শহর ও গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইয়ুথ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারপারসন ও সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিআইজিএফের উদ্যোগে দেড় শতাধিক তরুণ প্রতিনিধিদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী শুরু হওয়া সম্মেলন ও সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
হাসানুল হক ইনু বলেন, গ্রাম-শহর, ধনী-গরিবের পর এখন সমাজে নতুন বৈষম্য ডিজিটাল বৈষম্য যুক্ত হয়েছে। মাল্টি স্টেকহোল্ডার অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে এই বৈষম্য ঘুচতে হবে। ডিজিটাল সাক্ষরতা জোরদারের পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইস ও সংযোগ সবার জন্য সুলভ ও সহজলভ্য করতে হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, ‘মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশই তরুণ। কিন্তু এখনো দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেটে সংযুক্ত নয়। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে আমরা আগামী পাঁচ বছরে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাব।’
চ্যাটজিপিটি কখনোই সৃজনশীলতার স্থান দখল করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রযুক্তি যেন আমাদের গিলে না ফেলে; আবার প্রযুক্তিকে ছেড়ে যেন আমরা হারিয়ে না যাই।’
উদ্বোধনী সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইয়ুথ ইন ডিজিটাল অ্যাওয়ারনেস প্রকল্প সমন্বয়ক ও স্টার্টআপ খুলনার দলনেতা মোসাম্মাত শরীফা আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশে তারুণ্যের শক্তি এবং বিকাশমান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে দুটি পৃথক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বিওয়াইজিএফ চেয়ারপারসন সৈয়দা কামরুন জাহান রিপার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব ফয়সাল আহমেদ ভূবন, সামিট কমিউনিকেশনসের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. ফররুখ ইমতিয়াজ প্রমুখ।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে