Ajker Patrika

প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে অবন্তিকাকে উত্ত্যক্ত করতেন আম্মান, অভিযোগ আমলে নেননি প্রক্টর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪, ২২: ০৭
প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে অবন্তিকাকে উত্ত্যক্ত করতেন আম্মান, অভিযোগ আমলে নেননি প্রক্টর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে প্রথম বর্ষে পড়াকালীন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর আম্মান তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। ক্যাম্পাস চত্বরে, ক্লাসে, করিডরে এবং বিভিন্ন স্থানে তিনি উত্ত্যক্ত করতেন। গত বছরের নভেম্বরে বিভাগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলেন অবন্তিকা। কিন্তু সে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি। 

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘গত নভেম্বরে অবন্তিকা সাবেক প্রক্টর বরাবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছিল। কিন্তু অভিযোগপত্রে কী রয়েছে তা পড়তে পারিনি। অভিযোগপত্রের বিষয়ে আমাকে অবহিতও করা হয়নি। গতকাল (শুক্রবার) ঘটনা ঘটার পর আমি জানি এবং এরপর সেই ফাইলটা খুঁজে বের করতে হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে আইন বিভাগে চেয়ারম্যান আক্কাস আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার কাছে অবন্তিকা অভিযোগ নিয়ে আসলে আমি তাতে স্বাক্ষর করি, এরপর সে নিজে সেই অভিযোগপত্র নিয়ে প্রক্টরের কাছে যায়।’ 

কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। আত্মহত্যার আগে এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেছেন তিনি। 

আম্মানের বিরুদ্ধে বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া অবন্তিকার সেই লিখিত অভিযোগের কপি আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘দীর্ঘদিন আমার ব্যাচের আমারই বিভাগের আম্মান সিদ্দিকী আমার সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণ ও উত্ত্যক্ত করে আসছে।

প্রথম বর্ষে প্রেমের প্রস্তাব দিলে প্রত্যাখ্যান করলে সে ব্যক্তিগত জীবনে এগিয়ে যায়। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই লিফটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকলে আমাকে দেখে সে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল মন্তব্য করে এবং আমি এরূপ মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় বিপত্তি বাধে। সে অপমানিত বোধ করে এবং আমাকে বলে, আমার একদিন এমন অবস্থা করবে বা এমনভাবে ফাঁসাবে যাতে আমি মেয়ে হয়ে সমাজে মুখ দেখাতে না পারি এবং সুইসাইডে বাধ্য হই।’ 

ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। ছবি: ফেসবুকএরপর আম্মানের আচরণ আরও আগ্রাসী হতে থাকে। তখন অবন্তিকার বাবা অসুস্থ থাকায় এ বিষয়গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতে পারেননি বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে আম্মানকে তাঁর সঙ্গে কোনো ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যোগাযোগ না করার অনুরোধ করেন তিনি। 

আম্মান সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীতএরপর আম্মান কিছুদিন শান্ত থাকেন উল্লেখ করে অভিযোগে অবন্তিকা বলেন, ‘এরপর কিছুদিন বন্ধ থাকে। হঠাৎ ছেলেটি মেসেঞ্জারে আমাকে বলে, সে এমন কিছু তথ্য ছড়াবে মানুষের কাছে যাতে আমি অপদস্থ হই এবং সে কবর থেকে একদম মুর্দা তুলে ফেলবে ওর সঙ্গে কিছু করলে! সম্প্রতি আমার বাবা মারা গেলে তার হুমকি-ধমকি এবং উৎপাত মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় আমি ডিপার্টমেন্টের করিডরে একা থাকলে সে আমাকে বিবিএ ফ্যাকাল্টির ছাদে কিংবা সম্পূর্ণ ফাঁকা ক্লাসরুমে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য ডাকে এবং সরাসরি কথা বললে আমি রেকর্ড করব এই ভয়ে সে (আম্মান) সেখান থেকে দ্রুত চলে যায়। কয়েক মাস আগে সে আমাকে আবারও ডেকে, আমাদের ডিপার্টমেন্টের ওপরের ফ্লোরে নিয়ে কথা বলতে চাইলে আমি প্রতিবাদ করি এবং সে আমাকে তখন ভয় দেখায় এই বলে যে, ‘আমার নামে প্রক্টর স্যারের কাছে নালিশ দিবি? দে, দেখি কী করতে পারস। প্রক্টর স্যারকে একটা কল দিলেই স্যার ধরে, কারণ আমি সাংবাদিক। তুই জানোস, কোতোয়ালি থানাতেও আমার কেমন লিংক। এক সেকেন্ড লাগবে তোকে ফাঁসাতে।’ 

এসব ঘটনার পর অবন্তিকা ক্লাস বাদ দিয়ে নিজ শহর কুমিল্লায় চলে যান। মিডটার্ম পরীক্ষার সময় আবার ক্যাম্পাসে এলে আম্মান তাঁকে আবার হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। এসব উল্লেখ করে অভিযোগে অবন্তিকা লিখেছেন, ‘যখনই আমার বন্ধু-বান্ধবেরা আমার থেকে চলে যেত, তখনই সে আমাকে সেদিন একা পেয়ে বিকেল ৩টা ২৬ মিনিটে আবার ফাঁকা ক্লাসরুমে ডাকে, তখন আমি ইগনোর করে যেতে চাইলে সে আমার পথ আটকায় এবং তার ডাকে ক্লাসরুমে না যাওয়ায় ধমক দেয়। আমি ঠিক তখনই তাকে বিভাগের অফিস রুমে নিয়ে যাই, যাতে আমার কোনো ক্ষতি না হয়। আমি প্রচণ্ড ভীতসন্ত্রস্ত, এমনকি পরিবার ছাড়া ঢাকায় থাকায় রাস্তাঘাটে চলাচলেও অনিরাপদ বোধ করি!’ 

অভিযোগে এসব উল্লেখ করে সুষ্ঠু বিচার চেয়েছিলেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা।

এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

নরসিংদী প্রতিনিধি
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। আজ শুক্রবার বেলা ২টা থেকে নরসিংদী শহরের গুরুত্বপূর্ণ জেলখানা মোড় এলাকায় ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তাঁরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন।

অবরোধের ফলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দূরপাল্লার যাত্রী ও চালকেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন এনসিপির প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল এবং জামায়াতের প্রার্থী ইব্রাহিম ভূইয়া। এ ছাড়া নরসিংদী ছাত্র ঐক্য জোটের নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তারা হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ বিভিন্ন দাবি জানান।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিকেল ৪টার দিকে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা তাঁর উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। এ প্রতিবেদন পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহারের কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শনিবারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি পরীক্ষা স্থগিত

গাজীপুর প্রতিনিধি
শনিবারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি পরীক্ষা স্থগিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এলএলবি প্রথম পর্বের শনিবারের (২০ ডিসেম্বর) ইকুইটি, ট্রাস্ট, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার ও হিন্দু আইন বিষয়ের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিতকৃত পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানানো হবে।

আজ শুক্রবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২০২৪ সালের এলএলবি প্রথম পর্বের অন্যান্য পরীক্ষার সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির মৃত্যু: ঝিনাইদহে আ.লীগের ২ নেতার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ শহরে আজ শুক্রবার সকালে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইদহ শহরে আজ শুক্রবার সকালে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহ শহরে আওয়ামী লীগের দুই নেতার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে আওয়ামী লীগের দুই নেতার বাড়িতে ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা হয়।/

রাতেই পুলিশ ও সেনাবাহিনী শহরে টহল বাড়িয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। আজ শুক্রবার সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে পুলিশ অবস্থান করছে।

জানা গেছে, ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে শহরে বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করেন। এরপর তাঁরা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাসের বাড়িতে ও অফিসে ভাঙচুরসহ আসবাব আগুন ধরিয়ে দেন। এর আগে বাসার দ্বিতীয়তলায় ভাঙচুর করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এরপর শহরের হাটের রাস্তায় সদর পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মাসুমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই সময় বিক্ষুব্ধরা সাবেক সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

এদিকে এসব ঘটনার পর থেকেই শহরে জোরদার করা হয় নিরাপত্তাব্যবস্থা। শহরের হামদহ, মনুমেন্ট, পোস্ট অফিস মোড়, স্মৃতিসৌধ এলাকাসহ অন্য স্থানে টহলে রয়েছে পুলিশ।

জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাসের কার্যালয়ে কর্মরত অসিম বলেন, ‘হঠাৎ রাতে একদল মানুষ এতে ভাঙচুর শুরু করে। বাসার নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ফাইলপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

ঝিনাইদহ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে সারা দেশের মতো আমাদেরও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভেকু দিয়ে যুবককে হত্যার ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আহমেদ জুবায়ের। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহমেদ জুবায়ের। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় ভেকুর চাকায় পিষে আহমেদ জুবায়েরকে (২৩) হত্যার ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জুবায়েরের বাবা রফিকুল ইসলাম মোহনপুর থানায় মামলাটি করেন।

এর আগে গত বুধবার রাতে উপজেলার বড় পালশা গ্রামে বিলে আবাদি জমিতে পুকুর খননে বাধা দিতে গেলে জুবায়েরকে ভেকুর (এক্সকাভেটর) দিয়ে পিষে হত্যা করা হয়। নিহত জুবায়েরের বাড়ি বড় পালশা গ্রামে। ময়নাতদন্তের পর গতকাল দুপুরে তাঁর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

জুবায়ের হত্যায় ভেকুচালক আব্দুল হাকিমকে (২৮) বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়ামিন আলী বলেন, জুবায়ের হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এক আসামিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে অন্য আসামিদের নাম প্রকাশ করা যাবে না। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত