নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বেলা ৩টা ৩৫ মিনিট। বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে ঢোকেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ করা হয় তিন থেকে চার জন অনুসারী নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করার জন্য।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান, বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
এভাবে শ্লেষাত্মক কথা বলে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন কিছু যুবক। তখন হিরো আলম কিছুটা ঘাবড়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বেরিয়ে এসে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে হিরো আলমকে কেন্দ্রের বারান্দা থেকে বাইরে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের মাঠে নিয়ে যায়। মাঠেই পুলিশের সামনে একদফা কিল, ঘুষি ও চড়–থাপ্পড় মারা হয় তাঁকে।
হিরো আলমের ওপর হামলার শুরুর দিকের ঘটনা আজকের পত্রিকার কাছে এভাবেই বর্ণনা করেন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের চিত্র সাংবাদিক। তিনি সোমবার (১৭ জুলাই) দিনভর হিরো আলমকে অনুসরণ করেছেন।
‘হিরো আলমের ওপর হামলার আগে বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ কারণে ওই সময় সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তবু পুলিশ বেশি কিছু করেনি। পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ ছিল।’ যোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী ওই চিত্র সাংবাদিক।
তিনি দাবি করেন, মাঠে যখন প্রথমবার হিরো আলমের ওপর হামলা হয়, তখন পাশেই দাঁড়ানো ছিল বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি গাড়ি। তাঁদের কাছেও সাহায্য চান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। কিন্তু তাঁরা নির্বিকার ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জোবাইদুল ও শরীফ নিয়াজী নামে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা হিরো আলমকে নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে কেন্দ্রের মাঠ থেকে গেটের বাইরে এনে ছেড়ে দেন। এর পরই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হিরো আলমকে দফায় দফায় পেটানো হয়। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। হিরো আলমের সঙ্গে থাকা সমর্থক ও বেশ কয়েকজন ইউটিউবারকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হিরো আলমকে লাথি মারেন একজন। পেটে লাথি খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। তাঁর পরনের কটি ছিঁড়ে ফেলা হয়। এরপর হিরো আলমকে ঘিরে ধরে আরও এক দফা পেটান নৌকার ব্যাজধারীরা। তাঁকে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে মারতে ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তা থেকে মূল সড়কের দিকে ধাওয়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ধাওয়া খেয়ে কয়েকবার পথচারী ও রিকশাচালকদের সাহায্য প্রার্থনা করলে কেউ সাড়া দননি। একটি রিকশায় উঠলে সেই রিকশার ওপরেও তাঁকে মারধর করা হয়। তখন কানে ও মাথায় হাত দিয়ে হিরো আলম প্রাণপণে ছুটতে থাকেন।
যা বলছেন ডিএমপি কমিশনার
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিরো আলম অনেক লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ তখন তাঁকে এত লোক নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করে। আইনেও নাই এত লোক নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন। তাই কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ তাঁকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। কেন্দ্রের সামনেই তাঁর গাড়ি ছিল। কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ তো কেন্দ্র অনিরাপদ রেখে তাঁর সঙ্গে যেতে পারে না!’
এর আগে গত ৪ জুলাই নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ অন্যদের সঙ্গে বসেছিল। আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম। আপনারা ১৭ তারিখের নির্বাচন দেখেন, আমাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ পান কি না। যদি না পান, তখন আমাকে বইলেন। তখন আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নাকে খত দিয়ে চলে যাব।’
কতটা আঘাত পেয়েছেন হিরো আলম?
হামলার পরপরই চিকিৎসার জন্য বেটার লাইফ হাসপাতালে যান আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ডা. রাজীব। তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের শরীরে কোনো কাটা-ছেঁড়া নেই। তাঁর বুকে, পেটে, পিঠে, মুখে কিল-ঘুষির জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এই হাসপাতালে চিকিৎসাকালীন পুরো সময়টা হিরো আলমকে অনুসরণ করা এক গণমাধ্যমকর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদকর্মী ও ইউটিউবারদের ভিড়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিরো আলমকে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এ কারণে তাঁর কাছ থেকে কোনো বিলও রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
গ্রেপ্তার চার, অভিযান অব্যাহত
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা। পুলিশ বলছে, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বিদেশিদের চিঠি দেবেন হিরো আলম
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন হিরো আলম। হামলার ঘটনা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি। ইসি আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকাসহ সব দূতাবাসে চিঠি দিব।’
ঢাকার গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে সোমবার। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আরাফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন হিরো আলম।
বগুড়ার কাহালুর ছেলে আশরাফুল হোসেন আলম এখন হিরো আলম নামেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে সারা দেশে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা হিরো আলম গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।

বেলা ৩টা ৩৫ মিনিট। বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে ঢোকেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ করা হয় তিন থেকে চার জন অনুসারী নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করার জন্য।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান, বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
এভাবে শ্লেষাত্মক কথা বলে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন কিছু যুবক। তখন হিরো আলম কিছুটা ঘাবড়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বেরিয়ে এসে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে হিরো আলমকে কেন্দ্রের বারান্দা থেকে বাইরে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের মাঠে নিয়ে যায়। মাঠেই পুলিশের সামনে একদফা কিল, ঘুষি ও চড়–থাপ্পড় মারা হয় তাঁকে।
হিরো আলমের ওপর হামলার শুরুর দিকের ঘটনা আজকের পত্রিকার কাছে এভাবেই বর্ণনা করেন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের চিত্র সাংবাদিক। তিনি সোমবার (১৭ জুলাই) দিনভর হিরো আলমকে অনুসরণ করেছেন।
‘হিরো আলমের ওপর হামলার আগে বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ কারণে ওই সময় সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তবু পুলিশ বেশি কিছু করেনি। পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ ছিল।’ যোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী ওই চিত্র সাংবাদিক।
তিনি দাবি করেন, মাঠে যখন প্রথমবার হিরো আলমের ওপর হামলা হয়, তখন পাশেই দাঁড়ানো ছিল বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি গাড়ি। তাঁদের কাছেও সাহায্য চান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। কিন্তু তাঁরা নির্বিকার ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জোবাইদুল ও শরীফ নিয়াজী নামে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা হিরো আলমকে নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে কেন্দ্রের মাঠ থেকে গেটের বাইরে এনে ছেড়ে দেন। এর পরই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হিরো আলমকে দফায় দফায় পেটানো হয়। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। হিরো আলমের সঙ্গে থাকা সমর্থক ও বেশ কয়েকজন ইউটিউবারকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হিরো আলমকে লাথি মারেন একজন। পেটে লাথি খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। তাঁর পরনের কটি ছিঁড়ে ফেলা হয়। এরপর হিরো আলমকে ঘিরে ধরে আরও এক দফা পেটান নৌকার ব্যাজধারীরা। তাঁকে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে মারতে ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তা থেকে মূল সড়কের দিকে ধাওয়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ধাওয়া খেয়ে কয়েকবার পথচারী ও রিকশাচালকদের সাহায্য প্রার্থনা করলে কেউ সাড়া দননি। একটি রিকশায় উঠলে সেই রিকশার ওপরেও তাঁকে মারধর করা হয়। তখন কানে ও মাথায় হাত দিয়ে হিরো আলম প্রাণপণে ছুটতে থাকেন।
যা বলছেন ডিএমপি কমিশনার
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিরো আলম অনেক লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ তখন তাঁকে এত লোক নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করে। আইনেও নাই এত লোক নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন। তাই কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ তাঁকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। কেন্দ্রের সামনেই তাঁর গাড়ি ছিল। কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ তো কেন্দ্র অনিরাপদ রেখে তাঁর সঙ্গে যেতে পারে না!’
এর আগে গত ৪ জুলাই নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ অন্যদের সঙ্গে বসেছিল। আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম। আপনারা ১৭ তারিখের নির্বাচন দেখেন, আমাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ পান কি না। যদি না পান, তখন আমাকে বইলেন। তখন আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নাকে খত দিয়ে চলে যাব।’
কতটা আঘাত পেয়েছেন হিরো আলম?
হামলার পরপরই চিকিৎসার জন্য বেটার লাইফ হাসপাতালে যান আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ডা. রাজীব। তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের শরীরে কোনো কাটা-ছেঁড়া নেই। তাঁর বুকে, পেটে, পিঠে, মুখে কিল-ঘুষির জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এই হাসপাতালে চিকিৎসাকালীন পুরো সময়টা হিরো আলমকে অনুসরণ করা এক গণমাধ্যমকর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদকর্মী ও ইউটিউবারদের ভিড়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিরো আলমকে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এ কারণে তাঁর কাছ থেকে কোনো বিলও রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
গ্রেপ্তার চার, অভিযান অব্যাহত
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা। পুলিশ বলছে, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বিদেশিদের চিঠি দেবেন হিরো আলম
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন হিরো আলম। হামলার ঘটনা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি। ইসি আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকাসহ সব দূতাবাসে চিঠি দিব।’
ঢাকার গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে সোমবার। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আরাফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন হিরো আলম।
বগুড়ার কাহালুর ছেলে আশরাফুল হোসেন আলম এখন হিরো আলম নামেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে সারা দেশে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা হিরো আলম গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।

এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
৭ মিনিট আগে
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
১০ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়
২৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ডিএমপির হাতে সবশেষ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. জাকির হোসেন শান্ত (২৯), মো. স্বপন মন্ডল (৩০) ও নিয়াজ মাহমুদ ফারহান (২১)।
আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি।
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা হামলা করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে–তাদের উদ্দেশ্য ছিল, সেখানকার কর্মকর্তা–কর্মচারী ও সাংবাদিকদের পুড়িয়ে হত্যা করা। শহীদ হাদির (ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক) হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার দৃঢ় সংকল্প ছিল তাদের।’
গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
পরে হামলাকারীরা ফার্মগেটে গিয়ে ডেইলি স্টার ভবন ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০ থেকে ৪৫০ জনকে আসামি করে গত রোববার মামলা করেন প্রথম আলোর হেড অব সিকিউরিটি মেজর অবসরপ্রাপ্ত মো. সাজ্জাদুল কবির। পরদিন পত্রিকাটির হেড অব অপারেশন মিজানুর রহমানও বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
দুই মামলায় অভিযোগ করা হয়, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে, ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট করে।
এতে প্রথম আলোর ৩২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। ডেইলি স্টারের ক্ষতির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা।
সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ধারা ছাড়াও উভয় মামলায় দণ্ডবিধি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারাও যোগ করা হয়।

দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ডিএমপির হাতে সবশেষ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. জাকির হোসেন শান্ত (২৯), মো. স্বপন মন্ডল (৩০) ও নিয়াজ মাহমুদ ফারহান (২১)।
আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি।
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা হামলা করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে–তাদের উদ্দেশ্য ছিল, সেখানকার কর্মকর্তা–কর্মচারী ও সাংবাদিকদের পুড়িয়ে হত্যা করা। শহীদ হাদির (ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক) হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার দৃঢ় সংকল্প ছিল তাদের।’
গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
পরে হামলাকারীরা ফার্মগেটে গিয়ে ডেইলি স্টার ভবন ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০ থেকে ৪৫০ জনকে আসামি করে গত রোববার মামলা করেন প্রথম আলোর হেড অব সিকিউরিটি মেজর অবসরপ্রাপ্ত মো. সাজ্জাদুল কবির। পরদিন পত্রিকাটির হেড অব অপারেশন মিজানুর রহমানও বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
দুই মামলায় অভিযোগ করা হয়, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়, ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে, ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট করে।
এতে প্রথম আলোর ৩২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। ডেইলি স্টারের ক্ষতির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা।
সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ধারা ছাড়াও উভয় মামলায় দণ্ডবিধি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারাও যোগ করা হয়।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান-বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
১৮ জুলাই ২০২৩
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
১০ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়
২৮ মিনিট আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও কনস্টেবল মেহেদী হাসান।
ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন বলেন, বেতনা নদীর খনন করা মাটি নেহালপুর ও পাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে লুটপাট করে আসছিল একটি মহল। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরের এক ঠিকাদার নেহালপুর এলাকার বেতনা নদীর ওই মাটি কিনেছেন বলে পুলিশ জানতে পারে। বুধবার ভোরে পুলিশ মাটি কাটতে বাধা দেয়। এ সময় এসআই সোহরাবের ওপর চড়াও হন কেসমত ও তার সহযোগীরা।
একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে তিনি ট্রলিভর্তি মাটিসহ কেসমতকে ধরে ফাঁড়িতে আটকে রাখেন। ফাঁড়িতে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে কেসমতের ভাই রহমত, স্ত্রী শাহানারা ও ভাতিজা বাবুরালীসহ ৩০-৩৫ জন ফাঁড়িতে হামলা চালান। তারা কেসমতকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও সিপাহী মেহেদী হাসান বাধা দেন। হামলাকারীরা তাঁদের পিটিয়ে জখম করে কেসমতকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে কেসমত হোসেন স্বীকার করেন পুলিশের নিষেধ অমান্য করে তিনি সকালে বেতনার মাটি কাটছিলেন। কেসমত বলেন, আমাকে ধরে আনার পর আর কখনো মাটি কাটবেন না বলার পরও ফাঁড়ির কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন আমাকে মারধর করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় কেসমতসহ আটজনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন মামলা করেছেন।’

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও কনস্টেবল মেহেদী হাসান।
ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন বলেন, বেতনা নদীর খনন করা মাটি নেহালপুর ও পাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে লুটপাট করে আসছিল একটি মহল। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরের এক ঠিকাদার নেহালপুর এলাকার বেতনা নদীর ওই মাটি কিনেছেন বলে পুলিশ জানতে পারে। বুধবার ভোরে পুলিশ মাটি কাটতে বাধা দেয়। এ সময় এসআই সোহরাবের ওপর চড়াও হন কেসমত ও তার সহযোগীরা।
একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে তিনি ট্রলিভর্তি মাটিসহ কেসমতকে ধরে ফাঁড়িতে আটকে রাখেন। ফাঁড়িতে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে কেসমতের ভাই রহমত, স্ত্রী শাহানারা ও ভাতিজা বাবুরালীসহ ৩০-৩৫ জন ফাঁড়িতে হামলা চালান। তারা কেসমতকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সহকারী উপপরিদর্শক মাহাবুর রহমান ও সিপাহী মেহেদী হাসান বাধা দেন। হামলাকারীরা তাঁদের পিটিয়ে জখম করে কেসমতকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে কেসমত হোসেন স্বীকার করেন পুলিশের নিষেধ অমান্য করে তিনি সকালে বেতনার মাটি কাটছিলেন। কেসমত বলেন, আমাকে ধরে আনার পর আর কখনো মাটি কাটবেন না বলার পরও ফাঁড়ির কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেন আমাকে মারধর করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় কেসমতসহ আটজনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত হোসেন মামলা করেছেন।’

পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান-বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
১৮ জুলাই ২০২৩
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
৭ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়
২৮ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ডামি নির্বাচনে ঈগল প্রতীকে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত আসামির অন্তবর্তীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগে মো. আমীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি গত ১৫ এপ্রিল ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর চলতি বছরের ২৩ জুন আদালতের নির্দেশে ফুলপুর থানা পুলিশ মামলাটি এফআইআরভুক্ত করেন। এ ঘটনার পর থেকে মামলার আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেন- ঘটনার দিন ফুলপুর পৌর এলাকায় শাহ শহীদ সারোয়ারের নেতৃত্বে মামলার আসামিরা বিস্ফোরণ দ্রব্যাদি এবং আগ্নেয়াস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। এতে আমি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হই।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ডামি নির্বাচনে ঈগল প্রতীকে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত আসামির অন্তবর্তীকালীন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগে মো. আমীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি গত ১৫ এপ্রিল ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর চলতি বছরের ২৩ জুন আদালতের নির্দেশে ফুলপুর থানা পুলিশ মামলাটি এফআইআরভুক্ত করেন। এ ঘটনার পর থেকে মামলার আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেন- ঘটনার দিন ফুলপুর পৌর এলাকায় শাহ শহীদ সারোয়ারের নেতৃত্বে মামলার আসামিরা বিস্ফোরণ দ্রব্যাদি এবং আগ্নেয়াস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। এতে আমি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হই।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান-বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
১৮ জুলাই ২০২৩
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
৭ মিনিট আগে
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
১০ মিনিট আগে
বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়
২৮ মিনিট আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়।
ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরতলির বারোপুর ফ্লাইওভারের পাশে এমআর ব্রাদার্স সিএনজি ফিলিং স্টেশন এবং একই মালিকের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ডিসট্রিবিউশন কেন্দ্রে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের মালিক মাহমুদুর রহমান শিপন ও ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ১০-১২ জনের মুখোশ পরা ডাকাত দল হলুদ রঙের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ঢোকে। এ সময় কর্মচারীরা এগিয়ে গেলে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁদের হাত-পা বেঁধে ফেলে।
এরপর ক্যাশ কাউন্টার থেকে ৪৩ হাজার ৩৮২ টাকা ৮টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ডাকাত দল ওই প্রতিষ্ঠানের পেছনে একই মালিকের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ডিসট্রিবিউশন কেন্দ্রে ঢোকে।
তারা প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী রেজাউল করিমের ওপর চড়াও হয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং তাঁর কাছে থাকা ১০টি গুলিসহ শটগান ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর ভেতরে ঢুকে মালামাল তছনছ করে পিকআপ নিয়ে বনানীর দিকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ভোররাত ৪টার দিকে টহল পুলিশ মহাসড়কে পিকআপটিকে সন্দেহ করে থামানোর সংকেত দিলে দ্রুতগতিতে সেটি চলে যায়। পরে বেতার বার্তায় সংবাদ পেয়ে পুলিশ বনানী, শাকপালাসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসায়।
অপরদিকে সদর থানা-পুলিশের একটি দল পিকআপটিকে পিছু ধাওয়া করলে ডাকাত দল নাটোর রোডে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাকপালা মোড় থেকে ঘুরিয়ে আবারও বারোপুরের দিকে যেতে থাকে। ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম পিকআপটির পিছু ধাওয়া করলে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
এ সময় পুলিশ ডাকাত দলকে লক্ষ্য করে চারটি রাবার বুলেট ছোড়ে। একপর্যায় ডাকাত দল গোকুল এলাকায় একটি ফিডার রোডে পিকআপটি রেখে অন্ধকারে গ্রামের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিত্যক্ত পিকআপটি জব্দ করে এবং ট্রাকে পড়ে থাকা চারটি গুলি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া পিকআপটির সূত্র ধরে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।

বগুড়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র-গুলি, টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি গুলি ছুড়লেও ডাকাতেরা পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়ে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়।
ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরতলির বারোপুর ফ্লাইওভারের পাশে এমআর ব্রাদার্স সিএনজি ফিলিং স্টেশন এবং একই মালিকের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ডিসট্রিবিউশন কেন্দ্রে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের মালিক মাহমুদুর রহমান শিপন ও ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ১০-১২ জনের মুখোশ পরা ডাকাত দল হলুদ রঙের একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ঢোকে। এ সময় কর্মচারীরা এগিয়ে গেলে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁদের হাত-পা বেঁধে ফেলে।
এরপর ক্যাশ কাউন্টার থেকে ৪৩ হাজার ৩৮২ টাকা ৮টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ডাকাত দল ওই প্রতিষ্ঠানের পেছনে একই মালিকের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির ডিসট্রিবিউশন কেন্দ্রে ঢোকে।
তারা প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী রেজাউল করিমের ওপর চড়াও হয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং তাঁর কাছে থাকা ১০টি গুলিসহ শটগান ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর ভেতরে ঢুকে মালামাল তছনছ করে পিকআপ নিয়ে বনানীর দিকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ভোররাত ৪টার দিকে টহল পুলিশ মহাসড়কে পিকআপটিকে সন্দেহ করে থামানোর সংকেত দিলে দ্রুতগতিতে সেটি চলে যায়। পরে বেতার বার্তায় সংবাদ পেয়ে পুলিশ বনানী, শাকপালাসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসায়।
অপরদিকে সদর থানা-পুলিশের একটি দল পিকআপটিকে পিছু ধাওয়া করলে ডাকাত দল নাটোর রোডে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাকপালা মোড় থেকে ঘুরিয়ে আবারও বারোপুরের দিকে যেতে থাকে। ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম পিকআপটির পিছু ধাওয়া করলে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
এ সময় পুলিশ ডাকাত দলকে লক্ষ্য করে চারটি রাবার বুলেট ছোড়ে। একপর্যায় ডাকাত দল গোকুল এলাকায় একটি ফিডার রোডে পিকআপটি রেখে অন্ধকারে গ্রামের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিত্যক্ত পিকআপটি জব্দ করে এবং ট্রাকে পড়ে থাকা চারটি গুলি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া পিকআপটির সূত্র ধরে জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান-বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
১৮ জুলাই ২০২৩
এদিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং একই সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত সবাইকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সংগঠনটির নেতারা আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান।
৭ মিনিট আগে
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে বেতনা নদীর খনন করা মাটি লুটের ঘটনায় আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম কেসমত আলী। এ ঘটনায় পুলিশ ফাঁড়ির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এই
১০ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাহ শহীদ সারোয়ারের (৬৫) অন্তবর্তীকালীন জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৯ মিনিট আগে