নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বেলা ৩টা ৩৫ মিনিট। বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে ঢোকেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ করা হয় তিন থেকে চার জন অনুসারী নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করার জন্য।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান, বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
এভাবে শ্লেষাত্মক কথা বলে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন কিছু যুবক। তখন হিরো আলম কিছুটা ঘাবড়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বেরিয়ে এসে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে হিরো আলমকে কেন্দ্রের বারান্দা থেকে বাইরে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের মাঠে নিয়ে যায়। মাঠেই পুলিশের সামনে একদফা কিল, ঘুষি ও চড়–থাপ্পড় মারা হয় তাঁকে।
হিরো আলমের ওপর হামলার শুরুর দিকের ঘটনা আজকের পত্রিকার কাছে এভাবেই বর্ণনা করেন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের চিত্র সাংবাদিক। তিনি সোমবার (১৭ জুলাই) দিনভর হিরো আলমকে অনুসরণ করেছেন।
‘হিরো আলমের ওপর হামলার আগে বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ কারণে ওই সময় সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তবু পুলিশ বেশি কিছু করেনি। পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ ছিল।’ যোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী ওই চিত্র সাংবাদিক।
তিনি দাবি করেন, মাঠে যখন প্রথমবার হিরো আলমের ওপর হামলা হয়, তখন পাশেই দাঁড়ানো ছিল বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি গাড়ি। তাঁদের কাছেও সাহায্য চান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। কিন্তু তাঁরা নির্বিকার ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জোবাইদুল ও শরীফ নিয়াজী নামে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা হিরো আলমকে নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে কেন্দ্রের মাঠ থেকে গেটের বাইরে এনে ছেড়ে দেন। এর পরই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হিরো আলমকে দফায় দফায় পেটানো হয়। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। হিরো আলমের সঙ্গে থাকা সমর্থক ও বেশ কয়েকজন ইউটিউবারকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হিরো আলমকে লাথি মারেন একজন। পেটে লাথি খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। তাঁর পরনের কটি ছিঁড়ে ফেলা হয়। এরপর হিরো আলমকে ঘিরে ধরে আরও এক দফা পেটান নৌকার ব্যাজধারীরা। তাঁকে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে মারতে ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তা থেকে মূল সড়কের দিকে ধাওয়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ধাওয়া খেয়ে কয়েকবার পথচারী ও রিকশাচালকদের সাহায্য প্রার্থনা করলে কেউ সাড়া দননি। একটি রিকশায় উঠলে সেই রিকশার ওপরেও তাঁকে মারধর করা হয়। তখন কানে ও মাথায় হাত দিয়ে হিরো আলম প্রাণপণে ছুটতে থাকেন।
যা বলছেন ডিএমপি কমিশনার
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিরো আলম অনেক লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ তখন তাঁকে এত লোক নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করে। আইনেও নাই এত লোক নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন। তাই কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ তাঁকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। কেন্দ্রের সামনেই তাঁর গাড়ি ছিল। কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ তো কেন্দ্র অনিরাপদ রেখে তাঁর সঙ্গে যেতে পারে না!’
এর আগে গত ৪ জুলাই নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ অন্যদের সঙ্গে বসেছিল। আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম। আপনারা ১৭ তারিখের নির্বাচন দেখেন, আমাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ পান কি না। যদি না পান, তখন আমাকে বইলেন। তখন আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নাকে খত দিয়ে চলে যাব।’
কতটা আঘাত পেয়েছেন হিরো আলম?
হামলার পরপরই চিকিৎসার জন্য বেটার লাইফ হাসপাতালে যান আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ডা. রাজীব। তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের শরীরে কোনো কাটা-ছেঁড়া নেই। তাঁর বুকে, পেটে, পিঠে, মুখে কিল-ঘুষির জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এই হাসপাতালে চিকিৎসাকালীন পুরো সময়টা হিরো আলমকে অনুসরণ করা এক গণমাধ্যমকর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদকর্মী ও ইউটিউবারদের ভিড়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিরো আলমকে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এ কারণে তাঁর কাছ থেকে কোনো বিলও রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
গ্রেপ্তার চার, অভিযান অব্যাহত
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা। পুলিশ বলছে, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বিদেশিদের চিঠি দেবেন হিরো আলম
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন হিরো আলম। হামলার ঘটনা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি। ইসি আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকাসহ সব দূতাবাসে চিঠি দিব।’
ঢাকার গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে সোমবার। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আরাফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন হিরো আলম।
বগুড়ার কাহালুর ছেলে আশরাফুল হোসেন আলম এখন হিরো আলম নামেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে সারা দেশে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা হিরো আলম গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।

বেলা ৩টা ৩৫ মিনিট। বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে ঢোকেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ করা হয় তিন থেকে চার জন অনুসারী নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করার জন্য।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান, বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
এভাবে শ্লেষাত্মক কথা বলে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন কিছু যুবক। তখন হিরো আলম কিছুটা ঘাবড়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বেরিয়ে এসে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে হিরো আলমকে কেন্দ্রের বারান্দা থেকে বাইরে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের মাঠে নিয়ে যায়। মাঠেই পুলিশের সামনে একদফা কিল, ঘুষি ও চড়–থাপ্পড় মারা হয় তাঁকে।
হিরো আলমের ওপর হামলার শুরুর দিকের ঘটনা আজকের পত্রিকার কাছে এভাবেই বর্ণনা করেন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের চিত্র সাংবাদিক। তিনি সোমবার (১৭ জুলাই) দিনভর হিরো আলমকে অনুসরণ করেছেন।
‘হিরো আলমের ওপর হামলার আগে বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ কারণে ওই সময় সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তবু পুলিশ বেশি কিছু করেনি। পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ ছিল।’ যোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী ওই চিত্র সাংবাদিক।
তিনি দাবি করেন, মাঠে যখন প্রথমবার হিরো আলমের ওপর হামলা হয়, তখন পাশেই দাঁড়ানো ছিল বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি গাড়ি। তাঁদের কাছেও সাহায্য চান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। কিন্তু তাঁরা নির্বিকার ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জোবাইদুল ও শরীফ নিয়াজী নামে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা হিরো আলমকে নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে কেন্দ্রের মাঠ থেকে গেটের বাইরে এনে ছেড়ে দেন। এর পরই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হিরো আলমকে দফায় দফায় পেটানো হয়। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। হিরো আলমের সঙ্গে থাকা সমর্থক ও বেশ কয়েকজন ইউটিউবারকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হিরো আলমকে লাথি মারেন একজন। পেটে লাথি খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। তাঁর পরনের কটি ছিঁড়ে ফেলা হয়। এরপর হিরো আলমকে ঘিরে ধরে আরও এক দফা পেটান নৌকার ব্যাজধারীরা। তাঁকে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে মারতে ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তা থেকে মূল সড়কের দিকে ধাওয়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ধাওয়া খেয়ে কয়েকবার পথচারী ও রিকশাচালকদের সাহায্য প্রার্থনা করলে কেউ সাড়া দননি। একটি রিকশায় উঠলে সেই রিকশার ওপরেও তাঁকে মারধর করা হয়। তখন কানে ও মাথায় হাত দিয়ে হিরো আলম প্রাণপণে ছুটতে থাকেন।
যা বলছেন ডিএমপি কমিশনার
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিরো আলম অনেক লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ তখন তাঁকে এত লোক নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করে। আইনেও নাই এত লোক নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন। তাই কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ তাঁকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। কেন্দ্রের সামনেই তাঁর গাড়ি ছিল। কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ তো কেন্দ্র অনিরাপদ রেখে তাঁর সঙ্গে যেতে পারে না!’
এর আগে গত ৪ জুলাই নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ অন্যদের সঙ্গে বসেছিল। আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম। আপনারা ১৭ তারিখের নির্বাচন দেখেন, আমাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ পান কি না। যদি না পান, তখন আমাকে বইলেন। তখন আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নাকে খত দিয়ে চলে যাব।’
কতটা আঘাত পেয়েছেন হিরো আলম?
হামলার পরপরই চিকিৎসার জন্য বেটার লাইফ হাসপাতালে যান আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ডা. রাজীব। তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের শরীরে কোনো কাটা-ছেঁড়া নেই। তাঁর বুকে, পেটে, পিঠে, মুখে কিল-ঘুষির জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এই হাসপাতালে চিকিৎসাকালীন পুরো সময়টা হিরো আলমকে অনুসরণ করা এক গণমাধ্যমকর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদকর্মী ও ইউটিউবারদের ভিড়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিরো আলমকে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এ কারণে তাঁর কাছ থেকে কোনো বিলও রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
গ্রেপ্তার চার, অভিযান অব্যাহত
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা। পুলিশ বলছে, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বিদেশিদের চিঠি দেবেন হিরো আলম
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন হিরো আলম। হামলার ঘটনা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি। ইসি আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকাসহ সব দূতাবাসে চিঠি দিব।’
ঢাকার গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে সোমবার। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আরাফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন হিরো আলম।
বগুড়ার কাহালুর ছেলে আশরাফুল হোসেন আলম এখন হিরো আলম নামেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে সারা দেশে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা হিরো আলম গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বেলা ৩টা ৩৫ মিনিট। বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে ঢোকেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ করা হয় তিন থেকে চার জন অনুসারী নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করার জন্য।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান, বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
এভাবে শ্লেষাত্মক কথা বলে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন কিছু যুবক। তখন হিরো আলম কিছুটা ঘাবড়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বেরিয়ে এসে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে হিরো আলমকে কেন্দ্রের বারান্দা থেকে বাইরে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের মাঠে নিয়ে যায়। মাঠেই পুলিশের সামনে একদফা কিল, ঘুষি ও চড়–থাপ্পড় মারা হয় তাঁকে।
হিরো আলমের ওপর হামলার শুরুর দিকের ঘটনা আজকের পত্রিকার কাছে এভাবেই বর্ণনা করেন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের চিত্র সাংবাদিক। তিনি সোমবার (১৭ জুলাই) দিনভর হিরো আলমকে অনুসরণ করেছেন।
‘হিরো আলমের ওপর হামলার আগে বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ কারণে ওই সময় সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তবু পুলিশ বেশি কিছু করেনি। পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ ছিল।’ যোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী ওই চিত্র সাংবাদিক।
তিনি দাবি করেন, মাঠে যখন প্রথমবার হিরো আলমের ওপর হামলা হয়, তখন পাশেই দাঁড়ানো ছিল বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি গাড়ি। তাঁদের কাছেও সাহায্য চান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। কিন্তু তাঁরা নির্বিকার ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জোবাইদুল ও শরীফ নিয়াজী নামে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা হিরো আলমকে নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে কেন্দ্রের মাঠ থেকে গেটের বাইরে এনে ছেড়ে দেন। এর পরই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হিরো আলমকে দফায় দফায় পেটানো হয়। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। হিরো আলমের সঙ্গে থাকা সমর্থক ও বেশ কয়েকজন ইউটিউবারকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হিরো আলমকে লাথি মারেন একজন। পেটে লাথি খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। তাঁর পরনের কটি ছিঁড়ে ফেলা হয়। এরপর হিরো আলমকে ঘিরে ধরে আরও এক দফা পেটান নৌকার ব্যাজধারীরা। তাঁকে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে মারতে ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তা থেকে মূল সড়কের দিকে ধাওয়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ধাওয়া খেয়ে কয়েকবার পথচারী ও রিকশাচালকদের সাহায্য প্রার্থনা করলে কেউ সাড়া দননি। একটি রিকশায় উঠলে সেই রিকশার ওপরেও তাঁকে মারধর করা হয়। তখন কানে ও মাথায় হাত দিয়ে হিরো আলম প্রাণপণে ছুটতে থাকেন।
যা বলছেন ডিএমপি কমিশনার
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিরো আলম অনেক লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ তখন তাঁকে এত লোক নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করে। আইনেও নাই এত লোক নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন। তাই কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ তাঁকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। কেন্দ্রের সামনেই তাঁর গাড়ি ছিল। কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ তো কেন্দ্র অনিরাপদ রেখে তাঁর সঙ্গে যেতে পারে না!’
এর আগে গত ৪ জুলাই নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ অন্যদের সঙ্গে বসেছিল। আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম। আপনারা ১৭ তারিখের নির্বাচন দেখেন, আমাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ পান কি না। যদি না পান, তখন আমাকে বইলেন। তখন আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নাকে খত দিয়ে চলে যাব।’
কতটা আঘাত পেয়েছেন হিরো আলম?
হামলার পরপরই চিকিৎসার জন্য বেটার লাইফ হাসপাতালে যান আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ডা. রাজীব। তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের শরীরে কোনো কাটা-ছেঁড়া নেই। তাঁর বুকে, পেটে, পিঠে, মুখে কিল-ঘুষির জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এই হাসপাতালে চিকিৎসাকালীন পুরো সময়টা হিরো আলমকে অনুসরণ করা এক গণমাধ্যমকর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদকর্মী ও ইউটিউবারদের ভিড়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিরো আলমকে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এ কারণে তাঁর কাছ থেকে কোনো বিলও রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
গ্রেপ্তার চার, অভিযান অব্যাহত
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা। পুলিশ বলছে, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বিদেশিদের চিঠি দেবেন হিরো আলম
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন হিরো আলম। হামলার ঘটনা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি। ইসি আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকাসহ সব দূতাবাসে চিঠি দিব।’
ঢাকার গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে সোমবার। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আরাফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন হিরো আলম।
বগুড়ার কাহালুর ছেলে আশরাফুল হোসেন আলম এখন হিরো আলম নামেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে সারা দেশে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা হিরো আলম গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।

বেলা ৩টা ৩৫ মিনিট। বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে ঢোকেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ করা হয় তিন থেকে চার জন অনুসারী নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করার জন্য।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান, বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
এভাবে শ্লেষাত্মক কথা বলে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন কিছু যুবক। তখন হিরো আলম কিছুটা ঘাবড়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বেরিয়ে এসে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে হিরো আলমকে কেন্দ্রের বারান্দা থেকে বাইরে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের মাঠে নিয়ে যায়। মাঠেই পুলিশের সামনে একদফা কিল, ঘুষি ও চড়–থাপ্পড় মারা হয় তাঁকে।
হিরো আলমের ওপর হামলার শুরুর দিকের ঘটনা আজকের পত্রিকার কাছে এভাবেই বর্ণনা করেন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের চিত্র সাংবাদিক। তিনি সোমবার (১৭ জুলাই) দিনভর হিরো আলমকে অনুসরণ করেছেন।
‘হিরো আলমের ওপর হামলার আগে বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ কারণে ওই সময় সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। তবু পুলিশ বেশি কিছু করেনি। পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ ছিল।’ যোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শী ওই চিত্র সাংবাদিক।
তিনি দাবি করেন, মাঠে যখন প্রথমবার হিরো আলমের ওপর হামলা হয়, তখন পাশেই দাঁড়ানো ছিল বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি গাড়ি। তাঁদের কাছেও সাহায্য চান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। কিন্তু তাঁরা নির্বিকার ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জোবাইদুল ও শরীফ নিয়াজী নামে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা হিরো আলমকে নিয়ে বাঁশি বাজিয়ে কেন্দ্রের মাঠ থেকে গেটের বাইরে এনে ছেড়ে দেন। এর পরই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হিরো আলমকে দফায় দফায় পেটানো হয়। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। হিরো আলমের সঙ্গে থাকা সমর্থক ও বেশ কয়েকজন ইউটিউবারকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হিরো আলমকে লাথি মারেন একজন। পেটে লাথি খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। তাঁর পরনের কটি ছিঁড়ে ফেলা হয়। এরপর হিরো আলমকে ঘিরে ধরে আরও এক দফা পেটান নৌকার ব্যাজধারীরা। তাঁকে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে মারতে ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তা থেকে মূল সড়কের দিকে ধাওয়া দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ধাওয়া খেয়ে কয়েকবার পথচারী ও রিকশাচালকদের সাহায্য প্রার্থনা করলে কেউ সাড়া দননি। একটি রিকশায় উঠলে সেই রিকশার ওপরেও তাঁকে মারধর করা হয়। তখন কানে ও মাথায় হাত দিয়ে হিরো আলম প্রাণপণে ছুটতে থাকেন।
যা বলছেন ডিএমপি কমিশনার
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিরো আলম অনেক লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ তখন তাঁকে এত লোক নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করে। আইনেও নাই এত লোক নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন। তাই কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ তাঁকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। কেন্দ্রের সামনেই তাঁর গাড়ি ছিল। কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ তো কেন্দ্র অনিরাপদ রেখে তাঁর সঙ্গে যেতে পারে না!’
এর আগে গত ৪ জুলাই নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ অন্যদের সঙ্গে বসেছিল। আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিলাম। আপনারা ১৭ তারিখের নির্বাচন দেখেন, আমাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ পান কি না। যদি না পান, তখন আমাকে বইলেন। তখন আমি ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নাকে খত দিয়ে চলে যাব।’
কতটা আঘাত পেয়েছেন হিরো আলম?
হামলার পরপরই চিকিৎসার জন্য বেটার লাইফ হাসপাতালে যান আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ডা. রাজীব। তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের শরীরে কোনো কাটা-ছেঁড়া নেই। তাঁর বুকে, পেটে, পিঠে, মুখে কিল-ঘুষির জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এই হাসপাতালে চিকিৎসাকালীন পুরো সময়টা হিরো আলমকে অনুসরণ করা এক গণমাধ্যমকর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদকর্মী ও ইউটিউবারদের ভিড়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিরো আলমকে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এ কারণে তাঁর কাছ থেকে কোনো বিলও রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
গ্রেপ্তার চার, অভিযান অব্যাহত
হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা। পুলিশ বলছে, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বিদেশিদের চিঠি দেবেন হিরো আলম
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন হিরো আলম। হামলার ঘটনা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি। ইসি আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকাসহ সব দূতাবাসে চিঠি দিব।’
ঢাকার গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে সোমবার। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে কোনো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আরাফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন হিরো আলম।
বগুড়ার কাহালুর ছেলে আশরাফুল হোসেন আলম এখন হিরো আলম নামেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে সারা দেশে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা হিরো আলম গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।

ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও হাটবাজারে ভাড়া খাঁটিয়ে যার মাধ্যমে চলত হালিমা আক্তার ও তাঁর পরিবারের খরচ, সেই একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে এখন দিশেহারা তাঁরা। কয়েক বছর ধরে একটি ঘোড়াকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল পরিবারের জীবিকা। সেই ঘোড়ার হঠাৎ মৃত্যুতে থমকে গেছে তাঁদের সব স্বপ্ন ও সংগ্রাম।
৪২ মিনিট আগে
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের হাতিরঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আরিফ রেজা।
১ ঘণ্টা আগে
নিহতের স্ত্রী মারুফা আক্তার বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন আমার স্বামীকে ডেকে এনে রাতভর দফায় দফায় লাঠিপেটা করেছেন। তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ ছিল। নির্যাতনের কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। থানা থাকতে কেন তাঁকে সারা রাত আটকে রাখা হলো? আমি জড়িত সবার বিচার চাই।’
১ ঘণ্টা আগে
অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে নতুন বাস সার্ভিস চালু করার প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীর তিনটি প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি

ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও হাটবাজারে ভাড়া খাঁটিয়ে যার মাধ্যমে চলত হালিমা আক্তার ও তাঁর পরিবারের খরচ, সেই একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে এখন দিশেহারা তাঁরা। কয়েক বছর ধরে একটি ঘোড়াকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল পরিবারের জীবিকা। সেই ঘোড়ার হঠাৎ মৃত্যুতে থমকে গেছে তাঁদের সব স্বপ্ন ও সংগ্রাম।
গতকাল বুধবার বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের কেরানীপাড়ায় বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় হালিমার ঘোড়াটি। হালিমা আক্তার নওগাঁর ধামরাই এলাকার ওয়াবদুল ইসলামের মেয়ে। বাবা-মেয়েসহ পরিবারটি ঘোড়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিযোগিতায় অংশ নিত।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিযোগিতা শুরুর আগে হঠাৎ ঘোড়াটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেও তারাগঞ্জ বাজার এলাকায় পৌঁছালে ঘোড়াটির অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। পরে দ্রুত তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘোড়াটি মারা যায়।
এই ঘোড়া দিয়েই হালিমার বড় বোন তাসমিনা আক্তার একসময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। বড় বোনের হাত ধরে হালিমার ঘোড়দৌড়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। অন্যের ঘোড়া দিয়ে শুরু হলেও পরে বিভিন্ন মানুষের সহায়তায় পরিবারটি নিজস্ব একটি ঘোড়া পায়। সেই ঘোড়াই ছিল তাঁদের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস।
হালিমার বাবা ওয়াবদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘোড়াটি দিয়ে আমাদের সংসার চলত। প্রতিযোগিতা, মালপত্র বহন সবই এই ঘোড়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। সুস্থ অবস্থায় নওগাঁ থেকে নিয়ে এসেছিলাম। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় আমরা এখন সম্পূর্ণ অসহায়।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে হালিমা আক্তার বলেন, ‘এই ঘোড়াটা আমরা নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। ওকে নিয়ে খেলায় যেতাম, সংসার চলত। এখন ঘোড়াটা নেই, আমাদেরও কিছু নেই। কীভাবে চলব বুঝতে পারছি না।’
ঘোড়দৌড় দেখতে আসা দর্শক মিজু সরকার হৃদয় বলেন, ‘হালিমা বেগম ও তাঁর ঘোড়াকে আমরা প্রায়ই প্রতিযোগিতায় দেখতাম। তাঁদের জীবিকার একমাত্র ভরসাটা হারিয়ে গেছে। সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।’
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ইসরাতুজ্জাহান ইমা বলেন, ‘ঘোড়াটি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আমাদের কাছে আনা হয়। প্রচণ্ড জ্বর ও ব্যথায় ভুগছিল। প্রায় দুই ঘণ্টা চিকিৎসা দেওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’

ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও হাটবাজারে ভাড়া খাঁটিয়ে যার মাধ্যমে চলত হালিমা আক্তার ও তাঁর পরিবারের খরচ, সেই একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে এখন দিশেহারা তাঁরা। কয়েক বছর ধরে একটি ঘোড়াকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল পরিবারের জীবিকা। সেই ঘোড়ার হঠাৎ মৃত্যুতে থমকে গেছে তাঁদের সব স্বপ্ন ও সংগ্রাম।
গতকাল বুধবার বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের কেরানীপাড়ায় বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় হালিমার ঘোড়াটি। হালিমা আক্তার নওগাঁর ধামরাই এলাকার ওয়াবদুল ইসলামের মেয়ে। বাবা-মেয়েসহ পরিবারটি ঘোড়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিযোগিতায় অংশ নিত।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিযোগিতা শুরুর আগে হঠাৎ ঘোড়াটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেও তারাগঞ্জ বাজার এলাকায় পৌঁছালে ঘোড়াটির অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। পরে দ্রুত তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘোড়াটি মারা যায়।
এই ঘোড়া দিয়েই হালিমার বড় বোন তাসমিনা আক্তার একসময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। বড় বোনের হাত ধরে হালিমার ঘোড়দৌড়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। অন্যের ঘোড়া দিয়ে শুরু হলেও পরে বিভিন্ন মানুষের সহায়তায় পরিবারটি নিজস্ব একটি ঘোড়া পায়। সেই ঘোড়াই ছিল তাঁদের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস।
হালিমার বাবা ওয়াবদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘোড়াটি দিয়ে আমাদের সংসার চলত। প্রতিযোগিতা, মালপত্র বহন সবই এই ঘোড়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। সুস্থ অবস্থায় নওগাঁ থেকে নিয়ে এসেছিলাম। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় আমরা এখন সম্পূর্ণ অসহায়।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে হালিমা আক্তার বলেন, ‘এই ঘোড়াটা আমরা নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। ওকে নিয়ে খেলায় যেতাম, সংসার চলত। এখন ঘোড়াটা নেই, আমাদেরও কিছু নেই। কীভাবে চলব বুঝতে পারছি না।’
ঘোড়দৌড় দেখতে আসা দর্শক মিজু সরকার হৃদয় বলেন, ‘হালিমা বেগম ও তাঁর ঘোড়াকে আমরা প্রায়ই প্রতিযোগিতায় দেখতাম। তাঁদের জীবিকার একমাত্র ভরসাটা হারিয়ে গেছে। সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।’
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ইসরাতুজ্জাহান ইমা বলেন, ‘ঘোড়াটি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আমাদের কাছে আনা হয়। প্রচণ্ড জ্বর ও ব্যথায় ভুগছিল। প্রায় দুই ঘণ্টা চিকিৎসা দেওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’

পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান-বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
১৮ জুলাই ২০২৩
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের হাতিরঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আরিফ রেজা।
১ ঘণ্টা আগে
নিহতের স্ত্রী মারুফা আক্তার বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন আমার স্বামীকে ডেকে এনে রাতভর দফায় দফায় লাঠিপেটা করেছেন। তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ ছিল। নির্যাতনের কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। থানা থাকতে কেন তাঁকে সারা রাত আটকে রাখা হলো? আমি জড়িত সবার বিচার চাই।’
১ ঘণ্টা আগে
অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে নতুন বাস সার্ভিস চালু করার প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীর তিনটি প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যুবদল নেতা আরিফ সিকদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে খাদিজা ইয়াসমিন বীথিকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের হাতিরঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আরিফ রেজা।
কুমিল্লা জেলা কারাগারের সামনে থেকে ১৫ ডিসেম্বর খাদিজাকে আটক করা হয়। পরদিন তাঁকে আরিফ সিকদার হত্যার ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর ওই মামলায় খাদিজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম।
তবে মামলার মূল নথি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে না থাকায় সেদিন খাদিজাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ১৮ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ঠিক করা হয়।
খাদিজাকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তাঁর মেয়ে খাদিজা মগবাজার ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। যুবদল নেতা আরিফকে তাঁরা প্রতিপক্ষ মনে করতেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের পরিকল্পনায় আরিফকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আসামি খাদিজা জড়িত ছিল বলে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল রাতে হাতিরঝিল থানার নয়াটোলা মোড়ল গলির দি ঝিল ক্যাফের সামনে আরিফ সিকদারকে গুলি করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ এপ্রিল মারা যান ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহক্রীড়া সম্পাদক।
এ ঘটনায় নিহতের বোন রিমা আক্তার সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।

যুবদল নেতা আরিফ সিকদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে খাদিজা ইয়াসমিন বীথিকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের হাতিরঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আরিফ রেজা।
কুমিল্লা জেলা কারাগারের সামনে থেকে ১৫ ডিসেম্বর খাদিজাকে আটক করা হয়। পরদিন তাঁকে আরিফ সিকদার হত্যার ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর ওই মামলায় খাদিজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম।
তবে মামলার মূল নথি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে না থাকায় সেদিন খাদিজাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ১৮ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ঠিক করা হয়।
খাদিজাকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তাঁর মেয়ে খাদিজা মগবাজার ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। যুবদল নেতা আরিফকে তাঁরা প্রতিপক্ষ মনে করতেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের পরিকল্পনায় আরিফকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আসামি খাদিজা জড়িত ছিল বলে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল রাতে হাতিরঝিল থানার নয়াটোলা মোড়ল গলির দি ঝিল ক্যাফের সামনে আরিফ সিকদারকে গুলি করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ এপ্রিল মারা যান ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহক্রীড়া সম্পাদক।
এ ঘটনায় নিহতের বোন রিমা আক্তার সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান-বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
১৮ জুলাই ২০২৩
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও হাটবাজারে ভাড়া খাঁটিয়ে যার মাধ্যমে চলত হালিমা আক্তার ও তাঁর পরিবারের খরচ, সেই একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে এখন দিশেহারা তাঁরা। কয়েক বছর ধরে একটি ঘোড়াকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল পরিবারের জীবিকা। সেই ঘোড়ার হঠাৎ মৃত্যুতে থমকে গেছে তাঁদের সব স্বপ্ন ও সংগ্রাম।
৪২ মিনিট আগে
নিহতের স্ত্রী মারুফা আক্তার বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন আমার স্বামীকে ডেকে এনে রাতভর দফায় দফায় লাঠিপেটা করেছেন। তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ ছিল। নির্যাতনের কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। থানা থাকতে কেন তাঁকে সারা রাত আটকে রাখা হলো? আমি জড়িত সবার বিচার চাই।’
১ ঘণ্টা আগে
অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে নতুন বাস সার্ভিস চালু করার প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীর তিনটি প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি।
১ ঘণ্টা আগেআক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিরা বাজারে এক ইউপি সদস্যের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে সুজন মণ্ডল (মাইক্রোবাসচালক) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত সুজন মণ্ডলের স্ত্রী মারুফা আক্তারের অভিযোগ, টাকা চুরির অভিযোগে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন তাঁর স্বামীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করে হত্যা করেছেন। পরে ঘটনাটি আড়াল করতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন রেজা বলেন, ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে সুজন মণ্ডলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় ব্যান্ডেজ ও শরীরের পেছনের অংশে কালশিটে দাগ দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে মারধরের আলামত পাওয়া গেছে।
নিহত সুজন মণ্ডল উপজেলার কাশিরা পুকুরিয়া গ্রামের ওসমান মণ্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় মাইক্রোবাসচালক ছিলেন। এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও চুরির অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার পাকুরদাড়িয়া গ্রামে বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই দিন বিকেলে সুজন মণ্ডল তাঁর খালাতো বোন সোনাভানের বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে ৭০ হাজার টাকা চুরি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে সন্ধ্যার দিকে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনের সহায়তায় তাঁকে আটক করা হয়। মারধরের একপর্যায়ে সুজন টাকা চুরির কথা স্বীকার করেন এবং চুরি হওয়া টাকার ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দেন।
এরপর ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন সুজন মণ্ডলকে কাশিরা বাজারে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে যান। তিনি থানায় খবর দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাস্তি দেওয়ার কথা জানান। তবে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় দুজন গ্রাম পুলিশ দিয়ে তাঁকে কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়।
আজ সকালে সুজন মণ্ডল তাঁর স্ত্রী মারুফা আক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। কিছু সময় পর পাহারায় থাকা গ্রাম পুলিশরা তাঁর আত্মহত্যার খবর দেন। পরে স্বজনেরা গিয়ে দেখেন, কার্যালয়ের ফ্যানের হুকের সঙ্গে রশি প্যাঁচানো অবস্থায় সুজন মণ্ডলের লাশ ঝুলে আছে।
নিহতের স্ত্রী মারুফা আক্তার বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন আমার স্বামীকে ডেকে এনে রাতভর দফায় দফায় লাঠিপেটা করেছেন। তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ ছিল। নির্যাতনের কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। থানা থাকতে কেন তাঁকে সারা রাত আটকে রাখা হলো? আমি জড়িত সবার বিচার চাই।’
তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, ‘সুজন টাকা চুরি করেছিল। গ্রামবাসী তাকে মারধর করেছে। পরে তাকে আমার কার্যালয়ে এনে রাত ১০টার পর পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত হবে না জানালে দুজন গ্রাম পুলিশ পাহারায় রেখে আমি বাড়িতে চলে যাই। পাহারার দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ প্রকৃতির ডাকে বাইরে গেলে সে আত্মহত্যা করে।’
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ইউপি সদস্যের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে কাউকে আটকে রাখার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। ইউপি সদস্যের এমন ক্ষমতা নেই। ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ দেখি।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, সকালে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিরা বাজারে এক ইউপি সদস্যের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে সুজন মণ্ডল (মাইক্রোবাসচালক) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত সুজন মণ্ডলের স্ত্রী মারুফা আক্তারের অভিযোগ, টাকা চুরির অভিযোগে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন তাঁর স্বামীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করে হত্যা করেছেন। পরে ঘটনাটি আড়াল করতে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন রেজা বলেন, ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে সুজন মণ্ডলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় ব্যান্ডেজ ও শরীরের পেছনের অংশে কালশিটে দাগ দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে মারধরের আলামত পাওয়া গেছে।
নিহত সুজন মণ্ডল উপজেলার কাশিরা পুকুরিয়া গ্রামের ওসমান মণ্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় মাইক্রোবাসচালক ছিলেন। এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও চুরির অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার পাকুরদাড়িয়া গ্রামে বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই দিন বিকেলে সুজন মণ্ডল তাঁর খালাতো বোন সোনাভানের বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে ৭০ হাজার টাকা চুরি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে সন্ধ্যার দিকে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনের সহায়তায় তাঁকে আটক করা হয়। মারধরের একপর্যায়ে সুজন টাকা চুরির কথা স্বীকার করেন এবং চুরি হওয়া টাকার ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দেন।
এরপর ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন সুজন মণ্ডলকে কাশিরা বাজারে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে যান। তিনি থানায় খবর দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাস্তি দেওয়ার কথা জানান। তবে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় দুজন গ্রাম পুলিশ দিয়ে তাঁকে কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়।
আজ সকালে সুজন মণ্ডল তাঁর স্ত্রী মারুফা আক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। কিছু সময় পর পাহারায় থাকা গ্রাম পুলিশরা তাঁর আত্মহত্যার খবর দেন। পরে স্বজনেরা গিয়ে দেখেন, কার্যালয়ের ফ্যানের হুকের সঙ্গে রশি প্যাঁচানো অবস্থায় সুজন মণ্ডলের লাশ ঝুলে আছে।
নিহতের স্ত্রী মারুফা আক্তার বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন আমার স্বামীকে ডেকে এনে রাতভর দফায় দফায় লাঠিপেটা করেছেন। তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ ছিল। নির্যাতনের কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। থানা থাকতে কেন তাঁকে সারা রাত আটকে রাখা হলো? আমি জড়িত সবার বিচার চাই।’
তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, ‘সুজন টাকা চুরি করেছিল। গ্রামবাসী তাকে মারধর করেছে। পরে তাকে আমার কার্যালয়ে এনে রাত ১০টার পর পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত হবে না জানালে দুজন গ্রাম পুলিশ পাহারায় রেখে আমি বাড়িতে চলে যাই। পাহারার দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ প্রকৃতির ডাকে বাইরে গেলে সে আত্মহত্যা করে।’
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ইউপি সদস্যের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে কাউকে আটকে রাখার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। ইউপি সদস্যের এমন ক্ষমতা নেই। ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ দেখি।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, সকালে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান-বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
১৮ জুলাই ২০২৩
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও হাটবাজারে ভাড়া খাঁটিয়ে যার মাধ্যমে চলত হালিমা আক্তার ও তাঁর পরিবারের খরচ, সেই একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে এখন দিশেহারা তাঁরা। কয়েক বছর ধরে একটি ঘোড়াকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল পরিবারের জীবিকা। সেই ঘোড়ার হঠাৎ মৃত্যুতে থমকে গেছে তাঁদের সব স্বপ্ন ও সংগ্রাম।
৪২ মিনিট আগে
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের হাতিরঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আরিফ রেজা।
১ ঘণ্টা আগে
অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে নতুন বাস সার্ভিস চালু করার প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীর তিনটি প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে নতুন বাস সার্ভিস চালু করার প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীর তিনটি প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির ফলে নগরীসহ জেলার অন্তত ৪০টি সড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী ও দূরপাল্লার যাত্রীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই নগরীর জাঙ্গালিয়া, শাসনগাছা ও চকবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে কুমিল্লা-ঢাকা, কুমিল্লা-চট্টগ্রাম, কুমিল্লা-সিলেট, কুমিল্লা-চাঁদপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ আন্তজেলা ও অভ্যন্তরীণ রুটগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
পরিবহন-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ব্যবহার করে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে আইদি পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির নেতারা অভিযোগ করেন, আইদি পরিবহন প্রয়োজনীয় রুট পারমিট ছাড়াই কুমিল্লার টার্মিনাল ব্যবহার করতে চাইছে, যা পরিবহন আইন ও বিদ্যমান নিয়মের পরিপন্থী।
আইদি পরিবহনের চেয়ারম্যান মীর পারভেজ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০২৩ সালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর রুটে তাঁদের বাস চলাচল শুরু হয়। তবে শুরু থেকেই একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট তাঁদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। তিনি দাবি করেন, এসব বাধার কারণেই কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে রুট পারমিট ও অনাপত্তিপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ব্যবহার বন্ধ রেখে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে বাস সার্ভিস পরিচালনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি থাকলেও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের রুট পারমিট ছাড়া কোনো পরিবহন কুমিল্লার টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারে না। এর আগেও আমরা তাদের একাধিকবার সতর্ক করেছি। কিন্তু বিজয় দিবস ও বুধবার হঠাৎ প্রভাব বিস্তার করে টার্মিনালে বাস ঢুকিয়ে চলাচল শুরু করে। বৃহস্পতিবার আবার একই চেষ্টা করলে বাধ্য হয়ে ধর্মঘট পালন করা হয়।’
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। অনেকে নিরুপায় হয়ে অটোরিকশা, মাইক্রোবাস কিংবা অন্যান্য বিকল্প যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে রওনা হন। শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ পায়।
পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও সমন্বিত সিদ্ধান্ত না এলে এই সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে, যার সরাসরি ভুক্তভোগী হবে সাধারণ যাত্রীরা।

অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে নতুন বাস সার্ভিস চালু করার প্রতিবাদে কুমিল্লা নগরীর তিনটি প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির ফলে নগরীসহ জেলার অন্তত ৪০টি সড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী ও দূরপাল্লার যাত্রীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই নগরীর জাঙ্গালিয়া, শাসনগাছা ও চকবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে কুমিল্লা-ঢাকা, কুমিল্লা-চট্টগ্রাম, কুমিল্লা-সিলেট, কুমিল্লা-চাঁদপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ আন্তজেলা ও অভ্যন্তরীণ রুটগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
পরিবহন-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ব্যবহার করে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে আইদি পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির নেতারা অভিযোগ করেন, আইদি পরিবহন প্রয়োজনীয় রুট পারমিট ছাড়াই কুমিল্লার টার্মিনাল ব্যবহার করতে চাইছে, যা পরিবহন আইন ও বিদ্যমান নিয়মের পরিপন্থী।
আইদি পরিবহনের চেয়ারম্যান মীর পারভেজ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০২৩ সালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর রুটে তাঁদের বাস চলাচল শুরু হয়। তবে শুরু থেকেই একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট তাঁদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। তিনি দাবি করেন, এসব বাধার কারণেই কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে রুট পারমিট ও অনাপত্তিপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ব্যবহার বন্ধ রেখে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে বাস সার্ভিস পরিচালনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি থাকলেও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের রুট পারমিট ছাড়া কোনো পরিবহন কুমিল্লার টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারে না। এর আগেও আমরা তাদের একাধিকবার সতর্ক করেছি। কিন্তু বিজয় দিবস ও বুধবার হঠাৎ প্রভাব বিস্তার করে টার্মিনালে বাস ঢুকিয়ে চলাচল শুরু করে। বৃহস্পতিবার আবার একই চেষ্টা করলে বাধ্য হয়ে ধর্মঘট পালন করা হয়।’
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। অনেকে নিরুপায় হয়ে অটোরিকশা, মাইক্রোবাস কিংবা অন্যান্য বিকল্প যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে রওনা হন। শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ পায়।
পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও সমন্বিত সিদ্ধান্ত না এলে এই সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে, যার সরাসরি ভুক্তভোগী হবে সাধারণ যাত্রীরা।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী দুই যুবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুই কোন যোগ্যতা রাহস, তুই গুলশান-বনানীতে ইলেকশন করতে আহস? তুই কোন যোগ্যতা রাহস? তুই ইউটিউবার হইছস, তুই ভাইরাল কনটেন্ট বানাস, তুই ওইডি নিয়াই থাক। তোর যোগ্যতা কী?’
১৮ জুলাই ২০২৩
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও হাটবাজারে ভাড়া খাঁটিয়ে যার মাধ্যমে চলত হালিমা আক্তার ও তাঁর পরিবারের খরচ, সেই একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে এখন দিশেহারা তাঁরা। কয়েক বছর ধরে একটি ঘোড়াকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল পরিবারের জীবিকা। সেই ঘোড়ার হঠাৎ মৃত্যুতে থমকে গেছে তাঁদের সব স্বপ্ন ও সংগ্রাম।
৪২ মিনিট আগে
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের হাতিরঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আরিফ রেজা।
১ ঘণ্টা আগে
নিহতের স্ত্রী মারুফা আক্তার বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন আমার স্বামীকে ডেকে এনে রাতভর দফায় দফায় লাঠিপেটা করেছেন। তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ ছিল। নির্যাতনের কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। থানা থাকতে কেন তাঁকে সারা রাত আটকে রাখা হলো? আমি জড়িত সবার বিচার চাই।’
১ ঘণ্টা আগে