মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ, ঢাকা

দেশে লাখ লাখ দেওয়ানি মোকদ্দমার বেশির ভাগই জমি নিয়ে। ফৌজদারি মামলারও উল্লেখযোগ্য অংশের মূলে এই জমি। এসব মামলা-মোকদ্দমা নিষ্পত্তিতে কেটে যায় বছরের পর বছর। খরচ হয় বিপুল অর্থ। অপচয় হয় বহু সময়, শ্রম ও মেধা। শেষে এমনও দেখা যায়, জমির মূল্যের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ হয়ে গেছে মামলা-মোকদ্দমার পেছনেই! এসব বিবেচনায় জমিসংক্রান্ত বিরোধ আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির গুরুত্ব অপরিসীম।
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০০১ সালে সালিস আইন প্রণীত হয়। পরবর্তী সময়ে দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধন করে ৮৯এ ও ৮৯বি ধারা যুক্ত করা হয় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্যই।
বর্তমানে যেকোনো দেওয়ানি মোকদ্দমার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো এডিআর বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির। এ জন্য আদালত পক্ষদের মেডিয়েশনের (মধ্যস্থতা) জন্য সময় দেয়। মধ্যস্থতায় সমাধান না হলেই বরং ইস্যু গঠন করে বিচার শুরু হয়।
অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩-এর ২২ ধারায় মেডিয়েশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, এমনকি জারি মামলা পর্যায়েও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এই আইনের ৩৭ ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে।
এখন শুধু দরকার মানুষের সদিচ্ছা এবং আইনজীবী বা সমাজ মাতব্বর শ্রেণির লোকজনের সৎ পরামর্শ। একজন মানুষ আদালতে যাওয়ার আগে সাধারণত আইনজীবীর পরামর্শ নেন। তাই আইনজীবী যদি মামলার মেরিট সম্পর্কে যথাযথ পরামর্শ দেন, তাহলে অনেক মামলাই হয়তো আদালত পর্যন্ত গড়ায় না। এ ক্ষেত্রে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে যেতে পারে মামলা ছাড়াই।
একটি জমির মালিকানার ধারাবাহিকতা মূলত শুরু হয় সিএস রেকর্ড থেকে। সিএস রেকর্ডের মালিকের কাছ থেকে তাঁর ওয়ারিশ (উত্তরাধিকারী) মালিক হতে পারে বা বিক্রি, হেবা (দান), পত্তন (সাময়িক বন্দোবস্ত) ইত্যাদির মাধ্যমেও অন্য কেউ মালিক হতে পারে। বিক্রি দলিল বহু আগে থেকেই লিখিত হলেও পত্তন ও হেবা আগে মৌখিকভাবে হতো। এ অবস্থায় যদি এসএ ও আরএস রেকর্ডে মৌখিক পত্তন বা হেবা গ্রহীতার নাম রেকর্ড হয়, তবে সাধারণত ধরে নেওয়া হয় যে তাঁর মালিকানা সঠিক। যদি না সিএস রেকর্ডীয় মালিকের ওয়ারিশেরা ভিন্ন কোনো দলিল দেখাতে পারেন।
জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য দলিল ও পরচা—এই দুই ডকুমেন্টই মূল। দলিল একা প্রাধান্য পায়, পরচা মূলত দখলের প্রমাণ হলেও কোনো দলিলের অনুপস্থিতিতে মালিকানা প্রমাণের জন্যও পরচার ওপর নির্ভর করতে হয়।
তাই ভূমি নিয়ে বিরোধে জড়ানোর আগে বা আদালতে মামলা করার আগে নিজের স্বত্বের শক্তিটা বুঝে নিন। স্বত্ব দুর্বল হলে আদালতে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যদিও আপনি অর্থ ব্যয় করেই জমিটি কিনেছেন। তাই জমি কেনার সময়ই আপনাকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। যিনি জমি বিক্রি করছেন তাঁর নামে সর্বশেষ রেকর্ড বা নামজারি আছে কি না; তিনি খাজনা দেন কি না; অন্তত এসএ রেকর্ড পর্যন্ত মালিকানার ধারাবাহিকতা ঠিক আছে কি না জেনে নিন।
জমিতে আপনার দখল থাকলেও সেটি অন্যায় দখল হলে তা ছেড়ে দিতে দ্বিধা করা উচিত নয়। জমি কেনার আগে যথাযথভাবে কাগজ যাচাই-বাছাই না করে কিনলে এ জন্য যা ক্ষতি তা একদম প্রাথমিক পর্যায়েই বরণ করে নিন। দীর্ঘদিন আদালতে ঘুরে খরচ করে জমিটা যদি না-ই পান, তবে ক্ষতি কিন্তু দ্বিগুণ হচ্ছে।
এসএ এবং আরএস রেকর্ড দীর্ঘদিন আগে হয়েছে। সেই রেকর্ড ভুল দাবিতে সিএস রেকর্ডীয় মালিকের সাকসেশর (উত্তর পুরুষ) হিসেবে বর্তমানে মামলা করে জেতার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। তাই এ রকম দুর্বল স্বত্ব নিয়ে আদালতে না যাওয়াই ভালো। তবে এসবের যেকোনো একটি রেকর্ড ভুল হলে তার প্রতিকার চাওয়া উচিত।
সর্বোপরি তামাদি আইনের যথাযথ প্রয়োগও আদালতে মামলার পরিমাণ কমাতে পারে। ১৯৬০ সালের রেকর্ড ভুল দাবি করে ২০২৩ সালে মোকদ্দমা চলতে দেওয়া তামাদি আইনের উদ্দেশ্যই ব্যাহত করে।
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কীভাবে হতে পারে?
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গ্রাম আদালতে বা গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে এর নিষ্পত্তি হতে পারে। তবে রোয়েদাদ (বিরোধের বিষয়বস্তুর ওপর সালিসি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত) অবশ্যই লিখিতভাবে হতে হবে। আর সালিসদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই পক্ষদের সম্মতি থাকতে হবে।
আইনজীবীর মাধ্যমে পক্ষদের নোটিশ দিয়েও সালিসি পরিষদ গঠন করে পক্ষগুলোর মতামতের ভিত্তিতে নিয়োগকৃত সালিসরাও বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারেন।
প্রতিটি জেলায় রয়েছে লিগ্যাল এইড অফিস। যেখানে একজন সহকারী জজ দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মাধ্যমে সালিসি পরিষদ গঠন করেও বিরোধ নিষ্পত্তি হতে পারে।
সর্বোপরি নিজের মধ্যে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা, মেনে নেওয়ার সদিচ্ছা এবং নীতিনৈতিকতা বোধ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তবেই আদালতের বাইরে এই বিরোধ নিষ্পত্তি হতে পারে।
লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
আরও খবর পড়ুন:

দেশে লাখ লাখ দেওয়ানি মোকদ্দমার বেশির ভাগই জমি নিয়ে। ফৌজদারি মামলারও উল্লেখযোগ্য অংশের মূলে এই জমি। এসব মামলা-মোকদ্দমা নিষ্পত্তিতে কেটে যায় বছরের পর বছর। খরচ হয় বিপুল অর্থ। অপচয় হয় বহু সময়, শ্রম ও মেধা। শেষে এমনও দেখা যায়, জমির মূল্যের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ হয়ে গেছে মামলা-মোকদ্দমার পেছনেই! এসব বিবেচনায় জমিসংক্রান্ত বিরোধ আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির গুরুত্ব অপরিসীম।
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০০১ সালে সালিস আইন প্রণীত হয়। পরবর্তী সময়ে দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধন করে ৮৯এ ও ৮৯বি ধারা যুক্ত করা হয় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্যই।
বর্তমানে যেকোনো দেওয়ানি মোকদ্দমার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো এডিআর বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির। এ জন্য আদালত পক্ষদের মেডিয়েশনের (মধ্যস্থতা) জন্য সময় দেয়। মধ্যস্থতায় সমাধান না হলেই বরং ইস্যু গঠন করে বিচার শুরু হয়।
অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩-এর ২২ ধারায় মেডিয়েশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, এমনকি জারি মামলা পর্যায়েও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এই আইনের ৩৭ ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে।
এখন শুধু দরকার মানুষের সদিচ্ছা এবং আইনজীবী বা সমাজ মাতব্বর শ্রেণির লোকজনের সৎ পরামর্শ। একজন মানুষ আদালতে যাওয়ার আগে সাধারণত আইনজীবীর পরামর্শ নেন। তাই আইনজীবী যদি মামলার মেরিট সম্পর্কে যথাযথ পরামর্শ দেন, তাহলে অনেক মামলাই হয়তো আদালত পর্যন্ত গড়ায় না। এ ক্ষেত্রে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে যেতে পারে মামলা ছাড়াই।
একটি জমির মালিকানার ধারাবাহিকতা মূলত শুরু হয় সিএস রেকর্ড থেকে। সিএস রেকর্ডের মালিকের কাছ থেকে তাঁর ওয়ারিশ (উত্তরাধিকারী) মালিক হতে পারে বা বিক্রি, হেবা (দান), পত্তন (সাময়িক বন্দোবস্ত) ইত্যাদির মাধ্যমেও অন্য কেউ মালিক হতে পারে। বিক্রি দলিল বহু আগে থেকেই লিখিত হলেও পত্তন ও হেবা আগে মৌখিকভাবে হতো। এ অবস্থায় যদি এসএ ও আরএস রেকর্ডে মৌখিক পত্তন বা হেবা গ্রহীতার নাম রেকর্ড হয়, তবে সাধারণত ধরে নেওয়া হয় যে তাঁর মালিকানা সঠিক। যদি না সিএস রেকর্ডীয় মালিকের ওয়ারিশেরা ভিন্ন কোনো দলিল দেখাতে পারেন।
জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য দলিল ও পরচা—এই দুই ডকুমেন্টই মূল। দলিল একা প্রাধান্য পায়, পরচা মূলত দখলের প্রমাণ হলেও কোনো দলিলের অনুপস্থিতিতে মালিকানা প্রমাণের জন্যও পরচার ওপর নির্ভর করতে হয়।
তাই ভূমি নিয়ে বিরোধে জড়ানোর আগে বা আদালতে মামলা করার আগে নিজের স্বত্বের শক্তিটা বুঝে নিন। স্বত্ব দুর্বল হলে আদালতে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যদিও আপনি অর্থ ব্যয় করেই জমিটি কিনেছেন। তাই জমি কেনার সময়ই আপনাকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। যিনি জমি বিক্রি করছেন তাঁর নামে সর্বশেষ রেকর্ড বা নামজারি আছে কি না; তিনি খাজনা দেন কি না; অন্তত এসএ রেকর্ড পর্যন্ত মালিকানার ধারাবাহিকতা ঠিক আছে কি না জেনে নিন।
জমিতে আপনার দখল থাকলেও সেটি অন্যায় দখল হলে তা ছেড়ে দিতে দ্বিধা করা উচিত নয়। জমি কেনার আগে যথাযথভাবে কাগজ যাচাই-বাছাই না করে কিনলে এ জন্য যা ক্ষতি তা একদম প্রাথমিক পর্যায়েই বরণ করে নিন। দীর্ঘদিন আদালতে ঘুরে খরচ করে জমিটা যদি না-ই পান, তবে ক্ষতি কিন্তু দ্বিগুণ হচ্ছে।
এসএ এবং আরএস রেকর্ড দীর্ঘদিন আগে হয়েছে। সেই রেকর্ড ভুল দাবিতে সিএস রেকর্ডীয় মালিকের সাকসেশর (উত্তর পুরুষ) হিসেবে বর্তমানে মামলা করে জেতার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। তাই এ রকম দুর্বল স্বত্ব নিয়ে আদালতে না যাওয়াই ভালো। তবে এসবের যেকোনো একটি রেকর্ড ভুল হলে তার প্রতিকার চাওয়া উচিত।
সর্বোপরি তামাদি আইনের যথাযথ প্রয়োগও আদালতে মামলার পরিমাণ কমাতে পারে। ১৯৬০ সালের রেকর্ড ভুল দাবি করে ২০২৩ সালে মোকদ্দমা চলতে দেওয়া তামাদি আইনের উদ্দেশ্যই ব্যাহত করে।
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কীভাবে হতে পারে?
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গ্রাম আদালতে বা গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে এর নিষ্পত্তি হতে পারে। তবে রোয়েদাদ (বিরোধের বিষয়বস্তুর ওপর সালিসি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত) অবশ্যই লিখিতভাবে হতে হবে। আর সালিসদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই পক্ষদের সম্মতি থাকতে হবে।
আইনজীবীর মাধ্যমে পক্ষদের নোটিশ দিয়েও সালিসি পরিষদ গঠন করে পক্ষগুলোর মতামতের ভিত্তিতে নিয়োগকৃত সালিসরাও বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারেন।
প্রতিটি জেলায় রয়েছে লিগ্যাল এইড অফিস। যেখানে একজন সহকারী জজ দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মাধ্যমে সালিসি পরিষদ গঠন করেও বিরোধ নিষ্পত্তি হতে পারে।
সর্বোপরি নিজের মধ্যে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা, মেনে নেওয়ার সদিচ্ছা এবং নীতিনৈতিকতা বোধ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তবেই আদালতের বাইরে এই বিরোধ নিষ্পত্তি হতে পারে।
লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
আরও খবর পড়ুন:

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
২৯ মিনিট আগে
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় শোক পালনে আজ দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
গতকাল শুক্রবার হাদির মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। তাঁর মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
আরও বলা হয়েছে, এ সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় শোক পালনে আজ দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
গতকাল শুক্রবার হাদির মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। তাঁর মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
আরও বলা হয়েছে, এ সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

দেশে লাখ লাখ দেওয়ানি মোকদ্দমার বেশির ভাগই জমি নিয়ে। ফৌজদারি মামলারও উল্লেখযোগ্য অংশের মূলে এই জমি। এসব মামলা-মোকদ্দমা নিষ্পত্তিতে কেটে যায় বছরের পর বছর। খরচ হয় বিপুল অর্থ। অপচয় হয় বহু সময়, শ্রম ও মেধা। শেষে এমনও দেখা যায়, জমির মূল্যের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ হয়ে গেছে মামলা-মোকদ্দমার পেছনেই! এসব বিবেচনায়
০৫ মে ২০২৩
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দেশে লাখ লাখ দেওয়ানি মোকদ্দমার বেশির ভাগই জমি নিয়ে। ফৌজদারি মামলারও উল্লেখযোগ্য অংশের মূলে এই জমি। এসব মামলা-মোকদ্দমা নিষ্পত্তিতে কেটে যায় বছরের পর বছর। খরচ হয় বিপুল অর্থ। অপচয় হয় বহু সময়, শ্রম ও মেধা। শেষে এমনও দেখা যায়, জমির মূল্যের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ হয়ে গেছে মামলা-মোকদ্দমার পেছনেই! এসব বিবেচনায়
০৫ মে ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
২৯ মিনিট আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

দেশে লাখ লাখ দেওয়ানি মোকদ্দমার বেশির ভাগই জমি নিয়ে। ফৌজদারি মামলারও উল্লেখযোগ্য অংশের মূলে এই জমি। এসব মামলা-মোকদ্দমা নিষ্পত্তিতে কেটে যায় বছরের পর বছর। খরচ হয় বিপুল অর্থ। অপচয় হয় বহু সময়, শ্রম ও মেধা। শেষে এমনও দেখা যায়, জমির মূল্যের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ হয়ে গেছে মামলা-মোকদ্দমার পেছনেই! এসব বিবেচনায়
০৫ মে ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
২৯ মিনিট আগে
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

দেশে লাখ লাখ দেওয়ানি মোকদ্দমার বেশির ভাগই জমি নিয়ে। ফৌজদারি মামলারও উল্লেখযোগ্য অংশের মূলে এই জমি। এসব মামলা-মোকদ্দমা নিষ্পত্তিতে কেটে যায় বছরের পর বছর। খরচ হয় বিপুল অর্থ। অপচয় হয় বহু সময়, শ্রম ও মেধা। শেষে এমনও দেখা যায়, জমির মূল্যের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ হয়ে গেছে মামলা-মোকদ্দমার পেছনেই! এসব বিবেচনায়
০৫ মে ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
২৯ মিনিট আগে
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে