমস্যায় নেই কাউন্সেলিং, হাতে প্রাণঘাতী স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র

শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
আপডেট : ১০ জুন ২০২৪, ১৪: ৪৯
পুলিশের মানসিক সমস্যায় নেই কাউন্সেলিং, হাতে প্রাণঘাতী স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র

রাজধানীর বারিধারায় কূটনৈতিক এলাকায় মধ্যরাতে দায়িত্বরত কনস্টেবল কাওছার আহমেদ স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে সহকর্মীর দেহ ঝাঁজরা করে দিয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশের বক্তব্যে উঠে এসেছে, কাওছার মানসিক সমস্যায় ছিলেন। ঘটনার আগে কনস্টেবল মুনিরুল হকের সঙ্গে তাঁর কথাকাটাকাটি হয়, একপর্যায়ে তিনি নির্বিচার গুলি চালিয়ে সহকর্মীকে হত্যা করেন।

কাওছারের পরিবারের সদস্যরাও বলছেন, চাকরিতে যোগ দেওয়ার ৫ বছরের মাথায় ২০১০ সালে তাঁর মানসিক সমস্যা ধরা পড়ে। গত ১৪ বছরে ‘সরকারিভাবে’ একাধিকবার হাসপাতালে গিয়ে মানসিক রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন কাওছার। মানসিক সংকটের পর্ব চলকালে কয়েকদিন ধরে চুপচাপ থাকতেন কাওছার এবং পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতেন কম।

প্রশ্ন উঠেছে, প্রায় দেড় দশক ধরে মানসিক রোগে ভুগতে থাকা ব্যক্তি কীভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাছে নিয়োজিত আছেন। কীভাবে তাঁর হাতে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থাকে এবং তিনি কূটনৈতিকপাড়ার মতো সংবেদনশীল এলাকায় দায়িত্বপালন করতে পারেন? তাছাড়া পুলিশের মধ্যে কাউন্সেলিং বা মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তাহলে, এই কনস্টেবলের মানসিক স্থিতি নজরদারিতে কর্তৃপক্ষের কী নজরদারি ছিল? বিষটি তাঁরা আদৌ দেখভাল করেছেন কিনা।

ঘটনার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) যে বক্তব্য দিয়েছে তাতে কাওছারের মানসিক সমস্যার কোনো উল্লেখ নেই। বরং কাওছার ‘ব্যক্তিগত ক্ষোভ’ থেকে এমনটি ঘটাতে পারেন বলে দাবি করা হয়েছে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সাময়িক উত্তেজনার কারণে এমনটি ঘটতে পারে। তাদের সেখানে স্বাভাবিক ডিউটি ছিল। অভিযুক্ত কাওছারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাতে মনে হয়েছে, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এমনটি ঘটাতে পারেন।’

যদিও গত শনিবার রাতের এই মর্মান্তিক ঘটনার পর ‘কনস্টেবল কাওছার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন’ বলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পুলিশেরই একাধিক কর্মকর্তা জানান। কূটনৈতিকপাড়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা আক্রমণকারী পুলিশ সদস্যের ব্যাপারে যতটুকু জেনেছি, তিনি পাঁচ–ছয় দিন থেকে খুব চুপচাপ ছিলেন। তার অন্য সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলছিলেন না। তাঁর ব্যাচমেটদের সঙ্গে কথা বলে এসব জেনেছি।’

কাওছারের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীরা জানান, ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর পুলিশের চাকরিতে যোগদান করেন কাওছার। ২০১০ সালের দিকে প্রথম মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। পরে তাঁকে সরকারিভাবে কয়েকবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এরপরও বেশ কয়েকবার অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

তার স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন সাথি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘আমার স্বামী মানসিক রোগে আক্রান্ত। সে মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে যেত। তাকে কয়েকবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। চিকিৎসার কাগজপত্র আমার স্বামীর কাছে আছে। আমাদের পারিবারিকভাবে কোনো সমস্যা ছিল না। তবে সে মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে পরিবারের সঙ্গে কম যোগাযোগ করত এবং কথাও কম বলত। ইদানিংও পরিবারের সঙ্গে কথা কম বলত সে।’

কাওছারের মানসিক সমস্যা আছে কিনা এবং তিনি অফিশিয়ালি চিকিৎসা নিতেন কিনা সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন আহম্মেদ বলেছেন, ‘পুলিশ সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে এ রকম কোনো কাউন্সেলিং করা হয় না। তবে মাঝেমধ্যে তাঁদের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন।’

এমন প্রেক্ষাপটে এই ঘটনায় পুলিশ কর্তৃপক্ষ বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরদারি ঘাটতি বা দায়িত্বে অবহেলা থাকতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশের শীর্ষ কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান। এখন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য।

এবিষয়ে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য যদি চিকিৎসার মধ্যে থাকেন, তাঁকে ডিউটিতে রাখা উচিত হয়নি। কারণ একজন মানসিক রোগী তাঁর আবেগ বা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। কিছু সময়ের জন্য ভালো ব্যবহার করলেও আবার খারাপ আচরণ করে। স্বাভাবিকভাবে চলতে পারলেও কোনটা যৌক্তিক সেটা বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কিন্তু পুলিশের মতো চাকরিতে এমন অসুস্থ মানুষ কখনোই ফিট না। বিষয়টা তাঁর ঊর্ধ্বতনদের আগেই বুঝতে পারা দরকার ছিল।’ 

কাওছার ও মনিরুলদের কাছে যে অস্ত্র ছিল তা অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় সাবমেশিনগান এসএমটি ৪০। ব্রাজিলের অস্ত্রনির্মাতা টরাসের তৈরি এই অস্ত্র থেকে মিনিটে প্রায় ৭৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়া সম্ভব। এতে ৩০ রাউন্ডের একটি ম্যাগাজিন থাকে। এতে ৯ এমএম গুলি ব্যবহার করা হয়। প্রায় তিন বছর আগে টরাস এসএমটি ৪০ সাম মেশিনগান পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, কাওছারের কাছে দুটি ম্যাগাজিন ছিল। একটি ম্যাগাজিন শেষ হওয়ার পর আরেকটি ভরেন কাওছার। দ্বিতীয় ম্যাগাজিন থেকে ২২ রাউন্ড তাজা গুলি পাওয়া গেছে। অর্থাৎ টানা ৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন। কাওছার খুব কাছ থেকে গুলি করেছেন। সেক্ষেত্রে ৩৮টি গুলির ব্যবহারের মধ্যে একধরনের উন্মাদনা যে ছিল তা পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন।

এসএমটি ৪০–এর মতো আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার অনুমতি আছে এমন একজন পুলিশ সদস্য দায়িত্বরত অবস্থায় এভাবে উত্তেজিত হয়ে যাওয়াটা কি স্বাভাবিক? এমন অস্ত্র ব্যবহারে তাঁর প্রশিক্ষণ ছিল কিনা। অথবা চাপ সামলানোর মতো মানসিক দৃঢ়তা যাচাই করা হয়েছিল না কিনা—এসব প্রশ্ন এখন উঠেছে। 

পুলিশ বাহিনী যে বিধানে চলে, সেই পিআরবির ৭৯৭ (গ) (২) অনুযায়ী, প্রতিবছর ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী বছরের ৩১ মার্চ সময়কে ফায়ারিং বছর হিসেবে গণনা করা হয়। এসময়ে নিয়মিতিই পিস্তল, রাইফেল, এসএমজি, এলএমজি, শটগানের ফায়ারিং অনুশীলন করানো হয়। তাছাড়া বিশেষ ইউনিটগুলো নিজেদের মতো করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। 

প্রায় ২০ বছরের কর্মজীবনে কনস্টেবল কাওছারের এই অস্ত্রের প্রশিক্ষণ থাকারই কথা। কিন্তু এসএমটি ৪০–এর মতো আধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারে কনস্টেবল কাওছারের প্রশিক্ষণ ছিল কিনা এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে জোরালো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আর পুলিশের সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণ শাখার পদস্থ এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘অস্ত্রের প্রশিক্ষণ তো প্রতিবছরই দেওয়া হয়। তবে সেটা নিয়মিত প্রশিক্ষণ। এর বাইরে ইউনিট ধরে বা অস্ত্র ধরে ধরে সেভাবে প্রশিক্ষণের সুযোগ খুব বেশি নেই।’ 

কিন্তু মানসিক সমস্যার ঝুঁকির মধ্যে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা ছাড়া আর গতানুগতিক প্রশিক্ষণে সীমাবদ্ধ থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে ধরিয়ে দিয়ে পুলিশকে মানুষের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া, তাও কূটনৈতিক এলাকায়, নিরাপদ কিনা সেবিষয়ে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘উন্নত দেশের পুলিশকে প্রতিটি ইভেন্ট মোকাবিলার বা দায়িত্বের জন্য আলাদা কৌশল শেখানো হয়। কিন্তু আমাদের এখনো ট্র্যাডিশনাল পুলিশিং চলছে, এর উন্নতি দরকার।’ 

পুলিশ সূত্র বলছে, গত শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের উত্তর পাশের গার্ডরুমের দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কূটনৈতিক জোনের দুই পুলিশ সদস্য, তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে কনস্টেবল কাওছার আহমেদ সাব মেশিনগান দিয়ে গুলি চালান। দুটি ম্যাগাজিন থেকে ৩৮ রাউন্ড গুলি চালিয়েছেন তিনি। এতে কনস্টেবল মনিরুল হকের দেহ তাতে ঝাঁজরা হয়ে যায়। এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন তিনি। এতে ওই পথে যাওয়া এক বাইসাইকেল আরোহী গুলিবিদ্ধ হন। আহত ব্যক্তি জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেন শাহরুখ। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

পপুলার ফার্মায় এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি, সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কার্যক্রম প্রভাবিত করতে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে: গুম কমিশন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করা।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) গুমসংক্রান্ত কমিশনের সচিব কুদরত-এ-ইলাহী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’-এর নাম জড়িয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচারিত হচ্ছে, যা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে সংগতি রেখে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সংযুক্ত করে কমিশন সম্পর্কে যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে, তা মূলত কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করার হীন উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, কমিশনের বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমে খন্দকার রাকিব নামের কোনো ব্যক্তির উপস্থিতির যে দাবি প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। ওই ব্যক্তি কখনোই গুমসংক্রান্ত কমিশনে কোনো পদে কর্মরত ছিলেন না এবং কমিশনের কোনো জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমেও তাঁর উপস্থিতি ছিল না।

কমিশনের মতে, এ ধরনের অস্পষ্ট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের মাধ্যমে একটি মহল কমিশনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুম হওয়া ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখে কমিশন তার অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেশপ্রেমিক সব নাগরিকের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এই অবস্থায় দেশবাসীকে বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক তথ্যের প্রতি কর্ণপাত না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

পপুলার ফার্মায় এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি, সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জনসচেতনতায় ‘ভোটের গাড়ির’ প্রচারণা শুরু সোমবার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৬
জনসচেতনতায় ‘ভোটের গাড়ির’ প্রচারণা শুরু সোমবার

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)।

এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে দেশের ৬৪ জেলায় ‘গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন–২০২৬’ উপলক্ষ্যে ধারাবাহিক প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে ‘ভোটের গাড়ি’ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ভোটের গাড়ি’ প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর—সব স্তরের মানুষের কাছে নির্বাচনী বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন ও গণভোট নিয়ে আগ্রহ ও সচেতনতা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

পপুলার ফার্মায় এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি, সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেড় দশকে পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের ভিত দুর্বল করা হয়েছে: আসিফ নজরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এসইউবির সপ্তম সমাবর্তনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত
এসইউবির সপ্তম সমাবর্তনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’

আজ রোববার পূর্বাচল নতুন শহরে অবস্থিত স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) সপ্তম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের সমাবর্তন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে উৎসর্গ করা হয়।

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপের অগ্রযাত্রা প্রমাণ করে যে দেশ গঠনে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যেসব দেশ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পেরেছে, তারাই এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যক্তি ও পরিবার প্রাধান্য পেয়েছে, প্রতিষ্ঠান নয়। ফলে অর্জন থাকলেও তা টেকসই হয়নি।’

বক্তব্যের শুরুতেই ওসমান হাদির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি কখনো এত বড় জানাজা দেখিনি। মানুষের যে আহাজারি ও দোয়া প্রত্যক্ষ করেছি, তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস—আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাদির জন্য এত মানুষের শোকের কারণ হলো—তিনি কখনো নিজের কথা ভাবতেন না; ভাবতেন ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কথা। তিনি সৎ জীবন যাপন করতেন, সবাইকে ভালোবাসতেন। কর্মীদের জন্য তিনি যা করে গেছেন, তা অনেক নেতার জন্যই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

তিনি বলেন, ‘আজকের গ্র্যাজুয়েটরা মেধাবী ও সাহসী। কারণ, জ্ঞানার্জন এখন বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার পরিসরও বিস্তৃত হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনা হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন স্টেট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নওজিয়া ইয়াসমীনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা।

সমাবর্তনে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের মোট ৬৭২ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল, চারজন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

সমাবর্তন উপলক্ষে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, শিক্ষক ও গ্র্যাজুয়েটরা বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে সমাবর্তন শোভাযাত্রায় অংশ নেন। দিনব্যাপী সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অ্যালামনাই, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

পপুলার ফার্মায় এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি, সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথ বাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ

বাসস, ঢাকা  
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৫১
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ। ছবি: বাসস
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ। ছবি: বাসস

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে আস্থার পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে শিগগির মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, এখন থেকে মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে। যৌথ বাহিনীর অপারেশনের অন্যতম লক্ষ্য হবে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সার্বিকভাবে, সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে একটা আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। এলাকাভিত্তিক চেকপয়েন্ট অপারেশনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। যেসব এলাকায় অস্ত্রের আনাগোনা আছে মর্মে জানা যায়, ওইসব এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে বলা হয়েছে।’

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক এবং পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাসংক্রান্ত ইসির সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ এসব কথা বলেন।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুপুর ১২টায় তিন বাহিনীর প্রধান কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেলা আড়াইটায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাসংক্রান্ত ইসির সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ, বাহিনী ও সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, তাদের টার্গেট মূলত শহর এলাকাভিত্তিক। তারা সম্ভবত খুব অর্গানাইজভাবে টার্গেটেড কর্মকাণ্ড করছে। যাতে এটার প্রভাব জনমনে শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো সব চিহ্নিত করা হয়েছে। জনমনে যাতে স্বস্তি ফেরত আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়, দলগুলো যাতে যথাযথভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী সব কাজ যেন নির্বিঘ্ন হতে পারে, সে নির্দেশনা দিয়েছি।’

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা হলো যারা হেরে যায়, তাদের একটা কৌশল। এগুলোকে প্রতিহত করার জন্য যা যা করা দরকার, তা-ই করতে হবে। যাতে কেউ এগুলো ঘটানোর দুঃসাহস না দেখায়, তারা যেন পালাতে না পারে—সে জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ বাহিনীগুলোকে সচেতন করেছি।’

বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের বৈঠক ছিল। আজকে প্রথমবারের মতো তিন বাহিনীর প্রধান তথা সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলাদাভাবে মিটিং করেছি। তফসিল ঘোষণা হয়েছে ১১ ডিসেম্বর। তফসিল ঘোষণার পরে সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে আমাদের দিকনির্দেশনা এবং অপরাপর আনুষ্ঠানিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

তফসিল ঘোষণার পর দ্বিতীয় মিটিংয়ের শুরুতেই শহীদ শরিফ ওসমান হাদিসহ কয়েকজনের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে উল্লেখ করে সানাউল্লাহ বলেন, ‘ওসমান হাদির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সাত-আট দিন আমরা পুরা জাতি শোকের মধ্যে ছিলাম এবং আমাদের ফোকাসটা সেদিকেই ছিল। কিন্তু মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

সুনির্দিষ্ট কতগুলো নির্দেশনা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করে—এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থী হিসেবে যাঁদের মনোনয়ন দিচ্ছেন বা স্বতন্ত্র হিসেবে যাঁরা নির্বাচন করতে চাচ্ছেন—তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে, পুলিশ থেকে ইতিমধ্যে একটা প্রোটোকল দাঁড় করানো হয়েছে। সেই প্রটোকল অনুযায়ী যাঁরা যাঁরা নিরাপত্তা চাচ্ছেন, তাঁদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’

তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা আমাদের সমন্বিতভাবে প্রস্তুতির ব্যাপারে জানিয়েছেন। একটা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা তাঁরা নিয়ে রেখেছেন। যত ডেপ্লয়মেন্ট যেভাবে করা দরকার, সেটা তাঁরা করতে যাচ্ছেন। যেমন—সেনাবাহিনী এক লাখ সদস্য মোতায়েন করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

পপুলার ফার্মায় এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি, সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত