
বাংলাদেশের বুশরা আফরিন ঢাকা শহরের চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এশিয়ার প্রথম সিএইচও তিনি। আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টার তাঁকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছে।
সমাজকর্মী আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে। বাংলাদেশে পোশাককর্মীদের অধিকার রক্ষা ও টেকসই পোশাক রপ্তানি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তাঁর বাবাও একজন সফল রপ্তানিমুখী পোশাক ব্যবসায়ী।
আফরিনের নেতৃত্বে গার্মেন্টস শিল্প কারখানার মেঝের তাপ কমানোর জন্য একটি টাস্কফোর্স তৈরি করা হয়েছিল। তিনি মা পোশাককর্মীদের জন্য কারখানার অবকাঠামোতেও পরিবর্তন এনেছেন। এর মধ্য রয়েছে শিশুদের দুগ্ধদানের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি ও ডে-কেয়ারের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক।
অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শহরে সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি, সিয়েরা লিওনের ফ্রি টাউন, গ্রিসের এথেন্স, চিলির সান্তিয়াগো, মেক্সিকোর মন্টেরি এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। তাঁরা সবাই নারী।
ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টারই প্রথম পদের ধারণা আনে। তাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্য ১০০ কোটি মানুষকে দাবদাহমুক্ত করার। এই ধারণা পছন্দ হওয়ায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস নগর কর্তৃপক্ষও সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর জন্য আলাদা তহবিলও বরাদ্দ করেছে তারা।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুশরা আফরিন বলেন, ‘এই ঢাকা শহরেই আমার জন্ম। অসহ্য গরমের কারণে আজ তাকে যেন আর চিনতে পারছি না। ঢাকা বসবাসের অযোগ্য জায়গা—এই কথাটিই ঢাকার প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে।’
বর্তমানে ঢাকা এশিয়ার সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহের একটি শহর। এই শহরের মাসিক গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উচ্চ আর্দ্রতার কারণে কখনো কখনো তা ৪০ ডিগ্রিতেও পৌঁছায়। গত মাসেই শহরের তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে উঠেছিল। যা ৬ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ক্রমাগত জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধি এই শহরকে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে।
২০২১ সালের বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বছর দাবদাহ থাকবে এমন শহর হতে চলেছে ঢাকা।
ঢাকা শহরের সিএইচও নিয়োগ পাওয়ার পর বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি সবার জন্য কাজ করতে চাই। তবে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে।’
বুশরা বলেন, দাবদাহ মানুষের জন্য এক নীরব ও ভয়ানক শত্রু। অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এখন দাবদাহ। এর শিকার হচ্ছেন বৃদ্ধ, কিশোর, দরিদ্র ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তরা।
বিভিন্ন শহর আরশট-রকফেলারের সদস্য হচ্ছে শুধু দাবদাহ রোধে তাদের উদ্যোগের জন্য নয়, বরং বিভিন্ন শহর ও স্থানীয় সরকার তাদের নতুন এই ধারণা গ্রহণ করছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তাদেরই একটি। সিএইচওরা তাঁদের পরিকল্পনাগুলোকে বিভিন্ন শহরে বাস্তবায়নযোগ্য করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
বুশরা আফরিন বিশ্বের বিভিন্ন শহরের সিএইচওদের কাছ থেকে শিখতে আগ্রহী। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাঁদের সম্পর্কে জানতে ও একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। তাঁরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ; যা আমাকে আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।’
আরশট-রকের ডিরেক্টর ও সিএইচও প্রোগ্রামের মূল পরিকল্পনাকারী ক্যাথি বগম্যান ম্যাকলিওড ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘এই পদের জন্য নারীদের নির্বাচিত করা হয়েছে কারণ, দাবদাহের শিকারের সিংহভাগই তাঁরা।’
২০৫০ সালের মধ্য পৃথিবীর উষ্ণতম দিনের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে এক সমীক্ষায় আশঙ্কা করা হয়েছে। আর এর ভুক্তভোগী হবে নারীরা। দাবদাহ অসমভাবে শুধু নারীদের স্বাস্থ্যের ওপরই প্রভাব ফেলে না, অর্থনীতিকেও সংকটে ফেলে। কারণ, নারীরা বিশ্ব অর্থনীতির অস্বীকৃত মেরুদণ্ড। সারা বিশ্বেই নারীরা গৃহস্থালি ও সন্তান দেখাশোনা করেন। যার পারিশ্রমিক দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) যুক্ত হয় না।
বগম্যান ম্যাকলিওড আরও বলেন, ‘নারীদের এসব পদে নিয়োগ দেওয়াই যৌক্তিক। এটি সময়ের প্রেক্ষাপটে সেরা বিনিয়োগ।’
বিশ্বের বড় শহরগুলোর দিন দিন আবহাওয়া ও পরিবেশের হুমকির মুখে পড়ছে। ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বড় শহর ঢাকাও এর মধ্য রয়েছে। ঢাকা শহরে ঘনবসতি হওয়ায় এখানে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা হতে পারে।
এ বিষয়ে বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি জানি না, ঢাকার অবস্থাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। এখানে মানুষ আসলে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। দাবদাহ এত বেশি যে প্রচুর ঘামলেও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। ঢাকায় বাইরে বের হওয়াটা দিন দিন আরও প্রতিকূল হয়ে উঠছে।’
বুশরার ভাষায়, ঢাকায় গত মাসে দাবদাহের কারণে বেশ কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে ঢাকার বাতাসে এখন আরও বেশি দূষিত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন দুই হাজারের অধিক বেকার মানুষ ঢাকায় আসেন জীবিকার জন্য। এঁদের অধিকাংশই কৃষক বা জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। কারণ, তাঁরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে নিজ এলাকায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ ফিট উঁচুতে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বৃদ্ধি ও সাইক্লোনের আঘাতে দেশের হাজার হাজার একর ভূখণ্ড এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে।
আফরিন জানান, দেশের জনসংখ্যার বিরাট এক অংশ স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও পানীয় জলের সংকটে রয়েছে। এ থেকে বের হতে তাঁদের নিয়ে দাবদাহ রোধেও কাজ করতে হবে। ঢাকা শহরে ভবনগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে ধাতব বস্তু ব্যবহার করা হয়। যা বাড়িগুলো বসবাসের অযোগ্য করে তোলে। দেশে সর্বশেষ দাবদাহ এর প্রমাণ। এ সময় বাড়িগুলো জ্বলন্ত চুলার মতো উষ্ণ হয়ে পড়েছিল, অধিকাংশ মানুষ রাতে ঘুমাতে পারেনি।
দেশের বেশির ভাগ মানুষের এসি ব্যবহারের সাধ্য নেই। তাঁদের ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার সুযোগও নেই। তাঁরা ওয়াসার যেই পানি পান সেটিও সেদ্ধ পানির মতো গরম। এটা দেশের গণস্বাস্থ্য সংকট। মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যোগ করেন বুশরা আফরিন।
মায়ামিতে নিযুক্ত পৃথিবীর প্রথম সিএইচও জেন গিলবার্ট বিভিন্ন ভাষাভাষী খামারকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। এ ছাড়া হ্যারিকেন প্রস্তুতির জন্য রাস্তার পাশে বিলবোর্ড বসাচ্ছেন ও স্থানীয় রেডিওতে দাবদাহের কারণে হওয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।
সান্তিয়াগোর সিএইচও ক্রিস্টিনা হুইডোব্রো আঞ্চলিক গভর্নরের ২০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্পে শহরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির তদারকি করছেন।
ফ্রি টাউনের সিএইচও ইউজেনিয়া কার্গবো বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলেন, তাঁদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো স্টলের ছাউনি। তিনি তাঁদের সেটি সরবরাহ করেছেন। এখন এসব ছাউনি ব্যবসায়ীদের ও তাঁদের পণ্যগুলোকে দাবদাহ থেকে রক্ষা করছে।
বুশরা আফরিনও ঢাকায় দাবদাহ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেই মনোনিবেশ করছেন। পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে কাজ করা স্থানীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন। তাঁদের লক্ষ্য দাবদাহে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের খুঁজে বের করা ও তাঁদের নিয়ে কাজ করা।
এ জন্য বুশরা আফরিন বলেছেন, ‘আমি দাবদাহ নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ। ঢাকা শহরের দাবদাহ নিয়ে কাজ করার জন্য এটি উপযুক্ত সময়। কেননা, অসংখ্য মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমি শুধু নিজের মেয়ের জন্য নয়, সব শিশুর জন্য একটি সুন্দর ও ন্যায্য ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চাই।’

বাংলাদেশের বুশরা আফরিন ঢাকা শহরের চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এশিয়ার প্রথম সিএইচও তিনি। আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টার তাঁকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছে।
সমাজকর্মী আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে। বাংলাদেশে পোশাককর্মীদের অধিকার রক্ষা ও টেকসই পোশাক রপ্তানি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তাঁর বাবাও একজন সফল রপ্তানিমুখী পোশাক ব্যবসায়ী।
আফরিনের নেতৃত্বে গার্মেন্টস শিল্প কারখানার মেঝের তাপ কমানোর জন্য একটি টাস্কফোর্স তৈরি করা হয়েছিল। তিনি মা পোশাককর্মীদের জন্য কারখানার অবকাঠামোতেও পরিবর্তন এনেছেন। এর মধ্য রয়েছে শিশুদের দুগ্ধদানের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি ও ডে-কেয়ারের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক।
অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শহরে সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি, সিয়েরা লিওনের ফ্রি টাউন, গ্রিসের এথেন্স, চিলির সান্তিয়াগো, মেক্সিকোর মন্টেরি এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। তাঁরা সবাই নারী।
ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টারই প্রথম পদের ধারণা আনে। তাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্য ১০০ কোটি মানুষকে দাবদাহমুক্ত করার। এই ধারণা পছন্দ হওয়ায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস নগর কর্তৃপক্ষও সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর জন্য আলাদা তহবিলও বরাদ্দ করেছে তারা।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুশরা আফরিন বলেন, ‘এই ঢাকা শহরেই আমার জন্ম। অসহ্য গরমের কারণে আজ তাকে যেন আর চিনতে পারছি না। ঢাকা বসবাসের অযোগ্য জায়গা—এই কথাটিই ঢাকার প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে।’
বর্তমানে ঢাকা এশিয়ার সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহের একটি শহর। এই শহরের মাসিক গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উচ্চ আর্দ্রতার কারণে কখনো কখনো তা ৪০ ডিগ্রিতেও পৌঁছায়। গত মাসেই শহরের তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে উঠেছিল। যা ৬ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ক্রমাগত জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধি এই শহরকে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে।
২০২১ সালের বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বছর দাবদাহ থাকবে এমন শহর হতে চলেছে ঢাকা।
ঢাকা শহরের সিএইচও নিয়োগ পাওয়ার পর বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি সবার জন্য কাজ করতে চাই। তবে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে।’
বুশরা বলেন, দাবদাহ মানুষের জন্য এক নীরব ও ভয়ানক শত্রু। অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এখন দাবদাহ। এর শিকার হচ্ছেন বৃদ্ধ, কিশোর, দরিদ্র ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তরা।
বিভিন্ন শহর আরশট-রকফেলারের সদস্য হচ্ছে শুধু দাবদাহ রোধে তাদের উদ্যোগের জন্য নয়, বরং বিভিন্ন শহর ও স্থানীয় সরকার তাদের নতুন এই ধারণা গ্রহণ করছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তাদেরই একটি। সিএইচওরা তাঁদের পরিকল্পনাগুলোকে বিভিন্ন শহরে বাস্তবায়নযোগ্য করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
বুশরা আফরিন বিশ্বের বিভিন্ন শহরের সিএইচওদের কাছ থেকে শিখতে আগ্রহী। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাঁদের সম্পর্কে জানতে ও একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। তাঁরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ; যা আমাকে আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।’
আরশট-রকের ডিরেক্টর ও সিএইচও প্রোগ্রামের মূল পরিকল্পনাকারী ক্যাথি বগম্যান ম্যাকলিওড ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘এই পদের জন্য নারীদের নির্বাচিত করা হয়েছে কারণ, দাবদাহের শিকারের সিংহভাগই তাঁরা।’
২০৫০ সালের মধ্য পৃথিবীর উষ্ণতম দিনের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে এক সমীক্ষায় আশঙ্কা করা হয়েছে। আর এর ভুক্তভোগী হবে নারীরা। দাবদাহ অসমভাবে শুধু নারীদের স্বাস্থ্যের ওপরই প্রভাব ফেলে না, অর্থনীতিকেও সংকটে ফেলে। কারণ, নারীরা বিশ্ব অর্থনীতির অস্বীকৃত মেরুদণ্ড। সারা বিশ্বেই নারীরা গৃহস্থালি ও সন্তান দেখাশোনা করেন। যার পারিশ্রমিক দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) যুক্ত হয় না।
বগম্যান ম্যাকলিওড আরও বলেন, ‘নারীদের এসব পদে নিয়োগ দেওয়াই যৌক্তিক। এটি সময়ের প্রেক্ষাপটে সেরা বিনিয়োগ।’
বিশ্বের বড় শহরগুলোর দিন দিন আবহাওয়া ও পরিবেশের হুমকির মুখে পড়ছে। ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বড় শহর ঢাকাও এর মধ্য রয়েছে। ঢাকা শহরে ঘনবসতি হওয়ায় এখানে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা হতে পারে।
এ বিষয়ে বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি জানি না, ঢাকার অবস্থাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। এখানে মানুষ আসলে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। দাবদাহ এত বেশি যে প্রচুর ঘামলেও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। ঢাকায় বাইরে বের হওয়াটা দিন দিন আরও প্রতিকূল হয়ে উঠছে।’
বুশরার ভাষায়, ঢাকায় গত মাসে দাবদাহের কারণে বেশ কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে ঢাকার বাতাসে এখন আরও বেশি দূষিত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন দুই হাজারের অধিক বেকার মানুষ ঢাকায় আসেন জীবিকার জন্য। এঁদের অধিকাংশই কৃষক বা জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। কারণ, তাঁরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে নিজ এলাকায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ ফিট উঁচুতে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বৃদ্ধি ও সাইক্লোনের আঘাতে দেশের হাজার হাজার একর ভূখণ্ড এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে।
আফরিন জানান, দেশের জনসংখ্যার বিরাট এক অংশ স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও পানীয় জলের সংকটে রয়েছে। এ থেকে বের হতে তাঁদের নিয়ে দাবদাহ রোধেও কাজ করতে হবে। ঢাকা শহরে ভবনগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে ধাতব বস্তু ব্যবহার করা হয়। যা বাড়িগুলো বসবাসের অযোগ্য করে তোলে। দেশে সর্বশেষ দাবদাহ এর প্রমাণ। এ সময় বাড়িগুলো জ্বলন্ত চুলার মতো উষ্ণ হয়ে পড়েছিল, অধিকাংশ মানুষ রাতে ঘুমাতে পারেনি।
দেশের বেশির ভাগ মানুষের এসি ব্যবহারের সাধ্য নেই। তাঁদের ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার সুযোগও নেই। তাঁরা ওয়াসার যেই পানি পান সেটিও সেদ্ধ পানির মতো গরম। এটা দেশের গণস্বাস্থ্য সংকট। মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যোগ করেন বুশরা আফরিন।
মায়ামিতে নিযুক্ত পৃথিবীর প্রথম সিএইচও জেন গিলবার্ট বিভিন্ন ভাষাভাষী খামারকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। এ ছাড়া হ্যারিকেন প্রস্তুতির জন্য রাস্তার পাশে বিলবোর্ড বসাচ্ছেন ও স্থানীয় রেডিওতে দাবদাহের কারণে হওয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।
সান্তিয়াগোর সিএইচও ক্রিস্টিনা হুইডোব্রো আঞ্চলিক গভর্নরের ২০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্পে শহরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির তদারকি করছেন।
ফ্রি টাউনের সিএইচও ইউজেনিয়া কার্গবো বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলেন, তাঁদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো স্টলের ছাউনি। তিনি তাঁদের সেটি সরবরাহ করেছেন। এখন এসব ছাউনি ব্যবসায়ীদের ও তাঁদের পণ্যগুলোকে দাবদাহ থেকে রক্ষা করছে।
বুশরা আফরিনও ঢাকায় দাবদাহ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেই মনোনিবেশ করছেন। পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে কাজ করা স্থানীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন। তাঁদের লক্ষ্য দাবদাহে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের খুঁজে বের করা ও তাঁদের নিয়ে কাজ করা।
এ জন্য বুশরা আফরিন বলেছেন, ‘আমি দাবদাহ নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ। ঢাকা শহরের দাবদাহ নিয়ে কাজ করার জন্য এটি উপযুক্ত সময়। কেননা, অসংখ্য মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমি শুধু নিজের মেয়ের জন্য নয়, সব শিশুর জন্য একটি সুন্দর ও ন্যায্য ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চাই।’

বাংলাদেশের বুশরা আফরিন ঢাকা শহরের চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এশিয়ার প্রথম সিএইচও তিনি। আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টার তাঁকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছে।
সমাজকর্মী আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে। বাংলাদেশে পোশাককর্মীদের অধিকার রক্ষা ও টেকসই পোশাক রপ্তানি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তাঁর বাবাও একজন সফল রপ্তানিমুখী পোশাক ব্যবসায়ী।
আফরিনের নেতৃত্বে গার্মেন্টস শিল্প কারখানার মেঝের তাপ কমানোর জন্য একটি টাস্কফোর্স তৈরি করা হয়েছিল। তিনি মা পোশাককর্মীদের জন্য কারখানার অবকাঠামোতেও পরিবর্তন এনেছেন। এর মধ্য রয়েছে শিশুদের দুগ্ধদানের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি ও ডে-কেয়ারের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক।
অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শহরে সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি, সিয়েরা লিওনের ফ্রি টাউন, গ্রিসের এথেন্স, চিলির সান্তিয়াগো, মেক্সিকোর মন্টেরি এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। তাঁরা সবাই নারী।
ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টারই প্রথম পদের ধারণা আনে। তাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্য ১০০ কোটি মানুষকে দাবদাহমুক্ত করার। এই ধারণা পছন্দ হওয়ায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস নগর কর্তৃপক্ষও সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর জন্য আলাদা তহবিলও বরাদ্দ করেছে তারা।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুশরা আফরিন বলেন, ‘এই ঢাকা শহরেই আমার জন্ম। অসহ্য গরমের কারণে আজ তাকে যেন আর চিনতে পারছি না। ঢাকা বসবাসের অযোগ্য জায়গা—এই কথাটিই ঢাকার প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে।’
বর্তমানে ঢাকা এশিয়ার সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহের একটি শহর। এই শহরের মাসিক গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উচ্চ আর্দ্রতার কারণে কখনো কখনো তা ৪০ ডিগ্রিতেও পৌঁছায়। গত মাসেই শহরের তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে উঠেছিল। যা ৬ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ক্রমাগত জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধি এই শহরকে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে।
২০২১ সালের বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বছর দাবদাহ থাকবে এমন শহর হতে চলেছে ঢাকা।
ঢাকা শহরের সিএইচও নিয়োগ পাওয়ার পর বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি সবার জন্য কাজ করতে চাই। তবে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে।’
বুশরা বলেন, দাবদাহ মানুষের জন্য এক নীরব ও ভয়ানক শত্রু। অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এখন দাবদাহ। এর শিকার হচ্ছেন বৃদ্ধ, কিশোর, দরিদ্র ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তরা।
বিভিন্ন শহর আরশট-রকফেলারের সদস্য হচ্ছে শুধু দাবদাহ রোধে তাদের উদ্যোগের জন্য নয়, বরং বিভিন্ন শহর ও স্থানীয় সরকার তাদের নতুন এই ধারণা গ্রহণ করছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তাদেরই একটি। সিএইচওরা তাঁদের পরিকল্পনাগুলোকে বিভিন্ন শহরে বাস্তবায়নযোগ্য করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
বুশরা আফরিন বিশ্বের বিভিন্ন শহরের সিএইচওদের কাছ থেকে শিখতে আগ্রহী। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাঁদের সম্পর্কে জানতে ও একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। তাঁরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ; যা আমাকে আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।’
আরশট-রকের ডিরেক্টর ও সিএইচও প্রোগ্রামের মূল পরিকল্পনাকারী ক্যাথি বগম্যান ম্যাকলিওড ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘এই পদের জন্য নারীদের নির্বাচিত করা হয়েছে কারণ, দাবদাহের শিকারের সিংহভাগই তাঁরা।’
২০৫০ সালের মধ্য পৃথিবীর উষ্ণতম দিনের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে এক সমীক্ষায় আশঙ্কা করা হয়েছে। আর এর ভুক্তভোগী হবে নারীরা। দাবদাহ অসমভাবে শুধু নারীদের স্বাস্থ্যের ওপরই প্রভাব ফেলে না, অর্থনীতিকেও সংকটে ফেলে। কারণ, নারীরা বিশ্ব অর্থনীতির অস্বীকৃত মেরুদণ্ড। সারা বিশ্বেই নারীরা গৃহস্থালি ও সন্তান দেখাশোনা করেন। যার পারিশ্রমিক দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) যুক্ত হয় না।
বগম্যান ম্যাকলিওড আরও বলেন, ‘নারীদের এসব পদে নিয়োগ দেওয়াই যৌক্তিক। এটি সময়ের প্রেক্ষাপটে সেরা বিনিয়োগ।’
বিশ্বের বড় শহরগুলোর দিন দিন আবহাওয়া ও পরিবেশের হুমকির মুখে পড়ছে। ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বড় শহর ঢাকাও এর মধ্য রয়েছে। ঢাকা শহরে ঘনবসতি হওয়ায় এখানে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা হতে পারে।
এ বিষয়ে বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি জানি না, ঢাকার অবস্থাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। এখানে মানুষ আসলে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। দাবদাহ এত বেশি যে প্রচুর ঘামলেও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। ঢাকায় বাইরে বের হওয়াটা দিন দিন আরও প্রতিকূল হয়ে উঠছে।’
বুশরার ভাষায়, ঢাকায় গত মাসে দাবদাহের কারণে বেশ কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে ঢাকার বাতাসে এখন আরও বেশি দূষিত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন দুই হাজারের অধিক বেকার মানুষ ঢাকায় আসেন জীবিকার জন্য। এঁদের অধিকাংশই কৃষক বা জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। কারণ, তাঁরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে নিজ এলাকায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ ফিট উঁচুতে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বৃদ্ধি ও সাইক্লোনের আঘাতে দেশের হাজার হাজার একর ভূখণ্ড এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে।
আফরিন জানান, দেশের জনসংখ্যার বিরাট এক অংশ স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও পানীয় জলের সংকটে রয়েছে। এ থেকে বের হতে তাঁদের নিয়ে দাবদাহ রোধেও কাজ করতে হবে। ঢাকা শহরে ভবনগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে ধাতব বস্তু ব্যবহার করা হয়। যা বাড়িগুলো বসবাসের অযোগ্য করে তোলে। দেশে সর্বশেষ দাবদাহ এর প্রমাণ। এ সময় বাড়িগুলো জ্বলন্ত চুলার মতো উষ্ণ হয়ে পড়েছিল, অধিকাংশ মানুষ রাতে ঘুমাতে পারেনি।
দেশের বেশির ভাগ মানুষের এসি ব্যবহারের সাধ্য নেই। তাঁদের ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার সুযোগও নেই। তাঁরা ওয়াসার যেই পানি পান সেটিও সেদ্ধ পানির মতো গরম। এটা দেশের গণস্বাস্থ্য সংকট। মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যোগ করেন বুশরা আফরিন।
মায়ামিতে নিযুক্ত পৃথিবীর প্রথম সিএইচও জেন গিলবার্ট বিভিন্ন ভাষাভাষী খামারকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। এ ছাড়া হ্যারিকেন প্রস্তুতির জন্য রাস্তার পাশে বিলবোর্ড বসাচ্ছেন ও স্থানীয় রেডিওতে দাবদাহের কারণে হওয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।
সান্তিয়াগোর সিএইচও ক্রিস্টিনা হুইডোব্রো আঞ্চলিক গভর্নরের ২০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্পে শহরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির তদারকি করছেন।
ফ্রি টাউনের সিএইচও ইউজেনিয়া কার্গবো বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলেন, তাঁদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো স্টলের ছাউনি। তিনি তাঁদের সেটি সরবরাহ করেছেন। এখন এসব ছাউনি ব্যবসায়ীদের ও তাঁদের পণ্যগুলোকে দাবদাহ থেকে রক্ষা করছে।
বুশরা আফরিনও ঢাকায় দাবদাহ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেই মনোনিবেশ করছেন। পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে কাজ করা স্থানীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন। তাঁদের লক্ষ্য দাবদাহে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের খুঁজে বের করা ও তাঁদের নিয়ে কাজ করা।
এ জন্য বুশরা আফরিন বলেছেন, ‘আমি দাবদাহ নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ। ঢাকা শহরের দাবদাহ নিয়ে কাজ করার জন্য এটি উপযুক্ত সময়। কেননা, অসংখ্য মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমি শুধু নিজের মেয়ের জন্য নয়, সব শিশুর জন্য একটি সুন্দর ও ন্যায্য ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চাই।’

বাংলাদেশের বুশরা আফরিন ঢাকা শহরের চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এশিয়ার প্রথম সিএইচও তিনি। আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টার তাঁকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছে।
সমাজকর্মী আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে। বাংলাদেশে পোশাককর্মীদের অধিকার রক্ষা ও টেকসই পোশাক রপ্তানি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তাঁর বাবাও একজন সফল রপ্তানিমুখী পোশাক ব্যবসায়ী।
আফরিনের নেতৃত্বে গার্মেন্টস শিল্প কারখানার মেঝের তাপ কমানোর জন্য একটি টাস্কফোর্স তৈরি করা হয়েছিল। তিনি মা পোশাককর্মীদের জন্য কারখানার অবকাঠামোতেও পরিবর্তন এনেছেন। এর মধ্য রয়েছে শিশুদের দুগ্ধদানের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি ও ডে-কেয়ারের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক।
অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শহরে সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি, সিয়েরা লিওনের ফ্রি টাউন, গ্রিসের এথেন্স, চিলির সান্তিয়াগো, মেক্সিকোর মন্টেরি এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। তাঁরা সবাই নারী।
ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টারই প্রথম পদের ধারণা আনে। তাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্য ১০০ কোটি মানুষকে দাবদাহমুক্ত করার। এই ধারণা পছন্দ হওয়ায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস নগর কর্তৃপক্ষও সিএইচও নিয়োগ দিয়েছে। এর জন্য আলাদা তহবিলও বরাদ্দ করেছে তারা।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুশরা আফরিন বলেন, ‘এই ঢাকা শহরেই আমার জন্ম। অসহ্য গরমের কারণে আজ তাকে যেন আর চিনতে পারছি না। ঢাকা বসবাসের অযোগ্য জায়গা—এই কথাটিই ঢাকার প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে।’
বর্তমানে ঢাকা এশিয়ার সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহের একটি শহর। এই শহরের মাসিক গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উচ্চ আর্দ্রতার কারণে কখনো কখনো তা ৪০ ডিগ্রিতেও পৌঁছায়। গত মাসেই শহরের তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে উঠেছিল। যা ৬ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ক্রমাগত জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধি এই শহরকে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে।
২০২১ সালের বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বছর দাবদাহ থাকবে এমন শহর হতে চলেছে ঢাকা।
ঢাকা শহরের সিএইচও নিয়োগ পাওয়ার পর বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি সবার জন্য কাজ করতে চাই। তবে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে।’
বুশরা বলেন, দাবদাহ মানুষের জন্য এক নীরব ও ভয়ানক শত্রু। অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এখন দাবদাহ। এর শিকার হচ্ছেন বৃদ্ধ, কিশোর, দরিদ্র ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তরা।
বিভিন্ন শহর আরশট-রকফেলারের সদস্য হচ্ছে শুধু দাবদাহ রোধে তাদের উদ্যোগের জন্য নয়, বরং বিভিন্ন শহর ও স্থানীয় সরকার তাদের নতুন এই ধারণা গ্রহণ করছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তাদেরই একটি। সিএইচওরা তাঁদের পরিকল্পনাগুলোকে বিভিন্ন শহরে বাস্তবায়নযোগ্য করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
বুশরা আফরিন বিশ্বের বিভিন্ন শহরের সিএইচওদের কাছ থেকে শিখতে আগ্রহী। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাঁদের সম্পর্কে জানতে ও একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। তাঁরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ; যা আমাকে আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে।’
আরশট-রকের ডিরেক্টর ও সিএইচও প্রোগ্রামের মূল পরিকল্পনাকারী ক্যাথি বগম্যান ম্যাকলিওড ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘এই পদের জন্য নারীদের নির্বাচিত করা হয়েছে কারণ, দাবদাহের শিকারের সিংহভাগই তাঁরা।’
২০৫০ সালের মধ্য পৃথিবীর উষ্ণতম দিনের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে এক সমীক্ষায় আশঙ্কা করা হয়েছে। আর এর ভুক্তভোগী হবে নারীরা। দাবদাহ অসমভাবে শুধু নারীদের স্বাস্থ্যের ওপরই প্রভাব ফেলে না, অর্থনীতিকেও সংকটে ফেলে। কারণ, নারীরা বিশ্ব অর্থনীতির অস্বীকৃত মেরুদণ্ড। সারা বিশ্বেই নারীরা গৃহস্থালি ও সন্তান দেখাশোনা করেন। যার পারিশ্রমিক দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) যুক্ত হয় না।
বগম্যান ম্যাকলিওড আরও বলেন, ‘নারীদের এসব পদে নিয়োগ দেওয়াই যৌক্তিক। এটি সময়ের প্রেক্ষাপটে সেরা বিনিয়োগ।’
বিশ্বের বড় শহরগুলোর দিন দিন আবহাওয়া ও পরিবেশের হুমকির মুখে পড়ছে। ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বড় শহর ঢাকাও এর মধ্য রয়েছে। ঢাকা শহরে ঘনবসতি হওয়ায় এখানে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা হতে পারে।
এ বিষয়ে বুশরা আফরিন বলেন, ‘আমি জানি না, ঢাকার অবস্থাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। এখানে মানুষ আসলে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। দাবদাহ এত বেশি যে প্রচুর ঘামলেও শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। ঢাকায় বাইরে বের হওয়াটা দিন দিন আরও প্রতিকূল হয়ে উঠছে।’
বুশরার ভাষায়, ঢাকায় গত মাসে দাবদাহের কারণে বেশ কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে ঢাকার বাতাসে এখন আরও বেশি দূষিত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন দুই হাজারের অধিক বেকার মানুষ ঢাকায় আসেন জীবিকার জন্য। এঁদের অধিকাংশই কৃষক বা জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। কারণ, তাঁরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে নিজ এলাকায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ ফিট উঁচুতে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বৃদ্ধি ও সাইক্লোনের আঘাতে দেশের হাজার হাজার একর ভূখণ্ড এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে।
আফরিন জানান, দেশের জনসংখ্যার বিরাট এক অংশ স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও পানীয় জলের সংকটে রয়েছে। এ থেকে বের হতে তাঁদের নিয়ে দাবদাহ রোধেও কাজ করতে হবে। ঢাকা শহরে ভবনগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে ধাতব বস্তু ব্যবহার করা হয়। যা বাড়িগুলো বসবাসের অযোগ্য করে তোলে। দেশে সর্বশেষ দাবদাহ এর প্রমাণ। এ সময় বাড়িগুলো জ্বলন্ত চুলার মতো উষ্ণ হয়ে পড়েছিল, অধিকাংশ মানুষ রাতে ঘুমাতে পারেনি।
দেশের বেশির ভাগ মানুষের এসি ব্যবহারের সাধ্য নেই। তাঁদের ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার সুযোগও নেই। তাঁরা ওয়াসার যেই পানি পান সেটিও সেদ্ধ পানির মতো গরম। এটা দেশের গণস্বাস্থ্য সংকট। মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যোগ করেন বুশরা আফরিন।
মায়ামিতে নিযুক্ত পৃথিবীর প্রথম সিএইচও জেন গিলবার্ট বিভিন্ন ভাষাভাষী খামারকর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন। এ ছাড়া হ্যারিকেন প্রস্তুতির জন্য রাস্তার পাশে বিলবোর্ড বসাচ্ছেন ও স্থানীয় রেডিওতে দাবদাহের কারণে হওয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।
সান্তিয়াগোর সিএইচও ক্রিস্টিনা হুইডোব্রো আঞ্চলিক গভর্নরের ২০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্পে শহরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির তদারকি করছেন।
ফ্রি টাউনের সিএইচও ইউজেনিয়া কার্গবো বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলেন, তাঁদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো স্টলের ছাউনি। তিনি তাঁদের সেটি সরবরাহ করেছেন। এখন এসব ছাউনি ব্যবসায়ীদের ও তাঁদের পণ্যগুলোকে দাবদাহ থেকে রক্ষা করছে।
বুশরা আফরিনও ঢাকায় দাবদাহ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেই মনোনিবেশ করছেন। পাশাপাশি পরিবেশ নিয়ে কাজ করা স্থানীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন। তাঁদের লক্ষ্য দাবদাহে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের খুঁজে বের করা ও তাঁদের নিয়ে কাজ করা।
এ জন্য বুশরা আফরিন বলেছেন, ‘আমি দাবদাহ নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ। ঢাকা শহরের দাবদাহ নিয়ে কাজ করার জন্য এটি উপযুক্ত সময়। কেননা, অসংখ্য মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমি শুধু নিজের মেয়ের জন্য নয়, সব শিশুর জন্য একটি সুন্দর ও ন্যায্য ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চাই।’

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১ দিন আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।
দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।
শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’
ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।
জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।
দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।
শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’
ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।
জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক। অ্যার্ডিয়ান আরশট–রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শ
০৪ মে ২০২৩
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক। অ্যার্ডিয়ান আরশট–রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শ
০৪ মে ২০২৩
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির বায়ুমান ৩৮৫, যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের কলকাতা, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৫, ২৪৬, ২১৭ ও ২১১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির বায়ুমান ৩৮৫, যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের কলকাতা, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৫, ২৪৬, ২১৭ ও ২১১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক। অ্যার্ডিয়ান আরশট–রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শ
০৪ মে ২০২৩
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১ দিন আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা কমছিল। তবে আজ শুক্রবার শীত বেশ ভালোভাবেই জেঁকে বসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ৩৩ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা কমছিল। তবে আজ শুক্রবার শীত বেশ ভালোভাবেই জেঁকে বসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ৩৩ মিনিটে।

আফরিন ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইন প্রণয়নে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। আফরিন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও ড্রামা বিষয়ে স্নাতক। অ্যার্ডিয়ান আরশট–রকফেলার ফাউন্ডেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শ
০৪ মে ২০২৩
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১ দিন আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে