নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে নতুন দল হচ্ছে’—তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের রেশ না কাটতেই ‘বিএনপির ভোটে যাওয়া উচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন মেজর হাফিজ নিজেই। মেজর হাফিজের এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দিনভর চলেছে আলোচনা। যদিও নতুন দল গঠনের ব্যাপারে এখনো কিছু বলছেন না বিএনপির এই নেতা।
গত সোমবার তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ রাজধানীতে দলের এক সমাবেশে বলেছেন, ‘অনেকেই লাইন ধরে আছেন তৃণমূলে (তৃণমূল বিএনপি) যোগ দেওয়ার জন্য। আর বিএনপির সাবেক মন্ত্রী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজের নেতৃত্বে আরও একটি দল হতে যাচ্ছে। তাঁরা শিগগিরই ঢাকায় কনভেনশন করবেন। সুতরাং বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও নেতাদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে পারবে না।’
তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মেজর হাফিজ। তিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। বিএনপি নির্বাচনে গেলে আমি সেই নির্বাচনে অংশ নেব।’
আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়ার কথা বললেও কে এবং কীভাবে সেই মধ্যস্থতা করবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি হাফিজ।
নতুন দল গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার কথা বলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা এই মুহূর্তে করছি না। আমি রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখছি।’ নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা অবশ্য বলেছেন, ‘আমি শারীরিকভাবে খুব অসুস্থ। রাজনীতির খবর রাখার মতো শারীরিক অবস্থা আমার নেই।’ তবে শরীর সুস্থ থাকলে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে রাজনীতির দিকে নজর দিতে পারেন বলে জানান তিনি।
৭৯ বছর বয়সী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ দুই মাস আগে অসুস্থ হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ারও কথা বলছেন তিনি।
একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন ‘জেড’ ফোর্সে ছিলেন হাফিজ। যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য তিনি বীর বিক্রম খেতাব পান। সামরিক বাহিনী থেকে অবসরের পর তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) থেকে ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি পানি সম্পদমন্ত্রী হন। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে কারাগারেও যেতে হয়েছে তাঁকে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে এক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় ২০২০ সালে হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ দলের আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি।

‘বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে নতুন দল হচ্ছে’—তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের রেশ না কাটতেই ‘বিএনপির ভোটে যাওয়া উচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন মেজর হাফিজ নিজেই। মেজর হাফিজের এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দিনভর চলেছে আলোচনা। যদিও নতুন দল গঠনের ব্যাপারে এখনো কিছু বলছেন না বিএনপির এই নেতা।
গত সোমবার তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ রাজধানীতে দলের এক সমাবেশে বলেছেন, ‘অনেকেই লাইন ধরে আছেন তৃণমূলে (তৃণমূল বিএনপি) যোগ দেওয়ার জন্য। আর বিএনপির সাবেক মন্ত্রী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজের নেতৃত্বে আরও একটি দল হতে যাচ্ছে। তাঁরা শিগগিরই ঢাকায় কনভেনশন করবেন। সুতরাং বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও নেতাদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে পারবে না।’
তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মেজর হাফিজ। তিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। বিএনপি নির্বাচনে গেলে আমি সেই নির্বাচনে অংশ নেব।’
আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়ার কথা বললেও কে এবং কীভাবে সেই মধ্যস্থতা করবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি হাফিজ।
নতুন দল গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার কথা বলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা এই মুহূর্তে করছি না। আমি রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখছি।’ নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা অবশ্য বলেছেন, ‘আমি শারীরিকভাবে খুব অসুস্থ। রাজনীতির খবর রাখার মতো শারীরিক অবস্থা আমার নেই।’ তবে শরীর সুস্থ থাকলে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে রাজনীতির দিকে নজর দিতে পারেন বলে জানান তিনি।
৭৯ বছর বয়সী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ দুই মাস আগে অসুস্থ হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ারও কথা বলছেন তিনি।
একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন ‘জেড’ ফোর্সে ছিলেন হাফিজ। যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য তিনি বীর বিক্রম খেতাব পান। সামরিক বাহিনী থেকে অবসরের পর তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) থেকে ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি পানি সম্পদমন্ত্রী হন। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে কারাগারেও যেতে হয়েছে তাঁকে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে এক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় ২০২০ সালে হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ দলের আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি।

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমি বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম কিছু ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে তাঁদের কথা বলছেন। তাঁরা যদি বলতে পারেন, আপনি কেন বলতে পারবেন না। বললে সবাই বলবেন, না বললে কেউ বলতে পারবেন না। আপনি আপনার এলাকায় সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
২৫ মিনিট আগে
তৃণমূল এনসিপি গঠনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বহিষ্কৃত নেতা মুনতাসির মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আট দল যে আন্দোলনে রয়েছে, তারা দেশ ও জাতির কথা বিবেচনায় এই আন্দোলনের মাধ্যমে কোনো সংঘাত, রক্তপাত হোক সেটা চায় না। তাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসিফের সঙ্গে আমাদের কথা চলছে। এর আগেও সে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। দলে তাকে সম্মানজনক পদ দেওয়া হবে—এ নিয়ে আলাপ হয়েছে। খুব শিগগিরই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। আমরা যেকোনো মূল্যে তাকে দলে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমি বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম কিছু ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে তাঁদের কথা বলছেন। তাঁরা যদি বলতে পারেন, আপনি কেন বলতে পারবেন না। বললে সবাই বলবেন, না বললে কেউ বলতে পারবেন না। আপনি আপনার এলাকায় সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনার কর্মসূচি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
‘ভোটযুদ্ধ’ মোকাবিলায় নেতা-কর্মীদের একযোগে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা পরীক্ষিত নেতা-কর্মী। শত অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যেও আপনারা এ দলকে ধরে রেখেছেন। সেই ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্র থেকে শুরু করে গত স্বৈরাচারের ১৫ বছরের ষড়যন্ত্র সব আপনারা মোকাবিলা করেছেন। তাহলে এখন কেন সামনের যে নির্বাচনী যুদ্ধ, এই যুদ্ধ মোকাবিলা করতে পারবেন না?’
তারেক বলেন, ‘আপনার দলের যে পরিকল্পনা জনগণকে ঘিরে, দেশকে ঘিরে কেন সেটা জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারবেন না। চাইলেই আপনারা এটা করতে পারবেন, এটা করতে হবে। দেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দিতে হলে আমাদের জনগণের সমর্থন প্রয়োজন এবং জনগণের সমর্থনকে দলের পেছনে আনতে হলে আপনাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন।’
কর্মশালায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে যেহেতু বাংলাদেশের সব এখানে উপস্থিত আছেন, আমাদের নেতারা উপস্থিত আছেন; আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই, আমাদের নেতা শিগগিরই আমাদের মাঝে আসবেন। আমাদের নেতা যেদিন আমাদের কাছে আসবেন, যেদিন বাংলাদেশে পা দেবেন; সেদিন যেন সারা দেশ কেঁপে ওঠে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন সংগ্রাম-লড়াই হচ্ছে—এই নির্বাচনে আমাদের জয়লাভ করার সংগ্রাম। এই নির্বাচনে পুরোপুরিভাবে জয়লাভ করতে হবে, যাতে করে আমরা বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাই।’
বিএনপির মহাসচিব যোগ করেন, ‘অনেক বাধা আসবে, অনেক বিপত্তি আসবে, আমাদের বিরুদ্ধে অনেক প্রচারণা হচ্ছে, হতে থাকবে। কিন্তু এগুলোকে কাটিয়ে উঠে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। বিএনপি কোনো দিনই পরাজিত হয়নি, পরাজিত হবে না।’
বিএনপি হচ্ছে এই দেশের জনগণের দল, বিএনপি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের দল, বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের সংগ্রামের দল; নেতা-কর্মীদের এ কথাগুলো সব সময় মাথায় রাখার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
ফখরুল আরও বলেন, ‘একটা কথা আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৭১ সাল আমাদের অস্তিত্ব; এ কথাটা খুব জোরেশোরে মনে রাখবেন। আজকে আমি পত্রিকায় দেখলাম, ১৯৭১ সালের প্রজন্ম নাকি নিকৃষ্টতম প্রজন্ম। কোন সাহসে এই কথা বলার দুঃসাহস দেখান তারা; ঔদ্ধত্য দেখান তারা? আজকে মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের প্রিয় ধর্মকে ব্যবহার করে তারা আজকে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে কি না? সেই শক্তির বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘আজকে নতুন সে লড়াই একদিকে আমাদের বাংলাদেশকে একটা রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে দৃঢ় অবস্থানের মধ্যে দাঁড় করার লড়াই। আরেকদিকে হচ্ছে, এই অপশক্তিকে রুখে দেওয়ার লড়াই; এ দুটিকে নিয়েই আপনাদেরকে এগোতে হবে। আমরা সব সময় ইতিবাচক রাজনীতি করি, আমরা সব সময় অগ্রবর্তী চিন্তা করি।’
‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় বিএনপির অন্য নেতারা কর্মশালায় বক্তব্য দেন।

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমি বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম কিছু ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে তাঁদের কথা বলছেন। তাঁরা যদি বলতে পারেন, আপনি কেন বলতে পারবেন না। বললে সবাই বলবেন, না বললে কেউ বলতে পারবেন না। আপনি আপনার এলাকায় সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনার কর্মসূচি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
‘ভোটযুদ্ধ’ মোকাবিলায় নেতা-কর্মীদের একযোগে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা পরীক্ষিত নেতা-কর্মী। শত অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যেও আপনারা এ দলকে ধরে রেখেছেন। সেই ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্র থেকে শুরু করে গত স্বৈরাচারের ১৫ বছরের ষড়যন্ত্র সব আপনারা মোকাবিলা করেছেন। তাহলে এখন কেন সামনের যে নির্বাচনী যুদ্ধ, এই যুদ্ধ মোকাবিলা করতে পারবেন না?’
তারেক বলেন, ‘আপনার দলের যে পরিকল্পনা জনগণকে ঘিরে, দেশকে ঘিরে কেন সেটা জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারবেন না। চাইলেই আপনারা এটা করতে পারবেন, এটা করতে হবে। দেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দিতে হলে আমাদের জনগণের সমর্থন প্রয়োজন এবং জনগণের সমর্থনকে দলের পেছনে আনতে হলে আপনাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন।’
কর্মশালায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে যেহেতু বাংলাদেশের সব এখানে উপস্থিত আছেন, আমাদের নেতারা উপস্থিত আছেন; আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই, আমাদের নেতা শিগগিরই আমাদের মাঝে আসবেন। আমাদের নেতা যেদিন আমাদের কাছে আসবেন, যেদিন বাংলাদেশে পা দেবেন; সেদিন যেন সারা দেশ কেঁপে ওঠে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন সংগ্রাম-লড়াই হচ্ছে—এই নির্বাচনে আমাদের জয়লাভ করার সংগ্রাম। এই নির্বাচনে পুরোপুরিভাবে জয়লাভ করতে হবে, যাতে করে আমরা বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাই।’
বিএনপির মহাসচিব যোগ করেন, ‘অনেক বাধা আসবে, অনেক বিপত্তি আসবে, আমাদের বিরুদ্ধে অনেক প্রচারণা হচ্ছে, হতে থাকবে। কিন্তু এগুলোকে কাটিয়ে উঠে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। বিএনপি কোনো দিনই পরাজিত হয়নি, পরাজিত হবে না।’
বিএনপি হচ্ছে এই দেশের জনগণের দল, বিএনপি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের দল, বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের সংগ্রামের দল; নেতা-কর্মীদের এ কথাগুলো সব সময় মাথায় রাখার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
ফখরুল আরও বলেন, ‘একটা কথা আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৭১ সাল আমাদের অস্তিত্ব; এ কথাটা খুব জোরেশোরে মনে রাখবেন। আজকে আমি পত্রিকায় দেখলাম, ১৯৭১ সালের প্রজন্ম নাকি নিকৃষ্টতম প্রজন্ম। কোন সাহসে এই কথা বলার দুঃসাহস দেখান তারা; ঔদ্ধত্য দেখান তারা? আজকে মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের প্রিয় ধর্মকে ব্যবহার করে তারা আজকে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে কি না? সেই শক্তির বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘আজকে নতুন সে লড়াই একদিকে আমাদের বাংলাদেশকে একটা রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে দৃঢ় অবস্থানের মধ্যে দাঁড় করার লড়াই। আরেকদিকে হচ্ছে, এই অপশক্তিকে রুখে দেওয়ার লড়াই; এ দুটিকে নিয়েই আপনাদেরকে এগোতে হবে। আমরা সব সময় ইতিবাচক রাজনীতি করি, আমরা সব সময় অগ্রবর্তী চিন্তা করি।’
‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় বিএনপির অন্য নেতারা কর্মশালায় বক্তব্য দেন।

তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মেজর হাফিজ। তিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। বিএনপি নির্বাচনে গেলে আমি সেই নির্বাচনে অংশ নেব।’
০৭ নভেম্বর ২০২৩
তৃণমূল এনসিপি গঠনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বহিষ্কৃত নেতা মুনতাসির মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আট দল যে আন্দোলনে রয়েছে, তারা দেশ ও জাতির কথা বিবেচনায় এই আন্দোলনের মাধ্যমে কোনো সংঘাত, রক্তপাত হোক সেটা চায় না। তাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসিফের সঙ্গে আমাদের কথা চলছে। এর আগেও সে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। দলে তাকে সম্মানজনক পদ দেওয়া হবে—এ নিয়ে আলাপ হয়েছে। খুব শিগগিরই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। আমরা যেকোনো মূল্যে তাকে দলে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তৃণমূল এনসিপি গঠনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বহিষ্কৃত নেতা মুনতাসির মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
ফেসবুক পোস্টে মুনতাসির লিখেছেন, ‘খুব দ্রুত তৃণমূল এনসিপির কার্যক্রম শুরু হবে। যারা জুলাইকে ধারণ করে সততা ও নীতির ওপরে থেকে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চান, তাঁরা যোগাযোগ করুন।’
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে সদ্য পদত্যাগ করা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে ‘তৃণমূল এনসিপি’র ব্যানারে কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন মুনতাসির।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার পর তিনি ফেসবুক পোস্টে বলেন, প্রাক্তন দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজের দুর্নীতির তদন্ত ও বিচারের দাবিতে তৃণমূল এনসিপির আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল হবে। রাত ৯টায় বাংলামোটর রূপায়ণ টাওয়ারের সামনে থেকে এই মিছিল শুরু হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে এনসিপির বহিষ্কৃত এই নেতা বলেন, ‘তৃণমূল এনসিপি গঠন এখন সময়ের দাবি। সারা দেশ থেকে যোগ্য ও ত্যাগী নেতা-কর্মীরা যোগাযোগ করছেন। সব জায়গা থেকে ভালো সাড়া পেলে আমি আল্লাহর ওপর ভরসা করে উদ্যোগ নেব, ইনশা আল্লাহ।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ছিলেন মুনতাসির মাহমুদ। গত ১২ অক্টোবর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে মুনতাসির মাহমুদকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর ৫ নভেম্বর তাঁকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেয় এনসিপি।
মুনতাসির মাহমুদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মব’ তৈরি প্রচেষ্টার অভিযোগ ছিল। তিনি সংস্থাটিতে উপপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। গত ১২ অক্টোবর তিনি মগবাজারে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করেন। সেদিনই মুনতাসিরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই দিন রেড ক্রিসেন্টের চাকরিও হারান তিনি।

তৃণমূল এনসিপি গঠনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বহিষ্কৃত নেতা মুনতাসির মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
ফেসবুক পোস্টে মুনতাসির লিখেছেন, ‘খুব দ্রুত তৃণমূল এনসিপির কার্যক্রম শুরু হবে। যারা জুলাইকে ধারণ করে সততা ও নীতির ওপরে থেকে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চান, তাঁরা যোগাযোগ করুন।’
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে সদ্য পদত্যাগ করা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে ‘তৃণমূল এনসিপি’র ব্যানারে কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন মুনতাসির।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার পর তিনি ফেসবুক পোস্টে বলেন, প্রাক্তন দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজের দুর্নীতির তদন্ত ও বিচারের দাবিতে তৃণমূল এনসিপির আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল হবে। রাত ৯টায় বাংলামোটর রূপায়ণ টাওয়ারের সামনে থেকে এই মিছিল শুরু হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে এনসিপির বহিষ্কৃত এই নেতা বলেন, ‘তৃণমূল এনসিপি গঠন এখন সময়ের দাবি। সারা দেশ থেকে যোগ্য ও ত্যাগী নেতা-কর্মীরা যোগাযোগ করছেন। সব জায়গা থেকে ভালো সাড়া পেলে আমি আল্লাহর ওপর ভরসা করে উদ্যোগ নেব, ইনশা আল্লাহ।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ছিলেন মুনতাসির মাহমুদ। গত ১২ অক্টোবর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে মুনতাসির মাহমুদকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর ৫ নভেম্বর তাঁকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেয় এনসিপি।
মুনতাসির মাহমুদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মব’ তৈরি প্রচেষ্টার অভিযোগ ছিল। তিনি সংস্থাটিতে উপপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। গত ১২ অক্টোবর তিনি মগবাজারে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করেন। সেদিনই মুনতাসিরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই দিন রেড ক্রিসেন্টের চাকরিও হারান তিনি।

তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মেজর হাফিজ। তিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। বিএনপি নির্বাচনে গেলে আমি সেই নির্বাচনে অংশ নেব।’
০৭ নভেম্বর ২০২৩
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমি বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম কিছু ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে তাঁদের কথা বলছেন। তাঁরা যদি বলতে পারেন, আপনি কেন বলতে পারবেন না। বললে সবাই বলবেন, না বললে কেউ বলতে পারবেন না। আপনি আপনার এলাকায় সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
২৫ মিনিট আগে
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আট দল যে আন্দোলনে রয়েছে, তারা দেশ ও জাতির কথা বিবেচনায় এই আন্দোলনের মাধ্যমে কোনো সংঘাত, রক্তপাত হোক সেটা চায় না। তাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসিফের সঙ্গে আমাদের কথা চলছে। এর আগেও সে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। দলে তাকে সম্মানজনক পদ দেওয়া হবে—এ নিয়ে আলাপ হয়েছে। খুব শিগগিরই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। আমরা যেকোনো মূল্যে তাকে দলে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
২ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আট দল যে আন্দোলনে রয়েছে, তারা দেশ ও জাতির কথা বিবেচনায় এই আন্দোলনের মাধ্যমে কোনো সংঘাত, রক্তপাত হোক সেটা চায় না। তাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
তবে জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে সবাইকে নিয়ে সরকার গঠনের মাধ্যমে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা হবে, যোগ করেন আট দলের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা-৫ (ফুলতলা ও ডুমুরিয়া) আসনের জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী গোলাম পরওয়ার ডুমুরিয়া উপজেলায় গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে উপজেলার কুলবাড়িয়া আজিজুর ইসলামের আল্লারদান ইটভাটায় মালিক-শ্রমিকদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর সব কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে আসেন। কোনো দলের বিশেষ প্রার্থীকে বিজয়ী করতে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা সুযোগ দেবেন, তা প্রত্যাশিত নয়।’
তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব দলের জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা) তৈরি করতে হবে। আর এই দায়িত্ব প্রশাসনের।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনের জামায়াতের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী, খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, কর্মপরিষদ সদস্য আবু ইউসুফ মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলার আমির মোক্তার হোসেন, নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও গাজী সাইফুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের
সভাপতি মাওলানা ওমর আলী, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ আহমুদ, খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবদুল কাইয়ুম জমাদ্দার, ইসলামী আন্দোলনের নেতা আবদুস সালাম ও মুফতি মাহবুবুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ প্রমুখ। সভায় ইটভাটা মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা আবদুল লতিফ জমাদ্দার সভাপতিত্ব করেন।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আট দল যে আন্দোলনে রয়েছে, তারা দেশ ও জাতির কথা বিবেচনায় এই আন্দোলনের মাধ্যমে কোনো সংঘাত, রক্তপাত হোক সেটা চায় না। তাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
তবে জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে সবাইকে নিয়ে সরকার গঠনের মাধ্যমে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা হবে, যোগ করেন আট দলের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা-৫ (ফুলতলা ও ডুমুরিয়া) আসনের জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী গোলাম পরওয়ার ডুমুরিয়া উপজেলায় গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে উপজেলার কুলবাড়িয়া আজিজুর ইসলামের আল্লারদান ইটভাটায় মালিক-শ্রমিকদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর সব কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে আসেন। কোনো দলের বিশেষ প্রার্থীকে বিজয়ী করতে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা সুযোগ দেবেন, তা প্রত্যাশিত নয়।’
তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব দলের জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা) তৈরি করতে হবে। আর এই দায়িত্ব প্রশাসনের।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনের জামায়াতের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী, খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, কর্মপরিষদ সদস্য আবু ইউসুফ মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলার আমির মোক্তার হোসেন, নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও গাজী সাইফুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের
সভাপতি মাওলানা ওমর আলী, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ আহমুদ, খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবদুল কাইয়ুম জমাদ্দার, ইসলামী আন্দোলনের নেতা আবদুস সালাম ও মুফতি মাহবুবুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ প্রমুখ। সভায় ইটভাটা মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা আবদুল লতিফ জমাদ্দার সভাপতিত্ব করেন।

তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মেজর হাফিজ। তিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। বিএনপি নির্বাচনে গেলে আমি সেই নির্বাচনে অংশ নেব।’
০৭ নভেম্বর ২০২৩
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমি বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম কিছু ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে তাঁদের কথা বলছেন। তাঁরা যদি বলতে পারেন, আপনি কেন বলতে পারবেন না। বললে সবাই বলবেন, না বললে কেউ বলতে পারবেন না। আপনি আপনার এলাকায় সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
২৫ মিনিট আগে
তৃণমূল এনসিপি গঠনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বহিষ্কৃত নেতা মুনতাসির মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগে
গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসিফের সঙ্গে আমাদের কথা চলছে। এর আগেও সে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। দলে তাকে সম্মানজনক পদ দেওয়া হবে—এ নিয়ে আলাপ হয়েছে। খুব শিগগিরই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। আমরা যেকোনো মূল্যে তাকে দলে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পদ থেকে গতকাল বুধবার পদত্যাগ করেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এর পর থেকেই জনমনে প্রশ্ন ওঠে—কোন দলে যোগ দিচ্ছেন তিনি? কাদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়াবেন সদ্য পদত্যাগ করা এই উপদেষ্টা?
এ-সংক্রান্ত আলোচনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে নুরুল হক নুরের দল গণঅধিকার পরিষদের নাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আসিফ মাহমুদ যাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সরকার পতন করেছিলেন, সেই সহযোদ্ধাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) তাঁর যোগদানের আলোচনা তেমন একটা জোরালো নয়।
এনসিপির পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদে আসিফ মাহমুদের যোগদানের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
তাঁরা জানিয়েছেন, গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদে দীর্ঘদিন রাজনীতি করা আসিফ মাহমুদের দলটিতে ফেরার আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে।
গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসিফের সঙ্গে আমাদের কথা চলছে। এর আগেও সে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। দলে তাঁকে সম্মানজনক পদ দেওয়া হবে—এ নিয়ে আলাপ হয়েছে। খুব শিগগিরই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। আমরা যেকোনো মূল্যে তাঁকে দলে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
আসিফ মাহমুদের গণঅধিকার পরিষদে যোগদানের বিষয়ে দলের সভাপতি নুরুল হক নুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তবে কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
একাধিক সূত্র বলছে, আসিফের যোগদানের সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে গণঅধিকার পরিষদে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। জুলাই আন্দোলনের পর দলীয় অবস্থান, নেতৃত্বের রদবদল ও নতুন জোট রাজনীতির প্রেক্ষাপটে অনেকেই আসিফের দলে প্রত্যাবর্তনকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।
তবে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, সদ্য পদত্যাগ করা উপদেষ্টার আগমনে দলের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্যে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে।
সূত্রগুলোর মতে, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদে আসিফ যোগ দিতে পারেন—এ গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এমনটা হলে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বাদ পড়তে পারেন রাশেদ খান।
এদিকে, রাশেদ খানের নেতৃত্বে অনাস্থা জানিয়ে তাঁর পদত্যাগ চেয়ে আজ নুরুল হক নুরের কাছে চিঠি দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুজ জাহের।
চিঠিতে রাশেদ খান দলীয় নীতি, আদর্শ ও গঠনতন্ত্র থেকে বিচ্যুত হয়ে অন্য রাজনৈতিক দলের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন আব্দুজ জাহের। এতে দলের অভ্যন্তরে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে, ঐক্য বিনষ্ট হচ্ছে এবং গণঅধিকার পরিষদের মূল লক্ষ্যের প্রতি আস্থা ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। রাশেদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকা সংগঠনের অখণ্ডতা ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে ‘গুরুতর হুমকি’ তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন আব্দুজ জাহের।
সূত্র বলছে, সম্প্রতি আসিফ মাহমুদের সঙ্গে দলীয় দৃষ্ঠিভঙ্গির বাইরে ভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন রাশেদ খান। এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আব্দুজ জাহেরের পাশাপাশি আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতা রাশেদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
এদিকে আজ বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে আসিফ মাহমুদের প্রশংসা করে তাঁকে রাজনীতিতে স্বাগত জানিয়েছেন নুরুল হক নুর।
পোস্টে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আসিফ ‘সংগ্রামের নেতা’। শিগগিরই তিনি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
নুরের প্রকাশ্য এই বার্তা গণঅধিকারে চলমান উত্তেজনায় ঘি ঢেলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে দলীয় রাজনীতিতে যোগদানের বিষয়ে বিএনপি ও এনসিপিসহ একাধিক দলের সঙ্গে আসিফের আলোচনা চলছে বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে।
উপদেষ্টার পদ থেকে গতকাল পদত্যাগের আগে সচিবালয়ে ডাকা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ বলেছিলেন, ‘আমি নির্বাচন করব। তবে কোথা থেকে, কীভাবে করব—সে আলোচনা চলছে।’
এনসিপিতে যোগদানের গুঞ্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা ধরে নেওয়া ঠিক হবে না যে আমি এনসিপিতেই যোগ দিচ্ছি।’

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পদ থেকে গতকাল বুধবার পদত্যাগ করেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এর পর থেকেই জনমনে প্রশ্ন ওঠে—কোন দলে যোগ দিচ্ছেন তিনি? কাদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়াবেন সদ্য পদত্যাগ করা এই উপদেষ্টা?
এ-সংক্রান্ত আলোচনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে নুরুল হক নুরের দল গণঅধিকার পরিষদের নাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আসিফ মাহমুদ যাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সরকার পতন করেছিলেন, সেই সহযোদ্ধাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) তাঁর যোগদানের আলোচনা তেমন একটা জোরালো নয়।
এনসিপির পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদে আসিফ মাহমুদের যোগদানের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
তাঁরা জানিয়েছেন, গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদে দীর্ঘদিন রাজনীতি করা আসিফ মাহমুদের দলটিতে ফেরার আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে।
গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসিফের সঙ্গে আমাদের কথা চলছে। এর আগেও সে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। দলে তাঁকে সম্মানজনক পদ দেওয়া হবে—এ নিয়ে আলাপ হয়েছে। খুব শিগগিরই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। আমরা যেকোনো মূল্যে তাঁকে দলে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
আসিফ মাহমুদের গণঅধিকার পরিষদে যোগদানের বিষয়ে দলের সভাপতি নুরুল হক নুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তবে কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
একাধিক সূত্র বলছে, আসিফের যোগদানের সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে গণঅধিকার পরিষদে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। জুলাই আন্দোলনের পর দলীয় অবস্থান, নেতৃত্বের রদবদল ও নতুন জোট রাজনীতির প্রেক্ষাপটে অনেকেই আসিফের দলে প্রত্যাবর্তনকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।
তবে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, সদ্য পদত্যাগ করা উপদেষ্টার আগমনে দলের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্যে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে।
সূত্রগুলোর মতে, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদে আসিফ যোগ দিতে পারেন—এ গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এমনটা হলে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বাদ পড়তে পারেন রাশেদ খান।
এদিকে, রাশেদ খানের নেতৃত্বে অনাস্থা জানিয়ে তাঁর পদত্যাগ চেয়ে আজ নুরুল হক নুরের কাছে চিঠি দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুজ জাহের।
চিঠিতে রাশেদ খান দলীয় নীতি, আদর্শ ও গঠনতন্ত্র থেকে বিচ্যুত হয়ে অন্য রাজনৈতিক দলের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন আব্দুজ জাহের। এতে দলের অভ্যন্তরে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে, ঐক্য বিনষ্ট হচ্ছে এবং গণঅধিকার পরিষদের মূল লক্ষ্যের প্রতি আস্থা ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। রাশেদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকা সংগঠনের অখণ্ডতা ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে ‘গুরুতর হুমকি’ তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন আব্দুজ জাহের।
সূত্র বলছে, সম্প্রতি আসিফ মাহমুদের সঙ্গে দলীয় দৃষ্ঠিভঙ্গির বাইরে ভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন রাশেদ খান। এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আব্দুজ জাহেরের পাশাপাশি আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতা রাশেদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
এদিকে আজ বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে আসিফ মাহমুদের প্রশংসা করে তাঁকে রাজনীতিতে স্বাগত জানিয়েছেন নুরুল হক নুর।
পোস্টে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আসিফ ‘সংগ্রামের নেতা’। শিগগিরই তিনি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
নুরের প্রকাশ্য এই বার্তা গণঅধিকারে চলমান উত্তেজনায় ঘি ঢেলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে দলীয় রাজনীতিতে যোগদানের বিষয়ে বিএনপি ও এনসিপিসহ একাধিক দলের সঙ্গে আসিফের আলোচনা চলছে বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে।
উপদেষ্টার পদ থেকে গতকাল পদত্যাগের আগে সচিবালয়ে ডাকা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ বলেছিলেন, ‘আমি নির্বাচন করব। তবে কোথা থেকে, কীভাবে করব—সে আলোচনা চলছে।’
এনসিপিতে যোগদানের গুঞ্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা ধরে নেওয়া ঠিক হবে না যে আমি এনসিপিতেই যোগ দিচ্ছি।’

তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মেজর হাফিজ। তিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। বিএনপি নির্বাচনে গেলে আমি সেই নির্বাচনে অংশ নেব।’
০৭ নভেম্বর ২০২৩
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমি বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম কিছু ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে তাঁদের কথা বলছেন। তাঁরা যদি বলতে পারেন, আপনি কেন বলতে পারবেন না। বললে সবাই বলবেন, না বললে কেউ বলতে পারবেন না। আপনি আপনার এলাকায় সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
২৫ মিনিট আগে
তৃণমূল এনসিপি গঠনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বহিষ্কৃত নেতা মুনতাসির মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আট দল যে আন্দোলনে রয়েছে, তারা দেশ ও জাতির কথা বিবেচনায় এই আন্দোলনের মাধ্যমে কোনো সংঘাত, রক্তপাত হোক সেটা চায় না। তাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে