ইসলাম ডেস্ক

প্রায় ৩০ হাজার একর জায়গা নিয়ে গঠিত আল-আহসা খেজুর মরূদ্যান। আরবের বিস্তীর্ণ মরুর বুকে এক সুবিশাল সবুজের সমারোহ। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান। প্রায় ৩০ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে এখানে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আল-আহসার ইতিহাস
আরবি ‘আহসা’ শব্দটি মূলত ‘হাসা’ শব্দের বহুবচন। আরবিতে প্রবহমান ঝরনার কলকল শব্দকেই হাসা বলা হয়। এই অঞ্চলে পানির ব্যাপক উপস্থিতির কারণেই জায়গাটির নাম আল-আহসা হয়েছে। মরুর বুকে স্বাদু পানির উপস্থিতির কারণে আল-আহসা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের পদচারণায় মুখর। এ কারণে দেখা যায়, আল-আহসা মরূদ্যান আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে প্রাচীন জনবসতিগুলোর একটি। ইসলামের আবির্ভাবের অনেক আগেই এই অঞ্চলের সঙ্গে প্রাচীন লেভান্ত (সিরিয়া, ইসরায়েল, জর্ডান, লেবানন, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, গ্রিস এবং লিবিয়ার কিছু অংশ), মিসরীয় এবং মেসোপটেমিয়া সভ্যতার যোগাযোগ ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মিষ্টি পানির প্রাচুর্যের কারণে আল-আহসার আশপাশে কৃষিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায়, এ অঞ্চলের মানুষ খাল খনন এবং সেচের ব্যবস্থা করে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করতে শিখেছিল। পুরো আরব উপদ্বীপের মধ্যে আল-আহসাই একমাত্র স্থান, যেখানে চাল উৎপন্ন হতো।
প্রাচীনকাল থেকেই বণিকেরা আল-আহসাকে যাত্রাপথের বিরতি হিসেবে ব্যবহার করত। মরিচ, ধূপসহ নানাবিধ পণ্যবাহী কাফেলাগুলোর নিয়মিত যাত্রাপথ ছিল এই স্থানটি। ফলে আল-আহসা নগরী ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে শুরু করে। এখানকার মানুষেরা কৃষিকাজ ছাড়াও কাপড় বোনা, সেলাইসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পে দক্ষ ছিল। ধারণা করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি আল-আহসার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। এটি ছিল তৎকালীন বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহর।
যা আছে আল-আহসায়
৩০ লাখ খেজুর গাছ ছাড়াও আল-আহসায় আছে নানা জাতের শস্য এবং ফলমূলের বৃক্ষ। খেজুর বাগান থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫ টন খেজুর উৎপাদন করা হয়। খালাসা খেজুরসহ বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু এবং বিখ্যাত জাতের কিছু খেজুরের উৎপত্তিস্থল হিসেবে আল-আহসা বিখ্যাত। কৃষিকাজের জন্য আল-আহসার জনগণ নির্ভর করে এর অনেকগুলো প্রাকৃতিক ঝরনার ওপর। আহসা মরূদ্যানে এ রকম ঝরনার সংখ্যা অন্তত ৬৫টি। এর মধ্যে শুধু স্বাদু পানির ঝরনাই না, আছে উষ্ণ পানির প্রস্রবণও, যেগুলোর কয়েকটির তাপমাত্রা কখনো কখনো ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়।
আল-আহসার অধিকাংশ স্থানেই ভূ-গর্ভের ৫০০ থেকে ৬০০ ফুট গভীরে পানি পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু স্থানে ঝরনাগুলো ভূ-পৃষ্ঠের ৪০-৫০ ফুট গভীরতার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হয়, যেখান থেকে সহজেই যন্ত্রের সাহায্যে পানি উত্তোলন করে ব্যবহার করা যায়। আহসার সর্ববৃহৎ ঝরনাগুলোতে গড়ে প্রতি মিনিটে ২০ হাজার গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়। সবগুলো ঝরনা দ্বারা একত্রে প্রতি মিনিটে প্রায় দেড় লাখ গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়।
বেশ কিছু স্থানে পানি ভূ-পৃষ্ঠে উঠে এসে ঝরনা এবং হ্রদের সৃষ্টি করে। এই হ্রদগুলো দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদেরও আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র। মানুষ এখানে বনভোজন করার জন্য বা গোসল করার জন্য, কিংবা নিছক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্যও বেড়াতে আসে। এসব হ্রদের এবং ঝরনার পাশে বিভিন্ন স্থানে নারীদের জন্যও স্নানঘরের ব্যবস্থা রাখা আছে।
সৌদি আরবের অন্যতম বাণিজ্য নগরী
শুধু পর্যটন কেন্দ্রই নয়, আল-আহসা একই সঙ্গে সৌদি আরবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বাণিজ্য নগরী। ত্রিশের দশকে নিকটবর্তী দাম্মাম শহরে খনিজ তেল আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই আহসা জেলাটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে শুরু করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র আল-গাওয়ার অয়েল ফিল্ডের অবস্থান এই আহসা জেলাতেই। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় পৌনে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়।
পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ায় আল-আহসা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ‘আরবের প্রবেশপথ’ নামে পরিচিত ছিল। ইসলামের শুরুর দিকে আরবের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত অঞ্চলগুলো থেকে আগত হজযাত্রীদের প্রতিটি কাফেলা আল-আহসার ওপর দিয়েই মক্কার দিকে অগ্রসর হতো। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এটি ছিল ইয়েমেন এবং ইরাকে যাতায়াতের মধ্যে প্রধান ট্রানজিট। এখনো পর্যন্ত এই এলাকাটি সৌদি আরব থেকে পার্শ্ববর্তী আরব আমিরাত, কাতার এবং ওমানে যাওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম।

প্রায় ৩০ হাজার একর জায়গা নিয়ে গঠিত আল-আহসা খেজুর মরূদ্যান। আরবের বিস্তীর্ণ মরুর বুকে এক সুবিশাল সবুজের সমারোহ। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান। প্রায় ৩০ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে এখানে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আল-আহসার ইতিহাস
আরবি ‘আহসা’ শব্দটি মূলত ‘হাসা’ শব্দের বহুবচন। আরবিতে প্রবহমান ঝরনার কলকল শব্দকেই হাসা বলা হয়। এই অঞ্চলে পানির ব্যাপক উপস্থিতির কারণেই জায়গাটির নাম আল-আহসা হয়েছে। মরুর বুকে স্বাদু পানির উপস্থিতির কারণে আল-আহসা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের পদচারণায় মুখর। এ কারণে দেখা যায়, আল-আহসা মরূদ্যান আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে প্রাচীন জনবসতিগুলোর একটি। ইসলামের আবির্ভাবের অনেক আগেই এই অঞ্চলের সঙ্গে প্রাচীন লেভান্ত (সিরিয়া, ইসরায়েল, জর্ডান, লেবানন, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, গ্রিস এবং লিবিয়ার কিছু অংশ), মিসরীয় এবং মেসোপটেমিয়া সভ্যতার যোগাযোগ ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মিষ্টি পানির প্রাচুর্যের কারণে আল-আহসার আশপাশে কৃষিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায়, এ অঞ্চলের মানুষ খাল খনন এবং সেচের ব্যবস্থা করে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করতে শিখেছিল। পুরো আরব উপদ্বীপের মধ্যে আল-আহসাই একমাত্র স্থান, যেখানে চাল উৎপন্ন হতো।
প্রাচীনকাল থেকেই বণিকেরা আল-আহসাকে যাত্রাপথের বিরতি হিসেবে ব্যবহার করত। মরিচ, ধূপসহ নানাবিধ পণ্যবাহী কাফেলাগুলোর নিয়মিত যাত্রাপথ ছিল এই স্থানটি। ফলে আল-আহসা নগরী ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে শুরু করে। এখানকার মানুষেরা কৃষিকাজ ছাড়াও কাপড় বোনা, সেলাইসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পে দক্ষ ছিল। ধারণা করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি আল-আহসার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। এটি ছিল তৎকালীন বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহর।
যা আছে আল-আহসায়
৩০ লাখ খেজুর গাছ ছাড়াও আল-আহসায় আছে নানা জাতের শস্য এবং ফলমূলের বৃক্ষ। খেজুর বাগান থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫ টন খেজুর উৎপাদন করা হয়। খালাসা খেজুরসহ বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু এবং বিখ্যাত জাতের কিছু খেজুরের উৎপত্তিস্থল হিসেবে আল-আহসা বিখ্যাত। কৃষিকাজের জন্য আল-আহসার জনগণ নির্ভর করে এর অনেকগুলো প্রাকৃতিক ঝরনার ওপর। আহসা মরূদ্যানে এ রকম ঝরনার সংখ্যা অন্তত ৬৫টি। এর মধ্যে শুধু স্বাদু পানির ঝরনাই না, আছে উষ্ণ পানির প্রস্রবণও, যেগুলোর কয়েকটির তাপমাত্রা কখনো কখনো ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়।
আল-আহসার অধিকাংশ স্থানেই ভূ-গর্ভের ৫০০ থেকে ৬০০ ফুট গভীরে পানি পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু স্থানে ঝরনাগুলো ভূ-পৃষ্ঠের ৪০-৫০ ফুট গভীরতার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হয়, যেখান থেকে সহজেই যন্ত্রের সাহায্যে পানি উত্তোলন করে ব্যবহার করা যায়। আহসার সর্ববৃহৎ ঝরনাগুলোতে গড়ে প্রতি মিনিটে ২০ হাজার গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়। সবগুলো ঝরনা দ্বারা একত্রে প্রতি মিনিটে প্রায় দেড় লাখ গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়।
বেশ কিছু স্থানে পানি ভূ-পৃষ্ঠে উঠে এসে ঝরনা এবং হ্রদের সৃষ্টি করে। এই হ্রদগুলো দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদেরও আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র। মানুষ এখানে বনভোজন করার জন্য বা গোসল করার জন্য, কিংবা নিছক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্যও বেড়াতে আসে। এসব হ্রদের এবং ঝরনার পাশে বিভিন্ন স্থানে নারীদের জন্যও স্নানঘরের ব্যবস্থা রাখা আছে।
সৌদি আরবের অন্যতম বাণিজ্য নগরী
শুধু পর্যটন কেন্দ্রই নয়, আল-আহসা একই সঙ্গে সৌদি আরবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বাণিজ্য নগরী। ত্রিশের দশকে নিকটবর্তী দাম্মাম শহরে খনিজ তেল আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই আহসা জেলাটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে শুরু করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র আল-গাওয়ার অয়েল ফিল্ডের অবস্থান এই আহসা জেলাতেই। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় পৌনে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়।
পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ায় আল-আহসা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ‘আরবের প্রবেশপথ’ নামে পরিচিত ছিল। ইসলামের শুরুর দিকে আরবের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত অঞ্চলগুলো থেকে আগত হজযাত্রীদের প্রতিটি কাফেলা আল-আহসার ওপর দিয়েই মক্কার দিকে অগ্রসর হতো। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এটি ছিল ইয়েমেন এবং ইরাকে যাতায়াতের মধ্যে প্রধান ট্রানজিট। এখনো পর্যন্ত এই এলাকাটি সৌদি আরব থেকে পার্শ্ববর্তী আরব আমিরাত, কাতার এবং ওমানে যাওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম।
ইসলাম ডেস্ক

প্রায় ৩০ হাজার একর জায়গা নিয়ে গঠিত আল-আহসা খেজুর মরূদ্যান। আরবের বিস্তীর্ণ মরুর বুকে এক সুবিশাল সবুজের সমারোহ। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান। প্রায় ৩০ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে এখানে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আল-আহসার ইতিহাস
আরবি ‘আহসা’ শব্দটি মূলত ‘হাসা’ শব্দের বহুবচন। আরবিতে প্রবহমান ঝরনার কলকল শব্দকেই হাসা বলা হয়। এই অঞ্চলে পানির ব্যাপক উপস্থিতির কারণেই জায়গাটির নাম আল-আহসা হয়েছে। মরুর বুকে স্বাদু পানির উপস্থিতির কারণে আল-আহসা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের পদচারণায় মুখর। এ কারণে দেখা যায়, আল-আহসা মরূদ্যান আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে প্রাচীন জনবসতিগুলোর একটি। ইসলামের আবির্ভাবের অনেক আগেই এই অঞ্চলের সঙ্গে প্রাচীন লেভান্ত (সিরিয়া, ইসরায়েল, জর্ডান, লেবানন, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, গ্রিস এবং লিবিয়ার কিছু অংশ), মিসরীয় এবং মেসোপটেমিয়া সভ্যতার যোগাযোগ ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মিষ্টি পানির প্রাচুর্যের কারণে আল-আহসার আশপাশে কৃষিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায়, এ অঞ্চলের মানুষ খাল খনন এবং সেচের ব্যবস্থা করে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করতে শিখেছিল। পুরো আরব উপদ্বীপের মধ্যে আল-আহসাই একমাত্র স্থান, যেখানে চাল উৎপন্ন হতো।
প্রাচীনকাল থেকেই বণিকেরা আল-আহসাকে যাত্রাপথের বিরতি হিসেবে ব্যবহার করত। মরিচ, ধূপসহ নানাবিধ পণ্যবাহী কাফেলাগুলোর নিয়মিত যাত্রাপথ ছিল এই স্থানটি। ফলে আল-আহসা নগরী ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে শুরু করে। এখানকার মানুষেরা কৃষিকাজ ছাড়াও কাপড় বোনা, সেলাইসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পে দক্ষ ছিল। ধারণা করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি আল-আহসার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। এটি ছিল তৎকালীন বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহর।
যা আছে আল-আহসায়
৩০ লাখ খেজুর গাছ ছাড়াও আল-আহসায় আছে নানা জাতের শস্য এবং ফলমূলের বৃক্ষ। খেজুর বাগান থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫ টন খেজুর উৎপাদন করা হয়। খালাসা খেজুরসহ বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু এবং বিখ্যাত জাতের কিছু খেজুরের উৎপত্তিস্থল হিসেবে আল-আহসা বিখ্যাত। কৃষিকাজের জন্য আল-আহসার জনগণ নির্ভর করে এর অনেকগুলো প্রাকৃতিক ঝরনার ওপর। আহসা মরূদ্যানে এ রকম ঝরনার সংখ্যা অন্তত ৬৫টি। এর মধ্যে শুধু স্বাদু পানির ঝরনাই না, আছে উষ্ণ পানির প্রস্রবণও, যেগুলোর কয়েকটির তাপমাত্রা কখনো কখনো ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়।
আল-আহসার অধিকাংশ স্থানেই ভূ-গর্ভের ৫০০ থেকে ৬০০ ফুট গভীরে পানি পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু স্থানে ঝরনাগুলো ভূ-পৃষ্ঠের ৪০-৫০ ফুট গভীরতার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হয়, যেখান থেকে সহজেই যন্ত্রের সাহায্যে পানি উত্তোলন করে ব্যবহার করা যায়। আহসার সর্ববৃহৎ ঝরনাগুলোতে গড়ে প্রতি মিনিটে ২০ হাজার গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়। সবগুলো ঝরনা দ্বারা একত্রে প্রতি মিনিটে প্রায় দেড় লাখ গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়।
বেশ কিছু স্থানে পানি ভূ-পৃষ্ঠে উঠে এসে ঝরনা এবং হ্রদের সৃষ্টি করে। এই হ্রদগুলো দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদেরও আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র। মানুষ এখানে বনভোজন করার জন্য বা গোসল করার জন্য, কিংবা নিছক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্যও বেড়াতে আসে। এসব হ্রদের এবং ঝরনার পাশে বিভিন্ন স্থানে নারীদের জন্যও স্নানঘরের ব্যবস্থা রাখা আছে।
সৌদি আরবের অন্যতম বাণিজ্য নগরী
শুধু পর্যটন কেন্দ্রই নয়, আল-আহসা একই সঙ্গে সৌদি আরবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বাণিজ্য নগরী। ত্রিশের দশকে নিকটবর্তী দাম্মাম শহরে খনিজ তেল আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই আহসা জেলাটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে শুরু করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র আল-গাওয়ার অয়েল ফিল্ডের অবস্থান এই আহসা জেলাতেই। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় পৌনে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়।
পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ায় আল-আহসা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ‘আরবের প্রবেশপথ’ নামে পরিচিত ছিল। ইসলামের শুরুর দিকে আরবের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত অঞ্চলগুলো থেকে আগত হজযাত্রীদের প্রতিটি কাফেলা আল-আহসার ওপর দিয়েই মক্কার দিকে অগ্রসর হতো। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এটি ছিল ইয়েমেন এবং ইরাকে যাতায়াতের মধ্যে প্রধান ট্রানজিট। এখনো পর্যন্ত এই এলাকাটি সৌদি আরব থেকে পার্শ্ববর্তী আরব আমিরাত, কাতার এবং ওমানে যাওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম।

প্রায় ৩০ হাজার একর জায়গা নিয়ে গঠিত আল-আহসা খেজুর মরূদ্যান। আরবের বিস্তীর্ণ মরুর বুকে এক সুবিশাল সবুজের সমারোহ। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান। প্রায় ৩০ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে এখানে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আল-আহসার ইতিহাস
আরবি ‘আহসা’ শব্দটি মূলত ‘হাসা’ শব্দের বহুবচন। আরবিতে প্রবহমান ঝরনার কলকল শব্দকেই হাসা বলা হয়। এই অঞ্চলে পানির ব্যাপক উপস্থিতির কারণেই জায়গাটির নাম আল-আহসা হয়েছে। মরুর বুকে স্বাদু পানির উপস্থিতির কারণে আল-আহসা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের পদচারণায় মুখর। এ কারণে দেখা যায়, আল-আহসা মরূদ্যান আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে প্রাচীন জনবসতিগুলোর একটি। ইসলামের আবির্ভাবের অনেক আগেই এই অঞ্চলের সঙ্গে প্রাচীন লেভান্ত (সিরিয়া, ইসরায়েল, জর্ডান, লেবানন, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, গ্রিস এবং লিবিয়ার কিছু অংশ), মিসরীয় এবং মেসোপটেমিয়া সভ্যতার যোগাযোগ ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মিষ্টি পানির প্রাচুর্যের কারণে আল-আহসার আশপাশে কৃষিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায়, এ অঞ্চলের মানুষ খাল খনন এবং সেচের ব্যবস্থা করে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করতে শিখেছিল। পুরো আরব উপদ্বীপের মধ্যে আল-আহসাই একমাত্র স্থান, যেখানে চাল উৎপন্ন হতো।
প্রাচীনকাল থেকেই বণিকেরা আল-আহসাকে যাত্রাপথের বিরতি হিসেবে ব্যবহার করত। মরিচ, ধূপসহ নানাবিধ পণ্যবাহী কাফেলাগুলোর নিয়মিত যাত্রাপথ ছিল এই স্থানটি। ফলে আল-আহসা নগরী ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে শুরু করে। এখানকার মানুষেরা কৃষিকাজ ছাড়াও কাপড় বোনা, সেলাইসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পে দক্ষ ছিল। ধারণা করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি আল-আহসার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। এটি ছিল তৎকালীন বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহর।
যা আছে আল-আহসায়
৩০ লাখ খেজুর গাছ ছাড়াও আল-আহসায় আছে নানা জাতের শস্য এবং ফলমূলের বৃক্ষ। খেজুর বাগান থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫ টন খেজুর উৎপাদন করা হয়। খালাসা খেজুরসহ বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু এবং বিখ্যাত জাতের কিছু খেজুরের উৎপত্তিস্থল হিসেবে আল-আহসা বিখ্যাত। কৃষিকাজের জন্য আল-আহসার জনগণ নির্ভর করে এর অনেকগুলো প্রাকৃতিক ঝরনার ওপর। আহসা মরূদ্যানে এ রকম ঝরনার সংখ্যা অন্তত ৬৫টি। এর মধ্যে শুধু স্বাদু পানির ঝরনাই না, আছে উষ্ণ পানির প্রস্রবণও, যেগুলোর কয়েকটির তাপমাত্রা কখনো কখনো ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়।
আল-আহসার অধিকাংশ স্থানেই ভূ-গর্ভের ৫০০ থেকে ৬০০ ফুট গভীরে পানি পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু স্থানে ঝরনাগুলো ভূ-পৃষ্ঠের ৪০-৫০ ফুট গভীরতার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হয়, যেখান থেকে সহজেই যন্ত্রের সাহায্যে পানি উত্তোলন করে ব্যবহার করা যায়। আহসার সর্ববৃহৎ ঝরনাগুলোতে গড়ে প্রতি মিনিটে ২০ হাজার গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়। সবগুলো ঝরনা দ্বারা একত্রে প্রতি মিনিটে প্রায় দেড় লাখ গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়।
বেশ কিছু স্থানে পানি ভূ-পৃষ্ঠে উঠে এসে ঝরনা এবং হ্রদের সৃষ্টি করে। এই হ্রদগুলো দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদেরও আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র। মানুষ এখানে বনভোজন করার জন্য বা গোসল করার জন্য, কিংবা নিছক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্যও বেড়াতে আসে। এসব হ্রদের এবং ঝরনার পাশে বিভিন্ন স্থানে নারীদের জন্যও স্নানঘরের ব্যবস্থা রাখা আছে।
সৌদি আরবের অন্যতম বাণিজ্য নগরী
শুধু পর্যটন কেন্দ্রই নয়, আল-আহসা একই সঙ্গে সৌদি আরবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বাণিজ্য নগরী। ত্রিশের দশকে নিকটবর্তী দাম্মাম শহরে খনিজ তেল আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই আহসা জেলাটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে শুরু করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র আল-গাওয়ার অয়েল ফিল্ডের অবস্থান এই আহসা জেলাতেই। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় পৌনে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়।
পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ায় আল-আহসা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ‘আরবের প্রবেশপথ’ নামে পরিচিত ছিল। ইসলামের শুরুর দিকে আরবের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত অঞ্চলগুলো থেকে আগত হজযাত্রীদের প্রতিটি কাফেলা আল-আহসার ওপর দিয়েই মক্কার দিকে অগ্রসর হতো। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এটি ছিল ইয়েমেন এবং ইরাকে যাতায়াতের মধ্যে প্রধান ট্রানজিট। এখনো পর্যন্ত এই এলাকাটি সৌদি আরব থেকে পার্শ্ববর্তী আরব আমিরাত, কাতার এবং ওমানে যাওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৩
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৩
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৩
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১০ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ (এনটিকিউবি) পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন।
দেশের মোট ১ হাজার ১২টি কেন্দ্রে গত ২৯ নভেম্বর দেশব্যাপী একযোগে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ৫৩২ এবং পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন বলেন, ‘দেশব্যাপী তরুণ আলেমদের কাছে অনুরোধ করছি, একটি নীরব সাধনায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তা হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় নূরানি মাদ্রাসা, নূরানি স্কুল, নূরানি মক্তব ও ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের প্রতিটি সন্তানের কাছে দ্বীন শেখাকে সহজ থেকে সহজতর করতে হবে।’
পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন বলেন, ‘শিশুরা কাঁচা মাটির মতো। তাদের যেভাবে গড়ে তুলবেন, তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। আমরা দ্বীন ধর্ম ও মাতৃভূমির ভালোবাসায় সন্তানদের গড়ে তুলি। সুনাগরিক ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করে নূরানী বোর্ড।’
এদিকে অনুষ্ঠানে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হয়। ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের এই স্কলারশিপ পাবেন ১০০ তরুণ। মনোনীত ১০০ তরুণ ১০ হাজার টাকা সমমূল্যের নূরানি মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্সটি বিনা মূল্যে করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবু বকর, মাওলানা তারেক হুসাইনসহ নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ডের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলেরা।
প্রসঙ্গত, শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এই বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও শিশু শিক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এই ধারার হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ (এনটিকিউবি) পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন।
দেশের মোট ১ হাজার ১২টি কেন্দ্রে গত ২৯ নভেম্বর দেশব্যাপী একযোগে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ৫৩২ এবং পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন বলেন, ‘দেশব্যাপী তরুণ আলেমদের কাছে অনুরোধ করছি, একটি নীরব সাধনায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তা হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় নূরানি মাদ্রাসা, নূরানি স্কুল, নূরানি মক্তব ও ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের প্রতিটি সন্তানের কাছে দ্বীন শেখাকে সহজ থেকে সহজতর করতে হবে।’
পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন বলেন, ‘শিশুরা কাঁচা মাটির মতো। তাদের যেভাবে গড়ে তুলবেন, তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। আমরা দ্বীন ধর্ম ও মাতৃভূমির ভালোবাসায় সন্তানদের গড়ে তুলি। সুনাগরিক ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করে নূরানী বোর্ড।’
এদিকে অনুষ্ঠানে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হয়। ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের এই স্কলারশিপ পাবেন ১০০ তরুণ। মনোনীত ১০০ তরুণ ১০ হাজার টাকা সমমূল্যের নূরানি মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্সটি বিনা মূল্যে করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবু বকর, মাওলানা তারেক হুসাইনসহ নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ডের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলেরা।
প্রসঙ্গত, শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এই বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও শিশু শিক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এই ধারার হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৩
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে