
মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলার মতো উদ্যোক্তা নন, ভারতের সবচেয়ে বেশি দরকার শ্রীধারা সোমনাথের মতো মানুষদের। নাদেলা সামান্য কেউ নন, হায়দরাবাদে জন্ম নেওয়া এই ব্যক্তি নিঃসন্দেহে মেধাবী। কিন্তু নাদেলা নন, ভারতের চন্দ্র জয়ের মতো ঐতিহাসিক অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সোমনাথের মতো লো-প্রোফাইল ব্যক্তিরা। তাই তাঁদের মতো মানুষকেই বেশি দরকার ভারতের। তাঁরা এমন একটি প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করেন যারা কি না সুযোগ থাকার পরও দেশ না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপর কী হয়েছে সেটি এখন সবার জানা।
সোমনাথরা হয়তো কখনোই ভারতের হয়ে কোনো ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতবেন না, ফরচুন বা ফোর্বসের শীর্ষ ব্যক্তিত্বের তালিকায় উঠবেন না। তাঁদের হয়তো কখনোই হোয়াইট হাউসের বিশেষ নৈশভোজে ডাকা হবে না। এমনকি তাঁরা মার্কিন ভারতীয়দের আয়ের তুলনায় খুব সামান্যই আয় করেন। কিন্তু এরপরও তাঁরা যা করেছেন তা ইতিহাস। যেকোনো বিবেচনায়। তাঁরা সত্য নাদেলার বাৎসরিক আয়ের মাত্র ৩০ শতাংশ বেশি অর্থ ব্যয় করে ভারতকে চাঁদে পৌঁছে দিয়েছেন।
ভারতের চন্দ্রযান–৩ মিশনের ব্যয় হয়েছে মাত্র ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। চন্দ্র মিশনের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে কম খরচের মিশন। এই মিশনের খরচ এতটাই কম যে, এটি বার্বি, ওপেনহাইমার, অ্যাভেঞ্জার: এন্ডগেম কিংবা অ্যাভাটারের মতো সিনেমার নির্মাণ ব্যয়ের চেয়েও কম। বিখ্যাত চলচ্চিত্র ইন্টারস্টেলার–এর মাত্র অর্ধেক খরচ হয়েছে ভারতের চন্দ্র মিশনে। এই মিশনের খরচ রাশিয়ার মিশনের খরচের অর্ধেকেরও কম, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইপার রোভার মিশনের বাজেটের এক চতুর্থাংশ।
ভারত মহাকাশ গবেষণায় দেশটির জিডিপির মাত্র দশমিক ০৪ শতাংশ ব্যয় করে থাকে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ব্যয় করে দশমিক ২৮ শতাংশ এবং রাশিয়া ব্যয় করে দশমিক ১৫ শতাংশ।
গণমাধ্যমের এই রমরমার যুগেও ভারতের চন্দ্রজয়ী বীরেরা অকপট এবং বিনয়ী। কেবল তাই নয়, তাঁরা প্রচণ্ড আবেগীও বটে। এর উদাহরণ পাওয়া যায় ভারতের প্রথম চন্দ্র মিশন অল্পের জন্য যখন ব্যর্থ হয় তখন। সে সময় দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৎকালীন প্রধান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছিলেন।
বাজেট স্বল্পতা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) কাজকে বাধাগ্রস্ত করেছে। কিন্তু সেখানে কাজ করা লোকদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিষয়টি স্মরণ করতে গিয়ে ইসরোর সাবেক প্রধান সুরেন্দ্র পাল বলেন, ‘এমন একটি সময় ছিল যখন গরুর গাড়িতে করে আমাদের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের মতো স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতি আনা নেওয়া করতে হয়েছে। সে সময় এই কাজ করতে আমাদের খরচ করতে হতো মাত্র ১৫০ রুপি।’
বাজেট স্বল্পতার পরও ইসরো কীভাবে কাজ এগিয়ে নিয়েছে এ বিষয়ে সংস্থাটির সাবেক প্রধান মাধবন নায়ার বলেন, ‘আমরা কেবল প্রয়োজন অনুসারেই ব্যয় করতে পারতাম। তবে আমাদের বিজ্ঞানীর বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের অনেক বেশি প্রচেষ্টা–শ্রম দিয়েছেন। যা আমাদের অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রেখেছে।’
বাজেট স্বল্পতা যে কেবল গবেষণাকেই প্রভাবিত করেছে তা নয়, গবেষকদের ব্যক্তি জীবনকেও প্রভাবিত করেছে। চন্দ্র মিশন সফল করার খাতিরে এর সঙ্গে যুক্ত সব বিজ্ঞানীই অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেছেন কিন্তু কেউই এর জন্য বাড়তি আর্থিক প্রণোদনা পাননি। এ বিষয়ে মিশনের সঙ্গে যুক্ত গবেষক ভেঙ্কটেশ্বরা শর্মা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে যে জড়তা আমাদের মধ্যে ছিল তা আমরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় (অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার সময়ে) নিজেদের তরফ থেকে দোসা, কফি ইত্যাদি জোগাড় করার মাধ্যমে ভেঙে ফেলেছিলাম।’ আবার এই প্রকল্পে যুক্ত হয়ে অনেকের প্রেম ও জীবন পূর্ণতা পেয়েছে। যেমন ভেঙ্কটেশ্বরা নিজেই এই প্রকল্পের এক শীর্ষ গবেষককে বিয়ে করেছেন।
চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ ভারতীয়দের জন্য কতটা গর্বের তা অ–ভারতীয়দের পক্ষে অনুভব করা সম্ভব নয়। অতীতে পশ্চিমা গণমাধ্যম ভারতের মহাকাশ গবেষণা নিয়ে তামাশা করেছে। যেমন, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস একবার একটি স্পষ্ট বর্ণবাদী কার্টুন প্রকাশ করেছিল। যেখানে দেখানো হয়েছে—একজন কৃষক গরু নিয়ে ‘এলিট স্পেস ক্লাব’ নামাঙ্কিত একটি ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক উপস্থাপক প্রশ্ন করেছিলেন, যে দেশটি দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং অপ্রতুল টয়লেট নিয়ে নাকানিচুবানি খাচ্ছে তাদের কী আদৌ মহাকাশ অনুসন্ধান করা উচিত? তবে ভারতকে এখন আর এসব বলে অপমান করা যাবে না।
ইসরোর বিজ্ঞানীরা আরও একটি দারুণ কাজ করেছেন। তাঁরা ভারতে বিদ্যমান আধিপত্যের ক্রমবিন্যাস এবং বর্ণপ্রথাকে দারুণভাবে নাড়িয়ে দিয়েছেন। এত দিন ভারতের গর্বের ধন ছিল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা আইআইটি। রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত এসব ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ কঠোর ভর্তি পরীক্ষার জন্য খ্যাত। কিন্তু ইসরোর চন্দ্র মিশনের অধিকাংশ বিজ্ঞানীই ভারতের তুলনামূলক অল্প পরিচিত শহর থেকে উঠে আসা এবং অল্প পরিচিত প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ে আসা। এমনকি তাঁদের অনেকে আবার এমন হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন যে তা কল্পনাতীত। যেমন, এই প্রকল্পের বিজ্ঞানীদের একজন ভাসমান নারী চা বিক্রেতার সন্তান, অপর একজনের বাবা কাজ করেন কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে।
ইসরোর সাফল্য ভারতে ‘মেধা পাচার’ বিতর্ককে ভালোমতোই উসকে দিয়েছে। বিশেষ করে আইআইটির এক-তৃতীয়াংশ গ্র্যাজুয়েটই দেশ ত্যাগ করেছেন। তাঁদের অধিকাংশই আবার যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু ভারতীয়রা সেই আইআইটির গ্র্যাজুয়েটদের জন্য নয়, উদ্যাপন করার, উল্লসিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন দেশে থেকে যাওয়া গ্র্যাজুয়েটদের জন্য। যারা রীতিমতো অসাধ্যসাধন করেছেন!
তবে এই উদ্যাপন কিংবা কোনো যুক্তি কোনোভাবেই ভারতে কর্মরতদের কম পারিশ্রমিক দেওয়ার বিষয়টিকে যৌক্তিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না। মাধবন নায়ার কষ্ট নিয়ে বলেন, বিশ্বজুড়ে মহাকাশ গবেষণায় জড়িত দেশগুলোতে বিজ্ঞানীদের যে পরিমাণ পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, ভারতীয়রা পায় তার মাত্র এক পঞ্চমাংশ। ফলে যতক্ষণ পর্যন্ত এ ধরনের বৈষম্য বন্ধ না হবে ততক্ষণ মেধা পাচার চলতেই থাকবে।
তবে কথা হলো, যে দেশটি একসময় বাইসাইকেলে করে রকেট বয়ে নিয়ে গেছে সেই দেশটি এখন চাঁদে পৌঁছে গেছে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে দারুণ এবং এটি দেশটিকে এমন একটি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যেখান থেকে আর পেছন ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। ফলে এই মিশনের সঙ্গে জড়িত তারকারা তাঁদের সাফল্যের জন্য অবশ্যই বিশেষ স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য।

মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলার মতো উদ্যোক্তা নন, ভারতের সবচেয়ে বেশি দরকার শ্রীধারা সোমনাথের মতো মানুষদের। নাদেলা সামান্য কেউ নন, হায়দরাবাদে জন্ম নেওয়া এই ব্যক্তি নিঃসন্দেহে মেধাবী। কিন্তু নাদেলা নন, ভারতের চন্দ্র জয়ের মতো ঐতিহাসিক অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সোমনাথের মতো লো-প্রোফাইল ব্যক্তিরা। তাই তাঁদের মতো মানুষকেই বেশি দরকার ভারতের। তাঁরা এমন একটি প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করেন যারা কি না সুযোগ থাকার পরও দেশ না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপর কী হয়েছে সেটি এখন সবার জানা।
সোমনাথরা হয়তো কখনোই ভারতের হয়ে কোনো ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতবেন না, ফরচুন বা ফোর্বসের শীর্ষ ব্যক্তিত্বের তালিকায় উঠবেন না। তাঁদের হয়তো কখনোই হোয়াইট হাউসের বিশেষ নৈশভোজে ডাকা হবে না। এমনকি তাঁরা মার্কিন ভারতীয়দের আয়ের তুলনায় খুব সামান্যই আয় করেন। কিন্তু এরপরও তাঁরা যা করেছেন তা ইতিহাস। যেকোনো বিবেচনায়। তাঁরা সত্য নাদেলার বাৎসরিক আয়ের মাত্র ৩০ শতাংশ বেশি অর্থ ব্যয় করে ভারতকে চাঁদে পৌঁছে দিয়েছেন।
ভারতের চন্দ্রযান–৩ মিশনের ব্যয় হয়েছে মাত্র ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। চন্দ্র মিশনের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে কম খরচের মিশন। এই মিশনের খরচ এতটাই কম যে, এটি বার্বি, ওপেনহাইমার, অ্যাভেঞ্জার: এন্ডগেম কিংবা অ্যাভাটারের মতো সিনেমার নির্মাণ ব্যয়ের চেয়েও কম। বিখ্যাত চলচ্চিত্র ইন্টারস্টেলার–এর মাত্র অর্ধেক খরচ হয়েছে ভারতের চন্দ্র মিশনে। এই মিশনের খরচ রাশিয়ার মিশনের খরচের অর্ধেকেরও কম, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইপার রোভার মিশনের বাজেটের এক চতুর্থাংশ।
ভারত মহাকাশ গবেষণায় দেশটির জিডিপির মাত্র দশমিক ০৪ শতাংশ ব্যয় করে থাকে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ব্যয় করে দশমিক ২৮ শতাংশ এবং রাশিয়া ব্যয় করে দশমিক ১৫ শতাংশ।
গণমাধ্যমের এই রমরমার যুগেও ভারতের চন্দ্রজয়ী বীরেরা অকপট এবং বিনয়ী। কেবল তাই নয়, তাঁরা প্রচণ্ড আবেগীও বটে। এর উদাহরণ পাওয়া যায় ভারতের প্রথম চন্দ্র মিশন অল্পের জন্য যখন ব্যর্থ হয় তখন। সে সময় দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৎকালীন প্রধান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছিলেন।
বাজেট স্বল্পতা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) কাজকে বাধাগ্রস্ত করেছে। কিন্তু সেখানে কাজ করা লোকদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিষয়টি স্মরণ করতে গিয়ে ইসরোর সাবেক প্রধান সুরেন্দ্র পাল বলেন, ‘এমন একটি সময় ছিল যখন গরুর গাড়িতে করে আমাদের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের মতো স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতি আনা নেওয়া করতে হয়েছে। সে সময় এই কাজ করতে আমাদের খরচ করতে হতো মাত্র ১৫০ রুপি।’
বাজেট স্বল্পতার পরও ইসরো কীভাবে কাজ এগিয়ে নিয়েছে এ বিষয়ে সংস্থাটির সাবেক প্রধান মাধবন নায়ার বলেন, ‘আমরা কেবল প্রয়োজন অনুসারেই ব্যয় করতে পারতাম। তবে আমাদের বিজ্ঞানীর বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের অনেক বেশি প্রচেষ্টা–শ্রম দিয়েছেন। যা আমাদের অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রেখেছে।’
বাজেট স্বল্পতা যে কেবল গবেষণাকেই প্রভাবিত করেছে তা নয়, গবেষকদের ব্যক্তি জীবনকেও প্রভাবিত করেছে। চন্দ্র মিশন সফল করার খাতিরে এর সঙ্গে যুক্ত সব বিজ্ঞানীই অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেছেন কিন্তু কেউই এর জন্য বাড়তি আর্থিক প্রণোদনা পাননি। এ বিষয়ে মিশনের সঙ্গে যুক্ত গবেষক ভেঙ্কটেশ্বরা শর্মা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে যে জড়তা আমাদের মধ্যে ছিল তা আমরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় (অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার সময়ে) নিজেদের তরফ থেকে দোসা, কফি ইত্যাদি জোগাড় করার মাধ্যমে ভেঙে ফেলেছিলাম।’ আবার এই প্রকল্পে যুক্ত হয়ে অনেকের প্রেম ও জীবন পূর্ণতা পেয়েছে। যেমন ভেঙ্কটেশ্বরা নিজেই এই প্রকল্পের এক শীর্ষ গবেষককে বিয়ে করেছেন।
চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ ভারতীয়দের জন্য কতটা গর্বের তা অ–ভারতীয়দের পক্ষে অনুভব করা সম্ভব নয়। অতীতে পশ্চিমা গণমাধ্যম ভারতের মহাকাশ গবেষণা নিয়ে তামাশা করেছে। যেমন, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস একবার একটি স্পষ্ট বর্ণবাদী কার্টুন প্রকাশ করেছিল। যেখানে দেখানো হয়েছে—একজন কৃষক গরু নিয়ে ‘এলিট স্পেস ক্লাব’ নামাঙ্কিত একটি ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক উপস্থাপক প্রশ্ন করেছিলেন, যে দেশটি দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং অপ্রতুল টয়লেট নিয়ে নাকানিচুবানি খাচ্ছে তাদের কী আদৌ মহাকাশ অনুসন্ধান করা উচিত? তবে ভারতকে এখন আর এসব বলে অপমান করা যাবে না।
ইসরোর বিজ্ঞানীরা আরও একটি দারুণ কাজ করেছেন। তাঁরা ভারতে বিদ্যমান আধিপত্যের ক্রমবিন্যাস এবং বর্ণপ্রথাকে দারুণভাবে নাড়িয়ে দিয়েছেন। এত দিন ভারতের গর্বের ধন ছিল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা আইআইটি। রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত এসব ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ কঠোর ভর্তি পরীক্ষার জন্য খ্যাত। কিন্তু ইসরোর চন্দ্র মিশনের অধিকাংশ বিজ্ঞানীই ভারতের তুলনামূলক অল্প পরিচিত শহর থেকে উঠে আসা এবং অল্প পরিচিত প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ে আসা। এমনকি তাঁদের অনেকে আবার এমন হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন যে তা কল্পনাতীত। যেমন, এই প্রকল্পের বিজ্ঞানীদের একজন ভাসমান নারী চা বিক্রেতার সন্তান, অপর একজনের বাবা কাজ করেন কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে।
ইসরোর সাফল্য ভারতে ‘মেধা পাচার’ বিতর্ককে ভালোমতোই উসকে দিয়েছে। বিশেষ করে আইআইটির এক-তৃতীয়াংশ গ্র্যাজুয়েটই দেশ ত্যাগ করেছেন। তাঁদের অধিকাংশই আবার যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু ভারতীয়রা সেই আইআইটির গ্র্যাজুয়েটদের জন্য নয়, উদ্যাপন করার, উল্লসিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন দেশে থেকে যাওয়া গ্র্যাজুয়েটদের জন্য। যারা রীতিমতো অসাধ্যসাধন করেছেন!
তবে এই উদ্যাপন কিংবা কোনো যুক্তি কোনোভাবেই ভারতে কর্মরতদের কম পারিশ্রমিক দেওয়ার বিষয়টিকে যৌক্তিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না। মাধবন নায়ার কষ্ট নিয়ে বলেন, বিশ্বজুড়ে মহাকাশ গবেষণায় জড়িত দেশগুলোতে বিজ্ঞানীদের যে পরিমাণ পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, ভারতীয়রা পায় তার মাত্র এক পঞ্চমাংশ। ফলে যতক্ষণ পর্যন্ত এ ধরনের বৈষম্য বন্ধ না হবে ততক্ষণ মেধা পাচার চলতেই থাকবে।
তবে কথা হলো, যে দেশটি একসময় বাইসাইকেলে করে রকেট বয়ে নিয়ে গেছে সেই দেশটি এখন চাঁদে পৌঁছে গেছে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে দারুণ এবং এটি দেশটিকে এমন একটি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যেখান থেকে আর পেছন ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। ফলে এই মিশনের সঙ্গে জড়িত তারকারা তাঁদের সাফল্যের জন্য অবশ্যই বিশেষ স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য।

লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগে
রাশিয়ার ৭৫ বছর বয়সী বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির আর্সেনেভ কেন মস্কোর রেড স্কয়ারে নিজের ওপর আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষা খাতের তীব্র চাপেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন আর্সেনেভ।
৪ ঘণ্টা আগে
জাপানে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশিদের জন্য বসবাসের ন্যূনতম সময় দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, জাপানের নাগরিকত্ব পেতে হলে বিদেশিদের দেশটিতে অন্তত ১০ বছর বসবাস করতে হবে। বর্তমানে এই মেয়াদ পাঁচ বছর।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের কেরালা রাজ্যে সন্তানদের নিজের কাছে রাখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর আইনি লড়াইয়ের এক মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সন্তানদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে দুই শিশুসন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে নিজেরাও আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা ও দাদি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-এর প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী গ্রেটা থুনবার্গ বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি মাটিতে বসে একটি প্ল্যাকার্ড ধরে ছিলেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—‘আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশন বন্দীদের সমর্থন করি। আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি।’
পুলিশ দাবি করেছে, গ্রেটা থুনবার্গের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডের বার্তাটি সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০০-এর ১৩ ধারায় নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতি সমর্থন প্রকাশের শামিল।
এর আগে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আরও দুই কর্মীকে ‘অপরাধমূলক ক্ষতিসাধনের’ অভিযোগে আটক করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে অ্যাসপেন ইন্স্যুরেন্স নামের ওই ভবনের সামনের অংশে লাল রং ছিটিয়ে দেন। পুলিশ জানায়, হাতুড়ি ও লাল রং ব্যবহার করে ভবনটির ক্ষতি করা হয়েছে।
‘প্রিজনার্স ফর প্যালেস্টাইন’ নামের একটি প্রচারগোষ্ঠী জানিয়েছে, অ্যাসপেন ইন্স্যুরেন্সকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, কারণ প্রতিষ্ঠানটি ইসরায়েলি অস্ত্র প্রস্তুতকারক এলবিট সিস্টেমসের যুক্তরাজ্য শাখাকে বিমা সেবা দিচ্ছিল। সংগঠনটি আরও জানায়, প্যালেস্টাইন অ্যাকশন-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বন্দী বর্তমানে অনশন কর্মসূচিতে রয়েছেন। মোট ৮ জন বন্দী অনশন শুরু করেছিলেন। এর মধ্যে দুজন ৫২ তম দিনে পৌঁছেছেন এবং তাঁদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আশঙ্কাজনক। গুরুতর ঝুঁকির কারণে তিনজন অনশন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেটা থুনবার্গকে পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে আগামী মার্চ মাসে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। তবে অধিকারকর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন—গত এক বছরে হাজারো মানুষ ‘আই সাপোর্ট প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করলেও, গ্রেটার ক্ষেত্রেই কেন সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ করা হলো।
এদিকে অনশনরত বন্দীদের পরিবার ও সমর্থকেরা ব্রিটেনের বিচারমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠকের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, অনশন সংকট নিরসনে বৈঠক না করে সরকার নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করছে। গ্রেটা থুনবার্গ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুক্তিসংগত এই দাবিগুলো মেনে নিলে বন্দীদের মুক্তির পথ তৈরি হবে। গণহত্যা থামাতে যারা নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করছে, রাষ্ট্রের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।’
উল্লেখ্য, এর আগে অ্যালিয়াঞ্জ ও অ্যাভিভা নামে দুটি বড় বিমা প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমসের যুক্তরাজ্য শাখার সঙ্গে তাদের বিমা চুক্তি বাতিল করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি অস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ইউরোপজুড়ে চাপ বাড়ছে।

লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’-এর প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী গ্রেটা থুনবার্গ বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি মাটিতে বসে একটি প্ল্যাকার্ড ধরে ছিলেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—‘আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশন বন্দীদের সমর্থন করি। আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি।’
পুলিশ দাবি করেছে, গ্রেটা থুনবার্গের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডের বার্তাটি সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০০-এর ১৩ ধারায় নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতি সমর্থন প্রকাশের শামিল।
এর আগে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আরও দুই কর্মীকে ‘অপরাধমূলক ক্ষতিসাধনের’ অভিযোগে আটক করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে অ্যাসপেন ইন্স্যুরেন্স নামের ওই ভবনের সামনের অংশে লাল রং ছিটিয়ে দেন। পুলিশ জানায়, হাতুড়ি ও লাল রং ব্যবহার করে ভবনটির ক্ষতি করা হয়েছে।
‘প্রিজনার্স ফর প্যালেস্টাইন’ নামের একটি প্রচারগোষ্ঠী জানিয়েছে, অ্যাসপেন ইন্স্যুরেন্সকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, কারণ প্রতিষ্ঠানটি ইসরায়েলি অস্ত্র প্রস্তুতকারক এলবিট সিস্টেমসের যুক্তরাজ্য শাখাকে বিমা সেবা দিচ্ছিল। সংগঠনটি আরও জানায়, প্যালেস্টাইন অ্যাকশন-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বন্দী বর্তমানে অনশন কর্মসূচিতে রয়েছেন। মোট ৮ জন বন্দী অনশন শুরু করেছিলেন। এর মধ্যে দুজন ৫২ তম দিনে পৌঁছেছেন এবং তাঁদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আশঙ্কাজনক। গুরুতর ঝুঁকির কারণে তিনজন অনশন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেটা থুনবার্গকে পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে আগামী মার্চ মাসে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। তবে অধিকারকর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন—গত এক বছরে হাজারো মানুষ ‘আই সাপোর্ট প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করলেও, গ্রেটার ক্ষেত্রেই কেন সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ করা হলো।
এদিকে অনশনরত বন্দীদের পরিবার ও সমর্থকেরা ব্রিটেনের বিচারমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠকের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, অনশন সংকট নিরসনে বৈঠক না করে সরকার নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করছে। গ্রেটা থুনবার্গ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুক্তিসংগত এই দাবিগুলো মেনে নিলে বন্দীদের মুক্তির পথ তৈরি হবে। গণহত্যা থামাতে যারা নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করছে, রাষ্ট্রের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।’
উল্লেখ্য, এর আগে অ্যালিয়াঞ্জ ও অ্যাভিভা নামে দুটি বড় বিমা প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমসের যুক্তরাজ্য শাখার সঙ্গে তাদের বিমা চুক্তি বাতিল করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি অস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ইউরোপজুড়ে চাপ বাড়ছে।

ভারতের চন্দ্র মিশন অনেকগুলো বিষয়ের আলোচনা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো—ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলো থেকে মেধা পাচার। সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি বলতে গেলে এক প্রকার তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অনেকটাই পিছিয়ে দিচ্ছে
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাশিয়ার ৭৫ বছর বয়সী বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির আর্সেনেভ কেন মস্কোর রেড স্কয়ারে নিজের ওপর আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষা খাতের তীব্র চাপেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন আর্সেনেভ।
৪ ঘণ্টা আগে
জাপানে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশিদের জন্য বসবাসের ন্যূনতম সময় দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, জাপানের নাগরিকত্ব পেতে হলে বিদেশিদের দেশটিতে অন্তত ১০ বছর বসবাস করতে হবে। বর্তমানে এই মেয়াদ পাঁচ বছর।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের কেরালা রাজ্যে সন্তানদের নিজের কাছে রাখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর আইনি লড়াইয়ের এক মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সন্তানদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে দুই শিশুসন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে নিজেরাও আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা ও দাদি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার ৭৫ বছর বয়সী বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির আর্সেনেভ কেন মস্কোর রেড স্কয়ারে নিজের ওপর আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষা খাতের তীব্র চাপেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন আর্সেনেভ।
আর্সেনেভ মূলত মস্কো-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ভোলনা সেন্ট্রাল সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান। এই প্রতিষ্ঠানটি এমন সব হেলমেট রেডিও কন্ট্রোল ডিভাইস উপাদান করে, যেগুলো যুদ্ধ ক্ষেত্রে ট্যাংক ক্রুরা ব্যবহার করেন।
২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের সময় আর্সেনেভের কোম্পানিতে একের পর এক প্রতিরক্ষা আদেশ আসতে থাকে। কিন্তু সেই আদেশগুলো তাঁর কাছে বিষের মতো জটিল ও বিপজ্জনক ছিল বলে জানিয়েছেন রয়টার্সকে। তাঁকে উৎপাদন দ্রুত বাড়াতে হয়েছিল এবং আদেশ অনুযায়ী রেডিও ডিভাইস কন্ট্রোলগুলো রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সময়সীমা এবং মূল্যে ডেলিভারি দিতে হয়েছিল। ব্যর্থতার কোনো সুযোগ ছিল না।
এদিকে ২০২৩ সালের বসন্তে আর্সেনেভের কারখানা উৎপাদনে পিছিয়ে পড়ে এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। সংস্থাটি তখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। এ অবস্থায় ২০২৪ সালে ২৬ জুলাই মস্কোর রেড স্কয়ারে যান আর্সেনেভ। ক্রেমলিনের বাইরেই সোভিয়েত রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা লেনিনের সমাধির কাছে নিজের শরীরে তিনি আগুন ধরিয়ে দেন। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় পরে তিনি কয়েক সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন।
আর্সেনেভ বলেন, ‘আমাদের কাজ ঠিকঠাক চলছে, আমরা আদেশ পূরণ করছি, তারপরও কেন আমরা ডুবে যাচ্ছি। সম্ভবত সমস্যা আছে।’ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর ক্রেমলিন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আর্সেনেভের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
তবে ওই ঘটনায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পের চাপ স্পষ্ট হয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ায় অন্তত ৩৪ জনকে রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা আদেশে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ১১ জনই কোম্পানির প্রধান।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন—ক্রেমলিনের নীতি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রোস্টেকের মাধ্যমে কঠোর নিয়ন্ত্রণ, উদ্ভাবন ও আধুনিকীকরণের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। রেডিও কন্ট্রোল ডিভাইস উৎপাদনের অতিরিক্ত চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল আর্সেনেভের প্রতিষ্ঠান। উৎপাদন বাড়ানোর প্রচেষ্টা এবং সরকারের সঙ্গে মূল্য নিয়ে দর-কষাকষি কোম্পানিটিকে আর্থিক সংকটে ফেলে। একপর্যায়ে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে অক্ষম এই প্রতিষ্ঠানটি মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়ে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পে চাপের উদাহরণ আরও দেখা যায় দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভের বক্তব্যে। ২০২৩ সালের মার্চে শিল্প নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি স্তালিনের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন একটি টেলিগ্রাম পড়ে শোনান, যেখানে সময়মতো অস্ত্র সরবরাহ করতে ব্যর্থ কোম্পানিকে ‘গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে’ বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।
চিকিৎসার মধ্যে থেকেও আর্সেনেভকে এখনো তাঁর দায়িত্ব পালন করে যেতে হচ্ছে। তবে আদালতের শুনানিতে অংশগ্রহণই এখন তাঁর দিনের প্রধান কাজ। এ ছাড়া রেড স্কয়ারের মতো সংবেদনশীল স্থানে অনুমোদনহীন প্রতিবাদ করার জন্য তাঁকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা করা হয়েছে।
এই ঘটনাটি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পে প্রশাসনিক চাপ, সময়সীমার বাধ্যবাধকতা, আর্থিক অস্থিতিশীলতা ও আমলাতন্ত্রের চরম বাস্তবতা তুলে ধরেছে।

রাশিয়ার ৭৫ বছর বয়সী বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির আর্সেনেভ কেন মস্কোর রেড স্কয়ারে নিজের ওপর আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষা খাতের তীব্র চাপেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন আর্সেনেভ।
আর্সেনেভ মূলত মস্কো-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ভোলনা সেন্ট্রাল সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান। এই প্রতিষ্ঠানটি এমন সব হেলমেট রেডিও কন্ট্রোল ডিভাইস উপাদান করে, যেগুলো যুদ্ধ ক্ষেত্রে ট্যাংক ক্রুরা ব্যবহার করেন।
২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের সময় আর্সেনেভের কোম্পানিতে একের পর এক প্রতিরক্ষা আদেশ আসতে থাকে। কিন্তু সেই আদেশগুলো তাঁর কাছে বিষের মতো জটিল ও বিপজ্জনক ছিল বলে জানিয়েছেন রয়টার্সকে। তাঁকে উৎপাদন দ্রুত বাড়াতে হয়েছিল এবং আদেশ অনুযায়ী রেডিও ডিভাইস কন্ট্রোলগুলো রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সময়সীমা এবং মূল্যে ডেলিভারি দিতে হয়েছিল। ব্যর্থতার কোনো সুযোগ ছিল না।
এদিকে ২০২৩ সালের বসন্তে আর্সেনেভের কারখানা উৎপাদনে পিছিয়ে পড়ে এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। সংস্থাটি তখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। এ অবস্থায় ২০২৪ সালে ২৬ জুলাই মস্কোর রেড স্কয়ারে যান আর্সেনেভ। ক্রেমলিনের বাইরেই সোভিয়েত রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা লেনিনের সমাধির কাছে নিজের শরীরে তিনি আগুন ধরিয়ে দেন। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় পরে তিনি কয়েক সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন।
আর্সেনেভ বলেন, ‘আমাদের কাজ ঠিকঠাক চলছে, আমরা আদেশ পূরণ করছি, তারপরও কেন আমরা ডুবে যাচ্ছি। সম্ভবত সমস্যা আছে।’ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর ক্রেমলিন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আর্সেনেভের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
তবে ওই ঘটনায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পের চাপ স্পষ্ট হয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ায় অন্তত ৩৪ জনকে রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা আদেশে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ১১ জনই কোম্পানির প্রধান।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন—ক্রেমলিনের নীতি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রোস্টেকের মাধ্যমে কঠোর নিয়ন্ত্রণ, উদ্ভাবন ও আধুনিকীকরণের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। রেডিও কন্ট্রোল ডিভাইস উৎপাদনের অতিরিক্ত চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল আর্সেনেভের প্রতিষ্ঠান। উৎপাদন বাড়ানোর প্রচেষ্টা এবং সরকারের সঙ্গে মূল্য নিয়ে দর-কষাকষি কোম্পানিটিকে আর্থিক সংকটে ফেলে। একপর্যায়ে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে অক্ষম এই প্রতিষ্ঠানটি মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়ে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পে চাপের উদাহরণ আরও দেখা যায় দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভের বক্তব্যে। ২০২৩ সালের মার্চে শিল্প নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি স্তালিনের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন একটি টেলিগ্রাম পড়ে শোনান, যেখানে সময়মতো অস্ত্র সরবরাহ করতে ব্যর্থ কোম্পানিকে ‘গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে’ বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।
চিকিৎসার মধ্যে থেকেও আর্সেনেভকে এখনো তাঁর দায়িত্ব পালন করে যেতে হচ্ছে। তবে আদালতের শুনানিতে অংশগ্রহণই এখন তাঁর দিনের প্রধান কাজ। এ ছাড়া রেড স্কয়ারের মতো সংবেদনশীল স্থানে অনুমোদনহীন প্রতিবাদ করার জন্য তাঁকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা করা হয়েছে।
এই ঘটনাটি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পে প্রশাসনিক চাপ, সময়সীমার বাধ্যবাধকতা, আর্থিক অস্থিতিশীলতা ও আমলাতন্ত্রের চরম বাস্তবতা তুলে ধরেছে।

ভারতের চন্দ্র মিশন অনেকগুলো বিষয়ের আলোচনা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো—ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলো থেকে মেধা পাচার। সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি বলতে গেলে এক প্রকার তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অনেকটাই পিছিয়ে দিচ্ছে
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগে
জাপানে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশিদের জন্য বসবাসের ন্যূনতম সময় দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, জাপানের নাগরিকত্ব পেতে হলে বিদেশিদের দেশটিতে অন্তত ১০ বছর বসবাস করতে হবে। বর্তমানে এই মেয়াদ পাঁচ বছর।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের কেরালা রাজ্যে সন্তানদের নিজের কাছে রাখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর আইনি লড়াইয়ের এক মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সন্তানদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে দুই শিশুসন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে নিজেরাও আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা ও দাদি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশিদের জন্য বসবাসের ন্যূনতম সময় দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, জাপানের নাগরিকত্ব পেতে হলে বিদেশিদের দেশটিতে অন্তত ১০ বছর বসবাস করতে হবে। বর্তমানে এই মেয়াদ পাঁচ বছর। একই সঙ্গে নাগরিকত্ব ও স্থায়ী বসবাসের ক্ষেত্রে ভাষা দক্ষতা এবং ভালো আচরণকে বাধ্যতামূলক শর্ত হিসেবে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, আগামী বছরের মধ্যেই জাপানের অভিবাসন নীতির বড় ধরনের সংস্কার কার্যকর হতে পারে। দেশটির ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দল ‘নিপ্পন ইশিন’ বিদ্যমান নাগরিকত্ব নীতিকে ‘অতিরিক্ত শিথিল’ আখ্যা দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি পর্যালোচনার নির্দেশ দেন।
গত ৪ ডিসেম্বর তাকাইচির দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির এক বৈঠকে উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে—নাগরিকত্ব অনুমোদন শুধু বসবাসের সময়ের ওপর নির্ভর করবে না; আবেদনকারীর আচরণ, জীবিকা নির্বাহের সক্ষমতা এবং আয়ের স্থায়িত্বও বিবেচনায় নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপক ক্ষমতা থাকবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাতে।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ‘নিপ্পন ইশিন’ দলের পক্ষ থেকে বিচার মন্ত্রণালয়ে বিদ্যমান নীতির তুলনায় আরও কঠোর পদক্ষেপের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবে বিদেশি বাসিন্দার সংখ্যা সীমিত করা এবং কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের সুযোগ রাখার কথাও বলা হয়। তবে আরও কট্টর অবস্থান নেয় অতি ডানপন্থী সানসেইতো পার্টি। তারা ‘কিকাজিন’ বা নাগরিকত্ব পাওয়া বিদেশিদের নির্বাচনে প্রার্থী হতে না দেওয়ার ঘোষণা দেয়। সে সময় তারা অভিযোগ করে, সরকার জাতিগত জাপানিদের চেয়ে বিদেশিদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
তবে প্রস্তাবিত নিয়মে কিছু ব্যতিক্রম রাখার কথাও বলা হয়েছে। যেমন—জাপানে বহু বছর ধরে খেলাধুলায় প্রতিনিধিত্ব করা ক্রীড়াবিদেরা ১০ বছরের শর্ত পূরণ না করলেও নাগরিকত্ব পেতে পারেন। বিচার মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ১২ হাজার ২৪৮টি নাগরিকত্ব আবেদন জমা পড়ে, যার মধ্যে ৮ হাজার ৮৬৩টি অনুমোদিত হয়।
এ ছাড়া স্থায়ী বসবাসের আবেদনকারীদের জন্য জাপানি ভাষা ও নাগরিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। এই প্রস্তাব ঘিরে দেশটির অনলাইনে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই নীতির সমর্থকদের মতে, দীর্ঘমেয়াদি বাসিন্দাদের জন্য এসব শর্ত যুক্তিসংগত। তবে সমালোচকেরা বলছেন, শ্রম ঘাটতিতে ভোগা জাপানে অভিবাসন নিরুৎসাহিত করতে রক্ষণশীল সরকার নতুন বাধা তৈরি করছে।
আসাহি শিম্বুন জানিয়েছে, প্রস্তাবিত ‘সামাজিক অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচির’ লক্ষ্য হলো বিদেশিদের ভাষাজ্ঞান ও মৌলিক সামাজিক ধারণা জোরদার করা, যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি কমে এবং বাড়তে থাকা বিদেশি-বিরোধী মনোভাব নিয়ন্ত্রণে আসে। এই উদ্যোগের আওতায় জাপানি ভাষায় দুর্বল শিশুদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগে সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে।
২০১৫ সালে জাপানে বিদেশি বাসিন্দার সংখ্যা ছিল প্রায় ২২ লাখ ৩০ হাজার। ২০২৫ সালের জুনে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩৯ লাখ ৫০ হাজারে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩ শতাংশ। এর মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ৩০ হাজার বিদেশি স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা পেয়েছেন।

জাপানে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশিদের জন্য বসবাসের ন্যূনতম সময় দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, জাপানের নাগরিকত্ব পেতে হলে বিদেশিদের দেশটিতে অন্তত ১০ বছর বসবাস করতে হবে। বর্তমানে এই মেয়াদ পাঁচ বছর। একই সঙ্গে নাগরিকত্ব ও স্থায়ী বসবাসের ক্ষেত্রে ভাষা দক্ষতা এবং ভালো আচরণকে বাধ্যতামূলক শর্ত হিসেবে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, আগামী বছরের মধ্যেই জাপানের অভিবাসন নীতির বড় ধরনের সংস্কার কার্যকর হতে পারে। দেশটির ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দল ‘নিপ্পন ইশিন’ বিদ্যমান নাগরিকত্ব নীতিকে ‘অতিরিক্ত শিথিল’ আখ্যা দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি পর্যালোচনার নির্দেশ দেন।
গত ৪ ডিসেম্বর তাকাইচির দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির এক বৈঠকে উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে—নাগরিকত্ব অনুমোদন শুধু বসবাসের সময়ের ওপর নির্ভর করবে না; আবেদনকারীর আচরণ, জীবিকা নির্বাহের সক্ষমতা এবং আয়ের স্থায়িত্বও বিবেচনায় নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপক ক্ষমতা থাকবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাতে।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ‘নিপ্পন ইশিন’ দলের পক্ষ থেকে বিচার মন্ত্রণালয়ে বিদ্যমান নীতির তুলনায় আরও কঠোর পদক্ষেপের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবে বিদেশি বাসিন্দার সংখ্যা সীমিত করা এবং কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের সুযোগ রাখার কথাও বলা হয়। তবে আরও কট্টর অবস্থান নেয় অতি ডানপন্থী সানসেইতো পার্টি। তারা ‘কিকাজিন’ বা নাগরিকত্ব পাওয়া বিদেশিদের নির্বাচনে প্রার্থী হতে না দেওয়ার ঘোষণা দেয়। সে সময় তারা অভিযোগ করে, সরকার জাতিগত জাপানিদের চেয়ে বিদেশিদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
তবে প্রস্তাবিত নিয়মে কিছু ব্যতিক্রম রাখার কথাও বলা হয়েছে। যেমন—জাপানে বহু বছর ধরে খেলাধুলায় প্রতিনিধিত্ব করা ক্রীড়াবিদেরা ১০ বছরের শর্ত পূরণ না করলেও নাগরিকত্ব পেতে পারেন। বিচার মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ১২ হাজার ২৪৮টি নাগরিকত্ব আবেদন জমা পড়ে, যার মধ্যে ৮ হাজার ৮৬৩টি অনুমোদিত হয়।
এ ছাড়া স্থায়ী বসবাসের আবেদনকারীদের জন্য জাপানি ভাষা ও নাগরিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। এই প্রস্তাব ঘিরে দেশটির অনলাইনে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই নীতির সমর্থকদের মতে, দীর্ঘমেয়াদি বাসিন্দাদের জন্য এসব শর্ত যুক্তিসংগত। তবে সমালোচকেরা বলছেন, শ্রম ঘাটতিতে ভোগা জাপানে অভিবাসন নিরুৎসাহিত করতে রক্ষণশীল সরকার নতুন বাধা তৈরি করছে।
আসাহি শিম্বুন জানিয়েছে, প্রস্তাবিত ‘সামাজিক অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচির’ লক্ষ্য হলো বিদেশিদের ভাষাজ্ঞান ও মৌলিক সামাজিক ধারণা জোরদার করা, যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি কমে এবং বাড়তে থাকা বিদেশি-বিরোধী মনোভাব নিয়ন্ত্রণে আসে। এই উদ্যোগের আওতায় জাপানি ভাষায় দুর্বল শিশুদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগে সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে।
২০১৫ সালে জাপানে বিদেশি বাসিন্দার সংখ্যা ছিল প্রায় ২২ লাখ ৩০ হাজার। ২০২৫ সালের জুনে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩৯ লাখ ৫০ হাজারে, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩ শতাংশ। এর মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ৩০ হাজার বিদেশি স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা পেয়েছেন।

ভারতের চন্দ্র মিশন অনেকগুলো বিষয়ের আলোচনা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো—ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলো থেকে মেধা পাচার। সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি বলতে গেলে এক প্রকার তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অনেকটাই পিছিয়ে দিচ্ছে
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগে
রাশিয়ার ৭৫ বছর বয়সী বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির আর্সেনেভ কেন মস্কোর রেড স্কয়ারে নিজের ওপর আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষা খাতের তীব্র চাপেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন আর্সেনেভ।
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের কেরালা রাজ্যে সন্তানদের নিজের কাছে রাখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর আইনি লড়াইয়ের এক মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সন্তানদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে দুই শিশুসন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে নিজেরাও আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা ও দাদি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের কেরালা রাজ্যে সন্তানদের নিজের কাছে রাখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর আইনি লড়াইয়ের এক মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সন্তানদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে দুই শিশুসন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে নিজেরাও আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা ও দাদি। কেরালার কান্নুর জেলার পায়্যানুরের রামান্থালিতে এ ঘটনা ঘটে।
তদন্তকারী কর্মকর্তাদের প্রাথমিক তথ্যের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত কালাধরন এবং তাঁর মা উষা দুই শিশুকে দুধের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাইয়েছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দুধের বোতল এবং কীটনাশকের খালি শিশি উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সন্তানদের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর কালাধরন ও উষা একই বিষ পান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। গতকাল সোমবার সকালে প্রতিবেশীরা দীর্ঘক্ষণ ঘর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দিলে এই আত্মহত্যার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
কালাধরন এবং তাঁর স্ত্রী নয়নতারা দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহের জেরে আলাদা বসবাস করছিলেন। তাঁদের দুই শিশুসন্তান কালাধরন ও তাঁর মা উষার কাছেই ছিল। সন্তানদের নিজের হেফাজতে পেতে নয়নতারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত নয়নতারার পক্ষে রায় দেন এবং সোমবারের মধ্যে সন্তানদের তাঁর কাছে হস্তান্তরের সময়সীমা বেঁধে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রোববার রাতেই স্থানীয় থানা থেকে কালাধরনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল যাতে সোমবার সকালে কোনো ঝামেলা ছাড়াই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। কিন্তু সন্তানদের মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি কালাধরন ও তাঁর মা।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। সেখানে সন্তানদের বিচ্ছেদ সহ্য করতে না পারা এবং আদালতের আদেশের প্রতি তাঁদের ক্ষোভ ও মানসিক যন্ত্রণার কথা উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ বর্তমানে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’র মামলা করেছে। কান্নুর জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং আবেগতাড়িত হত্যাকাণ্ড। আইনি নির্দেশ অমান্য করার চরম পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা।’
পায়্যানুর এলাকায় এ ঘটনার পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রতিবেশীদের ভাষ্যমতে, কালাধরন সন্তানদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন, কিন্তু সেই ভালোবাসার এমন নৃশংস রূপ কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ ঘটনা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকে বলছেন, বড়দের দ্বন্দ্বে এভাবে নিরপরাধ শিশুদের প্রাণ যাওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
পুলিশ শিশুদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।

ভারতের কেরালা রাজ্যে সন্তানদের নিজের কাছে রাখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর আইনি লড়াইয়ের এক মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সন্তানদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে দুই শিশুসন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে নিজেরাও আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা ও দাদি। কেরালার কান্নুর জেলার পায়্যানুরের রামান্থালিতে এ ঘটনা ঘটে।
তদন্তকারী কর্মকর্তাদের প্রাথমিক তথ্যের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত কালাধরন এবং তাঁর মা উষা দুই শিশুকে দুধের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাইয়েছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দুধের বোতল এবং কীটনাশকের খালি শিশি উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সন্তানদের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর কালাধরন ও উষা একই বিষ পান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। গতকাল সোমবার সকালে প্রতিবেশীরা দীর্ঘক্ষণ ঘর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দিলে এই আত্মহত্যার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
কালাধরন এবং তাঁর স্ত্রী নয়নতারা দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহের জেরে আলাদা বসবাস করছিলেন। তাঁদের দুই শিশুসন্তান কালাধরন ও তাঁর মা উষার কাছেই ছিল। সন্তানদের নিজের হেফাজতে পেতে নয়নতারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত নয়নতারার পক্ষে রায় দেন এবং সোমবারের মধ্যে সন্তানদের তাঁর কাছে হস্তান্তরের সময়সীমা বেঁধে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রোববার রাতেই স্থানীয় থানা থেকে কালাধরনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল যাতে সোমবার সকালে কোনো ঝামেলা ছাড়াই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। কিন্তু সন্তানদের মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি কালাধরন ও তাঁর মা।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। সেখানে সন্তানদের বিচ্ছেদ সহ্য করতে না পারা এবং আদালতের আদেশের প্রতি তাঁদের ক্ষোভ ও মানসিক যন্ত্রণার কথা উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ বর্তমানে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’র মামলা করেছে। কান্নুর জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং আবেগতাড়িত হত্যাকাণ্ড। আইনি নির্দেশ অমান্য করার চরম পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা।’
পায়্যানুর এলাকায় এ ঘটনার পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রতিবেশীদের ভাষ্যমতে, কালাধরন সন্তানদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন, কিন্তু সেই ভালোবাসার এমন নৃশংস রূপ কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ ঘটনা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকে বলছেন, বড়দের দ্বন্দ্বে এভাবে নিরপরাধ শিশুদের প্রাণ যাওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
পুলিশ শিশুদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।

ভারতের চন্দ্র মিশন অনেকগুলো বিষয়ের আলোচনা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো—ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলো থেকে মেধা পাচার। সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি বলতে গেলে এক প্রকার তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অনেকটাই পিছিয়ে দিচ্ছে
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থী এক বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে (২৩ ডিসেম্বর) লন্ডনের ফেনচার্চ স্ট্রিটে একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগে
রাশিয়ার ৭৫ বছর বয়সী বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির আর্সেনেভ কেন মস্কোর রেড স্কয়ারে নিজের ওপর আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষা খাতের তীব্র চাপেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন আর্সেনেভ।
৪ ঘণ্টা আগে
জাপানে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশিদের জন্য বসবাসের ন্যূনতম সময় দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, জাপানের নাগরিকত্ব পেতে হলে বিদেশিদের দেশটিতে অন্তত ১০ বছর বসবাস করতে হবে। বর্তমানে এই মেয়াদ পাঁচ বছর।
৫ ঘণ্টা আগে