ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

প্রকাশের ৬ বছর পর জালিয়াতির অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) তিন অধ্যাপকের গবেষণাপত্র প্রত্যাহার করেছে কোরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক জার্নাল বায়োলজিক্যাল মেডিকেল সেন্টার (বিএমসি)। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুজন অধ্যাপক এই গবেষণাপত্রের সহ–লেখক ছিলেন।
বিএমসির প্রত্যাহারপত্রে বলা হয়েছে, গবেষকেরা নিজেদের ২০১৫ সালের একটি প্রকাশনার তথ্য ব্যবহার ও পরীক্ষা–নিরীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্যসহ অন্যান্য গবেষণার উপাদান কমিয়ে–বাড়িয়ে ফলাফল তৈরি করেছেন। এ ছাড়া পশু গবেষণার জন্য নৈতিক অনুমোদন নেওয়ার তথ্যও মিথ্যা ছিল। কারণ, শাবিপ্রবিতে ২০২২ সাল পর্যন্ত এ ধরনের কোনো কমিটি ছিল না। এ ব্যাপারে গবেষকেরা জার্নালের প্রধান সম্পাদককে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। ফলে জার্নালের প্রধান সম্পাদক এই গবেষণা নিবন্ধে উপস্থাপিত তথ্যের ওপর আস্থা হারিয়েছেন। তাই গবেষণাটি তিনি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
তবে প্রধান গবেষক জার্নালের প্রধান সম্পাদকের এসব অভিযোগ মানতে নারাজ।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ‘ট্রাইড্যাক্স প্রোকাম্বেন্স ফ্ল্যাভোনয়েডস: অ্যা প্রসপেক্টিভ বায়োঅ্যাকটিভ কম্পাউন্ড ইনক্রিজড অস্টিওব্লাস্ট ডিফারেনসিয়েশন অ্যান্ড ট্র্যাবেকুলার বোন ফরমেশন’ শিরোনামে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি চলতি বছরের ৭ জুলাই প্রত্যাহার করেছে কোরিয়া–ভিত্তিক ওই আন্তর্জাতিক সাময়িকী।
ওই গবেষণাপত্রটির সঙ্গে জড়িত শিক্ষকেরা হলেন— শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন ড. আবদুল্লাহ আল মামুন, তাঁর স্ত্রী নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমিনা খাতুন, লাইফ সায়েন্স অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত পুষ্টি এবং খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাসিহুল আলম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলিম আল বারি।
গবেষণাপত্রে অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন প্রধান লেখক (ফার্স্ট অথর)। অধ্যাপক মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা নিজের প্রোফাইল থেকে প্রত্যাহার হওয়া গবেষণাপত্রের লিংক সরিয়ে নিয়েছেন। তবে বাকিদের নিজ নিজ প্রোফাইলে প্রত্যাহার হওয়া গবেষণাপত্রের লিংক আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা গেছে।
এখানেই শেষ নয়, এর আগে ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর একই জার্নালে ‘ট্রাইড্যাক্স প্রোকাম্বেন্স ফ্ল্যাভোনয়েডস প্রমোট অস্টিওব্লাস্ট ডিফারেনসিয়েশন অ্যান্ড ট্র্যাবেকুলার বোন ফরমেশন’ শিরোনামে আরেকটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন এই অধ্যাপকেরা। সেই গবেষণায় যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলোর অধিকাংশই আজও শাবিপ্রবির ল্যাবরেটরিতে নেই।
শাবিপ্রবির একাধিক অধ্যাপক আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ভুয়া গবেষণাপত্র ব্যবহার করে ড. আবদুল্লাহ আল মামুন অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ড. মামুনের স্ত্রী ড. আমিনার এই গবেষণার সঙ্গে দূরতম সম্পর্ক থাকার কথা নয়। ড. জাকির হোসেন মনগড়া ভুয়া ডেটা ব্যবহার করে গবেষণাপত্র তৈরি করতে পটু বলে অভিযোগ রয়েছে।
একদল সাবেক আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট ছাত্রের সমন্বয়ে মনগড়া ডেটা ব্যবহার করে গবেষণাপত্র তৈরি করে যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁর নিয়োগেও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। ড. জাকির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নিয়োগের সময় আবেদনপত্রের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে ভুয়া ব্যাংক ড্রাফট জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শাবিপ্রবি সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২ নভেম্বর গবেষণায় নৈতিকতা দেখভালের জন্য ‘সাস্ট রিসার্চ এথিক্স বোর্ড’ গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়। সাস্ট রিসার্চ এথিক্স বোর্ডের পরিচালক অধ্যাপক আকতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সঠিক তারিখ মনে নেই। আনুমানিক দুই বছর আগে এই বোর্ড গঠন করা হয়।’ অথচ ২০১৭ সালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, গবেষকেরা এথিক্স কমিটি থেকে গবেষণায় পশুর ওপর পরীক্ষা চালানোর অনুমতি নিয়েছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শাবিপ্রবির লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এটা অন্য জায়গা ইউজ করব। তাঁদের এসব অভিযোগ, আমি এটা ওইভাবে এগ্রি করিনি। ওনারা বলেনি যে, এটা প্রত্যাহার করতে হবে। সত্যি কথা, সেই সময় আমাদের ভার্সিটিতে এথিক্যাল কমিটি ছিল না। ওনারা আসলে এগুলো দেখে। এথিক্যাল বলতে অ্যানিমেল রিসার্চ। তাঁরা বলছে, আগের ছবির সঙ্গে এটার মিল হয়ে গেছে। এটা একই রকম প্রজেক্টের কাজ। ছবি আসলে এক না। ফেক–টেইক ব্যাপার আসলে গুরুত্বপূর্ণ না। তাঁরা আসলে বাড়িয়ে বলেছে। এগুলো তো হাই–ইম্প্যাক্ট পেপারের, ওনারা এই জিনিসগুলো নিয়েছেন। ওনারা এটা পাবলিশ করে ফেলেছেন, যেখানে এথিক্যাল কমিটির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ইউনিভার্সিটির ল্যাবে সব যন্ত্রপাতি রয়েছে। তবে এটা ঠিক, আমাদের যতটা ফ্যাসিলিটি থাকা দরকার, আমেরিকায় যে ধরনের ফ্যাসিলিটি আছে, আমাদের সেটা নেই। ওসব অপপ্রচার।’
গবেষণাপত্রটির সহ–লেখক শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গবেষণাটির পুরো কাজ আবদুল্লাহ আল মামুন স্যার করছেন। আমি এ রকম কিছু জানি না। ভালো রিসার্চ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম কুড়াচ্ছি। হয়তো এটা কারও সহ্য হচ্ছে না। এ জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব বানোয়াট অভিযোগ আনা হচ্ছে।’
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ড. মামুনের স্ত্রী ড. আমিনা খাতুনও বলেন, ‘গবেষণাপত্রটি প্রত্যাহারের ব্যাপারে কিছু জানি না।’ তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে রাবি ও ইবির দুই অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁদের তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি।
শাবিপ্রবির উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসাইনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্লেজারিজম (চৌর্যবৃত্তি) ধরার জন্য আমাদের সফটওয়্যার ডেভেলপ করা আছে। বিষয়টি প্রথম শুনলাম, কারা কী করেছে, জানি না। তবে কারও বিরুদ্ধে প্লেজারিজমের মতো কিছু প্রমাণিত হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। অন্যদের বিষয়ে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা নিবে।’

প্রকাশের ৬ বছর পর জালিয়াতির অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) তিন অধ্যাপকের গবেষণাপত্র প্রত্যাহার করেছে কোরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক জার্নাল বায়োলজিক্যাল মেডিকেল সেন্টার (বিএমসি)। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুজন অধ্যাপক এই গবেষণাপত্রের সহ–লেখক ছিলেন।
বিএমসির প্রত্যাহারপত্রে বলা হয়েছে, গবেষকেরা নিজেদের ২০১৫ সালের একটি প্রকাশনার তথ্য ব্যবহার ও পরীক্ষা–নিরীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্যসহ অন্যান্য গবেষণার উপাদান কমিয়ে–বাড়িয়ে ফলাফল তৈরি করেছেন। এ ছাড়া পশু গবেষণার জন্য নৈতিক অনুমোদন নেওয়ার তথ্যও মিথ্যা ছিল। কারণ, শাবিপ্রবিতে ২০২২ সাল পর্যন্ত এ ধরনের কোনো কমিটি ছিল না। এ ব্যাপারে গবেষকেরা জার্নালের প্রধান সম্পাদককে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। ফলে জার্নালের প্রধান সম্পাদক এই গবেষণা নিবন্ধে উপস্থাপিত তথ্যের ওপর আস্থা হারিয়েছেন। তাই গবেষণাটি তিনি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
তবে প্রধান গবেষক জার্নালের প্রধান সম্পাদকের এসব অভিযোগ মানতে নারাজ।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ‘ট্রাইড্যাক্স প্রোকাম্বেন্স ফ্ল্যাভোনয়েডস: অ্যা প্রসপেক্টিভ বায়োঅ্যাকটিভ কম্পাউন্ড ইনক্রিজড অস্টিওব্লাস্ট ডিফারেনসিয়েশন অ্যান্ড ট্র্যাবেকুলার বোন ফরমেশন’ শিরোনামে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি চলতি বছরের ৭ জুলাই প্রত্যাহার করেছে কোরিয়া–ভিত্তিক ওই আন্তর্জাতিক সাময়িকী।
ওই গবেষণাপত্রটির সঙ্গে জড়িত শিক্ষকেরা হলেন— শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন ড. আবদুল্লাহ আল মামুন, তাঁর স্ত্রী নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমিনা খাতুন, লাইফ সায়েন্স অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত পুষ্টি এবং খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাসিহুল আলম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলিম আল বারি।
গবেষণাপত্রে অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন প্রধান লেখক (ফার্স্ট অথর)। অধ্যাপক মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা নিজের প্রোফাইল থেকে প্রত্যাহার হওয়া গবেষণাপত্রের লিংক সরিয়ে নিয়েছেন। তবে বাকিদের নিজ নিজ প্রোফাইলে প্রত্যাহার হওয়া গবেষণাপত্রের লিংক আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা গেছে।
এখানেই শেষ নয়, এর আগে ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর একই জার্নালে ‘ট্রাইড্যাক্স প্রোকাম্বেন্স ফ্ল্যাভোনয়েডস প্রমোট অস্টিওব্লাস্ট ডিফারেনসিয়েশন অ্যান্ড ট্র্যাবেকুলার বোন ফরমেশন’ শিরোনামে আরেকটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন এই অধ্যাপকেরা। সেই গবেষণায় যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলোর অধিকাংশই আজও শাবিপ্রবির ল্যাবরেটরিতে নেই।
শাবিপ্রবির একাধিক অধ্যাপক আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ভুয়া গবেষণাপত্র ব্যবহার করে ড. আবদুল্লাহ আল মামুন অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ড. মামুনের স্ত্রী ড. আমিনার এই গবেষণার সঙ্গে দূরতম সম্পর্ক থাকার কথা নয়। ড. জাকির হোসেন মনগড়া ভুয়া ডেটা ব্যবহার করে গবেষণাপত্র তৈরি করতে পটু বলে অভিযোগ রয়েছে।
একদল সাবেক আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট ছাত্রের সমন্বয়ে মনগড়া ডেটা ব্যবহার করে গবেষণাপত্র তৈরি করে যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁর নিয়োগেও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। ড. জাকির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নিয়োগের সময় আবেদনপত্রের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে ভুয়া ব্যাংক ড্রাফট জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শাবিপ্রবি সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২ নভেম্বর গবেষণায় নৈতিকতা দেখভালের জন্য ‘সাস্ট রিসার্চ এথিক্স বোর্ড’ গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়। সাস্ট রিসার্চ এথিক্স বোর্ডের পরিচালক অধ্যাপক আকতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সঠিক তারিখ মনে নেই। আনুমানিক দুই বছর আগে এই বোর্ড গঠন করা হয়।’ অথচ ২০১৭ সালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, গবেষকেরা এথিক্স কমিটি থেকে গবেষণায় পশুর ওপর পরীক্ষা চালানোর অনুমতি নিয়েছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শাবিপ্রবির লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এটা অন্য জায়গা ইউজ করব। তাঁদের এসব অভিযোগ, আমি এটা ওইভাবে এগ্রি করিনি। ওনারা বলেনি যে, এটা প্রত্যাহার করতে হবে। সত্যি কথা, সেই সময় আমাদের ভার্সিটিতে এথিক্যাল কমিটি ছিল না। ওনারা আসলে এগুলো দেখে। এথিক্যাল বলতে অ্যানিমেল রিসার্চ। তাঁরা বলছে, আগের ছবির সঙ্গে এটার মিল হয়ে গেছে। এটা একই রকম প্রজেক্টের কাজ। ছবি আসলে এক না। ফেক–টেইক ব্যাপার আসলে গুরুত্বপূর্ণ না। তাঁরা আসলে বাড়িয়ে বলেছে। এগুলো তো হাই–ইম্প্যাক্ট পেপারের, ওনারা এই জিনিসগুলো নিয়েছেন। ওনারা এটা পাবলিশ করে ফেলেছেন, যেখানে এথিক্যাল কমিটির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ইউনিভার্সিটির ল্যাবে সব যন্ত্রপাতি রয়েছে। তবে এটা ঠিক, আমাদের যতটা ফ্যাসিলিটি থাকা দরকার, আমেরিকায় যে ধরনের ফ্যাসিলিটি আছে, আমাদের সেটা নেই। ওসব অপপ্রচার।’
গবেষণাপত্রটির সহ–লেখক শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গবেষণাটির পুরো কাজ আবদুল্লাহ আল মামুন স্যার করছেন। আমি এ রকম কিছু জানি না। ভালো রিসার্চ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম কুড়াচ্ছি। হয়তো এটা কারও সহ্য হচ্ছে না। এ জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব বানোয়াট অভিযোগ আনা হচ্ছে।’
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ড. মামুনের স্ত্রী ড. আমিনা খাতুনও বলেন, ‘গবেষণাপত্রটি প্রত্যাহারের ব্যাপারে কিছু জানি না।’ তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে রাবি ও ইবির দুই অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁদের তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি।
শাবিপ্রবির উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসাইনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্লেজারিজম (চৌর্যবৃত্তি) ধরার জন্য আমাদের সফটওয়্যার ডেভেলপ করা আছে। বিষয়টি প্রথম শুনলাম, কারা কী করেছে, জানি না। তবে কারও বিরুদ্ধে প্লেজারিজমের মতো কিছু প্রমাণিত হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। অন্যদের বিষয়ে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা নিবে।’
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

প্রকাশের ৬ বছর পর জালিয়াতির অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) তিন অধ্যাপকের গবেষণাপত্র প্রত্যাহার করেছে কোরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক জার্নাল বায়োলজিক্যাল মেডিকেল সেন্টার (বিএমসি)। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুজন অধ্যাপক এই গবেষণাপত্রের সহ–লেখক ছিলেন।
বিএমসির প্রত্যাহারপত্রে বলা হয়েছে, গবেষকেরা নিজেদের ২০১৫ সালের একটি প্রকাশনার তথ্য ব্যবহার ও পরীক্ষা–নিরীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্যসহ অন্যান্য গবেষণার উপাদান কমিয়ে–বাড়িয়ে ফলাফল তৈরি করেছেন। এ ছাড়া পশু গবেষণার জন্য নৈতিক অনুমোদন নেওয়ার তথ্যও মিথ্যা ছিল। কারণ, শাবিপ্রবিতে ২০২২ সাল পর্যন্ত এ ধরনের কোনো কমিটি ছিল না। এ ব্যাপারে গবেষকেরা জার্নালের প্রধান সম্পাদককে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। ফলে জার্নালের প্রধান সম্পাদক এই গবেষণা নিবন্ধে উপস্থাপিত তথ্যের ওপর আস্থা হারিয়েছেন। তাই গবেষণাটি তিনি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
তবে প্রধান গবেষক জার্নালের প্রধান সম্পাদকের এসব অভিযোগ মানতে নারাজ।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ‘ট্রাইড্যাক্স প্রোকাম্বেন্স ফ্ল্যাভোনয়েডস: অ্যা প্রসপেক্টিভ বায়োঅ্যাকটিভ কম্পাউন্ড ইনক্রিজড অস্টিওব্লাস্ট ডিফারেনসিয়েশন অ্যান্ড ট্র্যাবেকুলার বোন ফরমেশন’ শিরোনামে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি চলতি বছরের ৭ জুলাই প্রত্যাহার করেছে কোরিয়া–ভিত্তিক ওই আন্তর্জাতিক সাময়িকী।
ওই গবেষণাপত্রটির সঙ্গে জড়িত শিক্ষকেরা হলেন— শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন ড. আবদুল্লাহ আল মামুন, তাঁর স্ত্রী নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমিনা খাতুন, লাইফ সায়েন্স অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত পুষ্টি এবং খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাসিহুল আলম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলিম আল বারি।
গবেষণাপত্রে অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন প্রধান লেখক (ফার্স্ট অথর)। অধ্যাপক মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা নিজের প্রোফাইল থেকে প্রত্যাহার হওয়া গবেষণাপত্রের লিংক সরিয়ে নিয়েছেন। তবে বাকিদের নিজ নিজ প্রোফাইলে প্রত্যাহার হওয়া গবেষণাপত্রের লিংক আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা গেছে।
এখানেই শেষ নয়, এর আগে ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর একই জার্নালে ‘ট্রাইড্যাক্স প্রোকাম্বেন্স ফ্ল্যাভোনয়েডস প্রমোট অস্টিওব্লাস্ট ডিফারেনসিয়েশন অ্যান্ড ট্র্যাবেকুলার বোন ফরমেশন’ শিরোনামে আরেকটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন এই অধ্যাপকেরা। সেই গবেষণায় যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলোর অধিকাংশই আজও শাবিপ্রবির ল্যাবরেটরিতে নেই।
শাবিপ্রবির একাধিক অধ্যাপক আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ভুয়া গবেষণাপত্র ব্যবহার করে ড. আবদুল্লাহ আল মামুন অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ড. মামুনের স্ত্রী ড. আমিনার এই গবেষণার সঙ্গে দূরতম সম্পর্ক থাকার কথা নয়। ড. জাকির হোসেন মনগড়া ভুয়া ডেটা ব্যবহার করে গবেষণাপত্র তৈরি করতে পটু বলে অভিযোগ রয়েছে।
একদল সাবেক আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট ছাত্রের সমন্বয়ে মনগড়া ডেটা ব্যবহার করে গবেষণাপত্র তৈরি করে যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁর নিয়োগেও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। ড. জাকির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নিয়োগের সময় আবেদনপত্রের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে ভুয়া ব্যাংক ড্রাফট জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শাবিপ্রবি সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২ নভেম্বর গবেষণায় নৈতিকতা দেখভালের জন্য ‘সাস্ট রিসার্চ এথিক্স বোর্ড’ গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়। সাস্ট রিসার্চ এথিক্স বোর্ডের পরিচালক অধ্যাপক আকতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সঠিক তারিখ মনে নেই। আনুমানিক দুই বছর আগে এই বোর্ড গঠন করা হয়।’ অথচ ২০১৭ সালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, গবেষকেরা এথিক্স কমিটি থেকে গবেষণায় পশুর ওপর পরীক্ষা চালানোর অনুমতি নিয়েছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শাবিপ্রবির লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এটা অন্য জায়গা ইউজ করব। তাঁদের এসব অভিযোগ, আমি এটা ওইভাবে এগ্রি করিনি। ওনারা বলেনি যে, এটা প্রত্যাহার করতে হবে। সত্যি কথা, সেই সময় আমাদের ভার্সিটিতে এথিক্যাল কমিটি ছিল না। ওনারা আসলে এগুলো দেখে। এথিক্যাল বলতে অ্যানিমেল রিসার্চ। তাঁরা বলছে, আগের ছবির সঙ্গে এটার মিল হয়ে গেছে। এটা একই রকম প্রজেক্টের কাজ। ছবি আসলে এক না। ফেক–টেইক ব্যাপার আসলে গুরুত্বপূর্ণ না। তাঁরা আসলে বাড়িয়ে বলেছে। এগুলো তো হাই–ইম্প্যাক্ট পেপারের, ওনারা এই জিনিসগুলো নিয়েছেন। ওনারা এটা পাবলিশ করে ফেলেছেন, যেখানে এথিক্যাল কমিটির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ইউনিভার্সিটির ল্যাবে সব যন্ত্রপাতি রয়েছে। তবে এটা ঠিক, আমাদের যতটা ফ্যাসিলিটি থাকা দরকার, আমেরিকায় যে ধরনের ফ্যাসিলিটি আছে, আমাদের সেটা নেই। ওসব অপপ্রচার।’
গবেষণাপত্রটির সহ–লেখক শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গবেষণাটির পুরো কাজ আবদুল্লাহ আল মামুন স্যার করছেন। আমি এ রকম কিছু জানি না। ভালো রিসার্চ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম কুড়াচ্ছি। হয়তো এটা কারও সহ্য হচ্ছে না। এ জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব বানোয়াট অভিযোগ আনা হচ্ছে।’
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ড. মামুনের স্ত্রী ড. আমিনা খাতুনও বলেন, ‘গবেষণাপত্রটি প্রত্যাহারের ব্যাপারে কিছু জানি না।’ তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে রাবি ও ইবির দুই অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁদের তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি।
শাবিপ্রবির উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসাইনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্লেজারিজম (চৌর্যবৃত্তি) ধরার জন্য আমাদের সফটওয়্যার ডেভেলপ করা আছে। বিষয়টি প্রথম শুনলাম, কারা কী করেছে, জানি না। তবে কারও বিরুদ্ধে প্লেজারিজমের মতো কিছু প্রমাণিত হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। অন্যদের বিষয়ে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা নিবে।’

প্রকাশের ৬ বছর পর জালিয়াতির অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) তিন অধ্যাপকের গবেষণাপত্র প্রত্যাহার করেছে কোরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক জার্নাল বায়োলজিক্যাল মেডিকেল সেন্টার (বিএমসি)। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুজন অধ্যাপক এই গবেষণাপত্রের সহ–লেখক ছিলেন।
বিএমসির প্রত্যাহারপত্রে বলা হয়েছে, গবেষকেরা নিজেদের ২০১৫ সালের একটি প্রকাশনার তথ্য ব্যবহার ও পরীক্ষা–নিরীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্যসহ অন্যান্য গবেষণার উপাদান কমিয়ে–বাড়িয়ে ফলাফল তৈরি করেছেন। এ ছাড়া পশু গবেষণার জন্য নৈতিক অনুমোদন নেওয়ার তথ্যও মিথ্যা ছিল। কারণ, শাবিপ্রবিতে ২০২২ সাল পর্যন্ত এ ধরনের কোনো কমিটি ছিল না। এ ব্যাপারে গবেষকেরা জার্নালের প্রধান সম্পাদককে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। ফলে জার্নালের প্রধান সম্পাদক এই গবেষণা নিবন্ধে উপস্থাপিত তথ্যের ওপর আস্থা হারিয়েছেন। তাই গবেষণাটি তিনি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
তবে প্রধান গবেষক জার্নালের প্রধান সম্পাদকের এসব অভিযোগ মানতে নারাজ।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ‘ট্রাইড্যাক্স প্রোকাম্বেন্স ফ্ল্যাভোনয়েডস: অ্যা প্রসপেক্টিভ বায়োঅ্যাকটিভ কম্পাউন্ড ইনক্রিজড অস্টিওব্লাস্ট ডিফারেনসিয়েশন অ্যান্ড ট্র্যাবেকুলার বোন ফরমেশন’ শিরোনামে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি চলতি বছরের ৭ জুলাই প্রত্যাহার করেছে কোরিয়া–ভিত্তিক ওই আন্তর্জাতিক সাময়িকী।
ওই গবেষণাপত্রটির সঙ্গে জড়িত শিক্ষকেরা হলেন— শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন ড. আবদুল্লাহ আল মামুন, তাঁর স্ত্রী নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমিনা খাতুন, লাইফ সায়েন্স অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত পুষ্টি এবং খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাসিহুল আলম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলিম আল বারি।
গবেষণাপত্রে অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন প্রধান লেখক (ফার্স্ট অথর)। অধ্যাপক মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা নিজের প্রোফাইল থেকে প্রত্যাহার হওয়া গবেষণাপত্রের লিংক সরিয়ে নিয়েছেন। তবে বাকিদের নিজ নিজ প্রোফাইলে প্রত্যাহার হওয়া গবেষণাপত্রের লিংক আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা গেছে।
এখানেই শেষ নয়, এর আগে ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর একই জার্নালে ‘ট্রাইড্যাক্স প্রোকাম্বেন্স ফ্ল্যাভোনয়েডস প্রমোট অস্টিওব্লাস্ট ডিফারেনসিয়েশন অ্যান্ড ট্র্যাবেকুলার বোন ফরমেশন’ শিরোনামে আরেকটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন এই অধ্যাপকেরা। সেই গবেষণায় যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলোর অধিকাংশই আজও শাবিপ্রবির ল্যাবরেটরিতে নেই।
শাবিপ্রবির একাধিক অধ্যাপক আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ভুয়া গবেষণাপত্র ব্যবহার করে ড. আবদুল্লাহ আল মামুন অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ড. মামুনের স্ত্রী ড. আমিনার এই গবেষণার সঙ্গে দূরতম সম্পর্ক থাকার কথা নয়। ড. জাকির হোসেন মনগড়া ভুয়া ডেটা ব্যবহার করে গবেষণাপত্র তৈরি করতে পটু বলে অভিযোগ রয়েছে।
একদল সাবেক আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট ছাত্রের সমন্বয়ে মনগড়া ডেটা ব্যবহার করে গবেষণাপত্র তৈরি করে যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁর নিয়োগেও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। ড. জাকির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নিয়োগের সময় আবেদনপত্রের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে ভুয়া ব্যাংক ড্রাফট জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শাবিপ্রবি সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২ নভেম্বর গবেষণায় নৈতিকতা দেখভালের জন্য ‘সাস্ট রিসার্চ এথিক্স বোর্ড’ গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়। সাস্ট রিসার্চ এথিক্স বোর্ডের পরিচালক অধ্যাপক আকতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সঠিক তারিখ মনে নেই। আনুমানিক দুই বছর আগে এই বোর্ড গঠন করা হয়।’ অথচ ২০১৭ সালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, গবেষকেরা এথিক্স কমিটি থেকে গবেষণায় পশুর ওপর পরীক্ষা চালানোর অনুমতি নিয়েছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শাবিপ্রবির লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এটা অন্য জায়গা ইউজ করব। তাঁদের এসব অভিযোগ, আমি এটা ওইভাবে এগ্রি করিনি। ওনারা বলেনি যে, এটা প্রত্যাহার করতে হবে। সত্যি কথা, সেই সময় আমাদের ভার্সিটিতে এথিক্যাল কমিটি ছিল না। ওনারা আসলে এগুলো দেখে। এথিক্যাল বলতে অ্যানিমেল রিসার্চ। তাঁরা বলছে, আগের ছবির সঙ্গে এটার মিল হয়ে গেছে। এটা একই রকম প্রজেক্টের কাজ। ছবি আসলে এক না। ফেক–টেইক ব্যাপার আসলে গুরুত্বপূর্ণ না। তাঁরা আসলে বাড়িয়ে বলেছে। এগুলো তো হাই–ইম্প্যাক্ট পেপারের, ওনারা এই জিনিসগুলো নিয়েছেন। ওনারা এটা পাবলিশ করে ফেলেছেন, যেখানে এথিক্যাল কমিটির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ইউনিভার্সিটির ল্যাবে সব যন্ত্রপাতি রয়েছে। তবে এটা ঠিক, আমাদের যতটা ফ্যাসিলিটি থাকা দরকার, আমেরিকায় যে ধরনের ফ্যাসিলিটি আছে, আমাদের সেটা নেই। ওসব অপপ্রচার।’
গবেষণাপত্রটির সহ–লেখক শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গবেষণাটির পুরো কাজ আবদুল্লাহ আল মামুন স্যার করছেন। আমি এ রকম কিছু জানি না। ভালো রিসার্চ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম কুড়াচ্ছি। হয়তো এটা কারও সহ্য হচ্ছে না। এ জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব বানোয়াট অভিযোগ আনা হচ্ছে।’
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ড. মামুনের স্ত্রী ড. আমিনা খাতুনও বলেন, ‘গবেষণাপত্রটি প্রত্যাহারের ব্যাপারে কিছু জানি না।’ তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে রাবি ও ইবির দুই অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁদের তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি।
শাবিপ্রবির উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসাইনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্লেজারিজম (চৌর্যবৃত্তি) ধরার জন্য আমাদের সফটওয়্যার ডেভেলপ করা আছে। বিষয়টি প্রথম শুনলাম, কারা কী করেছে, জানি না। তবে কারও বিরুদ্ধে প্লেজারিজমের মতো কিছু প্রমাণিত হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। অন্যদের বিষয়ে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা নিবে।’

বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৮ মিনিট আগে
পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
৭ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
৯ ঘণ্টা আগে
কালো ফ্রেমে বাঁধাই করা একটি জামা। হলুদ জমিনের মাঝে লাল রং। জামাটি রেহানা নামের এক দুধের শিশুর। একাত্তরের যুদ্ধদিনে তার বয়স ছিল মাত্র দুই মাস। রেহানার বাবা আবদুস সালাম খান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। এই অপরাধে পাক সেনারা বাড়িতে হানা দিয়ে শিশু রেহানাকে নির্মমভাবে আছাড় মেরে এবং বুটের তলায় পিষে হত্যা করে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

মহান বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। এরপর রাষ্ট্রপতি সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি বের হয়ে যাওয়ার পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ৬টা ৫৬ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও সরকারপ্রধান স্মৃতিসৌধে উপস্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য, কূটনীতিক, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আজ ১৬ ডিসেম্বর। ৫৫তম মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধের পর এই দিনেই আমরা চূড়ান্ত বিজয় লাভ করেছি।

মহান বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। এরপর রাষ্ট্রপতি সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি বের হয়ে যাওয়ার পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ৬টা ৫৬ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও সরকারপ্রধান স্মৃতিসৌধে উপস্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য, কূটনীতিক, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আজ ১৬ ডিসেম্বর। ৫৫তম মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধের পর এই দিনেই আমরা চূড়ান্ত বিজয় লাভ করেছি।

প্রকাশের ৬ বছর পর জালিয়াতির অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) তিন অধ্যাপকের গবেষণাপত্র প্রত্যাহার করেছে কোরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক জার্নাল বায়োলজিক্যাল মেডিকেল সেন্টার (বিএমসি)। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুজন অধ্যাপক এই গবেষণাপ
১৩ নভেম্বর ২০২৩
পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
৭ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
৯ ঘণ্টা আগে
কালো ফ্রেমে বাঁধাই করা একটি জামা। হলুদ জমিনের মাঝে লাল রং। জামাটি রেহানা নামের এক দুধের শিশুর। একাত্তরের যুদ্ধদিনে তার বয়স ছিল মাত্র দুই মাস। রেহানার বাবা আবদুস সালাম খান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। এই অপরাধে পাক সেনারা বাড়িতে হানা দিয়ে শিশু রেহানাকে নির্মমভাবে আছাড় মেরে এবং বুটের তলায় পিষে হত্যা করে।
৯ ঘণ্টা আগেসৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা

পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের নথিসহ মোট ১ হাজার ১০০টির মতো সম্পদের নথি রয়েছে তাদের কাছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি এবং তাঁর নামে থাকা কোম্পানি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স। আর এসব সম্পদ রয়েছে প্রায় ১০টি দেশে। সম্পদগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ হাজার কোটি টাকা।
বিএফআইইউ ও দুদকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে যে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, তার বেশির ভাগই যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে ৩৮১টি সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। এর আগে একই দেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নামে ৩৪৩টি সম্পদের তথ্য পায় দুদক। সব মিলিয়ে শুধু যুক্তরাজ্যেই তাঁর ৭২৪টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেল।
এ ছাড়া, কম্বোডিয়ায় ১১১টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৮ মার্কিন ডলার। মালয়েশিয়ায় ৪৭টি সম্পদ পাওয়া গেছে, যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ২৪২ ডলার। ফিলিপাইনে ২টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯০ পেসো, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ কোটি টাকা। ভারতের হরিয়ানা, উত্তর চব্বিশপরগনাসহ দেশটিতে মোট ১১টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৪ ডলার।
সাইফুজ্জামান জাবেদের নামে থাইল্যান্ডে ২৪টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৩৬ কোটি ৩১ লাখ ২৪ হাজার ১৮৯ থাই বাত। যুক্তরাষ্ট্রে ৪৪টি সম্পদ ও ২টি কোম্পানির লাইসেন্স রয়েছে। ভিয়েতনামে ৩০টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুরে সম্পদ থাকার প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ। সুইজারল্যান্ডেও তাঁর সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য মিলেছে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নেতৃত্বে থাকা দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা তাঁর যে অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করছি, তার মধ্যে এখন পর্যন্ত সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নামে এক হাজারের বেশি সম্পদ থাকার নথি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি নথিতেই ভিয়েতনামে তাঁর ৩০টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা বলেন, সাইফুজ্জামান জাবেদ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাচারের মাধ্যমে সম্পদ তৈরি করেন। অবৈধ অভিবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের টাকা তিনি তাঁর সেসব দেশের এজেন্ট দিয়ে সংগ্রহ করেছেন, পরে দেশে প্রবাসীদের স্বজনদের কাছে টাকা পরিশোধ করেছেন। তিনি জানান, জাবেদ তাঁর পাচারের অর্থ দিয়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্যসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কোম্পানি ও ব্যবসা গড়ে তোলেন। পরে সেগুলো যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেন।
পাচারের অর্থ দেশে আনার বিষয়ে কথা বলেছেন দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পাচার করা অর্থ ফেরত আনার জন্য যথাযথ আইনিপ্রক্রিয়া শেষ করে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স পাঠাতে হবে। যদিও যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়, তাদের সঙ্গে চুক্তি থাকলে এটি সহজ হয়। আমাদের এমন চুক্তি নেই বললেই চলে। এ কারণে পাচারের অর্থ ফেরত আনা বেশ কঠিন।’
মঈদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি বলব, প্রক্রিয়া যত কঠিনই হোক, দুদককে সঠিক প্রক্রিয়ায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের অর্থগুলো পাচার হয়ে যেসব দেশে যায়, সেসব দেশ দুর্নীতির সূচকে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে। কিন্তু পাচারের অর্থ যখন তাদের দেশে যায়, তখন তারা তা ফেরতে সহযোগিতা না করে উল্টো সুরক্ষার ব্যবস্থা করে রেখেছে। এটা তাদের দ্বৈত নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।’
দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাজ্যে জাবেদ ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা সম্পদ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে দুদক। এ লক্ষ্যে সে দেশের সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে দুদক।

পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের নথিসহ মোট ১ হাজার ১০০টির মতো সম্পদের নথি রয়েছে তাদের কাছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি এবং তাঁর নামে থাকা কোম্পানি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স। আর এসব সম্পদ রয়েছে প্রায় ১০টি দেশে। সম্পদগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ হাজার কোটি টাকা।
বিএফআইইউ ও দুদকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে যে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, তার বেশির ভাগই যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে ৩৮১টি সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। এর আগে একই দেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নামে ৩৪৩টি সম্পদের তথ্য পায় দুদক। সব মিলিয়ে শুধু যুক্তরাজ্যেই তাঁর ৭২৪টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেল।
এ ছাড়া, কম্বোডিয়ায় ১১১টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৮ মার্কিন ডলার। মালয়েশিয়ায় ৪৭টি সম্পদ পাওয়া গেছে, যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ২৪২ ডলার। ফিলিপাইনে ২টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯০ পেসো, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ কোটি টাকা। ভারতের হরিয়ানা, উত্তর চব্বিশপরগনাসহ দেশটিতে মোট ১১টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৪ ডলার।
সাইফুজ্জামান জাবেদের নামে থাইল্যান্ডে ২৪টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৩৬ কোটি ৩১ লাখ ২৪ হাজার ১৮৯ থাই বাত। যুক্তরাষ্ট্রে ৪৪টি সম্পদ ও ২টি কোম্পানির লাইসেন্স রয়েছে। ভিয়েতনামে ৩০টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুরে সম্পদ থাকার প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ। সুইজারল্যান্ডেও তাঁর সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য মিলেছে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নেতৃত্বে থাকা দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা তাঁর যে অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করছি, তার মধ্যে এখন পর্যন্ত সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নামে এক হাজারের বেশি সম্পদ থাকার নথি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি নথিতেই ভিয়েতনামে তাঁর ৩০টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা বলেন, সাইফুজ্জামান জাবেদ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাচারের মাধ্যমে সম্পদ তৈরি করেন। অবৈধ অভিবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের টাকা তিনি তাঁর সেসব দেশের এজেন্ট দিয়ে সংগ্রহ করেছেন, পরে দেশে প্রবাসীদের স্বজনদের কাছে টাকা পরিশোধ করেছেন। তিনি জানান, জাবেদ তাঁর পাচারের অর্থ দিয়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্যসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কোম্পানি ও ব্যবসা গড়ে তোলেন। পরে সেগুলো যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেন।
পাচারের অর্থ দেশে আনার বিষয়ে কথা বলেছেন দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পাচার করা অর্থ ফেরত আনার জন্য যথাযথ আইনিপ্রক্রিয়া শেষ করে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স পাঠাতে হবে। যদিও যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়, তাদের সঙ্গে চুক্তি থাকলে এটি সহজ হয়। আমাদের এমন চুক্তি নেই বললেই চলে। এ কারণে পাচারের অর্থ ফেরত আনা বেশ কঠিন।’
মঈদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি বলব, প্রক্রিয়া যত কঠিনই হোক, দুদককে সঠিক প্রক্রিয়ায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের অর্থগুলো পাচার হয়ে যেসব দেশে যায়, সেসব দেশ দুর্নীতির সূচকে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে। কিন্তু পাচারের অর্থ যখন তাদের দেশে যায়, তখন তারা তা ফেরতে সহযোগিতা না করে উল্টো সুরক্ষার ব্যবস্থা করে রেখেছে। এটা তাদের দ্বৈত নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।’
দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাজ্যে জাবেদ ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা সম্পদ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে দুদক। এ লক্ষ্যে সে দেশের সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে দুদক।

প্রকাশের ৬ বছর পর জালিয়াতির অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) তিন অধ্যাপকের গবেষণাপত্র প্রত্যাহার করেছে কোরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক জার্নাল বায়োলজিক্যাল মেডিকেল সেন্টার (বিএমসি)। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুজন অধ্যাপক এই গবেষণাপ
১৩ নভেম্বর ২০২৩
বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৮ মিনিট আগে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
৯ ঘণ্টা আগে
কালো ফ্রেমে বাঁধাই করা একটি জামা। হলুদ জমিনের মাঝে লাল রং। জামাটি রেহানা নামের এক দুধের শিশুর। একাত্তরের যুদ্ধদিনে তার বয়স ছিল মাত্র দুই মাস। রেহানার বাবা আবদুস সালাম খান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। এই অপরাধে পাক সেনারা বাড়িতে হানা দিয়ে শিশু রেহানাকে নির্মমভাবে আছাড় মেরে এবং বুটের তলায় পিষে হত্যা করে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
১৫ ডিসেম্বর ছিল বাংলাদেশে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর সদর্প বিচরণের শেষ দিন। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর চূড়ান্ত অভিযানে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই কার্যত ঢাকায় পাকিস্তানি দুর্গের পতনের ক্ষণগণনা চলছিল। উপায় না দেখে পাকিস্তানি ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান আবদুল্লাহ খান নিয়াজি শীর্ষ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ১৫ তারিখ আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের দলিল এবং সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার জন্য ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল জ্যাকব ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকা এসে পৌঁছান। বিকেল ৪টার আগেই বাংলাদেশ নিয়মিত বাহিনীর দুটি ইউনিটসহ মোট চার ব্যাটালিয়ন সেনা ঢাকায় প্রবেশ করে। সঙ্গে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকার এত দিনের জনবিরল সড়কগুলো ক্রমেই জনাকীর্ণ হয়ে উঠতে শুরু করে। সবার মুখে একাত্তরের পরিচিতি রণধ্বনি’ জয় বাংলা’।
কারফিউ জারি থাকলেও মানুষ তার পরোয়া না করে রাস্তায় বেরিয়ে উল্লাস করতে থাকেন। পাকিস্তানি বাহিনীর নয় মাসের গণহত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞের পর মুক্তির আনন্দে তাঁরা তখন আত্মহারা। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর কয়েক লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে তাঁরা পেয়েছেন নতুন দেশ—বাংলাদেশ। বিজয়ের আনন্দ, স্বজন হারানোর শোক আর অজানা আগামীর প্রত্যাশায় সবার মনে এক বিচিত্র অনুভূতি। এর মধ্যেও ঘটে কিছু দুঃখজনক ঘটনা। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পলায়নপর কিছু পাকিস্তানি সেনা ও বিহারি এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে অনেক বাঙালিকে হতাহত করে।
বিকেল ৪টায় বাংলাদেশের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খোন্দকার, ভারত-বাংলাদেশ যুগ্ম কমান্ডের অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ও অন্য সামরিক কর্মকর্তারা বিমানে ঢাকা অবতরণ করেন। এর কিছু সময় পরই ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (এখনকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল উৎফুল্ল জনতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত মিলিত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানি সমরাধিনায়ক লে. জেনারেল নিয়াজি। পাকিস্তানি বাহিনীর দখল থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হলো বাংলাদেশ। সগর্বে জায়গা করে নিল বিশ্বের মানচিত্রে।
ঢাকায় ১৬ ডিসেম্বরই ধীরে ধীরে সবাই জানতে পারেন আগের কয়েক দিনে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, লেখকসহ বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর। নিয়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানি সেনাদের এদেশীয় সহযোগীরা তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল; কিন্তু কেউই আর ফিরে আসেননি। দেশের এই মেধাবী, কৃতী সন্তানদের পরিণতির কথা ভেবে জনমনে ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ। পরদিনই মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমির বীভৎস দৃশ্যের খবর। রাজধানীর রায়েরবাজার ও মিরপুরের বিভিন্ন জায়গার অনেক বধ্যভূমিতে পাওয়া যায় নির্যাতিত মানুষের ক্ষতবিক্ষত দেহ। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের অনেকের হাত বা চোখ বাঁধা, বেয়নেট বা গুলিতে বিদ্ধ লাশের খোঁজ মেলে রায়েরবাজারে। বিজয়ের আনন্দের মধ্যে এই শোকের খবর, বধ্যভূমির ভয়াবহ দৃশ্য স্তম্ভিত করে মানুষকে।
এদিকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই কাজে লেগে যায় বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার। ১৬ ডিসেম্বরই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত প্রবাসী সরকার সদর দপ্তর থেকে গোটা দেশে বেসামরিক প্রশাসন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে। নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসকদের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলি পাঠানো শুরু হয়। যুদ্ধ শেষ হওয়ায় শুরু হয় পুরো সরকারের দেশে ফেরার প্রক্রিয়াও। ৭ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত হওয়ার পর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই উনিশটি জেলার জন্য জেলা প্রশাসকদের মনোনয়ন ও নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছিল। শুরু হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের নতুন কঠিন যুদ্ধ।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
১৫ ডিসেম্বর ছিল বাংলাদেশে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর সদর্প বিচরণের শেষ দিন। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর চূড়ান্ত অভিযানে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই কার্যত ঢাকায় পাকিস্তানি দুর্গের পতনের ক্ষণগণনা চলছিল। উপায় না দেখে পাকিস্তানি ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান আবদুল্লাহ খান নিয়াজি শীর্ষ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ১৫ তারিখ আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের দলিল এবং সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার জন্য ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল জ্যাকব ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকা এসে পৌঁছান। বিকেল ৪টার আগেই বাংলাদেশ নিয়মিত বাহিনীর দুটি ইউনিটসহ মোট চার ব্যাটালিয়ন সেনা ঢাকায় প্রবেশ করে। সঙ্গে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকার এত দিনের জনবিরল সড়কগুলো ক্রমেই জনাকীর্ণ হয়ে উঠতে শুরু করে। সবার মুখে একাত্তরের পরিচিতি রণধ্বনি’ জয় বাংলা’।
কারফিউ জারি থাকলেও মানুষ তার পরোয়া না করে রাস্তায় বেরিয়ে উল্লাস করতে থাকেন। পাকিস্তানি বাহিনীর নয় মাসের গণহত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞের পর মুক্তির আনন্দে তাঁরা তখন আত্মহারা। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর কয়েক লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে তাঁরা পেয়েছেন নতুন দেশ—বাংলাদেশ। বিজয়ের আনন্দ, স্বজন হারানোর শোক আর অজানা আগামীর প্রত্যাশায় সবার মনে এক বিচিত্র অনুভূতি। এর মধ্যেও ঘটে কিছু দুঃখজনক ঘটনা। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পলায়নপর কিছু পাকিস্তানি সেনা ও বিহারি এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে অনেক বাঙালিকে হতাহত করে।
বিকেল ৪টায় বাংলাদেশের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খোন্দকার, ভারত-বাংলাদেশ যুগ্ম কমান্ডের অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ও অন্য সামরিক কর্মকর্তারা বিমানে ঢাকা অবতরণ করেন। এর কিছু সময় পরই ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (এখনকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল উৎফুল্ল জনতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত মিলিত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানি সমরাধিনায়ক লে. জেনারেল নিয়াজি। পাকিস্তানি বাহিনীর দখল থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হলো বাংলাদেশ। সগর্বে জায়গা করে নিল বিশ্বের মানচিত্রে।
ঢাকায় ১৬ ডিসেম্বরই ধীরে ধীরে সবাই জানতে পারেন আগের কয়েক দিনে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, লেখকসহ বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর। নিয়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানি সেনাদের এদেশীয় সহযোগীরা তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল; কিন্তু কেউই আর ফিরে আসেননি। দেশের এই মেধাবী, কৃতী সন্তানদের পরিণতির কথা ভেবে জনমনে ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ। পরদিনই মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমির বীভৎস দৃশ্যের খবর। রাজধানীর রায়েরবাজার ও মিরপুরের বিভিন্ন জায়গার অনেক বধ্যভূমিতে পাওয়া যায় নির্যাতিত মানুষের ক্ষতবিক্ষত দেহ। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের অনেকের হাত বা চোখ বাঁধা, বেয়নেট বা গুলিতে বিদ্ধ লাশের খোঁজ মেলে রায়েরবাজারে। বিজয়ের আনন্দের মধ্যে এই শোকের খবর, বধ্যভূমির ভয়াবহ দৃশ্য স্তম্ভিত করে মানুষকে।
এদিকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই কাজে লেগে যায় বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার। ১৬ ডিসেম্বরই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত প্রবাসী সরকার সদর দপ্তর থেকে গোটা দেশে বেসামরিক প্রশাসন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে। নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসকদের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলি পাঠানো শুরু হয়। যুদ্ধ শেষ হওয়ায় শুরু হয় পুরো সরকারের দেশে ফেরার প্রক্রিয়াও। ৭ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত হওয়ার পর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই উনিশটি জেলার জন্য জেলা প্রশাসকদের মনোনয়ন ও নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছিল। শুরু হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের নতুন কঠিন যুদ্ধ।

প্রকাশের ৬ বছর পর জালিয়াতির অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) তিন অধ্যাপকের গবেষণাপত্র প্রত্যাহার করেছে কোরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক জার্নাল বায়োলজিক্যাল মেডিকেল সেন্টার (বিএমসি)। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুজন অধ্যাপক এই গবেষণাপ
১৩ নভেম্বর ২০২৩
বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৮ মিনিট আগে
পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
৭ ঘণ্টা আগে
কালো ফ্রেমে বাঁধাই করা একটি জামা। হলুদ জমিনের মাঝে লাল রং। জামাটি রেহানা নামের এক দুধের শিশুর। একাত্তরের যুদ্ধদিনে তার বয়স ছিল মাত্র দুই মাস। রেহানার বাবা আবদুস সালাম খান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। এই অপরাধে পাক সেনারা বাড়িতে হানা দিয়ে শিশু রেহানাকে নির্মমভাবে আছাড় মেরে এবং বুটের তলায় পিষে হত্যা করে।
৯ ঘণ্টা আগেশরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

কালো ফ্রেমে বাঁধাই করা একটি জামা। হলুদ জমিনের মাঝে লাল রং। জামাটি রেহানা নামের এক দুধের শিশুর। একাত্তরের যুদ্ধদিনে তার বয়স ছিল মাত্র দুই মাস। রেহানার বাবা আবদুস সালাম খান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। এই অপরাধে পাক সেনারা বাড়িতে হানা দিয়ে শিশু রেহানাকে নির্মমভাবে আছাড় মেরে এবং বুটের তলায় পিষে হত্যা করে। একটি ছবিও না থাকায় মেয়ের চিহ্ন বলতে বাবার কাছে রয়ে যায় এ জামা।
বিজয়ের ভোর আনতে রেহানার মতো ঝরেছে কত প্রাণ। একাত্তরকে ঘিরে আছে কত সাহস, বীরত্ব আর আত্মত্যাগের কাহিনি। তারই বেশ কিছু নমুনা রয়েছে আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের গ্যালারিগুলোতে। একে একে চারটি গ্যালারি পেরিয়ে এলে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো যেন চোখের সামনে তাজা হয়ে ফিরে আসে।
খুলনার সেনহাটিতে বাসা ছিল মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম খানের। যুদ্ধের শুরুর দিকে, ৩০ এপ্রিল পাক সেনারা স্থানীয় দালালদের সহায়তায় তাঁর বাসা ঘেরাও করে। সালামকে না পেয়ে তারা শিশু রেহানাকে হত্যা করে। রাতের আঁধারে বাবা গোপনে বাড়িতে এসে লাশটি ধুয়েমুছে রূপসা নদীতে ভাসিয়ে দেন। স্বাধীনতার পরে মেয়ের জামাটিই হয়ে ওঠে তাঁর বুকের ধন। জামাটি তিনি ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখেন দীর্ঘ ২৫ বছর। একপর্যায়ে তাঁর কাছ থেকে এটি সংগ্রহ করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কার্যত এক মহাকাব্যিক ঘটনা। এ রকম কত ঘটনাই না তখন ঘটেছে। দেশের প্রায় সব মানুষ যার যার সাধ্যমতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তির লড়াইয়ে। কেউ রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে লড়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে, খাবার খাইয়ে, শত্রুর গতিবিধি জানিয়ে কিংবা উদ্দীপনামূলক গান শুনিয়ে যে যেভাবে পেরেছেন সহায়তা করেছেন।
গ্যালারি-২-এ ঢুকতেই চোখে পড়বে একটা লুবিটেল-২ ক্যামেরা। আলোকচিত্রী শুকুর মিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ছবি তুলেছিলেন এই ক্যামেরা দিয়ে। একটু এগোলেই ভয় ধরানো এক অন্ধকার প্রকোষ্ঠে মৃদু আলো জ্বলছে। ওপরে লেখা, ‘অপারেশন সার্চলাইট: গণহত্যার নীল নকশা ও পঁচিশ মার্চের কালরাত্রি’।
পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা শুরুর সেই ভয়ানক রাতের কথা ডায়েরিতে লিখেছিলেন কবি, নারী অধিকার আন্দোলনের নেত্রী সুফিয়া কামাল। আরও অনেকের মতো নাখালপাড়ার বাড়িতে বসে নিজের অভিজ্ঞতা লিখেছিল তখনকার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী স্বাতী চোধুরী। সুফিয়া কামালের ডায়েরি আর স্বাতীর স্কুলের সেই খাতা আছে এখানে।
সবুজের মাঝে লাল বৃত্ত আর তার ভেতরে বাংলাদেশের হলুদ মানচিত্র। প্রথম নকশার বাংলাদেশের এই জাতীয় পতাকা ৭ মার্চ উড়েছিল লে. সিকান্দার আলীর বাড়িতে। পতাকাটি আছে জাদুঘরের এই গ্যালারিতে। মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান অসামান্য। ঢাকার রাজপথে ডামি রাইফেল হাতে নারীদের মিছিলের আলোকচিত্রও আছে।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন। ২৫ মার্চ রাতের প্রথম শহীদদের অন্যতম তিনি। তাঁর ব্যবহৃত বাইনোকুলার আর পোশাক রাখা হয়েছে জাদুঘরে। দেখা যাবে শহীদ অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, গোবিন্দ চন্দ্র দেব, আব্দুল মুকতাদির, দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা, কবি মেহেরুন্নেসাসহ অনেকের স্মৃতিবিজড়িত ব্যবহৃত জিনিস। রয়েছে জাতীয় চার নেতার ব্যবহৃত কোট, লাইটার, চশমা ইত্যাদি। গ্যালারি-২-এ আরও দেখা মিলবে একটি টাইপরাইটারের। জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের ওপর চালানো গণহত্যা বন্ধের আবেদন করা হয়েছিল এই টাইপরাইটারে লিখে।
গ্যালারি-৩-এ বিশাল আলোকচিত্রে একাত্তরের শরণার্থী শিবিরের কষ্টকর জীবনের দৃশ্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ কয়েকটি রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছিল ১ কোটি মানুষ। এখানে আছে শরণার্থীদের নিয়ে করা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিকস, টাইম, নিউইয়র্ক টাইমস, ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনের আলোকচিত্র। আছে সে সময়ের সাংস্কৃতিক দলের কার্যক্রমের বিভিন্ন ছবি।
এই গ্যালারিতে দেখা মিলবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের বিভিন্ন চিত্র, একুশের গানের স্রষ্টা শহীদ আলতাফ মাহমুদের ইলেকট্রিক শেভিং রেজার। একটি জায়গায় দেখা যায়, একটি বাড়ির জানালা। জানালার অন্যপাশে একটি ছবিতে অন্ধকারে অস্ত্র হাতে মুক্তিসেনা। ছবিটি এমনভাবে রাখা হয়েছে, দেখে মনে হবে, সত্যিই যেন জানালার ওপারে অস্ত্র হাতে মুক্তিযোদ্ধা। গ্যালারি-৩-এর শেষ দিকে চোখ আটকে যাবে একটি কালো রঙের গাড়িতে। শহীদ ডা. ফজলে রাব্বির এই গাড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করতে ব্যবহৃত হতো। ১৫ ডিসেম্বর আল-বদরের সদস্যরা তাঁকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল।
জাদুঘরের নারী নির্যাতন অংশে চোখ বুলালে শিউরে উঠতে হয়। সিলেটের পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পের দেয়ালে আঁকা ছবি রাখা হয়েছে এখানে। বাঙালি মেয়েদের নির্যাতন শিবিরের দেয়াল বুঝিয়ে দেয় কী ভয়াবহ নির্যাতন ঘটেছিল সেখানে।
একটি ছবিতে দেখা মেলে দুই কিশোরীর। তারা ঝুড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছে কচুরিপানা। সেই কচুরিপানার আড়ালে ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেনেড।
গ্যালারি-৪-এ দেখা মেলে বাঙালির বিজয়ের স্মৃতির নমুনা। দেখা মেলে মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধের আলোকচিত্র ও স্মৃতিবিজড়িত বস্তু। এর মধ্যে রয়েছে বিলোনিয়া, পরশুরাম, চিথলিয়া, ফুলগাজী, ফেনী, মন্দভাগ, কসবা-সালদা নদী, নারায়ণগঞ্জ-কামরাঙ্গীরচর, শেরপুর, কামালপুর যুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন। ঢাকা শহরে ট্রাকে চড়ে মানুষের বিজয় উল্লাস।
গ্যালারি-১-এ আছে একাত্তর পর্যন্ত এ ভূখণ্ডের বিভিন্ন শাসনামলের ইতিহাস। বাকি তিনটি গ্যালারিজুড়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক। বিজয় দিবসের ঠিক আগের দিনে জাদুঘরে দেখা গেল সপরিবারে আসা মোহা. আসলাম উদ্দিনকে। তিনি বললেন, ‘বিজয়ের মাসে হঠাৎ করেই জাদুঘরে ঘুরতে আসা। এসে ঘুরতে ঘুরতে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঘটনার যেন সাক্ষী হয়ে গেলাম।’
দেখতে দেখতে বিকেল গড়িয়ে যায়। পশ্চিমে হেলে পড়া সূর্যের ম্লান আলো পড়ছে জাদুঘরের সামনে টাঙানো লাল-সবুজ পতাকায়। রাত পেরোলেই দেখা দেবে নতুন সূর্য। সে সূর্য মুক্তির, বিজয়ের।

কালো ফ্রেমে বাঁধাই করা একটি জামা। হলুদ জমিনের মাঝে লাল রং। জামাটি রেহানা নামের এক দুধের শিশুর। একাত্তরের যুদ্ধদিনে তার বয়স ছিল মাত্র দুই মাস। রেহানার বাবা আবদুস সালাম খান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। এই অপরাধে পাক সেনারা বাড়িতে হানা দিয়ে শিশু রেহানাকে নির্মমভাবে আছাড় মেরে এবং বুটের তলায় পিষে হত্যা করে। একটি ছবিও না থাকায় মেয়ের চিহ্ন বলতে বাবার কাছে রয়ে যায় এ জামা।
বিজয়ের ভোর আনতে রেহানার মতো ঝরেছে কত প্রাণ। একাত্তরকে ঘিরে আছে কত সাহস, বীরত্ব আর আত্মত্যাগের কাহিনি। তারই বেশ কিছু নমুনা রয়েছে আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের গ্যালারিগুলোতে। একে একে চারটি গ্যালারি পেরিয়ে এলে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো যেন চোখের সামনে তাজা হয়ে ফিরে আসে।
খুলনার সেনহাটিতে বাসা ছিল মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম খানের। যুদ্ধের শুরুর দিকে, ৩০ এপ্রিল পাক সেনারা স্থানীয় দালালদের সহায়তায় তাঁর বাসা ঘেরাও করে। সালামকে না পেয়ে তারা শিশু রেহানাকে হত্যা করে। রাতের আঁধারে বাবা গোপনে বাড়িতে এসে লাশটি ধুয়েমুছে রূপসা নদীতে ভাসিয়ে দেন। স্বাধীনতার পরে মেয়ের জামাটিই হয়ে ওঠে তাঁর বুকের ধন। জামাটি তিনি ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখেন দীর্ঘ ২৫ বছর। একপর্যায়ে তাঁর কাছ থেকে এটি সংগ্রহ করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কার্যত এক মহাকাব্যিক ঘটনা। এ রকম কত ঘটনাই না তখন ঘটেছে। দেশের প্রায় সব মানুষ যার যার সাধ্যমতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তির লড়াইয়ে। কেউ রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে লড়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে, খাবার খাইয়ে, শত্রুর গতিবিধি জানিয়ে কিংবা উদ্দীপনামূলক গান শুনিয়ে যে যেভাবে পেরেছেন সহায়তা করেছেন।
গ্যালারি-২-এ ঢুকতেই চোখে পড়বে একটা লুবিটেল-২ ক্যামেরা। আলোকচিত্রী শুকুর মিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ছবি তুলেছিলেন এই ক্যামেরা দিয়ে। একটু এগোলেই ভয় ধরানো এক অন্ধকার প্রকোষ্ঠে মৃদু আলো জ্বলছে। ওপরে লেখা, ‘অপারেশন সার্চলাইট: গণহত্যার নীল নকশা ও পঁচিশ মার্চের কালরাত্রি’।
পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা শুরুর সেই ভয়ানক রাতের কথা ডায়েরিতে লিখেছিলেন কবি, নারী অধিকার আন্দোলনের নেত্রী সুফিয়া কামাল। আরও অনেকের মতো নাখালপাড়ার বাড়িতে বসে নিজের অভিজ্ঞতা লিখেছিল তখনকার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী স্বাতী চোধুরী। সুফিয়া কামালের ডায়েরি আর স্বাতীর স্কুলের সেই খাতা আছে এখানে।
সবুজের মাঝে লাল বৃত্ত আর তার ভেতরে বাংলাদেশের হলুদ মানচিত্র। প্রথম নকশার বাংলাদেশের এই জাতীয় পতাকা ৭ মার্চ উড়েছিল লে. সিকান্দার আলীর বাড়িতে। পতাকাটি আছে জাদুঘরের এই গ্যালারিতে। মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান অসামান্য। ঢাকার রাজপথে ডামি রাইফেল হাতে নারীদের মিছিলের আলোকচিত্রও আছে।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন। ২৫ মার্চ রাতের প্রথম শহীদদের অন্যতম তিনি। তাঁর ব্যবহৃত বাইনোকুলার আর পোশাক রাখা হয়েছে জাদুঘরে। দেখা যাবে শহীদ অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, গোবিন্দ চন্দ্র দেব, আব্দুল মুকতাদির, দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা, কবি মেহেরুন্নেসাসহ অনেকের স্মৃতিবিজড়িত ব্যবহৃত জিনিস। রয়েছে জাতীয় চার নেতার ব্যবহৃত কোট, লাইটার, চশমা ইত্যাদি। গ্যালারি-২-এ আরও দেখা মিলবে একটি টাইপরাইটারের। জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের ওপর চালানো গণহত্যা বন্ধের আবেদন করা হয়েছিল এই টাইপরাইটারে লিখে।
গ্যালারি-৩-এ বিশাল আলোকচিত্রে একাত্তরের শরণার্থী শিবিরের কষ্টকর জীবনের দৃশ্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ কয়েকটি রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছিল ১ কোটি মানুষ। এখানে আছে শরণার্থীদের নিয়ে করা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিকস, টাইম, নিউইয়র্ক টাইমস, ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনের আলোকচিত্র। আছে সে সময়ের সাংস্কৃতিক দলের কার্যক্রমের বিভিন্ন ছবি।
এই গ্যালারিতে দেখা মিলবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের বিভিন্ন চিত্র, একুশের গানের স্রষ্টা শহীদ আলতাফ মাহমুদের ইলেকট্রিক শেভিং রেজার। একটি জায়গায় দেখা যায়, একটি বাড়ির জানালা। জানালার অন্যপাশে একটি ছবিতে অন্ধকারে অস্ত্র হাতে মুক্তিসেনা। ছবিটি এমনভাবে রাখা হয়েছে, দেখে মনে হবে, সত্যিই যেন জানালার ওপারে অস্ত্র হাতে মুক্তিযোদ্ধা। গ্যালারি-৩-এর শেষ দিকে চোখ আটকে যাবে একটি কালো রঙের গাড়িতে। শহীদ ডা. ফজলে রাব্বির এই গাড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করতে ব্যবহৃত হতো। ১৫ ডিসেম্বর আল-বদরের সদস্যরা তাঁকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল।
জাদুঘরের নারী নির্যাতন অংশে চোখ বুলালে শিউরে উঠতে হয়। সিলেটের পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পের দেয়ালে আঁকা ছবি রাখা হয়েছে এখানে। বাঙালি মেয়েদের নির্যাতন শিবিরের দেয়াল বুঝিয়ে দেয় কী ভয়াবহ নির্যাতন ঘটেছিল সেখানে।
একটি ছবিতে দেখা মেলে দুই কিশোরীর। তারা ঝুড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছে কচুরিপানা। সেই কচুরিপানার আড়ালে ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেনেড।
গ্যালারি-৪-এ দেখা মেলে বাঙালির বিজয়ের স্মৃতির নমুনা। দেখা মেলে মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধের আলোকচিত্র ও স্মৃতিবিজড়িত বস্তু। এর মধ্যে রয়েছে বিলোনিয়া, পরশুরাম, চিথলিয়া, ফুলগাজী, ফেনী, মন্দভাগ, কসবা-সালদা নদী, নারায়ণগঞ্জ-কামরাঙ্গীরচর, শেরপুর, কামালপুর যুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন। ঢাকা শহরে ট্রাকে চড়ে মানুষের বিজয় উল্লাস।
গ্যালারি-১-এ আছে একাত্তর পর্যন্ত এ ভূখণ্ডের বিভিন্ন শাসনামলের ইতিহাস। বাকি তিনটি গ্যালারিজুড়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক। বিজয় দিবসের ঠিক আগের দিনে জাদুঘরে দেখা গেল সপরিবারে আসা মোহা. আসলাম উদ্দিনকে। তিনি বললেন, ‘বিজয়ের মাসে হঠাৎ করেই জাদুঘরে ঘুরতে আসা। এসে ঘুরতে ঘুরতে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঘটনার যেন সাক্ষী হয়ে গেলাম।’
দেখতে দেখতে বিকেল গড়িয়ে যায়। পশ্চিমে হেলে পড়া সূর্যের ম্লান আলো পড়ছে জাদুঘরের সামনে টাঙানো লাল-সবুজ পতাকায়। রাত পেরোলেই দেখা দেবে নতুন সূর্য। সে সূর্য মুক্তির, বিজয়ের।

প্রকাশের ৬ বছর পর জালিয়াতির অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) তিন অধ্যাপকের গবেষণাপত্র প্রত্যাহার করেছে কোরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক জার্নাল বায়োলজিক্যাল মেডিকেল সেন্টার (বিএমসি)। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুজন অধ্যাপক এই গবেষণাপ
১৩ নভেম্বর ২০২৩
বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৮ মিনিট আগে
পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
৭ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
৯ ঘণ্টা আগে