
হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দোহাই খাটবে না।
বর্ণপ্রথা ভারতের অতিপ্রাচীন একটি সামাজিক সমস্যা। ভারতে এখনো এটি রয়েছে। বিশেষ করে দলিতরা এখনো নানাভাবে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হন। কিন্তু আটলান্টিকের ওপারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যে কেন এই বর্ণপ্রথা বিরোধী আইন করতে হচ্ছে? এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক স্বাধীন সাংবাদিক সবিতা পাতিল এই বিলের পক্ষে–বিপক্ষে মতামত তুলে ধরেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে নার্সের কাজ করেন সুখজিন্দর কাউর। হাসপাতালে দীর্ঘ ক্লান্তিকর কাজ করেন। কিন্তু বিরতিতে গেলেই বুঝতে পারেন তিনি এক নিপীড়নমূলক সমাজে বাস করেন।
সুখজিন্দর দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। ভারতের গভীর বৈষম্যমূলক বর্ণপ্রথায় এই দলিতরা সবচেয়ে নিচের স্তরের। সুখজিন্দর প্রায়ই উচ্চ বর্ণের হিন্দু সহকর্মীদের কাছ থেকে বর্ণবাদমূলক অসম্মানের সম্মুখীন হন।
দলিত অধিকার কর্মীরা বলছেন, বর্ণপ্রথার দোহাই দিয়ে নিপীড়নের শিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা আবাসন, শিক্ষাগত, পেশাগত এবং সামাজিক বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছেন।
গত মার্চে ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা সিনেটর আয়েশা ওয়াহাব এসবি–৪০২ বিলটি প্রণয়ন করেন। বৈষম্য বিরোধী এই বিলে লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম এবং অক্ষমতার পাশাপাশি বর্ণকেও একটি বিভাগ হিসেবে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলটি মে মাসে রাজ্যের সিনেটে ৩৪–১ ভোটে পাস হয়। এটি রাজ্যের পার্লামেন্টে পাস হলে ক্যালিফোর্নিয়া হবে বর্ণপ্রথা বৈষম্য নিষিদ্ধ করা প্রথম মার্কিন অঙ্গরাজ্য।
ক্যালিফোর্নিয়ায় যারা বিলটির পক্ষে তাঁদের মধ্যে একজন সুখজিন্দর। তিনি বলেন, ‘উচ্চ বর্ণের নার্সরা চামারদের (দলিতদের জন্য একটি নিন্দনীয় শব্দ) নোংরা ভাষায় গালি দেয়।’
গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসেবে সিয়াটল কর্তৃপক্ষ বর্ণপ্রথা নিষিদ্ধ করে। এরপরই ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের আইন প্রণেতারা উদ্যোগী হন। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক ইকুয়ালিটি ল্যাবস নামে একটি সংগঠনের নেতৃত্বে ৪০ টিরও বেশি আমেরিকান এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের জোট এটির প্রচারে কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের সংখ্যা বিপুল। বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় প্রযুক্তি কোম্পানি রয়েছে এখানে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ৫ লাখের বেশি শিখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বাস করে ক্যালিফোর্নিয়ায়।
সম্প্রদায়ের দুটি বৃহত্তম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ—শিখ কোয়ালিশন এবং শিখ আমেরিকান লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যান্ড এডুকেশন ফান্ড—বিলটি সমর্থন করছে। শিখদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দলিত সম্প্রদায় রবিদাসিয়া—যাদের সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজার—তাদের একেবারে তৃণমূল পর্যায়েও এই বিলের পক্ষে সমর্থন রয়েছে।
ইকুয়ালিটি ল্যাবসের সমীক্ষা অনুযায়ী, দক্ষিণ এশীয় আমেরিকান প্রবাসীদের মধ্যে বর্ণপ্রথার কারণে নিপীড়িত চারজনের মধ্যে একজনই শারীরিক এবং মৌখিক আক্রমণের শিকার হন; তিনজনের মধ্যে একজন শিক্ষায় বৈষম্যের সম্মুখীন হন এবং তিনজনের মধ্যে দুজন কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হন।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণপ্রথা এবং এর প্রভাব সম্পর্কে প্রথম বিস্তৃত একটি গবেষণা ছিল এটি। এতে অংশ নেন দেড় হাজার মানুষ। ২০১৮ সালে প্রকাশিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘নিম্ন বর্ণের’ মানুষেরা প্রতি–আক্রমণের শিকার হওয়ার ভয় পান এবং তাঁরা ‘সমাজচ্যুত’ হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন, তাই ‘জাত লুকিয়ে রাখেন’।
তবে ভারতীয় প্রবাসীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বর্ণপ্রথার কারণে বৈষম্যের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
সান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক দলিত কর্মী দীপক অলড্রিন বিলটির পক্ষে নন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ৩৫ বছর ধরে বসবাস করছি। কোনো হিন্দু আমাকে কখনো জিজ্ঞেস করেনি আমি কোন বর্ণের।’
বিলটি অনেক ভারতীয়-আমেরিকান ব্যক্তি, ধর্মীয় এবং পেশাজীবী গোষ্ঠীর তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছে। তাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, বিলে ধর্মের নাম উল্লেখ করা না হলেও এটি ‘হিন্দুদের বিরুদ্ধে ও তাঁদের উপাসনালয়ের প্রতি বৈষম্য উসকে দেবে। এমনকি হিন্দুদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠতে পারে।’
ক্যালিফোর্নিয়ায় বিদ্যমান আইনগুলো যে কোনো বৈষম্য মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করেন তাঁরা। এটি আইনে পরিণত হওয়া ঠেকাতে তাঁরা সংগঠিত হচ্ছেন।
হিন্দুপ্যাক্টের অধীনে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং হিন্দু মন্দির রয়েছে। এই সংগঠন আমেরিকায় বসবাসরত হিন্দুদের পক্ষে কথা বলে। তারা ক্যালিফোর্নিয়ার আইন প্রণেতাদের প্রতি বিলটি প্রত্যাখ্যান করার জন্য আবেদন করেছে। এর আহ্বায়ক অজয় শাহ বলেছেন, বিলটি ‘গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ, অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং ভারতীয় উপমহাদেশের তরুণ ও যুবকদের এবং যারা হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে তাদের লক্ষ্য করে আনা হয়েছে।’
হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক সুহাগ শুক্লা বলছেন, এই বিল এরই মধ্যে বর্ণ সম্পর্কে একটি ‘অবাঞ্ছিত’ সচেতনতা তৈরি করছে। এটি একপর্যায়ে বর্ণগত হয়রানির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেও তাঁর আশঙ্কা। এরই মধ্যে এই ফাউন্ডেশন বিলে উল্লেখিত ‘বর্ণের সংজ্ঞাকে অসাংবিধানিক’ দাবি করে আদালতে মামলাও করেছে।
তবে বিলের লেখক আয়েশা ওয়াহাব ব্যাখ্যা করেছেন, ‘বিলে অন্যান্য সুরক্ষিত বিভাগের মতো বর্ণ শনাক্তকরণের বিস্তারিত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কীভাবে বর্ণ নির্ধারণ করা হবে তার কোনো কথা এখানে নেই। এটি কেবল একটি বৈষম্য–বিরোধী বিল। যখন কেউ আদালতে একটি বিষয় নিয়ে যায়, তখন সাধারণত সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিযুক্ত হন, সম্ভাব্য বৈষম্যের ধরনটি জানতে তদন্ত করা হয়।’
আয়েশা ওয়াহাব বলেন, বিলটি প্রস্তাব করার পর তিনি ‘হত্যা হুমকি’ পেয়েছেন। এখন প্রত্যাহারের প্রচারণা ব্যাপকভাবে চলছে। এটি আবার ভোটে যেতে পারে। বিলটির বিরুদ্ধে যে প্রতিক্রিয়া সেটি হতাশাজনক। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের তিনি বিলটি পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আয়েশা বলেন, ‘আপনি উচ্চ বর্ণের বা নিম্ন বর্ণের যেই হোন না কেন, এতে কিছু যায় আসে না, এটি সবাইকে সুরক্ষা দেবে।’

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দোহাই খাটবে না।
বর্ণপ্রথা ভারতের অতিপ্রাচীন একটি সামাজিক সমস্যা। ভারতে এখনো এটি রয়েছে। বিশেষ করে দলিতরা এখনো নানাভাবে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হন। কিন্তু আটলান্টিকের ওপারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যে কেন এই বর্ণপ্রথা বিরোধী আইন করতে হচ্ছে? এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক স্বাধীন সাংবাদিক সবিতা পাতিল এই বিলের পক্ষে–বিপক্ষে মতামত তুলে ধরেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে নার্সের কাজ করেন সুখজিন্দর কাউর। হাসপাতালে দীর্ঘ ক্লান্তিকর কাজ করেন। কিন্তু বিরতিতে গেলেই বুঝতে পারেন তিনি এক নিপীড়নমূলক সমাজে বাস করেন।
সুখজিন্দর দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। ভারতের গভীর বৈষম্যমূলক বর্ণপ্রথায় এই দলিতরা সবচেয়ে নিচের স্তরের। সুখজিন্দর প্রায়ই উচ্চ বর্ণের হিন্দু সহকর্মীদের কাছ থেকে বর্ণবাদমূলক অসম্মানের সম্মুখীন হন।
দলিত অধিকার কর্মীরা বলছেন, বর্ণপ্রথার দোহাই দিয়ে নিপীড়নের শিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা আবাসন, শিক্ষাগত, পেশাগত এবং সামাজিক বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছেন।
গত মার্চে ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা সিনেটর আয়েশা ওয়াহাব এসবি–৪০২ বিলটি প্রণয়ন করেন। বৈষম্য বিরোধী এই বিলে লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম এবং অক্ষমতার পাশাপাশি বর্ণকেও একটি বিভাগ হিসেবে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলটি মে মাসে রাজ্যের সিনেটে ৩৪–১ ভোটে পাস হয়। এটি রাজ্যের পার্লামেন্টে পাস হলে ক্যালিফোর্নিয়া হবে বর্ণপ্রথা বৈষম্য নিষিদ্ধ করা প্রথম মার্কিন অঙ্গরাজ্য।
ক্যালিফোর্নিয়ায় যারা বিলটির পক্ষে তাঁদের মধ্যে একজন সুখজিন্দর। তিনি বলেন, ‘উচ্চ বর্ণের নার্সরা চামারদের (দলিতদের জন্য একটি নিন্দনীয় শব্দ) নোংরা ভাষায় গালি দেয়।’
গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসেবে সিয়াটল কর্তৃপক্ষ বর্ণপ্রথা নিষিদ্ধ করে। এরপরই ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের আইন প্রণেতারা উদ্যোগী হন। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক ইকুয়ালিটি ল্যাবস নামে একটি সংগঠনের নেতৃত্বে ৪০ টিরও বেশি আমেরিকান এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের জোট এটির প্রচারে কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের সংখ্যা বিপুল। বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় প্রযুক্তি কোম্পানি রয়েছে এখানে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ৫ লাখের বেশি শিখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বাস করে ক্যালিফোর্নিয়ায়।
সম্প্রদায়ের দুটি বৃহত্তম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ—শিখ কোয়ালিশন এবং শিখ আমেরিকান লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যান্ড এডুকেশন ফান্ড—বিলটি সমর্থন করছে। শিখদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দলিত সম্প্রদায় রবিদাসিয়া—যাদের সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজার—তাদের একেবারে তৃণমূল পর্যায়েও এই বিলের পক্ষে সমর্থন রয়েছে।
ইকুয়ালিটি ল্যাবসের সমীক্ষা অনুযায়ী, দক্ষিণ এশীয় আমেরিকান প্রবাসীদের মধ্যে বর্ণপ্রথার কারণে নিপীড়িত চারজনের মধ্যে একজনই শারীরিক এবং মৌখিক আক্রমণের শিকার হন; তিনজনের মধ্যে একজন শিক্ষায় বৈষম্যের সম্মুখীন হন এবং তিনজনের মধ্যে দুজন কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হন।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণপ্রথা এবং এর প্রভাব সম্পর্কে প্রথম বিস্তৃত একটি গবেষণা ছিল এটি। এতে অংশ নেন দেড় হাজার মানুষ। ২০১৮ সালে প্রকাশিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘নিম্ন বর্ণের’ মানুষেরা প্রতি–আক্রমণের শিকার হওয়ার ভয় পান এবং তাঁরা ‘সমাজচ্যুত’ হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন, তাই ‘জাত লুকিয়ে রাখেন’।
তবে ভারতীয় প্রবাসীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বর্ণপ্রথার কারণে বৈষম্যের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
সান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক দলিত কর্মী দীপক অলড্রিন বিলটির পক্ষে নন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ৩৫ বছর ধরে বসবাস করছি। কোনো হিন্দু আমাকে কখনো জিজ্ঞেস করেনি আমি কোন বর্ণের।’
বিলটি অনেক ভারতীয়-আমেরিকান ব্যক্তি, ধর্মীয় এবং পেশাজীবী গোষ্ঠীর তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছে। তাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, বিলে ধর্মের নাম উল্লেখ করা না হলেও এটি ‘হিন্দুদের বিরুদ্ধে ও তাঁদের উপাসনালয়ের প্রতি বৈষম্য উসকে দেবে। এমনকি হিন্দুদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠতে পারে।’
ক্যালিফোর্নিয়ায় বিদ্যমান আইনগুলো যে কোনো বৈষম্য মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করেন তাঁরা। এটি আইনে পরিণত হওয়া ঠেকাতে তাঁরা সংগঠিত হচ্ছেন।
হিন্দুপ্যাক্টের অধীনে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং হিন্দু মন্দির রয়েছে। এই সংগঠন আমেরিকায় বসবাসরত হিন্দুদের পক্ষে কথা বলে। তারা ক্যালিফোর্নিয়ার আইন প্রণেতাদের প্রতি বিলটি প্রত্যাখ্যান করার জন্য আবেদন করেছে। এর আহ্বায়ক অজয় শাহ বলেছেন, বিলটি ‘গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ, অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং ভারতীয় উপমহাদেশের তরুণ ও যুবকদের এবং যারা হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে তাদের লক্ষ্য করে আনা হয়েছে।’
হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক সুহাগ শুক্লা বলছেন, এই বিল এরই মধ্যে বর্ণ সম্পর্কে একটি ‘অবাঞ্ছিত’ সচেতনতা তৈরি করছে। এটি একপর্যায়ে বর্ণগত হয়রানির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেও তাঁর আশঙ্কা। এরই মধ্যে এই ফাউন্ডেশন বিলে উল্লেখিত ‘বর্ণের সংজ্ঞাকে অসাংবিধানিক’ দাবি করে আদালতে মামলাও করেছে।
তবে বিলের লেখক আয়েশা ওয়াহাব ব্যাখ্যা করেছেন, ‘বিলে অন্যান্য সুরক্ষিত বিভাগের মতো বর্ণ শনাক্তকরণের বিস্তারিত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কীভাবে বর্ণ নির্ধারণ করা হবে তার কোনো কথা এখানে নেই। এটি কেবল একটি বৈষম্য–বিরোধী বিল। যখন কেউ আদালতে একটি বিষয় নিয়ে যায়, তখন সাধারণত সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিযুক্ত হন, সম্ভাব্য বৈষম্যের ধরনটি জানতে তদন্ত করা হয়।’
আয়েশা ওয়াহাব বলেন, বিলটি প্রস্তাব করার পর তিনি ‘হত্যা হুমকি’ পেয়েছেন। এখন প্রত্যাহারের প্রচারণা ব্যাপকভাবে চলছে। এটি আবার ভোটে যেতে পারে। বিলটির বিরুদ্ধে যে প্রতিক্রিয়া সেটি হতাশাজনক। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের তিনি বিলটি পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আয়েশা বলেন, ‘আপনি উচ্চ বর্ণের বা নিম্ন বর্ণের যেই হোন না কেন, এতে কিছু যায় আসে না, এটি সবাইকে সুরক্ষা দেবে।’

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দোহাই খাটবে না।
বর্ণপ্রথা ভারতের অতিপ্রাচীন একটি সামাজিক সমস্যা। ভারতে এখনো এটি রয়েছে। বিশেষ করে দলিতরা এখনো নানাভাবে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হন। কিন্তু আটলান্টিকের ওপারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যে কেন এই বর্ণপ্রথা বিরোধী আইন করতে হচ্ছে? এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক স্বাধীন সাংবাদিক সবিতা পাতিল এই বিলের পক্ষে–বিপক্ষে মতামত তুলে ধরেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে নার্সের কাজ করেন সুখজিন্দর কাউর। হাসপাতালে দীর্ঘ ক্লান্তিকর কাজ করেন। কিন্তু বিরতিতে গেলেই বুঝতে পারেন তিনি এক নিপীড়নমূলক সমাজে বাস করেন।
সুখজিন্দর দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। ভারতের গভীর বৈষম্যমূলক বর্ণপ্রথায় এই দলিতরা সবচেয়ে নিচের স্তরের। সুখজিন্দর প্রায়ই উচ্চ বর্ণের হিন্দু সহকর্মীদের কাছ থেকে বর্ণবাদমূলক অসম্মানের সম্মুখীন হন।
দলিত অধিকার কর্মীরা বলছেন, বর্ণপ্রথার দোহাই দিয়ে নিপীড়নের শিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা আবাসন, শিক্ষাগত, পেশাগত এবং সামাজিক বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছেন।
গত মার্চে ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা সিনেটর আয়েশা ওয়াহাব এসবি–৪০২ বিলটি প্রণয়ন করেন। বৈষম্য বিরোধী এই বিলে লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম এবং অক্ষমতার পাশাপাশি বর্ণকেও একটি বিভাগ হিসেবে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলটি মে মাসে রাজ্যের সিনেটে ৩৪–১ ভোটে পাস হয়। এটি রাজ্যের পার্লামেন্টে পাস হলে ক্যালিফোর্নিয়া হবে বর্ণপ্রথা বৈষম্য নিষিদ্ধ করা প্রথম মার্কিন অঙ্গরাজ্য।
ক্যালিফোর্নিয়ায় যারা বিলটির পক্ষে তাঁদের মধ্যে একজন সুখজিন্দর। তিনি বলেন, ‘উচ্চ বর্ণের নার্সরা চামারদের (দলিতদের জন্য একটি নিন্দনীয় শব্দ) নোংরা ভাষায় গালি দেয়।’
গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসেবে সিয়াটল কর্তৃপক্ষ বর্ণপ্রথা নিষিদ্ধ করে। এরপরই ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের আইন প্রণেতারা উদ্যোগী হন। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক ইকুয়ালিটি ল্যাবস নামে একটি সংগঠনের নেতৃত্বে ৪০ টিরও বেশি আমেরিকান এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের জোট এটির প্রচারে কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের সংখ্যা বিপুল। বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় প্রযুক্তি কোম্পানি রয়েছে এখানে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ৫ লাখের বেশি শিখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বাস করে ক্যালিফোর্নিয়ায়।
সম্প্রদায়ের দুটি বৃহত্তম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ—শিখ কোয়ালিশন এবং শিখ আমেরিকান লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যান্ড এডুকেশন ফান্ড—বিলটি সমর্থন করছে। শিখদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দলিত সম্প্রদায় রবিদাসিয়া—যাদের সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজার—তাদের একেবারে তৃণমূল পর্যায়েও এই বিলের পক্ষে সমর্থন রয়েছে।
ইকুয়ালিটি ল্যাবসের সমীক্ষা অনুযায়ী, দক্ষিণ এশীয় আমেরিকান প্রবাসীদের মধ্যে বর্ণপ্রথার কারণে নিপীড়িত চারজনের মধ্যে একজনই শারীরিক এবং মৌখিক আক্রমণের শিকার হন; তিনজনের মধ্যে একজন শিক্ষায় বৈষম্যের সম্মুখীন হন এবং তিনজনের মধ্যে দুজন কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হন।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণপ্রথা এবং এর প্রভাব সম্পর্কে প্রথম বিস্তৃত একটি গবেষণা ছিল এটি। এতে অংশ নেন দেড় হাজার মানুষ। ২০১৮ সালে প্রকাশিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘নিম্ন বর্ণের’ মানুষেরা প্রতি–আক্রমণের শিকার হওয়ার ভয় পান এবং তাঁরা ‘সমাজচ্যুত’ হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন, তাই ‘জাত লুকিয়ে রাখেন’।
তবে ভারতীয় প্রবাসীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বর্ণপ্রথার কারণে বৈষম্যের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
সান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক দলিত কর্মী দীপক অলড্রিন বিলটির পক্ষে নন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ৩৫ বছর ধরে বসবাস করছি। কোনো হিন্দু আমাকে কখনো জিজ্ঞেস করেনি আমি কোন বর্ণের।’
বিলটি অনেক ভারতীয়-আমেরিকান ব্যক্তি, ধর্মীয় এবং পেশাজীবী গোষ্ঠীর তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছে। তাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, বিলে ধর্মের নাম উল্লেখ করা না হলেও এটি ‘হিন্দুদের বিরুদ্ধে ও তাঁদের উপাসনালয়ের প্রতি বৈষম্য উসকে দেবে। এমনকি হিন্দুদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠতে পারে।’
ক্যালিফোর্নিয়ায় বিদ্যমান আইনগুলো যে কোনো বৈষম্য মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করেন তাঁরা। এটি আইনে পরিণত হওয়া ঠেকাতে তাঁরা সংগঠিত হচ্ছেন।
হিন্দুপ্যাক্টের অধীনে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং হিন্দু মন্দির রয়েছে। এই সংগঠন আমেরিকায় বসবাসরত হিন্দুদের পক্ষে কথা বলে। তারা ক্যালিফোর্নিয়ার আইন প্রণেতাদের প্রতি বিলটি প্রত্যাখ্যান করার জন্য আবেদন করেছে। এর আহ্বায়ক অজয় শাহ বলেছেন, বিলটি ‘গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ, অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং ভারতীয় উপমহাদেশের তরুণ ও যুবকদের এবং যারা হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে তাদের লক্ষ্য করে আনা হয়েছে।’
হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক সুহাগ শুক্লা বলছেন, এই বিল এরই মধ্যে বর্ণ সম্পর্কে একটি ‘অবাঞ্ছিত’ সচেতনতা তৈরি করছে। এটি একপর্যায়ে বর্ণগত হয়রানির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেও তাঁর আশঙ্কা। এরই মধ্যে এই ফাউন্ডেশন বিলে উল্লেখিত ‘বর্ণের সংজ্ঞাকে অসাংবিধানিক’ দাবি করে আদালতে মামলাও করেছে।
তবে বিলের লেখক আয়েশা ওয়াহাব ব্যাখ্যা করেছেন, ‘বিলে অন্যান্য সুরক্ষিত বিভাগের মতো বর্ণ শনাক্তকরণের বিস্তারিত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কীভাবে বর্ণ নির্ধারণ করা হবে তার কোনো কথা এখানে নেই। এটি কেবল একটি বৈষম্য–বিরোধী বিল। যখন কেউ আদালতে একটি বিষয় নিয়ে যায়, তখন সাধারণত সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিযুক্ত হন, সম্ভাব্য বৈষম্যের ধরনটি জানতে তদন্ত করা হয়।’
আয়েশা ওয়াহাব বলেন, বিলটি প্রস্তাব করার পর তিনি ‘হত্যা হুমকি’ পেয়েছেন। এখন প্রত্যাহারের প্রচারণা ব্যাপকভাবে চলছে। এটি আবার ভোটে যেতে পারে। বিলটির বিরুদ্ধে যে প্রতিক্রিয়া সেটি হতাশাজনক। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের তিনি বিলটি পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আয়েশা বলেন, ‘আপনি উচ্চ বর্ণের বা নিম্ন বর্ণের যেই হোন না কেন, এতে কিছু যায় আসে না, এটি সবাইকে সুরক্ষা দেবে।’

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দোহাই খাটবে না।
বর্ণপ্রথা ভারতের অতিপ্রাচীন একটি সামাজিক সমস্যা। ভারতে এখনো এটি রয়েছে। বিশেষ করে দলিতরা এখনো নানাভাবে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হন। কিন্তু আটলান্টিকের ওপারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যে কেন এই বর্ণপ্রথা বিরোধী আইন করতে হচ্ছে? এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক স্বাধীন সাংবাদিক সবিতা পাতিল এই বিলের পক্ষে–বিপক্ষে মতামত তুলে ধরেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে নার্সের কাজ করেন সুখজিন্দর কাউর। হাসপাতালে দীর্ঘ ক্লান্তিকর কাজ করেন। কিন্তু বিরতিতে গেলেই বুঝতে পারেন তিনি এক নিপীড়নমূলক সমাজে বাস করেন।
সুখজিন্দর দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। ভারতের গভীর বৈষম্যমূলক বর্ণপ্রথায় এই দলিতরা সবচেয়ে নিচের স্তরের। সুখজিন্দর প্রায়ই উচ্চ বর্ণের হিন্দু সহকর্মীদের কাছ থেকে বর্ণবাদমূলক অসম্মানের সম্মুখীন হন।
দলিত অধিকার কর্মীরা বলছেন, বর্ণপ্রথার দোহাই দিয়ে নিপীড়নের শিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা আবাসন, শিক্ষাগত, পেশাগত এবং সামাজিক বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছেন।
গত মার্চে ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা সিনেটর আয়েশা ওয়াহাব এসবি–৪০২ বিলটি প্রণয়ন করেন। বৈষম্য বিরোধী এই বিলে লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম এবং অক্ষমতার পাশাপাশি বর্ণকেও একটি বিভাগ হিসেবে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলটি মে মাসে রাজ্যের সিনেটে ৩৪–১ ভোটে পাস হয়। এটি রাজ্যের পার্লামেন্টে পাস হলে ক্যালিফোর্নিয়া হবে বর্ণপ্রথা বৈষম্য নিষিদ্ধ করা প্রথম মার্কিন অঙ্গরাজ্য।
ক্যালিফোর্নিয়ায় যারা বিলটির পক্ষে তাঁদের মধ্যে একজন সুখজিন্দর। তিনি বলেন, ‘উচ্চ বর্ণের নার্সরা চামারদের (দলিতদের জন্য একটি নিন্দনীয় শব্দ) নোংরা ভাষায় গালি দেয়।’
গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসেবে সিয়াটল কর্তৃপক্ষ বর্ণপ্রথা নিষিদ্ধ করে। এরপরই ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের আইন প্রণেতারা উদ্যোগী হন। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক ইকুয়ালিটি ল্যাবস নামে একটি সংগঠনের নেতৃত্বে ৪০ টিরও বেশি আমেরিকান এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের জোট এটির প্রচারে কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের সংখ্যা বিপুল। বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় প্রযুক্তি কোম্পানি রয়েছে এখানে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ৫ লাখের বেশি শিখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বাস করে ক্যালিফোর্নিয়ায়।
সম্প্রদায়ের দুটি বৃহত্তম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ—শিখ কোয়ালিশন এবং শিখ আমেরিকান লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যান্ড এডুকেশন ফান্ড—বিলটি সমর্থন করছে। শিখদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দলিত সম্প্রদায় রবিদাসিয়া—যাদের সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজার—তাদের একেবারে তৃণমূল পর্যায়েও এই বিলের পক্ষে সমর্থন রয়েছে।
ইকুয়ালিটি ল্যাবসের সমীক্ষা অনুযায়ী, দক্ষিণ এশীয় আমেরিকান প্রবাসীদের মধ্যে বর্ণপ্রথার কারণে নিপীড়িত চারজনের মধ্যে একজনই শারীরিক এবং মৌখিক আক্রমণের শিকার হন; তিনজনের মধ্যে একজন শিক্ষায় বৈষম্যের সম্মুখীন হন এবং তিনজনের মধ্যে দুজন কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হন।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণপ্রথা এবং এর প্রভাব সম্পর্কে প্রথম বিস্তৃত একটি গবেষণা ছিল এটি। এতে অংশ নেন দেড় হাজার মানুষ। ২০১৮ সালে প্রকাশিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘নিম্ন বর্ণের’ মানুষেরা প্রতি–আক্রমণের শিকার হওয়ার ভয় পান এবং তাঁরা ‘সমাজচ্যুত’ হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন, তাই ‘জাত লুকিয়ে রাখেন’।
তবে ভারতীয় প্রবাসীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বর্ণপ্রথার কারণে বৈষম্যের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
সান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক দলিত কর্মী দীপক অলড্রিন বিলটির পক্ষে নন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ৩৫ বছর ধরে বসবাস করছি। কোনো হিন্দু আমাকে কখনো জিজ্ঞেস করেনি আমি কোন বর্ণের।’
বিলটি অনেক ভারতীয়-আমেরিকান ব্যক্তি, ধর্মীয় এবং পেশাজীবী গোষ্ঠীর তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছে। তাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, বিলে ধর্মের নাম উল্লেখ করা না হলেও এটি ‘হিন্দুদের বিরুদ্ধে ও তাঁদের উপাসনালয়ের প্রতি বৈষম্য উসকে দেবে। এমনকি হিন্দুদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠতে পারে।’
ক্যালিফোর্নিয়ায় বিদ্যমান আইনগুলো যে কোনো বৈষম্য মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করেন তাঁরা। এটি আইনে পরিণত হওয়া ঠেকাতে তাঁরা সংগঠিত হচ্ছেন।
হিন্দুপ্যাক্টের অধীনে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং হিন্দু মন্দির রয়েছে। এই সংগঠন আমেরিকায় বসবাসরত হিন্দুদের পক্ষে কথা বলে। তারা ক্যালিফোর্নিয়ার আইন প্রণেতাদের প্রতি বিলটি প্রত্যাখ্যান করার জন্য আবেদন করেছে। এর আহ্বায়ক অজয় শাহ বলেছেন, বিলটি ‘গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ, অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং ভারতীয় উপমহাদেশের তরুণ ও যুবকদের এবং যারা হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে তাদের লক্ষ্য করে আনা হয়েছে।’
হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক সুহাগ শুক্লা বলছেন, এই বিল এরই মধ্যে বর্ণ সম্পর্কে একটি ‘অবাঞ্ছিত’ সচেতনতা তৈরি করছে। এটি একপর্যায়ে বর্ণগত হয়রানির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেও তাঁর আশঙ্কা। এরই মধ্যে এই ফাউন্ডেশন বিলে উল্লেখিত ‘বর্ণের সংজ্ঞাকে অসাংবিধানিক’ দাবি করে আদালতে মামলাও করেছে।
তবে বিলের লেখক আয়েশা ওয়াহাব ব্যাখ্যা করেছেন, ‘বিলে অন্যান্য সুরক্ষিত বিভাগের মতো বর্ণ শনাক্তকরণের বিস্তারিত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কীভাবে বর্ণ নির্ধারণ করা হবে তার কোনো কথা এখানে নেই। এটি কেবল একটি বৈষম্য–বিরোধী বিল। যখন কেউ আদালতে একটি বিষয় নিয়ে যায়, তখন সাধারণত সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিযুক্ত হন, সম্ভাব্য বৈষম্যের ধরনটি জানতে তদন্ত করা হয়।’
আয়েশা ওয়াহাব বলেন, বিলটি প্রস্তাব করার পর তিনি ‘হত্যা হুমকি’ পেয়েছেন। এখন প্রত্যাহারের প্রচারণা ব্যাপকভাবে চলছে। এটি আবার ভোটে যেতে পারে। বিলটির বিরুদ্ধে যে প্রতিক্রিয়া সেটি হতাশাজনক। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের তিনি বিলটি পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আয়েশা বলেন, ‘আপনি উচ্চ বর্ণের বা নিম্ন বর্ণের যেই হোন না কেন, এতে কিছু যায় আসে না, এটি সবাইকে সুরক্ষা দেবে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৭ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দো
০৯ জুন ২০২৩
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৭ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দো
০৯ জুন ২০২৩
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৭ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দো
০৯ জুন ২০২৩
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৬ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দো
০৯ জুন ২০২৩
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৭ ঘণ্টা আগে